পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৫৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক তার জীবিকা প্রশস্ত করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।[1]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُبْسَطَ عَلَيْهِ فِي رِزْقِهِ, وَأَنْ يُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ, فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ». أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (5985) وعنده: «من سره أن يبسط له» بدلا من أحب أن يبسط عليه
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“He who wishes to have his earnings grow (and be blessed) and his term of life prolonged, he should keep ties with his kin” Related by Al-Bukhari.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৫৫। যুবায়র ইবনু মুত’ইম (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।[1]
وَعَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعٌ». يَعْنِي: قَاطِعَ رَحِمٍ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (5984)، ومسلم (2556) والتفسير من سفيان بن عيينة، وهو لمسلم دون البخاري
Jubair bin Mut'am (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The one who severs the ties of kinship will not enter Paradise.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৫৬। মুগীরাহ বিন সাঈদ সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মা-বাপের নাফরমানী করা, কন্যা সন্তানকে জীবিত কবর দেয়া, সৎ পথে দান বন্ধ করা এবং দাও দাও বলাকে (বেশি বেশি চাওয়া)। আর তিনি তোমাদের জন্য অপছন্দ করেছেন যে, বলা হয়েছে, বলেছে, (এইরূপ বলা) এবং অতিরিক্ত প্রশ্ন করা ও সম্পদ অপচয় করা।[1]
وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ سَعِيدٍ - رضي الله عنه - عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ عُقُوقَ الْأُمَّهَاتِ, وَوَأْدَ الْبَنَاتِ, وَمَنْعًا وَهَاتِ, وَكَرِهَ لَكُمْ قِيلَ وَقَالَ, وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ وَإِضَاعَةَ الْمَالِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (5975)، ومسلم (ج 3 / ص 1341 / رقم 593)
Al-Mughirah bin Shu'bah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah has made it prohibited for you to be disrespectful (showing undutiful behavior) to your mothers, to bury your daughters alive, to refuse others (their dues), and to demand things from others (which are not worth demanding), and He hates that you engage in gossip, asking many questions about people’s affairs and wasting wealth.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৫৭। আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মাতা-পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি (লাভ হয়), তাঁদের অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি রয়েছে।[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا-, عَنْ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «رِضَا اللَّهِ فِي رِضَا الْوَالِدَيْنِ, وَسَخَطُ اللَّهِ فِي سَخَطِ الْوَالِدَيْنِ». أَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ وَالْحَاكِمُ
-
حسن. رواه الترمذي (1900)، وابن حبان (2026 وموارد) والحاكم (4/ 151 - 152) وأعلَّه الترمذي بما لا يقدح
'Abdullah bin 'Amro bin al-As (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah’s pleasure results from the parent’s pleasure, and Allah’s displeasure results from the parent’s displeasure.” Related by At-Tirmidhi. Ibn Hibban and al-Hakim graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৫৮। আনাস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: সেই সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার প্রতিবেশী বা ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে।[1]
وَعَنْ أَنَسٍ - رضي الله عنه - عَنْ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُحِبَّ لِجَارِهِ - أَوْ لِأَخِيهِ- مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (13)، ومسلم (45) (72) واللفظ لمسلم
Anas (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“By Him in Whose Hand my soul is, a slave of Allah does not truly believe till he wishes for his neighbor what he wishes for himself.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৫৯। ’আবদুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, কোন গুনাহ সবচেয়ে বড়? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য অংশীদার দাঁড় করান। অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি বললাম, এতো সত্যিই বড় গুনাহ। আমি বললাম, তারপর কোন গুনাহ? তিনি উত্তর দিলেন, তুমি তোমার সন্তানকে এই ভয়ে হত্যা করবে যে, সে তোমার সঙ্গে আহার করবে। আমি আরয করলাম, এরপর কোনটি? তিনি উত্তর দিলেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে তোমার ব্যভিচার করা।[1]
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ - رضي الله عنه - قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَيُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ? قَالَ: «أَنْ تَجْعَلَ لِلَّهِ نِدًّا, وَهُوَ خَلَقَكَ». قُلْتُ ثُمَّ أَيُّ? قَالَ: «ثُمَّ أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ خَشْيَةَ أَنْ يَأْكُلَ مَعَكَ». قُلْتُ: ثُمَّ أَيُّ قَالَ: «ثُمَّ أَنْ تُزَانِيَ حَلِيلَةَ جَارِكَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (4477)، ومسلم (86) وزاد: فأنزل الله -عز وجل- تصديقه: (وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا) [الفرقان: 68]
Ibn Mas'ud (RAA) narrated, ‘l asked the Messenger of Allah (ﷺ) “Which sin is the most serious?” He replied, attribute a partner to Allah, though He Alone has created you. “I asked, “What next?” He said, kill your child, fearing that he will share your food with you.” I asked again, “What next?” He said, “To commit adultery with your neighbor’s wife.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৬০। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) বিন ’আস হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কবীরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো নিজের পিতা-মাতাকে গাল-মন্দ করা। জিজ্ঞেস করা হলো: হে আল্লাহর রসূল! আপনি পিতা-মাতাকে কোন লোক কিভাবে গাল-মন্দ করতে পারে? তিনি বললেন, সে অন্যের পিতাকে গালি দেয়, তখন সে তার পিতাকে গালি দেয় এবং সে অন্যের মাকে গালি দেয়, তখন সে তার মাকে গালি দেয়।[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «مِنَ الْكَبَائِرِ شَتْمُ الرَّجُلِ وَالِدَيْهِ». قِيلَ: وَهَلْ يَسُبُّ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ? قَالَ: «نَعَمْ. يَسُبُّ أَبَا الرَّجُلِ, فَيَسُبُّ أَبَاهُ, وَيَسُبُّ أُمَّهُ, فَيَسُبُّ أُمَّهُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح رواه البخاري (5973)، ومسلم (90) واللفظ لمسلم
'Abdullah bin 'Amro bin al-As (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“For a man to insult his parents, is one of the major sins.” It was asked, ‘Does a man insult his parents?’ He replied “Yes, he insults the father of a man who in return insults his father, and he insults a man’s mother who in return insult his.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৬১। আবূ আইউব (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোকের জন্য বৈধ নয় যে, সে তার ভাই-এর সাথে তিন দিনের অধিক এমনভাবে সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে যে, দু’জনে দেখা হলেও একজন এদিকে আরেকজন ওদিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখবে। তাদের মধ্যে যে আগে সালাম দিবে, সেই উত্তম লোক।[1]
وَعَنْ أَبِي أَيُّوبَ - رضي الله عنه - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ يَلْتَقِيَانِ, فَيُعْرِضُ هَذَا, وَيُعْرِضُ هَذَا, وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (6077)، ومسلم (2560) وفي روايه لهما:» فيصد هذا، ويصد هذا
Abu Aiyub (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“It is not permissible for a Muslim to shun his brother for more than three nights. When they meet, this one turns away (from that one) and that one turns away (from this one) and the best of them is the one who greets his brother first.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৬২। জাবির (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: প্রত্যেক সৎকর্ম সাদাক্কাহ সমতুল্য পুণ্য কাজ।[1]
عَنْ جَابِرٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ». أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (6021)، ورواه -أيضا- في «الأدب المفرد» (304) بسند لا بأس به، وزاد: «وأن من المعروف أن تلقى أخاك بوجه طلق، وأن تفرغ من دلوك في إناء أخيك
Jabir bin ’Abdullah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Every act of goodness is (considered as) Sadaqah.” Related by Al-Bukhari.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৬৩। আবূ যার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কোন সৎ কাজকে কখনও তুচ্ছ মনে করবে না, যদিও সেটা তোমার কোন (মুসলিম) ভাই-এর সাথে আনন্দের সাথে সাক্ষাৎকার হয়। (এটাকেও সৎকর্মের দিক থেকে তুচ্ছ মনে করা উচিত নয়।)[1]
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا تَحْقِرَنَّ مِنَ الْمَعْرُوفِ شَيْئًا, وَلَوْ أَنْ تَلْقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلْقٍ
-
صحيح. رواه مسلم (2626)
Abu Dharr (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Do not consider any act of goodness as being insignificant even if it is meeting your brother with a cheerful face.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৬৫। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের কোন পার্থিব বিপদ দূর করবে আল্লাহ তা’আলা তার পরকালের বিপদ হতে কোন বিপদ দূর করবেন। কেউ যদি কোন অভাবগ্রস্তকে সহযোগিতা দান করে তবে আল্লাহ তার ইহ ও পরকালের উভয় ক্ষেত্রে সহযোগিতা দান করবেন। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাই-এর দোষ-ত্রুটি গোপন করবে। আল্লাহ তা’আলা ইহাকালে ও পরকালে তার দোষ-ত্রুটি গোপন করবেন। আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ বান্দা তার মুসলিম ভাইয়ের সাহায্যেরত থাকে।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُؤْمِنٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا, نَفَّسَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ, وَمَنْ يَسَّرَ عَلَى مُعْسِرٍ, يَسَّرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ, وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا, سَتَرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ, وَاللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (2699)، وتمامه: «وَمَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا، سَهَّلَ اللهُ لَهُ بِهِ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ، وَمَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللهِ، يَتْلُونَ كِتَابَ اللهِ، وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ، إِلَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِمِ السَّكِينَةُ، وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَحَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَذَكَرَهُمُ اللهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ، وَمَنْ بَطَّأَ بِهِ عَمَلُهُ، لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“If anyone relieves a Muslim believer from one of the hardships of this worldly life, Allah will relieve him of one of the hardships of the Day of Resurrection. If anyone makes it easy for the one who is indebted to him (while finding it difficult to repay), Allah will make it easy for him in this worldly life and in the Hereafter, and if anyone conceals the faults of a Muslim, Allah will conceal his faults in this world and in the Hereafter. Allah helps His slave as long as he helps his brother.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৬৬। আবূ মাস’উদ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোন কল্যাণকর বস্তুর সন্ধান দান করে, তার জন্য এ কল্যাণ সম্পাদনকারীর অনুরূপ পুণ্য রয়েছে।[1]
وَعَنْ أَبِي مَسْعُودٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ, فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1893) عن أبي مسعود قال: جاء رجل إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: إني أبدع بي فاحملني، فقال: «ما عندي». فقال رجل: يا رسول الله! أنا أدله على من يحمله. فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- ..... الحديث
Ibn Mas'ud (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“He who guides (others) to an act of goodness, will have a reward similar to that of its doer.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ২. কল্যাণ সাধন ও আত্মীয়তার হক্ব আদায়
১৪৬৭। ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি তোমাদের কাছে (আল্লাহর নামে) আশ্রয় প্রার্থী হয় তাকে আশ্রয় প্রদান কর। আর যে আল্লাহর নাম নিয়ে (শারীআত সম্মতভাবে) তোমাদের কাছে সাহায্য চায় তাকে সাহায্য কর। আর যে ব্যক্তি তোমার প্রতি কোন কল্যাণ করে তাকে তুমি তার প্রতিদান যথারীতি দাও আর তাতে সক্ষম না হলে তার জন্য নেক দু’আ কর।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- قَالَ: عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «مَنِ اسْتَعَاذَكُمْ بِاللَّهِ فَأَعِيذُوهُ, وَمَنْ سَأَلَكُمْ بِاللَّهِ فَأَعْطُوهُ, وَمَنْ أَتَى إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ, فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا, فَادْعُوا لَهُ». أَخْرَجَهُ الْبَيْهَقِيُّ
-
صحيح. رواه البيهقي (4/ 199)، ولا أدري لماذا عدل الحافظ عن عزو الحديث لأبي داود (1672 و 5109) والنسائي (5/ 82)، وأحمد (2/ 68 و 99 و 127)
Ibn Umar (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“If anyone seeks refuge in Allah’s name, grant him protection; if anyone asks you for something in Allah’s name give him something; and if anyone does you a favor recompense him, but if you do not have the means to do so, make Dua (supplication) for him.” Related by Al-Baihaqi.