পরিচ্ছেদঃ ১৫৪. যে ব্যাক্তি রুকু ও সিজদা হতে উঠে পিঠ সোজা করে না।
৮৫৭. মূসা ইবনু ইসমাঈল ..... আলী ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) থেকে তার চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে। অতঃপর তিনি পূর্ববর্তী হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ উযূ (ওজু/অজু/অযু)র অংগসমূহ উত্তমরূপে ধৌত না করলে নামায পূর্ণ হবে না। উযূর পর তাকবীরে তাহরীমা বলে হামদ ও ছানা পাঠ করতঃ কুরআন মজীদ হতে যা সম্ভব পাঠ করবে। অতঃপর “আল্লাহু আকবার” বলে রুকূতে যাবে এমতাবস্থায় যে, তার শরীরের জোড়াসমূহ স্ব-স্ব স্থানে যথারীতি অবস্থান করবে। অতঃপর “সামিআাল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলে স্থিরভাবে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। অতঃপর “আল্লাহু আকবার” বলে এমনভাবে সিজদা করবে যাতে শরীরের জোড়াসমূহ স্ব-স্ব স্থানে যথারীতি অবস্থান করে। পরে “আল্লাহু আকবার” বলে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে বসবে। এরপর পুনরায় “আল্লাহু আকবার” বলে পূর্ববৎ সিজদা করবে। অতঃপর “আল্লাহু আকবার” বলে সিজদা হতে মস্তক উত্তোলন করবে। যখন কোন ব্যক্তি এভাবে নামায আদায় করবে, তখনই তার নামায পরিপূর্ণ হবে। (তিরমিযী)।
باب صَلاَةِ مَنْ لاَ يُقِيمُ صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّ رَجُلاً، دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَذَكَرَ نَحْوَهُ قَالَ فِيهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهُ لاَ تَتِمُّ صَلاَةٌ لأَحَدٍ مِنَ النَّاسِ حَتَّى يَتَوَضَّأَ فَيَضَعَ الْوُضُوءَ " . يَعْنِي مَوَاضِعَهُ " ثُمَّ يُكَبِّرُ وَيَحْمَدُ اللَّهَ جَلَّ وَعَزَّ وَيُثْنِي عَلَيْهِ وَيَقْرَأُ بِمَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ ثُمَّ يَرْكَعُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ ثُمَّ يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ ثُمَّ يَسْجُدُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ ثُمَّ يَسْجُدُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيُكَبِّرُ فَإِذَا فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُهُ " .
Narrated Rifa'ah ibn Rafi':
A man entered the mosque...... He then narrated the tradition like the one narrated in (No.855).
This version is as follows: The Prophet (ﷺ) said: The prayer of anyone is not perfect unless he performs ablution perfectly; he should then utter the takbir, and praise Allah, the Exalted, and admire Him; he should then recite the Qur'an as much as he desires. He should then say: "Allah is Most Great". Next he should bow so that all his joints return to their proper places. Then he should say: "Allah listens to the one who praises Him", and stand erect. He should then say:"Allah is most great," and should prostrate himself so that all his joints are completely at rest. Then he should say: "Allah is most great"; he should raise his head (at the end of prostration) till he sits erect. Then he should say: "Allah is most great"; then he should prostrate himself till all his joints return to their proper places. Then he should raise his head and say the takbir. When he does so, then his prayer is completed.
পরিচ্ছেদঃ ১৪৮. যে ব্যক্তি রুকূ‘তে স্বীয় পিঠ সোজা করে না
৮৫৭। ’আলী ইবনু ইয়াহইয়াহ (রহঃ) হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করলো। অতঃপর তিনি পূর্ববতী হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তিনি তাতে বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অযুর অঙ্গসমূহ উত্তমরূপে না ধুলে সালাত পূর্ণ হবে না। অযুর পর তাকবীরে তাহরীমা বলে হামদ ও সানা পড়ে কুরআন হতে যা ইচ্ছে হয় তিলাওয়াত করবে। অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে এমনভাবে রুকূ’ করবে যেন তার জোড়াসমূহ স্ব-স্ব স্থানে অবস্থান করে।
অতঃপর ’’সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্’’ বলে স্থিরভাবে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আল্লাহু আকবার বলে এমনভাবে সিজদা্ করবে, যাতে শরীরের জোড়াসমূহ স্ব-স্ব স্থানে যথারীতি অবস্থান করে। অতঃপর ’’আল্লাহু আকবার’’ বলে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে বসবে এবং পুনরায় আল্লাহু আকবার বলে সিজদাতে যাবে, শরীরের জোড়া সমূহ প্রশান্তি লাভ না করা পর্যন্ত সিজদাতে অবস্থান করবে। অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদা্ হতে মাথা উঠাবে। কোন ব্যক্তি যখন এরূপে সালাত আদায় করবে, তখনই তার সালাত পরিপূর্ণভাবে আদায় হবে।[1]
সহীহ।
باب صَلَاةِ مَنْ لَا يُقِيمُ صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلَادٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّ رَجُلاً، دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَذَكَرَ نَحْوَهُ قَالَ فِيهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم " إِنَّهُ لَا تَتِمُّ صَلَاةٌ لأَحَدٍ مِنَ النَّاسِ حَتَّى يَتَوَضَّأَ فَيَضَعَ الْوُضُوءَ " . يَعْنِي مَوَاضِعَهُ " ثُمَّ يُكَبِّرُ وَيَحْمَدُ اللهَ جَلَّ وَعَزَّ وَيُثْنِي عَلَيْهِ وَيَقْرَأُ بِمَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ يَقُولُ اللهُ أَكْبَرُ ثُمَّ يَرْكَعُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ ثُمَّ يَقُولُ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا ثُمَّ يَقُولُ اللهُ أَكْبَرُ ثُمَّ يَسْجُدُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ ثُمَّ يَقُولُ اللهُ أَكْبَرُ وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا ثُمَّ يَقُولُ اللهُ أَكْبَرُ ثُمَّ يَسْجُدُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيُكَبِّرُ فَإِذَا فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ " .
- صحيح
Narrated Rifa'ah ibn Rafi':
A man entered the mosque...... He then narrated the tradition like the one narrated in (No.855).
This version is as follows: The Prophet (ﷺ) said: The prayer of anyone is not perfect unless he performs ablution perfectly; he should then utter the takbir, and praise Allah, the Exalted, and admire Him; he should then recite the Qur'an as much as he desires. He should then say: "Allah is Most Great". Next he should bow so that all his joints return to their proper places. Then he should say: "Allah listens to the one who praises Him", and stand erect. He should then say:"Allah is most great," and should prostrate himself so that all his joints are completely at rest. Then he should say: "Allah is most great"; he should raise his head (at the end of prostration) till he sits erect. Then he should say: "Allah is most great"; then he should prostrate himself till all his joints return to their proper places. Then he should raise his head and say the takbir. When he does so, then his prayer is completed.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. দুই পা গোড়ালি সমেত ধৌত করা ফরয
৩১৩(৪). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আলী ইবনে ইয়াহ্ইয়া ইবনে খাল্লাদ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে, তিনি তার চাচা রিফাআ ইবনে রাফে (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রিফা’আ ও মালেক ইবনে রাফে (রাঃ) দুই ভাই বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসা ছিলামঅথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা ছিলেন এবং আমরা তাঁর চারপাশে উপস্থিত ছিলাম। এই মুহূর্তে এক ব্যক্তি তাঁর নিকট প্রবেশ করে কিবলামুখী হয়ে নামায পড়লো। লোকটি নামায শেষ করার পর এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উপস্থিত লোকজনকে সালাম করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ এবং তোমাকেও (সালাম)। তুমি ফিরে গিয়ে আবার নামায পড়ো। কেননা তোমার নামায হয়নি।
লোকটি পুনরায় নামায পড়তে লাগলো এবং আমরা তার নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখলাম, কিন্তু আমরা বুঝতে পারলাম না, সে তার নামাযে কি ত্রুটি করছে। অতঃপর সে নামায শেষ করে এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উপস্থিত লোকজনকে সালাম করলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ “এবং তোমাকেও (সালাম), তুমি ফিরে যাও এবং আবারও নামায পড়ো। কেননা তোমার নামায হয়নি।
অধস্তন রাবী হাম্মাম (রহঃ) বলেন, আমি জানি না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এ ব্যাপারে দুইবার নাকি তিনবার নির্দেশ দিয়েছেন। লোকটি বলল, আমি আমার জানামতে, কোন ত্রুটি করিনি। আমি জানি না, আপনি আমার নামাযে কি ভুল ধরেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের কারো নামায পরিপূর্ণ হয় না---যতক্ষণ না সে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক উত্তমরূপে উযু করে। অতএব সে নিজের মুখমণ্ডল ধৌত করবে, উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে, তার মাথা মসেহ করবে, উভয় পা গোছা সমেত ধৌত করবে, অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে (নামায শুরু করবে) তাঁর সানা-সিফাত বর্ণনা করবে, তারপর সূরা আল-ফাতিহা পড়বে, তারপর সহজ একটি কিরাআত পড়বে। তারপর তাকবীর বলে রুকূ করবে, রুকূতে উভয় হাতের তালু উভয় হাঁটুতে রাখবে, শরীরের জোড়াসমূহ স্থির ও স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত, তারপর সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে (রুকূ থেকে উঠে) সোজা হয়ে দাঁড়াবে—পিঠ সোজা হওয়া ও প্রতিটি হাড় নিজ নিজ জোড়ায় স্থির হওয়া পর্যন্ত। তারপর তাকবীর বলে সিজদায় যাবে এবং মুখমণ্ডল (মাটিতে) স্থির রাখবে। (কোন কোন বর্ণনায়) হাম্মাম (রহঃ) বলেন, তিনি কখনো বলেনঃ কপাল মাটিতে রাখবে, শরীরের জোড়াগুলো স্থির ও স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত। তারপর তাকবীর বলে সিজদা থেকে উঠে পিঠ সোজা করে নিতম্বের উপর সোজা হয়ে বসবে। তিনি এভাবে চার রাকআত নামাযের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা দিলেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ তোমাদের কারো নামায পুর্ণাঙ্গ হবে না অনুরূপভাবে আদায় না করা পর্যন্ত।
بَابُ وُجُوبِ غَسْلِ الْقَدَمَيْنِ وَالْعَقِبَيْنِ
حَدَّثَنَا الْقَاضِي الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى ، نَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَالْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ - وَاللَّفْظُ لِأَبِي الْوَلِيدِ - قَالَا : نَا هَمَّامٌ ، نَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلَّادٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَمِّهِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ ، قَالَ : كَانَ رِفَاعَةُ وَمَالِكُ بْنُ رَافِعٍ أَخَوَيْنِ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ ، قَالَ : بَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، أَوْ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - جَالِسٌ ، وَنَحْنُ حَوْلَهُ ، إِذْ دَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ ، فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ ، وَصَلَّى ، فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ ، جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَعَلَى الْقَوْمِ ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " وَعَلَيْكَ ، ارْجِعْ فَصَلِّ ؛ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَجَعَلَ الرَّجُلُ يُصَلِّي ، وَنَحْنُ نَرْمُقُ صَلَاتَهُ ، لَا نَدْرِي مَا يَعِيبُ مِنْهَا ، فَلَمَّا صَلَّى جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَعَلَى الْقَوْمِ ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " وَعَلَيْكَ ، ارْجِعْ فَصَلِّ ؛ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . قَالَ هَمَّامٌ : فَلَا أَدْرِي أَمَرَهُ بِذَلِكَ مَرَّتَيْنِ ، أَوْ ثَلَاثًا ، فَقَالَ الرَّجُلُ : مَا أَلَوْتُ فَلَا أَدْرِي مَا عِبْتَ عَلَيَّ مِنْ صَلَاتِي ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " إِنَّهَا لَا تَتِمُّ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يُسْبِغَ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ : فَيَغْسِلُ وَجْهَهُ ، وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ، وَيَمْسَحُ بِرَأْسِهِ ، وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ، ثُمَّ يُكَبِّرُ اللَّهَ وَيُثْنِي عَلَيْهِ ، ثُمَّ يَقْرَأُ أُمَّ الْقُرْآنِ وَمَا أُذِنَ لَهُ فِيهِ وَتَيَسَّرَ ، ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَرْكَعُ ، وَيَضَعُ كَفَّيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ، وَيَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ، وَيَسْتَوِي قَائِمًا حَتَّى يُقِيمَ صُلْبَهُ ، وَيَأْخُذَ كُلُّ عَظْمٍ مَأْخَذَهُ ، ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَسْجُدُ فَيُمَكِّنُ وَجْهَهُ ، قَالَ : هَمَّامٌ : وَرُبَّمَا قَالَ : جَبْهَتَهُ - فِي الْأَرْضِ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ، ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَسْتَوِي قَاعِدًا عَلَى مَقْعَدَتِهِ ، وَيُقِيمُ صُلْبَهُ " . فَوَصَفَ الصَّلَاةَ هَكَذَا أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ حَتَّى فَرَغَ ، ثُمَّ قَالَ : " لَا تَتِمُّ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يَفْعَلَ ذَلِكَ