পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৪৭(১)। আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ আল-কাত্তান (রহঃ) ... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফরে ছিলাম। লোকজন সারা রাত ধরে সফর অব্যাহত রাখলো। এমনকি যখন প্রভাত ঘনিয়ে এলো তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্রাম নেয়ার জন্য যাত্রাবিরতি করলেন। লোকজনের চোখে প্রবল ঘুম চাপলো এবং তারা ঘুমিয়ে গেল, এমনকি সূর্য উপরে উঠে গেল। লোকজনের মধ্যে সর্বপ্রথম আবু বাকর (রাঃ) সজাগ হলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে সজাগ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কেউ তাকে ঘুম থেকে সজাগ করেনি। উমার (রাঃ) ঘুম থেকে সজাগ হয়ে তাঁর মাথার কাছে বসে সশব্দে তাকবীর বলতে লাগলেন। তাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে সজাগ হলেন। তিনি সজাগ হয়ে দেখলেন, সূর্য উঠে গেছে। তিনি বললেনঃ তোমরা রওয়ানা হও। তিনি কিছু দূর সফর করলেন, ততক্ষণ সূর্য উজ্জ্বল হলো। তিনি জন্তযান থেকে অবতরণ করলেন এবং আমাদের নিয়ে নামায পড়লেন।
লোকজনের মধ্যে এক ব্যক্তি বিচ্ছিন্ন থাকলো, আমাদের সাথে নামায পড়লো না। তিনি নামায শেষ করে বললেনঃ হে অমুক! কোন জিনিস তোমাকে আমাদের সঙ্গে নামায পড়া থেকে বিরত রেখেছে? সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি নাপাক হয়েছি। অতঃপর তিনি তাকে পাক মাটি দিয়ে তাইয়াম্মুম করে নামায পড়ার নির্দেশ দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দ্রুত সামনের একটি কাফেলায় গিয়ে পানি তালাশ করতে বললেন। তখন আমরা প্রচণ্ড তৃষ্ণার্ত ছিলাম। তথাপি আমরা সফর অব্যাহত রাখলাম। আমরা সামনে এক মহিলাকে দেখতে পেলাম। সে তার পদদ্বয় পানির মশকের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিল। আমরা তাকে বললাম, পানি কোথায়? সে বলল, এখানে পানি নেই। আমরা তাকে বললাম, তোমার পরিবার থেকে পানি কতটুকু দূরে? সে বলল, এক দিন এক রাতের পথ (দূরে)।
আমরা তাকে বললাম, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট চলো। সে বলল, রাসূলুল্লাহ কি? তার আমাদের সাথে না গিয়ে কোন উপায়ান্তর ছিলো না। অতএব আমরা তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম এবং সে যা বলেছে তাও তাঁর নিকট বর্ণনা করলাম। তবে সে বলল, সে ইয়াতীম শিশুর জননী। তিনি বলেন, তিনি তার মশক দু’টি নামানোর নির্দেশ দিলেন। আমরা চল্লিশজন পিপাসিত ব্যক্তি তৃপ্তি মিটিয়ে পানি পান করলাম এবং আমাদের সমস্ত মশক ও পাত্র ভরে (পানি) নিলাম। আমাদের ঐ সঙ্গী গোসল করলো। তবে আমরা উট হাঁকাইনি (পানি পান করাইনি)। তার মশক পানির প্রাচুর্যে ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
তিনি আমাদের বললেনঃ তোমাদের কাছে যা আছে নিয়ে এসো। অতএব সেই মহিলার জন্য মাংস ও খেজুর একত্র করা হলো। এমনকি তার জন্য একটি থলিতে তা ভর্তি করা হলো। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি যাও এবং এ থেকে তোমার পরিবারের লোকদের খেতে দাও। আর তুমি জেনে রাখো! আমরা তোমার পানি মোটেও খরচ করিনি। সে তার পরিবারের লোকজনের নিকট এসে বলল, আমি অবশ্যই একজন বড় যাদুকরের সাথে সাক্ষাত করেছি, তবে কি তিনি নবী? যেমন তারা ধারণা করেন। আল্লাহ সেই মহিলার কারণে ঐ সম্প্রদায়কে হেদায়াত দান করেন। ফলে সেই মহিলা ইসলাম গ্রহণ করলো এবং তারাও ইসলাম গ্রহণ করলো (বুখারী, তায়াম্মুম, বাব ৬, নং ৩৪৪; মুসলিম)।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ الْقَطَّانُ ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ الْهَيْثَمِ ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ ، نَا سَلْمُ بْنُ زَرِيرٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ يَقُولُ : حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ ، قَالَ : " كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَدْلَجُوا لَيْلَتَهُمْ ، حَتَّى إِذَا كَانُوا فِي وَجْهِ الصُّبْحِ ، عَرَّسَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَغَلَبَتْهُمْ أَعْيُنُهُمْ ، حَتَّى ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنِ اسْتَيْقَظَ مِنْ مَنَامِهِ أَبُو بَكْرٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - وَكَانَ لَا يُوقِظُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنْ مَنَامِهِ أَحَدٌ ، حَتَّى يَسْتَيْقِظَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَاسْتَيْقَظَ عُمَرُ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فَقَعَدَ عِنْدَ رَأْسِهِ ، وَجَعَلَ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ صَوْتَهُ ، حَتَّى اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ فَرَأَى الشَّمْسَ قَدْ بَزَغَتْ ، قَالَ : " ارْتَحِلُوا " . فَسَارَ شَيْئًا حَتَّى إِذَا ابْيَضَّتِ الشَّمْسُ نَزَلَ فَصَلَّى بِنَا ، وَاعْتَزَلَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لَمْ يُصَلِّ مَعَنَا ، فَلَمَّا انْصَرَفَ ، قَالَ : " يَا فُلَانُ ، مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَنَا ؟ " ، قَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ . فَأَمَرَهُ أَنْ يَتَيَمَّمَ الصَّعِيدَ ، ثُمَّ صَلَّى ، فَعَجِلَنِي رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي رَكْبٍ بَيْنَ يَدَيْهِ أَطْلُبُ الْمَاءَ ، وَقَدْ عَطِشْنَا عَطَشًا شَدِيدًا ، فَبَيْنَا نَحْنُ نَسِيرُ إِذَا نَحْنُ بِامْرَأَةٍ سَادِلَةٍ رِجْلَيْهَا بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ ، قُلْنَا لَهَا : أَيْنَ الْمَاءُ ؟ قَالَتْ : أَيْهَاتَ أَيْهَاتَ ، لَا مَاءَ . قُلْنَا : كَمْ بَيْنَ أَهْلِكِ وَبَيْنَ الْمَاءِ ؟ قَالَتْ : يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ . قُلْنَا : انْطَلِقِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . فَقَالَتْ : وَمَا رَسُولُ اللَّهِ ؟ فَلَمْ نُمْلِّكْهَا مِنْ أَمْرِهَا شَيْئًا حَتَّى اسْتَقْبَلْنَا بِهَا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَحَدَّثَتْهُ بِمِثْلِ الَّذِي حَدَّثَتْنَا غَيْرَ أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا مُؤْتِمَةٌ ، قَالَ : فَأَمَرَ بِمَزَادَتَيْهَا فَمَجَّ فِي الْعَزْلَاوَيْنِ ، فَشَرِبْنَا عِطَاشًا أَرْبَعِينَ رَجُلًا حَتَّى رَوِينَا ، وَمَلَأْنَا كُلَّ قِرْبَةٍ مَعَنَا وَإِدَاوَةٍ ، وَغَسَّلْنَا صَاحِبَنَا غَيْرَ أَنَّا لَمْ نَسْقِ بَعِيرًا ، وَهِيَ تَكَادُ تَتَصَدَّعُ مِنَ الْمَاءِ ، ثُمَّ قَالَ لَنَا : " هَاتُوا مَا عِنْدَكُمْ " . فَجَمَعَ لَهَا مِنَ الْكِسَرِ وَالتَّمْرِ حَتَّى صَرَّ لَهَا صُرَّةً ، فَقَالَ : " اذْهَبِي فَأَطْعِمِي عِيَالَكِ وَاعْلَمِي أَنَّا لَمْ نَرْزَأْ مِنْ مَائِكِ شَيْئًا " . فَلَمَّا أَتَتْ أَهْلَهَا ، قَالَتْ : لَقَدْ لَقِيتُ أَسْحَرَ النَّاسِ أَوْ هُوَ نَبِيٌّ كَمَا زَعَمُوا . فَهَدَى اللَّهُ ذَلِكَ الصِّرْمَ بِتِلْكَ الْمَرْأَةِ ، وَأَسْلَمَتْ وَأَسْلَمُوا . أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ ، عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ بِهَذَا الْإِسْنَادِ وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ سَعِيدٍ الدَّارِمِيِّ ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْحَنَفِيِّ ، عَنْ سَلْمِ بْنِ زَرِيرٍ
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৪৮(২). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে আমাদের নিয়ে সফর করলেন। অতঃপর আমরা (রাতের শেষভাগে) ঘুমিয়ে গেলাম এবং (সকালবেলা) আমরা কেবল সূর্যের তাপেই সজাগ হলাম। আমাদের মধ্যে ছয় ব্যক্তি (প্রথমে) সজাগ হলো যাদের নাম আমি ভুলে গেছি। তারপর আবু বাকর (রাঃ) সজাগ হলেন এবং তিনি তাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জাগাতে নিষেধ করলেন। তিনি বললেন, হতে পারে আল্লাহ তাকে কোন প্রয়োজনে (ঘুমে) আটক করে রেখেছেন। আবু বাকর (রাঃ) অধিক তাকবীর ধ্বনি দিতে থাকলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সজাগ হলেন। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের নামাযের ওয়াক্ত চলে গেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের নামাযের ওয়াক্ত চলে যায়নি। তোমরা এই স্থান থেকে প্রস্থান করো।
এরপর তিনি রওয়ানা হয়ে কিছু দুর গেলেন, তারপর বাহন থেকে অবতরণ করে নামায পড়লেন। তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে নামায পড়েনি। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন্ জিনিস তোমাকে নামায পড়তে বাধা দিয়েছে? সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি নাপাক হয়েছি। তিনি বললেনঃ তুমি পাক মাটি দিয়ে তাইয়াম্মুম করে নামায পড়ো। আর যখন তুমি পানি ব্যবহার করার সুযোগ পাবে, তখন গোসল করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ)-কে পানির খোঁজে পাঠালেন। আমাদের প্রত্যেকের কাঁধে খরগোশের দুই কান সুদৃশ পাত্র ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিপাসার্ত হলে আমরা দ্রুত তাঁর নিকট পানি নিয়ে যেতাম। আলী (রাঃ) পানির খোঁজে চলে গেলেন। কিন্তু অনেক বেলা হয়ে গেল তখনও তিনি পানি পেলেন না। উৎকণ্ঠিত হয়ে আলী (রাঃ) বললেন, তোমরা এখানে অপেক্ষা করো, আমি দেখে আসি ওটা কি?
রাবী বলেন, দেখা গেল, দুইটি পানির মশকের মাঝখানে এক মহিলা। তাকে বলা হলো, হে আল্লাহর দাসী! কোথায় পানি পাওয়া যায়? সে বলল, পানি নেই। তোমাদের আল্লাহর শপথ করে বলছি। আমি গতকাল পানি পান করেছি। এরপর আমি পূর্ণ এক রাত-দিন সফর করেছি। এই মুহুর্তে আমি এখানে। তারা তাকে বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট চলো। সে বলল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে? তারা বললেন, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। সে বলল, কুরাইশ গোত্রের পাগল! তারা বললেন, নিশ্চয়ই তিনি পাগল নন, বরং আল্লাহর রাসূল। সে বলল, হে লোকসকল! তোমরা আমার রাস্তা ছেড়ে দাও। আল্লাহর শপথ! আমি আমার বাচ্চা মেয়েকে ছাগলের পালে রেখে এসেছি। অবশ্যই আমি ভয় পাচ্ছি যে, আমি তথায় পৌছে তাদেরকে পাবো না, এমনকি তাদের কতক তৃষ্ণায় মারা যেতে পারে। তারা তার কথায় কর্ণপাত না করে তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিয়ে এলেন।
তিনি তার উট সম্পর্কে নির্দেশ দিলে তা বসানো হলো, এরপর তিনি মশকের উপরিভাগের মুখ খোললেন, তারপর একটি বৃহদাকার পাত্র নিয়ে ডাকলেন। তিনি পানি দিয়ে সেই পাত্র ভরে পাশের ব্যক্তিকে দিলেন এবং বললেন, যাও, (এই পানি দিয়ে) গোসল করো। রাবী বলেন, আল্লাহর শপথ! আমরা সমস্ত পাত্র ও মশক পানি দিয়ে ভরলাম, আর সেই (মহিলা) তা দেখছিল। তারপর তিনি মশকের উপরিভাগের মুখ বাঁধলেন এবং তাকে উটসহ পাঠিয়ে দিলেন। তিনি বললেনঃ হে মহিলা! তোমার পানি ফেরত লও। আল্লাহর শপথ! যদি আল্লাহ পানি বাড়িয়ে না দিতেন (তাহলে কতইনা অসুবিধা হতো)। তোমার পানি এক ফোটাও কমেনি, তিনি তার জন্য একটি চাদর নিয়ে ডাকলেন এবং তা বিছিয়ে দিলেন, তারপর আমাদের বললেনঃ যার কাছে যা কিছু আছে সে যেন তা নিয়ে আসে। অতএব কেউ পুরাতন জুতা, কেউ পুরাতন কাপড়, কেউ এক মুষ্টি বার্লি, কেউ এক মুষ্টি খেজুর এবং কেউ রুটির টুকরা আনলো। তিনি তার জন্য এগুলো জমা করলেন, তারপর এগুলো তার জন্য বাঁধলেন, অতঃপর তার নিকট তার গোত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। সে তাকে অবহিত করলো।
রাবী বলেন, সে তার গোত্রে ফিরে এলো। তারা বলল, কোন জিনিস তোমাকে আটকিয়ে রেখেছিল? সে বলল, আমাকে কুরাইশ গোত্রের এক পাগলে ধরেছিল। আলাহর শপথ! নিশ্চয়ই সে দুইজনের একজন। হয় সে আসমান ও জমিনের মাঝে সর্বাধিক অভিজ্ঞ জাদুকর অথবা নিশ্চয়ই সে আল্লাহর সত্য রাসূল। রাবী বলেন, তাদের নিকটবর্তী যারা ছিল, তাদের উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অশ্বারোহী বাহিনী আক্রমণ করলো, কিন্তু তারা (ঐ নারীর গোত্র) নিরাপদ থাকলো। রাবী বলেন, (সেই) মহিলা তার গোত্রকে বলল, হে (আমার) গোত্র! আল্লাহর শপথ! আমি এই ব্যক্তিকে তোমাদের পানি নেয়ার পর তার জন্য তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই দেখেছি। তোমরা কি দেখো না, তিনি তোমাদের পার্শ্ববর্তী। লোকদের আক্রমণ করেছেন, কিন্তু তোমরা তার থেকে নিরাপদ রয়েছ, তিনি তোমাদের আক্রমণ করছেন না? তোমাদের কি কল্যাণ লাভের প্রয়োজন আছে? তারা বলল, তা (কল্যাণ) কি? মহিলা বলল, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করবো। রাবী বলেন, অতএব সেই মহিলা তার পরিবারের তিরিশজনকে নিয়ে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বাইআত হলো এবং ইসলাম গ্রহণ করলো।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا عَلِيُّ بْنُ مُسْلِمٍ ، نَا أَبُو دَاوُدَ ، نَا عَبَّادُ بْنُ رَاشِدٍ ، سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيَّ ، قَالَ : سَمِعْتُ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ يَقُولُ : سَارَ بِنَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ذَاتَ لَيْلَةٍ ، ثُمَّ عَرَّسْنَا فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ إِلَّا بِحَرِّ الشَّمْسِ ، فَاسْتَيْقَظَ مِنَّا سِتَّةٌ قَدْ نَسِيتُ أَسْمَاءَهُمْ ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ أَبُو بَكْرٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فَجَعَلَ يَمْنَعُهُمْ أَنْ يُوقِظُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، وَيَقُولُ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَكُونَ احْتَبَسَهُ فِي حَاجَتِهِ فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يُكْثِرُ التَّكْبِيرَ ، فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، ذَهَبَتْ صَلَاتُنَا ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " لَمْ تَذْهَبْ صَلَاتُكُمُ ، ارْتَحِلُوا مِنْ هَذَا الْمَكَانِ " . فَارْتَحَلَ فَسَارَ قَرِيبًا ، ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى . فَقَالَ : " أَمَا إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَتَمَّ صَلَاتَكُمْ " . فَقَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، فَإِنَّ فُلَانًا لَمْ يُصَلِّ مَعَنَا . فَقَالَ لَهُ : " مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُصَلِّيَ ؟ " . قَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ . قَالَ : " فَتَيَمَّمِ الصَّعِيدَ ، وَصَلِّهْ ، فَإِذَا قَدَرْتَ عَلَى الْمَاءِ فَاغْتَسِلْ " . ، وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلِيًّا فِي طَلَبِ الْمَاءِ ، وَمَعَ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنَّا إِدَاوَةٌ ، مِثْلُ أُذُنَىِ الْأَرْنَبِ ، بَيْنَ جِلْدِهِ ، وَثَوْبِهِ فَإِذَا عَطِشَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ابْتَدَرْنَاهُ بِالْمَاءِ ، فَانْطَلَقَ حَتَّى ارْتَفَعَ عَلَيْهِ النَّهَارُ ، وَلَمْ يَجِدْ مَاءً فَإِذَا شَخْصٌ ، قَالَ عَلِيٌّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - مَكَانَكُمْ حَتَّى نَنْظُرَ مَا هَذَا . قَالَ : فَإِذَا امْرَأَةٌ بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ مِنْ مَاءٍ ، فَقِيلَ لَهَا : يَا أَمَةَ اللَّهِ ، أَيْنَ الْمَاءُ ؟ قَالَتْ : لَا مَاءَ وَاللَّهِ لَكَمِ اسْتَقَيْتُ أَمْسِ فَسِرْتُ نَهَارِي وَلَيْلَتِي جَمِيعًا ، وَقَدْ أَصْبَحْنَا إِلَى هَذِهِ السَّاعَةِ . قَالُوا لَهَا : انْطَلِقِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . قَالَتْ : وَمَنْ رَسُولُ اللَّهِ ؟ قَالُوا : مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . قَالَتْ : مَجْنُونُ قُرَيْشٍ ! . قَالُوا : إِنَّهُ لَيْسَ بِمَجْنُونٍ ، وَلَكِنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . قَالَتْ : يَا هَؤُلَاءِ ، دَعُونِي فَوَاللَّهِ لَقَدْ تَرَكْتُ صِبْيَةً لِي صِغَارًا فِي غُنَيْمَةٍ ، قَدْ خَشِيتُ أَنْ لَا أُدْرِكَهُمْ حَتَّى يَمُوتَ بَعْضُهُمْ مِنَ الْعَطَشِ ، فَلَمْ يُمَلِّكُوهَا مِنْ نَفْسِهَا شَيْئًا حَتَّى أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِهَا ، فَأَمَرَ بِالْبَعِيرِ فَأُنِيخَ ، ثُمَّ حَلَّ الْمَزَادَةَ مِنْ أَعْلَاهَا ، ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ عَظِيمٍ ، فَمَلَأَهُ مِنَ الْمَاءِ ، ثُمَّ دَفَعَهُ إِلَى الْجُنُبِ ، فَقَالَ : " اذْهَبْ فَاغْتَسِلْ " . قَالَ : وَايْمُ اللَّهِ مَا تَرَكْنَا مِنْ إِدَاوَةٍ وَلَا قِرْبَةٍ وَلَا إِنَاءٍ إِلَّا مَلَأَهُ مِنَ الْمَاءِ وَهِيَ تَنْظُرُ ، قَالَ : ثُمَّ شَدَّ الْمَزَادَةَ مِنْ أَعْلَاهَا ، وَبَعَثَ بِالْبَعِيرِ ، وَقَالَ : " يَا هَذِهِ ، دُونَكِ مَاءَكِ ، فَوَاللَّهِ إِنْ لَمْ يَكُنِ اللَّهُ زَادَ فِيهِ مَا نَقَصَ مِنْ مَائِكِ قَطْرَةٌ " . وَدَعَا لَهَا بِكِسَاءٍ فَبُسِطَ ، ثُمَّ قَالَ لَنَا : " مَنْ كَانَ عِنْدَهُ شَيْءٌ فَلْيَأْتِ بِهِ " . فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَأْتِي بِخَلَقِ النَّعْلِ ، وَخَلَقِ الثَّوْبِ ، وَالْقَبْضَةِ مِنَ الشَّعِيرِ ، وَالْقَبْضَةِ مِنَ التَّمْرِ ، وَالْفَلْقَةِ مِنَ الْخُبْزِ حَتَّى جَمَعَ لَهَا ذَلِكَ ، ثُمَّ أَوْكَاهُ لَهَا فَسَأَلَهَا عَنْ قَوْمِهَا ، فَأَخْبَرَتْهُ ، قَالَ : فَانْطَلَقَتْ حَتَّى أَتَتْ قَوْمَهَا ، قَالُوا : مَا حَبَسَكِ ؟ قَالَتْ : أَخَذَنِي مَجْنُونُ قُرَيْشٍ ، وَاللَّهِ إِنَّهُ لَأَحَدُ الرَّجُلَيْنِ : إِمَّا أَنْ يَكُونَ أَسْحَرَ مَنْ بَيْنَ هَذِهِ وَهَذِهِ - تَعْنِي السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ - ، أَوْ إِنَّهُ لَرَسُولُ اللَّهِ حَقًّا . قَالَ : فَجَعَلَتْ خَيْلُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - تُغِيرُ عَلَى مَنْ حَوْلَهُمْ وَهُمْ آمِنُونَ ، قَالَ : فَقَالَتِ الْمَرْأَةُ لِقَوْمِهَا : أَيْ قَوْمِ ، وَاللَّهِ مَا أَرَى هَذَا الرَّجُلَ إِلَّا قَدْ شَكَرَ لَكُمْ مَا أَخَذَ مِنْ مَائِكُمْ ، أَلَا تَرَوْنَ أَنَّهُ يُغَارُ عَلَى مَنْ حَوْلَكُمْ وَأَنْتُمْ آمِنُونَ لَا يُغَارُ عَلَيْكُمْ . هَلْ لَكُمْ فِي خَيْرٍ ؟ قَالُوا : وَمَا هُوَ ؟ قَالَتْ : نَأْتِي رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَنُسْلِمُ . قَالَ : فَجَاءَتْ تَسُوقُ بِثَلَاثِينَ أَهْلِ بَيْتٍ حَتَّى بَايَعُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَسْلَمُوا
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৪৯(৩). আল-হুসাইন (রহঃ) ... ইমরান ইবনে হুসাইন আল-খুযাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। আমরা এক রাতে সফর করলাম। শেষ রাতে আমরা এই ঘটনার শিকার হলাম এবং মুসাফিরদের নিকট এমন কিছু ছিলো না যা দ্বারা আমি এই বিপদ দূর করবো। কেবল সূর্যের তাপই আমাদের সজাগ করেছে... তারপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
তিনি তাতে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনছ হে অমুক! তোমার কী হয়েছে যে, তুমি আমাদের সঙ্গে নামায পড়লে না? সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি নাপাক হয়েছি এবং পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেনঃ তুমি অবশ্যই মাটি দ্বারা তাইয়াম্মুম করো। এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। এই হাদীসে রাবী আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পাত্র নিয়ে ডাকলেন। তিনি তাতে দুটি মশক অথবা দু’টি থলের মুখ দিয়ে পানি ঢাললেন, তারপর কুলি করলেন, পুনরায় পাত্র থেকে পানি নিলেন, তারপর তা পাত্রে ফেললেন, তারপর তা উক্ত মশকদ্বয়ে ঢেলে দিলেন। তারপর উভয় পাত্রের মুখ ঢেকে দিলেন এবং রশি খুলে রাখলেন। আর মানুষের মধ্যে ঘোষণা করা হলো, তোমরা (পশুকে) পানি পান করাও এবং নিজেরাও পান করো।
অতঃপর যাদের (পশুকে) পান করানোর প্রয়োজন তারা পান করালো এবং যাদের পান করার প্রয়োজন ছিল তারাও পান করলো। শেষে তিনি নাপাক ব্যক্তিকে এক পাত্র পানি দিলেন এবং বললেনঃ তোমার উপর পানি ঢালো (গোসল করো)। আর সেই মহিলা দাড়িয়ে থেকে দেখছিল, তার পানি দিয়ে কি করা হচ্ছে। আল্লাহর শপথ! সে তা তখন ছাড়ল যখন তা থেকে প্রয়োজন পরিপূর্ণভাবে শেষ করল। আমাদের মনে হচ্ছিল, (মশক) আগের তুলনায় এখন বেশী পরিপূর্ণ। রাবী এই হাদীসের অবশিষ্ট অংশ পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ ، وَالْقَاسِمُ ابْنَا إِسْمَاعِيلَ ، قَالَا : نَا مَحْمُودُ بْنُ خِدَاشٍ ، نَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ ، نَا عَوْفٌ الْأَعْرَابِيُّ ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ ، نَا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ الْخُزَاعِيُّ ، قَالَ : " كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي سَفَرٍ ، وَإِنَّا سَرَيْنَا ذَاتَ لَيْلَةٍ ، حَتَّى إِذَا كَانَ فِي آخِرِ اللَّيْلِ وَقَعْنَا تِلْكَ الْوَقْعَةَ ، وَلَا وَقْعَةَ عِنْدَ الْمُسَافِرِ أَحْلَى مِنْهَا ، فَمَا أَيْقَظَنَا إِلَّا حَرُّ الشَّمْسِ .... " ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ ، وَقَالَ فِيهِ : فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " يَا فُلَانُ ، مَا لَكَ لَمْ تُصَلِّ مَعَنَا ؟ " . قَالَ : أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، وَلَا مَاءَ . فَقَالَ : " عَلَيْكَ بِالصَّعِيدِ ؛ فَإِنَّهُ يَكْفِيكَ " . وَقَالَ فِيهِ أَيْضًا : " وَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِإِنَاءٍ فَأَفْرَغَ فِيهِ مِنْ أَفْوَاهِ الْمَزَادَتَيْنِ أَوِ السَّطِيحَتَيْنِ ، ثُمَّ تَمَضْمَضَ ، ثُمَّ أَعَادَهُ فِي الْإِنَاءِ ، ثُمَّ أَعَادَهُ فِي أَفْوَاهِهِمَا ، وَأَوْكَأَهُمَا ، وَأَطْلَقَ الْعَزَالِيَ . وَنُودِيَ فِي النَّاسِ أَنِ اسْقُوا وَاسْتَقُوا ، فَسَقَى مَنْ سَقَى ، وَاسْتَقَى مَنِ اسْتَقَى ، وَآخِرُ ذَلِكَ : أَنْ أَعْطَى الرَّجُلَ الَّذِي أَصَابَتْهُ الْجَنَابَةُ إِنَاءً مِنْ مَاءٍ ، فَقَالَ : " أَفْرِغْهُ عَلَيْكَ " . وَهِيَ قَائِمَةٌ تَنْظُرُ إِلَى مَا يُصْنَعُ بِمَائِهَا ، وَايْمُ اللَّهِ ، لَقَدْ أَقْلَعَ عَنْهَا - حِينَ أَقْلَعَ - وَإِنَّهُ لَيُخَيَّلُ إِلَيْنَا أَنَّهَا أَشَدُّ مَمَّا كَانَتْ حَيْثُ ابْتَدَأَ فِيهَا ...... " وَذَكَرَ بَاقِيَ الْحَدِيثِ نَحْوَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৫০(৪). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন যে সফররত অবস্থায় নাপাক হলো। তার সাথে সামান্য পানি ছিল। সে (তা দিয়ে গোসল করলে) পিপাসার্ত হওয়ার আশংকা করছে। তিনি বলেন, সে তাইয়াম্মুম করবে এবং গোসল করবে না।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ أَخُو كَرْخَوَيْهِ ، أَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ ، أَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ ، عَنْ زَاذَانَ ، عَنْ عَلِيٍّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فِي الرَّجُلِ يَكُونُ فِي السَّفَرِ ، فَتُصِيبُهُ الْجَنَابَةُ ، وَمَعَهُ الْمَاءُ الْقَلِيلُ يَخَافُ أَنْ يَعْطَشَ ، قَالَ : " يَتَيَمَّمُ وَلَا يَغْتَسِلُ
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৫১(৫). আল-হুসাইন (রহঃ) ... ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তার নিকট একটি লাশ উপস্থিত করা হলো। তখন তার উযু ছিলো না। অতএব তিনি তাইয়াম্মুম করলেন, তারপর তার জানাযার নামায পড়লেন।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ أَبِي مَذْعُورٍ ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ ، نَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ : " أَنَّهُ أُتِيَ بِجَنَازَةٍ وَهُوَ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ فَتَيَمَّمَ ، ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهَا
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৫২(৬). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... খারিজা ইবনে যায়েদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়েদ ইবনে সাবেত (রাঃ) বহুমুত্র রোগে আক্রান্ত ছিলেন। পেশাব প্রবল হলে তিনি তা জানতেন এবং পেশাব প্রবল হলে তিনি তা ছেড়ে দিতেন (আটক করে রাখতেন না)। তিনি নামায পড়তেন আর তখন পেশাব বের হতে থাকতো।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي سَعْدٍ ، نَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى ، نَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ ، قَالَ : " كَانَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ قَدْ سَلِسَ مِنْهُ الْبَوْلُ ، فَكَانَ يُدَارِي مَا غَلَبَهُ مِنْهُ ، فَلَمَّا غَلَبَهُ أَرْسَلَهُ ، وَكَانَ يُصَلِّي وَهُوَ يَخْرُجُ مِنْهُ
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৫৩(৭). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... খারিজা ইবনে যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়েদ ইবনে সাবেত (রাঃ) বার্ধক্যে উপনীত হলে বহুমুত্র রোগে আক্রান্ত হন। তিনি যথাসাধ্য তা (পেশাব) নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতেন। যখন তার পেশাবের প্রবল বেগ হতো তখন তিনি উযু করতেন এবং নামায পড়তেন।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ ، نَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ ، أَنَا مَعْمَرٌ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ ، قَالَ : " كَبِرَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ حَتَّى سَلِسَ مِنْهُ الْبَوْلُ ، فَكَانَ يُدَارِيهِ مَا اسْتَطَاعَ ، فَإِذَا غَلَبَ عَلَيْهِ تَوَضَّأَ وَصَلَّى
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৫৪(৮). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যদি (নামাযরত অবস্থায়) আমার উরুর উপর (পেশাব) গড়িয়ে পড়ে তবুও আমি ফিরে যাব না (নামায ছেড়ে দিবো না)। সুফিয়ান (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ পেশাব, যখন সে তাতে আক্রান্ত হবে।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، نَا أَحْمَدُ ، نَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ ، نَا سُفْيَانُ ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، قَالَ : " لَوْ سَالَ عَلَى فَخِذِي مَا انْصَرَفْتُ " . قَالَ سُفْيَانُ : يَعْنِي الْبَوْلَ إِذَا كَانَ مُبْتَلًى