পরিচ্ছেদঃ ৩১২. নাবী (ﷺ) এর রাতে সালাত আদায়ের সময় প্রসঙ্গে
১৩১৬। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহা মহীয়ান আল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রাতে সজাগ করতেন এবং তিনি সাহরীর সময়ে তাঁর নফল সালাত, তাসবীহ ইত্যাদি আদায় করতেন।[1]
হাসান।
باب وَقْتِ قِيَامِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ : إِنْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيُوقِظُهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِاللَّيْلِ، فَمَا يَجِيءُ السَّحَرُ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ حِزْبِهِ .
- حسن
Narrated 'Aishah:
Allah, the Exalted, would awaken the Messenger of Allah (ﷺ) at night. When the dawn came, he would his finish daily round of recital.
পরিচ্ছেদঃ ৩১২. নাবী (ﷺ) এর রাতে সালাত আদায়ের সময় প্রসঙ্গে
১৩১৭। মাসরূক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে গিয়ে বলি, তিনি কোন সময় সালাত আদায় করতেন? তিনি বললেন, তিনি মোরগের ডাক শুনে উঠে সালাতে দাঁড়াতেন।[1]
সহীহ: বুখারী ও মুসলিম এ শব্দেঃ ( الصارخ)।
باب وَقْتِ قِيَامِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، - وَهَذَا حَدِيثُ إِبْرَاهِيمَ - عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ : سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهَا : أَىُّ حِينٍ كَانَ يُصَلِّي قَالَتْ : كَانَ إِذَا سَمِعَ الصُّرَاخَ قَامَ فَصَلَّى .
- صحيح : ق بلفظ : ( الصارخ)
Masruq said:
I asked 'Aishah about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ), and I said to her: At what time he prayed at night ? She said: When he heard the cock crow, he got up and prayed.
পরিচ্ছেদঃ ৩১২. নাবী (ﷺ) এর রাতে সালাত আদায়ের সময় প্রসঙ্গে
১৩১৮। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট যখনই ভোর করেছেন, (আমি তাকে) নিদ্রাবস্থায় পেয়েছি।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
باب وَقْتِ قِيَامِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ : مَا أَلْفَاهُ السَّحَرُ عِنْدِي إِلَا نَائِمًا، تَعْنِي النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم .
- صحيح : ق
Narrated 'Aishah:
When he was with me he would sleep at dawn. By this she referred to the Prophet (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ৩১২. নাবী (ﷺ) এর রাতে সালাত আদায়ের সময় প্রসঙ্গে
১৩১৯। হুযাইফাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে সালাত আদায় করতেন।[1]
হাসান।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃত ইসলাম ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার উত্তম সহায়ক হলো নামাজ। তবে এই নামাজে নির্দিষ্ট কোন দোয়া নেই; তাই এতে মুসলিম ব্যক্তি তার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন বৈধ দোয়া করবে। এই বিষয়টির সত্যায়নে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন:
وَ اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ ؕ وَ اِنَّهَا لَکَبِیۡرَۃٌ اِلَّا عَلَی الۡخٰشِعِیۡنَ ﴿ۙ۴۵﴾
ভাবার্থের অনুবাদ: “তোমরা আল্লাহর আনুগত্যের জন্য ধৈর্যধারণ ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো! আর নিশ্চয় নামাজ হলো আল্লাহর সঠিক অনুগত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য সকলের কাছে একটি কঠিন কাজ”।
(সূরা আল-বাকারা, আয়াত নং ৪৫) ।
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۵۳﴾
ভাবার্থের অনুবাদ: “হে ঈমানদার মুসলিমগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্যের জন্য ধৈর্যধারণ ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো! নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের জন্য সাহায্যকারী”। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত নং ১৫৩) ।
তাই সমস্ত বিপদ, অশান্তি এবং অমঙ্গল থেকে পরিত্রাণ ও রক্ষা পাওয়ার সর্বোত্তম উপকরণ হলো নামাজ।
২। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যিনি আমাদের নাবী এবং সকল নাবীগণের সর্দার ও বিশ্ব পালনকর্তার প্রিয় ব্যক্তির সামনে যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ অথবা বিষণ্ণতা উপনীত হতো, তখন তিনি নামাজ পড়তেন; তাই এই বিষয়ে আমাদের উচিত যে, কঠিন পরিস্থিতি বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ অথবা বিষণ্ণতা উপনীত হওয়ার সময় আমরাও তাঁর অনুসরণ করে নামাজ পড়বো।
৩। (إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ)এর অর্থ হলো এই যে, যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ অথবা বিষণ্ণতা কিংবা কঠিন পরিস্থিতি উপনীত হতো।
باب وَقْتِ قِيَامِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَخِي، حُذَيْفَةَ عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ صَلَّى .
- حسن
Hudhaifah said:
When anything distressed the Prophet (ﷺ), he prayed.
পরিচ্ছেদঃ ৩১২. নাবী (ﷺ) এর রাতে সালাত আদায়ের সময় প্রসঙ্গে
১৩২০। রবী’আহ ইবনু কা’ব আল-আসলামী (রাঃ) বলেন, যখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রাত যাপন করতাম, তখন তাঁর অযুর পানি ও অন্যান্য প্রয়োজন পূরণ করে দিতাম। তিনি বললেনঃ তুমি আমার কাছে কিছূ চাও। আমি বললাম, জান্নাতে আপনার সান্নিধ্যে থাকতে চাই। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ আরো কিছু? আমি বললাম, এটাই যথেষ্ট। তিনি বললেনঃ তাহলে অধিক পরিমাণে সিজদা্ করে এ কাজে আমাকে সাহায্য করো।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب وَقْتِ قِيَامِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْهِقْلُ بْنُ زِيَادٍ السَّكْسَكِيُّ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ : سَمِعْتُ رَبِيعَةَ بْنَ كَعْبٍ الأَسْلَمِيَّ، يَقُولُ : كُنْتُ أَبِيتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم آتِيهِ بِوَضُوئِهِ وَبِحَاجَتِهِ، فَقَالَ : "سَلْنِي". فَقُلْتُ : مُرَافَقَتَكَ فِي الْجَنَّةِ . قَالَ : " أَوَغَيْرَ ذَلِكَ " . قُلْتُ : هُوَ ذَاكَ . قَالَ : " فَأَعِنِّي عَلَى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ " .
- صحيح : م
Narrated Rab'iah b. Ka'b al-Aslami:
I used to live with the Messenger of Allah (ﷺ) at night. I would bring water for his ablution and his need. He asked: Ask me. I said: Your company in Paradise. He said: Is there anything other than that ? I said: It is only that. He said: Help me for yourself by making prostrations abundantly.
পরিচ্ছেদঃ ৩১২. নাবী (ﷺ) এর রাতে সালাত আদায়ের সময় প্রসঙ্গে
১৩২১। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। আল্লাহর বাণীঃ ’’তারা (মুমিনরা) স্বীয় পিঠ হতে বিছানা ত্যাগ করে তাদের রব্বকে ভয় ও আশা নিয়ে ডাকে, আর আমরা তাদেরকে যা কিছু রিযিক্ব দিয়েছি তা হতে খরচ করে’’ (সূরাহ আস্-সিজদা : ১৬)। তিনি বলেন, এ আয়াতের অর্থ হচ্ছে, তারা (সাহাবীগণ) মাগরিব এবং ’ইশার মধ্যবর্তী সময় জেগে থেকে সালাত আদায় করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, হাসান বাসরী বলেছেন, এ আয়াতের অর্থ হলো, রাত জেগে সালাতে দাঁড়িয়ে থাকা।[1]
সহীহ।
باب وَقْتِ قِيَامِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، فِي هَذِهِ الآيَةِ (تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ، يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ) قَالَ : كَانُوا يَتَيَقَّظُونَ مَا بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ يُصَلُّونَ، وَكَانَ الْحَسَنُ يَقُولُ : قِيَامُ اللَّيْلِ .
- صحيح
Anas b. Malik said (explaining the meaning of the Qur'anic verse "Who forsake their beds to cry unto their Lord in fear and hope, and spend of what We have bestowed on them" (32: 16). The people used to remain awake between the sunset and the night prayers and would pray. Al-Hasan used to say: (This verse means) the prayer and vigil at night.
পরিচ্ছেদঃ ৩১২. নাবী (ﷺ) এর রাতে সালাত আদায়ের সময় প্রসঙ্গে
১৩২২। আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। আল্লাহর বাণীঃ ’’তারা রাতের সামান্য সময় ঘুমে কাটাতো’’ (সূরাহ আয-যারি’আত : ১৭)। তিনি বলেন, এ আয়াতের অর্থ হচ্ছে, সাহাবীগণ মাগরিব ও ’ইশার মধ্যবর্তী সময়ে সালাত আদায় করতেন। ইয়াহইয়া তার বর্ণনায় এটুকু বৃদ্ধি করেছেন যে, ’’তাতাজাফা জুনূবুহুম’’-এর অর্থও অনুরূপ।[1]
সহীহ।
باب وَقْتِ قِيَامِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، فِي قَوْلِهِ جَلَّ وَعَزَّ (كَانُوا قَلِيلاً مِنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ) قَالَ : كَانُوا يُصَلُّونَ فِيمَا بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ، زَادَ فِي حَدِيثِ يَحْيَى : وَكَذَلِكَ (تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ) .
- صحيح
Anas said (explaining the meaning) of the following Qur'anic verse "They used to sleep but little of the night" (51: 17): They (the people) used to pray between the Maghrib and 'Isha. The version of Yahya adds: The verse tatajafa junubuhum also means so.