পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬০৯। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি সৎপথের দিকে ডাকবে, সে তার অনুসারীর সমান সাওয়াব পাবে, অথচ অনুসরণকারীর সওয়াব কমানো হবে না। অপরদিকে যে ব্যক্তি ভ্রষ্টতার দিকে ডাকবে সে তার অনুসারীর সমান পাপে জর্জরিত হবে, তার অনুসারীর পাপ মোটেও কমানো হবে না।[1]
সহীহ।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي الْعَلَاءُ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا، وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلَالَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الْإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا
صحيح
Abu Hurairah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
If anyone summons other to follow right guidance, his reward will be equivalent to that of the people who follow him, without their rewards being diminished in any respect on that account; and if anyone summons others to follow error the sin of which sins being diminished in any respect on that account.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬১০। আমির ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে বস্তু হারাম না হওয়া সত্ত্বেও কোনো মুসলিম ব্যক্তির প্রশ্ন করার কারণে হারাম হয়েছে, সে মুসলিমদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অপরাধী।[1]
সহীহ।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَعْظَمَ الْمُسْلِمِينَ فِي الْمُسْلِمِينَ جُرْمًا، مَنْ سَأَلَ عَنْ أَمْرٍ لَمْ يُحَرَّمْ فَحُرِّمَ عَلَى النَّاسِ، مِنْ أَجْلِ مَسْأَلَتِهِ
صحيح
‘Amir b. sa’id on his father’s authority reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
The Muslim who offends most against the Muslims is he who enquires about something which has not been forbidden to men, and it is declared forbidden because of his enquiry.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬১১। ইবনু শিহাব (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। আবূ ইদরীস আল-খাওলানী আয়িযুল্লাহ (রহঃ) তাকে জানিয়েছে. মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-এর সহচর ইয়াযীদ ইবনু আমীরাহ তাকে জানিয়েছে, তিনি বলেন, মু’আয (রাঃ) কোনো ওয়াজে বসলেই বলতেন, আল্লাহ মহা ন্যায়বিচারক, সন্দেহকারীরা ধ্বংস হয়েছে। অতঃপর মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) একদিন বলেন, তোমাদের পরবর্তী যুগে ফিতনা সৃষ্টি হবে, তখন প্রচুর সম্পদ থাকবে। মু’মিন, মুশরিক, পুরুষ-নারী, ছোট-বড়, স্বাধীন-গোলাম সকলে কুরআন খুলে পাঠ করবে (কিন্তু অর্থ বুঝবে না)।
অচিরেই কেউ বলবে, লোকদের কি হলো, তারা কেন আমার অনুসরণ করবে না যতক্ষণ না আমি তাদের জন্য এছাড়া নতুন কিছু প্রবর্তন করতে পারি।’’ অতএব তোমরা তার এ বিদ’আত থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ দীনের মধ্যে যা নতুন প্রবর্তন করা হয় তা গোমরাহী। আমি তোমাদেরকে জ্ঞানী ব্যক্তিদের পথভ্রষ্টতা সম্পর্কে সতর্ক করছি। কেননা শয়তান পন্ডিতদের মুখ দিয়ে গোমরাহী কথা বলায়। আবার মুনাফিকরাও মাঝে মাঝে হক কথা বলে।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি মু’আয (রাঃ)-কে বললাম, আল্লাহ আপনার উপর সদয় হোন, জ্ঞানী ব্যক্তি যে পথভ্রষ্টতাপূর্ণ কথা বলে আর মুনাফিক সত্য কথা বলে এটা আমি কিভাবে বুঝবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ জ্ঞানী ব্যক্তিদের সেসব ভ্রান্তপূর্ণ কথা বর্জন করবে যা লোকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করবে এবং বলবে, এ আবার কেমন কথা। তবে এসব কথায় তোমরা জ্ঞানীদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করবে না।
কেননা হয়তো জ্ঞানী ব্যক্তি এসব ভ্রান্তিপূর্ণ কথা থেকে ফিরে আসবে। আর তুমি হক কথা শুনামাত্র তা গ্রহণ করো, কেননা হকের মধ্যে নূর আছে। ইবনু ইসহাক (রহঃ) যুহরী (রহঃ) সূত্রে বলেন, মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) বলেন, হ্যাঁ, তুমি যদি জ্ঞানী ব্যক্তির বক্তব্যে সন্দেহ করো, যতক্ষণ না বলো, তিনি এর দ্বারা কি বুঝাচ্ছেন![1]
সনদ সহীহ মাওকুফ।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيَّ عَائِذَ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ عُمَيْرَةَ - وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ - أَخْبَرَهُ قَالَ: كَانَ لَا يَجْلِسُ مَجْلِسًا لِلذِّكْرِ حِينَ يَجْلِسُ إِلَّا قَالَ: اللَّهُ حَكَمٌ قِسْطٌ هَلَكَ الْمُرْتَابُونَ، فَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ يَوْمًا: إِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ فِتَنًا يَكْثُرُ فِيهَا الْمَالُ، وَيُفْتَحُ فِيهَا الْقُرْآنُ حَتَّى يَأْخُذَهُ الْمُؤْمِنُ وَالْمُنَافِقُ، وَالرَّجُلُ، وَالْمَرْأَةُ، وَالصَّغِيرُ، وَالْكَبِيرُ، وَالْعَبْدُ، وَالْحُرُّ، فَيُوشِكُ قَائِلٌ أَنْ يَقُولَ: مَا لِلنَّاسِ لَا يَتَّبِعُونِي وَقَدْ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ؟ مَا هُمْ بِمُتَّبِعِيَّ حَتَّى أَبْتَدِعَ لَهُمْ غَيْرَهُ، فَإِيَّاكُمْ وَمَا ابْتُدِعَ، فَإِنَّ مَا ابْتُدِعَ ضَلَالَةٌ، وَأُحَذِّرُكُمْ زَيْغَةَ الْحَكِيمِ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ يَقُولُ كَلِمَةَ الضَّلَالَةِ عَلَى لِسَانِ الْحَكِيمِ، وَقَدْ يَقُولُ الْمُنَافِقُ كَلِمَةَ الْحَقِّ، قَالَ: قُلْتُ لِمُعَاذٍ: مَا يُدْرِينِي رَحِمَكَ اللَّهُ أَنَّ الْحَكِيمَ قَدْ يَقُولُ كَلِمَةَ الضَّلَالَةِ وَأَنَّ الْمُنَافِقَ قَدْ يَقُولُ كَلِمَةَ الْحَقِّ؟ قَالَ: بَلَى، اجْتَنِبْ مِنْ كَلَامِ الْحَكِيمِ الْمُشْتَهِرَاتِ الَّتِي يُقَالُ لَهَا مَا هَذِهِ، وَلَا يُثْنِيَنَّكَ ذَلِكَ عَنْهُ، فَإِنَّهُ لَعَلَّهُ أَنْ يُرَاجِعَ، وَتَلَقَّ الْحَقَّ إِذَا سَمِعْتَهُ فَإِنَّ عَلَى الْحَقِّ نُورًا، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: قَالَ مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ، وَلَا يُنْئِيَنَّكَ ذَلِكَ عَنْهُ، مَكَانَ يُثْنِيَنَّكَ، وَقَالَ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فِي هَذَا: الْمُشَبِّهَاتِ، مَكَانَ الْمُشْتَهِرَاتِ، وَقَالَ: لَا يُثْنِيَنَّكَ كَمَا قَالَ عُقَيْلٌ، وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ بَلَى مَا تَشَابَهَ عَلَيْكَ مِنْ قَوْلِ الْحَكِيمِ حَتَّى تَقُولَ مَا أَرَادَ بِهَذِهِ الْكَلِمَةِ
صحيح الإسناد موقوف
Yazid b. ‘Umairah, who was one of the companions of Mu’adh b. Jabal said:
Whenever he (mu’adh b. jabal) sat in a meeting for preaching, he would say: Allah is a just arbiter; those who doubt would perish. One day Mu’adh b. jabal said: In the times after you there would be trails in which riches would be abundant. During these trails the Quran would be easy so much so that every believer, hypocrite, man, woman, young, grown up, slave and free man will learn it. Then a man might say: What happened with the people that they do not follow me while I read the Quran? They are not going to follow me until I introduce a novelty for them other than it. So avoid that which is innovated (in religion), for whichever is innovated is an error. I warn you of the deviation of a scholar from right guidance, for sometimes Satan utters a word of error through the tongue of a scholar; and sometimes a hypocrites may speak a word of truth. I said to Mu’adh b. jabal: I am at a loss to understand may Allah have mercy on you that a learned man sometimes may speak a word of error and a hypocrite may speak a word of truth. He replied: Yes, avoid the speech of a learned man on distract you from him (the learned), for it is possible that he may withdraw (from these well-known things), and you get the truth when you hear it, for truth has light.
Abu Dawud said: In this tradition Ma’mar on the authority of al-Zuhrl said: The words “wa la yun iyannaka” instead of “wa la yuthniyannaka,” with the same meaning: “it may not distract you” salih b. Kaisan on the authority of al-Zurhrl said in this tradition the words “al-mushtaharat” (well-know things). He also said the word “La yuthniyannaka” as ‘Uqail mentioned. Ibn ishaq, on the authority of al-Zuhri, said: Yes, if you are doubtful about the speech of a scholar until you say: WHAT did he mean by this word?
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬১২। আবুস সালাত (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি উমার ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ)-এর নিকট তাকদীর সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি লিখলো। উত্তরে তিনি লিখেন, অতঃপর আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি, আল্লাহকে ভয় করো, ভারসাম্যপূর্ণভাবে তাঁর হুকুম মেনে চলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতের অনুসরণ করো, তাঁর আদর্শ প্রতিষ্ঠা লাভের ও সংরক্ষিত হওয়ার পর বিদ’আতীদের বিদ’আত বর্জন করো। সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা তোমার কর্তব্য। কারণ এ সুন্নাত তোমাদের জন্য আল্লাহর অনুমতিক্রমে রক্ষাকবজ। জেনে রাখো! মানুষ এমন কোনো বিদ’আত করেনি যার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কোনো প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়নি বা তার বিরুদ্ধে এমন কোনো শিক্ষা নেই যা তার ভ্রান্তি প্রমাণ করে। কেননা সুন্নাতকে এমন এক ব্যক্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন, যিনি সুন্নাতের বিপরীত সম্বন্ধে অবগত।
আর ইবনু ফাসির তার বর্ণনায় ’’তিনি জানতেরন ভুলত্রটি, অজ্ঞতা ও গোঁড়ামি সম্পর্কে’’ এ কথাগুলো উল্লেখ করেননি। কাজেই তুমি নিজের জন্য ঐ পথ বেছে নিবে যা তোমার পূর্ববর্তী মহাপুরুষগণ তাদের নিজেদের জন্য অবলম্বন করেছেন। কারণ তারা যা জানতে পেরেছেন তার পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং তীক্ষ্ণ দূরদর্শিতার সঙ্গে বিরত থেকেছেন এবং তারা দীন সম্পর্কে পারদর্শী ছিলেন, আর যা করতে তারা নিষেধ করেছেন, তা জেনে-শুনেই নিষেধ করেছেন। তারা দীনের অর্থ উপলদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে অনেক জ্ঞানী ছিলেন। আর তোমাদের মতাদর্শ যদি সঠিক পথ হয় তাহলে তোমরা তাদেরকে ডিঙ্গিয়ে গেলে। আর যদি তোমরা বলো যে, তারা দীনের মধ্যে নতুন কথা উদ্ভাবন করেছেন তবে বলো, পূর্ববর্তী লোকেরাই উত্তম ছিলেন এবং তারা এদের তুলনায় অগ্রগামী ছিলেন। যতটুকু বর্ণনা করার তা তারা বর্ণনা করেছেন, আর যতটুকু বলার প্রয়েঅজন তা তারা বলেছেন। এর অতিরিক্ত বা এর কমও বলার নেই। আর এক গোত্র তাদেরকে উপেক্ষা করে কিছু কমিয়েছে, তারা সঠিক পথ থেকে সরে গেছে, আর যারা বাড়িয়েছে তারা সীমালঙ্ঘন করেছে। আর পূর্ববর্তী মহাপুরুষগণ ছিলেন এর মাঝামাঝি সঠিক পথের অনুসারী।
পত্রে তুমি তাকদীরে বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে চেয়ে লিখেছো। আল্লাহর অনুগ্রহে তুমি এমন ব্যক্তির নিকট এ বিষয়ে জানতে চেয়েছো যিনি এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ। আমার জানা মতে, তাকদীরে বিশ্বাসের উপর বিদ’আতীদের নবতর মতবাদ প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এটা কোনো নতুন বিষয় নয়; জাহিলিয়াতের সময়ও এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। অজ্ঞ লোকেরা তখনও তাদের আলোচনা ও কবিতায় এ বিষয়টি উল্লেখ করতো এবং তাদের ব্যর্থতার জন্য তাকদীরকে দায়ী করতো। ইসলাম এসে এ ধারণাকে আরো বদ্ধমূল করেছে এবং এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক হাদীস উল্লেখ করেছেন। আর মুসলিমগণ তাঁর নিকট সরাসরি শুনেছে এবং তাঁর জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পরে পরস্পর আলোচনা করেছে।
তারা অন্তরে বিশ্বাস রেখে, তাদের রবের অনুগত হয়ে, নিজেদেরকে অক্ষম মনে করে এ বিশ্বাস স্থাপন করেছে যে, এমন কোনো বস্তু নেই যা আল্লাহর জ্ঞান, কিতাব ও তাকদীর বহির্ভূত। এছাড়া তা আল্লাহর আমোঘ কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। আর যদি তোমরা বলো, কেন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেছেন এবং কেন এ কথা বলেছেন, তবে জেনে রাখো! তারাও কিতাবের ঐসব বিষয় পড়েছেন যা তোমরা পড়েছো; উপরন্ত তারা সেসব ব্যাখ্যা ছিলেন যা তোমরা জানো না। এতদসত্ত্বেও তারা বলেছেন, সবকিছু আল্লাহর কিতাব ও তকদীর অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে। আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছেন তা অবশ্যই ঘটবে, আল্লাহ যা চান তাই হয় এবং যা চান না তা হয় না। লাভ বা ক্ষতি কোনো কিছুই আমরা নিজেদের জন্য করতে সক্ষম নই। অতঃপর তারা ভালো কাজের প্রতি উৎসাহী ও খারাপ কাজের ব্যাপারে সাবধান হয়েছেন।[1]
সহীহ মাকতু।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: كَتَبَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَسْأَلُهُ عَنِ الْقَدَرِ، ح وحَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ دُلَيْلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ، يُحَدِّثُنَا عَنِ النَّضْرِ، ح وحَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ قَبِيصَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، عَنْ أَبِي الصَّلْتِ، وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِ ابْنِ كَثِيرٍ وَمَعْنَاهُمْ، قَالَ: كَتَبَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَسْأَلُهُ عَنِ الْقَدَرِ، فَكَتَبَ: أَمَّا بَعْدُ، أُوصِيكَ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَالِاقْتِصَادِ فِي أَمْرِهِ، وَاتِّبَاعِ سُنَّةِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَرْكِ مَا أَحْدَثَ الْمُحْدِثُونَ بَعْدَ مَا جَرَتْ بِهِ سُنَّتُهُ، وَكُفُوا مُؤْنَتَهُ، فَعَلَيْكَ بِلُزُومِ السُّنَّةِ فَإِنَّهَا لَكَ - بِإِذْنِ اللَّهِ - عِصْمَةٌ، ثُمَّ اعْلَمْ أَنَّهُ لَمْ يَبْتَدِعِ النَّاسُ بِدْعَةً إِلَّا قَدْ مَضَى قَبْلَهَا مَا هُوَ دَلِيلٌ عَلَيْهَا أَوْ عِبْرَةٌ فِيهَا، فَإِنَّ السُّنَّةَ إِنَّمَا سَنَّهَا مَنْ قَدْ عَلِمَ مَا فِي خِلَافِهَا - وَلَمْ يَقُلْ ابْنُ كَثِيرٍ مَنْ قَدْ عَلِمَ مِنْ - الْخَطَإِ وَالزَّلَلِ وَالْحُمْقِ وَالتَّعَمُّقِ، فَارْضَ لِنَفْسِكَ مَا رَضِيَ بِهِ الْقَوْمُ لِأَنْفُسِهِمْ، فَإِنَّهُمْ عَلَى عِلْمٍ وَقَفُوا، وَبِبَصَرٍ نَافِذٍ كَفُّوا، وَهُمْ عَلَى كَشْفِ الْأُمُورِ كَانُوا أَقْوَى، وَبِفَضْلِ مَا كَانُوا فِيهِ أَوْلَى، فَإِنْ كَانَ الْهُدَى مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ لَقَدْ سَبَقْتُمُوهُمْ إِلَيْهِ وَلَئِنْ قُلْتُمْ إِنَّمَا حَدَثَ بَعْدَهُمْ مَا أَحْدَثَهُ إِلَّا مَنِ اتَّبَعَ غَيْرَ سَبِيلِهِمْ وَرَغِبَ بِنَفْسِهِ عَنْهُمْ، فَإِنَّهُمْ هُمُ السَّابِقُونَ، فَقَدْ تَكَلَّمُوا فِيهِ بِمَا يَكْفِي، وَوَصَفُوا مِنْهُ مَا يَشْفِي، فَمَا دُونَهُمْ مِنْ مَقْصَرٍ، وَمَا فَوْقَهُمْ مِنْ مَحْسَرٍ، وَقَدْ قَصَّرَ قَوْمٌ دُونَهُمْ فَجَفَوْا، وَطَمَحَ عَنْهُمْ أَقْوَامٌ فَغَلَوْا، وَإِنَّهُمْ بَيْنَ ذَلِكَ لَعَلَى هُدًى مُسْتَقِيمٍ، كَتَبْتَ تَسْأَلُ عَنِ الْإِقْرَارِ بِالْقَدَرِ فَعَلَى الْخَبِيرِ - بِإِذْنِ اللَّهِ - وَقَعْتَ، مَا أَعْلَمُ مَا أَحْدَثَ النَّاسُ مِنْ مُحْدَثَةٍ، وَلَا ابْتَدَعُوا مِنْ بِدْعَةٍ هِيَ أَبْيَنُ أَثَرًا وَلَا أَثْبَتُ أَمْرًا مِنَ الْإِقْرَارِ بِالْقَدَرِ، لَقَدْ كَانَ ذَكَرَهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ الْجُهَلَاءُ يَتَكَلَّمُونَ بِهِ فِي كَلَامِهِمْ وَفِي شِعْرِهِمْ، يُعَزُّونَ بِهِ أَنْفُسَهُمْ عَلَى مَا فَاتَهُمْ، ثُمَّ لَمْ يَزِدْهُ الْإِسْلَامُ بَعْدُ إِلَّا شِدَّةً، وَلَقَدْ ذَكَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَيْرِ حَدِيثٍ وَلَا حَدِيثَيْنِ، وَقَدْ سَمِعَهُ مِنْهُ الْمُسْلِمُونَ فَتَكَلَّمُوا بِهِ فِي حَيَاتِهِ وَبَعْدَ وَفَاتِهِ، يَقِينًا وَتَسْلِيمًا لِرَبِّهِمْ، وَتَضْعِيفًا لِأَنْفُسِهِمْ، أَنْ يَكُونَ شَيْءٌ لَمْ يُحِطْ بِهِ عِلْمُهُ، وَلَمْ يُحْصِهِ كِتَابُهُ، وَلَمْ يَمْضِ فِيهِ قَدَرُهُ، وَإِنَّهُ مَعَ ذَلِكَ لَفِي مُحْكَمِ كِتَابِهِ: مِنْهُ اقْتَبَسُوهُ، وَمِنْهُ تَعَلَّمُوهُ، وَلَئِنْ قُلْتُمْ لِمَ أَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ كَذَا لِمَ قَالَ كَذَا لَقَدْ قَرَءُوا مِنْهُ مَا قَرَأْتُمْ، وَعَلِمُوا مِنْ تَأْوِيلِهِ مَا جَهِلْتُمْ، وَقَالُوا بَعْدَ ذَلِكَ: كُلِّهِ بِكِتَابٍ وَقَدَرٍ، وَكُتِبَتِ الشَّقَاوَةُ، وَمَا يُقْدَرْ يَكُنْ، وَمَا شَاءَ اللَّهُ كَانَ وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ، وَلَا نَمْلِكُ لِأَنْفُسِنَا ضَرًّا وَلَا نَفْعًا، ثُمَّ رَغِبُوا بَعْدَ ذَلِكَ وَرَهِبُوا
صحيح مقطوع
Sufyan said (according to one chain), and Abu al-Salit said (according to another chain):
A man wrote to 'Umar b. 'Abd al-Aziz asking him about Divine decree. He wrote to him: To begin with, I enjoin upon you to fear Allah, to be moderate in (obeying) His Command, to follow the sunnah (practice) of His Prophet (ﷺ) and to abandon the novelties which the innovators introduced after his Sunnah has been established and they were saved from its trouble (i.e. novelty or innovation) ; so stick to Sunnah, for it is for you, if Allah chooses, a protection ; then you should know that any innovation which the people introduced was refuted long before it on the basis of some authority or there was some lesson in it, for the Sunnah was introduced by the people who were conscious of the error, slip, foolishness, and extremism in case of (the sunnah) was opposed. So accept for yourself what the people (in the past) had accepted for themselves, for they had complete knowledge of whatever they were informed, and by penetrating insight they forbade (to do prohibited acts); they had more strength (than us) to disclose the matters (of religion), and they were far better (than us) by virtue of their merits. If right guidance is what you are following, then you outstriped them to it. And if you say whatever the novelty occurred after them was introduced by those who followed the way other then theirs and disliked them. It is they who actually outstripped, and talked about it sufficiently, and gave a satisfactory explanation for it. Below them there is no place for exhaustiveness, and above them there is no place for elaborating things. Some people shortened the matter more than they had done, and thus they turned away (from them), and some people raised the matter more than they had done, and thus they exaggerated. They were on right guidance between that. You have written (to me) asking about confession of Divine decree, you have indeed approached a person who is well informed of it, with the will of Allah. I know what whatever novelty people have brought in, and whatever innovation people have introduced are not more manifest and more established than confession of Divine decree. The ignorant people (i.e. the Arabs before Islam) in pre-Islamic times have mentioned it ; they talked about it in their speeches and in their poetry. They would console themselves for what they lost, and Islam then strengthened it (i.e. belief in Divine decree). The Messenger of Allah (ﷺ) did not mention it in one or two traditions, but the Muslims heard it from him, and they talked of it from him, and they talked of it during his lifetime and after his death. They did so out of belief and submission to their Lord and thinking themselves weak. There is nothing which is not surrounded by His knowledge, and not counted by His register and not destined by His decree. Despite that, it has been strongly mentioned in His Book: from it they have derived it, and from it they have and so ? they also read in it what you read, and they knew its interpretation of which you are ignorant. After that they said: All this is by writing and decreeing. Distress has been written down, and what has been destined will occur ; what Allah wills will surely happen, and what He does not will will not happen. We have no power to harm or benefit ourselves. Then after that they showed interest (in good works) and were afraid (of bad deeds).
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬১৩। নাফি’ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, সিরিয়াতে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর এক বন্ধু ছিলেন। তিনি তার সঙ্গে পত্র আদান প্রদান করতেন। একদা তিনি এই মর্মে লিখে পাঠালেন, বিশ্বস্ত সূত্রে আমি জানতে পেরেছি যে, তুমি তাকদীরের কোনো বিষয়ে সমালোচনা করেছো। কাজেই এখন থেকে তুমি আমাকে লিখবে না। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ অচিরেই আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এক গোত্রের আবির্ভাব হবে যারা তাকদীরকে অস্বীকার করবে।[1]
হাসান।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: كَانَ لِابْنِ عُمَرَ صَدِيقٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ يُكَاتِبُهُ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّكَ تَكَلَّمْتَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْقَدَرِ، فَإِيَّاكَ أَنْ تَكْتُبَ إِلَيَّ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّهُ سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي أَقْوَامٌ يُكَذِّبُونَ بِالْقَدَرِ
حسن
Nafi said:
Ibn ‘Umar had a friend from the people of Syria who used to correspond with him. ‘Abd Allah b. ‘Umar wrote to him: I have been informed that you have talked something about Divine decree. You should write it to me, for I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: Among my community there will be people who will falsify Divine decree.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬১৪। খালিদ আল-হাযযা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাসান বাসরী (রহঃ)-কে বললাম, হে আবূ সাঈদ! আদম (আঃ) সম্বন্ধে আমাকে বলুন, তাঁকে কি আকাশের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল, না পৃথিবীর জন্য? তিনি বলেন, বরং পৃথিবীর জন্য। আমি বললাম, আপনার কি মত, তিনি যদি নিষ্পাপ থাকতেন এবং নিষিদ্ধ গাছের ফল না খেতেন? আরো বলুন! যদি তিনি নিজেকে সংযত রাখতেন তাহলে কি বৃক্ষের ফল না খেয়ে পারতেন? তিনি বললেন, না খেয়ে তাঁর কোনো উপায় ছিলো না। আমি বললাম, আল্লাহর বাণী সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুনঃ ’’তোমরা কেউ কাউকে আল্লাহ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করতে পারবে না, কেবল জাহান্নামে প্রবেশকারীকে ব্যতীত’’ (সূরা আস-সাফফাতঃ ১৬২-৩)। তিনি (হাসান বাসরী) বলেন, আল্লাহ যাদের জন্য জাহান্নামে প্রবেশকে অবধারিত করে রেখেছেন, শয়তান কেবল তাদেরকেই জাহান্নামে নিতে পারবে।[1]
সনদ হাসান মাকতু।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ: يَا أَبَا سَعِيدٍ، أَخْبِرْنِي عَنْ آدَمَ، أَلِلسَّمَاءِ خُلِقَ أَمْ لِلْأَرْضِ؟ قَالَ: لَا، بَلْ لِلْأَرْضِ، قُلْتُ: أَرَأَيْتَ لَوْ اعْتَصَمَ فَلَمْ يَأْكُلْ مِنَ الشَّجَرَةِ؟ قَالَ: لَمْ يَكُنْ لَهُ مِنْهُ بُدٌّ، قُلْتُ: أَخْبِرْنِي عَنْ قَوْلِهِ تَعَالَى (مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ. إِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ) [الصافات: ١٦٣] الْجَحِيمِ قَالَ: إِنَّ الشَّيَاطِينَ لَا يَفْتِنُونَ بِضَلَالَتِهِمْ إِلَّا مَنْ أَوْجَبَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَحِيمَ
حسن الإسناد مقطوع
Khalid al-Hadhdha said:
I said to al-Hasan: Abu Sa’id, tell me about Adam. Was he created for the heaven or the earth? He said: No, for the earth. I said: It was unavoidable for him. I said: Tell me about the following verse of the Quran: ”can lead (any) into temptation concerning Allah, except such as are (themselves) going to blazing fire.” He said: The devils do not lead anyone astray by their temptation except the one whom Allah destined to go to Hell.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬১৫। হাসান বাসরী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’এবং তিনি তাদেরকে এজন্য সৃষ্টি করেছেন’’ (সূরা হুদঃ ১১৯) এর ব্যাখ্যায় বলেন, তিনি (আল্লাহ) এদেরকে (মু’মিনদের) এর (জান্নাতের) জন্য এবং এদেরকে (মুনাফিকদের) এজন্য (জাহান্নামের জন্য) সৃষ্টি করেছেন।[1]
সনদ সহীহ মাকতু।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنِ الْحَسَنِ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى (وَلِذَلِكَ خَلَقَهُمْ) [هود: ١١٩] قَالَ: خَلَقَ هَؤُلَاءِ لِهَذِهِ، وَهَؤُلَاءِ لِهَذِهِ
صحيح الإسناد مقطوع
Khalid al-Hadhdha, asked al-Hasan about the Quranic verse:
“And for this did He create them.” He said: He created these for this and those for that.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬১৬। খালিদ আল-হাযযা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাসান বাসরী (রহঃ)-কে ’’তোমরা কেউই কাউকে আল্লাহ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করতে পারবে না কেবল জাহান্নামে প্রবেশকারীকে ব্যতীত।’’ এ আয়াতের অর্থ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, শুধু তাদেরকেই শয়তান পথভ্রষ্ট করতে পারবে যাদের জাহান্নামে প্রবেশ করাকে আল্লাহ অবধারিত করেছেন।[1]
সনদ সহীহ মাকতু।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ: (مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ. إِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ) [الصافات: ١٦٣] الْجَحِيمِ قَالَ: إِلَّا مَنْ أَوْجَبَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ أَنَّهُ يَصْلَى الْجَحِيمَ
صحيح الإسناد مقطوع
Khalid al-Hadhdha asked al-Hasan about the Quranic verse:
“Can lead (any) into temptation concerning Allah, except such as are (themselves) going to the blazing fire.” He said: Except the one whom Allah destined that he should go to Hell.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬১৭। হুমাইদ (রহঃ) বলেন, হাসান বাসরী (রহঃ) বলতেন, তার আকাশ (জান্নাত) থেকে জমিনে পতিত হওয়া একথা বলা তার নিকট এটা কথা বলার চেয়ে উত্তম যে, ’বিষয়টি আমারই কর্তৃত্বে।’’[1]
সনদ সহীহ মাকতু।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا هِلَالُ بْنُ بِشْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: أَخْبَرَنِي حُمَيْدٌ، كَانَ الْحَسَنُ يَقُولُ: لَأَنْ يُسْقَطَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَقُولَ: الْأَمْرُ بِيَدِي
صحيح الإسناد مقطوع
Humaid said:
Al-Hasan used to say that his fall from the heaven on the earth is dearer to him than uttering: The matter is in my hand.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬১৮। হুমাইদ (রহঃ) বলেন, হাসান বাসরী (রহঃ) বাশরা থেকে মক্কায় আমাদের নিকট আগমন করলে মক্কার ফকীহগণ আমাকে তার সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দিলেন যে, তিনি তাদের উদ্দেশ্যে এক সমাবেশে যেন ভাষণ দেন। তিনি তাতে সম্মত হলে তারা একত্র হলেন এবং তিনি তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। আমি তার চেয়ে উত্তম বক্ত আর দেখিনি। এক ব্যক্তি বললো, হে আবূ সাঈদ! শয়তানকে কে সৃষ্টি করেছেন? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ ছাড়া কি অন্য কোনো সৃষ্টিকর্তা আছে? মহান আল্লাহ শয়তান, ভালো-মন্দ সবই সৃষ্টি করেছেন। লোকটি বললো, আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন! কি করে তারা এই শায়িখের উপর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।[1]
সহীহ।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، قَالَ: قَدِمَ عَلَيْنَا الْحَسَنُ، مَكَّةَ فَكَلَّمَنِي فُقَهَاءُ أَهْلِ مَكَّةَ أَنْ أُكَلِّمَهُ فِي أَنْ يَجْلِسَ لَهُمْ يَوْمًا يَعِظُهُمْ فِيهِ فَقَالَ: نَعَمْ فَاجْتَمَعُوا فَخَطَبَهُمْ فَمَا رَأَيْتُ أَخْطَبَ مِنْهُ فَقَالَ: رَجُلٌ يَا أَبَا سَعِيدٍ، مَنْ خَلَقَ الشَّيْطَانَ؟ فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ هَلْ مِنْ خَالِقٍ غَيْرُ اللَّهِ؟ خَلَقَ اللَّهُ الشَّيْطَانَ، وَخَلَقَ الْخَيْرَ، وَخَلَقَ الشَّرَّ، قَالَ الرَّجُلُ: قَاتَلَهُمُ اللَّهُ، كَيْفَ يَكْذِبُونَ عَلَى هَذَا الشَّيْخِ
صحيح
Humaid said:
Al-Hasan came to us. The jurists of Mecca told me that I should speak to him that some day he should hold a meeting for them and preach to them. He said: Yes. So they gathered and he addressed them. I did not see anyone on orator greater than him. A man said: Abu Sa’id, who created Satan? He replied: Glory be to Allah! Is there any creator other than Allah? Allah created Satan, and he created good and created evil. The man said: May Allah ruin them! How do they lie to this old man.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬১৯। হাসান বাসরী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। আল্লাহর বাণীঃ ’’এভাবে আমি পাপীদের অন্তরে তা সঞ্চার করি।’’ (সূরা আল-হিজরঃ ১২)। এর অর্থ হচ্ছে, শিরক।[1]
সহীহ।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنِ الْحَسَنِ، (كَذَلِكَ نَسْلُكُهُ فِي قُلُوبِ الْمُجْرِمِينَ) [الحجر: ١٢] قَالَ: الشِّرْكُ
صحيح
Humaid al-Tawil asked al-Hasan about the verse:
“Even so do We let it creep into the hearts of the sinners.” He said: Polytheism
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬২০। হাসান বাসরী (রহঃ) মহান আল্লাহর এ বাণীঃ ’’তাদের ও এদের বাসনার মধ্যে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করা হয়েছে’’ (সূরা সাবাঃ ৫৪) সম্পর্কে বলেন, তাদের ও ঈমানের মধ্যে।[1]
সনদ সহীহ মাকতু।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ رَجُلٍ، قَدْ سَمَّاهُ غَيْرُ ابْنِ كَثِيرٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عُبَيْدٍ الصِّيدِ، عَنِ الْحَسَنِ، فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: وَحِيلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُونَ قَالَ: بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْإِيمَانِ
ضعيف الإسناد مقطوع
Explaining the Quranic verse; “And between them and their desire is placed a barrier.” Al-Hasan said:
Between them and their faith.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬২১। ইবনু আওন (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সিরিয়া সফর করছিলাম। তখন এক ব্যক্তি আমার পিছন থেকে আমাকে ডাকলো। আমি তাকিয়ে দেখি তিনি রাজা ’ইবনু হাইওয়ান। তিনি আমাকে বললেন, হে আবূ আওন! তারা হাসান বাসরী (রহঃ) সম্পর্কে এসব কি বলছে! ইবনু আওন বলেন, আমি বললাম, তারা হাসান বাসরী (রহঃ)-এর উপর অনেক মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।[1]
সনদ সহীহ মাকতু।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمٌ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ: كُنْتُ أَسِيرُ بِالشَّامِ، فَنَادَانِي رَجُلٌ مِنْ خَلْفِي، فَالْتَفَتُّ فَإِذَا رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ فَقَالَ: يَا أَبَا عَوْنٍ مَا هَذَا الَّذِي يَذْكُرُونَ عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: قُلْتُ: إِنَّهُمْ يَكْذِبُونَ عَلَى الْحَسَنِ كَثِيرًا
صحيح الإسناد مقطوع
Ibn ‘Awn said:
I was a prisoner in Syria. A man called me from behind. I turned towards him and suddenly found that it was Raja b. Haiwah. He said: Abu ‘Awn, what is this that the people are telling about al-Hasan? I said: They are much lying to al-Hasan.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬২২। হাম্মাদ (রহঃ) বলেন, আমি আইয়ূবকে বলতে শুনেছি, দু’ ধরণের লোক হাসান বাসরী (রহঃ)-এর উপর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এক. তাকদীর অস্বীকারকারীরা, তাদের এরূপ মিথ্যা বলার কারণ হলো তাদের ধারণা, এরূপ প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সন্দেহের মধ্যে ফেলা যাবে। দুই. যারা তার ব্যাপারে অন্তরে শত্রুতা ও হিংসা রাখে। তারা বলে, তিনি কি এই এই বলেননি?[1]
সহীহ।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: سَمِعْتُ أَيُّوبَ، يَقُولُ: كَذَبَ عَلَى الْحَسَنِ ضَرْبَانِ مِنَ النَّاسِ: قَوْمٌ الْقَدَرُ رَأْيُهُمْ وَهُمْ يُرِيدُونَ أَنْ يُنَفِّقُوا بِذَلِكَ رَأْيَهُمْ، وَقَوْمٌ لَهُ فِي قُلُوبِهِمْ شَنَآنٌ وَبُغْضٌ يَقُولُونَ: أَلَيْسَ مِنْ قَوْلِهِ كَذَا؟ أَلَيْسَ مِنْ قَوْلِهِ كَذَا؟
صحيح لغيره
Hammad said:
I heard Ayyub say: Two kinds of people have lied to al-Hasan: people who believed in free will and they intended that they publicise their belief by it; and people who had enmity with and hostility (for al-Hasan), saying: Did he not say so and so? Did he not say so and so?
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬২৩। ইয়াহইয়াহ ইবনু কাসীর আল-আনবারী (রহঃ) বলেন, কুররাহ ইবনু খালিদ (রহঃ) আমাদেরকে বলতেন, হে যুবক সমাজ! তোমরা হাসান বাসরী (রহঃ) সম্পর্কে এরূপ ধারণা করো না যে, তিনি তাকদীর বিরোধী ছিলেন। কারণ তার অভিমত ছিলো সুন্নাত মোতাবেক ও সঠিক।[1]
সহীহ।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، أَنَّ يَحْيَى بْنَ كَثِيرٍ الْعَنْبَرِيَّ، حَدَّثَهُمْ قَالَ: كَانَ قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ يَقُولُ لَنَا يَا فِتْيَانُ: لَا تُغْلَبُوا عَلَى الْحَسَنِ فَإِنَّهُ كَانَ رَأْيُهُ السُّنَّةَ وَالصَّوَابَ
صحيح
Yahya b. Kathir al-‘Anbari said:
Qurrah b. Khalid used to tell us: O young people! Do not think that al-Hasan denied predestination, for his opinion (i.e., belief) was sunnah and sight.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬২৪। ইবনু আওন (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যদি আমরা জানতাম, হাসান বাসরী (রহঃ)-এর উক্তি এতটা প্রসিদ্ধি লাভ করবে তাহলে অবশ্যই আমরা তার নিকট গিয়ে একটি কিতাব লিখতাম এবং লোকদেরকে সাক্ষী বানাতাম। কিন্তু আমরা একটি কথা বলেছি, এখন কে তা প্রসিদ্ধ করবে।[1]
সহীহ।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ: لَوْ عَلِمْنَا أَنَّ كَلِمَةَ الْحَسَنِ تَبْلُغُ مَا بَلَغَتْ لَكَتَبْنَا بِرُجُوعِهِ كِتَابًا وَأَشْهَدْنَا عَلَيْهِ شُهُودًا، وَلَكِنَّا قُلْنَا: كَلِمَةٌ خَرَجَتْ لَا تُحْمَلُ
صحيح
Ibn ‘Awn said:
If we learnt that the remark of al-Hasan would reach the extent that it has reached, we would write a book for his withdrawal and call witnesses to him; but we said: This is a remark that surprisingly came out (from him) and it will not be transmitted to others.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬২৫। আইয়ূব (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাসান বাসরী (রহঃ) আমাকে বলেছেন, আমি আর কখনো এ ধরণের কথা বলবো না।[1]
সহীহ।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ: قَالَ لِي الْحَسَنُ: مَا أَنَا بِعَائِدٍ إِلَى شَيْءٍ مِنْهُ أَبَدًا
صحيح
Ayyub said:
Al-Hasan said: I will never return to it.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সুন্নাত অনুসরণে আহবান
৪৬২৬। উসমান আল-বাত্তী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাসান বাসরী (রহঃ) যখন কোনো আয়াতের ব্যাখ্যা করতেন, তখন তাকদীরকে প্রমাণ করতেন।[1]
সহীহ।
بَابُ لُزُومِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا هِلَالُ بْنُ بِشْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ عُثْمَانَ الْبَتِّيِّ، قَالَ: مَا فَسَّرَ الْحَسَنُ آيَةً قَطُّ إِلَّا عَنِ الْإِثْبَاتِ
صحيح
‘Uthman al-Batti said:
Al-Hasan never interpreted any Quranic verse but to establish (Divine decree).