পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৭৮। জুবায়র ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা তিনি এবং উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) গানীমাতের এক-পঞ্চমাংশ বণ্টন সম্পর্কে আলাপ করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন, যা তিনি হাশিম ও মুত্তালিব বংশের মধ্যে বণ্টন করেছিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের ভাই বনূ মুত্তালিবের মধ্যে এক-পঞ্চমাংশ বণ্টন করলেন, আর আমাদেরকে কিছুই দিলেন না। অথচ আপনার সাথে আত্মীয়তা বন্ধনের দিক থেকে তারা এবং ’আমরা একই পর্যায়ভুক্ত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিব একই। জুবায়র (রাঃ) বলেন, তিনি বনূ আবদে শামস ও বনূ নাওফাল বংশীয়দেরকে তা প্রদান করেন।
বর্ণনাকারী বলেন, আবূ বকর (রাঃ)-ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকাটাত্মীয়দেরকে এক-পঞ্চমাংশ থেকে দেননি, যেভাবে তিনি বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবদেরকে তা দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ বকরও (রাঃ) এক-পঞ্চমাংশের বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নীতি অনুসরণ করতেন। ব্যতিক্রম ছিলো, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটাত্মীয়দেরকে এক-পঞ্চমাংশ থেকে ভাগ দিতেন না, যদিও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দিতেন। কিন্তু ’উমার (রাঃ) এবং পরে উসমান (রাঃ) তাদেরকে তা থেকে দিয়েছেন।[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، أَخْبَرَنِي جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، أَنَّهُ جَاءَ هُوَ وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، يُكَلِّمَانِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا قَسَمَ مِنَ الْخُمُسِ بَيْنَ بَنِي هَاشِمٍ، وَبَنِي الْمُطَّلِبِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ قَسَمْتَ لِإِخْوَانِنَا بَنِي الْمُطَّلِبِ، وَلَمْ تُعْطِنَا شَيْئًا وَقَرَابَتُنَا وَقَرَابَتُهُمْ مِنْكَ وَاحِدَةٌ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّمَا بَنُو هَاشِمٍ، وَبَنُو الْمُطَّلِبِ شَيْءٌ وَاحِدٌ قَالَ جُبَيْرٌ: وَلَمْ يَقْسِمْ لِبَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، وَلَا لِبَنِي نَوْفَلٍ، مِنْ ذَلِكَ الْخُمُسِ كَمَا قَسَمَ لِبَنِي هَاشِمٍ، وَبَنِي الْمُطَّلِبِ، قَالَ: وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَقْسِمُ الْخُمُسَ، نَحْوَ قَسْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُعْطِي قُرْبَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِيهِمْ، قَالَ: وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يُعْطِيهِمْ مِنْهُ، وَعُثْمَانُ بَعْدَهُ
صحيح
Narrated Jubair b. Mut'im:
That he and 'Uthman b. 'Affan went to the Messenger of Allah (ﷺ) talking to him about the fifth which he divided among the Banu Hisham and Abu 'Abd al-Muttalib. I said: Messenger of Allah, you have divided (the fifth) among our brethren Banu 'Abd al-Muttalib, but you have not given us anything, though our relationship to you is the same as theirs. The Prophet (ﷺ) said: The Banu Hisham and the Banu 'Abd al-Muttalib are one. Jubair said: He did not divide the fifth among the Banu 'Abd Shams and the Banu Nawfal as he divided among the Banu Hashim and the Banu 'Abd al-Muttalib. He said: Abu Bakr used to divide the fifth like the division of Messenger of Allah (ﷺ) except that he did not give the relatives of the Messenger of Allah (ﷺ), as he gave them. 'Umar b. al-Khattab and 'Uthman after him used to give them (a portion) from it.
পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৭৯। জুবায়র ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবকে যেভাবে গানীমাতের এক-পঞ্চমাংশ থেকে প্রদান করেন, বনূ আবদে শামস ও বনূ নাওফালকে তা থেকে দেননি। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে গানীমাতের এক-পঞ্চমাংশ বণ্টন করেছিলেন, আবূ বকর (রাঃ) ঠিক সেভাবেই বণ্টন করেছেন। তবে ব্যতিক্রম ছিলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকটত্মীয়দেরকে যেভাবে দিয়েছেন, তিনি তাদেরকে (ধনী হওয়ার কারণে) সেভাবে দেননি। কিন্তু ’উমার (রাঃ) এবং তার পরবর্তী খলীফাহ তাদেরকে এক-পঞ্চমাংশ থেকে দিয়েছেন।[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، حَدَّثَنَا جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَقْسِمْ لِبَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، وَلَا لِبَنِي نَوْفَلٍ مِنَ الخُمُسِ شَيْئًا، كَمَا قَسَمَ لِبَنِي هَاشِمٍ، وَبَنِي الْمُطَّلِبِ قَالَ: وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَقْسِمُ الْخُمُسَ نَحْوَ قَسْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُعْطِي قُرْبَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا كَانَ يُعْطِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ عُمَرُ يُعْطِيهِمْ، وَمَنْ كَانَ بَعْدَهُ مِنْهُمْ
صحيح
Narrated Jubair b. Mu'tim:
The Messenger of Allah (ﷺ) did not divide the fifth among the Banu 'Abd Shams and Banu Nawfal as he divided among the Banu Hashim and Banu 'Abd al-Muttalib. He said: Abu Bakr used to divide (the fifth) like the division of the Messenger of Allah (ﷺ), except that he did not give the relatives of the Messenger of Allah as the Messenger of Allah (ﷺ) himself gave them. 'Umar used to give them (from the fifth) and those who followed him.
পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৮০। জুবায়র ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার বিজয়ের দিন তাঁর বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবের আত্মীয়দের মধ্যে গানীমাত বণ্টন করেন, কিন্তু নাওফাল ও আবদে শামস বংশীয়দেরকে দেননি। আমি ও উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) রওয়ানা হয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! ’আমরা হাশিম বংশীয়দের মর্যাদা অস্বীকার করি না। কেননা আল্লাহ আপনাকে এ বংশে সৃষ্টি করেছেন।
কিন্তু মুত্তালিব গোত্রের ভাইদের জন্য কি করা হলো। তাদেরকে গানীমাতের অংশ দিলেন, অথচ আমাদেরকে বঞ্চিত করলেন। আত্মীয়তার সম্পর্কের দিক থেকে ’আমরা ও তারা একই পর্যায়ের। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’আমরা ও বনূ মুত্তালিব না জাহিলিয়াতের যুগে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি, আর না ইসলামী যুগে। ’আমরা এবং তারা একই।’ এ বলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এক হাতের আঙ্গুল অন্য হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে প্রবেশ করান।[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا مُسَدِّدٌ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَخْبَرَنِي جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ وَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْمَ ذِي الْقُرْبَى فِي بَنِي هَاشِمٍ، وَبَنِي الْمُطَّلِبِ، وَتَرَكَ بَنِي نَوْفَلٍ، وَبَنِي عَبْدِ شَمْسٍ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ حَتَّى أَتَيْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَؤُلَاءِ بَنُو هَاشِمٍ لَا نُنْكِرُ فَضْلَهُمْ لِلْمَوْضِعِ الَّذِي وَضَعَكَ اللَّهُ بِهِ مِنْهُمْ، فَمَا بَالُ إِخْوَانِنَا بَنِي الْمُطَّلِبِ أَعْطَيْتَهُمْ وَتَرَكْتَنَا وَقَرَابَتُنَا وَاحِدَةٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّا وَبَنُو الْمُطَّلِبِ لَا نَفْتَرِقُ فِي جَاهِلِيَّةٍ، وَلَا إِسْلَامٍ، وَإِنَّمَا نَحْنُ وَهُمْ شَيْءٌ وَاحِدٌ وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
صحيح
Narrated Jubair b. Mu'tim:
On the day of Khaibar the Messenger of Allah (ﷺ) divided the portion to his relatives among the Banu Hashim and Banu 'Abd al-Muttalib, and omitted Banu Nawfal and Banu 'Abd Shams. So I and 'Utham b. 'Affan went to the Prophet (ﷺ) and we said: Messenger of Allah, these are Banu Hashim whose superiority we do not deny because if the position in which Allah has placed you in relation to them ; but tell us about Banu 'Abd al-Muttalib to whom you have given something while omitting us though our relationship is the same as theirs. The Messenger of Allah (ﷺ) said: There is no distinction between us and Banu 'Abd al-Muttalib in pre-Islamic days and in Islam. We and they are one, and he (ﷺ) intertwined his fingers.
পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৮১। আস-সুদ্দী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি যিল-কুরবা এর ব্যাখ্যায় বলেন, এখানে নিকটত্মীয় বলতে বনূ মুত্তালিব লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে।[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنِ السُّدِّيِّ، فِي ذِي الْقُرْبَى، قَالَ: هُمْ بَنُو عَبْدِ الْمُطَّلِبِ
مقطوع
Explaining the relatives of the Prophet (ﷺ) al-Saddi said:
They are Banu 'Abd al-Muttalib.
পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৮২। ইয়াযীদ ইবনু হুরমুয (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। ’আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বিদ্রোহের বছর হজ (হজ্জ) করতে আসে। তিনি নিকটত্মীয়দের অংশ জানার জন্য ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট চিঠি বা লোক পাঠান। তিনি লিখলেন, এ বিষয়ে আপনার অভিমত জানাবেন। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, (আয়াতে নিকটাত্মীয় বলতে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটত্মীয়দের বুঝানো হয়েছে। তিনি নিজের নিকটত্মীয়দের মধ্যে এক-পঞ্চমাংশ বণ্টন করেছেন। (খলীফাহ) ’উমার (রাঃ) আমাদেরকে প্রাপ্য অংশ থেকে কম দিলে ’আমরা লক্ষ্য করি যে, আমাদের অধিকার খর্ব হয়েছে। কাজেই ’আমরা তাকে তা ফেরত দিলাম এবং তা গ্রহণ করতে অসম্মতি জানালাম।[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ هُرْمُزَ، أَنَّ نَجْدَةَ الْحَرُورِيَّ، حِينَ حَجَّ فِي فِتْنَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، يَسْأَلُهُ عَنْ سَهْمِ ذِي الْقُرْبَى، وَيَقُولُ: لِمَنْ تَرَاهُ؟ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لِقُرْبَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسَمَهُ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ كَانَ عُمَرُ عَرَضَ عَلَيْنَا مِنْ ذَلِكَ عَرْضًا رَأَيْنَاهُ دُونَ حَقِّنَا، فَرَدَدْنَاهُ عَلَيْهِ وَأَبَيْنَا أَنْ نَقْبَلَهُ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Abbas:
Yazid ibn Hurmuz said that when Najdah al-Haruri performed hajj during the rule of Ibn az-Zubayr, he sent someone to Ibn Abbas to ask him about the portion of the relatives (in the fifth). He asked: For whom do you think? Ibn Abbas replied: For the relatives of the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) divided it among them. Umar presented it to us but we found it less than our right. We, therefore returned it to him and refused to accept it.
পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৮৩। ’আব্দুর রাহমান ইবনু আবূ লায়লাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আলী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এক-পঞ্চমাংশের মোতাওয়াল্লী বানান। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রাঃ) এবং ’উমার (রাঃ)-এর জীবদ্দশায় এ মাল তার নির্ধারিত খাতে খরচ করতে থাকি। অতঃপর উমারের নিকট কিছু সম্পদ এলে ’উমার আমাকে ডেকে বললেন, এগুলো গ্রহণ করো। আমি বললাম, আমি এগুলো চাই না। পুনরায় তিনি বললেন, এগুলো গ্রহণ করো, কারণ তুমিই এর অধিক হকদার। আমি বললাম, আমি এর মুখাপেক্ষী নই। অবশেষে তিনি তা বাইতুল মালে জমা করলেন।[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًا، يَقُولُ: وَلَّانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُمُسَ الْخُمُسِ، فَوَضَعْتُهُ مَوَاضِعَهُ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَيَاةَ أَبِي بَكْرٍ، وَحَيَاةَ عُمَرَ، فَأُتِيَ بِمَالٍ فَدَعَانِي فَقَالَ: خُذْهُ، فَقُلْتُ: لَا أُرِيدُهُ، قَالَ: خُذْهُ فَأَنْتُمْ أَحَقُّ بِهِ، قُلْتُ: قَدِ اسْتَغْنَيْنَا عَنْهُ فَجَعَلَهُ فِي بَيْتِ الْمَالِ
ضعيف الإسناد
Narrated 'Abd al-Rahman b. Abi Laila:
I heard 'Ali say: The Messenger of Allah (ﷺ) assigned me the fifth (of the booty). I spent it on its beneficiaries during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) and Abu Bakr and of 'Umar. Some property was brought to him ('Umar) and he called me and said: Take it. I said: I dod not want it. He said: Take it ; you have right to it. I said: We do not need it. So he deposited in the government treasury.
পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৮৪। ’আব্দুর রাহমান ইবনু আবূ লায়লাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আলী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি আব্বাস (রাঃ), ফাতিমাহ (রাঃ) এবং যায়িদ ইবনু হারিসাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সমবেত হই। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মহান আল্লাহর কিতাবে আমাদের জন্য গানীমাতের এক-পঞ্চমাংশ যে অংশ নির্ধারিত হয়েছে, আপনি যদি ভালো মনে করেন আপনার জীবদ্দশায়ই আমাকে তার মোতাওয়াল্লী বানান। আমি তা এমনভাবে বণ্টন করবো, আপনার মৃত্যুর পর কেউ যেন আমার সাথে ঝগড়া না করে। আলী (রাঃ) বলেন, তিনি তাই করলেন। আলী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় তা বণ্টন করি।
অতঃপর আবূ বকর (রাঃ)-ও আমাকে এর মোতাওয়াল্লী রাখেন এবং উমারের খিলাফাতকাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। তার শাসনামলের শেষের বছর প্রচুর সম্পদ আসে। তিনি তা থেকে আমাদের অংশ আলাদা করে তা নিতে আমার নিকট সংবাদ পাঠান। আমি বললাম, এ বছর এ সম্পদের অংশ আমাদের দরকার নেই, বরং অন্যান্য মুসলিমদের দরকার আছে। কাজেই তাদেরকে দিন। তিনি সেগুলো তাদেরকে দিলেন। উমারের পর আর কেউই আমাকে এ সম্পদ নিতে ডাকেনি। উমারের কাছ থেকে বেরিয়ে এসে আমি আব্বাস (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করি। তিনি বললেন, হে আলী! আজ তুমি আমাদেরকে এমন বস্তু থেকে বঞ্চিত করলে, যা আমাদেরকে কোনো দিন দেবে না। আব্বাস (রাঃ) খুবই জ্ঞানী লোক ছিলেন।[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْبَرِيدِ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَام، يَقُولُ: اجْتَمَعْتُ أَنَا وَالْعَبَّاسُ، وَفَاطِمَةُ، وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ رَأَيْتَ أَنْ تُوَلِّيَنِي حَقَّنَا مِنْ هَذَا الْخُمُسِ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَأَقْسِمْهُ حَيَاتَكَ كَيْ لَا يُنَازِعَنِي أَحَدٌ بَعْدَكَ، فَافْعَلْ؟ قَالَ: فَفَعَلَ ذَلِكَ، قَالَ: فَقَسَمْتُهُ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ وَلَّانِيهِ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ حَتَّى إِذَا كَانَتْ آخِرُ سَنَةٍ مِنْ سِنِي عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّهُ أَتَاهُ مَالٌ كَثِيرٌ فَعَزَلَ حَقَّنَا، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيَّ فَقُلْتُ: بِنَا عَنْهُ الْعَامَ غِنًى وَبِالْمُسْلِمِينَ إِلَيْهِ حَاجَةٌ فَارْدُدْهُ عَلَيْهِمْ فَرَدَّهُ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ لَمْ يَدْعُنِي إِلَيْهِ أَحَدٌ بَعْدَ عُمَرَ، فَلَقِيتُ الْعَبَّاسَ بَعْدَمَا خَرَجْتُ مِنْ عِنْدِ عُمَرَ، فَقَالَ: يَا عَلِيُّ، حَرَمْتَنَا الْغَدَاةَ شَيْئًا لَا يُرَدُّ عَلَيْنَا أَبَدًا، وَكَانَ رَجُلًا دَاهِيًا
ضعيف الإسناد
Narrated Ali ibn AbuTalib:
I, al-Abbas, Fatimah and Zayd ibn Harithah gathered with the Prophet (ﷺ) and I said: Messenger of Allah, if you think to assign us our right (portion) in this fifth ( of the booty) as mentioned in the Book of Allah, and this I may divide during your lifetime so that no one may dispute me after you, then do it. He said: He did that. He said: I divided it during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). AbuBakr then assigned it to me. During the last days of the caliphate of Umar a good deal of property came to him and took out our portion. I said to him: We are well to do this year; but the Muslims are needy, so return it to them. He, therefore, returned it to them. No one called me after Umar. I met al-Abbas when I came out from Umar. He said: Ali, today you have deprived us of a thing that will never be returned to us. He was indeed a man of wisdom.
পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৮৫। ’আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনু নাওফাল আল-হাশিম (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। আব্দুল মুত্তালিব ইবনু রবী’আহ আল-হারিস ইবনু আব্দুল মুত্তালিব তাকে জানান যে, তার পিতা রবী’আহ ইবনুল হারিস এবং আব্বাস ইবনু আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) আব্দুল মুত্তালিব ইবনু রবী’আহ ও ফাদল ইবনু আব্বাসকে বলেন, তোমরা দু’জনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে বলো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে, আমাদের বয়স হয়েছে। ’আমরা বিবাহ করতে চাই। হে আল্লাহর রাসূল! আপনি সকলের চেয়ে অধিক কল্যাণকামী এবং আত্মীয়তার সম্পর্কের রক্ষাকারী।
আমাদের উভয়ের পিতার সামর্থ নেই যে, মোহরানা আদায় করে আমাদের বিবাহ করাবে। হে আল্লাহর রাসূল! আমাদেরকে সাদাকাহর কর্মচারী নিয়োগ করুন। অপরাপর কর্মচারীরা আপনাকে যো দেয় ’আমরাও আপনাকে তাই দিবো এবং সাদাকাহ থেকে ’আমরা নির্ধারিত অংশ (বেতন স্বরূপ) পাবো। ’আব্দুল মুত্তালিব ইবনু রবী’আহ বলেন, ’আমরা এ আলোচনা করছিলাম এমন সময় আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) এসে আমাদের নিকট উপস্থিত হন।
তিনি আমাদের বললেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের মধ্য থেকে কাউকে সাদাকাহ বিভাগে নিয়োগ দিবেন না। রবী’আহ তাকে বললেন, এটা আপনি নিজের মত বলছেন। আপনি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জামাতা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। ’আমরা আপনার প্রতি হিংসা রাখি না। একথা শুনামাত্র আলী (রাঃ) তার গায়ের চাঁদর বিছিয়ে তাতে শুয়ে পড়েন। অতঃপর তিনি বলেন, আমি হাসানের পিতা-যার সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। আল্লাহর শপথ! যে উদ্দেশ্যে তোমরা তোমাদের পুত্রদ্বয়কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রেরণ করছো, তারা এতে নিরাশ হয়ে তোমাদের নিকট না ফেরা পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাবো না।
আব্দুল মুত্তালিব বলেন, আমি ও ফাদল বের হলাম। পৌঁছে দেখি যুহরের সালাত আরম্ভ হচ্ছে। ’আমরা লোকদের সাথে সালাত আদায় করি। অতঃপর আমি এবং ফাদল জলদি করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হুজরার দরজার নিকট যাই। তখন তিনি যাইনাব বিনতু জাহশের ঘরে অবস্থান করছিলেন। ’আমরা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে রইলাম। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে আমার ও ফাদলের কান ধরে বলরেনঃ তোমাদের মতলবটা কি বলো তো? এ বলে তিনি ঘরে ঢুকলেন এবং আমাকে ও ফাদলকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন। ’আমরা ভিতরে ঢুকে একে অন্যকে কথা শুরু করতে বলি। অতঃপর আমি বা ফাদল তাঁর কাছে বললাম- যেজন্য আমাদের উভয়ের পিতা আমাদেরকে আদেশ করেছেন।
আমাদের কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন। তিনি ঘরের ছাদের দিকে তাকালেন এবং দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন। মনে হলো তিনি আমাদের কথার জবাব দিবেন না। এমন সময় দেখি, যাইনাব (রাঃ) পর্দার আড়াল থেকে হাতের ইশারায় আমাদেরকে বললেন, তাড়াহুড়া করো না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মাথা নীচু করে আমাদেরকে বললেনঃ এ সাদাকাহ হচ্ছে মানুষের (সম্পদের) আবর্জনা। এটা মুহাম্মাদ এবং মুহাম্মাদের পরিবারের জন্য হালাল নয়।
নাওফাল ইবনুল হারিসকে আমার কাছে ডেকে আনো। তাকে ডেকে আনা হলে তিনি বললেনঃ হে নাওফাল! আব্দুল মুত্তালিবকে বিবাহ করাও (তোমার কন্যাকে তাঁর কাছে বিয়ে দাও)। অতঃপর নাওফাল আমাকে বিবাহ করালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মাহমিয়্যাহ ইবনু জাযইকে আমার কাছে ডেকে আনো। সে ছিলো যুবাইদ গোত্রীয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এক-পঞ্চমাংশ আদায়ের কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহমিয়্যাহকে বললেনঃ ফাদলকে (তোমার মেয়ের সাথে) বিয়ে দাও। ফলে তিনি তাকে বিয়ে দিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহমিয়্যাহকে বললেনঃ উঠো! উভয়ের পক্ষ থেকে এক-পঞ্চমাংশের তহবিল থেকে এতো এতো সম্পদ মোহর বাবদ দিয়ে দাও। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, ’আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিস আমার নিকট মোহরের পরিমাণ উল্লেখ করেননি।[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ ابْنِ نَوْفَلٍ الْهَاشِمِيُّ، أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ رَبِيعَةَ بْنَ الْحَارِثِ، وَعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَا لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ: ائْتِيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُولَا لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ بَلَغْنَا مِنَ السِّنِّ مَا تَرَى، وَأَحْبَبْنَا أَنْ نَتَزَوَّجَ وَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَبَرُّ النَّاسِ، وَأَوْصَلُهُمْ، وَلَيْسَ عِنْدَ أَبَوَيْنَا مَا يُصْدِقَانِ عَنَّا، فَاسْتَعْمِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَى الصَّدَقَاتِ، فَلْنُؤَدِّ إِلَيْكَ مَا يُؤَدِّي الْعُمَّالُ، وَلْنُصِبْ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ مَرْفَقٍ، قَالَ: فَأَتَى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَنَحْنُ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ، فَقَالَ لَنَا: رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَا، وَاللَّهِ لَا نَسْتَعْمِلُ مِنْكُمْ أَحَدًا عَلَى الصَّدَقَةِ، فَقَالَ لَهُ رَبِيعَةُ، هَذَا مِنْ أَمْرِكَ قَدْ نِلْتَ صِهْرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ نَحْسُدْكَ عَلَيْهِ، فَأَلْقَى عَلِيٌّ رِدَاءَهُ، ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: أَنَا أَبُو حَسَنٍ الْقَرْمُ، وَاللَّهِ لَا أَرِيمُ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْكُمَا ابْنَايَ بِجَوَابِ مَا بَعَثْتُمَا بِهِ، إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ: فَانْطَلَقْتُ أَنَا، وَالْفَضْلُ إِلَى بَابِ حُجْرَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى نُوَافِقَ صَلَاةَ الظُّهْرِ قَدْ قَامَتْ فَصَلَّيْنَا مَعَ النَّاسِ، ثُمَّ أَسْرَعْتُ أَنَا، وَالْفَضْلُ إِلَى بَابِ حُجْرَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُمْنَا بِالْبَابِ حَتَّى أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخَذَ بِأُذُنِي وَأُذُنِ الْفَضْلِ، ثُمَّ قَالَ: أَخْرِجَا مَا تُصَرِّرَانِ، ثُمَّ دَخَلَ فَأَذِنَ لِي وَلِلْفَضْلِ، فَدَخَلْنَا فَتَوَاكَلْنَا الْكَلَامَ قَلِيلًا، ثُمَّ كَلَّمْتُهُ - أَوْ كَلَّمَهُ الْفَضْلُ، قَدْ شَكَّ فِي ذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ - قَالَ: كَلَّمَهُ بِالْأَمْرِ الَّذِي أَمَرَنَا بِهِ أَبَوَانَا، فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاعَةً، وَرَفَعَ بَصَرَهُ قِبَلَ سَقْفِ الْبَيْتِ، حَتَّى طَالَ عَلَيْنَا أَنَّهُ لَا يَرْجِعُ إِلَيْنَا شَيْئًا، حَتَّى رَأَيْنَا زَيْنَبَ تَلْمَعُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ بِيَدِهَا، تُرِيدُ أَنْ لَا تَعْجَلَا، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَمْرِنَا، ثُمَّ خَفَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأْسَهُ، فَقَالَ لَنَا: إِنَّ هَذِهِ الصَّدَقَةَ، إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ، وَإِنَّهَا لَا تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ، وَلَا لِآلِ مُحَمَّدٍ، ادْعُوا لِي نَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ، فَدُعِيَ لَهُ نَوْفَلُ بْنُ الْحَارِثِ، فَقَالَ: يَا نَوْفَلُ، أَنْكِحْ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ، فَأَنْكَحَنِي نَوْفَلٌ، ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ادْعُوا لِي مَحْمِئَةَ بْنَ جَزْءٍ وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي زُبَيْدٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الْأَخْمَاسِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَحْمِئَةَ: أَنْكِحْ الْفَضْلَ فَأَنْكَحَهُ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قُمْ فَأَصْدِقْ عَنْهُمَا مِنَ الخُمُسِ كَذَا وَكَذَا لَمْ يُسَمِّهِ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ
صحيح
Narrated AbdulMuttalib ibn Rabi'ah ibn al-Harith:
AbdulMuttalib ibn Rabi'ah ibn al-Harith said that his father, Rabi'ah ibn al-Harith, and Abbas ibn al-Muttalib said to AbdulMuttalib ibn Rabi'ah and al-Fadl ibn Abbas: Go to the Messenger of Allah (ﷺ) and tell him: Messenger of Allah, we are now of age as you see, and we wish to marry. Messenger of Allah, you are the kindest of the people and the most skilled in matchmaking. Our fathers have nothing with which to pay our dower. So appoint us collector of sadaqah (zakat), Messenger of Allah, and we shall give you what the other collectors give you, and we shall have the benefit accruing from it. Ali came to us while we were in this condition.
He said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: No, I swear by Allah, he will not appoint any of you collector of sadaqah (zakat).
Rabi'ah said to him: This is your condition; you have gained your relationship with the Messenger of Allah (ﷺ) by marriage, but we did not grudge you that. Ali then put his cloak on the earth and lay on it.
He then said: I am the father of Hasan, the chief. I swear by Allah, I shall not leave this place until your sons come with a reply (to the question) for which you have sent them to the Prophet (ﷺ).
AbdulMuttalib said: So I and al-Fadl went towards the door of the apartment of the Prophet (ﷺ). We found that the noon prayer in congregation had already started. So we prayed along with the people. I and al-Fadl then hastened towards the door of the apartment of the Prophet (ﷺ). He was (staying) with Zaynab, daughter of Jahsh, that day. We stood until the Messenger of Allah (ﷺ) came. He caught my ear and the ear of al-Fadl.
He then said: Reveal what you conceal in your hearts. He then entered and permitted me and al-Fadl (to enter). So we entered and for a little while we asked each other to talk. I then talked to him, or al-Fadl talked to him (the narrator, Abdullah was not sure).
He said: He spoke to him concerning the matter about which our fathers ordered us to ask him. The Messenger of Allah (ﷺ) remained silent for a moment and raised his eyes towards the ceiling of the room. He took so long that we thought he would not give any reply to us. Meanwhile we saw that Zaynab was signalling to us with her hand from behind the veil, asking us not to be in a hurry, and that the Messenger of Allah (ﷺ) was (thinking) about our matter.
The Messenger of Allah (ﷺ) then lowered his head and said to us: This sadaqah (zakat) is a dirt of the people. It is legal neither for Muhammad nor for the family of Muhammad. Call Nawfal ibn al-Harith to me. So Nawfal ibn al-Harith was called to him.
He said: Nawfal, marry AbdulMuttalib (to your daughter). So Nawfal married me (to his daughter).
The Prophet (ﷺ) then said: Call Mahmiyyah ibn Jaz'i to me. He was a man of Banu Zubayd, whom the Messenger of Allah (ﷺ) had appointed collector of the fifths.
The Messenger of Allah (ﷺ) said to Mahmiyyah: Marry al-Fadl (to your daughter). So he married him to her. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Stand up and pay the dower from the fifth so-and-so on their behalf. Abdullah ibn al-Harith did not name it (i.e. the amount of the dower).
পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৮৬। আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বদর যুদ্ধের দিন গানীমাত হিসেবে ভাগে একটি মোটাতাজা উষ্ট্রী পাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন অবশিষ্ট এক-পঞ্চমাংশ থেকে আমাকে আরেকটি মোটাতাজা উষ্ট্রী দেন। তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহর সঙ্গে বাসর যাপনের ইচ্ছা করি। এজন্য আমি কাইনুকা গোত্রের এক স্বর্ণকারকে আমার সঙ্গে নিয়ে ইযাখির নামক সুগন্ধি ঘাস আনার মনস্থ করি। ইচ্ছা ছিলো ওগুলো স্বর্ণকারদের নিকট বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে আমার বিবাহভোজে কিছুটা সাহায্য হবে। আমি আমার উষ্ট্রী, হাওদা, ঘাসের জাল, দড়ি ইত্যাদি সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। উষ্ট্রী দু’টি এক আনসারীর ঘরের পাশে শোয়া ছিলো। সব কিছু সংগ্রহ করে ফিরে এসে দেখি আমার উষ্ট্রী দু’টি কুঁজ কেটে ফেলা হয়েছে এবং পেট ফেঁড়ে কলিজা বের করা হয়েছে।
এ দৃশ্য দেখে আমি আমার অশ্রু সংবরণ করতে পারলাম না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কে এ নিষ্ঠুর কাজ করেছে? লোকেরা বললো, হামযাহ ইবনু আব্দুল মুত্তালিব এ অপকর্ম করেছে। সে আনসারদের কতিপয় মদ্যপায়ীর সাথে এ ঘরে রয়েছে। তাকে ও তার সঙ্গীদের এক ক্রীতদাসী গান গেয়ে শুনিয়েছে। সে গানের মধ্যে বলেছে, ’সাবধান হে হামযাহ! মোটাতাজা উষ্ট্রীর দিকে লক্ষ্য করো।’ এতে উত্তেজিত হয়ে তিনি তার তরবারির দিকে ছুটে উষ্ট্রী দু’টির কুঁজ কাটেন এবং পেট ফেঁড়ে কলিজা বের করেন। আলী (রাঃ) বলেন, আমি সেখান থেকে সোজা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে উপস্থিত হই। তখন তাঁর নিকট যায়িদ ইবনু হারিসাহ (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার চেহারা দেখেই বুঝে ফেললেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কি হয়েছে? আলী (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার জন্য আজকের মতো দুর্দিন আর কখনো আসেনি। হামযাহ আমার উষ্ট্রী দু’টিকে অত্যাচার করেছে। সে এর কুঁজ কেটেছে এবং পেটের দু’পাশ ফেঁড়ে কলিজা বের করে নিয়েছে। সে এখনো একটি ঘরের মধ্যে মদ্যপায়ীদের সাথে মত্ত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাঁদর চেয়ে তা গায়ে জড়িয়ে রওয়ানা হলেন। আমি এবং যায়িদ ইবনু হারিসাহ তার অনুসরণ করি। হামযাহ যে ঘরে অবস্থান করছিলেন তিনি সেখানে পৌঁছলে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তাঁকে অনুমতি দেয়া হলে ঘরে ঢুকে তিনি লোকদেরকে মাতাল অবস্থায় পেলেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হামযাহকে তার কৃতকর্মের জন্য র্ভৎসনা করতে লাগলেন। তখন হামযাহ ছিলেন নেশায় বিভোর, নেশার কারণে তার চোখ লাল হয়ে ছিলো। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ে তাঁর হাঁটুদ্বয়ের প্রতি তাকালেন, কিছুক্ষণ পর আবার দৃষ্টি সরিয়ে তাঁর নাভির দিকে লক্ষ্য করলেন; পুনরায় দৃষ্টি সরিয়ে তাঁর চেহারার দিকে তাকালেন; অতঃপর বললেন, তোমরা আমার পিতার গোলাম ছাড়া কিছু নও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারলেন, হামযাহ এখন নেশাগ্রস্ত। মাতাল অবস্থায় তার ক্রোধ আরো বাড়তে পারার আশঙ্কায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখান থেকে ফিরে গেলেন। ফলে ’আমরাও তাঁর সাথে বেরিয়ে আসি।[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ: كَانَتْ لِي شَارِفٌ مِنْ نَصِيبِي مِنَ الْمَغْنَمِ يَوْمَ بَدْرٍ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَعْطَانِي شَارِفًا مِنَ الخُمُسِ يَوْمَئِذٍ، فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَبْنِيَ بِفَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاعَدْتُ رَجُلًا صَوَّاغًا مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعٍ أَنْ يَرْتَحِلَ مَعِي، فَنَأْتِيَ بِإِذْخِرٍ، أَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَهُ مِنَ الصَّوَّاغِينَ فَأَسْتَعِينَ بِهِ فِي وَلِيمَةِ عُرْسِي، فَبَيْنَا أَنَا أَجَمْعُ لِشَارِفَيَّ مَتَاعًا مِنَ الأَقْتَابِ وَالْغَرَائِرِ وَالْحِبَالِ، وَشَارِفَايَ مُنَاخَانِ إِلَى جَنْبِ حُجْرَةِ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، أَقْبَلْتُ حِينَ جَمَعْتُ مَا جَمَعْتُ، فَإِذَا بِشَارِفَيَّ قَدِ اجْتُبَّتْ أَسْنِمَتُهُمَا، وَبُقِرَتْ خَوَاصِرُهُمَا، وَأُخِذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَيَّ حِينَ رَأَيْتُ ذَلِكَ الْمَنْظَرَ، فَقُلْتُ: مَنْ فَعَلَ هَذَا؟ قَالُوا: فَعَلَهُ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْتِ فِي شَرْبٍ مِنَ الْأَنْصَارِ غَنَّتْهُ قَيْنَةٌ وَأَصْحَابَهُ، فَقَالَتْ: فِي غِنَائِهَا:
[البحر الوافر]
أَلَا يَا حَمْزُ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ
فَوَثَبَ إِلَى السَّيْفِ فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا، وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا وَأَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا، قَالَ عَلِيٌّ: فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، قَالَ: فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي لَقِيتُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا لَكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ، عَدَا حَمْزَةُ عَلَى نَاقَتَيَّ، فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا، وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا، وَهَا هُوَ ذَا فِي بَيْتٍ مَعَهُ شَرْبٌ، فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرِدَائِهِ فَارْتَدَاهُ، ثُمَّ انْطَلَقَ يَمْشِي، وَاتَّبَعْتُهُ أَنَا وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، حَتَّى جَاءَ الْبَيْتَ الَّذِي فِيهِ حَمْزَةُ، فَاسْتَأْذَنَ فَأُذِنَ لَهُ، فَإِذَا هُمْ شَرْبٌ فَطَفِقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلُومُ حَمْزَةَ فِيمَا فَعَلَ، فَإِذَا حَمْزَةُ، ثَمِلٌ مُحْمَرَّةٌ عَيْنَاهُ، فَنَظَرَ حَمْزَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى رُكْبَتَيْهِ، ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى سُرَّتِهِ، ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى وَجْهِهِ، ثُمَّ قَالَ حَمْزَةُ: وَهَلْ أَنْتُمْ إِلَّا عَبِيدٌ لِأَبِي، فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ ثَمِلٌ فَنَكَصَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى عَقِبَيْهِ الْقَهْقَرَى فَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ
صحيح
‘Ali bin Abi Talib said “I had an old she Camel that I got as my share from the booty on the day of Badr. The Apostle of Allaah(ﷺ) also gave me an old she camel from the fifth that day. When I intended to cohabit with Fathimah daughter of the Apostle of Allaah(ﷺ), I made arrangement with a man who was a goldsmith belonging to Banu Qainuqa’ to go with me so that we may bring grass. I intended to sell it to the goldsmith there by seeking help in my wedding feast. While I was collecting for my old Camels saddles, baskets and ropes both of she Camels were seated in a corner of the apartment of a man of the Ansar. When I collected what I collected (i.e., equipment) I turned (towards them). I suddenly found that the humps of she Camels were cut off and their hips were pierced and their lives were taken out. I could not control my eyes (to weep) when I saw that scene. I said “Who has done this?” They (the people) replied “Hamzah bin ‘Abd Al Muttalib”. He is among the drunkards of the Ansar in this house. A singing girl is singing for him and his Companions. While singing she said “Oh Hamza, rise to these plumpy old she Camels. So he jumped to the sword and cut off their humps, pierced their hips and took out their livers.” ‘Ali said “I went till I entered upon the Apostle of Allaah(ﷺ) while Zaid bin Harithah was with him.” The Apostle of Allaah(ﷺ) realized what I had met with. The Apostle of Allaah(ﷺ) aid “What is the matter with you?” I said Apostle of Allaah(ﷺ), I never saw the thing that happened with me today. Hamzah wronged my she Camels, he cut off their humps, pierced their hips. Lo! He is in a house with drunkards. The Apostle of Allaah(ﷺ) asked for his cloak. It was brought to him. He then went out, I and Zaid bin Harithah followed him until we reached the house where Hamzah was. He asked permission ( to entre). He was permitted. He found drunkards there. The Apostle of Allaah(ﷺ) began to rebuke him (Hamzah) for his action. Hamzah was intoxicated and his eyes were reddish. Hamzah looked at the Apostle of Allaah(ﷺ). He then raised his eyes and looked at his knees, he then raised his eyes and looked at his navel and he then raised his eyes and looked at his face. Hamzah then said “Are you but the salves of my father? Then the Apostle of Allaah(ﷺ) knew that he was intoxicated. So the Apostle of Allaah(ﷺ) moved backward. He then went out and we also went out with him.”
পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৮৭। আল-ফাদল ইবনুল হাসান আদ-দামরী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। যুবায়র ইবনু আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ)-এর দু’ কন্যা উম্মুল হাকাম অথবা দবা’আহ (রাঃ) থেকে একজন এ বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিছু যুদ্ধবন্দী আসলো। আমি, আমার বোন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাঃ) তাঁর নিকট গিয়ে আমাদের দরিদ্রতার কথা জানয়য়ে কিছু যুদ্ধবন্দী আমাদেরকে দেয়ার জন্য হুকুম করতে আবেদন করলাম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বদর যুদ্ধে (পিতাহারা) ইয়াতীমগণ তোমাদের চেয়ে অগ্রাধিকার প্রাপ্য। বরং আমি তোমাদেরকে এর চেয়ে উত্তম বস্ত্ত বলে দিচ্ছি, যা তোমাদের জন্য কল্যাণকর হবে। তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর ৩৩ বার ’আল্লাহু আকবার’, ৩৩ বার ’সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার ’আলহামদু লিল্লাহ’ এবং ১ বার ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন কাদীর’ এ তাসবীহ পাঠ করবে।
আইয়াশ (রহঃ) বলেন, ঐ দু’ মহিলা ছিলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চাচাতো বোন।[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَيَّاشُ بْنُ عُقْبَةَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ الْحَسَنِ الضَّمْرِيِّ، أَنَّ أُمَّ الْحَكَمِ، أَوْ ضُبَاعَةَ ابْنَتَيِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، حَدَّثَتْهُ عَنْ إِحْدَاهُمَا، أَنَّهَا قَالَتْ: أَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْيًا، فَذَهَبْتُ أَنَا وَأُخْتِي، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ مَا نَحْنُ فِيهِ، وَسَأَلْنَاهُ أَنْ يَأْمُرَ لَنَا بِشَيْءٍ مِنَ السَّبْيِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سَبَقَكُنَّ يَتَامَى بَدْرٍ، لَكِنْ سَأَدُلُّكُنَّ عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكُنَّ مِنْ ذَلِكَ: تُكَبِّرْنَ اللَّهَ عَلَى إِثْرِ كُلِّ صَلَاةٍ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ تَكْبِيرَةً، وَثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ تَسْبِيحَةً، وَثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ تَحْمِيدَةً، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ "، قَالَ عَيَّاشٌ: وَهُمَا ابْنَتَا عَمِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
صحيح
Umm Al Hakam or Duba’ah daughters of Al Zibair bin ‘Abd Al Muttalib said “Some captives of war were brought to the Apostle of Allaah(ﷺ). I and my sister Fatimah, daughter of Apostle of Allaah(ﷺ) went (to the Prophet) and complained to him about our existing condition. We asked him to order (to give) us some captives. The Apostle of Allaah(ﷺ) said “the orphans of the people who were killed in the battle of Badr came before you (and they asked for the captives). But I tell you something better than that. You should utter “Allaah is Most Great” after each prayer thirty three times, “Glory be to Allaah” thirty three times, “Praise be to Allaah” thirty three times and “there is no god but Allaah alone, He has no associate, the Kingdom belongs to Him and praise is due to Him and He has power over all things.”
The narrator ‘Ayyash said “They were daughters of Uncle of the Prophet (ﷺ).”
পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৮৯। ইমাম যুহরী (রহঃ) আলী ইবনু হুসাইনের কাছ থেকে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি ফাতিমাহকে খাদেম দেননি।[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ: وَلَمْ يُخْدِمْهَا
ضعيف
The tradition mentioned above has also been transmitted by ‘Ali bin Hussain through a different chain of narrators. This version adds “He (the Prophet) did not provide her with a slave.”
পরিচ্ছেদঃ ২০. নবী (ﷺ) গানীমাতের মাল থেকে যে এক-পঞ্চমাংশ নিতেন তা কোথায় ব্যয় করতেন এবং নিকটাত্মীয়দের অংশ সম্পর্কে
২৯৯০। মুজ্জা’আহ সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তার ভাইয়ের রক্তমূল্য চাইতে আসেন। যাকে যুহল গোত্রের সাদূস উপগোত্রের লোকেরা হত্যা করেছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি কোনো মুশরিকের দিয়্যাত দিলে তোমার ভাইয়ের দিয়্যাত অবশ্যই দিতাম। তবে আমি তোমার জন্য এর বিনিময়ের ব্যবস্থা করছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য একশো উট দেয়ার একটা ফরমান লিখে দেন। যা থেকে সে কিছু উট গ্রহণ করে। পরবর্তীতে যুহল গোত্রের মুশরিকরা ইসলাম গ্রহণ করে। অতঃপর আবূ বকর (রাঃ)-এর খিলাফাতকালে মুজ্জা’আহ তার নিকট অবশিষ্ট উট দাবি করে এবং সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফরমানও নিয়ে আসে। আবূ বকর (রাঃ) ইয়ামেন প্রদেশে ধার্যকৃত সাদাকাহ থেকে তার জন্য বার হাজার সা’ খাদ্য শস্য প্রদানের নির্দেশ দেন। চার হাজার সা’ আটা, চার হাজার সা’ বার্লি এবং চার হাজার সা’ খেজুর দিয়ে তা পরিশোধ করা হবে। মুজ্জা’আহকে লিখিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফরমানের বিবরণ ছিলো এরূপঃ ’’বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম। এ পত্র নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ থেকে বনূ সুলমাহ গোত্রের মুজ্জা’আহ ইবনু মুরারাহর জন্য লিখিত। তার ভাইয়ের রক্তপণের বিনিময়ে আমি তাকে একশো উট দিবো। বনূ যুহলের মুশরিকদের কাছ থেকে যে গানীমাত পাওয়া যাবে তার এক-পঞ্চমাংশ থেকে সর্বপ্রথম এ দাবি পূরণ করবে।’’[1]
بَابٌ فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ، وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْقُرَشِيُّ، قَالَ: أَبُو جَعْفَرٍ يَعْنِي ابْنَ عِيسَى، كُنَّا نَقُولُ إِنَّه مِنَ الأَبْدَالِ قَبْلَ أَنْ نَسْمَعَ أَنَّ الْأَبْدَالَ مِنَ المَوَالِي، قَالَ: حَدَّثَنِي الدَّخِيلُ بْنُ إِيَاسِ بْنِ نُوحِ بْنِ مُجَّاعَةَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ سِرَاجِ بْنِ مُجَّاعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ مُجَّاعَةَ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَطْلُبُ دِيَةَ أَخِيهِ قَتَلَتْهُ بَنُو سَدُوسٍ مِنْ بَنِي ذُهْلٍ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ كُنْتُ جَاعِلًا لِمُشْرِكٍ دِيَةً جَعَلْتُ لِأَخِيكَ، وَلَكِنْ سَأُعْطِيكَ مِنْهُ عُقْبَى فَكَتَبَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِائَةٍ مِنَ الْإِبِلِ، مِنْ أَوَّلِ خُمُسٍ يَخْرُجُ مِنْ مُشْرِكِي بَنِي ذُهْلٍ، فَأَخَذَ طَائِفَةً مِنْهَا، وَأَسْلَمَتْ بَنُو ذُهْلٍ فَطَلَبَهَا بَعْدُ مُجَّاعَةُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، وَأَتَاهُ بِكِتَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَتَبَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ بِاثْنَيْ عَشَرَ أَلْفَ صَاعٍ مِنْ صَدَقَةِ الْيَمَامَةِ، أَرْبَعَةِ آلَافٍ بُرًّا، وَأَرْبَعَةِ آلَافٍ شَعِيرًا، وَأَرْبَعَةِ آلَافٍ تَمْرًا، وَكَانَ فِي كِتَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمُجَّاعَةَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، هَذَا كِتَابٌ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ لِمُجَّاعَةَ بْنِ مَرَارَةَ مِنْ بَنِي سُلْمَى، إِنِّي أَعْطَيْتُهُ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ مِنْ أَوَّلِ خُمُسٍ يَخْرُجُ مِنْ مُشْرِكِي بَنِي ذُهْلٍ عُقْبَةً مِنْ أَخِيهِ
ضعيف الإسناد
Narrated Mujja'ah ibn Mirarah al-Yamani:
Mujja'ah went to the Prophet (ﷺ) asking him for the blood-money of his brother whom Banu Sadus from Banu Dhuhl had killed.
The Prophet (ﷺ) said: Had I appointed blood-money for a polytheist, I should have appointed it for your brother. But I shall give you compensation for him. So the Prophet (ﷺ) wrote (a document) for him that he should be given a hundred camels which were to be acquired from the fifth taken from the polytheists of Banu Dhuhl. So he took a part of them, for Banu Dhuhl embraced Islam.
He then asked AbuBakr for them later on, and brought to him the document of the Prophet (ﷺ). So AbuBakr wrote for him that he should be given one thousand two hundred sa's from the sadaqah of al-Yamamah; four thousand (sa's) of wheat, four thousand (sa's) of barley, and four thousand (sa's) of dates.
The text of the document written by the Prophet (ﷺ) for Mujja'ah was as follows: "In the name of Allah, the Beneficent, the Merciful. This document is from Muhammad, the Prophet, to Mujja'ah ibn Mirarah of Banu Sulma. I have given him one hundred camels from the first fifth acquired from the polytheist of Banu Dhuhl as a compensation for his brother."