লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২৬. দু’ ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা
৪৪৫০। মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমি মুযাইনাহ গোত্রের এমন এক ব্যক্তিকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি যিনি ছিলেন জ্ঞানপিপাসু ও সংরক্ষণকারী। একদা আমরা সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ)-এর নিকট ছিলাম। তিনি আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে। এটা মা’মার বর্ণিত হাদীস এবং এটি সর্বাধিক পূর্ণাঙ্গ। তিনি বলেন, ইয়াহুদীদের মধ্যকার একজোড়া নারী-পুরুষ যেনা করেলো।
তারা পরস্পরকে বললো, চলো আমরা এই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যাই। তাঁকে তো সহজতর বিধানসহ পাঠানো হয়েছে। তিনি যদি আমাদের এ ব্যাপারে রজম করার পরিবর্তে লঘু শাস্তির বিধান দেন, তাহলে আমরা তা গ্রহণ করবো এবং আল্লাহর নিকট এর মাধ্যমে বাহানা দাঁড় করাবো এবং বললো, হে আল্লাহ! এটা তো আপনার এক নবী প্রদত্ত ফায়সালা।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসে। এ সময় তিনি সাহাবীদের সঙ্গে মসজিদে বসা ছিলেন। তারা বললো, হে আবুল কাসিম! যেনাকারী নারী ও পুরুষের সম্পর্কে আপনার কি অভিমত? তিনি তাদের পাঠাগারে আসার পূর্ব পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথাও বলেননি। অতঃপর পাঠাগারে দরজায় দাঁড়িয়ে তিনি বললেনঃ তোমাদেরকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি যিনি মূসা (আঃ)-এর প্রতি তাওরাত কিতাব নাযিল করেছেন! বিবাহিত লোক যেনা করলে তার কি হুকুম তোমরা তাওরাতে পাচ্ছো? তারা বললো, চুল-কালিতে মুখমণ্ডল রাঙিয়ে তাজ্বীহ করা হয় এবং বেত্রাঘাত করা হয়। তাজ্বীহ অর্থ হলো, যেনার অপরাধীদ্বয়কে গাধার পিঠে উঠিয়ে উভয়ে পিঠ পরস্পর মিশিয়ে এলাকা জুড়ে চক্কর দেয়া।
বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় এক যুবককে চুপ করে থাকতে দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কসম দিয়ে অনুরোধ করলে সে বললো, আল্লাহর কসম! আপনি যেহেতু আমাদের কসম দিলেন, আমরা তো তাওরাতে রজমের বিধান পাচ্ছি। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রশ্ন করলেনঃ তাহলে তোমরা আল্লাহর বিধানকে এতো হালকা ভাবলে কেন?
সে বললো, আমাদের কোনো এক রাজার জনৈক নিকটাত্মীয় যেনার অপরাধী সাব্যস্ত হয়; তিনি তাকে রজমের শাস্তি থেকে অব্যাহতি দিলেন। অতঃপর সাধারণ পরিবারের জনৈক ব্যক্তি যেনা করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়াতে তিনি তাকে রজম করার ইচ্ছা করেন; কিন্তু দোষী লোকটির পক্ষের লোকেরা তাতে বাধা দিলো। তারা বললো, আপনার আত্মীয়টিকে এনে রজম না করা পর্যন্ত আমাদের এ ব্যক্তিকে রজম করা যাবে না। অতঃপর তারা এ শাস্তির উপর ফায়সালা করে।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি নিশ্চয়ই তাওরাতে বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করবো। অতঃপর তাঁর নির্দেশে তাদেরকে রজম করা হলো। যুহরী (রহঃ) বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, নিম্নোক্ত আয়াত ইয়াহুদীদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছেঃ ’’নিশ্চয়ই আমি তাওরাত নাযিল করেছি, যাতে হিদায়াত ও আলো বিদ্যমান ছিলো। আল্লাহর অনুগত নবীগণ এর মাধ্যমে ইয়াহুদীদেরকে বিধান দিতো’’ (সূরা আল-মায়িদাহঃ ৪৪) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও অনুগত নবীদের অন্তর্ভুক্ত।[1]
দুর্বলঃ ইরওয়া হা/ ১২৫৩।
بَابٌ فِي رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنَا رَجُلٌ مِنْ مُزَيْنَةَ، ح وحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ: سَمِعْتُ رَجُلًا، مِنْ مُزَيْنَةَ مِمَّنْ يَتَّبِعُ الْعِلْمَ، وَيَعِيهِ، ثُمَّ اتَّفَقَا وَنَحْنُ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ،، فَحَدَّثَنَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - وَهَذَا حَدِيثُ مَعْمَرٍ وَهُوَ أَتَمُّ - قَالَ: زَنَى رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ وَامْرَأَةٌ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: اذْهَبُوا بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ، فَإِنَّهُ نَبِيٌّ بُعِثَ بِالتَّخْفِيفِ، فَإِنْ أَفْتَانَا بِفُتْيَا دُونَ الرَّجْمِ قَبِلْنَاهَا، وَاحْتَجَجْنَا بِهَا عِنْدَ اللَّهِ، قُلْنَا: فُتْيَا نَبِيٍّ مِنْ أَنْبِيَائِكَ، قَالَ: فَأَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي أَصْحَابِهِ، فَقَالُوا: يَا أَبَا الْقَاسِمِ، مَا تَرَى فِي رَجُلٍ وَامْرَأَةٍ زَنَيَا؟ فَلَمْ يُكَلِّمْهُمْ كَلِمَةً حَتَّى أَتَى بَيْتَ مِدْرَاسِهِمْ، فَقَامَ عَلَى الْبَابِ، فَقَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أَحْصَنَ؟ قَالُوا: يُحَمَّمُ، وَيُجَبَّهُ، وَيُجْلَدُ، وَالتَّجْبِيهُ: أَنْ يُحْمَلَ الزَّانِيَانِ عَلَى حِمَارٍ، وَتُقَابَلُ أَقْفِيَتُهُمَا، وَيُطَافُ بِهِمَا، قَالَ: وَسَكَتَ شَابٌّ مِنْهُمْ، فَلَمَّا رَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَكَتَ، أَلَظَّ بِهِ النِّشْدَةَ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِذْ نَشَدْتَنَا، فَإِنَّا نَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ الرَّجْمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلّى الله عليه وسلم: فَمَا أَوَّلُ مَا ارْتَخَصْتُمْ أَمْرَ اللَّهِ؟ قَالَ: زَنَى ذُو قَرَابَةٍ مِنْ مَلِكٍ مِنْ مُلُوكِنَا، فَأَخَّرَ عَنْهُ الرَّجْمَ، ثُمَّ زَنَى رَجُلٌ فِي أُسْرَةٍ مِنَ النَّاسِ، فَأَرَادَ رَجْمَهُ، فَحَالَ قَوْمُهُ دُونَهُ، وَقَالُوا: لَا يُرْجَمُ صَاحِبُنَا حَتَّى تَجِيءَ بِصَاحِبِكَ فَتَرْجُمَهُ، فَاصْطَلَحُوا عَلَى هَذِهِ الْعُقُوبَةِ بَيْنَهُمْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَإِنِّي أَحْكُمُ بِمَا فِي التَّوْرَاةِ فَأَمَرَ بِهِمَا فَرُجِمَا، قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَبَلَغَنَا أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ نَزَلَتْ فِيهِمْ (إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا) [المائدة: ٤٤]، كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُمْ ضعيف، الإرواء (١٢٥٣)
Narrated AbuHurayrah:
(This is Ma'mar's version which is more accurate.) A man and a woman of the Jews committed fornication.
Some of them said to the others: Let us go to this Prophet, for he has been sent with an easy law. If he gives a judgment lighter than stoning, we shall accept it, and argue about it with Allah, saying: It is a judgment of one of your prophets. So they came to the Prophet (ﷺ) who was sitting in the mosque among his companions.
They said: AbulQasim, what do you think about a man and a woman who committed fornication? He did not speak to them a word till he went to their school.
He stood at the gate and said: I adjure you by Allah Who revealed the Torah to Moses, what (punishment) do you find in the Torah for a person who commits fornication, if he is married?
They said: He shall be blackened with charcoal, taken round a donkey among the people, and flogged. A young man among them kept silent.
When the Prophet (ﷺ) emphatically adjured him, he said: By Allah, since you have adjured us (we inform you that) we find stoning in the Torah (is the punishment for fornication).
The Prophet (ﷺ) said: So when did you lessen the severity of Allah's command? He said:
A relative of one of our kings had committed fornication, but his stoning was suspended. Then a man of a family of common people committed fornication. He was to have been stoned, but his people intervened and said: Our man shall not be stoned until you bring your man and stone him. So they made a compromise on this punishment between them.
The Prophet (ﷺ) said: So I decide in accordance with what the Torah says. He then commanded regarding them and they were stoned to death.
Az-Zuhri said: We have been informed that this verse was revealed about them: "It was We Who revealed the Law (to Moses): therein was guidance and light. By its standard have been judged the Jews, by the Prophet who bowed (as in Islam) to Allah's will.