পরিচ্ছেদঃ ২০/ নামাযে কথা বলা।

১২১৯। কাসীর ইবনু উবায়দ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) সালাতে দাঁড়ালেন আমরাও তাঁর সঙ্গে দাঁড়ালাম, তখন এক বেদুঈন সালাতরত অবস্থায় বলে উঠছেন, “ইয়া আল্লাহ! তুমি আমার এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর রহম কর, আর আমাদের সাথে আর কারোর উপর রহম করো না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরালে ঐ বেদুঈনকে বললেন, তুমি একটি প্রশস্ত বস্তুকে সংকুচিত করে দিলে। এর দ্বারা তিনি আল্লাহর রহমতকে বুঝিয়েছেন।

أَخْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الصَّلاَةِ وَقُمْنَا مَعَهُ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلاَ تَرْحَمْ مَعَنَا أَحَدًا ‏.‏ فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِلأَعْرَابِيِّ ‏ "‏ لَقَدْ تَحَجَّرْتَ وَاسِعًا ‏"‏ ‏.‏ يُرِيدُ رَحْمَةَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏.‏

اخبرنا كثير بن عبيد، قال حدثنا محمد بن حرب، عن الزبيدي، عن الزهري، عن ابي سلمة، ان ابا هريرة، قال قام رسول الله صلى الله عليه وسلم الى الصلاة وقمنا معه فقال اعرابي وهو في الصلاة اللهم ارحمني ومحمدا ولا ترحم معنا احدا ‏.‏ فلما سلم رسول الله صلى الله عليه وسلم قال للاعرابي ‏ "‏ لقد تحجرت واسعا ‏"‏ ‏.‏ يريد رحمة الله عز وجل ‏.‏


It was narrated from Abu Salamah that :
Abu Hurairah said: "The Messenger of Allah (ﷺ) stood up to pray and we stood up with him. A Bedouin said- while he was praying- 'O Allah, have mercy on me and Muhammad and do not have mercy on anyone else.' When the Messenger of Allah (ﷺ) said the Salam, he said to the Bedouin: 'You have limited something vast," meaning the mercy of Allah (SWT)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৩/ সাহু (كتاب السهو) 13/ The Book of Forgetfulness (In Prayer)

পরিচ্ছেদঃ ২০/ নামাযে কথা বলা।

১২২০। আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক বেদুঈন (একদা) মসজিদে প্রবেশ করল এবং দু’রাকআত সালাত আদায় করে বললো, হে আল্লাহ! আমার ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর রহম কর এবং আমাদের সাথে আর কারো উপর রহম করো না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি একটি প্রশস্ত বস্তুকে সংকুচিত করে দিলে।

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الزُّهْرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ أَحْفَظُهُ مِنَ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلاَ تَرْحَمْ مَعَنَا أَحَدًا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَقَدْ تَحَجَّرْتَ وَاسِعًا ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا عبد الله بن محمد بن عبد الرحمن الزهري، قال حدثنا سفيان، قال احفظه من الزهري قال اخبرني سعيد، عن ابي هريرة، ان اعرابيا، دخل المسجد فصلى ركعتين ثم قال اللهم ارحمني ومحمدا ولا ترحم معنا احدا ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لقد تحجرت واسعا ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that:
A Bedouin entered the masjid and prayed two rak'ahs, then he said: "O Allah, have mercy on me and on Muhammad and do not have mercy on anyone else." The Messenger of Allah (ﷺ) said: "You have limited something vast."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৩/ সাহু (كتاب السهو) 13/ The Book of Forgetfulness (In Prayer)

পরিচ্ছেদঃ ২০/ নামাযে কথা বলা।

১২২১। ইসহাক ইবনু মনসূর (রহঃ) ... মুআবিয়া ইবনু হাকাম সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা নিকট অতীতে জাহেলিয়াতে নিমজ্জিত ছিলাম, তারপর আল্লাহ তা’আলা ইসলাম পাঠালেন। আমাদের মধ্যে কিছু লোক শুভ অশুভ লক্ষণ মানে। তিনি বললেন, তা এক প্রকার কুসংস্কার, যা তাদের মনে উদ্রেক হয়ে থাকে এটা যেন তাদের কোন কাজ থেকে বিরত না রাখে। আমি আরো বললাম, আমাদের মধ্যে কিছু লোক গনকদের কাছে যাতায়াত করে।

তিনি বললেন, তোমরা গণকদের কাছে যেয়ো না। তিনি বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের মধ্যে কিছু লোক রেখা টেনে থাকে, তিনি বললেন নবীদের (নবীদের) মধ্যে একজন নবী রেখা টানতেন।[ ইদ্রীস (আলাইহিস সালাম) অথবা দানিয়াল (আলাইহিস সালাম)] অতএব, যার রেখা তাঁর রেখার সাথে মিলে যায় তা সঠিক বলে প্রতিপন্ন হবে।

রাবী বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সালাতে ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি হাচি দিলে আমি يَرْحَمُكَ اللَّهُ বললাম, তখন উপস্থিত লোকজন আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতে থাকলে আমি বললাম, তোমাদের মাতারা তোমাদের হারিয়ে ফেলূক! তোমাদের কি হল তোমরা আমার দিকে এরুপ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছ কেন? তখন লোকজন (আার্শ্চান্বিত হয়ে) তাদের উরুদেশে তাদের হাত মারতে আরম্ভ করলো, আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে আমি (রাগান্বিত না হয়ে) চুপ হয়ে গেলাম।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ করলেন আমাকে তাকলেন, তাঁর উপর আমার মাতা-পিতা কোরবান হোক। তিনি (সালাতে তিনি আমার অবাঞ্চিত কথা বার্তার জন্য) আমাকে তিরস্কার করলেন না এবং কটু কথাও বললেন না। আমি এর পূর্বে বা পরে তার থেকে উত্তম কোন শিক্ষক দেখিনি। তিনি বললেন আমাদের এ সালাতে কারো কথা বলা সমীচীন নয়। এতো হলো তাসবীহ তাকবীর ও তিলাওয়াতে কুরআনের সমষ্টি।

রাবী বলেন, এরপর আমার একটি বকরীর পাল আমার দিকে এগিয়ে আসল যা আমার দাসী উহুদ এবং জাওয়ানীয়ায় চরাচ্ছিল। আমি দেখলাম যে, বাঘে পাল থেকে একটি বকরী নিয়ে গেছে। আমিও তো এক আদম সন্তান তাই আমি (দাসীর উপর) রাগান্বিত হয়ে গেলাম, যেমন অন্যরাও রাগান্বিত হয়ে থাকে। অতএব, আমি দাসীকে একটা চড় মারলাম। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাঁর সংবাদ দিলাম। তিনি চড় মারাকে খুবই অন্যায় কাজ মনে করলেন।

আমি বললাম, ইয়া রাসুলল্লাহ আমি কি তাকে (এর প্রায়শ্চিত স্বরূপ) আযাদ করে দের? তিনি বললেন, আযাদ করে দাও, সে দাসীকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ কোথায়? সে বললো, আসমানে। তিনি তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন আমি কে? সে বললো, আপনি আল্লাহর রাসুল। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সে মুমিনা, অতএব তাকে আযাদ করে দাও”।

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ فَجَاءَ اللَّهُ بِالإِسْلاَمِ وَإِنَّ رِجَالاً مِنَّا يَتَطَيَّرُونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ فَلاَ يَصُدَّنَّهُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَرِجَالٌ مِنَّا يَأْتُونَ الْكُهَّانَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَلاَ تَأْتُوهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَرِجَالٌ مِنَّا يَخُطُّونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطُّهُ فَذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَبَيْنَا أَنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ فَحَدَّقَنِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهُ مَا لَكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ قَالَ فَضَرَبَ الْقَوْمُ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُسَكِّتُونِي لَكِنِّي سَكَتُّ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَانِي بِأَبِي وَأُمِّي هُوَ مَا ضَرَبَنِي وَلاَ كَهَرَنِي وَلاَ سَبَّنِي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ قَالَ ‏"‏ إِنَّ صَلاَتَنَا هَذِهِ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَتِلاَوَةُ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ اطَّلَعْتُ إِلَى غُنَيْمَةٍ لِي تَرْعَاهَا جَارِيَةٌ لِي فِي قِبَلِ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ وَإِنِّي اطَّلَعْتُ فَوَجَدْتُ الذِّئْبَ قَدْ ذَهَبَ مِنْهَا بِشَاةٍ وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ فَصَكَكْتُهَا صَكَّةً ثُمَّ انْصَرَفْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَىَّ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ أَعْتِقُهَا قَالَ ‏"‏ ادْعُهَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَيْنَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فِي السَّمَاءِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَنْ أَنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ فَاعْتِقْهَا ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا اسحاق بن منصور، قال حدثنا محمد بن يوسف، قال حدثنا الاوزاعي، قال حدثني يحيى بن ابي كثير، عن هلال بن ابي ميمونة، قال حدثني عطاء بن يسار، عن معاوية بن الحكم السلمي، قال قلت يا رسول الله انا حديث عهد بجاهلية فجاء الله بالاسلام وان رجالا منا يتطيرون ‏.‏ قال ‏"‏ ذاك شىء يجدونه في صدورهم فلا يصدنهم ‏"‏ ‏.‏ ورجال منا ياتون الكهان ‏.‏ قال ‏"‏ فلا تاتوهم ‏"‏ ‏.‏ قال يا رسول الله ورجال منا يخطون ‏.‏ قال ‏"‏ كان نبي من الانبياء يخط فمن وافق خطه فذاك ‏"‏ ‏.‏ قال وبينا انا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في الصلاة اذ عطس رجل من القوم فقلت يرحمك الله فحدقني القوم بابصارهم فقلت واثكل امياه ما لكم تنظرون الى قال فضرب القوم بايديهم على افخاذهم فلما رايتهم يسكتوني لكني سكت فلما انصرف رسول الله صلى الله عليه وسلم دعاني بابي وامي هو ما ضربني ولا كهرني ولا سبني ما رايت معلما قبله ولا بعده احسن تعليما منه قال ‏"‏ ان صلاتنا هذه لا يصلح فيها شىء من كلام الناس انما هو التسبيح والتكبير وتلاوة القران ‏"‏ ‏.‏ قال ثم اطلعت الى غنيمة لي ترعاها جارية لي في قبل احد والجوانية واني اطلعت فوجدت الذىب قد ذهب منها بشاة وانا رجل من بني ادم اسف كما ياسفون فصككتها صكة ثم انصرفت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فاخبرته فعظم ذلك على فقلت يا رسول الله افلا اعتقها قال ‏"‏ ادعها ‏"‏ ‏.‏ فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اين الله عز وجل ‏"‏ ‏.‏ قالت في السماء ‏.‏ قال ‏"‏ فمن انا ‏"‏ ‏.‏ قالت انت رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ‏"‏ انها مومنة فاعتقها ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Mu'awiyah bin Al-Hakam As-Sulami said:
"I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), we were recently in a state of ignorance, then Allah (SWT) brought Islam. Some men among us follow omens.' He said: 'That is something that they find in their own hearts; it should not deter them from going ahead.' I said: 'And some men among us go to fortune tellers.' He said: 'Do not go to them.' He said: 'Some men among us draw lines.' He said: 'One of the Prophets used to draw lines. So whoever is in accord with his drawing of lines, then so it is.'" He said: "While I was praying with the Messenger of Allah (ﷺ), a man sneezed and I said: 'Yarhamuk-Allah (May Allah have mercy on you).' The people glared at me and I said: 'May my mother be bereft of me, why are you looking at me?' The people struck their hands against their thighs, and when I saw that they were telling me to be quiet, I fell silent. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished, he called me. May my father and mother be ransomed for him, he neither did hit me nor rebuke me nor revile me. I have never seen a better teacher than him, before or after. He said: 'This prayer of ours is not the place for ordinary human speech, rather it is glorification and magnification of Allah (SWT), and reciting Qur'an.' Then I went out to a flock of sheep of mine that was tended by a slave woman of mine beside Uhud and Al-Jawwaniyyah, and I found that the wolf had taken one of the sheep. I am a man from the sons of Adam and I get upset as they get upset. So I slapped her. Then I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and told him what happened. He regarded that as a serious action on my part. I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), should I set her free?' He said: 'Call her.' The Messenger of Allah (ﷺ) said to her: 'Where is Allah (SWT), the Mighty and Sublime?' She said: 'Above the heavens.' He said: 'And who am I?' She said: 'The Messenger of Allah (ﷺ).' He said: 'She is a believer, set her free.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৩/ সাহু (كتاب السهو) 13/ The Book of Forgetfulness (In Prayer)

পরিচ্ছেদঃ ২০/ নামাযে কথা বলা।

১২২২। ইসমাঈল ইবনু মাসউদ (রহঃ) ... যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় সালাতে তাঁর সঙ্গীর সাথে কোন প্রয়োজনে কথা বলছিলেন। তখন এ আয়াত নাযিল হলঃ حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ

অর্থঃ তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী সালাতের এবং আল্লাহর উদ্দেশে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে (২: ২৩৮)। তখন আমাদের (সালাতে) চুপ থাকতে আদেশ করলেন।

أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ شُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كَانَ الرَّجُلُ يُكَلِّمُ صَاحِبَهُ فِي الصَّلاَةِ بِالْحَاجَةِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ ‏)‏ فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ ‏.‏

اخبرنا اسماعيل بن مسعود، قال حدثنا يحيى بن سعيد، قال حدثنا اسماعيل بن ابي خالد، قال حدثني الحارث بن شبيل، عن ابي عمرو الشيباني، عن زيد بن ارقم، قال كان الرجل يكلم صاحبه في الصلاة بالحاجة على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى نزلت هذه الاية ‏(‏ حافظوا على الصلوات والصلاة الوسطى وقوموا لله قانتين ‏)‏ فامرنا بالسكوت ‏.‏


It was narrated that Zaid bin Arqam said:
"We used to speak to each other during the prayer, saying whatever was necessary, at the time of the Messenger of Allah (ﷺ), until this verse was revealed: Guard strictly (five obligatory) As-Salawat (the prayers) especially the middle Salah (i.e. the best prayer- 'Asr). And stand before Allah with obedience (and do not speak to others during the Salah (prayers)), so we were commanded to be silent."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৩/ সাহু (كتاب السهو) 13/ The Book of Forgetfulness (In Prayer)

পরিচ্ছেদঃ ২০/ নামাযে কথা বলা।

১২২৩। মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আম্মার (রহঃ) ... আব্দূল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাঁর সালাতরত অবস্থায় আসতাম, আমি তাঁকে সালাম করতাম, তিনি উত্তর দিতেন। একদিন আমি তাঁর কাছে এসে তাঁকে সালাম করলাম, তখন তিনি সালাত আদায় করছিলেন কিন্তু তিনি উত্তর দিলেন না। যখন তিনি সালাম ফিরালেন মুসল্লীদের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহ তায়ালা সালাতের ব্যাপারে একটি নতুন হুকুম নাযিল করেছেন যে, তোমরা (এতে) আল্লাহর যিকির ছাড়া অন্য কোন কথা বলবে না। আর তা তোমাদের জন্য সমীচীনও নয় আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে বিনীতভাবে দাঁড়াবে।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي غَنِيَّةَ، - وَاسْمُهُ يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ - وَالْقَاسِمُ بْنُ يَزِيدَ الْجَرْمِيُّ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ كُلْثُومٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، - وَهَذَا حَدِيثُ الْقَاسِمِ - قَالَ كُنْتُ آتِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي فَأُسَلِّمُ عَلَيْهِ فَيَرُدُّ عَلَىَّ فَأَتَيْتُهُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ فَلَمَّا سَلَّمَ أَشَارَ إِلَى الْقَوْمِ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ - يَعْنِي - أَحْدَثَ فِي الصَّلاَةِ أَنْ لاَ تَكَلَّمُوا إِلاَّ بِذِكْرِ اللَّهِ وَمَا يَنْبَغِي لَكُمْ وَأَنْ تَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا محمد بن عبد الله بن عمار، قال حدثنا ابن ابي غنية، - واسمه يحيى بن عبد الملك - والقاسم بن يزيد الجرمي عن سفيان، عن الزبير بن عدي، عن كلثوم، عن عبد الله بن مسعود، - وهذا حديث القاسم - قال كنت اتي النبي صلى الله عليه وسلم وهو يصلي فاسلم عليه فيرد على فاتيته فسلمت عليه وهو يصلي فلم يرد على فلما سلم اشار الى القوم فقال ‏ "‏ ان الله عز وجل - يعني - احدث في الصلاة ان لا تكلموا الا بذكر الله وما ينبغي لكم وان تقوموا لله قانتين ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Abdullah bin Mas'ud said:
"I used to come to the Prophet (ﷺ) when he was praying, and I would greet him with Salam, he would return my greeting. Then I came to him when he was praying, and he did not return my greeting. When he said the Taslim, he pointed to the people and said: "Allah (SWT) has decreed that in the prayer you should not speak except to remember Allah (SWT), and it is not appropriate for you, and that you should stand before Allah (SWT) with obedience.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৩/ সাহু (كتاب السهو) 13/ The Book of Forgetfulness (In Prayer)

পরিচ্ছেদঃ ২০/ নামাযে কথা বলা।

১২২৪। হুসায়ন ইবনু হুরায়ছ (রহঃ) ... (আব্দুল্লাহ) ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম বললে তিনি উত্তর দিতেন (কিন্তু) আমরা হাবশা (ইথিওপিয়া) থেকে ফিরে এসে তাঁকে সালাম বললে তিনি উত্তর দিলেন না। তখন আমি নিকট-অতীত এবং দূর-অতীতের স্বীয় ঘটিত কোন অপরাধের কথা চিন্তা করতে লাগলাম ও বসে গেলাম। এরপর তিনি সালাত শেষ করে বললেন, আল্লাহ তাআ’লা যখনই ইচ্ছা করেন নতুন নতুন হুকুম নাযিল করেনঃ তিনি একটি (নতুন) হুকুম নাযিল করেছেন যে, সালাতে কথা বলা যাবে না।

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيَرُدُّ عَلَيْنَا السَّلاَمَ حَتَّى قَدِمْنَا مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ فَأَخَذَنِي مَا قَرُبَ وَمَا بَعُدَ فَجَلَسْتُ حَتَّى إِذَا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُحْدِثُ مِنْ أَمْرِهِ مَا يَشَاءُ وَإِنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ مِنْ أَمْرِهِ أَنْ لاَ يُتَكَلَّمَ فِي الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا الحسين بن حريث، قال حدثنا سفيان، عن عاصم، عن ابي واىل، عن ابن مسعود، قال كنا نسلم على النبي صلى الله عليه وسلم فيرد علينا السلام حتى قدمنا من ارض الحبشة فسلمت عليه فلم يرد على فاخذني ما قرب وما بعد فجلست حتى اذا قضى الصلاة قال ‏ "‏ ان الله عز وجل يحدث من امره ما يشاء وانه قد احدث من امره ان لا يتكلم في الصلاة ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Ibn Mas'ud said:
"We used to greet the Prophet (ﷺ) with salam and he would return our salam, until we came back from the land of Ethiopia. I greeted him with salam and he did not return my greeting,a nd I started to wonder why. So I sat down; and when he finished praying, he said: 'Allah (SWT) decrees what He wills, and He has decreed what we should not speak during the prayer.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৩/ সাহু (كتاب السهو) 13/ The Book of Forgetfulness (In Prayer)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে