পরিচ্ছেদঃ ১২) ওযুর পর দু'আ পাঠের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

২২৪. (সহীহ) ওমার বিন খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’তোমাদের যে কেউ ওযু করে, এবং পরিপূর্ণরূপে তা সম্পাদন করে, অতঃপর এই দু’আ পাঠ করে, আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। (অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।) তাহলে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হয়। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে সে প্রবেশ করবে।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম ২৩৪, আবু দাউদ ১৬৯ ও ইবনু মাজাহ্ ৪৭০, তিরমিযী ৫৫) তবে আবু দাউদ ও ইবনু মাজাহর রেওয়ায়াতে বলা হয়েছেঃ... অতঃপর ওযুকে সুন্দরভাবে সম্পাদন করে...।


(হাসান) তিরমিযীও আবু দাউদের মতই বর্ণনা করেন। তবে তিনি অতিরিক্ত এই দু’আটি উল্লেখ করেনঃ

اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنْ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنْ الْمُتَطَهِّرِينَ

আল্লাহুম্মাজ্ আলনী মিনাত্তাওয়াবীনা, ওয়াজআলনী মিনাল মুতাতাহহেরীন। অর্থঃ হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের মধ্যে শামিল কর। (তিরমিযী ৫৫)

الترغيب في كلمات يقولهن بعد الوضوء

(صحيح) عن عمر بن الخطاب رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ أَوْ فَيُسْبِغُ الْوَضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدَهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاء. رواه مسلم

(صحيح) عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ما منكم من احد يتوضا فيبلغ او فيسبغ الوضوء ثم يقول اشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له واشهد ان محمدا عبده ورسوله الا فتحت له ابواب الجنة الثمانية يدخل من ايها شاء. رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ১২) ওযুর পর দু'আ পাঠের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

২২৫. (সহীহ) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যাক্তি সূরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য কিয়ামতের দিন সে যে স্থানে থাকবে সেখান থেকে মক্কা পর্যন্ত দুরত্ব বরাবর একটি নূর হবে। যে ব্যাক্তি অত্র সূরার শেষ দশটি আয়াত পাঠ করবে, দাজ্জাল বের হলে তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। এবং যে ব্যাক্তি ওযু শেষ করে এই দু’আ পাঠ করবে [সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বেহামদিকা, আশহাদু আল্লাহ-ইলা-হা ইল্লা-আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা] (অর্থঃ তোমার প্রশংসার সাথে তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি হে আল্লাহ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কেউ হক মাবূদ নেই। তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তওবা করছি।) তবে, তা একটি চামড়া বা সাদা কাগজে লিখে সীলমোহর করে রাখা হয়। কিয়ামতের আগে তা আর খোলা হবে না।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ত্বাবরানী [আওসাত গ্রন্থে] ১৪৫৫)

নাসাঈ বর্ণনা করার পর বলেনঃ    خُتم عليها بخاتم فوضعت تحت العرش فلم تكسر إلى يوم القيامة   ’’তার উপর একটি সীল মেরে দেয়া হয়, অতঃপর তা আরশের নীচে রেখে দেয়া হয়। কিয়ামতের আগে তা আর খোলা হবে না।’’

الترغيب في كلمات يقولهن بعد الوضوء

(صحيح) وَعَنْ أبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدِرِيْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : من قرأ سورة الكهف كانت له نورا يوم القيامة من مقامه إلى مكة ومن قرأ عشر آيات من آخرها ثم خرج الدجال لم يضره ومن توضأ فقال سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ كتب في ورق ثم جُعل في طابع فلم يُكسر إلى يوم القيامة.
رواه الطبراني في الأوسط ورواه النسائي

(صحيح) وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : من قرا سورة الكهف كانت له نورا يوم القيامة من مقامه الى مكة ومن قرا عشر ايات من اخرها ثم خرج الدجال لم يضره ومن توضا فقال سبحانك اللهم وبحمدك، لا اله الا انت، استغفرك واتوب اليك كتب في ورق ثم جعل في طابع فلم يكسر الى يوم القيامة. رواه الطبراني في الاوسط ورواه النساىي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে