পরিচ্ছেদঃ ৩৬. দুই পা গোড়ালি সমেত ধৌত করা ফরয
৩১০(১). উসমান ইবনে আহমাদ আদ-দাাককাক (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনে জায্ই আয-যুবায়দী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতার জন্য জাহান্নামের শাস্তি নির্ধারিত।
بَابُ وُجُوبِ غَسْلِ الْقَدَمَيْنِ وَالْعَقِبَيْنِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ الدَّقَّاقُ ، نَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْهَيْثَمِ ، نَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ ، ثَنَا اللَّيْثُ ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ الزُّبَيْدِيِّ ، قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " وَيْلٌ لِلْأَعْقَابِ وَبُطُونِ الْأَقْدَامِ مِنَ النَّارِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. দুই পা গোড়ালি সমেত ধৌত করা ফরয
৩১১(২). উসমান ইবনে আহমাদ আদ-দাক্কাক (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উযুর সময় তাঁর (হাত-পায়ের) আঙ্গুলগুলো খিলাল করতেন এবং পায়ের গোড়ালিদ্বয় মলতেন আর বলতেনঃ তোমরা তোমাদের আঙ্গুলগুলো খিলাল করো, তাহলে আল্লাহ তায়ালা সেগুলোকে শাস্তি দিবেন না। আর পায়ের গোড়ালির জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি।
بَابُ وُجُوبِ غَسْلِ الْقَدَمَيْنِ وَالْعَقِبَيْنِ
نَا عُثْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ الدَّقَّاقُ ، نَا عَلِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْوَاسِطِيُّ ، نَا الْحَارِثُ بْنُ مَنْصُورٍ ، نَا عُمَرُ بْنُ قَيْسٍ ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ ، عَنْ عُرْوَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَتَوَضَّأُ وَيُخَلِّلُ بَيْنَ أَصَابِعِهِ ، وَيَدْلُكُ عَقِبَيْهِ ، وَيَقُولُ : " خَلِّلُوا بَيْنَ أَصَابِعِكُمْ ، لَا يُخَلِّلُ اللَّهُ تَعَالَى بَيْنَهَا بِالنَّارِ ، وَيْلٌ لِلْأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. দুই পা গোড়ালি সমেত ধৌত করা ফরয
৩১২(৩). ইয়াকূব ইবনে ইবরাহীম আল-বাযযায (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা (উযুতে) তোমাদের (হাত-পায়ের) আঙ্গুলগুলো খিলাল করো। তাহলে মহামহিম আল্লাহ কিয়ামতের দিন সেগুলোকে জাহান্নামের শাস্তি দিবেন না।
بَابُ وُجُوبِ غَسْلِ الْقَدَمَيْنِ وَالْعَقِبَيْنِ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبَزَّازُ ، نَا عَلِيُّ بْنُ مُسْلِمٍ ، نَا يَحْيَى بْنُ مَيْمُونِ بْنِ عَطَاءٍ ، عَنْ لَيْثٍ ، عَنْ مُجَاهِدٍ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " خَلِّلُوا بَيْنَ أَصَابِعِكُمْ ؛ لَا يُخَلِّلُهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي النَّارِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. দুই পা গোড়ালি সমেত ধৌত করা ফরয
৩১৩(৪). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আলী ইবনে ইয়াহ্ইয়া ইবনে খাল্লাদ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে, তিনি তার চাচা রিফাআ ইবনে রাফে (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রিফা’আ ও মালেক ইবনে রাফে (রাঃ) দুই ভাই বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসা ছিলামঅথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা ছিলেন এবং আমরা তাঁর চারপাশে উপস্থিত ছিলাম। এই মুহূর্তে এক ব্যক্তি তাঁর নিকট প্রবেশ করে কিবলামুখী হয়ে নামায পড়লো। লোকটি নামায শেষ করার পর এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উপস্থিত লোকজনকে সালাম করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ এবং তোমাকেও (সালাম)। তুমি ফিরে গিয়ে আবার নামায পড়ো। কেননা তোমার নামায হয়নি।
লোকটি পুনরায় নামায পড়তে লাগলো এবং আমরা তার নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখলাম, কিন্তু আমরা বুঝতে পারলাম না, সে তার নামাযে কি ত্রুটি করছে। অতঃপর সে নামায শেষ করে এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উপস্থিত লোকজনকে সালাম করলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ “এবং তোমাকেও (সালাম), তুমি ফিরে যাও এবং আবারও নামায পড়ো। কেননা তোমার নামায হয়নি।
অধস্তন রাবী হাম্মাম (রহঃ) বলেন, আমি জানি না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এ ব্যাপারে দুইবার নাকি তিনবার নির্দেশ দিয়েছেন। লোকটি বলল, আমি আমার জানামতে, কোন ত্রুটি করিনি। আমি জানি না, আপনি আমার নামাযে কি ভুল ধরেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের কারো নামায পরিপূর্ণ হয় না---যতক্ষণ না সে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক উত্তমরূপে উযু করে। অতএব সে নিজের মুখমণ্ডল ধৌত করবে, উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে, তার মাথা মসেহ করবে, উভয় পা গোছা সমেত ধৌত করবে, অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে (নামায শুরু করবে) তাঁর সানা-সিফাত বর্ণনা করবে, তারপর সূরা আল-ফাতিহা পড়বে, তারপর সহজ একটি কিরাআত পড়বে। তারপর তাকবীর বলে রুকূ করবে, রুকূতে উভয় হাতের তালু উভয় হাঁটুতে রাখবে, শরীরের জোড়াসমূহ স্থির ও স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত, তারপর সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে (রুকূ থেকে উঠে) সোজা হয়ে দাঁড়াবে—পিঠ সোজা হওয়া ও প্রতিটি হাড় নিজ নিজ জোড়ায় স্থির হওয়া পর্যন্ত। তারপর তাকবীর বলে সিজদায় যাবে এবং মুখমণ্ডল (মাটিতে) স্থির রাখবে। (কোন কোন বর্ণনায়) হাম্মাম (রহঃ) বলেন, তিনি কখনো বলেনঃ কপাল মাটিতে রাখবে, শরীরের জোড়াগুলো স্থির ও স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত। তারপর তাকবীর বলে সিজদা থেকে উঠে পিঠ সোজা করে নিতম্বের উপর সোজা হয়ে বসবে। তিনি এভাবে চার রাকআত নামাযের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা দিলেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ তোমাদের কারো নামায পুর্ণাঙ্গ হবে না অনুরূপভাবে আদায় না করা পর্যন্ত।
بَابُ وُجُوبِ غَسْلِ الْقَدَمَيْنِ وَالْعَقِبَيْنِ
حَدَّثَنَا الْقَاضِي الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى ، نَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَالْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ - وَاللَّفْظُ لِأَبِي الْوَلِيدِ - قَالَا : نَا هَمَّامٌ ، نَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلَّادٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَمِّهِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ ، قَالَ : كَانَ رِفَاعَةُ وَمَالِكُ بْنُ رَافِعٍ أَخَوَيْنِ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ ، قَالَ : بَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، أَوْ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - جَالِسٌ ، وَنَحْنُ حَوْلَهُ ، إِذْ دَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ ، فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ ، وَصَلَّى ، فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ ، جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَعَلَى الْقَوْمِ ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " وَعَلَيْكَ ، ارْجِعْ فَصَلِّ ؛ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَجَعَلَ الرَّجُلُ يُصَلِّي ، وَنَحْنُ نَرْمُقُ صَلَاتَهُ ، لَا نَدْرِي مَا يَعِيبُ مِنْهَا ، فَلَمَّا صَلَّى جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَعَلَى الْقَوْمِ ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " وَعَلَيْكَ ، ارْجِعْ فَصَلِّ ؛ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . قَالَ هَمَّامٌ : فَلَا أَدْرِي أَمَرَهُ بِذَلِكَ مَرَّتَيْنِ ، أَوْ ثَلَاثًا ، فَقَالَ الرَّجُلُ : مَا أَلَوْتُ فَلَا أَدْرِي مَا عِبْتَ عَلَيَّ مِنْ صَلَاتِي ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " إِنَّهَا لَا تَتِمُّ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يُسْبِغَ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ : فَيَغْسِلُ وَجْهَهُ ، وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ، وَيَمْسَحُ بِرَأْسِهِ ، وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ، ثُمَّ يُكَبِّرُ اللَّهَ وَيُثْنِي عَلَيْهِ ، ثُمَّ يَقْرَأُ أُمَّ الْقُرْآنِ وَمَا أُذِنَ لَهُ فِيهِ وَتَيَسَّرَ ، ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَرْكَعُ ، وَيَضَعُ كَفَّيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ، وَيَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ، وَيَسْتَوِي قَائِمًا حَتَّى يُقِيمَ صُلْبَهُ ، وَيَأْخُذَ كُلُّ عَظْمٍ مَأْخَذَهُ ، ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَسْجُدُ فَيُمَكِّنُ وَجْهَهُ ، قَالَ : هَمَّامٌ : وَرُبَّمَا قَالَ : جَبْهَتَهُ - فِي الْأَرْضِ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ، ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَسْتَوِي قَاعِدًا عَلَى مَقْعَدَتِهِ ، وَيُقِيمُ صُلْبَهُ " . فَوَصَفَ الصَّلَاةَ هَكَذَا أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ حَتَّى فَرَغَ ، ثُمَّ قَالَ : " لَا تَتِمُّ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يَفْعَلَ ذَلِكَ
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. দুই পা গোড়ালি সমেত ধৌত করা ফরয
৩১৪(৫)। ইবরাহীম ইবনে হাম্মাদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আকীল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আলী ইবনুল হুসাইন (রহঃ) তাকে (রাবীকে) মুআব্বিয-কন্যা রুবাঈ (রাঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উযু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠান। তিনি (রুবাঈ’) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট আসতেন এবং তিনি তাঁকে উযুর পানি দিতেন। রাবী (আবদুল্লাহ) বলেন, অতএব আমি তার নিকট গেলাম এবং তিনি আমার সামনে একটি পাত্র বের করে বলেন, আমি এই পাত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে উযুর পানি দিতাম। তিনি উযুর শুরুতে তাঁর দুই হাত পানির পাত্রে প্রবেশ করানোর পূর্বে তিনবার করে ধৌত করতেন, তারপর উযু করতেন। অতএব তিনি তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ধৌত করেন, তিনবার কুলি করেন, তিনবার নাক পরিষ্কার করেন, তারপর উভয় হাত ধৌত করেন, তারপর সম্মুখভাগ ও পশ্চাদভাগসহ সমস্ত মাথা মসেহ করেন, তারপর উভয় পা ধৌত করেন।
রুবাঈ (রাঃ) বলেন, আমার নিকট তোমার চাচাতো ভাই অর্থাৎ ইবনে আব্বাস (রহঃ) এসেছিলেন। আমি তাকেও এই হাদীস শুনিয়েছি। তিনি বলেন, আমি কিতাবে দুইবার ধৌত করা ও দুইবার মসেহ করার কথা পেয়েছি। আমি রুবাঈ (রাঃ)-কে বললাম, এই পাত্রে কতটুকু পানি ধরে? তিনি বলেন, হাশেমী গোত্রের এক মুদ্দ অথবা শোয়া এক মুদ্দ পরিমাণ। আল-আব্বাস ইবনে ইয়াযীদ (রহঃ) বলেন, এই মহিলা সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কুলি ও নাক পরিষ্কার করার পূর্বে মুখমণ্ডল ধৌত করার দ্বারা উযু শুরু করেছেন। আর বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণ, যাদের মধ্যে রয়েছেন উসমান (রাঃ) ও আলী (রাঃ), তারা বলেন, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুখমণ্ডল ধৌত করার পূর্বে কুলি করা ও নাক পরিষ্কার করার দ্বারা উযু আরম্ভ করেন। লোকজন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের কথাই গ্রহণ করেছে।
بَابُ وُجُوبِ غَسْلِ الْقَدَمَيْنِ وَالْعَقِبَيْنِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمَّادٍ ، ثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ يَزِيدَ ، نَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ ؛ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ أَرْسَلَهُ إِلَى الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذٍ يَسْأَلُهَا ، عَنْ وُضُوءِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَقَالَتْ : إِنَّهُ كَانَ يَأْتِيهِنَّ ، وَكَانَتْ تُخْرِجُ لَهُ الْوَضُوءَ ، قَالَ : - فَأَتَيْتُهَا فَأَخْرَجَتْ إِلَيَّ إِنَاءً ، فَقَالَتْ : فِي هَذَا كُنْتُ أُخْرِجُ الْوَضُوءَ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَيَبْدَأُ فَيَغْسِلُ يَدَيْهِ قَبْلَ أَنْ يُدْخِلَهُمَا ثَلَاثًا ، ثُمَّ يَتَوَضَّأُ فَيَغْسِلُ وَجْهَهُ ثَلَاثًا ، ثُمَّ يُمَضْمِضُ ثَلَاثًا ، وَيَسْتَنْشِقُ ثَلَاثًا ، ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ ، ثُمَّ يَمْسَحُ بِرَأْسِهِ مُقْبِلًا وَمُدْبِرًا ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ، قَالَتْ : وَقَدْ أَتَانِي ابْنُ عَمٍّ لَكَ - تَعْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ - فَأَخْبَرْتُهُ ، فَقَالَ : مَا أَجِدُ فِي الْكِتَابِ إِلَّا غَسْلَتَيْنِ وَمَسْحَتَيْنِ ، فَقُلْتُ لَهَا : فَبِأَيِّ شَيْءٍ كَانَ الْإِنَاءُ ؟ قَالَتْ : قَدْرَ مُدٍّ بِالْهَاشِمِيِّ ، أَوْ مُدٍّ وَرُبُعٍ . قَالَ : الْعَبَّاسُ بْنُ يَزِيدَ : هَذِهِ الْمَرْأَةُ حَدَّثَتْ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنَّهُ بَدَأَ بِالْوَجْهِ قَبْلَ الْمَضْمَضَةِ وَالِاسْتِنْشَاقِ ، وَقَدْ حَدَّثَ أَهْلُ بَدْرٍ ، مِنْهُمْ عُثْمَانُ ، وَعَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ بَدَأَ بِالْمَضْمَضَةِ وَالِاسْتِنْشَاقِ قَبْلَ الْوَجْهِ ، وَالنَّاسُ عَلَيْهِ