পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৯. (সহীহ্) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেনঃ “যে ব্যাক্তি আমার এই দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু সৃষ্টি করবে যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে তা প্রত্যাখ্যাত বা অগ্রহণযোগ্য।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী, মুসলিম ও ইবনে মাজাহ)
আবু দাঊদের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ ’’আমার নিদের্শ ব্যতিরেকে যে ব্যাক্তি কোন কর্ম সম্পাদন করবে, তবে উহা প্রত্যাখ্যাত।’’
মুসলিমের অপর বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ ’’যে ব্যাক্তি এমন কোন আমল করল, যে ব্যাপারে আমার নির্দেশ নেই। তবে উহা প্রত্যাখ্যাত।’’
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ.
(رواه البخاري ومسلم وأبو داود) ولفظه مَنْ صَنَعَ أَمْرًا عَلَى غَيْرِ أَمْرِنَا فَهُوَ رَدٌّ وابن ماجه
وفي رواية لمسلم مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫০. (সহীহ্) জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন খুতবা দিতেন তখন তার চক্ষুযুগল লালবর্ণ ধারণ করত। কণ্ঠস্বর উঁচু হত এবং ত্রেুাধ কঠিন আকার ধারণ করত। দেখে মনে হত তিনি কোন সৈন্য বাহিনীকে সতর্কবানী শুনাচ্ছেন। বলতেনঃ সকালে বা বিকালে শত্রু আত্রুমন থেকে তোমরা সতর্ক হও। আর বলতেনঃ এমন সময় আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে যখন আমি এবং কিয়ামত এরুপ। একথা বলে তিনি স্বীয় তর্জনী ও মধ্যমাকে একত্রিত করতেন।
তিনি আরো বলতেনঃ ’’অতঃপর, সর্বোত্তম বাণী হল আল্লাহর কিতাব। সর্বোত্তম হেদায়াত হল মুহাম্মাদের হেদায়াত। সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যাপার হল এর মাঝে নতুন কিছু সৃষ্টি করা। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। অতঃপর বলতেনঃ প্রত্যেক মুমিনের নিজ প্রাণের চেয়ে আমি তার অধিক নিকটবর্তী বন্ধু। যে ব্যাক্তি কোন সম্পদ রেখে মৃত্যু বরণ করবে সে সম্পদ তার উত্তরাধিকারদের জন্য হবে। আর যে ব্যাক্তি কোন ঋণ বা সন্তান ছেড়ে যাবে, সে ঋণ আমিই পরিশোধ করব, সে সন্তানদের ভরণ-পোষণ আমারই দায়িত্বে।’’
(মুসলিম, ইবনু মাজাহ প্রমুখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ كَأنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهم عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَطَبَ احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ وَعَلَا صَوْتُهُ وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ حَتَّى كَأَنَّهُ مُنْذِرُ جَيْشٍ يَقُولُ صَبَّحَكُمْ وَمَسَّاكُمْ وَيَقُولُ بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ وَيَقْرُنُ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَّابَةِ وَالْوُسْطَى وَيَقُولُ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ وَخَيْرُ الْهُدَى هُدَى مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ مَنْ تَرَكَ مَالًا فَلِأَهْلِهِ وَمَنْ تَرَكَ دَيْنًا أَوْ ضَيَاعًا فَإِلَيَّ وَعَلَيَّ. (رواه مسلم وابن ماجه وغيرهما)
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫১. (হাসান সহীহ্) মুআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে দন্ডায়মান হলেন, অতঃপর বললেনঃ
’’জেনে রেখো! তোমাদের পূর্ব যুগের আহলে কিতাবগণ বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল। নিঃসন্দেহে এই উম্মত অচিরেই তেহাত্তর দলে বিভক্ত হবে। তনমধ্যে বাহাত্তর দলই জাহান্নামে যাবে, আর একটি মাত্র দল যাবে জান্নাতে, সে দলটি হল জামাআত।[1]
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ও আবু দাউদ)
অন্য বর্ণনায় আবু দাউদ বৃদ্ধি করেছেনঃ
’’এবং অচিরেই আমার উম্মতের মধ্যে কতিপয় দল বের হবে। কুকুরের দংশনে কালাব নামক[2] একধরণের রোগের জীবানু যেমন রোগীর সমস্ত শরীর প্রবাহিত হয় তেমনি প্রবৃত্তি তাদের মধ্যে প্রবাহিত হবে। তার কোন শিরা-উপশিরা বা কোন জোড়া অবশিষ্ট থাকবে না।
[2] . রোগটিকে ইংরেজীতে বলা হয় (Hydrophobia)। ইমাম খাত্তাবী বলেন, কালাব হচ্ছে মানুষকে পাগলা কুকুরের দংশনের ফলে সৃষ্ট এক প্রকার রোগের নাম। যার লক্ষণ হচ্ছে, কুকুরের চোখ লাল হয়ে থাকবে, দু’পায়ের মধ্যে লেজ ঢুকিয়ে রাখবে। অতঃপর কোন মানুষ দেখলেই তাকে দংশন করার জন্য তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(حسن صحيح) عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ أَنَّهُ قَامَ فِينَا فَقَالَ أَلَا أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ فِينَا فَقَالَ أَلَا إِنَّ مَنْ قَبْلَكُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ افْتَرَقُوا عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَإِنَّ هَذِهِ الْمِلَّةَ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ ثِنْتَانِ وَسَبْعُونَ فِي النَّارِ وَوَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ وَهِيَ الْجَمَاعَةُ.
رواه أحمد وأبو داود وزاد في رواية
وَإِنَّهُ لَيَخْرُجُ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ تَتَجَارَى بِهِمْ الْأَهْوَاءُ كَمَا يَتَجَارَى الْكَلَبُ بِصَاحِبِهِ لَا يَبْقَى مِنْهُ عِرْقٌ وَلَا مَفْصِلٌ إِلَّا دَخَلَهُ *
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫২. (সহীহ্) আবু বারযাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
’’নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর যা আশংকা করছি তা হচ্ছে, পেটের ব্যাপারে এবং যৌনাঙ্গের বিষয়ে লোভে পড়ে পথভ্রষ্ট হওয়া এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করে বিভ্রান্ত হওয়া।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ, ত্বাবরানী ও বায্যার)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عَنْ أَبِي بَرْزَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ مِمَّا أَخْشَى عَلَيْكُمْ شَهَوَاتِ الْغَيِّ فِي بُطُونِكُمْ وَفُرُوجِكُمْ وَمُضِلَّاتِ الْهَوَى. رواه أحمد والبزار والطبراني
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৩. (হাসান লি গাইরিহী) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’আর ধ্বংসকারী বিষয় সমূহ হলঃ অনুগত লোভ, অনুসৃত প্রবৃত্তি এবং মানুষের নিজেকে নিয়ে অহংকার বা (আত্মগরিমা)।’’
(বায্যার, বায়হাকী প্রমূখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(حسن لغيره) عن أنس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال وأما المهلكات فشح مطاع وهوى متبع وإعجاب المرء بنفسه (رواه البزار والبيهقي وغيرهما)
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৪. (সহীহ্) আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’আল্লাহ্ তা’আলা বিদআতকারীর তওবায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখেন যতক্ষণ না সে তার বিদআত পরিত্যাগ করে।’’
(ত্বাবরানী হাসান সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عن أنَسِ بْنِ ماَلِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللهَ تَعَالَى حَجَزَ التَّوْبَةَ عَنْ كُلِّ صَاحِبِ بِدْعَةٍ حتى يدع بدعته (رواه الطبراني وإسناده حسن )
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৫. (সহীহ্) এরবায বিন সারিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’(ধর্মের মাঝে) নতুন কিছু সৃষ্টি করা থেকে তোমরা সাবধান! কেননা প্রত্যেক নতুন সৃষ্টি পথভ্রষ্টতা।’’
(আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, ইবনু হিব্বান হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٌ ضَلَالَةٌ. رواه أبو داود والترمذي وابن ماجه وابن حبان
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৬. (সহীহ্) আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেনঃ
’’প্রতিটি কর্মের একটি উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে। আর সে উদ্দীপনার মধ্যে অবসন্নতা এবং বিরতী আসে। সুতরাং সুন্নাত পর্যন্ত গিয়ে যার বিরতী ঘটে সেই সঠিক পথপ্রাপ্ত হয়। আর যার বিরতী হয় অন্য কিছুতে সে নিশ্চিতভাবে ধ্বংস প্রাপ্ত।’’
(ইবনু আবী আছেম ও ইবনু হিব্বান হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।)[1]
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عن عبد الله بن عمرو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِكُلِّ عَمَلٍ شِرَّةً , وَلِكُلِّ شِرَّةٍ فَتْرَةٌ فَإِمَّا إِلَى سُنَّةٍ وَإِمَّا إِلَى بِدْعَةٍ , فَمَنْ كَانَتْ فَتْرَتُهُ إِلَى سُنَّتِي فَقَدِ اهْتَدَى , وَمَنْ كَانَتْ فَتْرَتُهُ إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ فَقَدْ هَلَكَ. رواه ابن أبي عاصم وابن حبان في صحيحه
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৭. (সহীহ্) উক্ত হাদীছটি তিরমিযী এবং ইবনু হিব্বানও আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
’’প্রতিটি কর্মের একটি উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে। আর সে উদ্দীপনার মধ্যে আসে অবসন্নতা এবং বিরতী। উদ্যমশীল সেই ব্যক্তি যদি মধ্যম পন্থা অবলম্বন করে এবং বাড়াবাড়ি ও শিথীলতা পরিহার করে সঠিকভাবে আমল করে, তবে আমি তার সফলতার আশা করতে পারি। আর যদি তার দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইঙ্গিত করা হয়[1], তবে তাকে সৎ ব্যক্তির মধ্যে গণ্য করিও না।’’
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ لِكُلِّ عَمَلٍ شِرَّةً وَلِكُلِّ شِرَّةٍ فَتْرَةً فَإِنْ كَانَ صَاحِبُهَا سَدَّدَ وَقَارَبَ فَارْجُوهُ وَإِنْ أُشِيرَ إِلَيْهِ بِالْأَصَابِعِ فَلَا تَعُدُّوهُ.
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৮. (সহীহ্) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’যে ব্যাক্তি আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হল, সে আমার (উম্মতের) অন্তর্ভুক্ত নয়।’’
(মুসলিম হাদীছটি বর্ণনা করেছেন) শায়খ আলবানী বলেন, হাদীছটি আরো বর্ণনা করেছেন বুখারী ও নাসাঈ)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي * رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৯. (সহীহ্) এরবায বিন সারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একথা বলতে শুনেছেনঃ
’’আমি তোমাদেরকে ছেড়ে যাচ্ছি (এমন দ্বীন ও সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর) যার শুভ্রতা ও উজ্জলতা এত স্বচ্ছ, যার রাতও দিনের ন্যায় পরিস্কার।[1] ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্যাক্তি ছাড়া এ থেকে কেউ বক্রপথে চলে না।’’
(ইবনু আবী আসেম কিতাবুস্ সুন্নাহ গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেন।)
(শায়খ আলবানী বলেন, হাদীছটি আরো বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমদ, ইবনু মাজাহ ও হাকেম)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) وَعَنْ العرباض بن ساَرِيَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنه سمع رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول لَقَدْ تَرَكْتُكُمْ عَلَى مِثْلِ الْبَيْضَاءِ لَيْلُهَا كَنَهَارِهَا لَا يَزِيغُ عَنْهَا إِلَّا هَالِكٌ.
رواه ابن أبي عاصم في كتاب السنة بإسناد حسن
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬০. (সহীহ্) আমর বিন যারারাহ্ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি কিচ্ছা কাহিনী বয়ান করছিলাম। এসময় আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ আমার সামনে দন্ডায়মান হলেন, অতঃপর বললেনঃ হে আমর! অবশ্যই তুমি পথভ্রষ্ট বিদআত আবিস্কার করেছ, অথবা তুমি মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীদের থেকে অধিক হেদায়াত প্রাপ্ত হয়ে গেছ! তিনি বলেন, আমি দেখলাম (একথা শুনে) শ্রোতারা সবাই আমার সামনে থেকে সরে গেল। এমনকি একজনও রইল না।
(ত্বাবরানী কাবীর গ্রন্থে এবং দারেমী এ হাদীছটির অনুরূপ আরো পূর্ণরুপে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)।
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) وَعَنْ عَمْرِو بن زُرَارَةَ، قَالَ: وَقَفَ عَلَيَّ عَبْدُ اللَّهِ يعني ابن مسعود وَأَنَا أَقُصُّ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ:"يَا عَمْرُو لَقَدِ ابْتَدَعْتَ بِدْعَةً ضَلالَةً، أَوَ إنَّكَ لأَهْدَى مِنْ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ، وَلَقَدْ رَأَيْتُهُمْ تَفَرَّقُوا عَنِّي حَتَّى رَأَيْتُ مَكَانِي مَا فِيهِ أَحَدٌ". (رواه الطبراني في الكبير)