পরিচ্ছেদঃ কুরআন শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান, যদিও সে ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে শিক্ষা করতে না পারে
১১৫. উকবা বিন আমির রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হুজরা থেকে বের হলেন, এসময় আমরা মাসজিদে নববীর চত্ত্বরে ছিলাম। অতঃপর তিনি বললেন, ’তোমাদের মধ্যে কে পছন্দ করবে প্রত্যহ সকালে বুতহান বা আকীক নামক জায়গায় গিয়ে বড় কুঁজবিশিষ্ট্য, উজ্জ্বল শুভ্র বর্ণের দুটো উষ্ট্রী নিয়ে আসবে, অথচ এতে তার কোন পাপ হবে না বা আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে না? সাহাবাগণ বললেন: ’আমরা সবাই তো এটা পছন্দ করি।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “তোমাদের কারো প্রত্যহ সকালে মাসজিদে গিয়ে কুরআনের দুটো আয়াত শিক্ষা করা, এটা তার জন্য অবশ্যই দুটি উষ্ট্রী অপেক্ষা উত্তম; তিনটি আয়াত শিক্ষা করা তিনটি উষ্ট্রী অপেক্ষা উত্তম, চারটি আয়াত শিক্ষা করা অনুরুপ সংখ্যক উষ্ট্রী অপেক্ষা উত্তম।”[1]
আবু হাতিম রহিমাহুল্লাহ বলেন: “উক্ত হাদীসে একটি বাক্য উহ্য আছে। সেটি হলো: "لَوْ تَصَدَّقَ بِهَا" অর্থাৎ”যদি সে তা সাদাকা করে দেয়।”রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলো: কুরআনের দুটি আয়াত শিক্ষা করা দুই বা তিনটি উষ্ট্রী সাদাকা করার চেয়ে উত্তম। কেননা কুরআনের দুটি আয়াত শিক্ষা করা দুই বা তিনটি উষ্ট্রী সাদাকা করার চেয়ে উত্তম,এভাবে যে কোন পরিমান আয়াত শিক্ষা করা সমসংখ্যক উষ্ট্রী সাদাকা করার চেয়ে উত্তম। কেননা এটা অসম্ভব যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআনের দুটো আয়াত শিক্ষা করার সাওয়াবের সাথে দুনিয়াবী কোন সম্পদ অর্জন করার সাথে উপমা দিবেন। এজন্য আমি এক্ষেত্রে যে ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছি, সেটাই যথার্থ।”
ذِكْرُ الْحَثِّ عَلَى تَعْلِيمِ كِتَابِ اللَّهِ وَإِنْ لَمْ يَتَعَلَّمِ الْإِنْسَانُ بِالتَّمَامِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا حَبَّانُ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ عَنْ مُوسَى بْنِ عَلِيِّ بْنِ رَبَاحٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ يَقُولُ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ فِي الصُّفَّةِ فَقَالَ: "أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنْ يَغْدُوَ إِلَى بُطْحَانَ أَوِ الْعَقِيقِ فَيَأْتِيَ كُلَّ يَوْمٍ بِنَاقَتَيْنِ كَوْمَاوَيْنِ زَهْرَاوَيْنِ يَأْخُذُهُمَا فِي غَيْرِ إِثْمٍ وَلَا قَطِيعَةِ رَحِمٍ"؟ قَالُوا: كُلُّنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ يُحِبُّ ذَلِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "فَلَأَنْ يَغْدُوَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ فَيَتَعَلَّمَ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ خَيْرٌ لَهُ مِنْ نَاقَتَيْنِ وَثَلَاثٌ خَيْرٌ مِنْ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعٌ خَيْرٌ مِنْ عِدَادِهِنَّ مِنَ الإبل"
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: هَذَا الْخَبَرُ أُضْمِرَ فِيهِ كَلِمَةٌ وَهِيَ "لَوْ تَصَدَّقَ بِهَا" يُرِيدُ بِقَوْلِهِ فَيَتَعَلَّمَ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنْ نَاقَتَيْنِ وَثَلَاثٍ لَوْ تَصَدَّقَ بِهَا لِأَنَّ فَضْلَ تَعَلُّمِ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ أَكْبَرُ مِنْ فَضْلِ نَاقَتَيْنِ وَثَلَاثٍ وَعِدَادِهِنَّ مِنَ الْإِبِلِ لَوْ تَصَدَّقَ بِهَا إِذْ مُحَالٌ أَنْ يُشَبِّهَ مَنْ تَعَلَّمَ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فِي الْأَجْرِ بِمَنْ نَالَ بَعْضَ حُطَامِ الدُّنْيَا فَصَحَّ بِمَا وصفت صحة ما ذكرت.
الراوي : عُقْبَة بْن عَامِرٍ الْجُهَنِيّ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 115 | خلاصة حكم المحدث: صحيح
পরিচ্ছেদঃ কুরআন শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান, যদিও সে ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে শিক্ষা করতে না পারে
১১৬. আবু উমামা আল বাহিলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা কুরআন শিক্ষা করো, কেননা কুরআন কিয়ামতের দিন তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসেবে আবির্ভূত হবে। তোমাদের জন্য উচিৎ উজ্জ্বল দুটি সূরা অর্থাৎ সূরা আল বাকারা ও সূরা আল ইমরান পড়ো, কেননা সূরা দুটি কিয়ামতের দিন দুই খন্ড মেঘ, দুটি ছায়া অথবা দুই ঝাঁক পাখি হিসেবে আবির্ভূত হবে, সূরা দুটি তার পাঠকের পক্ষে কথা বলবে। তোমাদের জন্য উচিৎ হলো সূরা বাকারা পাঠ করা, কেননা এটি গ্রহনে বারাকাহ রয়েছে এবং এটি পরিত্যাগে রয়েছে পরিতাপ, আর বাতিলপন্থী তথা যাদুকরেরা এর মোকাবিলা করতে পারে না।”[1]
ذِكْرُ الْحَثِّ عَلَى تَعْلِيمِ كِتَابِ اللَّهِ وَإِنْ لَمْ يَتَعَلَّمِ الْإِنْسَانُ بِالتَّمَامِ
أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ الْجُمَحِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ سَلَّامٍ عَنْ جَدِّهِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَافِعًا لِأَصْحَابِهِ وَعَلَيْكُمْ بِالزَّهْرَاوَيْنِ الْبَقَرَةِ وَآلِ عِمْرَانَ فَإِنَّهُمَا تَأْتِيَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ أَوْ كَأَنَّهُمَا غَيَايَتَان أَوْ فِرْقَانِ مِنْ طَيْرٍ تُحَاجَّانِ عَنْ أَصْحَابِهِمَا وَعَلَيْكُمْ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ فَإِنَّ أَخْذَهَا بَرَكَةٌ وَتَرْكَهَا حَسْرَةٌ وَلَا يَسْتَطِيعُهَا الْبَطَلَةُ"
الراوي : أبو أمامة الباهلي | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 116 | خلاصة حكم المحدث: صحيح