পরিচ্ছেদঃ ১৪. দাজ্জালের আর্বিভাব সম্পর্কে

৪৩১৫। রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযাইফাহ ও আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) একত্রে হলে হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, দাজ্জালের সঙ্গে যা কিছু থাকবে, এ সম্বন্ধে আমি অবশ্যই তার চেয়ে ভালো জানি। নিশ্চয়ই তার সঙ্গে থাকবে পানির নহর ও আগুনের কুন্ড। অতঃপর তোমরা যেটাকে দেখবে আগুন, মূলত সেটা পানি আর যেটাকে দেখবে পানি, মূলত সেটা আগুন। যে কেউ এর সাক্ষাৎ পাবে, সে যেটাকে আগুন দেখবে, তা যেন পান করে, তাহলেই সে পানি পাবে। আবু মাস’ঊদ আল বাদরী (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ বলতে শুনেছি।[1]

সহীহ।

بَابُ خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ: اجْتَمَعَ حُذَيْفَةُ، وَأَبُو مَسْعُودٍ، فَقَالَ حُذَيْفَةُ: لَأَنَا بِمَا مَعَ الدَّجَّالِ أَعْلَمُ مِنْهُ، إِنَّ مَعَهُ بَحْرًا مِنْ مَاءٍ، وَنَهْرًا مِنْ نَارٍ، فَالَّذِي تَرَوْنَ أَنَّهُ نَارٌ مَاءٌ، وَالَّذِي تَرَوْنَ أَنَّهُ مَاءٌ نَارٌ، فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ، فَأَرَادَ الْمَاءَ فَلْيَشْرَبْ مِنَ الَّذِي يَرَى أَنَّهُ نَارٌ، فَإِنَّهُ سَيَجِدُهُ مَاءً، قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ الْبَدْرِيُّ: هَكَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ

صحيح

حدثنا الحسن بن عمرو، حدثنا جرير، عن منصور، عن ربعي بن حراش، قال: اجتمع حذيفة، وابو مسعود، فقال حذيفة: لانا بما مع الدجال اعلم منه، ان معه بحرا من ماء، ونهرا من نار، فالذي ترون انه نار ماء، والذي ترون انه ماء نار، فمن ادرك ذلك منكم، فاراد الماء فليشرب من الذي يرى انه نار، فانه سيجده ماء، قال ابو مسعود البدري: هكذا سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول صحيح


Hudhaifa and Abu Mas’ud got together and Hudhaifah said:
I know best what the Dajjal (Antichrist) will have with him. He will have with him a sea of water and a river of fire, and what you see as fire will be water and what you sea as water will be fire. If any of you who lives up to that time and desires water, he should drink from what he sees as fire, for he will find it water. Abu Mas’ud al-Badri said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say in this way.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দাজ্জালের আর্বিভাব সম্পর্কে

৪৩১৬। কাতাদাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রেরিত নবী তাঁর উম্মতদের মিথ্যাবাদী কানা দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। জেনে রেখো, সে হবে কানা, আর তোমাদের মহান রব কানা নন। আর তার দু’ চোখের মাঝে কাফির লেখা থাকবে।[1]

সহীহ।

بَابُ خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: مَا بُعِثَ نَبِيٌّ إِلَّا قَدْ أَنْذَرَ أُمَّتَهُ الدَّجَّالَ، الْأَعْوَرَ الْكَذَّابَ، أَلَا وَإِنَّهُ أَعْوَرُ، وَإِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ، وَإِنَّ بَيْنَ عَيْنَيْهِ مَكْتُوبًا كَافِرٌ

صحيح

حدثنا ابو الوليد الطيالسي، حدثنا شعبة، عن قتادة، قال: سمعت انس بن مالك، يحدث عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قال: ما بعث نبي الا قد انذر امته الدجال، الاعور الكذاب، الا وانه اعور، وان ربكم ليس باعور، وان بين عينيه مكتوبا كافر صحيح


Anas b. Malik reported the Prophet (ﷺ) as saying:
No prophet was sent who had not warned his people about the one-eyed. Between his eyes will be written “infidel” (kafir).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কাতাদাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দাজ্জালের আর্বিভাব সম্পর্কে

৪৩১৭। মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না, মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার থেকে শু’বাহ (রহঃ) সূত্রে (কাফ), (ফা), (রা), এভাবে উল্লেখ রয়েছে।

আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।

بَابُ خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ: ك ف ر

لم أجده في الصحيح و لا في الضعيف

حدثنا محمد بن المثنى، عن محمد بن جعفر، عن شعبة: ك ف ر لم اجده في الصحيح و لا في الضعيف


Shu’bah said in his version:
“the letters k, f, r” (are on his forehead).


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দাজ্জালের আর্বিভাব সম্পর্কে

৪৩১৮। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে এ হাদীস বর্ণিত আছেঃ প্রত্যেক মুসলিম তা পড়তে পারবে।[1]

সহীহ।

بَابُ خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ، قَالَ: يَقْرَؤُهُ كُلُّ مُسْلِمٍ

صحيح

حدثنا مسدد، حدثنا عبد الوارث، عن شعيب بن الحبحاب، عن انس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم في هذا الحديث، قال: يقروه كل مسلم صحيح


The tradition mentioned above has also been transmitted by Anas b. Malik through a different chain of narrators, This version adds:
Every Muslim will read it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দাজ্জালের আর্বিভাব সম্পর্কে

৪৩১৯। আবুদ দাহমাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইমরান ইবনুল হুসাইন (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ দাজ্জালের আবির্ভাবের কথা শুনলে সে যেন তার থেকে দূরে চলে যায়। আল্লাহর কসম! যে কোনো ব্যক্তি তার নিকট এলে সে অবশ্যই মনে করবে যে, সে ঈমানদার। অতঃপর সে তার দ্বারা তার মধ্যে জাগরিত সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে অনুসরণ করবে। তিনি এরূপই বলেছেন।[1]

সহীহ।

بَابُ خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ، عَنْ أَبِي الدَّهْمَاءِ، قَالَ: سَمِعْتُ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ، يُحَدِّثُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ سَمِعَ بِالدَّجَّالِ فَلْيَنْأَ عَنْهُ، فَوَاللَّهِ إِنَّ الرَّجُلَ لَيَأْتِيهِ وَهُوَ يَحْسِبُ أَنَّهُ مُؤْمِنٌ فَيَتَّبِعُهُ، مِمَّا يَبْعَثُ بِهِ مِنَ الشُّبُهَاتِ، أَوْ لِمَا يَبْعَثُ بِهِ مِنَ الشُّبُهَاتِ هَكَذَا قَالَ

صحيح

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا جرير، حدثنا حميد بن هلال، عن ابي الدهماء، قال: سمعت عمران بن حصين، يحدث قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من سمع بالدجال فلينا عنه، فوالله ان الرجل لياتيه وهو يحسب انه مومن فيتبعه، مما يبعث به من الشبهات، او لما يبعث به من الشبهات هكذا قال صحيح


Narrated Imran ibn Husayn:

The Prophet (ﷺ) said: Let him who hears of the Dajjal (Antichrist) go far from him for I swear by Allah that a man will come to him thinking he is a believer and follow him because of confused ideas roused in him by him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দাজ্জালের আর্বিভাব সম্পর্কে

৪৩২০। উবাইদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি লোকদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আমি তোমাদের নিকট দাজ্জাল সম্পর্কে বহুবার বর্ণনা করেছি। কারণ আমি আশংকা করছি, তোমরা বুঝতে পারছো কি না? নিশ্চয়ই মাসীহ দাজ্জাল হবে বেটে, মুরগীর পা বিশিষ্ট ও কঞ্জিত কেশধারী, এক চোখবিশিষ্ট আলোহীন এক চোখধারী যা বাইরের দিকে ফোলাও নয়, আবার কোঠরাগতও নয়। যদি তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকে তবে জেনে রাখো, তোমাদের রব কানা নন।[1]

সহীহ।

بَابُ خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنِي بَحِيرٌ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ جُنَادَةَ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنِّي قَدْ حَدَّثْتُكُمْ عَنِ الدَّجَّالِ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ لَا تَعْقِلُوا، إِنَّ مَسِيحَ الدَّجَّالِ رَجُلٌ قَصِيرٌ، أَفْحَجُ، جَعْدٌ، أَعْوَرُ مَطْمُوسُ الْعَيْنِ، لَيْسَ بِنَاتِئَةٍ، وَلَا حَجْرَاءَ، فَإِنْ أُلْبِسَ عَلَيْكُمْ، فَاعْلَمُوا أَنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: عَمْرُو بْنُ الْأَسْوَدِ وَلِي الْقَضَاءَ

صحيح

حدثنا حيوة بن شريح، حدثنا بقية، حدثني بحير، عن خالد بن معدان، عن عمرو بن الاسود، عن جنادة بن ابي امية، عن عبادة بن الصامت، انه حدثهم، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: اني قد حدثتكم عن الدجال حتى خشيت ان لا تعقلوا، ان مسيح الدجال رجل قصير، افحج، جعد، اعور مطموس العين، ليس بناتىة، ولا حجراء، فان البس عليكم، فاعلموا ان ربكم ليس باعور قال ابو داود: عمرو بن الاسود ولي القضاء صحيح


Narrated Ubadah ibn as-Samit:

The Prophet (ﷺ) said: I have told you so much about the Dajjal (Antichrist) that I am afraid you may not understand. The Antichrist is short, hen-toed, woolly-haired, one-eyed, an eye-sightless, and neither protruding nor deep-seated. If you are confused about him, know that your Lord is not one-eyed.

Abu Dawud said: 'Amr bin Al-Aswad was appointed a judge.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দাজ্জালের আর্বিভাব সম্পর্কে

৪৩২১। আন-নাওয়াস ইবনু সাম’আন আল-কিলাবী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি বলেনঃ আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকতে যদি সে আবির্ভূত হয় তবে তোমাদের পক্ষ থেকে আমিই তার প্রতিপক্ষ হবো। আর আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান না থাকা অবস্থায় যদি সে আবির্ভূত হয় তবে প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজেই তার প্রতিপক্ষ হতে হবে। আর আল্লাহ হবেন প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আমার পক্ষে দায়িত্বশীল। তোমাদের মাঝে যে কেউ তাকে পাবে, সে যেন সূরা আল-কাহফের প্রথম কয়েকটি আয়াত পাঠ করে; কেননা এটাই হবে ফিতনা থেকে তার নিরাপত্তার প্রধান উপায়।

আমরা বললাম, সে পৃথিবীতে কতদিন থাকবে? তিনি বললেনঃ চল্লিশ দিন। একদিন হবে এক বছরের সমান, একদিন হবে এক মাসের সমান ও একদিন হবে এক সপ্তাহের সমান, আর বাকী দিনগুলো হবে তোমাদের সাধারণ দিনগুলোর সমান। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! যে দিনটি এক বছরের সমান হবে, সে দিনে একদিন ও এক রাতের সালাত কি আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ না, তোমরা অনুমান করে দিনের পরিমাণ নির্ধারণ করে (সালাত পড়বে)। অতঃপর ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) দামেশকের পূর্ব প্রান্তে একটি সাদা মিনারে অবতরণ করবেন এবং ’লুদ্দ’ নামক স্থানের দ্বারপ্রান্তে দাজ্জালকে নাগালে পাবেন এবং হত্যা করবেন।[1]

সহীহ।

بَابُ خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ الدِّمَشْقِيُّ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ جَابِرٍ الطَّائِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ الْكِلَابِيِّ، قَالَ: ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدَّجَّالَ، فَقَالَ: إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ، وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ، فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ، وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ، فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ، فَإِنَّهَا جِوَارُكُمْ مِنْ فِتْنَتِهِ، قُلْنَا: وَمَا لَبْثُهُ فِي الْأَرْضِ؟ قَالَ: أَرْبَعُونَ يَوْمًا: يَوْمٌ كَسَنَةٍ، وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ، وَيَوْمٌ كَجُمُعَةٍ، وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي كَسَنَةٍ، أَتَكْفِينَا فِيهِ صَلَاةُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ؟ قَالَ: لَا، اقْدُرُوا لَهُ قَدْرَهُ، ثُمَّ يَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عِنْدَ الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ، فَيُدْرِكُهُ عِنْدَ بَابِ لُدٍّ، فَيَقْتُلُهُ

صحيح

حدثنا صفوان بن صالح الدمشقي الموذن، حدثنا الوليد، حدثنا ابن جابر، حدثني يحيى بن جابر الطاىي، عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير، عن ابيه، عن النواس بن سمعان الكلابي، قال: ذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم الدجال، فقال: ان يخرج وانا فيكم فانا حجيجه دونكم، وان يخرج ولست فيكم، فامرو حجيج نفسه، والله خليفتي على كل مسلم، فمن ادركه منكم فليقرا عليه فواتح سورة الكهف، فانها جواركم من فتنته، قلنا: وما لبثه في الارض؟ قال: اربعون يوما: يوم كسنة، ويوم كشهر، ويوم كجمعة، وساىر ايامه كايامكم، فقلنا: يا رسول الله، هذا اليوم الذي كسنة، اتكفينا فيه صلاة يوم وليلة؟ قال: لا، اقدروا له قدره، ثم ينزل عيسى ابن مريم عند المنارة البيضاء شرقي دمشق، فيدركه عند باب لد، فيقتله صحيح


Al-nawwas b. Sim’an al-Kilabi said:
The Messenger of Allah (ﷺ) mentioned the Dajjal (Antichrist) saying: If he comes forth while I am among you I shall be the one who will dispute with him on your behalf, but if he comes forth when I am not among you, a man must dispute on his own behalf, and Allah will take my place in looking after every Muslim. Those of you who live up to his time should recite over him the opening verses of Surat al – Kahf, for they are your protection from his trial. We asked: How long will he remain on the earth ? He replied : Forty days, one like a year, one like a month, one like a week, and rest of his days like yours. We asked : Messenger of Allah, will one day’s prayer suffice us in this day which will be like a year ? He replied : No, you must make an estimate of its extent. Then Jesus son of Marry will descend at the white minaret to the east of Damascus. He will then catch him up at the date of Ludd and kill him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দাজ্জালের আর্বিভাব সম্পর্কে

৪৩২২। আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে উপরে বর্ণিত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেন। আর অনুরূপ অর্থে সালাতের উল্লেখ করেন।[1]

সহীহ।

بَابُ خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ السَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ وَذَكَرَ الصَّلَوَاتِ مِثْلَ مَعْنَاهُ

صحيح

حدثنا عيسى بن محمد، حدثنا ضمرة، عن السيباني، عن عمرو بن عبد الله، عن ابي امامة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه وذكر الصلوات مثل معناه صحيح


A similar tradition has been transmitted by Abu Umamah from the prophet (ﷺ) through a different chain of narrators. In this version he mentioned the prayers to the same effect.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দাজ্জালের আর্বিভাব সম্পর্কে

৪৩২৩। আবূ দারদা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি সূরা আল-কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি পাবে।

সহীহ।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হিশাম আদ-দাস্তাওয়াঈ কাতাদার সূত্রে এরূপই বলেছেন; কিন্তু তিনি একথাটি এভাবে বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরা কাহফের শেষের কয়েকটি আয়াত হিফাযাত করবে। আর শু’বাহ বলেনঃ যে ব্যক্তি সূরা কাহফের শেষাংশ মুখস্থ করবে।[1]

এর পূর্বের বর্ণনাটি অধিক সহীহ এবং অধিক বর্ণিত।

بَابُ خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ حَدِيثِ أَبِي الدَّرْدَاءِ، يَرْوِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْفِ، عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَكَذَا قَالَ هِشَامٌ الدَّسْتُوَائِيُّ، عَنْ قَتَادَةَ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: مَنْ حَفِظَ مِنْ خَوَاتِيمِ سُورَةِ الْكَهْفِ، وَقَالَ شُعْبَةُ: عَنْ قَتَادَةَ مِنْ آخِرِ الْكَهْفِ

صحيح، (حديث: من حفظ من خواتيم ....) فلت : الرواية الأولى أصح، و روايتها أكثر

حدثنا حفص بن عمر، حدثنا همام، حدثنا قتادة، عن سالم بن ابي الجعد، عن معدان بن ابي طلحة، عن حديث ابي الدرداء، يرويه عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: من حفظ عشر ايات من اول سورة الكهف، عصم من فتنة الدجال قال ابو داود: وكذا قال هشام الدستواىي، عن قتادة، الا انه قال: من حفظ من خواتيم سورة الكهف، وقال شعبة: عن قتادة من اخر الكهف صحيح، (حديث: من حفظ من خواتيم ....) فلت : الرواية الاولى اصح، و روايتها اكثر


Abu al-Darda’ reported the prophet (ﷺ) as saying :
If anyone memorizes ten verses from the beginning of surat al-Kahf, he will be protected from the trial of Dajjal (Antichrist).

Abu Dawud said: In this way Hashim al-dastawa’I transmitted it from Qatadah, but he said : “If anyone memorizes the closing verses of surat al-Kahf.” Shu’bah narrated from Qatadah the words “from the end of al-Kahf.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দাজ্জালের আর্বিভাব সম্পর্কে

৪৩২৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমার ও তাঁর অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর মাঝে কোনো নবী নেই। আর তিনি তো অবতরণ করবেন। তোমরা তাঁকে দেখে এভাবে চিনতে পারবে যে, তিনি মাঝারি উচ্চতার, লাল-সাদা ও গেরুয়া রঙের মাঝামাঝি অর্থাৎ দুধে আলতা তাঁর দেহের রং হবে এবং তাঁর মাথার চুল ভিজা না থাকলেও মনে হবে চুল থেকে যেন বিন্দু বিন্দু পানি টপকাচ্ছে। তিনি ইসলামের জন্য মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন, ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন, শুকর নিধন করবেন ও জিযিয়া রহিত করবেন। তিনি তাঁর যুগে ইসলাম ছাড়া সকল ধর্ম বিলুপ্ত করবেন এবং মাসীহ দাজ্জালকে হত্যা করবেন। তিনি পৃথিবীতে চল্লিশ বছর অবস্থান করবেন, অতঃপর মৃত্যুবরণ করবেন এবং মুসলিমরা তাঁর জানাযা পড়বে।[1]

সহীহ।

بَابُ خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ آدَمَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ نَبِيٌّ - يَعْنِي عِيسَى - وَإِنَّهُ نَازِلٌ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَاعْرِفُوهُ: رَجُلٌ مَرْبُوعٌ إِلَى الْحُمْرَةِ وَالْبَيَاضِ، بَيْنَ مُمَصَّرَتَيْنِ، كَأَنَّ رَأْسَهُ يَقْطُرُ، وَإِنْ لَمْ يُصِبْهُ بَلَلٌ، فَيُقَاتِلُ النَّاسَ عَلَى الْإِسْلَامِ، فَيَدُقُّ الصَّلِيبَ، وَيَقْتُلُ الْخِنْزِيرَ، وَيَضَعُ الْجِزْيَةَ، وَيُهْلِكُ اللَّهُ فِي زَمَانِهِ الْمِلَلَ كُلَّهَا إِلَّا الْإِسْلَامَ، وَيُهْلِكُ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ، فَيَمْكُثُ فِي الْأَرْضِ أَرْبَعِينَ سَنَةً، ثُمَّ يُتَوَفَّى فَيُصَلِّي عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ

صحيح

حدثنا هدبة بن خالد، حدثنا همام بن يحيى، عن قتادة، عن عبد الرحمن بن ادم، عن ابي هريرة، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: ليس بيني وبينه نبي - يعني عيسى - وانه نازل، فاذا رايتموه فاعرفوه: رجل مربوع الى الحمرة والبياض، بين ممصرتين، كان راسه يقطر، وان لم يصبه بلل، فيقاتل الناس على الاسلام، فيدق الصليب، ويقتل الخنزير، ويضع الجزية، ويهلك الله في زمانه الملل كلها الا الاسلام، ويهلك المسيح الدجال، فيمكث في الارض اربعين سنة، ثم يتوفى فيصلي عليه المسلمون صحيح


Narrated Abu Hurayrah:

The Prophet (ﷺ) said: There is no prophet between me and him, that is, Jesus (ﷺ). He will descent (to the earth). When you see him, recognise him: a man of medium height, reddish fair, wearing two light yellow garments, looking as if drops were falling down from his head though it will not be wet. He will fight the people for the cause of Islam. He will break the cross, kill swine, and abolish jizyah. Allah will perish all religions except Islam. He will destroy the Antichrist and will live on the earth for forty years and then he will die. The Muslims will pray over him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে