মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২৭ টি

পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাতে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন

১০৮২। আবূ জাফর মুহাম্মাদ ইবনুস সাব্বাহ ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... মুআবিয়া ইবনুল হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছিলাম। ইত্তবসরে আমাদের মধ্যে একজন হাঁচি দিল। আমি ইয়ারহামুকাল্লহ বললাম। তখন লোকেরা আমার দিকে আড় চোখে দেখতে লাগল। আমি বললাম আমার মায়ের পূত্র বিয়োগ হোক। তোমরা আমার প্রতি তাকাচ্ছ কেন? তখন তারা তাদের উরুর উপর হাত চাপড়াতে লাগল। আমি যখন বুঝতে পারলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে, তখন আমি চুপ হয়ে গেলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করলেন, আমার মাতা-পিতা তাঁর জন্য কুরবান হোক! আমি তার মত এত সুন্দর করে শিক্ষা দিতে পূর্বেও কাউকে দেখিনি, তাঁরপরেও কাউকে দেখিনি। আল্লাহর কসম! তিনি আমাকে ধমক দিলেন না, মারলেন না, গালিও দিলেন না। বরং বললেন, সালাতে কথা কথাবার্তা বলা ঠিক নয়। বরং তা হচ্ছে- তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন পাঠের জন্য।

আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! জাহিলি যুগ বিদুরিত হল বেশী দিন হয়নি, এইতো ইসলাম এসেছে আমাদের কেউ কেউ তো গনকদের নিকট আসা যাওয়া করে। তিনি বললেন, তুমি তাদের কাছে যেওনা। আমি পূনরায় বললাম, আমাদের কেউ কেউ তো শুভ ও অশূভ লক্ষণের অনুকরণ করে। তিনি বললেন, এটি তাদের মনগড়া বিষয়। এটি যেন তাদেরকে (কোন ভাল কাজ করতে) বাধা না দেয়। আমি বললাম, আমাদের মধ্যে কিছু লোক রেখা অঙ্কন করে, (ভাগ্য নির্নয় করে) তিনি বললেন, একজন নবী রেখা অঙ্কন করতেন। যার রেখা সেই নবীর রেখার সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল হবে তারটা ঠিক হবে।

(বর্ণনাকারী মুঅেবিয়া বলেন) আমার একটি দাসী ছিল। সে উহুদ ও জাওয়ানিয়ার দিকে আমার ছাগল চরাত। একদিন আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখি, একটি একটি বাঘ এসে একটি ছাগল নিয়ে গেল। যেহেতু আমিও মানুষ, সেহেতু অন্যান্য মানুষের মত আমারও রাগ এসে গেল। আমি তাকে একটি চড় বসিয়ে দিলাম। তারপর আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। তিনি আমার এই কাজকে অত্যন্ত অপছন্দ করলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি তাকে আযাদ করে দিব? তিনি বললেন, তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো আমি তাকে তার নিকট নিয়ে এলাম। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ কোথায় আছেন? সে বলল, আকাশে। তিনি বললেন, আমি কে? সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসুল। তখন তিনি বললেন, ওকে আযাদ করে দাও। কেননা ও মু’মিনা।

باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَتَقَارَبَا فِي لَفْظِ الْحَدِيثِ - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ بَيْنَا أَنَا أُصَلِّي، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ ‏.‏ فَرَمَانِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهْ مَا شَأْنُكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ ‏.‏ فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُصَمِّتُونَنِي لَكِنِّي سَكَتُّ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبِأَبِي هُوَ وَأُمِّي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ فَوَاللَّهِ مَا كَهَرَنِي وَلاَ ضَرَبَنِي وَلاَ شَتَمَنِي قَالَ ‏"‏ إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ وَقَدْ جَاءَ اللَّهُ بِالإِسْلاَمِ وَإِنَّ مِنَّا رِجَالاً يَأْتُونَ الْكُهَّانَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَلاَ تَأْتِهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَمِنَّا رِجَالٌ يَتَطَيَّرُونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ فَلاَ يَصُدَّنَّهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ الصَّبَّاحِ ‏"‏ فَلاَ يَصُدَّنَّكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَتْ لِي جَارِيَةٌ تَرْعَى غَنَمًا لِي قِبَلَ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ فَاطَّلَعْتُ ذَاتَ يَوْمٍ فَإِذَا الذِّيبُ قَدْ ذَهَبَ بِشَاةٍ مِنْ غَنَمِهَا وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ لَكِنِّي صَكَكْتُهَا صَكَّةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَىَّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ أُعْتِقُهَا قَالَ ‏"‏ ائْتِنِي بِهَا ‏"‏ ‏.‏ فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَقَالَ لَهَا ‏"‏ أَيْنَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فِي السَّمَاءِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَنْ أَنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَعْتِقْهَا فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ ‏"‏ ‏.‏


Mu'awiya b. al-Hakam said: While I was praying with the Messenger of Allah (ﷺ), a man in the company sneezed. I said: Allah have mercy on you! The people stared at me with disapproving looks, so I said: Woe be upon me, why is it that you stare at me? They began to strike their hands on their thighs, and when I saw them urging me to observe silence (I became angry) but I said nothing. When the Messenger of Allah (ﷺ) had said the prayer (and I declare that neither before him nor after him have I seen a leader who gave better instruction than he for whom I would give my father and mother as ransom). I swear that he did not scold, beat or revile me but said: Talking to persons is not fitting during the prayer, for it consists of glorifying Allah, declaring his Greatness. and recitation of the Qur'an or words to that effect. I said: Messenger of Allah. I was till recently a pagan, but Allah has brought Islam to us; among us there are men who have recourse to Kahins. He said, Do not have recourse to them. I said. There are men who take omens. That is something which they find in their breasts, but let it not turn their way (from freedom of action). I said: Among us there are men who draw lines. He said: There was a prophet who drew lines, so if they do it as they did, that is allowable. I had a maid-servant who tended goats by the side of Uhud and Jawwaniya. One day I happened to pass that way and found that a wolf had carried a goat from her flock. I am after all a man from the posterity of Adam. I felt sorry as they (human beings) feel sorry. So I slapped her. I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and felt (this act of mine) as something grievous I said: Messenger of Allah, should I not grant her freedom? He (the Holy Prophet) said: Bring her to me. So I brought her to him. He said to her: Where is Allah? She said: He is in the heaven. He said: Who am I? She said: Thou art the Messenger of Allah. He said: Grant her freedom, she is a believing woman.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জ্যোতিষী কর্ম ও জ্যোতিষীর কাছে গমনাগমন হারাম

৫৬১৯। আবূ তাহির ও হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... মুআবিয়া ইবনু হাকাম সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কতক ব্যাপার আমরা জাহিলী যুগে করতাম, আমরা জ্যোতিষদের কাছে যেতাম। তিনি বললেন, আর জ্যোতিষের কাছে যেয়ো না। আমি বললাম, আমরা (বিভিন্ন উপায়ে) শুভাশুভ গ্রহণ করতাম। তিনি বললেন, তা এমন একটি ব্যাপার, যা তোমাদের কেউ কেউ তার অন্তরে অনুভব করে, তা যেন তোমাদের (কাজকর্ম থেকে) বিরত না রাখে।

باب تَحْرِيمِ الْكِهَانَةِ وَإِتْيَانِ الْكُهَّانِ ‏‏

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُمُورًا كُنَّا نَصْنَعُهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ كُنَّا نَأْتِي الْكُهَّانَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَلاَ تَأْتُوا الْكُهَّانَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ كُنَّا نَتَطَيَّرُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُهُ أَحَدُكُمْ فِي نَفْسِهِ فَلاَ يَصُدَّنَّكُمْ ‏"‏ ‏.‏


Mu'awiya b. al-Hakam as-Sulami reported: I said: Messenger of Allah, there were things we used to do in the pre-Islamic days. We used to visit Kahins, whereupon he said: Don't visit Kahins. I said: We used to take omens. He said: That is a sort of personal whim of yours, so let it not prevent you (from doing a thing).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জ্যোতিষী কর্ম ও জ্যোতিষীর কাছে গমনাগমন হারাম

৫৬২১। মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... মুআবিয়া ইবনু হাকাম সুলামী (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে, মুআবিয়া (রাঃ) থেকে আবূ সালামা (রহঃ) সুত্রে যুহরী (রহঃ) এর অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে ইয়াহইয়া ইবনু কাসীর (রহঃ) অধিক বলেছেন, আমি (মুআবিয়া) বললাম, আমাদের মাঝে কতক লোক আছে, যারা রেখা অঙ্কন (দ্বারা ভাগ্য নির্ণয়) করে থাকে। তিনি বললেন, নবীগণের মাঝে একজন নবী রেখা অঙ্কন (দ্বারা ভাগ্য নির্ণয়) করতেন। অতএব যার রেখা তাঁর (রেখার অনুরূপ) হবে, তা সেরূপই (সত্যই)।

باب تَحْرِيمِ الْكِهَانَةِ وَإِتْيَانِ الْكُهَّانِ ‏‏

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ - عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ، يَسَارٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ مُعَاوِيَةَ وَزَادَ فِي حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ قَالَ ‏ "‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطُّهُ فَذَاكَ ‏"‏ ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of Mu'awiya b. Hakam as-Sulami through another chain of transmitters. The hadith transmitted on the authority of Yahya b. Abu Kathir (there is an addition of these words): I said: Among us there are men who draw lines and thus make divination. What about this? Thereupon he (the Holy Prophet) said: There was a Prophet who drew lines, so whose lines agree with his line for him it is allowable.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯১: ওয়ায-নসীহত এবং তাতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করার বিবরণ

৩/৭০৬। মুআবিয়া ইবনে হাকাম সুলামী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (একবার) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে নামায পড়ছিলাম। ইত্যবসরে হঠাৎ একজন মুক্তাদীর হাঁচি হলে আমি (তার জবাবে) ’য়্যারহামুকাল্লাহ’ (আল্লাহ তোমাকে রহম করুন) বললাম। তখন অন্য মুক্তাদীরা আমার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে লাগল। আমি বললাম, ’হায়! হায়! আমার মা আমাকে হারিয়ে ফেলুক! তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা আমার দিকে তাকিয়ে দেখছো?’ (এ কথা শুনে) তারা তাদের নিজ নিজ হাত দিয়ে নিজ নিজ উরুতে আঘাত করতে লাগল।

তাদেরকে যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে (তখন তো আমার অত্যন্ত রাগ হয়েছিল); কিন্তু আমি চুপ হয়ে গেলাম। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায সমাপ্ত করলেন---আমার পিতা-মাতা তাঁর জন্য কুরবান হোক, আমি তাঁর চেয়ে উত্তম শিক্ষাদাতা না আগে দেখেছি আর না এর পরে। আল্লাহর শপথ! তিনি না আমাকে তিরস্কার করলেন, আর না আমাকে মারধর করলেন, আর না আমাকে গালি দিলেন ---তখন তিনি বললেন, ’’এই নামাযে লোকদের কোন কথা বলা বৈধ নয়। (এতে যা বলতে হয়,) তা হল তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন পাঠ।’’ অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মত কোন কথা বললেন।

আমি বললাম, ’ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি জাহেলিয়াতের লাগোয়া সময়ের (নও মুসলিম)। আল্লাহ ইসলাম আনয়ন করেছেন। আমাদের মধ্যে কিছু লোক গণকের কাছে (অদৃষ্ট ও ভবিষ্যৎ জানতে) যায়।’ তিনি বললেন, ’’তুমি তাদের কাছে যাবে না।’’ আমি বললাম, ’আমাদের মধ্যে কিছু লোক অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করে থাকে।’ তিনি বললেন, ’’এটা এমন একটি অনুভূতি যা লোকে তাদের অন্তরে উপলব্ধি করে থাকে। সুতরাং এই অনুভূতি তাদেরকে যেন (বাঞ্ছিত কর্ম সম্পাদনে) বাধা না দেয়।’’ (মুসলিম)[1]

الْوَعْظُ وَالْاِقْتِصَادُ فِيْهِ - (91)

وَعَن مُعاوِيَةَ بنِ الحَكَمِ السُّلَمِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: بَيْنَا أنَا أُصَلّي مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ القَوْمِ، فَقُلْتُ: يَرْحَمُكَ اللهُ، فَرَمَانِي القَوْمُ بِأبْصَارِهِمْ ! فَقُلْتُ: وَاثُكْلَ أُمِّيَاهُ، مَا شَأنُكُمْ تَنْظُرُونَ إلَيَّ ؟! فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيدِيهِم عَلَى أَفْخَاذِهِمْ ! فَلَمَّا رَأيْتُهُمْ يُصَمِّتُونَنِي لَكِنّي سَكَتُّ، فَلَمَّا صَلّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، فَبِأبِي هُوَ وَأُمِّي، مَا رَأيْتُ مُعَلِّماً قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ أحْسَنَ تَعْلِيماً مِنْهُ، فَوَاللهِ مَا كَهَرَني، وَلاَ ضَرَبَنِي، وَلاَ شَتَمَنِي . قَالَ: « إنَّ هذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلامِ النَّاسِ، إنَّمَا هِيَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ، وَقِراءةُ القُرْآنِ »، أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم . قلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إنّي حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ، وَقَدْ جَاءَ اللهُ بِالإسْلاَمِ، وَإنَّ مِنّا رِجَالاً يَأتُونَ الْكُهّانَ؟ قَالَ: فَلاَ تَأتِهِمْ . قُلْتُ: وَمِنّا رِجَالٌ يَتَطَيَّرُونَ ؟ قَالَ: ذَاكَ شَيْء يَجِدُونَهُ في صُدُورِهِمْ فَلاَ يَصُدَّنَّهُمْ . رواه مسلم

(91) Chapter: Brevity in Preaching


Mu'awiyah bin Al-Hakam As-Sulami (May Allah be pleased with him) reported: While I was in Salat with Messenger of Allah (ﷺ), a man in the congregation sneezed and I responded with: 'Yarhamuk-Allah (Allah have mercy on you).' The people stared at me with disapproving looks. So I said: "May my mother lose me. Why are you staring at me?" Thereupon, they began to strike their thighs with their hands. When I saw them urging to me to remain silent, I became angry but restrained myself. When Messenger of Allah (ﷺ) concluded his Salat. I have never before seen an instructor who gave better instruction than he, may my father and mother be sacrificed for him. He neither remonstrated me, nor beat me, nor abused me. He simply said,"It is not permissible to talk during Salat because it consists of glorifying Allah, declaring His Greatness as well as recitation of the Qur'an," or he said words to that effect." I said: "O Allah's Messenger, I have but recently accepted Islam, and Allah has favoured us with Islam. There are still some people among us who go to consult soothsayers." He said, "Do not consult them." Then I said: "There are some of us who are guided by omens." He said, "These things which come to their minds. They should not be influenced by them." (Muslim). Commentary: This Hadith emphasizes four points. Firstly, as no talk is allowed in Salat (prayer), nobody can utter benedictory words for a sneezer either. Secondly, this Hadith throws light on the Prophet's way of imparting moral instruction to others. He would prudently enlighten ignorant people on Islam, avoiding to express his resentment over their lapses which simply betrayed their lack of knowledge. This has a lesson for `Ulama' and preachers. Thirdly, Muslims are prohibited from consulting soothsayers. Fourthly, belief in bad omens is also prohibited. Divinations and presages were the popular fallacies of Arabs in the pre-Islamic epoch. Islam abolished them. Yet, once again these absurdities have caught the fancy of ignorant Muslims. May Allah guide them!


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩০৩ : গণক, জ্যোতিষী ইত্যাদি ভবিষ্যদ্বক্তার নিকট গমন নিষেধ

৫/১৬৮১। মুআবিয়াহ ইবনে হাকাম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি জাহেলী যুগের অত্যন্ত নিকটবর্তী [অর্থাৎ আমি অল্পদিন হল অন্ধ-যুগ থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছি] এবং বর্তমানে আল্লাহ আমাকে ইসলামে দীক্ষিত করেছেন। আমাদের কিছু লোক গণকদের নিকট [ভাগ্য-ভবিষ্যৎ জানতে] যায়।’ তিনি বললেন, ’’তুমি তাদের কাছে যেও না।’’ আমি বললাম, ’আমাদের কিছু লোক অশুভ লক্ষণ মেনে চলে।’ তিনি বললেন, ’’এ এমন জিনিস, যা তারা নিজেদের অন্তরে অনুভব করে। সুতরাং এ [সব ধারণা] যেন তাদেরকে [বাঞ্ছিত কর্মে] বাধা না দেয়।’’ আমি নিবেদন করলাম, ’আমাদের মধ্যে কিছু লোক দাগ টেনে শুভাশুভ নিরূপণ করে।’ তিনি বললেন, ’’[প্রাচীনযুগে] এক পয়গম্বর দাগ টানতেন। সুতরাং যার দাগ টানার পদ্ধতি উক্ত পয়গম্বরের পদ্ধতি অনুসারে হবে, তা সঠিক বলে বিবেচিত হবে [নচেৎ না]।’’ (মুসলিম)[1]

بَابُ النَّهْيِ عَنْ إِتْيَانِ الْكُهَّانِ وَالْمُنَجِّمِيْنَ وَالعَرَّافِ وَأَصْحَابِ الرَّمْلِ، وَالطَّوَارِقِ بِالْحَصٰى وَالشَّعِيْرِ وَنَحْوِ ذٰلِكَ

وَعَنْ مُعاوِيَةَ بنِ الحَكَمِ رضي الله عنه قَالَ: قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي حَدِيثُ عَهْدٍ بِالجَاهِليَّةِ، وَقَدْ جَاءَ اللهُ تَعَالَى بِالإِسْلاَمِ، وَإِنَّ مِنَّا رِجَالاً يَأتُونَ الكُهَّانَ ؟ قَالَ: «فَلاَ تَأتِهِمْ» قُلْتُ : وَمِنَّا رِجَالٌ يَتَطَيَّرُونَ ؟ قَالَ: «ذَلِكَ شَيْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ، فَلاَ يَصُدُّهُمْ» قُلْتُ : وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ ؟ قَالَ: «كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ، فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ، فَذَاكَ» . رواه مسلم

(303) Chapter: Prohibition of Consultation with Soothsayers


Mu'awiyah bin Al-Hakam (May Allah be pleased with him) reported: I said: "O Messenger of Allah, I have recently emerged from ignorance and Allah has favoured me with Islam. There are still some men among us who visit the soothsayers to consult them (on matters relating to the future)." He (ﷺ) replied, "Do not visit them." I said: "There are some men who are guided by omens." He replied, "These are the ideas which come up in their minds but you should not be influenced by them (i.e., these things) should not prevent them from pursuing their works." I said: "There are some men who practise divination by drawing lines on the ground." The Messenger of Allah (ﷺ) replied, "There was a Prophet who drew lines, the line which agrees with the line drawn by that Prophet would be correct." [Muslim]. Commentary: 1. This Hadith has already appeared earlier [Hadith No 701]. "These are the ideas which come up in their minds'' means that sometimes something appears and one's mind at once takes it as a bad omen. This is something instinctive and natural and one is not accountable for it. But if one acts in accordance with that omen then what he does is wrong and is, therefore, forbidden. For this reason, the Prophet (PBUH) said, "(i.e., these things) should not prevent them from pursuing their works.'' 2. The drawing of a line mentioned in this Hadith is different from the drawing of lines in `Iyafah mentioned earlier. Moreover, that was an act of a Prophet which was done by him in the light of Wahy sent to him by Allah and, therefore, was certainly correct. But now, nobody possesses that knowledge and cannot, therefore, be adopted. The statement of the Prophet (PBUH) that: "The line which agrees with the line drawn by that Prophet would be correct'' was by way of elucidation. It does not mean that that act can also be done by anyone today, for how can it be done without knowing its principles. How did that Prophet of Allah draw that line? What were its principles? Since that knowledge has passed away with that Prophet, it is now no longer valid, nor would it be fruitful. Who was the Prophet who did it? Some people say it was Prophet Daniyal (Daniel), while other think it was Prophet Idris. Allah Alone knows the truth.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭৭. নামাযরত অবস্থায় হাঁচির জওয়াব দেওয়া।

৯৩০. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... মুয়াবিয়া ইবনুল হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে নামায আদায় করি। এ সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দিলে আমি “ইয়ারহামুকাল্লাহ” (আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন) বলি। তখন অন্যান্য লোকেরা আমার প্রতি বক্র দৃষ্টিতে তাকায়। তখন আমি অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে তাদের বলি, তোমরা আমার প্রতি এরূপ বক্র দৃষ্টিতে তাকাচ্ছ কেন? তখন তারা তাদের রানের উপর হাত মারছিল, ফলে আমি বুঝতে পারি যে, তারা আমাকে চুপ করতে বলেছে।

রাবী উসমান (রহঃ) বলেন, আমি যখন বুঝতে পারলাম যে, তারা আমাকে চুপ থাকে বলেছে, তখন আমি নিজেই চুপ করে থাকলাম। নামায সমাপ্তির পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে মারেন নাই আমাকে ধমক বা গালিও দেন নাই। অতঃপর তিনি বলেন, মনে রাখবে এটা নামায, এর মধ্যে কথাবার্তা বলা অনুচিত। বরং নামাযের মধ্যে কেবল তাসবীহ, তাকবীর, কুরআনের আয়াত পাঠ করা যেতে পারে। অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপ কিছু বলেছেন।

তখন আমি বলি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি অন্ধকার যুগের অতি নিকটের লোক, আল্লাহ তায়ালা অনুগ্রহ করে আমাদের দ্বীন ইসলামের গ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে এখনও অনেক লোক এরূপ আছে যারা গণকের নিকট গমন করে থাকে। জবাবে তিনি বলেন, এটা এমন একটা ধারণা যা তাদের অন্তরে সৃষ্টি হয়ে থাকে, তা যেন তাদেরকে কোন কাজ থেকে বিরত না রাখে। তখন আমি বলি আমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে, যারা রেখা টেনে ভাগ্য-বিধি নির্ধারণ করে থাকে। জবাবে তিনি বলেন, পূর্ববর্তী কোন কোন নবীও এর সাহায্য নিয়েছেন, কাজেই যার রেখা তার ভাগ্যের অনুকূল হবে, তা তার জন্য যথেষ্ট। তখন আমি বলি, আমার একটি দাসী আছে যে ওহুদ ও জাওনিয়াহ নামক স্থানে বকরী চরায়।

একদা আমি সেখানে গিয়ে দেখি নেকড়ে একটি বকরী নিয়ে গেছে এবং আমি আদম সন্তান হিসাবে এজন্য দুঃখিত ও রাগান্বিত হয়ে তাকে চপেটাঘাত করি। তা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাকে ঘোরতর অপরাধ হিসাবে গণ্য করেন। তখন আমি বলি, আমি কি তাকে আযাদ করে দিব? তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই দাসীকে তাঁর নিকট আনার নির্দেশ দেন। তখন আমি তাকে তাঁর খিদমতে উপস্থিত করলে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন; আল্লাহ তায়ালা কোথায় অবস্থান করেন? জবাবে সে বলে, আসমানে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আমি কে? জবাবে দাসী বলে, আপনি আল্লাহর রাসূল। তখন তিনি বলেন, তাকে আযাদ করে দাও, কেননা সে একজন ইমানদার স্ত্রীলোক। (মুসলিম, নাসাঈ)।

باب تَشْمِيتِ الْعَاطِسِ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - الْمَعْنَى - عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ فَرَمَانِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهُ مَا شَأْنُكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَعَرَفْتُ أَنَّهُمْ يُصَمِّتُونِي - فَقَالَ عُثْمَانُ - فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُسَكِّتُونِي لَكِنِّي سَكَتُّ قَالَ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - بِأَبِي وَأُمِّي - مَا ضَرَبَنِي وَلاَ كَهَرَنِي وَلاَ سَبَّنِي ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَحِلُّ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ هَذَا إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا قَوْمٌ حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ وَقَدْ جَاءَنَا اللَّهُ بِالإِسْلاَمِ وَمِنَّا رِجَالٌ يَأْتُونَ الْكُهَّانَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَلاَ تَأْتِهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَتَطَيَّرُونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ فَلاَ يَصُدُّهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ جَارِيَةٌ لِي كَانَتْ تَرْعَى غُنَيْمَاتٍ قِبَلَ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ إِذِ اطَّلَعْتُ عَلَيْهَا إِطْلاَعَةً فَإِذَا الذِّئْبُ قَدْ ذَهَبَ بِشَاةٍ مِنْهَا وَأَنَا مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ لَكِنِّي صَكَكْتُهَا صَكَّةً فَعَظَّمَ ذَاكَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ أَفَلاَ أُعْتِقُهَا قَالَ ‏"‏ ائْتِنِي بِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَجِئْتُهُ بِهَا فَقَالَ ‏"‏ أَيْنَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فِي السَّمَاءِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَنْ أَنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَعْتِقْهَا فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ ‏"‏ ‏.‏


Mu’awiyah b. al-Hakam al-Sulami said: I was praying with the Messenger of Allah(ﷺ). A man in the company sneezed, and I said: May Allah have mercy on you! The people gave me disapproving looks, so I said: Woe is to me! What do you mean by looking at me? They began to strike their hand on their thighs; then I realised that they were urging me to be silent. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer – for whom I would give my father and mother as ransom-he did not beat, scold or revile me, but said: No talk to people in lawful in this prayer, for it consists only in glorifying Allah, declaring His greatness, and reciting the Qur'an or words to that effect said by the Messenger of Allah (ﷺ). I said: Messenger of Allah, we were only recently pagans, but Allah has brought Islam to us, and among us there are men who have recourse to soothsayers (kahins). He replied: Do not have recourse to them. I said: Among us are there are men who take omens. He replied: That is something which they find, but let it not turn them away (from what they intended to do). I said: among us there are men who draw lines. He replied: There was a prophet who drew lines; so if the line of anyone tallies with this line, that might come true. I said: A slave-girl of mine used to tend goats before (the mountain) Uhud and al-Jawaniyyah. Once when I reached her (suddenly) I found that a wolf had taken away a goat of them. I am a human being; I feel grieved as others do. But I gave her a good knocking. This was unbearable for the Messenger of Allah (ﷺ). I asked: Should I set her free ? He replied: Bring her to me. So I brought her to him. He asked (her): Where is Allah ? She said: In the heaven. He said: Who am I ? She replied: You are the Messenger of Allah. He said: Set her free, for she is believer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭৭. নামাযরত অবস্থায় হাঁচির জওয়াব দেওয়া।

৯৩১. মুহাম্মাদ ইবনে ইউনুস (রহঃ) .... মুয়াবিয়া ইবনুল হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে আগমনের পর আমাকে শরীয়তের হুকুম আহকাম সম্পর্কে শিক্ষাদান করা হয়। এ সময় আমায় এরূপ শিক্ষা দেয়া হয় যে, যখন তুমি হাঁচি দিবে তখন “আলহামদু লিল্লাহ” বলবে এবং যখন অন্য কাউকে হাঁচি দেয়ার পর “আলহামদু লিল্লাহ” বলতে শুনবে, তখন তুমি “ইয়ারহামুকাল্লা” বলবে। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে নামায আদায় করা কালে এক ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে “আলহামদুলিল্লাহ” বললে আমি তার জবাবে উচ্চস্বরে “ইয়ারহামুকাল্লা” বলি। তখন উপস্থিত জনগণ আমার প্রতি বক্র দৃষ্টিতে তাকাতে থাকে, যা আমার জন্য খুবই কষ্টদায়ক ছিল। তখন আমি তাদের সম্বোধন করে বলি: তোমরা প্রতি এরূপ দৃষ্টিতে কেন তাকাচ্ছ?

রাবী বলেন, অতঃপর লোকেরা তাসবীহ ও সুবহানাল্লাহ বলেন। অতঃপর নামায সমাপান্তে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নামাযের সময় কে কথা বলেছ? জবাবে তাঁকে জানানো হয় যে, এই বেদুঈন লোকটি কথা বলেছে। রাবী বলেন, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কাছে ডেকে বলেনঃ মনে রেখ, নামাযের মধ্যে কেবল মাত্র কুরআন পাঠ ও আল্লাহর জিকিরই হয়ে থাকে। কাজেই যখন তুমি নামায আদায় করবে, তখন তোমার এরূপ অবস্থা হওয়া দরকার। রাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অধিক দয়ালু ও বিনয়ী কোন শিক্ষক কখনও দেখি নাই।

باب تَشْمِيتِ الْعَاطِسِ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ النَّسَائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ لَمَّا قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عُلِّمْتُ أُمُورًا مِنْ أُمُورِ الإِسْلاَمِ فَكَانَ فِيمَا عُلِّمْتُ أَنْ قَالَ لِي ‏"‏ إِذَا عَطَسْتَ فَاحْمَدِ اللَّهَ وَإِذَا عَطَسَ الْعَاطِسُ فَحَمِدَ اللَّهَ فَقُلْ يَرْحَمُكَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبَيْنَمَا أَنَا قَائِمٌ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ فَحَمِدَ اللَّهَ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ رَافِعًا بِهَا صَوْتِي فَرَمَانِي النَّاسُ بِأَبْصَارِهِمْ حَتَّى احْتَمَلَنِي ذَلِكَ فَقُلْتُ مَا لَكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ بِأَعْيُنٍ شُزْرٍ قَالَ فَسَبَّحُوا فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ قَالَ ‏"‏ مَنِ الْمُتَكَلِّمُ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ هَذَا الأَعْرَابِيُّ فَدَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي ‏"‏ إِنَّمَا الصَّلاَةُ لِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَذِكْرِ اللَّهِ جَلَّ وَعَزَّ فَإِذَا كُنْتَ فِيهَا فَلْيَكُنْ ذَلِكَ شَأْنَكَ ‏"‏ ‏.‏ فَمَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَطُّ أَرْفَقَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Mu’awiyah b. al-Hakam al-Sulami said ; when I came to the Messenger of Allah (ﷺ) I learnt many things about islam. One of the things that I was taught was that it was that it was pointed out me. When you sneeze, praise Allah (I,e, say “praise be to Allah”); and when someone sneezes and praises Allah, say “ May Allah have mercy on you. Meanwhile I was standing along with the Messenger of Allah (may peace be upon him) during prayer, all of a sudden a man sneezed, and he praised Allah. So I said, “may Allah have mercy on you”, in a loud voice. The people gave me disapproving looks so much so that I took ill of it. So I said : what do you mean by looking at me with furtive glances. Then they glorified Allah. When the prophet (ﷺ) finished his prayer, he asked; who was the speaker? The Prophet told him; this Bedouin. The Messenger of Allah (ﷺ) called me and said to me: Prayer is meant for the recitation of the Quran, and making mention of Allah. When you are in it (prayer), this should be your work therein. I never saw an instructor more lenient than the Messenger of Allah (ﷺ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৭৯. কাফফারাতে আযাদযোগ্য মুসলিম দাসী।

৩২৫৯. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... মু’আবিয়া ইবন হাকাম সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি বলি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার একটি দাসী আছে, যাকে আমি অনেক মারধর করেছি। এ ব্যাপারটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য কষ্টদায়ক মনে হয়। তখন আমি বলিঃ আমি কি তাকে আযাদ করে দেব না? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো। রাবী বলেনঃ তখন আমি তাকে নিয়ে আসি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ আল্লাহ্‌ কোথায়? সে বলেঃ আসমানে। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ আমি কে? সে বলেঃ আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাকে আযাদ করে দাও, সে মুমিন।

باب فِي الرَّقَبَةِ الْمُؤْمِنَةِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ الْحَجَّاجِ الصَّوَّافِ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قُلْتُ ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ جَارِيَةٌ لِي صَكَكْتُهَا صَكَّةً ‏.‏ فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ أَفَلاَ أُعْتِقُهَا قَالَ ‏:‏ ‏"‏ ائْتِنِي بِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ فَجِئْتُ بِهَا قَالَ ‏:‏ ‏"‏ أَيْنَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ فِي السَّمَاءِ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ مَنْ أَنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ أَعْتِقْهَا فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Mu'awiyah b. al-Hakam al-Sulami: I said: Messenger of Allah, I have a slave girl whom I slapped. This grieved the Messenger of Allah (ﷺ). I said to him: Should I not emancipate her? He said: Bring her to me. He said: Then I brought her. He asked: Where is Allah ? She replied: In the heaven. He said: Who am I ? She replied: You are the Messenger of Allah. He said: Emancipate her, she is a believer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. পাখীর দ্বারা শুভাশুভের ফাল নির্ধারণ সম্পর্কে।

৩৮৭০. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... মুআবিয়া ইবন হাকাম সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মাঝে কিছু লোক আছে, যারা দাগ কেটে ফাল নির্ণয় করে থাকে, (তাদের ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?) তিনি বলেনঃ নবীগণের মধ্যে একজন নবী এরূপ করতেন। যার দাগ কাটা তাঁর অনুরূপ, সে সত্যের অনুসারী।

باب فِي الطِّيَرَةِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ الْحَجَّاجِ الصَّوَّافِ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاكَ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Mu'awiyah b. al-Hakam al-Sulami: I said: Messenger of Allah! among us there are men who practice divination by drawing lines. He said: There was a Prophet who drew lines, so if anyone does it as he drew lines, that is right.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০/ নামাযে কথা বলা।

১২২১। ইসহাক ইবনু মনসূর (রহঃ) ... মুআবিয়া ইবনু হাকাম সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা নিকট অতীতে জাহেলিয়াতে নিমজ্জিত ছিলাম, তারপর আল্লাহ তা’আলা ইসলাম পাঠালেন। আমাদের মধ্যে কিছু লোক শুভ অশুভ লক্ষণ মানে। তিনি বললেন, তা এক প্রকার কুসংস্কার, যা তাদের মনে উদ্রেক হয়ে থাকে এটা যেন তাদের কোন কাজ থেকে বিরত না রাখে। আমি আরো বললাম, আমাদের মধ্যে কিছু লোক গনকদের কাছে যাতায়াত করে।

তিনি বললেন, তোমরা গণকদের কাছে যেয়ো না। তিনি বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের মধ্যে কিছু লোক রেখা টেনে থাকে, তিনি বললেন নবীদের (নবীদের) মধ্যে একজন নবী রেখা টানতেন।[ ইদ্রীস (আলাইহিস সালাম) অথবা দানিয়াল (আলাইহিস সালাম)] অতএব, যার রেখা তাঁর রেখার সাথে মিলে যায় তা সঠিক বলে প্রতিপন্ন হবে।

রাবী বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সালাতে ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি হাচি দিলে আমি يَرْحَمُكَ اللَّهُ বললাম, তখন উপস্থিত লোকজন আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতে থাকলে আমি বললাম, তোমাদের মাতারা তোমাদের হারিয়ে ফেলূক! তোমাদের কি হল তোমরা আমার দিকে এরুপ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছ কেন? তখন লোকজন (আার্শ্চান্বিত হয়ে) তাদের উরুদেশে তাদের হাত মারতে আরম্ভ করলো, আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে আমি (রাগান্বিত না হয়ে) চুপ হয়ে গেলাম।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ করলেন আমাকে তাকলেন, তাঁর উপর আমার মাতা-পিতা কোরবান হোক। তিনি (সালাতে তিনি আমার অবাঞ্চিত কথা বার্তার জন্য) আমাকে তিরস্কার করলেন না এবং কটু কথাও বললেন না। আমি এর পূর্বে বা পরে তার থেকে উত্তম কোন শিক্ষক দেখিনি। তিনি বললেন আমাদের এ সালাতে কারো কথা বলা সমীচীন নয়। এতো হলো তাসবীহ তাকবীর ও তিলাওয়াতে কুরআনের সমষ্টি।

রাবী বলেন, এরপর আমার একটি বকরীর পাল আমার দিকে এগিয়ে আসল যা আমার দাসী উহুদ এবং জাওয়ানীয়ায় চরাচ্ছিল। আমি দেখলাম যে, বাঘে পাল থেকে একটি বকরী নিয়ে গেছে। আমিও তো এক আদম সন্তান তাই আমি (দাসীর উপর) রাগান্বিত হয়ে গেলাম, যেমন অন্যরাও রাগান্বিত হয়ে থাকে। অতএব, আমি দাসীকে একটা চড় মারলাম। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাঁর সংবাদ দিলাম। তিনি চড় মারাকে খুবই অন্যায় কাজ মনে করলেন।

আমি বললাম, ইয়া রাসুলল্লাহ আমি কি তাকে (এর প্রায়শ্চিত স্বরূপ) আযাদ করে দের? তিনি বললেন, আযাদ করে দাও, সে দাসীকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ কোথায়? সে বললো, আসমানে। তিনি তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন আমি কে? সে বললো, আপনি আল্লাহর রাসুল। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সে মুমিনা, অতএব তাকে আযাদ করে দাও”।

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ فَجَاءَ اللَّهُ بِالإِسْلاَمِ وَإِنَّ رِجَالاً مِنَّا يَتَطَيَّرُونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ فَلاَ يَصُدَّنَّهُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَرِجَالٌ مِنَّا يَأْتُونَ الْكُهَّانَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَلاَ تَأْتُوهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَرِجَالٌ مِنَّا يَخُطُّونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطُّهُ فَذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَبَيْنَا أَنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ فَحَدَّقَنِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهُ مَا لَكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ قَالَ فَضَرَبَ الْقَوْمُ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُسَكِّتُونِي لَكِنِّي سَكَتُّ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَانِي بِأَبِي وَأُمِّي هُوَ مَا ضَرَبَنِي وَلاَ كَهَرَنِي وَلاَ سَبَّنِي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ قَالَ ‏"‏ إِنَّ صَلاَتَنَا هَذِهِ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَتِلاَوَةُ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ اطَّلَعْتُ إِلَى غُنَيْمَةٍ لِي تَرْعَاهَا جَارِيَةٌ لِي فِي قِبَلِ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ وَإِنِّي اطَّلَعْتُ فَوَجَدْتُ الذِّئْبَ قَدْ ذَهَبَ مِنْهَا بِشَاةٍ وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ فَصَكَكْتُهَا صَكَّةً ثُمَّ انْصَرَفْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَىَّ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ أَعْتِقُهَا قَالَ ‏"‏ ادْعُهَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَيْنَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فِي السَّمَاءِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَنْ أَنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ فَاعْتِقْهَا ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Mu'awiyah bin Al-Hakam As-Sulami said: "I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), we were recently in a state of ignorance, then Allah (SWT) brought Islam. Some men among us follow omens.' He said: 'That is something that they find in their own hearts; it should not deter them from going ahead.' I said: 'And some men among us go to fortune tellers.' He said: 'Do not go to them.' He said: 'Some men among us draw lines.' He said: 'One of the Prophets used to draw lines. So whoever is in accord with his drawing of lines, then so it is.'" He said: "While I was praying with the Messenger of Allah (ﷺ), a man sneezed and I said: 'Yarhamuk-Allah (May Allah have mercy on you).' The people glared at me and I said: 'May my mother be bereft of me, why are you looking at me?' The people struck their hands against their thighs, and when I saw that they were telling me to be quiet, I fell silent. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished, he called me. May my father and mother be ransomed for him, he neither did hit me nor rebuke me nor revile me. I have never seen a better teacher than him, before or after. He said: 'This prayer of ours is not the place for ordinary human speech, rather it is glorification and magnification of Allah (SWT), and reciting Qur'an.' Then I went out to a flock of sheep of mine that was tended by a slave woman of mine beside Uhud and Al-Jawwaniyyah, and I found that the wolf had taken one of the sheep. I am a man from the sons of Adam and I get upset as they get upset. So I slapped her. Then I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and told him what happened. He regarded that as a serious action on my part. I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), should I set her free?' He said: 'Call her.' The Messenger of Allah (ﷺ) said to her: 'Where is Allah (SWT), the Mighty and Sublime?' She said: 'Above the heavens.' He said: 'And who am I?' She said: 'The Messenger of Allah (ﷺ).' He said: 'She is a believer, set her free.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭৭. সালাতের মধ্যে কথা বলা নিষেধ

১৫৪০. মুআবিয়া ইবনুল হাকাম আস-সুলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর সাথে কোনো একটি সালাত আদায় করেছিলাম। ইত্যবসরে লোকদের মধ্য থেকে একজন হাঁচি দিল। ফলে আমি বললাম, ’ইয়ারহামুকাল্লাহ’।

তিনি বলেন, তখন লোকেরা আড়চোখে আমার দিকে তাকাতে লাগল। আমি বললাম “আমার মায়ের পুত্র বিয়োগ হোক! তোমরা আমার প্রতি (এভাবে) তাকাচ্ছো কেন? তখন তারা তাদের উরুর উপর হাত চাপড়াতে লাগল। আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে, তখন আমি বললাম, তোমরা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছো কেন? যাহোক, আমি চুপ হয়ে গেলাম। তিনি বলেন, অতঃপর যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাত শেষ করলেন, আমার মাতা-পিতা তাঁর জন্য কুরবান হোক! আমি কোনো শিক্ষাদাতাকে তার মতো এত সুন্দর করে শিক্ষা দান করতে পূর্বেও কখনো দেখিনি, তাঁর পরেও কখনো দেখিনি। আল্লাহর কসম! তিনি আমাকে মারলেন না, ধমক দিলেন না, গালিও দিলেন না। বরং তিনি বললেন: “আমাদের এ সালাতে কোনো লোকের কোনো কথাবার্তা বলা ঠিক নয়। বরং তা হচ্ছে- তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন পাঠের জন্য।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ يَحْيَى عَنْ هِلَالِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ قَالَ بَيْنَا أَنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصَّلَاةِ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ قَالَ فَحَدَّقَنِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَا ثُكْلَاهُ مَا لَكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَيَّ قَالَ فَضَرَبَ الْقَوْمُ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُسْكِتُونَنِي قُلْتُ مَا لَكُمْ تُسْكِتُونَنِي لَكِنِّي سَكَتُّ قَالَ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبِأَبِي هُوَ وَأُمِّي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ وَاللَّهِ مَا ضَرَبَنِي وَلَا كَهَرَنِي وَلَا سَبَّنِي وَلَكِنْ قَالَ إِنَّ صَلَاتَنَا هَذِهِ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ إِنَّمَا هِيَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَتِلَاوَةُ الْقُرْآنِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭৭. সালাতের মধ্যে কথা বলা নিষেধ

১৫৪১. (অপর সূত্রে) মুআবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে অনূরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ

حَدَّثَنَا صَدَقَةُ أَخْبَرَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ عَنْ يَحْيَى عَنْ هِلَالٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بِنَحْوِهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাতে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরণ

১০৮৬-(৩৩/৫৩৭) আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনুস্ সাব্বাহ ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... মু’আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সময় আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাত আদায় করছিলাম। ইতোমধ্যে (সালাত আদায়কারীদের মধ্যে) কোন একজন লোক হাচি দিলে (জবাবে) আমি "ইয়ারহামুকাল্প-হ" (অর্থাৎ- আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন) বললাম। এতে সবাই রুষ্ট দৃষ্টিতে আমার প্রতি তাকাতে থাকল। তা দেখে আমি বললামঃ আমার মা আমার বিয়োগ ব্যথায় কাতর হোক। (অর্থাৎ এভাবে আমি নিজেকে ভৎসনা করলাম)। কি ব্যাপার! তোমরা আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছ যে? তখন তারা নিজ নিজ উরুতে হাত চাপড়াতে থাকল। (আমার খুব রাগ হওয়া সত্ত্বেও) আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চায় তখন আমি চুপ করে রইলাম।

পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করলে আমি তাকে সবকিছু বললাম। আমার পিতা ও মাতা তার জন্য কুরবান হোক। আমি ইতোপূর্বে বা এর পরে আর কখনো অন্য কোন শিক্ষককে তার চেয়ে উত্তম পন্থায় শিক্ষা দিতে দেখিনি। আল্লাহর শপথ করে বলছি, তিনি আমাকে ধমকালেন না বা মারলেন না কিংবা বকাঝকাও করলেন না। বরং বললেনঃ সালাতের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশতঃ তাসবীহ, তাকবীর বা কুরআন পাঠ করতে হবে অথবা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেরূপ বলেছেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি সবেমাত্র জাহিলিয়াত বর্জন করেছি এবং এরপর আল্লাহ আমাকে ইসলাম গ্রহণের তাওফীক দিয়েছে। আমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা গণকদের কথায় বিশ্বাস করে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (এ কথা শুনে) বললেনঃ তুমি গণকদের কাছে যেয়ো না। সে বললঃ আমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা শুভ-অশুভ লক্ষণ নির্ধারণ করে থাকে। তিনি বললেনঃ এটা তাদের হৃদয়ের বদ্ধমূল বিশ্বাস। এটি তাদেরকে (ভাল কাজ করতে) বাধা না দেয়।

হাদীস বর্ণনাকারী সাববাহ বলেছেন, তা যেন তোমাকে বাধা না দেয়। লোকটি বর্ণনা করেছেন- আমি আবারও বললামঃ আমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা রেখা টেনে শুভ-অশুভ নির্ধারণ করে থাকে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ একজন নবী এভাবে রেখা টানতেন। সুতরাং কারো রেখা যদি (নবীর রেখার) অনুরূপ হয় তাহলে তা ঠিক হবে*।

বর্ণনাকারী মুআবিয়াহ বলেন, আমার এক দাসী ছিল সে উহুদ ও জাওওয়ানিয়াহ এলাকায় আমার বকরীপাল চরাত। একদিন আমি হঠাৎ সেখানে গিয়ে দেখলাম তার বকরী পাল থেকে বাঘে একটি বকরি নিয়ে গিয়েছে। আমি তো অন্যান্য আদম সন্তানের মতো একজন মানুষ। তাদের মতো আমিও ক্ষোভ ও চপেটাঘাত করলাম। এরপর আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলাম (এবং সব কথা বললাম) কেননা বিষয়টি আমার কাছে খুবই গুরুতর মনে হলো। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তাকে (দাসী) মুক্ত করে দিব? তিনি বললেনঃ তাকে আমার কাছে নিয়ে আসো। সুতরাং আমি তাকে এনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে হাজির করলাম।

তিনি তাকে (দাসীকে) জিজ্ঞেস করলেনঃ (বলো তো) আল্লাহ কোথায়? সে বলল-আকাশে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (বলো তো) আমি কে? সে বললঃ আপনি আল্লাহর রসূল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তুমি তাকে মুক্ত করে দাও, সে একজন মু’মিনাহ নারী। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৮০, ইসলামীক সেন্টার ১০৮৮)

باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَتَقَارَبَا فِي لَفْظِ الْحَدِيثِ - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ بَيْنَا أَنَا أُصَلِّي، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ ‏.‏ فَرَمَانِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهْ مَا شَأْنُكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ ‏.‏ فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُصَمِّتُونَنِي لَكِنِّي سَكَتُّ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبِأَبِي هُوَ وَأُمِّي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ فَوَاللَّهِ مَا كَهَرَنِي وَلاَ ضَرَبَنِي وَلاَ شَتَمَنِي قَالَ ‏"‏ إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ وَقَدْ جَاءَ اللَّهُ بِالإِسْلاَمِ وَإِنَّ مِنَّا رِجَالاً يَأْتُونَ الْكُهَّانَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَلاَ تَأْتِهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَمِنَّا رِجَالٌ يَتَطَيَّرُونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ فَلاَ يَصُدَّنَّهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ الصَّبَّاحِ ‏"‏ فَلاَ يَصُدَّنَّكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَتْ لِي جَارِيَةٌ تَرْعَى غَنَمًا لِي قِبَلَ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ فَاطَّلَعْتُ ذَاتَ يَوْمٍ فَإِذَا الذِّيبُ قَدْ ذَهَبَ بِشَاةٍ مِنْ غَنَمِهَا وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ لَكِنِّي صَكَكْتُهَا صَكَّةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَىَّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ أُعْتِقُهَا قَالَ ‏"‏ ائْتِنِي بِهَا ‏"‏ ‏.‏ فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَقَالَ لَهَا ‏"‏ أَيْنَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فِي السَّمَاءِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَنْ أَنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَعْتِقْهَا فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ ‏"‏ ‏.‏


Mu'awiya b. al-Hakam said: While I was praying with the Messenger of Allah (ﷺ), a man in the company sneezed. I said: Allah have mercy on you! The people stared at me with disapproving looks, so I said: Woe be upon me, why is it that you stare at me? They began to strike their hands on their thighs, and when I saw them urging me to observe silence (I became angry) but I said nothing. When the Messenger of Allah (ﷺ) had said the prayer (and I declare that neither before him nor after him have I seen a leader who gave better instruction than he for whom I would give my father and mother as ransom). I swear that he did not scold, beat or revile me but said: Talking to persons is not fitting during the prayer, for it consists of glorifying Allah, declaring his Greatness. and recitation of the Qur'an or words to that effect. I said: Messenger of Allah. I was till recently a pagan, but Allah has brought Islam to us; among us there are men who have recourse to Kahins. He said, Do not have recourse to them. I said. There are men who take omens. That is something which they find in their breasts, but let it not turn their way (from freedom of action). I said: Among us there are men who draw lines. He said: There was a prophet who drew lines, so if they do it as they did, that is allowable. I had a maid-servant who tended goats by the side of Uhud and Jawwaniya. One day I happened to pass that way and found that a wolf had carried a goat from her flock. I am after all a man from the posterity of Adam. I felt sorry as they (human beings) feel sorry. So I slapped her. I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and felt (this act of mine) as something grievous I said: Messenger of Allah, should I not grant her freedom? He (the Holy Prophet) said: Bring her to me. So I brought her to him. He said to her: Where is Allah? She said: He is in the heaven. He said: Who am I? She said: Thou art the Messenger of Allah. He said: Grant her freedom, she is a believing woman.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষীর কাছে গমনাগমন নিষিদ্ধ

৫৭০৬-(১২১/৫৩৭) আবূ তাহির ও হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... মুআবিয়াহ্ ইবনু হাকাম সুলামী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কিছু কর্মকাণ্ড আমরা অজ্ঞতার যুগে করতাম, (তার মধ্যে একটি হল) আমরা জ্যোতিষীদের নিকট যেতাম। তিনি বললেন, আর জ্যোতিষীর নিকটে যেয়ো না। আমি বললাম, আমরা (নানা পদ্ধতিতে) ভাগ্য গণনা করতাম। তিনি বললেন, সেটি এমন একটি জিনিস, যা তোমাদের কেউ তার মনে উপলব্ধি করে, তবে সেটি যেন তোমাদের (কাজ-কর্ম হতে) বিরত না রাখে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৬১৯, ইসলামিক সেন্টার ৫৬৪৮)

باب تَحْرِيمِ الْكِهَانَةِ وَإِتْيَانِ الْكُهَّانِ ‏‏

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُمُورًا كُنَّا نَصْنَعُهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ كُنَّا نَأْتِي الْكُهَّانَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَلاَ تَأْتُوا الْكُهَّانَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ كُنَّا نَتَطَيَّرُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُهُ أَحَدُكُمْ فِي نَفْسِهِ فَلاَ يَصُدَّنَّكُمْ ‏"‏ ‏.‏


Mu'awiya b. al-Hakam as-Sulami reported: I said: Messenger of Allah, there were things we used to do in the pre-Islamic days. We used to visit Kahins, whereupon he said: Don't visit Kahins. I said: We used to take omens. He said: That is a sort of personal whim of yours, so let it not prevent you (from doing a thing).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষীর কাছে গমনাগমন নিষিদ্ধ

৫৭০৮-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ (রহঃ) ও আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... মুআবিয়াহ ইবনু হাকাম সুলামী (রাযিঃ) এর সানাদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে, মু’আবিয়াহ্ (রাযিঃ) হতে আবূ সালামাহ্ (রহঃ) এর সানাদে যুহরী (রহঃ) এর অবিকল বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইয়াহইয়া ইবনু কাসীর (রহঃ) বর্ধিত করে বলেছেন, আমি (মু’আবিয়াহ্) বললাম, আমাদের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে, যারা রেখা এঁকে (ভাগ্য নির্ধারণ) করে থাকে। তিনি বললেন, নবীদের মধ্যে একজন নবী রেখা অঙ্কন (ভাগ্য নির্ণয়) করতেন। সুতরাং যার রেখা তার (রেখার) অবিকল হবে তা সেরূপই (সত্যই)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৬২১, ইসলামিক সেন্টার ৫৬৫০)

باب تَحْرِيمِ الْكِهَانَةِ وَإِتْيَانِ الْكُهَّانِ ‏‏

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ - عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ، يَسَارٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ مُعَاوِيَةَ وَزَادَ فِي حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ قَالَ ‏ "‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطُّهُ فَذَاكَ ‏"‏ ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of Mu'awiya b. Hakam as-Sulami through another chain of transmitters. The hadith transmitted on the authority of Yahya b. Abu Kathir (there is an addition of these words): I said: Among us there are men who draw lines and thus make divination. What about this? Thereupon he (the Holy Prophet) said: There was a Prophet who drew lines, so whose lines agree with his line for him it is allowable.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - (যিহারের কাফফারা ও মু’মিনাহ্ দাসী মুক্তি প্রসঙ্গে)

অনুচ্ছেদটি উদ্ধৃত করে মুসান্নিফের উদ্দেশ্য হলো, হাদীস দ্বারা এ কথা প্রমাণ করা যে, যিহারের কাফ্ফারায় আযাদকৃত দাস বা দাসী মু’মিন হওয়া আবশ্যক। উসূলে ফিকহে মুতলাক তথা শর্তবিহীন হুকুমকে শর্তযুক্ত করার উসূল বা নীতিতে এর বিশদ আলোচনা রয়েছে। এই অনুচ্ছেদের অধীনের হাদীসটি কুরআনের মুতলাক বা যিহারের কাফ্ফারার শর্তমুক্ত হুকুমকে ঈমানের শর্তে শর্তযুক্ত করার প্রমাণ বহন করে, এতে কোনো দ্বিমত পোষণের সুযোগ নেই। তবে মুকাইয়াদ অর্থাৎ শর্তটি কি এভাবে নির্ধারিত যে, ভুলে হত্যার কাফ্ফারার মতো ঈমানদার ছাড়া আযাদ করলে আদায় হবে না, নাকি উত্তমের বর্ণনা- এতে মতভেদ রয়েছে। আল্লাহ অধিক ভালো জানেন। ২৯৯৯ নং হাদীসের ব্যাখ্যায় এর কিছুটা আলোচনা করা হয়েছে। (সম্পাদক)


৩৩০৩-[১] মু’আবিয়াহ্ ইবনুল হাকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললাম- হে আল্লাহর রসূল! আমার জনৈকা দাসী আমার মেষ পাল চরাত। অতঃপর একদিন আমি মেষ পালের নিকট গিয়ে দেখি, একটি মেষ নেই। দাসীকে জিজ্ঞেস করলে সে বলল, নেকড়ে বাঘ খেয়ে ফেলেছে। এতে আমি অত্যন্ত ক্রোধান্বিত হলাম এবং আমি অতি সাধারণ মানুষ, তাই (ধৈর্য ধরতে না পেরে) তার গালে এক চড় মেরে দিলাম। অতঃপর আমি বললাম, (কোনো এক কারণে) আমার ওপর একজন দাস বা দাসী মুক্ত করা শারী’আতের বিধানুযায়ী জরুরী হয়ে আছে (যা এখনও করিনি), এমতাবস্থায় উক্ত দাসীকে তার স্থলে মুক্তি দান করলে কি হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত দাসীকে জিজ্ঞেস করলেন- বলো তো আল্লাহ কোথায়? সে বলল, আকাশমন্ডলীতে। আবার জিজ্ঞেস করলেন, বলো তো! আমি কে? সে বলল, আপনি আল্লাহর রসূল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (মু’আবিয়াহ্কে) বললেন, হ্যাঁ, তুমি ওকে মুক্ত করতে পার। (মুয়াত্ত্বা মালিক)[1]

মুসলিম-এর বর্ণনায় আছে, সে [মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)] বলল, আমার এক দাসী উহুদ পাহাড় ও জাও্ওয়ানিয়্যাহ্-এর অঞ্চলে মেষ পাল চরাত। একদিন আমি তার কাছে গিয়ে দেখলাম যে, আমাদের একটি মেষ নেকড়ে বাঘ নিয়ে চলে গেছে। আমি অতি সাধারণ মানুষ বিধায় তাদের মতো আমিও ক্রোধ সংবরণ করতে ব্যর্থ হয়ে তাকে চপেটাঘাত করে ফেলি। অতঃপর আমি (ভারাক্রান্ত হৃদয়ে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে এতদসম্পর্কে বর্ণনা করলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার এ কাজকে গুরুতর অন্যায় বলে মনে করলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি ওকে মুক্ত করতে পারব? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তাকে আমার কাছে নিয়ে আসো। আমি তাকে তাঁর কাছে নিয়ে গেলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, বলো তো আল্লাহ কোথায়? সে বলল, আকাশমন্ডলীতে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, বলো তো আমি কে? সে বলল, আপনি আল্লাহর রসূল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেন, হ্যাঁ, ওকে মুক্ত করতে পার। কারণ, সে মু’মিনাহ্।

بَابٌ [فِىْ كَوْن الرَّقَبَةِ فِى الْكَفَّارَة مُؤمنَة]

عَن مُعَاوِيَة بنِ الحكمِ قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ جَارِيَةً كَانَتْ لِي تَرْعَى غَنَمًا لِي فَجِئْتُهَا وَقَدْ فَقَدَتْ شَاةً مِنَ الْغَنَمِ فَسَأَلْتُهَا عَنْهَا فَقَالَتْ: أَكَلَهَا الذِّئْبُ فَأَسِفْتُ عَلَيْهَا وَكُنْتُ مَنْ بَنِي آدَمَ فَلَطَمْتُ وَجْهَهَا وَعَلَيَّ رَقَبَةٌ أَفَأُعْتِقُهَا؟ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيْنَ اللَّهُ؟» فَقَالَتْ: فِي السَّمَاءِ فَقَالَ: «مَنْ أَنَا؟» فَقَالَتْ: أَنْتَ رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعْتِقْهَا» . رَوَاهُ مَالِكٌ
وَفِي رِوَايَةِ مُسْلِمٍ قَالَ: كَانَتْ لِي جَارِيَةٌ تَرْعَى غَنَمًا لِي قِبَلَ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ فَاطَّلَعْتُ ذَاتَ يَوْمٍ فَإِذَا الذِّئْبُ قَدْ ذَهَبَ بِشَاةٍ مِنْ غَنَمِنَا وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ لَكِنْ صَكَكْتُهَا صَكَّةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَيَّ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أفَلا أُعتِقُها؟ قَالَ: «ائتِني بهَا؟» فأتيتُه بِهَا فَقَالَ لَهَا: «أَيْنَ اللَّهُ؟» قَالَتْ: فِي السَّمَاءِ قَالَ: «مَنْ أَنَا؟» قَالَتْ: أَنْتَ رَسُولُ الله قَالَ: «أعتِقْها فإنَّها مؤْمنةٌ»

ব্যাখ্যা: (فَقَدَتْ شَاةً) সীগাটি মা‘রূফ মুতাকাল্লিম এবং شاة শব্দে নসব অর্থাৎ যবর। অর্থাৎ আমি একটি বকরী হারিয়েছি। কোনো কোনো পাণ্ডুলিপিতে সীগাটি মাজহূলের গায়ব হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং شاة শব্দে রফা‘ অর্থাৎ পেশ। অর্থাৎ একটি বকরী হারিয়ে গেছে।

(وَكُنْتُ مَنْ بَنِىْ اٰدَمَ) ‘আমি তো একজন মানুষ’ এ কথা বলে সাহাবী বকরী হারিয়ে যাওয়ার উপর রাগ ও আক্ষেপ এবং তার কারণে দাসীকে থাপ্পড় মারার ওযর বর্ণনা করছেন। কেননা হারিয়ে যাওয়া তাকদীরের বিষয়। এখানে আক্ষেপ বিশেষ করে রাগ মু’মিনের শান নয় এবং থাপ্পড় মারা একটি জুলুম। তাই ওযর পেশ করছেন যে, মানুষের ক্ষেত্রে তো অনেক সময় এমনটি হয়েই যায়। কেননা সে অনেক সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

(وَعَلَىَّ رَقَبَةٌ) অর্থাৎ আমার ওপর একটি দাস আযাদের দায় রয়েছে। একটি দাস আযাদ করা অন্য কোনো কারণে পূর্ব থেকে ওয়াজিব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ওয়াজিবটি তিনি এই দাসীটি মুক্ত করে আযাদ করতে চান। আবার থাপ্পড় মারার কারণে একটি দাস মুক্ত করা ওয়াজিব হয়েছে এ উদ্দেশ্যও হতে পারে। যেমন ইবনু ‘উমার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

سَمِعْتُ رَسُولَ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ مَنْ ضَرَبَ غُلَامًا لَه حَدًّا لَمْ يَأْتِه أَوْ لَطَمَه فَإِنَّ كَفَّارَتَه أَنْ يُعْتِقَه

‘‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোনো কারণ ছাড়া তার গোলামকে মারধর করে অথবা চপেটাঘাত করে, তবে এই গোলামকে আযাদ করে দেয়াই তার কাফফারা।’’ (সহীহ মুসলিম- অধ্যায় : কসম, অনুচ্ছেদ : ক্রীতদাসের সাথে সদ্ধ্যবহার এবং তাকে চপেটাঘাতের কাফফারা, হাঃ ৩১৩১)
মোটকথা, এই দুই কারণের যে কোনো একটি বা উভয় কারণে তিনি এই ক্রীতদাস আযাদ করে দায়মুক্ত হতে পারবেন কিনা তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জানতে চান।

(أَيْنَ اللّٰهُ؟) আল্লাহ কোথায়? অর্থাৎ তোমার প্রতিপালক কোথায়? রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রথম প্রশ্ন, আল্লাহ কোথায়? দ্বিতীয় প্রশ্ন আমি কে? কেননা আল্লাহ তা‘আলাকে মা‘বূদ হিসেবে এবং তাঁকে রসূল হিসেবে বিশ্বাস করার উপর ঈমান নির্ভর করে। আল্লাহ কোথায় এ প্রশ্নের উত্তরে সে বললো, (في السماء) অর্থাৎ আল্লাহ আসমানে। আল্লাহ আসমানে বলায় তার ঈমানের উপর বিশ্বাসের কারণ হলো, সে মক্কার কাফির ও মুশরিকদের মতো প্রতিমায় বিশ্বাসী নয়। বরং মা‘বূদ যিনি তিনি উপরে রয়েছেন। পৃথিবীতে যাদের মূর্তি বানিয়ে ‘ইবাদাত করা হয় তারা কেউই মা‘বূদ নয়। আমি কে এ প্রশ্নের উত্তরে সে বললো (أنت رسول الله) অর্থাৎ আপনি আল্লাহর রসূল। উভয় প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে প্রদানের কারণে সে মু’মিনাহ্ বলে প্রমাণিত হলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (أعتقها) অর্থাৎ তাকে আযাদ করে দাও।
মুসান্নিফ (রহঃ) এই বর্ণনাটি উল্লেখের পর সহীহ মুসলিমের আরেকটি বিবরণ উল্লেখ করেন। যেখানে পরিষ্কার রয়েছে, (أعتقها فإنها مؤمنة) অর্থাৎ তাকে আযাদ করে দাও; কেননা সে মু’মিনাহ্।

এ থেকেই তাদের মতটি প্রমাণিত হয় যারা মনে করেন যে, কোনো ওয়াজিব কাফফারার বেলায় ঈমানদার ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসী আযাদ করতে হবে।

এ থেকে এই কথার প্রতিও ইঙ্গিত মিলে যে, বর্ণিত সাহাবীর ওপর যে দাসমুক্তির দায়টি ছিল তা অন্য কোনো কারণে ওয়াজিব ছিল। থাপ্পড় মারার কারণে নয়। কেননা যে হাদীসে বলা হয়েছে, ’’যে ব্যক্তি কোনো কারণ ছাড়া তার গোলামকে মারধর করে অথবা চপেটাঘাত করে.....’’ এখানে ঈমানদার গোলামকে মারধরের কথা নেই। বরং গোলাম যেই হোক না কেন তাকে কারণ ছাড়া প্রহার করলে এর নিষ্কৃতি সেই গোলামকে আযাদ বা মুক্ত করে দেয়ার মাধ্যমেই হবে। (শারহে মুসলিম ৫/৬ খন্ড, হাঃ ৫৩৭; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা

الكهانة (জ্যোতিষীর গণনা)। كهانة এর ’কাফ’ বর্ণে যবর ও যের যোগে। كهانة দ্বারা এখানে উদ্দেশ্য হলো মানুষের গোপন বিষয় যা ভবিষ্যতে সংঘটিত হবে, সে সম্পর্কে সংবাদ দেয়া। জাহিলী যুগে ’আরবদের মধ্যে এ كهانة প্রচলিত ছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দাবী করত যে, তার অনুগত জীন আছে, সে বিভিন্ন সংবাদ তাকে এনে দেয়। আর বর্ণিত আছে যে, শায়ত্বনেরা কথা চুরি করে এতে জ্যোতিষীদের (كهانة) কাছে বলে দিত। আর তাতে তারা প্রয়োজনমত বৃদ্ধি করত। আর তাদের মধ্যে কাফিররা তা গ্রহণ করত। কিন্তু রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যখন প্রেরণ করা হলো তখন আকাশমণ্ডলীতে পাহারা নিযুক্ত করা হলো এবং كهانة তথা জ্যোতিষীদের বাতিল করা হল।

আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলত যে, সে কথাবার্তা, কাজকর্ম এবং অবস্থাসমূহ দেখে কিছু অনুমান করে বিভিন্ন জিনিস জানতে পারে। আর এ প্রকারটিকে নির্দিষ্ট (খাস) করা হয়েছে ঐ জ্যোতিষীর জন্য, যে দাবী করে চুরি যাওয়া বস্তু এবং হারিয়ে যাওয়া বস্তু কোথায় আছে তা সে বলে দিতে পারে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


৪৫৯২-[১] মু’আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমরা জাহিলিয়্যাতের যুগের অন্যান্য কাজের মধ্যে জ্যোতিষীর কাছেও যেতাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা আর কখনো গণকদের কাছে যাবে না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ আমরা (কোন কাজের জন্য) অশুভ লক্ষণ মেনে থাকি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এটা এমন একটি ব্যাপার যে, (অনিচ্ছাকৃতভাবেই) তোমাদের কারো মনে তার উদ্রেক হয়ে থাকে, তবে তা যেন তোমাদেরকে বিরত না রাখে। রাবী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ আমাদের কেউ রেখা টেনে (ভাগ্য পরীক্ষার কাজ করে) থাকে। তিনি বললেনঃ কোন একজন নবী (আল্লাহর হুকুমে) রেখা টানার কাজ করতেন, সুতরাং যার রেখা টানা সে নবীর রেখার সাথে মিলে যায় তা জায়িয আছে। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْكِهَانَةِ

عَن مُعَاوِيَة بن الحكم قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أُمُورًا كُنَّا نَصْنَعُهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ كُنَّا نَأْتِي الْكُهَّانَ قَالَ: «فَلَا تَأْتُوا الْكُهَّانَ» قَالَ: قُلْتُ: كُنَّا نَتَطَيَّرُ قَالَ: «ذَلِكَ شَيْءٌ يَجِدُهُ أَحَدُكُمْ فِي نَفْسِهِ فَلَا يصدَّنَّكم» . قَالَ: قُلْتُ: وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ قَالَ: «كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاك» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যাঃ (كُنَّا نَأْتِي الْكُهَّانَ) অর্থাৎ আমরা তাদের নিকট এসে তাদের কাছে বিভিন্ন বিষয় জানতে চাইতাম।


فَلَا تَأْتُوا الْكُهَّانَ অর্থাৎ তারা তোমাদেরকে যে বিষয়ে সংবাদ দেয় তা তোমরা সত্য বলে বিশ্বাস করবে না।

(كُنَّا نَتَطَيَّرُ) অর্থাৎ আমরা পাখি বা এ জাতীয় অন্য কিছুর মাধ্যমে শুভ লক্ষণ-অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করি।

(ذٰلِكَ شَيْءٌ) অর্থাৎ মানুষ হওয়ার কারণে জাগ্রত ধারণা হতে (এটা হয়ে থাকে)। (يَجِدُهٗ أَحَدُكُمْ فِي نَفْسِه) অর্থাৎ এতে কোন প্রভাব বা ক্ষতি নেই।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এটা দলীলসহ অশুভ লক্ষণকে নিষেধ করেছে। এটা لَا تَطَيَّرُوا ‘‘তোমরা অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করো না’’ কথা হতে বেশি পরিপূর্ণ। যেমন তিনি বলেন, فَلَا تَأْتُوا الْكُهَّانَ ‘‘তোমরা জ্যোতিষীর কাছে আসবে না’’। অর্থাৎ তোমরা অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করবে না। কেননা অশুভ লক্ষণের কোন আকার অস্তিত্ব নেই, বরং মানুষের অন্তরে তা পাওয়া যায়। এটা মানুষ তার অন্তরে কল্পনা করে থাকে তাতে কোন ক্ষতি থাকে না।

(فَلَا يصدَّنَّكم) অর্থাৎ অশুভ লক্ষণ যেন তোমাদেরকে তোমাদের যাত্রা হতে বিরত না রাখে। আর তোমরা যে উদ্দেশ্য করে রওয়ানা হয়েছ তাতে ক্ষতি হওয়ার ভয়ে যেন বিরত না থাক। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এটা দ্বারা মূলত বোঝানো হয়েছে, আমি যেন তোমাকে সেখানে না দেখি। এখানে সে অন্তরে যা অনুভব করে তার জন্য যাত্রা বন্ধ করা হতে নিষেধ করা হয়েছে। এটা বাস্তবিকভাবে যাদের মনে এরূপ উদ্রেক হবে তাদেরকে সম্বোধন করে নিষেধ করা হয়েছে।

(كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ) বলা হয়ে থাকে যে, আল্লাহর নবী দান্ইয়াল (আ.) অথবা ইদরীস (আ.) ‘ইল্মে ইলাহী অথবা ‘ইল্মে লাদুন্নী দ্বারা এ কাজ করতেন।

(فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهٗ فَذَاك) মোটকথা হলো, বর্তমানে এ কাজ করা হারাম। কারণ এর আসল শিক্ষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯০৫)

ইমাম ইবনু ‘আসীর (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ইবনু ‘আব্বাস  বলেন, রেখা টানা বলতে অনুমানকারী যে রেখা টানে তাকে বুঝানো হয়েছে এটা এমন জ্ঞান, যা মানুষ ছেড়ে দিয়েছে, সমস্যায় পতিত ব্যক্তি আন্দাজকারীর কাছে এসে তাকে একটা উপহার দিত। তারপর সে তাকে বলত, বস, আমি তোমার জন্য রেখা টানবো। আর অনুমানকারীর সামনে তার একটা ছেলে থাকত, যার সাথে ফলক থাকত। তারপর তারা একটা নরম জায়গায় আসত। এসে চাকা দিয়ে অনেক রেখা চানতো, যেন রেখাগুলো সংখ্যায় আসে। এরপর আবার দু’টা দু’টা করে রেখা মুছতে মুছতে ফিরে আসতো আর তার ছেলেটি শুভ লক্ষণের জন্য বলত, হে বৎস! দেখো এর বর্ণনা আনন্দিত করবে, যদি দু’টি দাগ বাকী থাকত, তবে তা সফলতার চিহ্ন। আর একটি বাকী থাকলে খারাপ চিহ্ন। হারবী বলেন, তারা তিনটি রেখা টানতো। অতঃপর তার উপর যব বা আঠি নিক্ষেপ করতো। আর বলত, অমুক অমুক হবে। এটা ছিল জ্যোতিষীদের একটি গণনার প্রকার। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯০৫)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭১. সালাতরত অবস্থায় হাঁচির উত্তর দেয়া

৯৩০। মু’আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত আদায় করি। সালাতের অবস্থায় লোকজনের মধ্যকার এক ব্যক্তি হাঁচি দিলে জবাবে আমি ইয়ারহামুকাল্লাহ বলায় সকলেই আমার প্রতি (রাগের) দৃষ্টিতে তাকালো। তখন আমি মনে মনে বললাম, তোমাদের মাতা তোমাদেরকে হারাক। তোমরা আমার দিকে এভাবে দৃষ্টি নিক্ষেপ করছো কেন? মু’আবিয়াহ বলেন, সকলেই রানের উপর সজোরে হাত মেরে শব্দ করতে থাকলে আমি বুঝতে পারি যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাইছে।

বর্ণনাকারী ’উসমানের বর্ণনায় রয়েছেঃ আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছিলো, তখন (অনিচ্ছা) সত্ত্বেও আমি চুপ হলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করলেন- আমার পিতা-মাতা তাঁর জন্য কুরবান হোক! তিনি আমাকে প্রহার করলেন না, রাগ করলেন না এবং গালিও দিলেন না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ সালাতের অবস্থায় তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন তিলাওয়াত ব্যতীত কোন কথা বলা মানুষের জন্য বৈধ নয়। অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেরূপ বলার বললেন।

অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা সদ্য জাহিলিয়্যাত ছেড়ে আসা একটি সম্প্রদায়। আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম গ্রহণের তাওফিক দিয়েছেন। আমাদের মধ্যকার কতিপয় ব্যক্তি গণকের নিকট যায়। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তাদের নিকটে যাবে না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আমাদের মধ্যকার কতিপয় লোক পাখি উড়িয়ে ভাগ্য নির্ণয় করে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এটা তাদের মনগড়া কাজ, এরূপ (কুসংস্কার) যেন তাদেরকে তাদের কাজ থেকে বিরত না রাখে।

বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আমাদের মধ্যকার এমনও কিছু লোক আছে যারা রেখা টেনে ভাগ্য নির্ণয় করে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ নবীগণের মধ্যকার একজন নবী রেখা টানতেন। সুতরাং কারো রেখা তাঁর নবীর মত হলে সঠিত হতে পারে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আমার এক দাসী উহুদ ও জাওয়ানিয়ার আশেপাশে বকরী চরাচ্ছিলো। আমি দেখলাম যে, বাঘ এসে সেখান থেকে একটি বকরী নিয়ে গেছে। আমিও তো আদম সন্তান। কাজেই আমিও তাদের মত দুঃখ পাই। কিন্তু আমি তাকে জোরে একটি থাপ্পর দিলাম।

এ কথাটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গুরুত্ববহ মনে হওয়ায় আমি তাঁকে বললাম, আমি কি তাকে মুক্ত করে দিবো? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তাকে আমার কাছে নিয়ে আসো। আমি তাকে নিয়ে এলে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আল্লাহ কোথায়? সে জবাবে বলালো, আকাশে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ আমি কে? সে জবাবে বললো, আপনি আল্লাহর রসূল! তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে আযাদ করে দাও। কারণ সে ঈমানদার মহিলা।[1]

সহীহ।

باب تَشْمِيتِ الْعَاطِسِ فِي الصَّلَاةِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - الْمَعْنَى - عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلَالِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللهُ فَرَمَانِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهُ مَا شَأْنُكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَعَرَفْتُ أَنَّهُمْ يُصَمِّتُونِي - فَقَالَ عُثْمَانُ - فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُسَكِّتُونِي لَكِنِّي سَكَتُّ قَالَ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم - بِأَبِي وَأُمِّي - مَا ضَرَبَنِي وَلَا كَهَرَنِي وَلَا سَبَّنِي ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ لَا يَحِلُّ فيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ هَذَا إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا قَوْمٌ حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ وَقَدْ جَاءَنَا اللهُ بِالإِسْلَامِ وَمِنَّا رِجَالٌ يَأْتُونَ الْكُهَّانَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَلَا تَأْتِهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَتَطَيَّرُونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ فَلَا يَصُدُّهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ جَارِيَةٌ لِي كَانَتْ تَرْعَى غُنَيْمَاتٍ قِبَلَ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ إِذِ اطَّلَعْتُ عَلَيْهَا إِطْلَاعَةً فَإِذَا الذِّئْبُ قَدْ ذَهَبَ بِشَاةٍ مِنْهَا وَأَنَا مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ لَكِنِّي صَكَكْتُهَا صَكَّةً فَعَظَّمَ ذَاكَ عَلَىَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ أَفَلَا أُعْتِقُهَا قَالَ ‏"‏ ائْتِنِي بِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَجِئْتُهُ بِهَا فَقَالَ ‏"‏ أَيْنَ اللهُ ‏"‏ ‏‏ قَالَتْ فِي السَّمَاءِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَنْ أَنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَعْتِقْهَا فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ ‏"‏ ‏

- صحيح : م


Mu’awiyah b. al-Hakam al-Sulami said: I was praying with the Messenger of Allah(ﷺ). A man in the company sneezed, and I said: May Allah have mercy on you! The people gave me disapproving looks, so I said: Woe is to me! What do you mean by looking at me? They began to strike their hand on their thighs; then I realised that they were urging me to be silent. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer – for whom I would give my father and mother as ransom-he did not beat, scold or revile me, but said: No talk to people in lawful in this prayer, for it consists only in glorifying Allah, declaring His greatness, and reciting the Qur'an or words to that effect said by the Messenger of Allah (ﷺ). I said: Messenger of Allah, we were only recently pagans, but Allah has brought Islam to us, and among us there are men who have recourse to soothsayers (kahins). He replied: Do not have recourse to them. I said: Among us are there are men who take omens. He replied: That is something which they find, but let it not turn them away (from what they intended to do). I said: among us there are men who draw lines. He replied: There was a prophet who drew lines; so if the line of anyone tallies with this line, that might come true. I said: A slave-girl of mine used to tend goats before (the mountain) Uhud and al-Jawaniyyah. Once when I reached her (suddenly) I found that a wolf had taken away a goat of them. I am a human being; I feel grieved as others do. But I gave her a good knocking. This was unbearable for the Messenger of Allah (ﷺ). I asked: Should I set her free ? He replied: Bring her to me. So I brought her to him. He asked (her): Where is Allah ? She said: In the heaven. He said: Who am I ? She replied: You are the Messenger of Allah. He said: Set her free, for she is believer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭১. সালাতরত অবস্থায় হাঁচির উত্তর দেয়া

৯৩১। মু’আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসার পর আমাকে ইসলামের কিছু বিষয় শেখানো হলো। আমাকে তখন এটাও শেখানো হয়েছিল যে, তুমি হাঁচি দিলে ’’আলহামদুল্লিাহ’’ বলবে। আর অন্য কাউকে হাঁচি দেয়ার পর ’আলহামদুল্লিাহ’ বলতে শুনলে তুমি বলবে, ’’ইয়ারহামুকাল্লাহ’’ (অর্থঃ আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন)। তিনি বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাত আদায় করছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দিল এবং ’’আলহামদুল্লিাহ’’ বললো। তখন আমি উচ্চস্বরে বললাম, ’’ইয়ারহামুকাল্লাহ’’। এতে উপস্থিত সকলেই আমার দিকে রাগত দৃষ্টিতে তাকালো। তাতে আমিও রাগান্বিত হলাম।

আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা আমার দিকে এভাবে চোখ ঘুরিয়ে দেখছো কেন? বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা সুবহানাল্লাহ বললো। সালাত আদায় শেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (সালাতের মধ্যে) কে কথাবার্তা বলেছে? বলা হলো, এই গ্রাম্য লোকটি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডেকে নিয়ে বললেন, সালাতে কুরআন পাঠ ও আল্লাহর স্মরণ করা হয়। কাজেই সালাতরত অবস্থায় তোমার তা-ই করা উচিত। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাইতে অধিক নম্র ও বিনয়ী শিক্ষক আর কখনো দেখিনি।[1]

দুর্বল।

باب تَشْمِيتِ الْعَاطِسِ فِي الصَّلَاةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ النَّسَائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ هِلَالِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ لَمَّا قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم عُلِّمْتُ أُمُورًا مِنْ أُمُورِ الإِسْلَامِ فَكَانَ فِيمَا عُلِّمْتُ أَنْ قَالَ لِي ‏"‏ إِذَا عَطَسْتَ فَاحْمَدِ اللهَ وَإِذَا عَطَسَ الْعَاطِسُ فَحَمِدَ اللهَ فَقُلْ يَرْحَمُكَ اللهُ ‏"‏ ‏‏ قَالَ فَبَيْنَمَا أَنَا قَائِمٌ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فِي الصَّلَاةِ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ فَحَمِدَ اللهَ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللهُ رَافِعًا بِهَا صَوْتِي فَرَمَانِي النَّاسُ بِأَبْصَارِهِمْ حَتَّى احْتَمَلَنِي ذَلِكَ
فَقُلْتُ مَا لَكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ بِأَعْيُنٍ شُزْرٍ قَالَ فَسَبَّحُوا فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلَاةَ قَالَ ‏"‏ مَنِ الْمُتَكَلِّمُ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ هَذَا الأَعْرَابِيُّ فَدَعَانِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي ‏"‏ إِنَّمَا الصَّلَاةُ لِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَذِكْرِ اللهِ جَلَّ وَعَزَّ فَإِذَا كُنْتَ فِيهَا فَلْيَكُنْ ذَلِكَ شَأْنَكَ ‏"‏ ‏.‏ فَمَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَطُّ أَرْفَقَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم ‏.‏

- ضعيف


Mu’awiyah b. al-Hakam al-Sulami said ; when I came to the Messenger of Allah (ﷺ) I learnt many things about islam. One of the things that I was taught was that it was that it was pointed out me. When you sneeze, praise Allah (I,e, say “praise be to Allah”); and when someone sneezes and praises Allah, say “ May Allah have mercy on you. Meanwhile I was standing along with the Messenger of Allah (may peace be upon him) during prayer, all of a sudden a man sneezed, and he praised Allah. So I said, “may Allah have mercy on you”, in a loud voice. The people gave me disapproving looks so much so that I took ill of it. So I said : what do you mean by looking at me with furtive glances. Then they glorified Allah. When the prophet (ﷺ) finished his prayer, he asked; who was the speaker? The Prophet told him; this Bedouin. The Messenger of Allah (ﷺ) called me and said to me: Prayer is meant for the recitation of the Quran, and making mention of Allah. When you are in it (prayer), this should be your work therein. I never saw an instructor more lenient than the Messenger of Allah (ﷺ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯. কাফফারাহ হিসেবে মু‘মিন দাসী আযাদ করা

৩২৮২। মু’আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমার একটি বাঁদী আছে। আমি তাকে জোরে থাপ্পড় মেরেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এটা কষ্টদায়ক মনে হলো। আমি বললাম, তাকে আযাদ করে দেই? তিনি বললেনঃ তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাকে নিয়ে এলে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আল্লাহ কোথায়? সে বলল, আকাশে। এরপর বললেন, আমি কে? সে বললো, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি আমাকে বললেনঃ তাকে আযাদ করে দাও, কারণ সে মু’মিনা।[1]

بَابٌ فِي الرَّقَبَةِ الْمُؤْمِنَةِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ الْحَجَّاجِ الصَّوَّافِ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلَالِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، جَارِيَةٌ لِي صَكَكْتُهَا صَكَّةً، فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: أَفَلَا أُعْتِقُهَا؟ قَالَ: ائْتِنِي بِهَا، قَالَ: فَجِئْتُ بِهَا، قَالَ: أَيْنَ اللَّهُ؟ قَالَتْ: فِي السَّمَاءِ، قَالَ: مَنْ أَنَا؟ قَالَتْ: أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ، قَالَ: أَعْتِقْهَا فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ

صحيح


Narrated Mu'awiyah b. al-Hakam al-Sulami: I said: Messenger of Allah, I have a slave girl whom I slapped. This grieved the Messenger of Allah (ﷺ). I said to him: Should I not emancipate her? He said: Bring her to me. He said: Then I brought her. He asked: Where is Allah ? She replied: In the heaven. He said: Who am I ? She replied: You are the Messenger of Allah. He said: Emancipate her, she is a believer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »