পরিচ্ছেদঃ ১৫) প্রথম ওয়াক্তে নামায আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৩৯৭. (সহীহ্) আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত।। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ্ তা’আলার নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় আমল কোনটি?
তিনি বললেন, ’’সময়মত নামায আদায় করা।’’
আমি জিজ্ঞাসা করলাম: তারপর কোনটি?
তিনি বললেনঃ ’’পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।’’
আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ এরপরে কোনটি?
তিনি বললেনঃ ’’আল্লাহর পথে জিহাদ করা।’’ এগুলো রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সামনে বর্ণনা করেছেন। আমি যদি তাঁর কাছে আরো বেশী জিজ্ঞাসা করতাম তাহলে তিনি আমাকে আরো বেশী বলতেন।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী ৫২৭, মুসলিম ৮৫, নাসাঈ ১/২৯২, তিরমিযী ১৮৯৮)
الترغيب في الصلاة في أول وقتها
(صحيح) عبد الله بن مسعود - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - ، قَالَ : سألت رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : أيُّ العَمَلِ أحَبُّ إِلَى اللهِ تَعَالَى ؟ قَالَ : (( الصَّلاةُ عَلَى وَقْتِهَا )) ، قُلْتُ : ثُمَّ أي ؟ قَالَ : (( بِرُّ الوَالِدَيْنِ )) ، قُلْتُ : ثُمَّ أيٌّ ؟ قَالَ : (( الجِهَادُ في سبيلِ الله )) قَالَ حَدَّثَنِي بِهِنَّ رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَوِ اسْتَزَدْتُهُ لَزَادَنِي.
رواه البخاري ومسلم والترمذي والنسائي
পরিচ্ছেদঃ ১৫) প্রথম ওয়াক্তে নামায আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৩৯৮. (সহীহ্) রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জনৈক ছাহাবী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে প্রশ্ন করা হলো: সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেনঃ ’’সময়মত নামায আদায় করা, পিতামাতার খেদমত করা এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করা।’’
(আহমাদ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৫/৩৬৮)
الترغيب في الصلاة في أول وقتها
(صحيح) وَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أصْحَابِ رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أيُّ الْعَمَلِ أفْضلُ ؛ (قَالَ شُعْبَةُ : أوْ قَالَ :) أفْضَلُ الْعَمَلِ ؛ الصَّلاَةُ لِوَقْتِهَا ، وَبِرُّ الْوَالِدَيْنِ ، وَالْجِهَادُ. رواه أحمد
পরিচ্ছেদঃ ১৫) প্রথম ওয়াক্তে নামায আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৩৯৯. (সহীহ্ লি গাইরিহী) উম্মে ফারওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে বায়আত গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে প্রশ্ন করা হলো কোন আমলটি সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ ’’প্রথম ওয়াক্তে ছালাত আদায় করা।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ৪২৬ ও তিরমিযী ১৭০)
[উম্মে ফারওয়া (রাঃ) হলেন আবু বকর (রাঃ) এর বৈপ্রিত্রিয় বোন]
الترغيب في الصلاة في أول وقتها
(صحيح لغيره) وَعَنْ أُمِّ فَرْوَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا وَكَانَتْ مِمَّنْ بَايع النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ الصَّلَاةُ لِأَوَّلِ وَقْتِهَا
(رواه أبو داود والترمذي )
পরিচ্ছেদঃ ১৫) প্রথম ওয়াক্তে নামায আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৪০০. (সহীহ্ লি গাইরিহী) উবাদা বিন সামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে একথা বলতে শুনেছিঃ
’’মহামহিম আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন, যে ব্যক্তি সময়মত সুন্দররূপে ওযু করবে পরিপূর্ণরূপে রুকূ’-সিজদা ও একাগ্রতাসহ নামায আদায় করবে, তাহলে তার জন্য আল্লাহ তা’আলার অঙ্গিকার রয়েছে যে তিনি তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি এ কাজ করবে না তার জন্যে আল্লাহর কোন অঙ্গিকার নেই, তিনি ইচ্ছা করলে ক্ষমা করবেন ইচ্ছা করলে শাস্তি দিবেন।’’[1]
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মালেক ১/১২৩, আবু দাউদ ১৪২০, নাসাঈ ১/২৩০ ও ইবনে হিব্বান ১৭২৯)
الترغيب في الصلاة في أول وقتها
(صحيح لغيره) وَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال أَشْهَدُ أَنِّى سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: خَمْسُ صَلَوَاتٍ افْتَرَضَهُنَّ اللَّهُ عز وجل مَنْ أَحْسَنَ وُضُوءَهُنَّ وَصَلاَّهُنَّ لِوَقْتِهِنَّ وَأَتَمَّ رُكُوعَهُنَّ وسجودهن وَخُشُوعَهُنَّ كَانَ لَهُ عَلَى اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يَغْفِرَ لَهُ وَمَنْ لَمْ يَفْعَلْ فَلَيْسَ لَهُ عَلَى اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ وَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ. رواه مالك وأبو داود والنسائي وابن حبان
পরিচ্ছেদঃ ১৫) প্রথম ওয়াক্তে নামায আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৪০১. (হাসান লি গাইরিহী) কা’ব বিন উ’জরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা একদা সাত ব্যক্তি এক জায়গায় বসে ছিলাম এমন সময় রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আগমন করলেন। আমাদের সাত জনের মধ্যে চার জন আযাদকৃত দাস আর তিনজন ছিলেন স্বাধীন ব্যক্তি। আমরা তখন মসজিদের দেয়ালে পিঠ লাগিয়ে হেলান দিয়ে বসে ছিলাম।
তখন তিনি (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ’’কি কারণে তোমরা এখানে বসে আছো।’’
আমরা বললামঃ নামাযের অপেক্ষায় আমরা বসে আছি।
তখন তিনি কিছুক্ষন চুপ থাকলেন। তারপর তিনি আমাদের সামনে আসলেন এবং বললেনঃ
’’তোমরা কি জানে তোমাদের পালনকর্তা কি বলেছেন?’’
আমরা বললামঃ না।
তিনি বললেনঃ ’’তোমাদের পালনকর্তা বলেছেন, যে ব্যক্তি সময়মত নামায আদায় করবে এবং উহার প্রতি যত্নবান হবে। আর কোন একটি নামাযের অধিকারকে হালকা মনে করে তা বিনষ্ট করবে না। তাহলে তার জন্যে আমার উপর অঙ্গিকার হলো আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো। আর যে ব্যক্তি সময়মত নামায আদায় করবে না, তার প্রতি যত্নবান হবে না এবং এর অধিকারকে হালকা মনে করে বিনষ্ট করবে। তাহলে তার জন্যে আমার উপর কোন অঙ্গিকার নেই। আমি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিব, ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিব।’’
(ত্বাবরানী [কাবীর ও আওসাত গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম আহমাদ ৪/২৪৪ অনুরূপভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।)
الترغيب في الصلاة في أول وقتها
(حسن لغيره) وروي عن كَعْبُ بن عُجْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ سَبْعَةُ نَفَرٍ، أَرْبَعَةٌ مِنْ مَوَالِينَا، وَثَلاثَةٌ مِنْ عَرَبِنَا مُسْنِدِي ظُهُورَنَا إِلَى مَسْجِدِهِ، فَقَالَ:"مَا أَجْلَسُكُمْ؟"، قُلْنَا: جَلَسْنَا نَنْتَظِرُ الصَّلاةَ، قَالَ: فَأَرَمَ قَلِيلا، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا ، فَقَالَ:"هَلْ تَدْرُونَ مَا يَقُولُ رَبُّكُمْ؟"، قُلْنَا: لا، قَالَ:"فَإِنَّ رَبَّكُمْ، يَقُولُ: مَنْ صَلَّى الصَّلاةَ لِوَقْتِهَا، وَحَافَظَ عَلَيْهَا، وَلَمْ يُضَيِّعْهَا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهَا، فَلَهُ عَلِيَّ عَهْدٌ، أَنْ أُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ، وَمَنْ لَمْ يُصَلِّهَا لِوَقْتِهَا، وَلَمْ يُحَافِظْ عَلَيْهَا وَلَمْ يضيعها اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهَا فَلاهُ عَلِيَّ عَهْدَ أَنْ أُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ، وَمَنْ لَمْ يُصَلِّهَا لِوَقْتِهَا، وَلَمْ يُحَافِظْ عَلَيْهَا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهَا فَلا عَهْدَ لَهُ عَلِيَّ إِنْ شِئْتُ عَذَّبْتُهُ، وَإِنْ شِئْتُ غَفَرْتُ لَهُ". رواه الطبراني في الكبير والأوسط وأحمد بنحوه