পরিচ্ছেদঃ ১. এক শতাব্দী কালের বর্ণনা সম্পর্কে
৪২৯১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ এই উম্মাতের জন্য প্রতি একশত বছরের শিরোভাগে এমন লোকের আর্বিভাব ঘটাবেন, যিনি এই উম্মাতের দ্বীনকে তার জন্য সঞ্জীবিত করবেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আব্দুর রাহমান ইবনু শুরাইহ আল-ইসকান্দারানীও এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি শারাহীল-এর অতিরিক্ত বর্ণনা করেননি।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا يُذْكَرُ فِي قَرْنِ الْمِائَةِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ شَرَاحِيلَ بْنِ يَزِيدَ الْمَعَافِرِيِّ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فِيمَا أَعْلَمُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِينَهَا " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ شُرَيْحٍ الإِسْكَنْدَرَانِيُّ لَمْ يَجُزْ بِهِ شَرَاحِيلَ .
Narrated Abu Hurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: Allah will raise for this community at the end of every hundred years the one who will renovate its religion for it.
Abu Dawud said: 'Abd al-Rahman bin Shuriah al-Iskandarani has also transmitted this tradition, but he did not exceed Shrahil.
পরিচ্ছেদঃ ২. রোমীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ
৪২৯২। হাসসান ইবনু আতিয়্যাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাকহুল ও ইবনু আবূ যাকারিয়া খালিদ ইবনু মা’দান-এর নিকট যেতে রওয়ানা হলে আমিও তাদের সঙ্গে গেলাম। তারা জুবায়র ইবনু নুফাইরের সূত্রে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করলেন সন্ধি সম্পর্কে। তিনি বলেন, জুবায়র (রহঃ) বললেন, আপনি আমাদের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী যু-মিখবার (রাঃ)-এর নিকট চলুন। সুতরাং আমরা তার নিকট উপস্থিত হলে জুবায়র তাকে সন্ধি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন।
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ অচিরেই তোমরা রোমানদের সঙ্গে সন্ধি করবে। অতঃপর তোমরা ও তারা একত্র হয়ে তোমাদের পশ্চাৎবর্তী একদল শত্রুর মোকাবিলা করবে। তোমরা তাতে বিজয়ী হবে, গানীমাত অর্জন করবে এবং নিরাপদে ফিরে আসবে। শেষে তোমরা টিলাযুক্ত একটি মাঠে যাত্রাবিরতি করবে। অতঃপর খৃষ্টানদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি ক্রুশ উপরে উত্তোলন করে বলবে, ক্রুশ বিজয়ী হয়েছে। এতে মুসলিমদের মধ্যকার এক ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে তাকে হত্যা করবে। তখন রোমানরা চুক্তি ভঙ্গ করবে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিবে।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا يُذْكَرُ مِنْ مَلَاحِمِ الرُّومِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، قَالَ: مَالَ مَكْحُولٌ وَابْنُ أَبِي زَكَرِيَّا، إِلَى خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ وَمِلْتُ مَعَهُمْ، فَحَدَّثَنَا عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ الهُدْنَةِ، قَالَ: قَالَ جُبَيْرٌ: انْطَلِقْ بِنَا إِلَى ذِي مِخْبَرٍ، رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَأَتَيْنَاهُ فَسَأَلَهُ جُبَيْرٌ عَنِ الهُدْنَةِ، فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: سَتُصَالِحُونَ الرُّومَ صُلْحًا آمِنًا، فَتَغْزُونَ أَنْتُمْ وَهُمْ عَدُوًّا مِنْ وَرَائِكُمْ، فَتُنْصَرُونَ، وَتَغْنَمُونَ، وَتَسْلَمُونَ، ثُمَّ تَرْجِعُونَ حَتَّى تَنْزِلُوا بِمَرْجٍ ذِي تُلُولٍ، فَيَرْفَعُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ النَّصْرَانِيَّةِ الصَّلِيبَ، فَيَقُولُ: غَلَبَ الصَّلِيبُ، فَيَغْضَبُ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَيَدُقُّهُ، فَعِنْدَ ذَلِكَ تَغْدِرُ الرُّومُ، وَتَجْمَعُ لِلْمَلْحَمَةِ
صحيح
Dhu Mikhbar said:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: you will make a secure peace with the Byzantines, then you and they will fight an enemy behind you, and you will be victorious, take booty, and be safe. You will then return and alight in a meadow with mounds and one of the Christians will raise the cross and say: The cross has conquered. One of the Muslims will become angry and smash it, and the Byzantines will act treacherously and prepare for the battle.
পরিচ্ছেদঃ ২. রোমীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ
৪২৯৩। হাস্সান ইবনু আতিয়্যাহ (রহঃ) সূত্রে এই সনদে উপরোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তাতে আরো আছেঃ মুসলিমরা রাগের সাথে তাদের যুদ্ধাস্ত্রের দিকে ধাবিত হবে এবং যুদ্ধে লিপ্ত হবে। আল্লাহ তাদেরকে শহিদী মৃত্যু দিয়ে সম্মানিত করবেন।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا يُذْكَرُ مِنْ مَلَاحِمِ الرُّومِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ، وَزَادَ فِيهِ: وَيَثُورُ الْمُسْلِمُونَ إِلَى أَسْلِحَتِهِمْ، فَيَقْتَتِلُونَ، فَيُكْرِمُ اللَّهُ تِلْكَ الْعِصَابَةَ بِالشَّهَادَةِ، إِلَّا أَنَّ الْوَلِيدَ جَعَلَ الْحَدِيثَ عَنْ جُبَيْرٍ، عَنْ ذِي مِخْبَرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَرَوَاهُ رَوْحٌ، وَيَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، وَبِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، كَمَا قَالَ عِيسَى
صحيح
The tradition mentioned above has also been transmitted by Hassan b. ’Atiyyah through a different chain of narrators. This version add:
The Muslims will then make for their weapons and will fight, and Allah will honor that body with martryrdom.
Abu Dawud said: But al-Walid has narrated this tradition from Dhu Mikhbar from the Prophet (ﷺ).
Abu Dawud said: Rawh, Yahya bin Hamzah and Bishr bin Bakr has also transmitted it from al-Awza'i as mentioned by 'Isa.
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিপর্যয়ের আলামাতসমূহ
৪২৯৪। মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল মাকদিসে বসতি স্থাপন ইয়াসরিবের বিপর্যয়ের কারণ হবে এবং ইয়াসরিবের বিপর্যয় সংঘাতের কারণ হবে। যুদ্ধের ফলে কুসতুনতীনিয়া বিজিত হবে এবং কুসতুনতীনিয়া বিজয় দাজ্জালের আবির্ভাবের আলামত। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন তার ঊরুতে বা কাঁধে নিজের হাত দ্বারা মৃদু আঘাত করে বলেন, এটা নিশ্চিত সত্য, যেমন তুমি এখানে উপস্থিত, যেমন তুমি এখানে বসা আছো। অর্থাৎ তিনি মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে লক্ষ করে বলেন।[1]
হাসান।
بَابٌ فِي أَمَارَاتِ الْمَلَاحِمِ
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ يَخَامِرَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عُمْرَانُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ خَرَابُ يَثْرِبَ، وَخَرَابُ يَثْرِبَ خُرُوجُ الْمَلْحَمَةِ، وَخُرُوجُ الْمَلْحَمَةِ فَتْحُ قُسْطَنْطِينِيَّةَ، وَفَتْحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ خُرُوجُ الدَّجَّالِ، ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى فَخِذِ الَّذِي حَدَّثَهُ، - أَوْ مَنْكِبِهِ - ثُمَّ قَالَ: إِنَّ هَذَا لَحَقٌّ كَمَا أَنَّكَ هَاهُنَا»، أَوْ كَمَا أَنَّكَ قَاعِدٌ، يَعْنِي مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ
حسن
Narrated Mu'adh ibn Jabal:
The Prophet (ﷺ) said: The flourishing state of Jerusalem will be when Yathrib is in ruins, the ruined state of Yathrib will be when the great war comes, the outbreak of the great war will be at the conquest of Constantinople and the conquest of Constantinople when the Dajjal (Antichrist) comes forth. He (the Prophet) struck his thigh or his shoulder with his hand and said: This is as true as you are here or as you are sitting (meaning Mu'adh ibn Jabal).
পরিচ্ছেদঃ ৪. ধারাবাহিক যুদ্ধ
৪২৯৫। মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভয়ঙ্কর যুদ্ধ ও কুসতুনতীনিয়া বিজয় এবং দাজ্জালের আবির্ভাব মাত্র সাত মাসের মধ্যে ঘটবে।[1]
দুর্বল।
بَابٌ فِي تَوَاتُرِ الْمَلَاحِمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ سُفْيَانَ الْغَسَّانِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ قُطَيْبٍ السَّكُونِيِّ، عَنْ أَبِي بَحْرِيَّةَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْمَلْحَمَةُ الْكُبْرَى، وَفَتْحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ، وَخُرُوجُ الدَّجَّالِ فِي سَبْعَةِ أَشْهُرٍ
ضعيف
Narrated Mu'adh ibn Jabal:
The Prophet (ﷺ) said: The greatest war, the conquest of Constantinople and the coming forth of the Dajjal (Antichrist) will take place within a period of seven months.
পরিচ্ছেদঃ ৪. ধারাবাহিক যুদ্ধ
৪২৯৬। আব্দুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মহাযুদ্ধ এবং (কন্সটান্টিনোপল) শহর বিজয়ের মধ্যে ছয় বছরের ব্যবধান হবে। আর সপ্তম বছরে মাসীহ দাজ্জাল আবির্ভূত হবে।[1]
দুর্বল।
بَابٌ فِي تَوَاتُرِ الْمَلَاحِمِ
حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ بَحِيرٍ، عَنْ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي بِلَالٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: بَيْنَ الْمَلْحَمَةِ وَفَتْحِ الْمَدِينَةِ سِتُّ سِنِينَ، وَيَخْرُجُ الْمَسِيحُ الدَّجَّالُ فِي السَّابِعَةِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عِيسَى
ضعيف
Narrated Abdullah ibn Busr:
The Prophet (ﷺ) said: The time between the great war and the conquest of the city (Constantinople) will be six years, and the Dajjal (Antichrist) will come forth in the seventh.
Abu Dawud said: This is sounder than the tradition narrated by Isa (bin Yunus)
পরিচ্ছেদঃ ৫. বিভিন্ন জাতি পরস্পরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আহবান জানাবে
৪২৯৭। সাওবান (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ খাদ্য গ্রহণকারীরা যেভাবে খাবারের পাত্রের চতুর্দিকে একত্র হয়, অচিরেই বিজাতিরা তোমাদের বিরুদ্ধে সেভাবেই একত্রিত হবে। এক ব্যক্তি বললো, সেদিন আমাদের সংখ্যা কম হওয়ার কারণ কি এরূপ হবে? তিনি বললেনঃ তোমরা বরং সেদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে; কিন্তু তোমরা হবে প্লাবনের স্রোতে ভেসে যাওয়া আবর্জনার মতো। আর আল্লাহ তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের পক্ষ থেকে আতঙ্ক দূর করে দিবেন, তিনি তোমাদের অন্তরে ভীরুতা ভরে দিবেন। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! ’আল-ওয়াহন’ কি? তিনি বললেনঃ দুনিয়ার মোহ এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي تَدَاعِي الْأُمَمِ عَلَى الْإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ السَّلَامِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُوشِكُ الْأُمَمُ أَنْ تَدَاعَى عَلَيْكُمْ كَمَا تَدَاعَى الْأَكَلَةُ إِلَى قَصْعَتِهَا، فَقَالَ قَائِلٌ: وَمِنْ قِلَّةٍ نَحْنُ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: بَلْ أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ كَثِيرٌ، وَلَكِنَّكُمْ غُثَاءٌ كَغُثَاءِ السَّيْلِ، وَلَيَنْزَعَنَّ اللَّهُ مِنْ صُدُورِ عَدُوِّكُمُ الْمَهَابَةَ مِنْكُمْ، وَلَيَقْذِفَنَّ اللَّهُ فِي قُلُوبِكُمُ الْوَهْنَ، فَقَالَ قَائِلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَا الْوَهْنُ؟ قَالَ: حُبُّ الدُّنْيَا، وَكَرَاهِيَةُ الْمَوْتِ
صحيح
Narrated Thawban:
The Prophet (ﷺ) said: The people will soon summon one another to attack you as people when eating invite others to share their dish. Someone asked: Will that be because of our small numbers at that time? He replied: No, you will be numerous at that time: but you will be scum and rubbish like that carried down by a torrent, and Allah will take fear of you from the breasts of your enemy and last enervation into your hearts. Someone asked: What is wahn (enervation). Messenger of Allah (ﷺ): He replied: Love of the world and dislike of death.
পরিচ্ছেদঃ ৬. তুমুল যুদ্ধে মুসলিমদের স্থান
৪২৯৮। আবূ দারদা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যুদ্ধের দিন মুসলিমদের শিবির স্থাপন করা হবে ’গূতা’ নামক শহরে, যা সিরিয়ার সর্বোত্তম শহর দামিশকের পাশে অবস্থিত।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْمَعْقِلِ مِنَ المَلَاحِمِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَرْطَاةَ، قَالَ: سَمِعْتُ جُبَيْرَ بْنَ نُفَيْرٍ، يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ فُسْطَاطَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَ الْمَلْحَمَةِ بِالْغُوطَةِ، إِلَى جَانِبِ مَدِينَةٍ يُقَالُ لَهَا: دِمَشْقُ، مِنْ خَيْرِ مَدَائِنِ الشَّامِ
صحيح
Narrated Abu al-Darda':
The Prophet (ﷺ) said: The place of assembly of the Muslims at the time of the war will be in al-Ghutah near a city called Damascus, one of the best cities in Syria.
পরিচ্ছেদঃ ৬. তুমুল যুদ্ধে মুসলিমদের স্থান
৪২৯৯। ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অচিরেই মুসলিমরা মদীনায় অবরুদ্ধ হবে এবং তাদের দূরবর্তী সীমান্ত হবে ’সালাহ’ নামক স্থান।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْمَعْقِلِ مِنَ المَلَاحِمِ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ حُدِّثْتُ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيهِ وسَلَّم: يُوشِكُ الْمُسْلِمُون أَنْ يُحَاصَرُوا إِلَى الْمَدِينَةِ حَتَّى يَكُونَ أَبْعَدَ مَسَالِحِهِمْ سَلاَحُ
صحيح
Abu Dawud said:
Ibn ‘Umar reported the Messenger of Allah (May peace be upon him)As saying: The Muslims will soon be besieged up to Madina so that their most distant frontier outpost will be Salah.
পরিচ্ছেদঃ ৬. তুমুল যুদ্ধে মুসলিমদের স্থান
৪৩০০। যুহরী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বারের নিকটবর্তী একটি স্থানের নাম হলো সালাহ।[1]
সহীহ মাকতূ।
بَابٌ فِي الْمَعْقِلِ مِنَ المَلَاحِمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَنْبَسَةَ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ وَسَلاَحُ قَرِيبٌ مِنْ خَيْبَرَ
صحيح مقطوع
Al-Zuhri said:
Salah is near Khaibar.
পরিচ্ছেদঃ ৭. যুদ্ধের ফলে ফিতনা ছড়াবে
৪৩০১। আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এই উম্মাতের তরবারি ও এর শত্রুর তরবারি দু’টোকে আল্লাহ কখনো এ উম্মাতের উপর একত্র করবেন না।[1]
সহীহ।
بَابُ ارْتِفَاعِ الْفِتْنَةِ فِي الْمَلَاحِمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح وحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ سَوَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ جَابِرٍ الطَّائِيِّ، قَالَ هَارُونُ فِي حَدِيثِهِ: عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَنْ يَجْمَعَ اللَّهُ عَلَى هَذِهِ الْأُمَّةِ سَيْفَيْنِ، سَيْفًا مِنْهَا، وَسَيْفًا مِنْ عَدُوِّهَا
صحيح
Narrated Awf ibn Malik:
The Prophet (ﷺ) said: Allah will not gather two swords upon this community: Its own sword and the sword of its enemy.
পরিচ্ছেদঃ ৮. তুর্কী ও আবিসিনীয়দের সঙ্গে অকারণে গোলযোগ বাঁধানো নিষেধ
৪৩০২। আবূ সুবাইনাহ নামক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে জনৈক সাহাবী থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে বর্ণিত। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা হাবাশীদের থেকে বিরত থাকো, যে পর্যন্ত তারা তোমাদের থেকে বিরত থাকে এবং তুর্কিদেরও ত্যাগ করো যত পর্যন্ত তারা তোমাদের ত্যাগ করে।[1]
হাসান।
بَابٌ فِي النَّهْيِ عَنْ تَهْيِيجِ التُّرْكِ والْحَبَشَةِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ السَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَبِي سُكَيْنَةَ، رَجُلٌ مِنَ الْمُحَرَّرِينَ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: دَعُوا الْحَبَشَةَ مَا وَدَعُوكُمْ، وَاتْرُكُوا التُّرْكَ مَا تَرَكُوكُمْ
حسن
Narrated from Abi Sukainah One of the Companions:
The Prophet (ﷺ) said: Let the Abyssinians alone as long as they let you alone, and let the Turks alone as long as they leave you alone.
পরিচ্ছেদঃ ৯. তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
৪৩০৩। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে পর্যন্ত না মুসলিমরা তুর্কি জাতির সঙ্গে যুদ্ধ করবে, সে পর্যন্ত কিয়ামত হবে না। সেই জাতির মুখমণ্ডল হবে বর্মের ন্যায় চওড়া আর মাংসল। তারা পশমী পোশাক পরে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي قِتَالِ التُّرْكِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ يَعْنِي الْإِسْكَنْدَرَانِيَّ، عَنْ سُهَيْلٍ يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُقَاتِلَ الْمُسْلِمُونَ التُّرْكَ، قَوْمًا وُجُوهُهُمْ كَالْمَجَانِّ الْمُطْرَقَةِ، يَلْبَسُونَ الشَّعْرَ
صحيح
Abu Hurairah reported the Prophet (May peace be upon him) as saying:
The last hour will not come before the Muslims fight with the Turks, a people whose faces look as if they were shields covered with skin, and who will wear sandals of hair.
পরিচ্ছেদঃ ৯. তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
৪৩০৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে জাতি পশমযুক্ত জুতা পরবে সেই জাতির সঙ্গে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত কিয়ামত হবে না। আর তোমরা ছোট চোখ, চ্যাপ্টা ও বর্মের মতো চওড়া ও মাংসল মুখমণ্ডল বিশিষ্ট জাতির সঙ্গে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত কিয়ামত হবে না।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي قِتَالِ التُّرْكِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَابْنُ السَّرْحِ، وَغَيْرُهُمَا، قَالُوا: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رِوَايَةً، قَالَ ابْنُ السَّرْحِ: - أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعَرُ، وَلَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا صِغَارَ الْأَعْيُنِ، ذُلْفَ الْآنُفِ، كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ
صحيح
Abu hurairah reported the Prophet (ﷺ) as saying:
The last hour will not come before you fight with a people whose sandals are of hair, and the Last hour will not come before you fight with a people who have small eyes, short noses, and whose faces look as if they were shields covered with skin.
পরিচ্ছেদঃ ৯. তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
৪৩০৫। আব্দুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রাঃ) তার পিতার সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করেন যে, তোমাদের সঙ্গে ছোট চোখ বিশিষ্ট জাতি অর্থাৎ তুর্কিরা যুদ্ধ করবে। তিনি বলেন, তোমরা তাদেরকে তিনবার তাড়িয়ে নিয়ে যাবে, অবশেষে আবার উপদ্বীপে তাদের নাগালে পাবে। প্রথম তাড়ানোতে যারা পালিয়ে যাবে, তারা রক্ষা পাবে, আর দ্বিতীয় তাড়ানোতে অনেকে রক্ষা পাবে আর অনেকে ধ্বংস হবে; আর তৃতীয় বার তাদের মূলৎপাটিত করা হবে অথবা অনুরূপ কিছু বলেছেন।[1]
দুর্বল।
بَابٌ فِي قِتَالِ التُّرْكِ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ التِّنِّيسِيُّ، حَدَّثَنَا خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا بَشِيرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي حَدِيثِ: يُقَاتِلُكُمْ قَوْمٌ صِغَارُ الْأَعْيُنِ يَعْنِي التُّرْكَ، قَالَ: تَسُوقُونَهُمْ ثَلَاثَ مِرَارٍ حَتَّى تُلْحِقُوهُمْ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ، فَأَمَّا فِي السِّيَاقَةِ الْأُولَى، فَيَنْجُو مَنْ هَرَبَ مِنْهُمْ، وَأَمَّا فِي الثَّانِيَةِ فَيَنْجُو بَعْضٌ، وَيَهْلَكُ بَعْضٌ، وَأَمَّا فِي الثَّالِثَةِ، فَيُصْطَلَمُونَ أَوْ كَمَا قَالَ
ضعيف
Buraidah said:
In the tradition telling that people with small eyes, i.e. the Turks, will fight against you, the prophet (ﷺ) said: You will drive them off three times till you catch up with them in Arabia. On the first occasion when you drive them off those who fly will be safe, on the second occasion some will be safe and some will perish, but on the third occasion they will be extirpated, or he said words to that effect.
পরিচ্ছেদঃ ১০. বাসরাহ সম্পর্কে
৪৩০৬। মুসলিম ইবনু আবূ বকরাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দাজলা (তাইগ্রিস) নদীর তীরবর্তী নীচু এলাকায় ’বাসরাহ’ নামক স্থানে আমার উম্মাতের কিছু লোক বসতি স্থাপন করবে। সেই নদীর উপরে সেতু থাকবে আর নাগরিকের সংখ্যা হবে প্রচুর। আর এটা হবে মুহাজিরদের শহরসমূহের একটি। শেষ যামানায় চওড়া চেহারা ও ছোট চোখবিশিষ্ট ’কানতূরা’ গোত্র সেই নদীর অববাহিকায় ঘাঁটি স্থাপন করবে এবং উক্ত শহরের বাসিন্দারা তিন দলে বিভক্ত হয়ে যাবে। এক দল গরুর লেজ ধরে মরুভূমিতে যাবে এবং ধ্বংস হবে। দ্বিতীয় দল নিজেদের জন্য নিরাপদ স্থান খুঁজবে এবং কাফির হয়ে যাবে। তৃতীয় দল তাদের পিছনে পরিবার-পরিজন ও সন্তানাদি রেখে দুশমনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং শহীদ হবে।[1]
হাসান।
بَابٌ فِي ذِكْرِ الْبَصْرَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ جُمْهَانَ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، يُحَدِّثُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَنْزِلُ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي بِغَائِطٍ يُسَمُّونَهُ الْبَصْرَةَ، عِنْدَ نَهْرٍ يُقَالُ لَهُ: دِجْلَةُ، يَكُونُ عَلَيْهِ جِسْرٌ، يَكْثُرُ أَهْلُهَا، وَتَكُونُ مِنْ أَمْصَارِ الْمُهَاجِرِينَ - قَالَ ابْنُ يَحْيَى: قَالَ أَبُو مَعْمَرٍ: وَتَكُونُ مِنْ أَمْصَارِ الْمُسْلِمِينَ - فَإِذَا كَانَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ جَاءَ بَنُو قَنْطُورَاءَ عِرَاضُ الْوُجُوهِ، صِغَارُ الْأَعْيُنِ، حَتَّى يَنْزِلُوا عَلَى شَطِّ النَّهْرِ، فَيَتَفَرَّقُ أَهْلُهَا ثَلَاثَ فِرَقٍ: فِرْقَةٌ يَأْخُذُونَ أَذْنَابَ الْبَقَرِ وَالْبَرِّيَّةِ وَهَلَكُوا، وَفِرْقَةٌ يَأْخُذُونَ لِأَنْفُسِهِمْ وَكَفَرُوا، وَفِرْقَةٌ يَجْعَلُونَ ذَرَارِيَّهُمْ خَلْفَ ظُهُورِهِمْ، وَيُقَاتِلُونَهُمْ وَهُمُ الشُّهَدَاءُ
حسن
Narrated Abu Bakrah:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Some of my people will alight on low-lying ground, which they will call al-Basrah, beside a river called Dajjal (the Tigris) over which there is a bridge. Its people will be numerous and it will be one of the capital cities of immigrants (or one of the capital cities of Muslims, according to the version of Ibn Yahya who reported from AbuMa'mar).
At the end of time the descendants of Qantura' will come with broad faces and small eyes and alight on the bank of the river. The town's inhabitants will then separate into three sections, one of which will follow cattle and (live in) the desert and perish, another of which will seek security for themselves and perish, but a third will put their children behind their backs and fight the invaders, and they will be the martyrs.
পরিচ্ছেদঃ ১০. বাসরাহ সম্পর্কে
৪৩০৭। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে আনাস! নিশ্চয়ই লোকেরা বিভিন্ন শহরে পত্তন করবে। জেনে রেখো, তার মধ্যে বাসরাহ ও বুসাইরাহ নামক একটি শহরও হবে। তুমি যদি এর পাশ দিয়ে যাও বা এতে প্রবেশ করো তাহলে সাবধান থাকবে। এর লবণাক্ত জমিন থেকে এর ’কাল্ল’ নামক স্থান থেকে এবং বাজার ও নেতাদের দরজা থেকে এবং আশপাশ থেকে। কেননা এটা ধ্বসে যাবে। নিক্ষিপ্ত হবে আর ভূমিকম্পে প্রকোম্পিত হবে। আর এক দল লোক রাতের বেলা ঘুমিয়ে থাকবে; কিন্তু প্রত্যুষে তারা বানর শূকরে পরিণত হবে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي ذِكْرِ الْبَصْرَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا مُوسَى الْحَنَّاطُ، لَا أَعْلَمُهُ إِلَّا ذَكَرَهُ عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: يَا أَنَسُ، إِنَّ النَّاسَ يُمَصِّرُونَ أَمْصَارًا، وَإِنَّ مِصْرًا مِنْهَا يُقَالُ لَهُ: الْبَصْرَةُ - أَوِ الْبُصَيْرَةُ - فَإِنْ أَنْتَ مَرَرْتَ بِهَا، أَوْ دَخَلْتَهَا، فَإِيَّاكَ وَسِبَاخَهَا، وَكِلَاءَهَا، وَسُوقَهَا، وَبَابَ أُمَرَائِهَا، وَعَلَيْكَ بِضَوَاحِيهَا، فَإِنَّهُ يَكُونُ بِهَا خَسْفٌ وَقَذْفٌ وَرَجْفٌ، وَقَوْمٌ يَبِيتُونَ يُصْبِحُونَ قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ
صحيح
Narrated Anas ibn Malik:
The Prophet (ﷺ) said: The people will establish cities, Anas, and one of them will be called al-Basrah or al-Busayrah. If you should pass by it or enter it, avoid its salt-marshes, its Kall, its market, and the gate of its commanders, and keep to its environs, for the earth will swallow some people up, pelting rain will fall and earthquakes will take place in it, and there will be people who will spend the night in it and become apes and swine in the morning.
পরিচ্ছেদঃ ১০. বাসরাহ সম্পর্কে
৪৩০৮। ইবরাহীম ইবনু দিরহাম (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, আমরা হজ (হজ্জ) করতে যাচ্ছিলাম। তখন এক লোক আমাদের জিজ্ঞেস করলো, তোমাদের কাছাকাছি উবুলাহ নামক একটি শহর আছে কি? আমরা বললাম, হ্যাঁ। সে বললো, তোমাদের মধ্যে কে এ দায়িত্ব নিবে যে, আমার পক্ষ থেকে ’আল-আশশার মসজিদে’ দু বার চার রাকআত সালাত পড়বে? আর একথাটা তিনি আবূ হুরাইরাহর জন্য বলতেন যে, আমি আমার বন্ধু আবূ কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ কিয়ামতের দিন মাসজিদুল আশ্শারে এমন কতক শহীদকে পাঠাবেন যাদের ব্যতীত অন্য কেউ বদরের শহীদের সঙ্গে দাঁড়াতে পারবে না। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এই মাসজিদটি (ফুরাত) নদীর তীরে অবস্থিত।[1]
দুর্বল।
بَابٌ فِي ذِكْرِ الْبَصْرَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ صَالِحِ بْنِ دِرْهَمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، يَقُولُ:، انْطَلَقْنَا حَاجِّينَ، فَإِذَا رَجُلٌ، فَقَالَ لَنَا: إِلَى جَنْبِكُمْ قَرْيَةٌ يُقَالُ لَهَا: الْأُبُلَّةُ؟ قُلْنَا: نَعَمْ، قَالَ: مَنْ يَضْمَنُ لِي مِنْكُمْ أَنْ يُصَلِّيَ لِي فِي مَسْجِدِ الْعَشَّارِ رَكْعَتَيْنِ، أَوْ أَرْبَعًا، وَيَقُولَ هَذِهِ لِأَبِي هُرَيْرَةَ: سَمِعْتُ خَلِيلِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مِنْ مَسْجِدِ الْعَشَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُهَدَاءَ، لَا يَقُومُ مَعَ شُهَدَاءِ بَدْرٍ غَيْرُهُمْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: هَذَا الْمَسْجِدُ مِمَّا يَلِي النَّهْرَ
ضعيف
Salih ibn Dirham said:
We went on the pilgrimage and met a man who asked us: Is there a town near you called al-Ubullah? We said: Yes. He said: Is there any of you who will undertake to pray two or four rak'ahs on my behalf in the mosque of al-Ashshar, stating "they are on behalf of AbuHurayrah"?
He (Abu Hurayrah) said: I heard my friend AbulQasim (ﷺ) say: On the Day of Resurrection Allah will raise martyrs from the mosque of al-Ashshar, who will be the only ones to rise with the martyrs of Badr.
Abu Dawud said: This mosque is near the river.
পরিচ্ছেদঃ ১১. ইথিওপিয়া সম্পর্কে
৪৩০৯। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যতদিন পর্যন্ত ইথিওপীয়রা তোমাদের ত্যাগ করবে, তোমরাও তাদের ত্যাগ করো, কেননা ইথিয়পীয় ছোট গোছাধারী এক ব্যক্তি ব্যতীত কেউ কা’বার ভান্ডার লুণ্ঠন করবে না।[1]
হাসান।
بَابُ النَّهْيِ عَنْ تَهْيِيجِ الْحَبَشَةِ
حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ أَحْمَدَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حَنِيفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: اتْرُكُوا الْحَبَشَةَ مَا تَرَكُوكُمْ، فَإِنَّهُ لَا يَسْتَخْرِجُ كَنْزَ الْكَعْبَةِ إِلَّا ذُو السُّوَيْقَتَيْنِ مِنَ الْحَبَشَةِ
حسن
Narrated Abdullah ibn Amr ibn al-'As:
The Prophet (ﷺ) said: Leave the Abyssinians alone as long as they leave you alone, for it is only the Abyssinian with short legs who will seek to take out the treasure of the Ka'bah.
পরিচ্ছেদঃ ১২. কিয়ামতের আলামাতসমূহ
৪৩১০। আবূ যুরআহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনাতে মারওয়ানের নিকট এক দল লোক এসে শুনতে পেলো যে, তিনি কিয়ামতের আলামাত প্রসঙ্গে বর্ণনা করছেন যে, দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের প্রথম আলামত। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনু আমরের নিকট গিয়ে এ কথা আলোচনা করলে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ ব্যাপারে যা বলতে শুনেছি তিনি তার কিছুই বলেননি। নিঃসন্দেহে এর প্রথম আলামত হলো পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হওয়া অথবা মানব জাতির উপর পূর্বাহ্নে ’দাব্বাতুল আরদ’ নামক একটি জন্তুর আত্মপ্রকাশ। এ দু’টির যে কোনো একটি আগে এবং অপরটি এর পরপরই প্রকাশিত হবে। আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, এ সময় তিনি কিতাব পড়তেছিলেন। আর আমার মনে হয় তাঁর বক্তব্যের মধ্যে পশ্চিম দিকে সূর্য উদয়টাই প্রথম প্রকাশিত হবে।[1]
সহীহ।
بَابُ أَمَارَاتِ السَّاعَةِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، قَالَ: جَاءَ نَفَرٌ إِلَى مَرْوَانَ بِالْمَدِينَةِ، فَسَمِعُوهُ يُحَدِّثُ فِي الْآيَاتِ: أَنَّ أَوَّلَهَا الدَّجَّالُ، قَالَ: فَانْصَرَفْتُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، فَحَدَّثْتُهُ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: لَمْ يَقُلْ شَيْئًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ أَوَّلَ الْآيَاتِ خُرُوجًا طُلُوعُ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا، أَوِ الدَّابَّةُ عَلَى النَّاسِ ضُحًى، فَأَيَّتُهُمَا كَانَتْ قَبْلَ صَاحِبَتِهَا، فَالْأُخْرَى عَلَى أَثَرِهَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ، وَكَانَ يَقْرَأُ الْكُتُبَ: وَأَظُنُّ أَوَّلَهُمَا خُرُوجًا طُلُوعُ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا
صحيح
Abu zur’ah said:
A group of people came to Marwan in Medina, and they heard him say that the first of the signs to appear would be the coming forth of the Dajjal (Antichirst). He said: I then went to Abd Allah b. ‘Amr and mentioned it to him. He did not say anything(reliable). I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: The first of the signs to appear will be the rising of the sun in its place of setting and the coming forth of the beast against mankind in the forenoon. Whichever of them comes first will soon be followed by the other. ’Abd Allah who used to read the scriptures (Torah, Gospel) said: I think the first of them will be the rising of the sun in its place of setting.