পরিচ্ছেদঃ ২৬. দু’ ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা

৪৪৪৬। ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ইয়াহুদীরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, তাদের একজোড়া নারী-পুরুষ যেনা করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ তাওরাতে তোমরা যেনা সম্বন্ধে কি হুকুম পেয়েছো? তারা বললো, আমরা তো অপমান করি এবং তাদেরকে বেত্রাঘাত করা হয়। একথা শুনে আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বলেন, তোমরা মিথ্যা বলেছো। নিশ্চয়ই তাতে রজম করার হুকুম বিদ্যমান। অতঃপর তারা তাওরাত কিতাব নিয়ে আসে এবং তা খোলে। তাদের একজন তার একটি হাত রজমের আয়াতের উপর রেখে দিয়ে এর পূর্বাপর পড়তে থাকে।

আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) তাকে হাত উঠিয়ে নিতে আদেশ দেন। সে হাত উঠিয়ে নিতেই দেখা গেলো যে, তাতে রজমের আয়াত রয়েছে। তারা বললো, হে মুহাম্মাদ! তিনি সত্যিই বলেছেন, নিশ্চয়ই তাতে রজমের আয়াত আছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশে দু’ জনকেই রজম করা হলো। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, আমি দেখলাম, পুরুষটি ঐ নারীকে পাথরের আঘাত থেকে রক্ষার জন্য তার দিকে ধাবিত হচ্ছে।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ: قَرَأْتُ عَلَى مِالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: إِنَّ الْيَهُودَ جَاءُوا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرُوا لَهُ أَنَّ رَجُلًا مِنْهُمْ وَامْرَأَةً زَنَيَا، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ فِي شَأْنِ الزِّنَا؟ فَقَالُوا: نَفْضَحُهُمْ وَيُجْلَدُونَ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ: كَذَبْتُمْ، إِنَّ فِيهَا الرَّجْمَ، فَأَتَوْا بِالتَّوْرَاةِ، فَنَشَرُوهَا فَجَعَلَ أَحَدُهُمْ يَدَهُ عَلَى آيَةِ الرَّجْمِ، ثُمَّ جَعَلَ يَقْرَأُ مَا قَبْلَهَا وَمَا بَعْدَهَا، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ: ارْفَعْ يَدَيْكَ، فَرَفَعَهَا فَإِذَا فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ، فَقَالُوا: صَدَقَ يَا مُحَمَّدُ، فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ،، فَأَمَرَ بِهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُجِمَا، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يَحْنِي عَلَى الْمَرْأَةِ يَقِيهَا الْحِجَارَةَ

صحيح

حدثنا عبد الله بن مسلمة، قال: قرات على مالك بن انس، عن نافع، عن ابن عمر، انه قال: ان اليهود جاءوا الى النبي صلى الله عليه وسلم، فذكروا له ان رجلا منهم وامراة زنيا، فقال لهم رسول الله صلى الله عليه وسلم ما تجدون في التوراة في شان الزنا؟ فقالوا: نفضحهم ويجلدون، فقال عبد الله بن سلام: كذبتم، ان فيها الرجم، فاتوا بالتوراة، فنشروها فجعل احدهم يده على اية الرجم، ثم جعل يقرا ما قبلها وما بعدها، فقال له عبد الله بن سلام: ارفع يديك، فرفعها فاذا فيها اية الرجم، فقالوا: صدق يا محمد، فيها اية الرجم،، فامر بهما رسول الله صلى الله عليه وسلم فرجما، قال عبد الله بن عمر: فرايت الرجل يحني على المراة يقيها الحجارة صحيح


Ibn ‘Umar said:
some jews came to the Messenger of Allah (ﷺ) and mentioned to him that a man and a women of their number had committed fornication. The Messenger of Allah (ﷺ) asked them: What do you find in the Torah about stoning? They replied: We disgrace them and they should be flogged. ‘Abd Allah b. Salam said: You lie; it contains (instruction for) stoning. So they brought the Torah and spread it out, and one of them put his hand over the verse of stoning and read what preceded it and what followed it. ‘Abd Allah b. Salam said to him: Lift your hand. When he did so, the verse of stoning was seen to be in it. They then said: He has spoken the truth, Muhammad, the verse of stoning is in it. The Messenger of Allah (ﷺ) then gave command regarding them, and they were stoned to death. ‘Abd Allah b. ‘Umar said: I saw the man leaning on the woman protecting her from the stones.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৬. দু’ ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা

৪৪৪৭। আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কালিমা মাখা মুখ বিশিষ্ট এক ইয়াহুদীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাকে জনসমক্ষে ঘুরানো হচ্ছিল। তিনি তাদের কসম দিয়ে বলেন, তাদের কিতাবে যেনাকারীর হাদ্দ কি? বর্ণনাকারী বলেন, তারা তাঁকে তাদের মধ্যকার একজনকে দেখিয়ে দিলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রশ্ন করেনঃ তোমাদের কিতাবে যেনাকারীর হাদ্দ ঘটলে তাদের শাস্তি থেকে রেহাই দেয়া এবং অন্যদের শাস্তি দেয়া আমরা পছন্দ করলাম না। অতএব আমরা উপরোক্ত শাস্তি বাতিল করে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলে অপরাধীকে রজম করা হয়। অতঃপর তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! তারা তোমার কিতাবের যে অংশের মৃত্যু ঘটিয়েছিল আমিই প্রথম তা পুনর্জীবিত করলাম।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ: مَرُّوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَهُودِيٍّ قَدْ حُمِّمَ وَجْهُهُ، وَهُوَ يُطَافُ بِهِ، فَنَاشَدَهُمْ: مَا حَدُّ الزَّانِي فِي كِتَابِهِمْ؟ قَالَ: فَأَحَالُوهُ عَلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ، فَنَشَدَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا حَدُّ الزَّانِي فِي كِتَابِكُمْ؟ فَقَالَ: الرَّجْمُ، وَلَكِنْ ظَهَرَ الزِّنَا فِي أَشْرَافِنَا، فَكَرِهْنَا أَنْ يُتْرَكَ الشَّرِيفُ، وَيُقَامُ عَلَى مَنْ دُونَهُ، فَوَضَعْنَا هَذَا عَنَّا، فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُجِمَ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ مَنْ أَحْيَا مَا أَمَاتُوا مِنْ كِتَابِكَ

صحيح

حدثنا مسدد، حدثنا عبد الواحد بن زياد، عن الاعمش، عن عبد الله بن مرة، عن البراء بن عازب، قال: مروا على رسول الله صلى الله عليه وسلم بيهودي قد حمم وجهه، وهو يطاف به، فناشدهم: ما حد الزاني في كتابهم؟ قال: فاحالوه على رجل منهم، فنشده النبي صلى الله عليه وسلم: ما حد الزاني في كتابكم؟ فقال: الرجم، ولكن ظهر الزنا في اشرافنا، فكرهنا ان يترك الشريف، ويقام على من دونه، فوضعنا هذا عنا، فامر به رسول الله صلى الله عليه وسلم فرجم، ثم قال: اللهم اني اول من احيا ما اماتوا من كتابك صحيح


Al-Bara’ b. Azib said:
The people passed by the Messenger of Allah (ﷺ) with a jew whose face blackened with charcoal and he was being taken around. He adjured them by Allah and asked: What is the prescribed punishment for a fornicator in your Divine book? He (the narrator) said: They referred him to a man of them. The Prophet (ﷺ) adjured him and asked: What is the punishment for a fornication in your Divine Book? He replied: Stoning. But fornication spread among our people of rank, so we disliked that a person of rank should be left alone and the punishment be inflicted on one who is lower in rank than him. So we suspended it for us. The Messenger of Allah (ﷺ) then commanded regarding him and he was stoned to death. He then said: O Allah! I am the first to give life to a command of Thy Book which they had killed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৬. দু’ ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা

৪৪৪৮। আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, বেত্রাঘাতকৃত জনৈক ইয়াহুদীর মুখমণ্ডল কালিমালিপ্ত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি তাদের ডেকে প্রশ্ন করলেনঃ তোমরা কি যেনাকারীর এরূপ শাস্তির হুকুম পেয়েছ? তারা বললো, হ্যাঁ। অতএব তিনি তাদের একজন আলিমকে ডেকে বললেনঃ তোমাকে সেই আল্লাহর কসম করে বলছি যিনি মূসা (আঃ)-এর উপর তাওরাত কিতাব নাযিল করেছেন! তোমাদের কিতাবে যেনাকারীদের এরূপ শাস্তির কথা উল্লেখ পেয়েছে কি? সে বললো, হে আল্লাহ! না। আপনি যদি এ বিষয়ে আমাকে আল্লাহর কসম না দিতেন, তাহলে আমি অবশ্যই আপনাকে বলতাম না।

আমরা আমাদের কিতাবে যেনাকারীর শাস্তি রজমের উল্লেখ পেয়েছি। কিন্তু আমাদের অভিজাত সমাজে যেনার বিস্তার ঘটলে আমরা কোনো মর্যাদাসম্পন্ন লোককে এ অপরাধে ধরতে পারলেও ছেড়ে দিতাম; তবে দুর্বলদের কাউকে পেলে তার উপর শাস্তি বাস্তবায়িত করতাম। অতঃপর আমরা সকলকে আহবান করে বললাম, চলুন, আমরা যেনার শাস্তির ব্যাপারে সকলে ঐকমত্যে পৌঁছে এমন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হই, যাতে সকল শ্রেণীর লোকদের উপর তা বাস্তবায়িত করা যায়। অতঃপর আমরা এর শাস্তিস্বরূপ মুখমণ্ডল কালিমালিপ্ত করে অপমান করা এবং বেত্রাঘাত করাতে একমত হই এবং ’রজম’ পরিত্যাগ করি।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আল্লাহ! আমিই প্রথম ব্যক্তি যে তোমার নির্দেশকে পুনর্জীবন দান করেছি, তারা একে প্রাণহীন করার পর। অতঃপর তাঁর নির্দেশে অপরাধীকে রজম করা হয়। অতঃপর মহান আল্লাহ ইয়াহুদীদের সম্পর্কে এ আয়াতগুলো নাযিল করেনঃ ’’হে রাসূল! তোমাকে যেন দুঃখ না দেয় যারা কুফরীর দিকে দ্রুত ধাবিত হয় ... তারা বলে, তোমাদেরকে এরূপ বিধান দেয়া হলে তোমরা তা গ্রহণ করো অন্যথায় তোমরা বর্জন করো ... আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয় না, তারাই কাফির (ইয়াহুদীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে) ... আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয় না তারাই যালিম (ইয়াহুদীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে) ... আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয় না তারা পাপাচারী’’ (সূরা আল-মায়িদাহঃ ৪১-৪৭)। তিনি বলেন, এ আয়াতগুলো কাফির অবাধ্যদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ: مُرَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَهُودِيٍّ مُحَمَّمٍ مَجْلُودٍ، فَدَعَاهُمْ، فَقَالَ: هَكَذَا تَجِدُونَ حَدَّ الزَّانِي؟ فَقَالُوا: نَعَمْ، فَدَعَا رَجُلًا مِنْ عُلَمَائِهِمْ قَالَ لَهُ: نَشَدْتُكَ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى، أَهَكَذَا تَجِدُونَ حَدَّ الزَّانِي فِي كِتَابِكُمْ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا، وَلَوْلَا أَنَّكَ نَشَدْتَنِي بِهَذَا لَمْ أُخْبِرْكَ، نَجِدُ حَدَّ الزَّانِي فِي كِتَابِنَا الرَّجْمَ، وَلَكِنَّهُ كَثُرَ فِي أَشْرَافِنَا، فَكُنَّا إِذَا أَخَذْنَا الرَّجُلَ الشَّرِيفَ تَرَكْنَاهُ، وَإِذَا أَخَذْنَا الرَّجُلَ الضَّعِيفَ أَقَمْنَا عَلَيْهِ الْحَدَّ، فَقُلْنَا: تَعَالَوْا فَنَجْتَمِعُ عَلَى شَيْءٍ نُقِيمُهُ عَلَى الشَّرِيفِ وَالْوَضِيعِ، فَاجْتَمَعْنَا عَلَى التَّحْمِيمِ وَالْجَلْدِ، وَتَرَكْنَا الرَّجْمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ مَنْ أَحْيَا أَمْرَكَ إِذْ أَمَاتُوهُ، فَأَمَرَ بِهِ، فَرُجِمَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: (يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ لَا يَحْزُنْكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ) [المائدة: ٤١] إِلَى قَوْلِهِ: (يَقُولُونَ إِنْ أُوتِيتُمْ هَذَا فَخُذُوهُ وَإِنْ لَمْ تُؤْتَوْهُ فَاحْذَرُوا) [المائدة: ٤١] إِلَى قَوْلِهِ (وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ) [المائدة: ٤٤] فِي الْيَهُودِ إِلَى قَوْلِهِ (وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ) [المائدة: ٤٥] فِي الْيَهُودِ إِلَى قَوْلِهِ (وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ) [المائدة: ٤٧] قَالَ: هِيَ فِي الْكُفَّارِ كُلُّهَا، يَعْنِي هَذِهِ الْآيَةَ

صحيح

حدثنا محمد بن العلاء، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن عبد الله بن مرة، عن البراء بن عازب، قال: مر على رسول الله صلى الله عليه وسلم بيهودي محمم مجلود، فدعاهم، فقال: هكذا تجدون حد الزاني؟ فقالوا: نعم، فدعا رجلا من علماىهم قال له: نشدتك بالله الذي انزل التوراة على موسى، اهكذا تجدون حد الزاني في كتابكم، فقال: اللهم لا، ولولا انك نشدتني بهذا لم اخبرك، نجد حد الزاني في كتابنا الرجم، ولكنه كثر في اشرافنا، فكنا اذا اخذنا الرجل الشريف تركناه، واذا اخذنا الرجل الضعيف اقمنا عليه الحد، فقلنا: تعالوا فنجتمع على شيء نقيمه على الشريف والوضيع، فاجتمعنا على التحميم والجلد، وتركنا الرجم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اللهم اني اول من احيا امرك اذ اماتوه، فامر به، فرجم، فانزل الله عز وجل: (يا ايها الرسول لا يحزنك الذين يسارعون في الكفر) [الماىدة: ٤١] الى قوله: (يقولون ان اوتيتم هذا فخذوه وان لم توتوه فاحذروا) [الماىدة: ٤١] الى قوله (ومن لم يحكم بما انزل الله فاولىك هم الكافرون) [الماىدة: ٤٤] في اليهود الى قوله (ومن لم يحكم بما انزل الله فاولىك هم الظالمون) [الماىدة: ٤٥] في اليهود الى قوله (ومن لم يحكم بما انزل الله فاولىك هم الفاسقون) [الماىدة: ٤٧] قال: هي في الكفار كلها، يعني هذه الاية صحيح


Narrated Al-Bara' ibn Azib:

The people passed by the Messenger of Allah (ﷺ) with a Jew who was blackened with charcoal and who was being flogged.

He called them and said: Is this the prescribed punishment for a fornicator?

They said: Yes. He then called on a learned man among them and asked him: I adjure you by Allah Who revealed the Torah to Moses, do you find this prescribed punishment for a fornicator in your divine Book?

He said: By Allah, no. If you had not adjured me about this, I should not have informed you. We find stoning to be prescribed punishment for a fornicator in our Divine Book. But it (fornication) became frequent in our people of rank; so when we seized a person of rank, we left him alone, and when we seized a weak person, we inflicted the prescribed punishment on him. So we said: Come, let us agree on something which may be enforced equally on people of higher and lower rank. So we agreed to blacken the face of a criminal with charcoal, and flog him, and we abandoned stoning.

The Messenger of Allah (ﷺ) then said: O Allah, I am the first to give life to Thy command which they have killed. So he commanded regarding him (the Jew) and he was stoned to death.

Allah Most High then sent down: "O Apostle, let not those who race one another into unbelief, make thee grieve..." up to "They say: If you are given this, take it, but if not, beware!...." up to "And if any do fail to judge by (the light of) what Allah hath revealed, they are (no better than) unbelievers," about Jews, up to "And if any do fail to judge by (the right of) what Allah hath revealed, they are no better than) wrong-doers" about Jews: and revealed the verses up to "And if any do fail to judge by (the light of) what Allah hath revealed, they are (no better than) those who rebel." About this he said: This whole verse was revealed about the infidels.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৬. দু’ ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা

৪৪৪৯। ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা একদল ইয়াহুদী এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ’কুফ’ নামক উপত্যকায় ততে আবেদন জানালো। তিনি তাদের এক পাঠাগারে উপস্থিত হলেন। তারা বললো, হে আবুল কাসিম! আমাদের এক ব্যক্তি জনৈকা মহিলার সঙ্গে যেনা করেছে। সুতরাং আপনি এদের সম্পর্কে ফায়সালা দিন। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য একটি বালিশ পেতে দিলো। তিনি তাতে বসে তাদের বললেনঃ তোমরা একখানি তাওরাত নিয়ে এসো।

তাওরাত নিয়ে আসা হলে তিনি তাঁর নীচে বিছানো বালিশ টেনে নিয়ে তার উপর তাওরাত রাখলেন এবং বললেনঃ আমি তোমার প্রতি এবং তোমায় যিনি নাযিল করেছেন তার প্রতি ঈমান এনেছি। অতঃপর তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যকার অধিক জ্ঞানী ব্যক্তিকে নিয়ে এসো। অতএব এক যুবককে আনা হলো। অতঃপর তিনি (ইবনু উমার) নাফি থেকে মালিক সূত্রে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ ’রজম’ সম্পর্কিত ঘটনা বর্ণনা করেন।[1]

হাসান।

بَابٌ فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ، حَدَّثَهُ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: أَتَى نَفَرٌ مِنْ يَهُودٍ، فَدَعَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْقُفِّ، فَأَتَاهُمْ فِي بَيْتِ الْمِدْرَاسِ، فَقَالُوا: يَا أَبَا الْقَاسِمِ: إِنَّ رَجُلًا مِنَّا زَنَى بِامْرَأَةٍ، فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ، فَوَضَعُوا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وِسَادَةً فَجَلَسَ عَلَيْهَا، ثُمَّ قَالَ: بِالتَّوْرَاةِ، فَأُتِيَ بِهَا، فَنَزَعَ الْوِسَادَةَ مِنْ تَحْتِهِ، فَوَضَعَ التَّوْرَاةَ عَلَيْهَا، ثُمَّ قَالَ: آمَنْتُ بِكِ وَبِمَنْ أَنْزَلَكِ ثُمَّ قَالَ: ائْتُونِي بِأَعْلَمِكُمْ، فَأُتِيَ بِفَتًى شَابٍّ، ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ الرَّجْمِ، نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ

حسن

حدثنا احمد بن سعيد الهمداني، حدثنا ابن وهب، حدثني هشام بن سعد، ان زيد بن اسلم، حدثه، عن ابن عمر قال: اتى نفر من يهود، فدعوا رسول الله صلى الله عليه وسلم الى القف، فاتاهم في بيت المدراس، فقالوا: يا ابا القاسم: ان رجلا منا زنى بامراة، فاحكم بينهم، فوضعوا لرسول الله صلى الله عليه وسلم وسادة فجلس عليها، ثم قال: بالتوراة، فاتي بها، فنزع الوسادة من تحته، فوضع التوراة عليها، ثم قال: امنت بك وبمن انزلك ثم قال: اىتوني باعلمكم، فاتي بفتى شاب، ثم ذكر قصة الرجم، نحو حديث مالك، عن نافع حسن


Narrated Abdullah Ibn Umar:

A group of Jews came and invited the Messenger of Allah (ﷺ) to Quff. So he visited them in their school.

They said: AbulQasim, one of our men has committed fornication with a woman; so pronounce judgment upon them. They placed a cushion for the Messenger of Allah (ﷺ) who sat on it and said: Bring the Torah. It was then brought. He then withdrew the cushion from beneath him and placed the Torah on it saying: I believed in thee and in Him Who revealed thee.

He then said: Bring me one who is learned among you. Then a young man was brought. The transmitter then mentioned the rest of the tradition of stoning similar to the one transmitted by Malik from Nafi'


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৬. দু’ ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা

৪৪৫০। মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমি মুযাইনাহ গোত্রের এমন এক ব্যক্তিকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি যিনি ছিলেন জ্ঞানপিপাসু ও সংরক্ষণকারী। একদা আমরা সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ)-এর নিকট ছিলাম। তিনি আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে। এটা মা’মার বর্ণিত হাদীস এবং এটি সর্বাধিক পূর্ণাঙ্গ। তিনি বলেন, ইয়াহুদীদের মধ্যকার একজোড়া নারী-পুরুষ যেনা করেলো।

তারা পরস্পরকে বললো, চলো আমরা এই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যাই। তাঁকে তো সহজতর বিধানসহ পাঠানো হয়েছে। তিনি যদি আমাদের এ ব্যাপারে রজম করার পরিবর্তে লঘু শাস্তির বিধান দেন, তাহলে আমরা তা গ্রহণ করবো এবং আল্লাহর নিকট এর মাধ্যমে বাহানা দাঁড় করাবো এবং বললো, হে আল্লাহ! এটা তো আপনার এক নবী প্রদত্ত ফায়সালা।

বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসে। এ সময় তিনি সাহাবীদের সঙ্গে মসজিদে বসা ছিলেন। তারা বললো, হে আবুল কাসিম! যেনাকারী নারী ও পুরুষের সম্পর্কে আপনার কি অভিমত? তিনি তাদের পাঠাগারে আসার পূর্ব পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথাও বলেননি। অতঃপর পাঠাগারে দরজায় দাঁড়িয়ে তিনি বললেনঃ তোমাদেরকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি যিনি মূসা (আঃ)-এর প্রতি তাওরাত কিতাব নাযিল করেছেন! বিবাহিত লোক যেনা করলে তার কি হুকুম তোমরা তাওরাতে পাচ্ছো? তারা বললো, চুল-কালিতে মুখমণ্ডল রাঙিয়ে তাজ্বীহ করা হয় এবং বেত্রাঘাত করা হয়। তাজ্বীহ অর্থ হলো, যেনার অপরাধীদ্বয়কে গাধার পিঠে উঠিয়ে উভয়ে পিঠ পরস্পর মিশিয়ে এলাকা জুড়ে চক্কর দেয়া।

বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় এক যুবককে চুপ করে থাকতে দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কসম দিয়ে অনুরোধ করলে সে বললো, আল্লাহর কসম! আপনি যেহেতু আমাদের কসম দিলেন, আমরা তো তাওরাতে রজমের বিধান পাচ্ছি। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রশ্ন করলেনঃ তাহলে তোমরা আল্লাহর বিধানকে এতো হালকা ভাবলে কেন?

সে বললো, আমাদের কোনো এক রাজার জনৈক নিকটাত্মীয় যেনার অপরাধী সাব্যস্ত হয়; তিনি তাকে রজমের শাস্তি থেকে অব্যাহতি দিলেন। অতঃপর সাধারণ পরিবারের জনৈক ব্যক্তি যেনা করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়াতে তিনি তাকে রজম করার ইচ্ছা করেন; কিন্তু দোষী লোকটির পক্ষের লোকেরা তাতে বাধা দিলো। তারা বললো, আপনার আত্মীয়টিকে এনে রজম না করা পর্যন্ত আমাদের এ ব্যক্তিকে রজম করা যাবে না। অতঃপর তারা এ শাস্তির উপর ফায়সালা করে।

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি নিশ্চয়ই তাওরাতে বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করবো। অতঃপর তাঁর নির্দেশে তাদেরকে রজম করা হলো। যুহরী (রহঃ) বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, নিম্নোক্ত আয়াত ইয়াহুদীদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছেঃ ’’নিশ্চয়ই আমি তাওরাত নাযিল করেছি, যাতে হিদায়াত ও আলো বিদ্যমান ছিলো। আল্লাহর অনুগত নবীগণ এর মাধ্যমে ইয়াহুদীদেরকে বিধান দিতো’’ (সূরা আল-মায়িদাহঃ ৪৪) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও অনুগত নবীদের অন্তর্ভুক্ত।[1]

দুর্বলঃ ইরওয়া হা/ ১২৫৩।

بَابٌ فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنَا رَجُلٌ مِنْ مُزَيْنَةَ، ح وحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ: سَمِعْتُ رَجُلًا، مِنْ مُزَيْنَةَ مِمَّنْ يَتَّبِعُ الْعِلْمَ، وَيَعِيهِ، ثُمَّ اتَّفَقَا وَنَحْنُ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ،، فَحَدَّثَنَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - وَهَذَا حَدِيثُ مَعْمَرٍ وَهُوَ أَتَمُّ - قَالَ: زَنَى رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ وَامْرَأَةٌ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: اذْهَبُوا بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ، فَإِنَّهُ نَبِيٌّ بُعِثَ بِالتَّخْفِيفِ، فَإِنْ أَفْتَانَا بِفُتْيَا دُونَ الرَّجْمِ قَبِلْنَاهَا، وَاحْتَجَجْنَا بِهَا عِنْدَ اللَّهِ، قُلْنَا: فُتْيَا نَبِيٍّ مِنْ أَنْبِيَائِكَ، قَالَ: فَأَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي أَصْحَابِهِ، فَقَالُوا: يَا أَبَا الْقَاسِمِ، مَا تَرَى فِي رَجُلٍ وَامْرَأَةٍ زَنَيَا؟ فَلَمْ يُكَلِّمْهُمْ كَلِمَةً حَتَّى أَتَى بَيْتَ مِدْرَاسِهِمْ، فَقَامَ عَلَى الْبَابِ، فَقَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أَحْصَنَ؟ قَالُوا: يُحَمَّمُ، وَيُجَبَّهُ، وَيُجْلَدُ، وَالتَّجْبِيهُ: أَنْ يُحْمَلَ الزَّانِيَانِ عَلَى حِمَارٍ، وَتُقَابَلُ أَقْفِيَتُهُمَا، وَيُطَافُ بِهِمَا، قَالَ: وَسَكَتَ شَابٌّ مِنْهُمْ، فَلَمَّا رَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَكَتَ، أَلَظَّ بِهِ النِّشْدَةَ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِذْ نَشَدْتَنَا، فَإِنَّا نَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ الرَّجْمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلّى الله عليه وسلم: فَمَا أَوَّلُ مَا ارْتَخَصْتُمْ أَمْرَ اللَّهِ؟ قَالَ: زَنَى ذُو قَرَابَةٍ مِنْ مَلِكٍ مِنْ مُلُوكِنَا، فَأَخَّرَ عَنْهُ الرَّجْمَ، ثُمَّ زَنَى رَجُلٌ فِي أُسْرَةٍ مِنَ النَّاسِ، فَأَرَادَ رَجْمَهُ، فَحَالَ قَوْمُهُ دُونَهُ، وَقَالُوا: لَا يُرْجَمُ صَاحِبُنَا حَتَّى تَجِيءَ بِصَاحِبِكَ فَتَرْجُمَهُ، فَاصْطَلَحُوا عَلَى هَذِهِ الْعُقُوبَةِ بَيْنَهُمْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَإِنِّي أَحْكُمُ بِمَا فِي التَّوْرَاةِ فَأَمَرَ بِهِمَا فَرُجِمَا، قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَبَلَغَنَا أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ نَزَلَتْ فِيهِمْ (إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا) [المائدة: ٤٤]، كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُمْ

ضعيف، الإرواء (١٢٥٣)

حدثنا محمد بن يحيى، حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، حدثنا رجل من مزينة، ح وحدثنا احمد بن صالح، حدثنا عنبسة، حدثنا يونس، قال: قال محمد بن مسلم: سمعت رجلا، من مزينة ممن يتبع العلم، ويعيه، ثم اتفقا ونحن عند سعيد بن المسيب،، فحدثنا عن ابي هريرة - وهذا حديث معمر وهو اتم - قال: زنى رجل من اليهود وامراة، فقال بعضهم لبعض: اذهبوا بنا الى هذا النبي، فانه نبي بعث بالتخفيف، فان افتانا بفتيا دون الرجم قبلناها، واحتججنا بها عند الله، قلنا: فتيا نبي من انبياىك، قال: فاتوا النبي صلى الله عليه وسلم وهو جالس في المسجد في اصحابه، فقالوا: يا ابا القاسم، ما ترى في رجل وامراة زنيا؟ فلم يكلمهم كلمة حتى اتى بيت مدراسهم، فقام على الباب، فقال: انشدكم بالله الذي انزل التوراة على موسى ما تجدون في التوراة على من زنى اذا احصن؟ قالوا: يحمم، ويجبه، ويجلد، والتجبيه: ان يحمل الزانيان على حمار، وتقابل اقفيتهما، ويطاف بهما، قال: وسكت شاب منهم، فلما راه النبي صلى الله عليه وسلم سكت، الظ به النشدة، فقال: اللهم اذ نشدتنا، فانا نجد في التوراة الرجم، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: فما اول ما ارتخصتم امر الله؟ قال: زنى ذو قرابة من ملك من ملوكنا، فاخر عنه الرجم، ثم زنى رجل في اسرة من الناس، فاراد رجمه، فحال قومه دونه، وقالوا: لا يرجم صاحبنا حتى تجيء بصاحبك فترجمه، فاصطلحوا على هذه العقوبة بينهم، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: فاني احكم بما في التوراة فامر بهما فرجما، قال الزهري: فبلغنا ان هذه الاية نزلت فيهم (انا انزلنا التوراة فيها هدى ونور يحكم بها النبيون الذين اسلموا) [الماىدة: ٤٤]، كان النبي صلى الله عليه وسلم منهم ضعيف، الارواء (١٢٥٣)


Narrated AbuHurayrah:

(This is Ma'mar's version which is more accurate.) A man and a woman of the Jews committed fornication.

Some of them said to the others: Let us go to this Prophet, for he has been sent with an easy law. If he gives a judgment lighter than stoning, we shall accept it, and argue about it with Allah, saying: It is a judgment of one of your prophets. So they came to the Prophet (ﷺ) who was sitting in the mosque among his companions.

They said: AbulQasim, what do you think about a man and a woman who committed fornication? He did not speak to them a word till he went to their school.

He stood at the gate and said: I adjure you by Allah Who revealed the Torah to Moses, what (punishment) do you find in the Torah for a person who commits fornication, if he is married?

They said: He shall be blackened with charcoal, taken round a donkey among the people, and flogged. A young man among them kept silent.

When the Prophet (ﷺ) emphatically adjured him, he said: By Allah, since you have adjured us (we inform you that) we find stoning in the Torah (is the punishment for fornication).

The Prophet (ﷺ) said: So when did you lessen the severity of Allah's command? He said:

A relative of one of our kings had committed fornication, but his stoning was suspended. Then a man of a family of common people committed fornication. He was to have been stoned, but his people intervened and said: Our man shall not be stoned until you bring your man and stone him. So they made a compromise on this punishment between them.

The Prophet (ﷺ) said: So I decide in accordance with what the Torah says. He then commanded regarding them and they were stoned to death.

Az-Zuhri said: We have been informed that this verse was revealed about them: "It was We Who revealed the Law (to Moses): therein was guidance and light. By its standard have been judged the Jews, by the Prophet who bowed (as in Islam) to Allah's will.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৬. দু’ ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা

৪৪৫১। আয-যুহরী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুযাইনাহ গোত্রের জনৈক ব্যক্তিকে সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহঃ) সূত্রে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি বলেন, একজোড়া বিবাহিত ইয়াহুদী নারী-পুরুষ যেনা করে। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদীনায় আসেন। যেনার শাস্তির ব্যাপারে তাওরাত কিতাবে রজমের বিধান বিদ্যমান ছিলো, কিন্তু ইয়াহুদীরা তা পরিত্যাগ করে ’তাজবীহ’ নামক শাস্তি চালু করে। তাজবীহ হলো, পাকানো রশি দিয়ে একশোবার প্রহার করা এবং মুখমণ্ডল ে চুন-কালি মেখে গাধার উপর এমনভাবে বসিয়ে দেয়া যে, অপরাধীর মুখ গাধার পিছন দিকে থাকে। এমনিভাবে তাকে এলাকা জুড়ে চক্কর দেয়া।

অতঃপর তাদের ’আলিমদের একটি দল একত্র হলো এবং অপর একটি দলকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পাঠিয়ে দিলো এবং তাদের বলে দিলো যে, তাঁকে গিয়ে যেনার শাস্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করবে। এভাবে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসে আরো আছেঃ যারা তাঁর ধর্মের অনুসারী নয়, তিনি তাদের মাঝেও ফায়সালা করতেন। অতঃপর এ ব্যাপারে তাঁকে স্বাধীনতা দিয়ে আল্লাহ বলেনঃ ’’তারা যদি আপনার নিকট আসে, তবে আপনি তাদের বিচার মীমাংসা করুন অথবা তাদের উপেক্ষা করুন’’ (সূরা আল-মায়িদাহঃ ৪২)।[1]

দুর্বল।

بَابٌ فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى أَبُو الْأَصْبَغِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ رَجُلًا مِنْ مُزَيْنَةَ، يُحَدِّثُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: زَنَى رَجُلٌ وَامْرَأَةٌ مِنَ الْيَهُودِ وَقَدْ أُحْصِنَا، حِينَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، وَقَدْ كَانَ الرَّجْمُ مَكْتُوبًا عَلَيْهِمْ فِي التَّوْرَاةِ، فَتَرَكُوهُ وَأَخَذُوا بِالتَّجْبِيهِ، يُضْرَبُ مِائَةً بِحَبْلٍ مَطْلِيٍّ بِقَارٍ، وَيُحْمَلُ عَلَى حِمَارٍ، وَجْهُهُ مِمَّا يَلِي دُبُرَ الْحِمَارِ، فَاجْتَمَعَ أَحْبَارٌ مِنْ أَحْبَارِهِمْ، فَبَعَثُوا قَوْمًا آخَرِينَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: سَلُوهُ عَنْ حَدِّ الزَّانِي، وَسَاقَ الْحَدِيثَ، فَقَالَ فِيهِ: قَالَ: وَلَمْ يَكُونُوا مِنْ أَهْلِ دِينِهِ، فَيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ، فَخُيِّرَ فِي ذَلِكَ، قَالَ: (فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ)

ضعيف

حدثنا عبد العزيز بن يحيى ابو الاصبغ الحراني، حدثني محمد يعني ابن سلمة، عن محمد بن اسحاق، عن الزهري، قال: سمعت رجلا من مزينة، يحدث سعيد بن المسيب، عن ابي هريرة، قال: زنى رجل وامراة من اليهود وقد احصنا، حين قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة، وقد كان الرجم مكتوبا عليهم في التوراة، فتركوه واخذوا بالتجبيه، يضرب ماىة بحبل مطلي بقار، ويحمل على حمار، وجهه مما يلي دبر الحمار، فاجتمع احبار من احبارهم، فبعثوا قوما اخرين الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقالوا: سلوه عن حد الزاني، وساق الحديث، فقال فيه: قال: ولم يكونوا من اهل دينه، فيحكم بينهم، فخير في ذلك، قال: (فان جاءوك فاحكم بينهم او اعرض عنهم) ضعيف


Abu Hurairah said:
A man and a woman of the Jews who were married committed fornication at the time when the Messenger of Allah (ﷺ) came to Medina. Stoning was a prescribed punishment for them in accordance with the Torah, but they abandoned it and followed tajbiyyah, meaning, the man was beaten a hundred times with a rope painted with tar and was seated on a donkey with his face towards the tail of the donkey. Their rabbis then assembled and sent some people to the Messenger of Allah (ﷺ). They said to them: Ask him about the prescribed punishment for fornication. The transmitter then mentioned the rest of the tradition. They version adds: They were not the followers of his religion, and he (the prophet) was to pronounce judgment between them. So he was given a choice in this verse:”If they do come to thee, either judge between them, or decline to interfere.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৬. দু’ ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা

৪৪৫২। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদল ইয়াহুদী তাদের মধ্যকার যেনার অপরাধী পুরুষ-নারীকে নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হলো। তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যকার সব চাইতে বিজ্ঞ দু’ জন লোক নিয়ে এসো। অতএব তারা ’সূরিয়ার’ দু’ পুত্রকে তাঁর নিকট হাযির করলো।

তিনি তাদেরকে আল্লাহর কসম দিয়ে প্রশ্ন করেনঃ তোমরা এদের ব্যাপারে তাওরাতে কিরূপ বিধান দেখতে পাও? তারা বললো, আমরা তাওরাতে দেখতে পাই, চারজন সাক্ষী যদি সাক্ষ্য দেয় যে, তারা পুরুষটির গুপ্তাঙ্গ স্ত্রী গুপ্তাঙ্গে এরূপভাবে ঢুকানো অবস্থায় দেখেছে, যেরূপ সুরমা শলাকা সুরমাদানিতে ঢুকানো হয়। তাহলে তাদের উভয়কে রজম করা হবে।

তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তাহলে কোন্ জিনিসটা তোমাদেরকে তাদেরকে রজম করতে বাঁধা দিচ্ছে? তারা উভয়ে বললো, আমাদের শাসনক্ষমতা লোপ পেয়েছে। সুতরাং হত্যা করাকে আমরা অনুমোদন করি না।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাক্ষীদের নিয়ে আসতে ডাকলেন। তারা চারজন সাক্ষী নিয়ে এলো। তারা সাক্ষ্য দিলো যে, সুরমা শলাকা যেরূপ সুরমাদানির ভিতরে ঢুকে যায় ঠিক সেরূপই তারা পুরুষটির গুপ্তাঙ্গ স্ত্রী লোকটির গুপ্তাঙ্গের মধ্যে ঢুকানোর অবস্থায় দেখেছে। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের রজম করার নির্দেশ দেন।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ مُجَالِدٌ: أَخْبَرَنَا، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: جَاءَتِ الْيَهُودُ بِرَجُلٍ وَامْرَأَةٍ مِنْهُمْ زَنَيَا، فَقَالَ: ائْتُونِي بِأَعْلَمِ رَجُلَيْنِ مِنْكُمْ، فَأَتَوْهُ بِابْنَيْ صُورِيَا، فَنَشَدَهُمَا: كَيْفَ تَجِدَانِ أَمْرَ هَذَيْنِ فِي التَّوْرَاةِ؟ قَالَا: نَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ إِذَا شَهِدَ أَرْبَعَةٌ أَنَّهُمْ رَأَوْا ذَكَرَهُ فِي فَرْجِهَا مِثْلَ الْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ رُجِمَا، قَالَ: فَمَا يَمْنَعُكُمَا أَنْ تَرْجُمُوهُمَا؟ قَالَا: ذَهَبَ سُلْطَانُنَا، فَكَرِهْنَا الْقَتْلَ، فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالشُّهُودِ، فَجَاءُوا بِأَرْبَعَةٍ، فَشَهِدُوا أَنَّهُمْ رَأَوْا ذَكَرَهُ فِي فَرْجِهَا مِثْلَ الْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجْمِهِمَا

صحيح

حدثنا يحيى بن موسى البلخي، حدثنا ابو اسامة، قال مجالد: اخبرنا، عن عامر، عن جابر بن عبد الله، قال: جاءت اليهود برجل وامراة منهم زنيا، فقال: اىتوني باعلم رجلين منكم، فاتوه بابني صوريا، فنشدهما: كيف تجدان امر هذين في التوراة؟ قالا: نجد في التوراة اذا شهد اربعة انهم راوا ذكره في فرجها مثل الميل في المكحلة رجما، قال: فما يمنعكما ان ترجموهما؟ قالا: ذهب سلطاننا، فكرهنا القتل، فدعا رسول الله صلى الله عليه وسلم بالشهود، فجاءوا باربعة، فشهدوا انهم راوا ذكره في فرجها مثل الميل في المكحلة، فامر رسول الله صلى الله عليه وسلم برجمهما صحيح


Jabir b. ‘Abd Allah said:
The Jews brought a man and a woman of them who had committed fornication. He said: Bring me two learned men or yours. So they brought the two sons of Suriya. He adjured them and said: How do you think about the matter if these two persons bear witness to the effect that they have seen his sexual organ in her female organ (penetrated) like a collyrium stick when enclosed in its case, they will be stoned to death. He asked: What is there which prevents you from stoning them: They replied : Our rule has gone, so we disapproved of killing. The Messenger of Allah (ﷺ) then called four witnesses. They brought four witnesses. Who testified that they had seen his sexual organ (penetrated) in her female organ like a collyrium stick when enclosed in its case. The Prophet (ﷺ) then gave orders for stoning them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৬. দু’ ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা

৪৪৫৩। ইবরাহীম ও আশ-শা’বী (রহঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তবে এতে ’’তিনি সাক্ষীদের হাযির করতে বললেন। অতএব তারা এসে সাক্ষী দিলো’’- এ কথাটি উল্লেখ নেই।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، وَالشَّعْبِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ، لَمْ يَذْكُرْ فَدَعَا بِالشُّهُودِ فَشَهِدُوا

صحيح

حدثنا وهب بن بقية، عن هشيم، عن مغيرة، عن ابراهيم، والشعبي، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه، لم يذكر فدعا بالشهود فشهدوا صحيح


A similar tradition has also been transmitted by Ibrahim and al-Sha’bi from the Prophet (ﷺ) through a different chain of narrators. But this version does not mention the words:
He called the witnesses who testified.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৬. দু’ ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা

৪৪৫৪। আশ-শা’বী (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত।

আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।

بَابٌ فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنِ ابْنِ شُبْرُمَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، بِنَحْوٍ مِنْهُ

لم أجده في الصحيح و لا في الضعيف

حدثنا وهب بن بقية، عن هشيم، عن ابن شبرمة، عن الشعبي، بنحو منه لم اجده في الصحيح و لا في الضعيف


A similar tradition has also been transmitted by al-Sha’bi through a different chain of narrators.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ শা‘বী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৬. দু’ ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা

৪৪৫৫। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, একজোড়া ইয়াহুদী নারী-পুরুষ যেনা করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের রজম করার নির্দেশ দেন।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَسَنٍ الْمِصِّيصِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا الزُّبَيْرِ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: رَجَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا مِنَ الْيَهُودِ وَامْرَأَةً زَنَيَا
صحيح

حدثنا ابراهيم بن حسن المصيصي، حدثنا حجاج بن محمد، قال: حدثنا ابن جريج، انه سمع ابا الزبير، سمع جابر بن عبد الله، يقول: رجم النبي صلى الله عليه وسلم رجلا من اليهود وامراة زنيا صحيح


Jabir bin ‘Abd Allah said:
The Prophet (ﷺ) had a man and a woman of the Jews who had committed fornication stoned to death.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে