পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৬৩। মালিক ইবনু আওস ইবনুল হাসাদান (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা দিনের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর ’উমার (রাঃ) আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি তার কাছে গিয়ে দেখি, তিনি খেজুরের ছোবরার তৈরী একটি তক্তপোষের উপর বসে আছেন। আমি তার কাছে উপস্থিত হলে তিনি বললেন, হে মালিক! তোমার সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার কাছে এসেছে। আমি কিছু জিনিস তাদেরকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সেগুলো তুমি তাদের মধ্যে বণ্টন করে দিবে। আমি বললাম, আপনি যদি আমি ছাড়া অন্য কাউকে বণ্টনের দায়িত্ব দিতেন।

তিনি বললেন, এটা নাও (বণ্টন করো)। খাদেম ইয়ারফা এসে বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন! উসমান ইবনু আফফান (রাঃ), ’আব্দুর রাহমান ইবনু আওফ (রাঃ), যুবায়র ইবনুল আওয়ান (রাঃ) এবং সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) আপনার সাক্ষাতপ্রার্থী। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদেরকে আসতে বলো। সুতরাং তারা এলেন। ইয়ারফা আবার এসে বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন! আল-আব্বাস ও আলী (রাঃ) ভিতরে আসার অনুমতি প্রার্থী। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদেরকে আসতে দাও। তারাও প্রবেশ করলেন।

আল আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার ও আলীর মাঝে ফায়সালা করুন এবং তাদের শান্তি বিধান করুন। মালিক ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, আমার মনে হলো, তারা দু’জনে এ জন্যই উসমান (রাঃ) ও তার সঙ্গীদের এখানে আগে পাঠিয়েছেন। ’উমার (রাঃ) বললেন, ধৈর্য ধরো শান্ত হও। অতঃপর তিনি উপস্থিত লোকদের লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের সেই মহান আল্লাহর শপথ দিচ্ছি, যাঁর নির্দেশে আসমান-যমীন সুপ্রতিষ্ঠিত।

আপনাদের কি জানা আছে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’’আমরা (নবীগণ) কোনো উত্তরাধিকার রেখে যাই না। ’আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকাহ গণ্য’’? তারা সকলে বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর তিনি আলী ও আব্বাসকে বললেন, আপনাদের উভয়কে সেই মহান আল্লাহর শপথ করে জিজ্ঞেস করছি, যাঁর নির্দেশে আসমান-যমীন অস্তিত্বমান! আপনারা কি জানেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’আমাদের (নবীদের) কোনো উত্তরাধিকার নেই, ’আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকাহ গণ্য’’?

’উমার (রাঃ) বলেন, মহান আল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিশেষ বৈশিষ্ট্য দিয়েছেন, যা অন্য কাউকে দেননি। মহান আল্লাহ বলেন, আর যা কিছু আল্লাহ তাদের (ইয়াহুদীদের) থেকে তাঁর রাসূলের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছেন, তার জন্য তোমরা ঘোড়া ও উট পরিচালিত করনি। বরং আল্লাহ তাঁর রাসূলদেরকে যার উপর ইচ্ছা কর্তৃত্ব দান করেছেন। আর আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের উপরই ক্ষমতাবান’’[সুরাহ আল-হাশরঃ ৬]

মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বনূ নাযীর গোত্রের সম্পদ ফাই হিসেবে দান করেন। আল্লাহর শপথ! এ সম্পদের ব্যাপারে তিনি তোমাদের উপর কাউকে অগ্রাধিকার দেননি এবং তিনি তোমাদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকেও দেননি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সম্পদ থেকে তার পরিবারের এক বছরের ভরণ পোষণের পরিমাণ নিতেন এবং অবশিষ্ট সম্পদ মুসলিমদের কল্যাণে ব্যায় করতেন।

’উমার (রাঃ) উপস্থিত লোকদেরকে আবার বললেন, আমি আপনাদেরকে সেই মহান আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, যাঁর নির্দেশে আসমান-যমীন সুপ্রতিষ্ঠিত! আপনারা কি এসব জানেন? তারা বললেন, হ্যাঁ, অতঃপর তিনি আল আব্বাস ও আলী (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের উভয়কে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি, যাঁর নির্দেশে আসমান-যমীন সুপ্রতিষ্ঠিত! আপনাদের কি এসব বিষয়ে জানা আছে? তারা উভয়ে বললেন, হ্যাঁ।

অতঃপর যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করেন, আবূ বকর (রাঃ) বললেন, এখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতিনিধি। আপনি এবং ইনি (আলী) আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট আসলেন। আপনি আপনার ভ্রাতুস্পুত্রের পরিত্যক্ত সম্পদের আপনার মীরাস দাবী করলেন এবং ইনি তার শ্বশুরের সম্পদের স্ত্রীর মীরাস দাবী করলেন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’আমাদের (নবীদের) কোনো ওয়ারিস নেই, ’আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকাহ হিসেবে গণ্য।’’

আল্লাহ জানেন, আবূ বকর ছিলেন সত্যবাদী, কল্যাণকামী, হিদায়াতপ্রাপ্ত ও সত্যের অনুসারী। তিনি উক্ত সম্পদের মুতাওয়াল্লী হন। পরবর্তীতে আবূ বকর (রাঃ) মারা গেলে আমি বললাম, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উত্তরসূরি এবং আবূ বকর (রাঃ)-এর প্রতিনিধি। আল্লাহর ইচ্ছায় আমি এখন এ সম্পদের তত্ত্বাবধায়ক। আপনি এবং ইনি আমার নিকট এসেছেন। আপনাদেরকে উভয়ের উদ্দেশ্য এ কথা একই। আমি আপনাদের কাছে তা অর্পণ করতে পারি।

শর্ত হলো, আপনারা আল্লাহর ওয়াদা মেনে চলবেন এবং এ সম্পদের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসৃত নীতি অনুসরণ করবেন। উক্ত শর্তে সেগুলো আপনারা আমার কাছ থেকে নিয়েছিলেন। পরে আবার আমার নিকট এসেছেন। আপনারা চাচ্ছেন, এখন আমি পূর্বের ফায়সালার বিপরীত ফায়সালা প্রদান করি। আল্লাহর শপথ! কিয়ামত পর্যন্ত আমি এর বিপরীত করবো না। আপনারা এ দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে এ দায়িত্ব আমার উপর ন্যস্ত করুন।

আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আর আব্বাস (রাঃ) ও আলী (রাঃ) এ সম্পত্তির দায়িত্বভার তাদের উভয়ের মধ্যে বণ্টন করতে ’উমার (রাঃ)-এর নিকট আবেদন করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী, ’’’আমরা যা রেখে যাই তাতে উত্তরাধিকার হবে না। বরং তা সাদাকাহ হিসেবে গণ্য।’’ এ হাদীস তাদের উভয়ের অজানা ছিলো না। বরং তারাও সত্যের অনুসন্ধানেই ছিলেন। এ জন্যই ’উমার (রাঃ) বললেন, আমি এ সম্পদ ভাগ করবো না, বরং একে এর পূর্বাবস্থায়ই রাখবো।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ الْمَعْنَى، قَالَا: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، قَالَ: أَرْسَلَ إِلَيَّ عُمَرُ حِينَ تَعَالَى النَّهَارُ، فَجِئْتُهُ فَوَجَدْتُهُ جَالِسًا عَلَى سَرِيرٍ مُفْضِيًا إِلَى رِمَالِهِ، فَقَالَ: حِينَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ: يَا مَالِ، إِنَّهُ قَدْ دَفَّ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ قَوْمِكَ، وَإِنِّي قَدْ أَمَرْتُ فِيهِمْ بِشَيْءٍ فَأَقْسِمْ فِيهِمْ، قُلْتُ: لَوْ أَمَرْتَ غَيْرِي بِذَلِكَ، فَقَالَ: خُذْهُ فَجَاءَهُ يَرْفَأُ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، وَالزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ: نَعَمْ، فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا، ثُمَّ جَاءَهُ يَرْفَأُ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَلْ لَكَ فِي الْعَبَّاسِ، وَعَلِيٍّ، قَالَ: نَعَمْ، فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا، فَقَالَ الْعَبَّاسُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا - يَعْنِي عَلِيًّا - فَقَالَ بَعْضُهُمْ: أَجَلْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنَهُمَا وَأَرِحْهُمَا - قَالَ مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ: خُيِّلَ إِلَيَّ أَنَّهُمَا قَدَّمَا أُولَئِكَ النَّفَرَ لِذَلِكَ - فَقَالَ عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ: اتَّئِدَا، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أُولَئِكَ الرَّهْطِ، فَقَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ، هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ، قَالُوا: نَعَمْ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَالْعَبَّاسِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَقَالَ: أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ، هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ فَقَالَا: نَعَمْ، قَالَ: فَإِنَّ اللَّهَ خَصَّ رَسُولَهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِخَاصَّةٍ لَمْ يَخُصَّ بِهَا أَحَدًا مِنَ النَّاسِ، فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: (وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ، وَلَا رِكَابٍ، وَلَكِنَّ اللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ) [الحشر: ٦] وَكَانَ اللَّهُ أَفَاءَ عَلَى رَسُولِهِ بَنِي النَّضِيرِ، فَوَاللَّهِ مَا اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ، وَلَا أَخَذَهَا دُونَكُمْ، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْخُذُ مِنْهَا نَفَقَةَ سَنَةٍ، - أَوْ نَفَقَتَهُ وَنَفَقَةَ أَهْلِهِ سَنَةً - وَيَجْعَلُ مَا بَقِيَ أُسْوَةَ الْمَالِ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أُولَئِكَ الرَّهْطِ، فَقَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ، هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ، قَالُوا: نَعَمْ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الْعَبَّاسِ، وَعَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَقَالَ: أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ؟ قَالَا: نَعَمْ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجِئْتَ أَنْتَ وَهَذَا إِلَى أَبِي بَكْرٍ تَطْلُبُ أَنْتَ مِيرَاثَكَ مِنَ ابْنِ أَخِيكَ، وَيَطْلُبُ هَذَا مِيرَاثَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ، قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُ لَصَادِقٌ بَارٌّ، رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ، فَوَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ، قُلْتُ: أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَلِيُّ أَبِي بَكْرٍ، فَوَلِيتُهَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ أَلِيَهَا، فَجِئْتَ أَنْتَ وَهَذَا وَأَنْتُمَا جَمِيعٌ، وَأَمْرُكُمَا وَاحِدٌ، فَسَأَلْتُمَانِيهَا، فَقُلْتُ: إِنْ شِئْتُمَا أَنْ أَدْفَعَهَا إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ أَنْ تَلِيَاهَا بِالَّذِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلِيهَا فَأَخَذْتُمَاهَا مِنِّي عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ جِئْتُمَانِي لِأَقْضِيَ بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ، وَاللَّهِ لَا أَقْضِي بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ، حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَرُدَّاهَا إِلَيَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: إِنَّمَا سَأَلَاهُ أَنْ يَكُونَ يُصَيِّرُهُ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ، لَا أَنَّهُمَا جَهِلَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ فَإِنَّهُمَا كَانَا لَا يَطْلُبَانِ إِلَّا الصَّوَابَ، فَقَالَ عُمَرُ: لَا أُوقِعُ عَلَيْهِ اسْمَ الْقَسْمِ أَدَعُهُ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ

صحيح

حدثنا الحسن بن علي، ومحمد بن يحيى بن فارس المعنى، قالا: حدثنا بشر بن عمر الزهراني، حدثني مالك بن انس، عن ابن شهاب، عن مالك بن اوس بن الحدثان، قال: ارسل الي عمر حين تعالى النهار، فجىته فوجدته جالسا على سرير مفضيا الى رماله، فقال: حين دخلت عليه: يا مال، انه قد دف اهل ابيات من قومك، واني قد امرت فيهم بشيء فاقسم فيهم، قلت: لو امرت غيري بذلك، فقال: خذه فجاءه يرفا، فقال: يا امير المومنين، هل لك في عثمان بن عفان، وعبد الرحمن بن عوف، والزبير بن العوام، وسعد بن ابي وقاص، قال: نعم، فاذن لهم فدخلوا، ثم جاءه يرفا، فقال: يا امير المومنين، هل لك في العباس، وعلي، قال: نعم، فاذن لهم فدخلوا، فقال العباس: يا امير المومنين، اقض بيني وبين هذا - يعني عليا - فقال بعضهم: اجل يا امير المومنين، اقض بينهما وارحهما - قال مالك بن اوس: خيل الي انهما قدما اولىك النفر لذلك - فقال عمر رحمه الله: اتىدا، ثم اقبل على اولىك الرهط، فقال: انشدكم بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض، هل تعلمون ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: لا نورث ما تركنا صدقة، قالوا: نعم، ثم اقبل على علي والعباس رضي الله عنهما، فقال: انشدكما بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض، هل تعلمان ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: لا نورث ما تركنا صدقة فقالا: نعم، قال: فان الله خص رسوله صلى الله عليه وسلم، بخاصة لم يخص بها احدا من الناس، فقال الله تعالى: (وما افاء الله على رسوله منهم فما اوجفتم عليه من خيل، ولا ركاب، ولكن الله يسلط رسله على من يشاء والله على كل شيء قدير) [الحشر: ٦] وكان الله افاء على رسوله بني النضير، فوالله ما استاثر بها عليكم، ولا اخذها دونكم، فكان رسول الله صلى الله عليه وسلم ياخذ منها نفقة سنة، - او نفقته ونفقة اهله سنة - ويجعل ما بقي اسوة المال، ثم اقبل على اولىك الرهط، فقال: انشدكم بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض، هل تعلمون ذلك، قالوا: نعم، ثم اقبل على العباس، وعلي رضي الله عنهما، فقال: انشدكما بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض هل تعلمان ذلك؟ قالا: نعم، فلما توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال ابو بكر: انا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم، فجىت انت وهذا الى ابي بكر تطلب انت ميراثك من ابن اخيك، ويطلب هذا ميراث امراته من ابيها، فقال ابو بكر رحمه الله، قال: رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا نورث ما تركنا صدقة، والله يعلم انه لصادق بار، راشد تابع للحق، فوليها ابو بكر، فلما توفي ابو بكر، قلت: انا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم، وولي ابي بكر، فوليتها ما شاء الله ان اليها، فجىت انت وهذا وانتما جميع، وامركما واحد، فسالتمانيها، فقلت: ان شىتما ان ادفعها اليكما على ان عليكما عهد الله ان تلياها بالذي كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يليها فاخذتماها مني على ذلك، ثم جىتماني لاقضي بينكما بغير ذلك، والله لا اقضي بينكما بغير ذلك، حتى تقوم الساعة، فان عجزتما عنها فرداها الي قال ابو داود: انما سالاه ان يكون يصيره بينهما نصفين، لا انهما جهلا ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: لا نورث ما تركنا صدقة فانهما كانا لا يطلبان الا الصواب، فقال عمر: لا اوقع عليه اسم القسم ادعه على ما هو عليه صحيح


Narrated Malik b. Aws b. Al-Hadathan:

'Umar sent for me when the day rose high. I found him sitting on a couch without cover. When I entered upon him, he said: Malik, some people of you tribe gradually came here, and I have ordered to give them something, so distribute it among them. I said: If you assigned this (work) to some other person, (it would be better). He said: Take it. Then Yarfa' came to him and said: Commander of the Faithful, will you permit 'Uthman b. 'Affan, 'Abd al-Rahman b. 'Awf, al-Zubair b. al-'Awwam, and Sa'd b, Abi Waqqas (to enter) ? He said: Yes. So he permitted them and they entered. Yarfa' again came to him and said: Commander of the Faithful, would you permit al-'Abbas and 'Ali ? He said: Yes. He then permitted them and they entered. Al-'Abbas said: Commander of Faithful, decide between me and this, referring to 'Ali. Some of them said: Yes, Commander of the Faithful, decide between them and give them comfort. Malik b. Aws said: It occurred to me that both of them brought the other people for this. 'Umar said: Show patience (do not make haste). He then turned towards those people and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that Messenger of Allah (ﷺ) said: We are not inherited whatever we leave is sadaqah (alms). They said: Yes. He then turned towards 'Ali and al-'Abbas and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that Messenger of Allah (ﷺ) said: We are not inherited whatever we leave is sadaqah (alms). They said: Yes. He then said: Allah has appointed for the Messenger of Allah (ﷺ) a special portion (in the booty) which he did not do for anyone. Allah, Most High, said: What Allah has bestowed on His Apostle (and taken away) from them - for this ye made no expedition with either cavalry or camelry. But Allah gives power to His apostles over any He pleases ; and Allah has power over all things". Allah bestowed (the property of) Banu al-Nadir on His Apostle. I swear by Allah, he did not reserve it for himself, nor did he take it over and above you. The Messenger of Allah (ﷺ) used to his share for his maintenance annually, or used to take his contribution and give his family their annual contribution (from this property), then take what remained and deal with it as he did with Allah's property. He then turned towards those people and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that ? They said: Yes. He then turned towards 'Ali and al-'Abbas and said: I adjure you by Allah by Whose order the heaven and earth stand. Do you know that ? They said: Yes. When the Messenger of Allah (ﷺ) died, Abu Bakr said: I am the protector of the Messenger of Allah (ﷺ). Then you and this ('Ali) came to Abu Bakr, demanding a share from the inheritance of your cousin, and this ('Ali) demanding the share of his wife from (the property of her) father. Abu Bakr then said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah. Allah knows that he (Abu Bakr) was true, faithful, rightly-guided, and the follower of Triuth. Abu Bakr then administered it (property of the Prophet). When Abu Bakr died, I said: I am the protector of the Messenger of Allah (ﷺ) and Abu Bakr. So I administered whatever Allah wished. Then you and this ('Ali) came. Both of you are at one, and your matter is the same. So they asked me for it (property), and I said: If you wish I give it to you on condition that you are bound by the covenant of Allah, meaning that you will administer it as the Messenger of Allah (ﷺ) used to administer. So you took it from me on that condition. Then again you have come to me so that I decide between you other than that. I swear by Allah, I shall not decide between you other than that till the Last Hour comes. If you helpless, return it to me.

Abu Dawud said: They asked him for making it half between them, and not that they were ignorant of the fact the Prophet (ﷺ) said: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah (alms). They were also seeking the truth. 'Umar then said: I do not apply the name of division to it ; It leave it on its former condition.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৬৪। মালিক ইবনু আওস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি উক্ত ঘটনা সম্পর্কে বলেন, তারা উভয়ে অর্থাৎ আলী ও আব্বাস (রাঃ) খায়বারের ফাইলদ্ধ সম্পদ নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হলেন- যা বনূ নাযীর গোত্রের কাছ থেকে আল্লাহ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দান করেছিলেন। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ’উমার (রাঃ)-এর ইচ্ছা ছিলো এ সম্পদের উপর বণ্টনের নামও নেয়া যাবে না।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ: وَهُمَا يَعْنِي عَلِيًّا، وَالْعَبَّاسَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا يَخْتَصِمَانِ فِيمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَمْوَالِ بَنِي النَّضِيرِ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: أَرَادَ أَنْ لَا يُوقَعَ عَلَيْهِ اسْمُ قَسْمٍ

صحيح

حدثنا محمد بن عبيد، حدثنا محمد بن ثور، عن معمر، عن الزهري، عن مالك بن اوس، بهذه القصة قال: وهما يعني عليا، والعباس رضي الله عنهما يختصمان فيما افاء الله على رسول الله صلى الله عليه وسلم من اموال بني النضير، قال ابو داود: اراد ان لا يوقع عليه اسم قسم صحيح


Narrating this tradition Malik b. Aws said:
They i.e 'Ali and al-'Abbas (Allah be pleased with them), were quarrelling about what Allah bestowed on His Messenger of Allah (ﷺ), that is, the property of Banu al-Nadir.

Abu Dawud said: He ('Umar) intended that the name of division should not apply to it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৬৫। ’উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনূ নাযীর গোত্রের সম্পদ আল্লাহ তাঁর রাসূলকে দান করেন। এগুলো অর্জন করতে মুসলিমদের ঘোড়া বা উট চালাতে হয়নি। এ সম্পদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য নির্দিষ্ট ছিলো। এর থেকে তিনি তাঁর পরিবারের সারা বছরের ভরণপোষণের ব্যয়ভার বহন করতেন। আর অবশিষ্ট অংশ দিয়ে ঘোড়া ও আল্লাহর পথে যুদ্ধের সরঞ্জাম সংগ্রহ করতেন। ইবনু ’আবদাহ (রহঃ) বলেন, তা ব্যয় করা হতো ঘোড়া ও অস্ত্র সংগ্রহের জন্য।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الْمَعْنَى، أَنَّ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ: " كَانَتْ أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ، مِمَّا لَمْ يُوجِفِ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ بِخَيْلٍ، وَلَا رِكَابٍ، كَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالِصًا، يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ - قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ: يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ - قُوتَ سَنَةٍ، فَمَا بَقِيَ جَعَلَ فِي الْكُرَاعِ، وَعُدَّةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ " قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ: فِي الْكُرَاعِ وَالسِّلَاحِ

صحيح

حدثنا عثمان بن ابي شيبة، واحمد بن عبدة المعنى، ان سفيان بن عيينة، اخبرهم عن عمرو بن دينار، عن الزهري، عن مالك بن اوس بن الحدثان، عن عمر، قال: " كانت اموال بني النضير مما افاء الله على رسوله، مما لم يوجف المسلمون عليه بخيل، ولا ركاب، كانت لرسول الله صلى الله عليه وسلم خالصا، ينفق على اهل بيته - قال ابن عبدة: ينفق على اهله - قوت سنة، فما بقي جعل في الكراع، وعدة في سبيل الله عز وجل " قال ابن عبدة: في الكراع والسلاح صحيح


Narrated 'Umar:

The properties of Banu al-Nadir were part of what Allah bestowed on His Apostle from what the Muslims has not ridden on horses or camels to get; so they belonged specially to the Messenger of Allah (ﷺ) who gave his family their annual contribution.

Ibn 'Abdah said: His family (ahlihi) and not the members of his houses (ahl baitihi) ; then applied what remained for horses and weapons in Allah's path.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৬৬। আয-যুহরী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমার (রাঃ) বলেছেন, (মহান আল্লাহর বাণীঃ) ’’আর যা কিছু আল্লাহ তাদের (ইয়াহুদীদের) থেকে তাঁর রাসূলের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছেন, তার জন্য তোমরা ঘোড়া ও উট পরিচালিত করনি। বরং আল্লাহ তাঁর রাসূলদেরকে যার উপর ইচ্ছা কর্তৃত্ব দান করেন। আর আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের উপরই ক্ষমতাবান’’।[সূরা আল-হাশরঃ ৬] আয-যুহরী (রহঃ) বলেন ’উমার (রাঃ) বলেছেন, উরাইনাহ, ফাদাক ইত্যাদি এলাকা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য নির্দিষ্ট ছিলো। যেমন অন্য আয়াতে বলা হয়েছেঃ ’’যা কিছুই আল্লাহ এ জনপদের লোকদের থেকে তাঁর রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন তা আল্লাহ, রাসূল এবং আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন ও পথিকদের জন্য।

ঐসব মুহাজিরের জন্যও, যারা নিজেদের ঘর-বাড়ি ও সম্পদ থেকে বিতারিত ও বহিস্কৃত। এবং যারা এ মুহাজিরদের আসার আগে ঈমান এনে দারুল হিজরতেই বসবাসকারী ছিলো এবং যারা তাদের পরে হিজরত করে তাদের কাছে এসেছে (তাদের জন্যও)...।’’[সূরা আল-হাশরঃ ৭-১০] এ আয়াতগুলো সকলক লোককে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এমন কোনো মুসলিম নেই যার যুদ্ধলব্ধ সম্পদে অধিকার নেই। আইয়ূব (রহঃ) বলেন, অথবা বর্ণনাকারী ’অধিকার’ এর স্থলে ’অংশ’ শব্দ বলেছেন। হ্যাঁ, তোমাদের কতিপয় কৃতদাস এ থেকে বাদ পড়েছে।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ: (وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ، وَلَا رِكَابٍ) [الحشر: ٦] قَالَ الزُّهْرِيُّ: قَالَ عُمَرُ: هَذِهِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً قُرَى عُرَيْنَةَ، فَدَكَ، وَكَذَا وَكَذَا مَا (أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ، وَلِذِي الْقُرْبَى، وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ، وَابْنِ السَّبِيلِ) [الحشر: ٧]، وَلَلْفُقَرَاءِ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ، وَأَمْوَالِهِمْ، (وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ، وَالْإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ)، (وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ)، فَاسْتَوْعَبَتْ هَذِهِ الْآيَةُ النَّاسَ فَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا لَهُ فِيهَا حَقٌّ - قَالَ أَيُّوبُ: أَوْ قَالَ حَظٌّ - إِلَّا بَعْضَ مَنْ تَمْلِكُونَ مِنْ أَرِقَّائِكُمْ

صحيح

حدثنا مسدد، حدثنا اسماعيل بن ابراهيم، اخبرنا ايوب، عن الزهري، قال: قال عمر: (وما افاء الله على رسوله منهم فما اوجفتم عليه من خيل، ولا ركاب) [الحشر: ٦] قال الزهري: قال عمر: هذه لرسول الله صلى الله عليه وسلم خاصة قرى عرينة، فدك، وكذا وكذا ما (افاء الله على رسوله من اهل القرى فلله وللرسول، ولذي القربى، واليتامى والمساكين، وابن السبيل) [الحشر: ٧]، وللفقراء الذين اخرجوا من ديارهم، واموالهم، (والذين تبوءوا الدار، والايمان من قبلهم)، (والذين جاءوا من بعدهم)، فاستوعبت هذه الاية الناس فلم يبق احد من المسلمين الا له فيها حق - قال ايوب: او قال حظ - الا بعض من تملكون من ارقاىكم صحيح


Narrated Al-Zuhri:
'Umar said explaining the verse: "What Allah has bestowed on His Apostle (and taken away) from them - for this ye made no expedition with either cavalry or camelry" this belonged specially to the Messenger of Allah (ﷺ): lands of 'Urainah, Fadak, and so-and-so. What Allah as bestowed on His Apostle (and taken away) from the people of the townships - belong to Allah - to the Apostle, and to kindred and orphans, the needy and the wayfarer, to the indigent emigrants, those who were expelled from their homes and their property, and to those who, before them, had homes (in Medina), and had adopted the faith, and to those who came after them. This verse completely covered all the people ; they remained no one from Muslims but he had his right in it, or share (according to Ayyub's version) except the slaves.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৬৭। মালিক ইবনু আওস ইবনুল হাদাসান (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমার (রাঃ) নিজের বক্তব্যের অনুকূলে যুক্তি পেশ করে বললেন, কেবলমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য ফাই-এর সম্পদে তিনটি বিশেষ অংশ ছিলোঃ বনূ নাযীর, খায়বার ও ফাদাক। বনূ নাযীর এলাকা থেকে প্রাপ্ত আয় দৈনন্দিনের প্রয়োজন পূরণে ব্যয় করা হতো। ফাদাক থেকে অর্জিত আয় পথিকদের জন্য ব্যয় করা হতো। খায়বার এলাকার আয়কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন ভাগে ভাগ করেছেন। দু’ অংশ মুসলিমদের সার্বিক কল্যাণে ব্যয় করা হতো এবং অপর অংশ দ্বারা তাঁর পরিবারের ব্যয়ভার বহন করা হতো। আর অবশিষ্ট অংশ গরীব মুহাজিরদের মাঝে বণ্টন করা হতো।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ح وحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح وحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، وَهَذَا، لَفْظُ حَدِيثِهِ كُلُّهُمْ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، قَالَ: فِيمَا احْتَجَّ بِهِ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: كَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثَلَاثُ صَفَايَا بَنُو النَّضِيرِ، وَخَيْبَرُ، وَفَدَكُ، فَأَمَّا بَنُو النَّضِيرِ فَكَانَتْ حُبُسًا لِنَوَائِبِهِ، وَأَمَّا فَدَكُ فَكَانَتْ حُبُسًا لِأَبْنَاءِ السَّبِيلِ، وَأَمَّا خَيْبَرُ فَجَزَّأَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثَلَاثَةَ أَجْزَاءٍ، جُزْأَيْنِ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَجُزْءًا نَفَقَةً لِأَهْلِهِ، فَمَا فَضُلَ عَنْ نَفَقَةِ أَهْلِهِ جَعَلَهُ بَيْنَ فُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ

حسن الإسناد

حدثنا هشام بن عمار، حدثنا حاتم بن اسماعيل، ح وحدثنا سليمان بن داود المهري، اخبرنا ابن وهب، اخبرني عبد العزيز بن محمد، ح وحدثنا نصر بن علي، حدثنا صفوان بن عيسى، وهذا، لفظ حديثه كلهم، عن اسامة بن زيد، عن الزهري، عن مالك بن اوس بن الحدثان، قال: فيما احتج به عمر رضي الله عنه انه قال: كانت لرسول الله صلى الله عليه وسلم: ثلاث صفايا بنو النضير، وخيبر، وفدك، فاما بنو النضير فكانت حبسا لنواىبه، واما فدك فكانت حبسا لابناء السبيل، واما خيبر فجزاها رسول الله صلى الله عليه وسلم، ثلاثة اجزاء، جزاين بين المسلمين، وجزءا نفقة لاهله، فما فضل عن نفقة اهله جعله بين فقراء المهاجرين حسن الاسناد


Narrated Umar ibn al-Khattab:

Malik ibn Aws al-Hadthan said: One of the arguments put forward by Umar was that he said that the Messenger of Allah (ﷺ) received three things exclusively to himself: Banu an-Nadir, Khaybar and Fadak. The Banu an-Nadir property was kept wholly for his emergent needs, Fadak for travellers, and Khaybar was divided by the Messenger of Allah (ﷺ) into three sections: two for Muslims, and one as a contribution for his family. If anything remained after making the contribution of his family, he divided it among the poor Emigrants.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৬৮। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি উরওয়াহ ইবনুয যুবায়র (রাঃ)-কে জানান যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মেয়ে ফাতিমাহ (রাঃ) আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট লোক পাঠালেন। তিনি তার কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিত্যক্ত সম্পদে তার ওয়ারিসীস্বত্ব দাবি করলেন। উক্ত সম্পদ আল্লাহ তাঁর রাসূলকে মদীনায় ও ফাদাকে ফাই হিসাবে এবং খায়বারে গানীমাতের এক-পঞ্চমাংশ হিসাবে দান করেন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’আমাদের কোনো ওয়ারিস নেই, আমাদের পরিত্যক্ত জিনিস সাদাকাহ গণ্য।’’

মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবার এ সম্পদ থেকে কেবল ভরণ পোষণের পরিমাণ গ্রহণ করবে। আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় তাঁর এ সাদাকাহর যে বৈশিষ্ট্য ছিলো আমি তার কিছুমাত্র পরিবর্তন করবো না। এ সম্পদের ব্যাপারে আমি ঐ নীতিই অনুসরণ করবো যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন। আবূ বকর (রাঃ) উক্ত সম্পদের অংশ ফাতিমাহ (রাঃ)-এর নিকট হস্তান্তর করতে অসম্মাতি জানান।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهِبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلِ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ: أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْسَلَتْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ تَسْأَلُهُ مِيرَاثَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ، بِالْمَدِينَةِ، وَفَدَكَ، وَمَا بَقِيَ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ، إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ مِنْ هَذَا الْمَالِ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لَا أُغَيِّرُ شَيْئًا مِنْ صَدَقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ حَالِهَا الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهَا، فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَأَعْمَلَنَّ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَبَى أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنْ يَدْفَعَ إِلَى فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَام، مِنْهَا شَيْئًا

صحيح

حدثنا يزيد بن خالد بن عبد الله بن موهب الهمداني، حدثنا الليث بن سعد، عن عقيل بن خالد، عن ابن شهاب، عن عروة بن الزبير، عن عاىشة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم انها اخبرته: ان فاطمة بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم ارسلت الى ابي بكر الصديق رضي الله عنه تساله ميراثها من رسول الله صلى الله عليه وسلم مما افاء الله عليه، بالمدينة، وفدك، وما بقي من خمس خيبر، فقال ابو بكر: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: لا نورث ما تركنا صدقة، انما ياكل ال محمد من هذا المال، واني والله لا اغير شيىا من صدقة رسول الله صلى الله عليه وسلم عن حالها التي كانت عليها، في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم، فلاعملن فيها بما عمل به رسول الله صلى الله عليه وسلم فابى ابو بكر رضي الله عنه، ان يدفع الى فاطمة عليها السلام، منها شيىا صحيح


Narrated 'Aishah, wife of Prophet (ﷺ):
Fatimah daughter of Messenger of Allah (ﷺ) sent a messenger to Abu Bakr demanding from him in inheritance of the Messenger of Allah (ﷺ) from what Allah bestowed on him at Medina and Fadak, and what remained of the fifth of Khaibar. Abu Bakr said: The Messenger of Allah (ﷺ) has said: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah. The family of Muhammad will eat from this property. I swear by Allah I shall not change it from the former condition of its being sadaqah as it was in the time of the Messenger of Allah (ﷺ). I shall deal with it as the Messenger of Allah dealt with it. Abu Bakr, therefore, refused to give anything to Fatimah from it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৬৯। উরওয়াহ ইবনুয যুবায়র (রহঃ) সুত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ’আয়িশাহ (রাঃ) তাকে এ হাদীসটি অবহিত করেন। তিনি বলেন, ফাতিমাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদীনায় পরিত্যক্ত সাদাকাহ, ফাদাকের ফাই ও খায়বারের এক-পঞ্চমাংশ সম্পদের নিজের উত্তরাধিকার দাবি করেন। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আবূ বকর (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’আমাদের কোনো ওয়ারিস নেই, ’আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকাহ গণ্য।’’ আল্লাহর দেয়া এ সম্পদ থেকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবার তাদের ভরণপোষণের পরিমাণ গ্রহণ করবে।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ: أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَخْبَرَتْهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ، قَالَ: وَفَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَام حِينَئِذٍ تَطْلُبُ صَدَقَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي بِالْمَدِينَةِ، وَفَدَكَ، وَمَا بَقِيَ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ، قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ، وَإِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ فِي هَذَا الْمَالِ يَعْنِي مَالَ اللَّهِ لَيْسَ لَهُمْ أَنْ يَزِيدُوا عَلَى الْمَأْكَل

صحيح

حدثنا عمرو بن عثمان الحمصي، حدثنا ابي، حدثنا شعيب بن ابي حمزة، عن الزهري، حدثني عروة بن الزبير: ان عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم، اخبرته بهذا الحديث، قال: وفاطمة عليها السلام حينىذ تطلب صدقة رسول الله صلى الله عليه وسلم التي بالمدينة، وفدك، وما بقي من خمس خيبر، قالت عاىشة رضي الله عنها: فقال ابو بكر رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: لا نورث ما تركنا صدقة، وانما ياكل ال محمد في هذا المال يعني مال الله ليس لهم ان يزيدوا على الماكل صحيح


Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:

Fatimah was demanding (the property of) sadaqah of the Messenger of Allah (ﷺ) at Medina and Fadak, and what remained from the fifth of Khaybar. Aisha quoted AbuBakr as saying: The Messenger of Allah (ﷺ) said: We are not inherited; whatever we leave is sadaqah. The family of Muhammad will eat from this property, that is, from the property of Allah. They will not take more then their sustenance.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৭০। উরওয়াহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। ’আয়িশাহ (রাঃ) তাকে হাদীস অবহিত করেন। উরওয়াহ এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, আবূ বকর (রাঃ) ফাতিমাহ (রাঃ)-কে এ সম্পদের অংশ দিতে অসম্মতি জানালেন। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোনো নীতিই বর্জন করবো না। তিনি যেটা যেভাবে করেছেন আমি ঠিক সেভাবেই তা করবো। আমার আশঙ্কা হচ্ছে, আমি তাঁর হুকুমের সামান্য ব্যতিক্রম করলে আমি বাঁকা পথে চলে যাবো।

বর্ণনাকারী বলেন, মদীনাতে অবস্থিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাদাকাহ সম্পত্তি ’উমার ’আলী ও আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে অর্পণ করলেন। পরে আলী (রাঃ) একাই তা দখল করে নেন। খায়বার ও ফাদাকের সম্পত্তি ’উমার (রাঃ) নিজের তত্ত্বাবধানে রাখেন। তিনি বললেন, এ দু’টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাদাকাহর মাল। তাঁর প্রয়েঅজন পূরণের জন্য এটি খরচ হতো। তিনি এ সম্পদ রাষ্ট্রপ্রধানের তত্ত্বাবধানের রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, ঐ সময় পর্যন্ত তা এভাবেই ছিলো।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ: أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَخْبَرَتْهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ، قَالَ فِيهِ: فَأَبَى أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَيْهَا ذَلِكَ، وَقَالَ: لَسْتُ تَارِكًا شَيْئًا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْمَلُ بِهِ إِلَّا عَمِلْتُ بِهِ، إِنِّي أَخْشَى إِنْ تَرَكْتُ شَيْئًا مِنْ أَمْرِهِ أَنْ أَزِيغَ، فَأَمَّا صَدَقَتُهُ بِالْمَدِينَةِ فَدَفَعَهَا عُمَرُ إِلَى عَلِيٍّ، وَعَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَغَلَبَهُ عَلِيٌّ عَلَيْهَا، وَأَمَّا خَيْبَرُ، وَفَدَكُ فَأَمْسَكَهُمَا عُمَرُ، وَقَالَ: هُمَا صَدَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتَا لِحُقُوقِهِ الَّتِي تَعْرُوهُ، وَنَوَائِبِهِ، وَأَمْرُهُمَا إِلَى مَنْ وَلِيَ الْأَمْرَ، قَالَ: فَهُمَا عَلَى ذَلِكَ إِلَى الْيَوْمِ

صحيح

حدثنا حجاج بن ابي يعقوب، حدثنا يعقوب بن ابراهيم بن سعد، حدثنا ابي، عن صالح، عن ابن شهاب، قال: اخبرني عروة: ان عاىشة رضي الله عنها اخبرته بهذا الحديث، قال فيه: فابى ابو بكر رضي الله عنه عليها ذلك، وقال: لست تاركا شيىا كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعمل به الا عملت به، اني اخشى ان تركت شيىا من امره ان ازيغ، فاما صدقته بالمدينة فدفعها عمر الى علي، وعباس رضي الله عنهما، فغلبه علي عليها، واما خيبر، وفدك فامسكهما عمر، وقال: هما صدقة رسول الله صلى الله عليه وسلم كانتا لحقوقه التي تعروه، ونواىبه، وامرهما الى من ولي الامر، قال: فهما على ذلك الى اليوم صحيح


Narrating the above tradition, 'Aishah added:
Abu Bakr refused that to her. Her said: I am not going to leave anything the Messenger of Allah (ﷺ) used to do but I shall carry it out. I fear if I depart a little from his practice, I shall diverge (from the right path). As regards his sadaqah (property) at Medina, 'Umar had given it to 'Ali ad 'Abbas (Allah be pleased with them), and 'Ali dominated it. As for Khaibar and Fadak, 'Umar retained them. He said: They were the sadaqah (property) of the Messenger of Allah (ﷺ), exclusively reserved for his purposes that happened, and for his emergent needs. Their management was assigned to the one who was in authority. He said: They are in that condition to the present day.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৭১। আয-যুহরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর বাণীঃ ’’তা অর্জনের জন্য তোমরা ঘোড়া বা উট দৌঁড়াওনি...’’ এ সম্পর্কে বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাদাক এবং আরেকটি গ্রামের লোকদের সাথে সন্ধি করেন। (যুহরী) গ্রামের নাম উল্লেখ করলেও আমি (মা’মার) তা স্মরণ রাখিনি। তিনি এ সময় আরেকটি জনপদ অবরোধ করেন। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সন্ধির প্রস্তাব করে। মহান আল্লাহ বললেনঃ ’’তা অর্জনের জন্য তোমরা ঘোড়া বা উট হাঁকাওনি।’’ অর্থাৎ তা বিনা যুদ্ধে অর্জিত। যুহরী বলেন, বনূ নাযীর গোত্রের এলাকাও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইচ্ছাধীন ছিলো। তারা এ এলাকাটি বল প্রয়োগে জয় করেননি, বরং জয় করেছেন সন্ধির মাধ্যমে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সম্পদ মুহাজিরদের মাঝে বণ্টন করেন এবং আনসারদের এ থেকে কিছুই দেননি। অবশ্য দু’জনকে দিয়েছেন। কারণ তাদের খুবই প্রয়োজন ছিলো।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فِي قَوْلِهِ: (فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ، وَلَا رِكَابٍ) [الحشر: ٦]، قَالَ: صَالَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ فَدَكَ، وَقُرًى قَدْ سَمَّاهَا لَا أَحْفَظُهَا، وَهُوَ مُحَاصِرٌ قَوْمًا آخَرِينَ، فَأَرْسَلُوا إِلَيْهِ بِالصُّلْحِ، قَالَ: (فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ، وَلَا رِكَابٍ) [الحشر: ٦]، يَقُولُ: بِغَيْرِ قِتَالٍ، قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَكَانَتْ بَنُو النَّضِيرِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالِصًا لَمْ يَفْتَحُوهَا عَنْوَةً، افْتَتَحُوهَا عَلَى صُلْحٍ، فَقَسَمَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْمُهَاجِرِينَ، لَمْ يُعْطِ الْأَنْصَارَ مِنْهَا شَيْئًا، إِلَّا رَجُلَيْنِ كَانَتْ بِهِمَا حَاجَةٌ

ضعيف الإسناد

حدثنا محمد بن عبيد، حدثنا ابن ثور، عن معمر، عن الزهري، في قوله: (فما اوجفتم عليه من خيل، ولا ركاب) [الحشر: ٦]، قال: صالح النبي صلى الله عليه وسلم اهل فدك، وقرى قد سماها لا احفظها، وهو محاصر قوما اخرين، فارسلوا اليه بالصلح، قال: (فما اوجفتم عليه من خيل، ولا ركاب) [الحشر: ٦]، يقول: بغير قتال، قال الزهري: وكانت بنو النضير للنبي صلى الله عليه وسلم خالصا لم يفتحوها عنوة، افتتحوها على صلح، فقسمها النبي صلى الله عليه وسلم بين المهاجرين، لم يعط الانصار منها شيىا، الا رجلين كانت بهما حاجة ضعيف الاسناد


Al-Zuhri, explaining the verse "For this you made no expedition with either cavalry or camelry" said:
The Prophet (ﷺ) concluded the treaty of peace with the people of Fadak and townships which he named which I could not remember ; he blockaded some other people who sent a message to him for capitulation. He said: "For this you made no expedition with either cavalry or camelry" means without fighting. Al-Zuhri said: The Banu al-Nadir property was exclusively kept for the Prophet (ﷺ) ; they did not conquer it by fighting, but conquered it by capitulation. To Prophet (ﷺ) divided it among the Emigrants. He did not give anything to the Helpers except two men were needy.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৭২। আল-মুগীরাহ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন ’উমার ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ)-কে খলীফাহ নিযুক্ত করা হলে তিনি মারওয়ানের পুত্রদেরকে ডেকে একত্র করে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাদাকের সম্পদের অধিকারী ছিলেন। এর থেকে তিনি তাঁর পরিবারের ভরণপোষণ করতেন, গরীবদের সাহায্য করতেন, হাশিম গোত্রের নাবালক শিশুদের দান করতেন এবং তাদের বিধবাদের বিবাহে খরচ করতেন।

তাঁর কন্যা ফাতিমাহ (রাঃ) তার নিকট এ সম্পদ চাইলে তিনি তা দিতে অসম্মতি জানান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত তা এভাবেই রয়ে যায়। পরে আবূ বকর (রাঃ) খলীফাহ হলে তিনি তার জীবদ্দশায় এ সম্পদের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নীতি অনুসরণ করলেন। ’উমারও (রাঃ) খলীফাহ হওয়ার পর মৃত্যুর পর্যন্ত উভয় পূর্বসূরীর নীতি অনুসরণ করলেন।

অতঃপর মারওয়ান এ সম্পদ জায়গীর হিসাবে দখল করেন। এখন ’উমার ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ)-এর মালিক। ’উমার ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ) বললেন, আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সম্পদ ফাতিমাহ (রাঃ)-কে দেননি তা আমার জন্য কীভাবে বৈধ হবে! এতে আমার কোনো অধিকার নেই। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি অবশ্যই এ সম্পদ ঐ অবস্থায় নিবো যেরূপ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ছিলো।

আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ’উমার ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ) যখন খলীফাহ নিযুক্ত হন তখন ঐ সম্পদের মূল্য ছিলো চল্লিশ হাজার দীনার এবং তাঁর মৃত্যুর সময় এর মূল্য দাঁড়ায় চার হাজার দীনার। তিনি জীবিত থাকলে এর মূল্য আরো কমতো।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ: جَمَعَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَنِي مَرْوَانَ حِينَ اسْتُخْلِفَ، فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَانَتْ لَهُ فَدَكُ، فَكَانَ يُنْفِقُ مِنْهَا وَيَعُودُ مِنْهَا عَلَى صَغِيرِ بَنِي هَاشِمٍ، وَيُزَوِّجُ مِنْهَا أَيِّمَهُمْ، وَإِنَّ فَاطِمَةَ سَأَلَتْهُ أَنْ يَجْعَلَهَا لَهَا فَأَبَى، فَكَانَتْ كَذَلِكَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ، فَلَمَّا أَنْ وُلِّيَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَمِلَ فِيهَا بِمَا عَمِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي حَيَاتِهِ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ، فَلَمَّا أَنْ وُلِّيَ عُمَرُ عَمِلَ فِيهَا بِمِثْلِ مَا عَمِلَا حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ، ثُمَّ أَقْطَعَهَا مَرْوَانُ، ثُمَّ صَارَتْ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، قَالَ عُمَرُ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ: فَرَأَيْتُ أَمْرًا مَنَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَام، لَيْسَ لِي بِحَقٍّ، وَأَنَا أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ رَدَدْتُهَا عَلَى مَا كَانَتْ يَعْنِي عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْخِلَافَةَ، وَغَلَّتُهُ أَرْبَعُونَ أَلْفَ دِينَارٍ، وَتُوُفِّيَ وَغَلَّتُهُ أَرْبَعُ مِائَةِ دِينَارٍ وَلَوْ بَقِيَ لَكَانَ أَقَلَّ

ضعيف

حدثنا عبد الله بن الجراح، حدثنا جرير، عن المغيرة، قال: جمع عمر بن عبد العزيز بني مروان حين استخلف، فقال: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم: كانت له فدك، فكان ينفق منها ويعود منها على صغير بني هاشم، ويزوج منها ايمهم، وان فاطمة سالته ان يجعلها لها فابى، فكانت كذلك في حياة رسول الله صلى الله عليه وسلم، حتى مضى لسبيله، فلما ان ولي ابو بكر رضي الله عنه، عمل فيها بما عمل النبي صلى الله عليه وسلم، في حياته حتى مضى لسبيله، فلما ان ولي عمر عمل فيها بمثل ما عملا حتى مضى لسبيله، ثم اقطعها مروان، ثم صارت لعمر بن عبد العزيز، قال عمر يعني ابن عبد العزيز: فرايت امرا منعه رسول الله صلى الله عليه وسلم فاطمة عليها السلام، ليس لي بحق، وانا اشهدكم اني قد رددتها على ما كانت يعني على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال ابو داود: ولي عمر بن عبد العزيز الخلافة، وغلته اربعون الف دينار، وتوفي وغلته اربع ماىة دينار ولو بقي لكان اقل ضعيف


Narrated Umar ibn AbdulAziz:

Al-Mughirah (ibn Shu'bah) said: Umar ibn AbdulAziz gathered the family of Marwan when he was made caliph, and he said: Fadak belonged to the Messenger of Allah (ﷺ), and he made contributions from it, showing repeated kindness to the poor of the Banu Hashim from it, and supplying from it the cost of marriage for those who were unmarried. Fatimah asked him to give it to her, but he refused. That is how matters stood during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) till he passed on (i.e. died).

When AbuBakr was made ruler he administered it as the Prophet (ﷺ) had done in his lifetime till he passed on. Then when Umar ibn al-Khattab was made ruler he administered it as they had done till he passed on. Then it was given to Marwan as a fief, and it afterwards came to Umar ibn AbdulAziz.

Umar ibn AbdulAziz said: I consider I have no right to something which the Messenger of Allah (ﷺ) refused to Fatimah, and I call you to witness that I have restored it to its former condition; meaning in the time of the Messenger of Allah (ﷺ).

Abu Dawud said: When 'Umar b. 'Abd al-'Aziz was made caliph its revenue was forty thousand dinars, and when he died its revenue was four hundred dinars. Had he remained alive, it would have been less than it.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৭৩। আবুত তুফাইল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ (রাঃ) আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্পদে তার মীরাস দাবি করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ কোনো নবীকে জীবন ধারণের ব্যবস্থা করে দিলে তাঁর পরবর্তীতে তাঁর স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি এর হকদার।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جُمَيْعٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ: جَاءَتْ فَاطِمَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، إِلَى أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، تَطْلُبُ مِيرَاثَهَا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، إِذَا أَطْعَمَ نَبِيًّا طُعْمَةً، فَهِيَ لِلَّذِي يَقُومُ مِنْ بَعْدِهِ

حسن

حدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا محمد بن الفضيل، عن الوليد بن جميع، عن ابي الطفيل، قال: جاءت فاطمة رضي الله عنها، الى ابي بكر رضي الله عنه، تطلب ميراثها من النبي صلى الله عليه وسلم، قال: فقال ابو بكر رضي الله عنه: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ان الله عز وجل، اذا اطعم نبيا طعمة، فهي للذي يقوم من بعده حسن


Narrated AbuBakr:

AbutTufayl said: Fatimah came to AbuBakr asking him for the inheritance of the Prophet (ﷺ). AbuBakr said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: If Allah, Most High, gives a Prophet some means of sustenance, that goes to his successor.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুত্ব তুফায়ল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৭৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমার ওয়ারিসগণ আমার পরিত্যক্ত একটি দীনারও বণ্টন করবে না। আমার স্ত্রীদের ভারণপোষণ এবং শ্রমিকদের বেতন দেয়ার পর যা থাকবে তা সাদাকাহ গণ্য হবে। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ’আমার কর্মচারী অর্থাৎ কৃষি শ্রমিক।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تَقْتَسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا، مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي، وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: " مُؤْنَةُ عَامِلِي: يَعْنِي أَكَرَةَ الْأَرْضِ

صحيح

حدثنا عبد الله بن مسلمة، عن مالك، عن ابي الزناد، عن الاعرج، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: لا تقتسم ورثتي دينارا، ما تركت بعد نفقة نساىي، ومونة عاملي فهو صدقة، قال ابو داود: " مونة عاملي: يعني اكرة الارض صحيح


Narrated Abu Hurairah:

The Prophet (ﷺ) as saying: Do not distribute dinars among my heirs: Whatever I left after contribution to my wives and provisions for my governor is sadaqah (alms).

Abu Dawud said: 'Amil means the workers or laborers on the land (i.e. peasants).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৭৫। আবুল বাখতারী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক লোকের নিকট একটি হাদীস শুনি, তা আমার পছন্দ হয়। আমি বললাম, আমাকে তা লিখে দিন। তিনি তা পরিস্কারভাবে লিখে নিয়ে আসলেনঃ ’আব্বাস (রাঃ) ও আলী (রাঃ) ’উমার (রাঃ)-এর নিকট গেলেন। তখন তার কাছে তালহা (রাঃ), যুবায়র (রাঃ), সা’দ (রাঃ) ও ’আব্দুর রাহমান (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। আব্বাস ও আলী বিবাদে লিপ্ত ছিলেন। তালহা (রাঃ), যুবায়র (রাঃ), ’আব্দুর রাহমান (রাঃ) ও সা’দ (রাঃ)-কে ’উমার (রাঃ) বললেন, আপনারা কি জানেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্পদ সাদাকাহ হিসাবে গণ্য, কেবলমাত্র তাঁর পরিবারের ভরণপোষণের জন্য যতটুকু ব্যয় হয় তা ব্যতীত।

আমাদের কোনো উত্তরাধিকারী নেই’’ তারা বললেন, হ্যাঁ জানি। ’উমার (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সম্পদ থেকে নিজ পরিবারের জন্য খরচ করতেন এবং বাকী অংশ দান করতেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করলেন। আবূ বকর (রাঃ) দু’ বছর তাঁর সম্পত্তির মোতাওয়াল্লী থাকলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সম্পত্তির আয় যেসব খাতে ব্যয় করতেন, আবূ বকরও তাই করলেন। আবুল বাখতারী হাদীসের অংশ বিশেষ মালিক ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন।[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ حَدِيثًا مِنْ رَجُلٍ فَأَعْجَبَنِي، فَقُلْتُ اكْتُبْهُ لِي فَأَتَى بِهِ مَكْتُوبًا مُذَبَّرًا، دَخَلَ الْعَبَّاسُ، وَعَلِيٌّ، عَلَى عُمَرَ، وَعِنْدَهُ طَلْحَةُ، وَالزُّبَيْرُ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَسَعْدٌ، وَهُمَا يَخْتَصِمَانِ، فَقَالَ عُمَرُ لِطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَسَعْدٍ: أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كُلُّ مَالِ النَّبِيِّ صَدَقَةٌ، إِلَّا مَا أَطْعَمَهُ أَهْلَهُ، وَكَسَاهُمْ إِنَّا لَا نُورَثُ؟ قَالُوا: بَلَى، قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْفِقُ مِنْ مَالِهِ عَلَى أَهْلِهِ، وَيَتَصَدَّقُ بِفَضْلِهِ، ثُمَّ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ سَنَتَيْنِ، فَكَانَ يَصْنَعُ الَّذِي كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ ذَكَرَ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ

صحيح

حدثنا عمرو بن مرزوق، اخبرنا شعبة، عن عمرو بن مرة، عن ابي البختري، قال: سمعت حديثا من رجل فاعجبني، فقلت اكتبه لي فاتى به مكتوبا مذبرا، دخل العباس، وعلي، على عمر، وعنده طلحة، والزبير، وعبد الرحمن، وسعد، وهما يختصمان، فقال عمر لطلحة والزبير، وعبد الرحمن، وسعد: الم تعلموا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: كل مال النبي صدقة، الا ما اطعمه اهله، وكساهم انا لا نورث؟ قالوا: بلى، قال: فكان رسول الله صلى الله عليه وسلم ينفق من ماله على اهله، ويتصدق بفضله، ثم توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم، فوليها ابو بكر سنتين، فكان يصنع الذي كان يصنع رسول الله صلى الله عليه وسلم، ثم ذكر شيىا من حديث مالك بن اوس صحيح


Narrated Umar ibn al-Khattab:

AbulBakhtari said: I heard from a man a tradition which I liked. I said to him: Write it down for me. So he brought it clearly written to me.

(It says): Al-Abbas and Ali entered upon Umar when Talhah, az-Zubayr, AbdurRahman and Sa'd were with him. They (Abbas and Ali) were disputing.

Umar said to Talhah, az-Zubayr, AbdurRahman and Sa'd: Do you not know that the Messenger of Allah (ﷺ) said: All the property of the Prophet (ﷺ) is sadaqah (alms), except what he provided for his family for their sustenance and their clothing. We are not to be inherited.

They said: Yes, indeed. He said: The Messenger of Allah (ﷺ) used to spend from his property on his family, and give the residue as sadaqah (alms). The Messenger of Allah (ﷺ) then died, and AbuBakr ruled for two years. He would deal with it in the same manner as the Messenger of Allah (ﷺ) did. He then mentioned a little from the tradition of Malik ibn Aws.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৭৬। ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তেকালের পর তাঁর স্ত্রীগণ সিদ্ধান্ত নিলেন, উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-কে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট পাঠিয়ে তার মাধ্যমে তাদেরকে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেননিঃ ’’আমাদের (নবীদের) কোনো ওয়ারিস নেই। ’আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকাহ গণ্য।’’[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: إِنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلّى الله عليه وسلم أَرَدْنَ أَنْ يَبْعَثْنَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، فَيَسْأَلْنَهُ ثُمُنَهُنَّ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ لَهُنَّ عَائِشَةُ: أَلَيْسَ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ

صحيح

حدثنا القعنبي، عن مالك، عن ابن شهاب، عن عروة، عن عاىشة، انها قالت: ان ازواج النبي صلى الله عليه وسلم حين توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم اردن ان يبعثن عثمان بن عفان الى ابي بكر الصديق، فيسالنه ثمنهن من النبي صلى الله عليه وسلم، فقالت لهن عاىشة: اليس قد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا نورث ما تركنا فهو صدقة صحيح


Narrated 'Aishah:
When the Messenger of Allah (ﷺ) died, the wives of the Prophet (ﷺ) intended to send 'Uthman b. 'Affan to Abu Bakr to ask him their cost of living from (the inheritance of) the Prophet (ﷺ). Thereupon 'Aishah said: Did not the Messenger of Allah (ﷺ) say: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

২৯৭৭। ইবনু শিহাব (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি তার সনদ পরম্পরায় অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। এতে রয়েছেঃ আমি (’আয়িশাহ) বলি, তোমরা কি আল্লাহকে ভয় করো না? তোমরা কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুননিঃ ’’আমাদের (নবীদের) কোনো ওয়ারিস নেই। ’আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকাহ হিসাবে গণ্য। এ সম্পদ মুহাম্মারে পরিবারের খরচা ও মেহমানদের আপ্যায়নের জন্য। আমার ইন্তেকালের পর যে ব্যক্তি খালীফাহ হবে, এ সম্পদ তার তত্ত্বাবধানে থাকবে।’’[1]

بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ، قُلْتُ: أَلَا تَتَّقِينَ اللَّهَ؟ أَلَمْ تَسْمَعْنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ، وَإِنَّمَا هَذَا الْمَالُ لِآلِ مُحَمَّدٍ لِنَائِبَتِهِمْ وَلِضَيْفِهِمْ، فَإِذَا مُتُّ فَهُوَ إِلَى وَلِيِّ الْأَمْرِ مِنْ بَعْدِي؟

حسن

حدثنا محمد بن يحيى بن فارس، حدثنا ابراهيم بن حمزة، حدثنا حاتم بن اسماعيل، عن اسامة بن زيد، عن ابن شهاب، باسناده نحوه، قلت: الا تتقين الله؟ الم تسمعن رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: لا نورث ما تركنا فهو صدقة، وانما هذا المال لال محمد لناىبتهم ولضيفهم، فاذا مت فهو الى ولي الامر من بعدي؟ حسن


A similar tradition has been narrated by Ibn Shihab through a different chain of narrators. This version says:
I said: Do you not fear Allah ? Did you not hear the Messenger of Allah (ﷺ) say: We are not inherited. Whatever we leave is sadaqah (alms). This property belongs to the family of Muhammad for their emergent needs and their guest. When I die, it will go to him who becomes ruler after me.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে