পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯১৮-[৫১] আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার [রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর চাচা] আবূ ত্বালিব নবী (সা.) ও কুরায়শ নেতৃবর্গের মধ্যে সিরিয়ার উদ্দেশে ভ্রমণে বের হলেন। যখন তারা (বুহায়রাহ্) পাদ্রির কাছে পৌছে সেখানে যাত্রাবিরতি করলেন, তখন নিজেদের বাহন হতে হাওদা ইত্যাদি সামানপত্র খুললেন। এমন সময় পাদ্রি তাদের কাছে আসলো। কুরায়শদের কাফেলা ইতঃপূর্বে বহুবার এ পথে আসা যাওয়া করেছে, অথচ পাদ্রি কখনো তাদের কাছে আসেনি। বর্ণনাকারী বলেন, কাফেলার লোকেরা নিজেদের হাওদা ইত্যাদি খুলছে, এমন সময় পাদ্রি তাদের মাঝে প্রবেশ করল। অবশেষে সে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে এসে তার হাত ধরে বলল, ইনিই তো সমগ্র জগতের নেতা, ইনিই রাব্বূল আলামীনের রাসূল, আল্লাহ তা’আলা তাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করবেন। তখন কুরায়শ নেতাদের কেউ কেউ প্রশ্ন করল, তুমি তা কিরূপে জান? পাদ্রি বলল, যখন তোমরা পাহাড়ের পশ্চাৎ হতে বের হয়ে সম্মুখে এসেছ, তখন হতে এমন কোন বৃক্ষ ও পাথর বাকি ছিল না যা তাঁকে সিজদাহ্ করেনি। বস্তুত এ দুই জিনিস কেবলমাত্র নবীকেই সিজদাহ্ করে। আর আমি তাকে মোহরে নুবুওয়্যাত দ্বারা চিনতে পেরেছি, যা তার কাঁধের গোড়ায় নিম্নদিকে আপেলের মতো রয়েছে। অতঃপর পাদ্রি ফিরে আসলো এবং কাফেলার লোকেদের জন্য খাবার তৈরি করল। যখন সে খাবার নিয়ে তাদের কাছে আসলো, তখন দেখল যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) কাফেলার লোকেদের উটগুলো নিয়ে এমন অবস্থায় আসলেন, দেখা গেল এক খণ্ড মেঘ তার উপর ছায়া দান করে রয়েছে। আর যখন তিনি কাফেলার লোকেদের কাছে আসলেন, তখন দেখলেন, লোকেরা পূর্ব হতেই ছায়াবিশিষ্ট স্থানগুলো দখল করে ফেলেছে। কিন্তু যখন তিনি বসলেন, তখন বৃক্ষের ছায়া তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়ল। (এ অবস্থা দেখে) পাদ্রি কাফেলার লোকেদেরকে বলল, তোমরা তাকিয়ে দেখ গাছের ছায়া তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়েছে। (এ সমস্ত অলৌকিক ঘটনা দেখে) পাদ্রি বলে উঠল, আমি তোমাদেরকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, বল! তোমাদের মধ্যে তার অভিভাবক কে? লোকেরা বলল, আবূ ত্বালিব। অতঃপর পাদ্রি (তাঁকে ফেরত পাঠানোর জন্য) অনেকক্ষণ ধরে আবূ ত্বালিব-কে আল্লাহর শপথ দিয়ে অনুরোধ করতে থাকে। অবশেষে আবূ ত্বালিব তাকে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। আর তার সফরসঙ্গী হিসেবে আবূ বকর (রাঃ) ও বিলাল (রাঃ)-কে সাথে পাঠিয়ে দিলেন। এদিকে পথে খাওয়ার জন্য পাদ্রী তার সাথে কিছু কেক ও যায়তূনের তেল দিল। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: خَرَجَ أَبُو طَالِبٍ إِلَى الشَّام وَخرج مَعَه النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَشْيَاخٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَلَمَّا أَشْرَفُوا عَلَى الرَّاهِبِ هَبَطُوا فَحَلُّوا رِحَالَهُمْ فَخَرَجَ إِلَيْهِمُ الرَّاهِبُ وَكَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ يَمُرُّونَ بِهِ فَلَا يَخْرُجُ إِلَيْهِمْ قَالَ فَهُمْ يَحُلُّونَ رِحَالَهُمْ فَجَعَلَ يَتَخَلَّلُهُمُ الرَّاهِبُ حَتَّى جَاءَ فَأَخَذَ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ هَذَا سَيِّدُ الْعَالَمِينَ هَذَا رسولُ ربِّ الْعَالِمِينَ يَبْعَثُهُ اللَّهُ رَحْمَةً لِلْعَالِمِينَ فَقَالَ لَهُ أَشْيَاخٌ مِنْ قُرَيْشٍ مَا عِلْمُكَ فَقَالَ إِنَّكُمْ حِينَ أَشْرَفْتُمْ مِنَ الْعَقَبَةِ لَمْ يَبْقَ شَجَرٌ وَلَا حَجَرٌ إِلَّا خَرَّ سَاجِدًا وَلَا يَسْجُدَانِ إِلَّا لِنَبِيٍّ وَإِنِّي أَعْرِفُهُ بِخَاتَمِ النُّبُوَّةِ أَسْفَلَ مِنْ غُضْرُوفِ كَتِفِهِ مِثْلَ التُّفَّاحَةِ ثُمَّ رَجَعَ فَصَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا فَلَمَّا أَتَاهُمْ بِهِ وَكَانَ هُوَ فِي رِعْيَةِ الْإِبِلِ فَقَالَ أَرْسِلُوا إِلَيْهِ فَأَقْبَلَ وَعَلَيْهِ غَمَامَةٌ تُظِلُّهُ فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْقَوْم وجدهم قد سَبَقُوهُ إِلَى فَيْء الشَّجَرَة فَلَمَّا جَلَسَ مَالَ فَيْءُ الشَّجَرَةِ عَلَيْهِ فَقَالَ انْظُرُوا إِلَى فَيْءِ الشَّجَرَةِ مَالَ عَلَيْهِ فَقَالَ أنْشدكُمْ بِاللَّه أَيُّكُمْ وَلِيُّهُ قَالُوا أَبُو طَالِبٍ فَلَمْ يَزَلْ يُنَاشِدُهُ حَتَّى رَدَّهُ أَبُو طَالِبٍ وَبَعَثَ مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ بِلَالًا وَزَوَّدَهُ الرَّاهِبُ مِنَ الْكَعْكِ وَالزَّيْت. (علق الشَّيْخ أَن ذكر بِلَال فِي الحَدِيث خطأ إِذْ لم يكن خلق بعد)

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3620 وقال : غریب) * یونس بن ابی اسحاق مدلس و عنعن

عن ابي موسى قال: خرج ابو طالب الى الشام وخرج معه النبي صلى الله عليه وسلم في اشياخ من قريش فلما اشرفوا على الراهب هبطوا فحلوا رحالهم فخرج اليهم الراهب وكانوا قبل ذلك يمرون به فلا يخرج اليهم قال فهم يحلون رحالهم فجعل يتخللهم الراهب حتى جاء فاخذ بيد رسول الله صلى الله عليه وسلم قال هذا سيد العالمين هذا رسول رب العالمين يبعثه الله رحمة للعالمين فقال له اشياخ من قريش ما علمك فقال انكم حين اشرفتم من العقبة لم يبق شجر ولا حجر الا خر ساجدا ولا يسجدان الا لنبي واني اعرفه بخاتم النبوة اسفل من غضروف كتفه مثل التفاحة ثم رجع فصنع لهم طعاما فلما اتاهم به وكان هو في رعية الابل فقال ارسلوا اليه فاقبل وعليه غمامة تظله فلما دنا من القوم وجدهم قد سبقوه الى فيء الشجرة فلما جلس مال فيء الشجرة عليه فقال انظروا الى فيء الشجرة مال عليه فقال انشدكم بالله ايكم وليه قالوا ابو طالب فلم يزل يناشده حتى رده ابو طالب وبعث معه ابو بكر بلالا وزوده الراهب من الكعك والزيت. (علق الشيخ ان ذكر بلال في الحديث خطا اذ لم يكن خلق بعد) اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3620 وقال : غریب) * یونس بن ابی اسحاق مدلس و عنعن

ব্যাখ্যা: (عَلَى الرَّاهِبِ) তাঁর নাম ছিল বুহায়রাহ্। সে ছিল একজন নাসার বা খ্রিষ্টানদের দুনিয়াবিমুখ ব্যক্তি- এ কথা বলেছেন ব্যাখ্যাকার। আর মুহির (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তিনি খ্রিষ্টান ধর্মের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। অনুরূপভাবে ইমাম জাযারী (রহিমাহুল্লাহ)-সহ অনেক ‘আলিম বলেছেন।
আলোচ্য হাদীসটিতে নবী (সা.) যে একজন সত্য নবী তার বেশ কিছু নিদর্শনের কথা বলা হয়েছে। খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় পণ্ডিত সে বিষয়গুলো আলোচ্য হাদীসটিতে ব্যাখ্যা করেছেন। কুরায়শ বংশের লোক নবী (সা.) ছোট থাকাবস্থায়ই খবর পেয়েছিলেন যে, মুহাম্মাদ একদিন নবী হবে। কিন্তু জিদ ও হঠকারিতার জন্য তাকে অনেকেই মানেনি। তারাও এ হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী নবী (সা.) -এর মু'জিযাহ্ স্বচক্ষে দেখেছিল। যেমনটি ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- যখন নবী (সা.) বসলেন তখন গাছগুলো ঝুঁকে তাকে ছায়া দেয়ার জন্য ব্যস্ত ছিল। এটা মেঘমালার ছায়ার চেয়ে বেশি ছায়া দেয়ার জন্য তাড়া করছিল। অথবা মেঘমালা সরে যাওয়ার পরে গাছপালা ঝুঁকে পড়ে একটি অলৌকিক ঘটনার জন্ম দেয়। তীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তাকে ছায়া দেয় অর্থাৎ তার ওপর ঝুকে পড়ে তাকে ছায়া প্রদান করেছিল। (সম্পাদীয়)

তাই পাদ্রী তাদেরকে বলেছিল, (انْظُرُوا إِلَى فَيْءِ الشَّجَرَةِ مَالَ عَلَيْهِ) অর্থাৎ যদি তোমরা আসমানের ছায়া লক্ষ্য করে থাক তবে তোমরা জমিনের ছায়া লক্ষ্য কর। তবে আল্লাহ তা'আলা তাদের অন্তরের চক্ষুকে অন্ধ করে দিয়েছেন। যেমন তিনি বলেন, (وَ تَرٰىهُمۡ یَنۡظُرُوۡنَ اِلَیۡکَ وَ هُمۡ لَا یُبۡصِرُوۡنَ) “আর তুমি তাদেরকে দেখবে তারা তোমার দিকে তাকিয়ে আছে অথচ তারা তোমাকে দেখতে পাচ্ছে না।” (সূরা আল আ'রাফ ৭ : ১৯৮)।  আর এ অর্থ প্রকাশ পেয়েছে মহান আল্লাহর বাণীতে – (فَاِنَّهَا لَا تَعۡمَی الۡاَبۡصَارُ وَ لٰکِنۡ تَعۡمَی الۡقُلُوۡبُ الَّتِیۡ فِی الصُّدُوۡرِ) “তাদের চক্ষুই কেবল অন্ধ নয়; তবে অন্ধ হলো তাদের হৃদয় যা তাদের বুকের মধ্যে থাকে”- (সূরাহ আল হাজ্জ ২২ : ৪৬)। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯১৯-[৫২] ’আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মক্কায় নবী (সা.) -এর সাথেই ছিলাম। একদিন আমরা মক্কার পার্শ্ববর্তী কোন অঞ্চলের দিকে বের হই, তখন যে কোন পাহাড় ও গাছ-গাছালি তাঁর মুখোমুখি হয়, তখন তা (তাঁকে) ’আস্সালামু আলাইকা ইয়া রসূলাল্ল-হ (হে আল্লাহর রাসূল! আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক) বলে। (তিরমিযী ও দারিমী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فَخَرَجْنَا فِي بَعْضِ نَوَاحِيهَا فَمَا اسْتَقْبَلَهُ جَبَلٌ وَلَا شَجَرٌ إِلَّا وَهُوَ يَقُولُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ والدارمي

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3626 وقال : حسن غریب) و الدارمی (1 / 12 ح 21) * ولید بن ابی ثور : ضعیف و عباد : مجھول ۔
(ضَعِيف)

وعن علي بن ابي طالب رضي الله عنه قال كنت مع النبي صلى الله عليه وسلم بمكة فخرجنا في بعض نواحيها فما استقبله جبل ولا شجر الا وهو يقول: السلام عليك يا رسول الله. رواه الترمذي والدارمي اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3626 وقال : حسن غریب) و الدارمی (1 / 12 ح 21) * ولید بن ابی ثور : ضعیف و عباد : مجھول ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: ‘আলী (রাঃ) বলেন, নবী (সা.) -এর সাথে আমি মক্কাতে ছিলাম। আমরা যখন চারদিকে বের হতাম তখন রাস্তার পাথর, গাছ-গাছালি সবকিছু তাকে “আসসালামু আলাইকা ইয়া রসূলাল্ল-হ” বলে সালাম করত। এ হাদীসটি নবী (সা.) -এর মু'জিযাহ্ ও ওয়ালীদের কারামাত। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯২০-[৫৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। মি’রাজের রাত্রে নবী (সা.) -এর কাছে জিনপোষ ও লাগামে সাজানো বুরাক আনা হলো। তিনি (সা.) তাতে আরোহণ করতে চাইলে তা লাফালাফি করতে লাগল। তখন জিবরীল আলায়হিস সালাম বুরাকটিকে বললেন, তুমি কি মুহাম্মাদ (সা.) -এর সাথে এরূপ করছ? আরে! আল্লাহর কাছে ইনি অপেক্ষা অধিক সম্মানিত কোন লোক এ যাবৎ তোমার ওপর আরোহণ করেনি। বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে বুরাক (লজ্জায়) ঘর্মাক্ত হয়ে গেল। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব।]

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِالْبُرَاقِ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ مُلْجَمًا مُسْرجاً فاستصعب عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ جِبْرِيل: أَبِمُحَمَّدٍ تَفْعَلُ هَذَا؟ قَالَ: فَمَا رَكِبَكَ أَحَدٌ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْهُ قَالَ: فَارْفَضَّ عَرَقًا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3131) * قتادۃ مدلس و عنعن

وعن انس ان النبي صلى الله عليه وسلم اتي بالبراق ليلة اسري به ملجما مسرجا فاستصعب عليه فقال له جبريل: ابمحمد تفعل هذا؟ قال: فما ركبك احد اكرم على الله منه قال: فارفض عرقا. رواه الترمذي وقال هذا حديث غريب اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3131) * قتادۃ مدلس و عنعن

ব্যাখ্যা: (مُلْجَمًا مُسْرجاً) অর্থাৎ তার উপর লাগাম ও বেণী বাঁধা ছিল। আর বুরাকটি অবাধ্য হওয়ার কারণে তার ওপর আরোহণ করা নবী (সা.) -এর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। এ অবস্থা দেখে জিবরীল আলায়হিস সালাম বুরাকটিকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, তুমি মুহাম্মাদ-এর সাথে এ আচরণ করছ? অর্থাৎ তুমি তো অন্য কারো সাথে এটা করনি। অথবা তুমি সকল নবীদের সাথে যেমন করেছ তেমনটি কি মুহাম্মাদ (সা.)-এর সাথেও করছ?
(فَمَا رَكِبَكَ أَحَدٌ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْهُ) অর্থাৎ তূরীবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তোমার পিঠে কোন এমন কেউ চড়েনি যে, মুহাম্মাদ (সা.)-এর চেয়ে বেশি সম্মানিত। এ কথা শুনে বুরাকের থেকে ঘাম ঝরতে থাকল লজ্জার কারণে কেননা সে ইতোপূর্বে অবাধ্য হয়েছিল নবী (সা.) -এর। সে সঠিক তথ্য জানার পরে যারপর নাই খুশি হয়েছিল। আর সে এ কথা বুঝতে পেরেছিল যে, সে অবাধ্যতা করে ফেলেছিল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯২১-[৫৪] বুরয়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: (মি’রাজের রাত্রে) যখন আমরা বায়তুল মাক্বদিস পৌছলাম, তখন জিবরীল আলায়হিস সালাম আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত করলেন, তাতে পাথরটির মধ্যে ছিদ্র হয়ে গেল, তখন বুরাকটিকে তার মধ্যে বেঁধে রাখলেন। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ جِبْرِيل بِأُصْبُعِهِ فَخَرَقَ بِهَا الْحَجَرَ فَشَدَّ بِهِ الْبُرَاقَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3132 وقال : غریب)

وعن بريدة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لما انتهينا الى بيت المقدس قال جبريل باصبعه فخرق بها الحجر فشد به البراق» . رواه الترمذي اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3132 وقال : غریب)

ব্যাখ্যা: (قَالَ جِبْرِيل بِأُصْبُعِهِ) অর্থাৎ জিবরীল আলায়হিস সালাম তাঁর হাত দ্বারা ইশারা করলেন। আর সেই ইশারা দ্বারা গর্ত তৈরি হয়ে গেল। এখানে নবী (সা.) অথবা জিবরীল দু’জনের একজন সেই গর্তে বুরাককে বাঁধেন।
ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, যদি তুমি বলো, এ হাদীসও আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) -এর হাদীস- “আমি তাকে সেই আংটায় বাঁধলাম যেখানে নবীগণও বাঁধতেন”-এর মাঝে কিভাবে সমন্বয় করবে? তাহলে জবাবে আমি বলব, সম্ভবত আংটা দ্বারা এখানে উদ্দেশ্য সেই জায়গা যেখানে আংটাটি ছিল। আর সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, ফলে জিবরীল আলায়হিস সালাম তা ছিদ্র করে দেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯২২-[৫৫] ইয়া’লা ইবনু মুররাহ্ আস্ সাকাফী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে তিনটি (অলৌকিক) জিনিস দেখেছি।
১. একবার আমরা তার সাথে ভ্রমণে বের হলাম। চলার পথে আমরা এমন একটি উটের কাছে দিয়ে গমন করছিলাম, যার দ্বারা পানি বহন করার কাজ করানো হয়। উটটি যখন নবী (সা.) -কে দেখল, তখন সে জিরজির আওয়াজ করে নিজের ঘাড়টি মাটিতে রাখল। নবী (সা.) সেখানে থেমে গেলেন এবং বললেন, এ উটটির মালিক কোথায়? সে তার কাছে আসলো। তিনি (সা.) তাকে বললেন, তোমার এ উটটি আমার কাছে বিক্রয় করে দাও। সে বলল, বরং হে আল্লাহর রাসূল! আমি তা আপনাকে দান করলাম! মূলত তা এমন এক পরিবারের লোকেদের উট, যাদের কাছে তা ছাড়া রুযীরোজগারের আর কিছুই নেই। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, অবস্থা যখন এরূপই যা তুমি বলেছ। তবে শুন! তা আমার কাছে এ অভিযোগ করেছে যে, তার দ্বারা অধিক কাজ নেয়া হয় এবং তাকে খাবার অল্প দেয়া হয়। অতএব তোমরা তার সাথে সদাচরণ করবে।
২. অতঃপর আমরা সামনের দিকে রওয়ানা হলাম। অবশেষে এক জায়গায় এসে আমরা অবস্থান করলাম এবং নবী (সা.) সেখানে ঘুমিয়ে পড়লেন। তখন একটি গাছ জমিন ফেড়ে এসে তার উপর ঝুঁকে পড়ল। অতঃপর গাছটি তার পূর্বের স্থানে চলে গেল। রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘুম হতে জেগে উঠলে আমি তাঁকে এ ঘটনাটি বর্ণনা করলাম। তখন তিনি (সা.) বললেন, এ গাছটি আল্লাহর রাসূল (সা.)
-কে সালাম করার জন্য নিজের প্রভুর কাছে অনুমতি চেয়েছিল। অতএব তিনি তাকে অনুমতি দিয়েছিলেন।
৩. বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা সেখান থেকে সম্মুখের দিকে যাত্রা করলাম এবং একটি জলাশয়ের নিকট পৌছলাম। তখন একজন মহিলা নবী (সা.) -এর কাছে তার এমন একটি ছেলেকে নিয়ে আসলো, যার মাঝে জিনের আসর ছিল। তখন নবী (সা.) এই ছেলেটির নাকে ধরে বললেন, “তুমি বের হও, আমি আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ।” বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমরা আরো সামনের দিকে সফর করলাম। ফেরার পথে যখন আমরা উক্ত জলাশয়ের কাছে আসলাম, তখন নবী (সা.) ঐ ছেলেটির মাকে তার ছেলেটির অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। সে বলল, ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন, আপনার চলে যাওয়ার পর হতে ছেলেটির মধ্যে আমরা অপ্রীতিকর আর কিছু দেখতে পাইনি। (শারহুস সুন্নাহ্)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَن يعلى بن مرَّةَ الثَّقفي قَالَ ثَلَاثَةُ أَشْيَاءَ رَأَيْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَا نَحْنُ نَسِيرُ مَعَه إِذ مَرَرْنَا بِبَعِير يُسْنَى عَلَيْهِ فَلَمَّا رَآهُ الْبَعِيرُ جَرْجَرَ فَوَضَعَ جِرَانَهُ فَوَقَفَ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيْنَ صَاحِبُ هَذَا الْبَعِيرِ فَجَاءَهُ فَقَالَ بِعْنِيهِ فَقَالَ بَلْ نَهَبُهُ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنَّهُ لِأَهْلِ بَيْتٍ مَا لَهُمْ مَعِيشَةٌ غَيْرُهُ قَالَ أَمَا إِذْ ذَكَرْتَ هَذَا مِنْ أَمْرِهِ فَإِنَّهُ شَكَا كَثْرَةَ الْعَمَلِ وَقِلَّةَ العلفِ فَأحْسنُوا إِلَيْهِ قَالَ ثمَّ سرنا فنزلنا مَنْزِلًا فَنَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَتْ شَجَرَةٌ تَشُقُّ الْأَرْضَ حَتَّى غَشِيَتْهُ ثُمَّ رَجَعَتْ إِلَى مَكَانِهَا فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذُكِرَتْ لَهُ فَقَالَ هِيَ شجرةٌ استأذَنَتْ ربّها عز وَجل أَنْ تُسَلِّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَذِنَ لَهَا قَالَ ثُمَّ سِرْنَا فَمَرَرْنَا بِمَاءٍ فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ بِابْنٍ لَهَا بِهِ جِنَّةٌ فَأَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بمنخره فَقَالَ اخْرُج إِنِّي مُحَمَّد رَسُول الله قَالَ ثمَّ سرنا فَلَمَّا رَجعْنَا من سفرنا مَرَرْنَا بِذَلِكَ الْمَاءِ فَسَأَلَهَا عَنِ الصَّبِيِّ فَقَالَتْ وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ مَا رأَينا مِنْهُ رَيباً بعْدك. رَوَاهُ فِي شرح السّنة

اسنادہ ضعیف ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (13 / 295 ۔ 296 ح 3718) [و احمد (4 / 173 ح 17708) * فیہ عبداللہ بن حفص : مجھول و عطاء بن السائب : اختلط ، رواہ عنہ معمر ولہ شواھد ضعیفۃ عند الحاکم (2 / 617 ۔ 618) و احمد (4 / 170) وغیرھما

وعن يعلى بن مرة الثقفي قال ثلاثة اشياء رايتها من رسول الله صلى الله عليه وسلم بينا نحن نسير معه اذ مررنا ببعير يسنى عليه فلما راه البعير جرجر فوضع جرانه فوقف عليه النبي صلى الله عليه وسلم فقال اين صاحب هذا البعير فجاءه فقال بعنيه فقال بل نهبه لك يا رسول الله وانه لاهل بيت ما لهم معيشة غيره قال اما اذ ذكرت هذا من امره فانه شكا كثرة العمل وقلة العلف فاحسنوا اليه قال ثم سرنا فنزلنا منزلا فنام النبي صلى الله عليه وسلم فجاءت شجرة تشق الارض حتى غشيته ثم رجعت الى مكانها فلما استيقظ رسول الله صلى الله عليه وسلم ذكرت له فقال هي شجرة استاذنت ربها عز وجل ان تسلم على رسول الله صلى الله عليه وسلم فاذن لها قال ثم سرنا فمررنا بماء فاتته امراة بابن لها به جنة فاخذ النبي صلى الله عليه وسلم بمنخره فقال اخرج اني محمد رسول الله قال ثم سرنا فلما رجعنا من سفرنا مررنا بذلك الماء فسالها عن الصبي فقالت والذي بعثك بالحق ما راينا منه ريبا بعدك. رواه في شرح السنة اسنادہ ضعیف ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (13 / 295 ۔ 296 ح 3718) [و احمد (4 / 173 ح 17708) * فیہ عبداللہ بن حفص : مجھول و عطاء بن الساىب : اختلط ، رواہ عنہ معمر ولہ شواھد ضعیفۃ عند الحاکم (2 / 617 ۔ 618) و احمد (4 / 170) وغیرھما

ব্যাখ্যা: (ثَلَاثَةُ أَشْيَاءَ) অর্থাৎ তিনটি মু'জিযাহ্।
(رَأَيْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) অর্থাৎ একই সফরে আমি রাসূল (সা.) থেকে তিনটি মু'জিযাহ্ লক্ষ্য করেছি।
(فَلَمَّا رَآهُ الْبَعِيرُ جَرْجَرَ) অর্থাৎ উটটি এমনভাবে আওয়াজ করল যে, তার গলা থেকে আওয়াজ বের হতে থাকল। যেমনটি উল্লেখ করেছেন কাযী ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ)।
গাছ তার জায়গা থেকে সরে নবী (সা.) -এর নিকটে এসে তাকে সালাম জানিয়ে তার নিজের জায়গায় ফেরত গেল। এটা নবী (সা.)-এর বিরাট একটি মু'জিযাহ্ ছিল। যা দ্বারা আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছিলেন।
তারপর নবী (সা.) - মহিলার পাগল ছেলেটির নাকের ছিদ্র ধরে বললেন, তিনি হয়তো ঐ পাগল ছেলেকে অথবা তার ওপর যে জিন্ ভর করেছিল তাকে বললেন, আমি মুহাম্মাদ, অতএব তুমি বের হয়ে আসো। এরপর থেকে ছেলেটি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। এটাও নবী (সা.) -এর একটি বিরাট মু'জিযাহ্ ছিল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯২৩-[৫৬] ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন একজন মহিলা তার একটি ছেলে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার এ ছেলেকে জিনে পেয়েছে। ফলে সকাল-সন্ধ্যা তা তাকে আক্রমণ করে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) ছেলেটির বুকের উপর হাত ফিরিয়ে দিয়ে দু’আ করলেন। তাতে ছেলেটির জোরে বমি হলো, তখন তার পেটের ভিতর হতে কালো একটি কুকুরের ছানার মতো বের হয়ে দৌড়ে গেল। (দারিমী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ بابنٍ لَهَا إِلى رَسُول اللَّهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يارسول اللَّهِ إِنَّ ابْنِي بِهِ جُنُونٌ وَأَنَّهُ لَيَأْخُذُهُ عِنْدَ غَدَائِنَا وَعَشَائِنَا (فَيَخْبُثُ عَلَيْنَا) فَمَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدْرَهُ وَدَعَا فَثَعَّ ثَعَّةً وَخَرَجَ مِنْ جَوْفِهِ مِثْلُ الجرو الْأسود يسْعَى. رَوَاهُ الدَّارمِيّ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الدارمی (1 / 11 ۔ 12 ح 19) * فیہ فرقد السبخی وھو ضعیف ۔
(ضَعِيف)

وعن ابن عباس قال: ان امراة جاءت بابن لها الى رسول الله رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت يارسول الله ان ابني به جنون وانه لياخذه عند غداىنا وعشاىنا (فيخبث علينا) فمسح رسول الله رسول الله صلى الله عليه وسلم صدره ودعا فثع ثعة وخرج من جوفه مثل الجرو الاسود يسعى. رواه الدارمي اسنادہ ضعیف ، رواہ الدارمی (1 / 11 ۔ 12 ح 19) * فیہ فرقد السبخی وھو ضعیف ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: জনৈক মহিলা নবী (সা.) -এর নিকটে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ছেলের মাঝে পাগলামি আছে। আর সে এ পাগলামিতে আক্রান্ত হয় সকাল ও সন্ধ্যায়। এ কথা শুনে নবী (সা.) সে ছেলের পেটে হাত বুলিয়ে দিলেন। ফলে ছেলেটি একবার বমি করল। ফলে তার পেট থেকে কালো কুকুরের বাচ্চার মতো একটি জন্তু বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯২৪-[৫৭] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী (সা.) মক্কার কাফিরদের কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মনে এক স্থানে বসাছিলেন, এমন সময় জিবরীল আলায়হিস সালাম তাঁর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি পছন্দ করেন যে, আমি আপনাকে একটি মু’জিযাহ্ দেখাব? তিনি (সা.) বললেন, হ্যাঁ, দেখান। তখন জিবরীল আলায়হিস সালাম ঐ গাছটির প্রতি তাকালেন যা নবী (সা.) - এর পিছনে ছিল। জিবরীল আলায়হিস সালাম নবী (সা.) -কে বললেন, আপনি ঐ বৃক্ষটিকে ডাক দেন। তিনি (সা.) তাকে ডাকলেন। তখন বৃক্ষটি এসে তাঁর সামনে দাঁড়াল। অতঃপর জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, এবার তাকে নিজের স্থানে চলে যেতে বলুন। তখন তিনি (সা.) তাকে পূর্বের স্থানে যেতে নির্দেশ করলে তা সেখানে চলে গেল। তা দেখে নবী (সা.) বললেন, আমার (মানসিক প্রশান্তির জন্য এটাই যথেষ্ট, এটাই যথেষ্ট। (দারিমী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَن أنس بن مَالك قَالَ جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالس حَزِين وَقد تخضب بِالدَّمِ من فعل أهل مَكَّة من قُرَيْش فَقَالَ جِبْرِيل يَا رَسُول الله هَل تحب أَن أريك آيَةً قَالَ نَعَمْ فَنَظَرَ إِلَى شَجَرَةٍ مِنْ وَرَائِهِ فَقَالَ ادْعُ بِهَا فَدَعَا بِهَا فَجَاءَتْ وَقَامَت بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ مُرْهَا فَلْتَرْجِعْ فَأَمَرَهَا فَرَجَعَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حسبي حسبي. رَوَاهُ الدَّارمِيّ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الدارمی (1 / 12 ۔ 13 ح 23) [و ابن ماجہ (4028)] * فیہ الاعمش مدلس و عنعن

وعن انس بن مالك قال جاء جبريل الى النبي صلى الله عليه وسلم وهو جالس حزين وقد تخضب بالدم من فعل اهل مكة من قريش فقال جبريل يا رسول الله هل تحب ان اريك اية قال نعم فنظر الى شجرة من وراىه فقال ادع بها فدعا بها فجاءت وقامت بين يديه فقال مرها فلترجع فامرها فرجعت فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم حسبي حسبي. رواه الدارمي اسنادہ ضعیف ، رواہ الدارمی (1 / 12 ۔ 13 ح 23) [و ابن ماجہ (4028)] * فیہ الاعمش مدلس و عنعن

ব্যাখ্যা: (جَالس حَزِين وَقد تخضب بِالدَّمِ) অর্থাৎ উহুদের যুদ্ধের দিন তার দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে তিনি এ অবস্থায় ছিলেন।
(من فعل أهل مَكَّة) অর্থাৎ মক্কার কাফিরদের প্রহারের কারণে। আবদুর রাযযাক বলেন, মা'মার থেকে। তিনি যুহরী থেকে, তিনি বলেন, নবী (সা.) -এর চেহারা মুবারকে উহুদের দিন সত্তরটি আঘাত করা হয়েছিল তরবারি দিয়ে। তবুও মহান আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছিলেন। বুখারীর হাশিয়ার মধ্যে সুয়ূত্বী (রহিমাহুল্লাহ) উল্লেখ করেছেন, তাকে আল্লাহ রক্ষা করেছিলেন কারণ মহান আল্লাহ বলেন- (وَ اللّٰهُ یَعۡصِمُکَ مِنَ النَّاسِ) “আর আল্লাহ আপনাকে মানুষের থেকে রক্ষা করবেন”- (সূরাহ্ আল মায়িদাহ্ ৫: ৬৭)। কিন্তু তার এ দাঁত ভাঙ্গার কারণ হলো তিনি যাতে অধিক প্রতিদান লাভ করতে পারেন। আর যে সকল মুমিন আল্লাহর দীনের জন্য খুবই কষ্ট স্বীকার করেছেন, তিনিও তাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। আর তিনিও মুজাহিদদের কষ্টে শামিল হতে পারেন। এ কারণে যখন তাকে শত্রুরা আঘাত করেছিল তিনি আঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
(يَا رَسُول الله هَل تحب أَن أريك آيَةً) অর্থাৎ- হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে একটি নিদর্শন দেখাব এটি কি আপনি পছন্দ করেন? অর্থাৎ আপনার নুবুওয়্যাতের নিদর্শন স্বরূপ যাতে আপনি আপনার কাজের (কষ্টের) কারণে মনে মনে প্রশান্তি পান। যাতে আপনি বুঝতে পারেন এটা কেবলমাত্র একটি কারণ আপনার কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়ার। তথা আপনার কষ্ট বেশি হওয়ার কারণে আপনার মর্যাদাকেও বেশি করে দেয়া হয়েছে। আর আপনার সম্মানের স্থানও বেশি নিকটবর্তী করা হয়েছে। তখন নবী (সা.) নিদর্শন দেখতে চাইলেন। ফলে নবী (সা.) -এর পিছনে থাকা একটি গাছের দিকে জিবরীল আলায়হিস সালাম তাকিয়ে নবী (সা.) -কে বললেন, আপনি এ গাছটিকে আপনার নিকটে ডাকেন। ফলে নবী (সা.) তাকে ডাকলে গাছটি তার কাছে আসে। তারপর জিবরীল আলায়হিস সালাম নবী (সা.) -কে আবার বললেন, আপনি তাকে তার পূর্বের স্থানে ফিরে যেতে বলেন। নবী (সা.) তাকে তার জায়গায় ফিরে যেতে বললে গাছটি তার আগের জায়গায় ফিরে আসে। এ দেখে নবী (সা.) বললেন, যথেষ্ট হয়েছে। আমার জন্য যথেষ্ট হয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯২৫-[৫৮] ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা নবী (সা.) -এর সাথে এক ভ্রমণে ছিলাম। এমন সময় এক বেদুঈন আসে। যখন সে কাছে আসলো, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, তুমি কি এ কথার সাক্ষ্য দাও যে, সত্যিকারার্থে আল্লাহ ছাড়া “ইবাদাত পাওয়ার যোগ্য দ্বিতীয় কেউ নেই, আর মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল?
বেদুঈন বলল, তুমি যা বললে আর কেউ কি এ কথার সাক্ষ্য দেয়? তিনি (সা.) বললেন, ঐ বাবলা গাছটি এ কথার সাক্ষ্য দিবে। এই বলে রাসূলুল্লাহ (সা.) গাছটিকে ডাকলেন। গাছটি ছিল উপত্যকার এক প্রান্তে। তা জমিনকে চিরে তাঁর সম্মুখে এসে দাঁড়াল। তখন তিনি গাছটি হতে তিনবার সাক্ষ্য চাইলেন। গাছটি অনুরূপভাবে তিনবার সাক্ষ্য প্রদান করল, যেরূপ তিনি (সা.) বলেছিলেন। অতঃপর গাছটি নিজের স্থানে চলে গেল। (দারিমী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فَأَقْبَلَ أَعْرَابِي فَلَمَّا دنا مِنْهُ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولَهُ قَالَ وَمَنْ يَشْهَدُ عَلَى مَا تَقُولُ؟ قَالَ: «هَذِهِ السَّلَمَةُ» فَدَعَاهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِشَاطِئِ الْوَادِي فَأَقْبَلَتْ تَخُدُّ الْأَرْضَ حَتَّى قَامَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ فَاسْتَشْهِدْهَا ثَلَاثًا فَشَهِدَتْ ثَلَاثًا أَنَّهُ كَمَا قَالَ ثُمَّ رجعتْ إِلى منبتِها. رَوَاهُ الدَّارمِيّ

اسنادہ حسن ، رواہ الدارمی (1 / 10 ح 16) ۔
(صَحِيح)

وعن ابن عمر قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر فاقبل اعرابي فلما دنا منه قال له رسول الله صلى الله عليه وسلم تشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له وان محمدا عبده ورسوله قال ومن يشهد على ما تقول؟ قال: «هذه السلمة» فدعاها رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو بشاطى الوادي فاقبلت تخد الارض حتى قامت بين يديه فاستشهدها ثلاثا فشهدت ثلاثا انه كما قال ثم رجعت الى منبتها. رواه الدارمي اسنادہ حسن ، رواہ الدارمی (1 / 10 ح 16) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: (كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ) আমরা কোন একটি সফরে নবী (সা.) -এর সাথে ছিলাম। অর্থাৎ কোন একটি যুদ্ধের সফরে অথবা ‘উমরার সফরে ছিলাম।
নবী (সা.) একজন বেদুইনকে দেখে বললেন, তুমি কি সাক্ষ্য প্রদান কর আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা'বুদ নেই, তিনি একক ও তার কোন অংশীদার নেই, আর আমি মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল? লোকটি তখন প্রশ্ন করল, আর কে আছে যে, তুমি ছাড়া এ সাক্ষ্য প্রদান করে? তখন নবী (সা.) একটি গাছের দিকে ইশারা করে গাছটিকে ডাকলেন। তখন উপত্যকার গাছটি এসে তার নিকটে দাঁড়াল। আর তিনবার সাক্ষ্য দিল। এরপর আবার তার আগের জায়গায় ফিরে গেল। অতএব উক্ত ঘটনা দ্বারা নবী (সা.) -এর মু'জিযাহ্ পরিলক্ষিত হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯২৬-[৫৯] ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে এসে বলল, আমি কিভাবে বিশ্বাস করব যে, আপনি আল্লাহর নবী? তিনি (সা.) বললেন, যদি আমি খেজুরের ঐ খোসা (কান্দি বা ছড়া)-কে ডাকি এবং সে সাক্ষ্য দেয় যে, আমি আল্লাহর রাসূল! (তবে বিশ্বাস করবে?) তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে ডাকলেন। এতে ঐ কান্দি খেজুরের গাছ হতে নিচে নেমে নবী (সা.) -এর সম্মুখে এসে পড়ল। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, ফিরে যাও। তখন কান্দিটি ফিরে গেল। তা দেখে বেদুঈন মুসলিম হয়ে গেল। ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি সহীহ।

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: بِمَا أَعْرِفُ أَنَّكَ نَبِيٌّ؟ قَالَ: «إِنْ دَعَوْتَ هَذَا الْعِذْقَ مِنْ هَذِهِ النَّخْلَةِ يَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ» فَدَعَاهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ يَنْزِلُ مِنَ النَّخْلَةِ حَتَّى سَقَطَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: «ارْجِعْ» فَعَادَ فَأَسْلَمَ الْأَعْرَابِيُّ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَصَححهُ

سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3628) * شریک مدلس و عنعن ولہ شواھد ضعیفۃ

وعن ابن عباس قال جاء اعرابي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: بما اعرف انك نبي؟ قال: «ان دعوت هذا العذق من هذه النخلة يشهد اني رسول الله» فدعاه رسول الله صلى الله عليه وسلم فجعل ينزل من النخلة حتى سقط الى النبي صلى الله عليه وسلم ثم قال: «ارجع» فعاد فاسلم الاعرابي. رواه الترمذي وصححه سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3628) * شریک مدلس و عنعن ولہ شواھد ضعیفۃ

ব্যাখ্যা: এক বেদুইন নবী (সা.) -এর নিকট এসে বলল, আপনি যে সত্য নবী তা আমরা কোন মু'জিযাহ্ দেখে চিনতে পারব? তখন নবী (সা.) তাকে বললেন, যদি আমি এই খেজুরের কাঁদিকে ডাকি তাহলে সে খেজুরের গাছ থেকে নেমে এসে সাক্ষ্য দিবে যে, আমি আল্লাহর রাসূল। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি যদি তাকে আহ্বান করি তাহলে সে আমার কাছে এসে সাক্ষ্য প্রদান করবে। অতঃপর নবী (সা.) খেজুরের কাঁদিকে ডাকলে সে গাছ থেকে নেমে এসে নবী (সা.) -এর কাছে এসে সাক্ষ্য প্রদান করে। এ অবস্থা দেখে বেদুইন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯২৭-[৬০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন একটি বাঘ বকরির রাখালের নিকট এসে (বকরির) পাল হতে একটি বকরি ধরে নিয়ে গেল। এদিকে রাখাল তার অনুসন্ধানে বের হলো, শেষ পর্যন্ত সে বাঘের কবল হতে বকরিটিকে ছিনিয়ে নিল। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর বাঘটি একটি টিলার উপর উঠল এবং লেজ গুটিয়ে বলতে লাগল, আমি খাদ্যের অনুসন্ধানে বের হয়েছিলাম, আর আল্লাহ তা’আলাও আমাকে রিযক দান করেছিলেন, অতঃপর (হে রাখাল!) তুমি আমার কাছ থেকে তা ছিনিয়ে নিয়েছ। তা শুনে (রাখাল) লোকটি বলে উঠল, আল্লাহর শপথ আজকের মতো এমন আশ্চর্যের ব্যাপার আমি আর কখনো দেখিনি। বাঘে (মানুষের ন্যায়) কথা বলছে। তখন বাঘটি বলে উঠল! এটা অপেক্ষা অধিকতর আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এক লোক দু’টি পাথরের মাঝে খেজুর বাগানে অবস্থান করছে। সে তোমাদেরকে অতীতে যা হয়ে গেছে তা এবং পরবর্তীতে যা কিছু হবে তার সংবাদ দেয়। বর্ণনাকারী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] বলেন, উক্ত (রাখাল) লোকটি ছিল ইয়াহুদী। সে নবী (সা.) -এর কাছে এসে উক্ত ঘটনাটি বর্ণনা করে সাথে সাথে ইসলাম গ্রহণ করল। তার কথা শুনে নবী (সা.) বললেন, লোকটি সত্য কথাই বলেছেন।
অতঃপর নবী (সা.) বললেন, এটা এবং এর মতো আরো অন্যান্য বহু নিদর্শন কিয়ামতের আগে সংঘটিত হবে। তিনি আরো বলেছেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, এমন একদিন আসবে, কোন লোক তার ঘর হতে বাইরে কোথাও যাবে এবং তার অনুপস্থিতিতে তার পরিবার (স্ত্রী) কি অপকর্ম করেছে, সে ফিরে আসতেই তার (পায়ের) জুতা ও (হাতের) লাঠি তাকে বলে দিবে। (শারহুস্ সুন্নাহ্)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَن أبي هريرةَ قَالَ جَاءَ ذِئْبٌ إِلَى رَاعِي غَنَمٍ فَأَخَذَ مِنْهَا شَاةً فَطَلَبَهُ الرَّاعِي حَتَّى انْتَزَعَهَا مِنْهُ قَالَ فَصَعِدَ الذئبُ على تل فأقعى واستذفر فَقَالَ عَمَدت إِلَى رزق رزقنيه الله عز وَجل أخذتُه ثمَّ انتزعتَه مِنِّي فَقَالَ الرَّجُلُ تَاللَّهِ إِنْ رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ ذئبا يَتَكَلَّمُ فَقَالَ الذِّئْبُ أَعْجَبُ مِنْ هَذَا رَجُلٌ فِي النَّخَلَاتِ بَيْنَ الْحَرَّتَيْنِ يُخْبِرُكُمْ بِمَا مَضَى وَبِمَا هُوَ كَائِن بعدكم وَكَانَ الرجل يَهُودِيّا فجَاء الرجل إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأسلم وَخَبره فَصَدَّقَهُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهَا أَمارَة من أَمَارَاتٌ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ قَدْ أَوْشَكَ الرَّجُلُ أَن يخرج فَلَا يرجع حَتَّى تحدثه نعلاه وَسَوْطه مَا أَحْدَثَ أَهْلُهُ بَعْدَهُ . رَوَاهُ فِي شَرْحِ السُّنَّةِ

صحیح ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (15 / 87 ح 4282) [و احمد (2 / 306 ح 8049 و سندہ حسن)] * ولہ شاھد عند احمد (3 / 83 ۔ 84) و صححہ الحاکم (4 / 467 ۔ 468) و وافقہ الذھبی و اصلہ فی سنن الترمذی (2181 وھو حدیث صحیح) ۔
(صَحِيح)

وعن ابي هريرة قال جاء ذىب الى راعي غنم فاخذ منها شاة فطلبه الراعي حتى انتزعها منه قال فصعد الذىب على تل فاقعى واستذفر فقال عمدت الى رزق رزقنيه الله عز وجل اخذته ثم انتزعته مني فقال الرجل تالله ان رايت كاليوم ذىبا يتكلم فقال الذىب اعجب من هذا رجل في النخلات بين الحرتين يخبركم بما مضى وبما هو كاىن بعدكم وكان الرجل يهوديا فجاء الرجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فاسلم وخبره فصدقه النبي صلى الله عليه وسلم ثم قال النبي صلى الله عليه وسلم انها امارة من امارات بين يدي الساعة قد اوشك الرجل ان يخرج فلا يرجع حتى تحدثه نعلاه وسوطه ما احدث اهله بعده . رواه في شرح السنة صحیح ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (15 / 87 ح 4282) [و احمد (2 / 306 ح 8049 و سندہ حسن)] * ولہ شاھد عند احمد (3 / 83 ۔ 84) و صححہ الحاکم (4 / 467 ۔ 468) و وافقہ الذھبی و اصلہ فی سنن الترمذی (2181 وھو حدیث صحیح) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: একটি বাঘ একটি রাখালের ছাগলের পালের কাছে এসে সেখান থেকে একটি ছাগলকে ধরল। তারপর ছাগলের পালের রাখাল বাঘের কাছ থেকে সে ছাগলকে ছাড়িয়ে নিল। তখন বাঘটি সেখান থেকে সরে গিয়ে একটি উঁচু টিলাতে উঠে নিতম্বের ওপর ভর করে দু’হাত বিছিয়ে বসে বলল, আল্লাহ আমার জন্য যে খাবার বৈধ করেছেন তা থেকে আমি ধরেছি। তারপর তুমি আমার থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিলে। তখন তার কথা শুনে রাখাল বলল। আল্লাহর শপথ, আজকের মতো এরূপ আশ্চর্যের ঘটনা কক্ষনো দেখিনি। তুরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, সেই রাখালটির নাম ছিল হাব্বার ইবনু আওস আল খুযাই। আর তাকে বাঘের সাথে কথা-বার্তা বলা ব্যক্তি বলা হয়। লোকটি বাঘের কথা-বার্তা শুনে খুবই আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলল, আমি আজকের দিনের মতো কোন দিন দেখিনি। তাকে নবী (সা.) সম্পর্কে সংবাদ দেয়া হলে সে নবী (সা.) -এর কাছে আসলো। সে ছিল একজন ইয়াহুদী লোক। নবী (সা.) তাকে এ সংবাদ সত্যায়ন করলে সে ইসলাম গ্রহণ করে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯২৮-[৬১] আবূল আ’লা (রহিমাহুল্লাহ) সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা (সাহাবীগণ) নবী (সা.) -এর সাথে বড় একটি পাত্রে পালাক্রমে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত খানা খেতাম। অর্থাৎ দশজন খানা খেয়ে উঠে যেত এবং দশজন খেতে বসত। [আবূল আলা (রহিমাহুল্লাহ) বলেন,] আমরা সামুরাহ্ (রাঃ) -কে প্রশ্ন করলাম, কোথা হতে এ পাত্রে খাদ্য বৃদ্ধি পেত? সামুরাহ্ (রাঃ) বললেন, কি কারণে তুমি আশ্চর্য হচ্ছ? আকাশের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, সে খাদ্য-পাত্রে এখান হতে বৃদ্ধি পেত। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنْ أَبِي الْعَلَاءِ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَتَدَاوَلُ مِنْ قَصْعَةٍ مِنْ غُدْوَةٍ حَتَّى اللَّيْلِ يَقُومُ عَشَرَةٌ وَيَقْعُدُ عَشَرَةٌ قُلْنَا: فَمِمَّا كَانَتْ تُمَدُّ؟ قَالَ: مِنْ أَيْ شَيْءٍ تَعْجَبُ؟ مَا كَانَت تمَدّ إِلا من هَهنا وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى السَّمَاءِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالدَّارِمِيُّ

اسنادہ صحیح ، رواہ الترمذی (3625 وقال : حسن صحیح) و الدارمی (1 / 30 ح 57) ۔
(صَحِيح)

وعن ابي العلاء عن سمرة بن جندب قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم نتداول من قصعة من غدوة حتى الليل يقوم عشرة ويقعد عشرة قلنا: فمما كانت تمد؟ قال: من اي شيء تعجب؟ ما كانت تمد الا من ههنا واشار بيده الى السماء . رواه الترمذي والدارمي اسنادہ صحیح ، رواہ الترمذی (3625 وقال : حسن صحیح) و الدارمی (1 / 30 ح 57) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: আমরা নবী (সা.) -এর সাথে একটি বড় পাত্র থেকে খাবার খাচ্ছিলাম। আমাদের হাত এখানে ওখানে ঘুরছিল। আমরা সে পাত্র থেকে সকাল থেকে খাওয়া শুরু করলাম। এ খাবার রাত পর্যন্ত চলতে থাকল। পাত্রে দশজন দশজন করে বসতে ছিল। তাদের খাওয়া শেষ হলে বাকি দশজন বসল। আমরা বর্ণনাকারী সামুরাহ (রাঃ)-কে বললাম, পাত্রে খাদ্য বেশি হচ্ছিল কিভাবে? এ কথা তিনি এক পর্যায়ে আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলেছিলেন। প্রশ্নকারী আবূল আলা যিনি তাবিঈদের নেতা ছিলেন তাকে বর্ণনাকারী সামুরাহ্ (রাঃ) বলেন, তুমি আশ্চর্যান্বিত হচ্ছ কেন? তিনি তার হাতকে আসমানের দিকে উঁচু করে ইঙ্গিত করলেন, এ বরকত আসমান থেকে আসে। আসমান থেকে বরকত নাযিলের কারণে এত অধিক পরিমাণ খাবার হয়েছে। এ দিকে ইঙ্গিত রয়েছে মহান আল্লাহর বাণীর মধ্যে। তা হলো- (وَ فِی السَّمَآءِ رِزۡقُکُمۡ وَ مَا تُوۡعَدُوۡنَ) “আর তোমাদের রিযক আসমানে আছে”- (সূরাহ্ আহ্ যা-রিয়া-ত ৫১ : ২২)। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ কথা বলেছেন, সামুরাহ্ (রাঃ) আর প্রশ্নকারী হলো আবূল ‘আলা। এটাই বাহ্যিকভাবে বুঝা যাচ্ছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯২৯-[৬২] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। বদর যুদ্ধে নবী (সা.) তিনশত পনেরো জনকে সঙ্গে নিয়ে রওয়ানা হলেন এবং এভাবে দু’আ করলেন, হে আল্লাহ! এরা খালি পা, অতএব এদেরকে বাহন দান কর। হে আল্লাহ! এরা বস্ত্রহীন, এদেরকে পোশাক দান কর। হে আল্লাহ! এরা ক্ষুধার্ত, এদেরকে পরিতৃপ্ত খাদ্য দান কর। অতএব আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে (মুসলিমদেরকে) বিজয়ী করলেন। ফলে তাঁরা এমন অবস্থায় ফিরলেন যে, তাঁদের প্রত্যেক লোকের সাথে একটি অথবা দু’টি উট ছিল এবং তারা পোশাক পরিহিত এবং খাদ্যে পরিতৃপ্ত। (আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ يَوْمَ بَدْرٍ فِي ثَلَاثِمِائَةٍ وَخَمْسَةَ عَشَرَ قَالَ: «اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ حُفَاةٌ فَاحْمِلْهُمْ اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ عُرَاةٌ فَاكْسُهُمْ اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ جِيَاعٌ فَأَشْبِعْهُمْ» فَفَتَحَ اللَّهُ لَهُ فَانْقَلَبُوا وَمَا مِنْهُمْ رَجُلٌ إِلَّا وَقَدْ رَجَعَ بِجَمَلٍ أَوْ جَمَلَيْنِ وَاكْتَسَوْا وَشَبِعُوا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

اسنادہ حسن ، رواہ ابوداؤد (2747) ۔
(حسن)

وعن عبد الله بن عمرو ان النبي صلى الله عليه وسلم خرج يوم بدر في ثلاثماىة وخمسة عشر قال: «اللهم انهم حفاة فاحملهم اللهم انهم عراة فاكسهم اللهم انهم جياع فاشبعهم» ففتح الله له فانقلبوا وما منهم رجل الا وقد رجع بجمل او جملين واكتسوا وشبعوا. رواه ابو داود اسنادہ حسن ، رواہ ابوداؤد (2747) ۔ (حسن)

ব্যাখ্যা: (اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ حُفَاةٌ) অর্থাৎ হে আল্লাহ। তারা খালি পায়ে। অর্থাৎ তাদের বেশির ভাগ লোক খালি পায়ে আছে তাদের পায়ে জুতা নেই।
(فَاحْمِلْهُمْ) অর্থাৎ তাদেরকে আপনি আরোহণের জন্য সাহায্য করেন। তথা আপনি তাদের প্রত্যেককেই আলাদা আলাদা বাহন দান করুন।
(اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ عُرَاةٌ) অর্থ হে আল্লাহ। নিশ্চয় তারা উলঙ্গ। অর্থাৎ লুঙ্গি ছাড়া তাদের আর কোন কিছু পরিধানের নেই। অতএব আপনি তাদেরকে পরিধানের কাপড় দিন। আর তাদেরকে সৌন্দর্যের পোশাক দান করুন।
(اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ جِيَاعٌ فَأَشْبِعْهُمْ) অর্থাৎ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণভাবে তাদেরকে শক্তিশালী কর যাতে তারা আনুগত্যের প্রতি শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
(فَفَتَحَ اللَّهُ لَهُ) অর্থাৎ আল্লাহ তার নবীকে সাহায্য করেছেন মক্কার মুশরিকদের ও কুরায়শদের সৈন্য ও তাদের বড়দের ওপর। এমনকি তাদের সত্তরজনকে নিহত করা হয় আর সত্তর জনকে বন্দি করা হয়।
(وَمَا مِنْهُمْ رَجُلٌ إِلَّا وَقَدْ رَجَعَ بِجَمَلٍ أَوْ جَمَلَيْنِ وَاكْتَسَوْا وَشَبِعُوا) অর্থাৎ তাদের শত্রুদের গনীমাত থেকে। আল্লাহ সত্য কথাই বলেছেন
(فَعَسٰۤی اَنۡ تَکۡرَهُوۡا شَیۡئًا وَّ یَجۡعَلَ اللّٰهُ فِیۡهِ خَیۡرًا کَثِیۡرًا)- “সম্ভবত তোমরা কোন জিনিসকে অপছন্দ কর আর আল্লাহ তাতে অনেক কল্যাণ রেখে দিয়েছেন”- (সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৯)। যেমন তাদের একদল সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ সংবাদ দিয়েছেন- (وَ اِنَّ فَرِیۡقًا مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ لَکٰرِهُوۡنَ ۙ) “আর মু'মিনদের একটি দল তা অপছন্দ করেছিল”- (সূরাহ আল আনফাল ৮ : ৫)। একটি হাদীসে আছে, যাতে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হয় তাতে ধৈর্যধারণ করা বেশি উত্তম। অতঃপর এটা হলো দুনিয়াবী পরিণতি আর আখিরাতে যা আছে উত্তম ও স্থায়ী- (আবূ দাউদ)। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯৩০-[৬৩] ইবনু মাস্’উদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: তোমাদেরকে (আল্লাহর পক্ষ হতে) সাহায্য করা হবে। তোমরা (শত্রুদের) অনেক সম্পদ লাভ করবে এবং তোমাদের জন্য (বহু শহর ও দেশ) বিজিত হবে। অতএব তোমাদের যে কেউ সেই সময়টি পাবে, সে যেন আল্লাহকে ভয় করে চলে, লোকেদেরকে ভালো কাজের দিকে ডাকে এবং মন্দকাজ হতে নিষেধ করে। (আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قا ل: «إِنَّكُمْ مَنْصُورُونَ وَمُصِيبُونَ وَمَفْتُوحٌ لَكُمْ فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَلْيَتَّقِ اللَّهَ وَلْيَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَلْيَنْهَ عَن الْمُنكر» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

صحیح ، رواہ ابوداؤد (5118 مختصرًا جدًا ولم یذکر ھذا اللفظ و سندہ صحیح) [و ابوداؤد الطیالسی (337) و الترمذی (2257)] ۔
(صَحِيح)

وعن ابن مسعود عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قا ل: «انكم منصورون ومصيبون ومفتوح لكم فمن ادرك ذلك منكم فليتق الله وليامر بالمعروف ولينه عن المنكر» . رواه ابو داود صحیح ، رواہ ابوداؤد (5118 مختصرا جدا ولم یذکر ھذا اللفظ و سندہ صحیح) [و ابوداؤد الطیالسی (337) و الترمذی (2257)] ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: হাদীসটিতে এ ঘোষণার মাধ্যমে নবী (সা.) যেন ন্যায় ও ভারসাম্যপূর্ণ পথের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে করে কোন ব্যক্তি বিজয় ও সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে, কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা হস্তগত হওয়ার সময় ও ধনসম্পদ করায়ত্তকালীন স্বীর অবস্থান ও উদ্দেশ্য হতে উদাসীন না হয় এবং গর্ব-অহংকার, অপব্যয়, আত্মপ্রদর্শন ও যুলম-অত্যাচারের নিকৃষ্ট পন্থা অবলম্বন করে আল্লাহর গযবের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না হয়। মূলত এ ঘোষণার মাধ্যমে নবী (সা.) মুসলিমদেরকে কুরআন মাজীদের ঐ আয়াতের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যাতে বলা হয়েছে-
(لَّذِیۡنَ اِنۡ مَّکَّنّٰهُمۡ فِی الۡاَرۡضِ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّکٰوۃَ وَ اَمَرُوۡا بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ نَهَوۡا) অর্থাৎ “যদি আমরা তাদেরকে পৃথিবীতে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রদান করি তাহলে তারা সালাত প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত প্রদান করবে এবং ভালো কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করবে”- (সূরাহ্ হাজ্জ: ২২ : ৪১)। (মাযাহিরে হক শারহে মিশকাত ৭ম খণ্ড, ১৫৬ পৃষ্ঠা)।
(فَلْيَتَّقِ اللَّهَ) অর্থাৎ মু'মিন ব্যক্তি যেন সকল কাজে আল্লাহকে ভয় করে, যাতে করে সে সফলতায় পরিপূর্ণ হতে পারে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯৩১-[৬৪] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি খায়বার এলাকায় এক ইয়াহূদী মহিলা বকরির মাংসের ভুনা মধ্যে বিষ মিশ্রিত করে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর জন্য হাদিয়্যাহ্ পেশ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) এর তার বাহু হতে কিছু অংশ খেলেন এবং তাঁর কতিপয় সাহাবীও তাঁর সাথে খেলেন। অতঃপর (মাংস মুখে তুলেই) তিনি (সা.) সাহাবীগণকে বললেন, খাদ্য হতে তোমরা হাত গুটিয়ে নাও এবং উক্ত ইয়াহূদী মহিলাকে ডেকে পাঠালেন, (সে আসলে) তিনি (সা.) তাকে প্রশ্ন করলেন, তুমি বকরির এ মাংসে বিষ মিশ্রিত করেছ? সে বলল, আপনাকে কে বলেছে? তিনি (সা.) বললেন, আমার হাতের এই বাহুর মাংসই বলেছে। তখন মহিলাটি বলল, হ্যাঁ, আমি এতে বিষ মিশিয়েছি। আর তা এ উদ্দেশেই করেছি, যদি আপনি প্রকৃতই নবী হন, তাহলে তা (বিষ) আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি নবীই না হয়ে থাকেন, তাহলে তার থেকে আমরা শান্তি লাভ করব।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে ক্ষমা করে দিলেন এবং তাকে কোন প্রকারে শাস্তি দিলেন না। আর তার ঐ সমস্ত সাহাবীগণ মৃত্যুবরণ করলেন, যারা উক্ত বকরি হতে খেয়েছিলেন। (বর্ণনাকারী বলেন,) আর উক্ত মাংসের কিছু অংশ খাওয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ (সা.) দুই কাঁধের মাঝখানে শিঙ্গা লাগিয়েছেন। আনসারের বায়াযাহ্ গোত্রের আযাদকৃত গোলাম আবূ হিন্দ শিং ও চাকু দ্বারা নবী (সা.) - এর কাঁধে শিঙ্গা লাগিয়েছিল। (আবূ দাউদ ও দারিমী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَن جَابر بِأَن يَهُودِيَّةً مِنْ أَهْلِ خَيْبَرَ سَمَّتْ شَاةً مَصْلِيَّةً ثُمَّ أَهْدَتْهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الذِّرَاعَ فَأَكَلَ مِنْهَا وَأَكَلَ رَهْطٌ مِنْ أَصْحَابِهِ مَعَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ وَأَرْسَلَ إِلَى الْيَهُودِيَّةِ فَدَعَاهَا فَقَالَ سممتِ هَذِهِ الشَّاةَ فَقَالَتْ مَنْ أَخْبَرَكَ قَالَ أَخْبَرَتْنِي هَذِه فِي يَدي للذِّراع قَالَت نعم قَالَت قلت إِن كَانَ نَبيا فَلَنْ يضرّهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ نَبِيًّا اسْتَرَحْنَا مِنْهُ فَعَفَا عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يُعَاقِبهَا وَتُوفِّي بعض أَصْحَابُهُ الَّذِينَ أَكَلُوا مِنَ الشَّاةِ وَاحْتَجَمَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى كَاهِلِهِ مِنْ أَجْلِ الَّذِي أَكَلَ مِنَ الشَّاةِ حَجَمَهُ أَبُو هِنْدٍ بِالْقَرْنِ وَالشَّفْرَةِ وَهُوَ مَوْلًى لِبَنِي بَيَاضَةَ مِنَ الْأَنْصَارِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ

اسنادہ ضعیف ، رواہ ابوداؤد (4510) و الدارمی (1 / 33 ح 69) ۔ * الزھری عن جابر : منقطع ’’ لم یسمع منہ ‘‘ انظر تحفۃ الاشراف (2 / 356) ۔
(ضَعِيف)

وعن جابر بان يهودية من اهل خيبر سمت شاة مصلية ثم اهدتها لرسول الله صلى الله عليه وسلم فاخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم الذراع فاكل منها واكل رهط من اصحابه معه فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ارفعوا ايديكم وارسل الى اليهودية فدعاها فقال سممت هذه الشاة فقالت من اخبرك قال اخبرتني هذه في يدي للذراع قالت نعم قالت قلت ان كان نبيا فلن يضره وان لم يكن نبيا استرحنا منه فعفا عنها رسول الله صلى الله عليه وسلم ولم يعاقبها وتوفي بعض اصحابه الذين اكلوا من الشاة واحتجم رسول الله صلى الله عليه وسلم على كاهله من اجل الذي اكل من الشاة حجمه ابو هند بالقرن والشفرة وهو مولى لبني بياضة من الانصار. رواه ابو داود والدارمي اسنادہ ضعیف ، رواہ ابوداؤد (4510) و الدارمی (1 / 33 ح 69) ۔ * الزھری عن جابر : منقطع ’’ لم یسمع منہ ‘‘ انظر تحفۃ الاشراف (2 / 356) ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: হাদীসে উল্লেখিত ইয়াহূদী মহিলার নাম ছিল যায়নাব বিনতুল হারিস। সে ছিল মারহাব ইবনু আবূ মারহাব-এর ভাইয়ের মেয়ে এবং সালাম ইবনু মিশকাত-এর স্ত্রী। এই মহিলা কিছু লোকের মাধ্যমে জেনে নিয়েছিল যে, আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর নিকট কোন অংশের গোশত সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিল। সে অনুসারে সে তার গৃহপালিত একটি বকরি যাবাহ করল এবং তা উত্তমরূপে ভুনা করে তাতে মারাত্মক বিষ মিশ্রিত করল। হাত এবং সিনার অংশে সে বেশি করে বিষ মিশ্রিত করল, অতঃপর উক্ত গোশত এতে নবী (সা.) এবং সাহাবীদের সামনে উপস্থাপন করল যারা সে সময় রাসূল (সা.) -এর দরবারে উপস্থিত ছিল।
(وَإِنْ لَمْ يَكُنْ نَبِيًّا اسْتَرَحْنَا مِنْهُ فَعَفَا عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) আর যদি নবীই না হয়ে থাকেন, তাহলে তা দ্বারা আমরা শান্তি লাভ করব। অতঃপর আল্লাহর রাসূল (সা.) তাকে ক্ষমা করে দিলেন। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (সা.) তাকে হত্যার নির্দেশ দিলে তাকে হত্যা করা হয়। এ দু' বর্ণনার মধ্যে মতভেদ তৈরি হলো। উভয়ের মাঝে সমাধান হলো- রাসূল (সা.) তাকে প্রথমে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, তবে যখন সেই বিষ মিশ্রিত খাবার খেয়ে বিশর ইবনুল বারা ইবনু মা'রূর মারা যায় তখন কিসাস স্বরূপ মহিলাকে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়। মাওয়াহিব’-এর মধ্যে এসেছে, বলা হয়ে থাকে যে, সে মহিলা ইসলাম গ্রহণ করেছিল বিধায় তাকে হত্যা করা হয়নি। কতিপয় মুহাক্কিক বলেন, “তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন” অর্থাৎ প্রথমে তিনি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, কারণ তিনি নিজের ক্ষেত্রে কোন প্রতিশোধ নেননি। তারপর যখন বিশর ইবনুল বারা' ইবনু মা'রূর মারা গেলেন তখন তাকে কিসাস স্বরূপ হত্যার নির্দেশ দেন। এটার সম্ভাবনা রয়েছে যে, সে ইসলাম গ্রহণের কারণে তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন, অতঃপর বিশরকে হত্যার অপরাধে কিসাসস্বরূপ তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। যুহরী (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর এ দাবীর পক্ষে একা নন, বরং সুলায়মান আত্ তায়মী তার “আল মাগাযী” কিতাবে এ বিষয়টিকে শক্তিশালী করেছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

(فَلَنْ يضرّهُ) অর্থ, তাহলে তা (বিষ) আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। অর্থাৎ হয়তো এ কারণে যে, নবীগণের ওপর বিষ এরূপ প্রতিক্রিয়াশীল হয় না যে, তাদের জীবনই নিঃশেষ করে দিবে। অথবা এ ভিত্তিতে যে, ইসলামের প্রচার ও পূর্ণতার পূর্বে নবী (সা.) -এর মৃত্যর আশঙ্কাও করা যায় না। প্রথম সম্ভাবনার ক্ষেত্রে ঐ বর্ণনা সংশয়ের কারণ হতে পারে যাতে বলা হয়েছে যে, নবী (সা.) -এর মৃত্যু ঐ বিষের প্রতিক্রিয়ার কারণে হয়েছে যা তাকে খায়বারের খাবারের মধ্যে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু মুহাক্কিক ‘আলিমগণ লিখেছেন যে, এ বর্ণনা বিশুদ্ধ নয়, তাই সংশয়ের প্রশ্নই আসে না; বরং এক বর্ণনায় তো এরূপ এসেছে যে, কেউ একজন মৃত্যুশয্যায় প্রশ্ন করেছিল যে, আপনার মধ্যে কি খায়বারের বিষ প্রতিক্রিয়াশীল হয়েছে? জবাবে রাসূল (সা.) বলেন, আমার তাক্বদীরে যা লেখা আছে এবং আল্লাহ তা'আলা যা চান তা ছাড়া অন্য কোন কষ্ট আপতিত হতে পারে না। (মাযাহিরে হাক ৭ম খণ্ড, ১৫৭ পৃষ্ঠা)।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯৩২-[৬৫] সাহল ইবনু হানযালিয়্যাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। হুনায়নের যুদ্ধের দিন তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সাথে ভ্রমণে বের হলেন। ভ্রমণটি কিছুটা দীর্ঘ হলো, এমনকি সন্ধ্যা এসে গেল। এমন সময় একজন অশ্বারোহী এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অমুক অমুক পাহাড়ের উপর উঠেছিলাম, তখন দেখতে পেলাম, হাওয়াযিন গোত্রের লোকেরা সকলে এসে পড়েছে। তাদের সাথে তাদের মহিলাগণ, মালসম্পদ এবং সর্বপ্রকারের গবাদিপশু রয়েছে; আর তারা সকলে হুনায়ন এলাকায় একত্রিত হয়েছে।
এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) হালকা হেসে বললেন, ইনশা-আল্ল-হ! আগামীকাল এ সমস্ত জিনিস মুসলিমদের গনীমাতের সম্পদে পরিণত হবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) - বললেন, আজ রাতে (তোমাদের) কে আমাদেরকে পাহারা দেবে? আনাস ইবনু আবূ মারসাদ আল গানবী (রাঃ) বললেন, আমিই হে আল্লাহর রাসূল! তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আচ্ছা আরোহণ কর। তখন তিনি তাঁর অশ্বে আরোহণ করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি এই পাহাড়ী রাস্তায় অগ্রসর হও, এমনকি এ পাহাড়ের উপরে পৌছে যাও। (বর্ণনকারী বলেন,) যখন ভোর হলো, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) সালাতের জন্য বের হলেন। দু’ রাক্আত সুন্নাত পড়ে প্রশ্ন করলেন, তোমরা তোমাদের অশ্বারোহীর আভাস পেয়েছ কি? তখন এক লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আভাস পাইনি।
অতঃপর সালাতের জন্য ইকামাত দেয়া হলো, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) সালাত আদায় করতে করতে আড় চোখে সেই গিরিপথের দিকে তাকাচ্ছিলেন। সালাত শেষ করেই তিনি (সা.) বললেন, তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। তোমাদের অশ্বারোহী এসে পৌছেছে। (বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বৃক্ষরাজির মাঝে পাহাড়ী পথে সেদিকে তাকিয়ে দেখলাম, তিনি এসে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সামনে দাঁড়ালেন। অতঃপর বললেন, আমি রওয়ানা হয়ে ঐ পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠেছিলাম, যেখানে উঠার জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে নির্দেশ করেছিলেন। যখন আমি সকালে উপনীত হলাম, তখন আমি উভয় পাহাড়ের চূড়ায় উঠে এদিক-সেদিক দৃষ্টি দিলাম কিন্তু কাউকেই দেখতে পেলাম না। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা.) সে অশ্বারোহীকে প্রশ্ন করলেন, তুমি কি রাতের বেলায় অবতরণ করেছিলে? তিনি বললেন, না। তবে শুধু সালাতের জন্য অথবা প্রাকৃতিক প্রয়োজন মিটানোর জন্য। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, এরপর তুমি অন্য কোন প্রকারের (নফল) ’আমল না করলেও তোমার কোন ক্ষতি হবে না। (আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَن سهل ابْن الْحَنْظَلِيَّةِ أَنَّهُمْ سَارُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ فَأَطْنَبُوا السَّيْرَ حَتَّى كَانَت عَشِيَّةً فَجَاءَ فَارِسٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي طَلِعْتُ عَلَى جَبَلِ كَذَا وَكَذَا فَإِذَا أَنَا بِهَوَازِنَ عَلَى بَكْرَةِ أَبِيهِمْ بِظُعُنِهِمْ وَنَعَمِهِمُ اجْتَمَعُوا إِلَى حُنَيْنٍ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ تِلْكَ غَنِيمَةٌ الْمُسْلِمِينَ غَدا إِن شَاءَ الله ثمَّ قَالَ مَنْ يَحْرُسُنَا اللَّيْلَةَ قَالَ أَنَسُ بْنُ أَبِي مَرْثَدٍ الْغَنَوِيُّ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ارْكَبْ فَرَكِبَ فَرَسًا لَهُ فَقَالَ: «اسْتَقْبِلْ هَذَا الشِّعْبَ حَتَّى تَكُونَ فِي أَعْلَاهُ» . فَلَمَّا أَصْبَحْنَا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مُصَلَّاهُ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ هَلْ حسستم فارسكم قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَسِسْنَا فَثُوِّبَ بِالصَّلَاةِ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي وَهُوَ يَلْتَفِتُ إِلَى الشِّعْبِ حَتَّى إِذَا قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ أَبْشِرُوا فَقَدْ جَاءَ فَارِسُكُمْ فَجَعَلْنَا نَنْظُرُ إِلَى خِلَالِ الشَّجَرِ فِي الشِّعْبِ فَإِذَا هُوَ قَدْ جَاءَ حَتَّى وَقَفَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسلم فَقَالَ إِنِّي انْطَلَقْتُ حَتَّى كُنْتُ فِي أَعْلَى هَذَا الشِّعْبِ حَيْثُ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا أَصبَحت اطَّلَعت الشِّعْبَيْنِ كِلَيْهِمَا فَلَمْ أَرَ أَحَدًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ نَزَلْتَ اللَّيْلَةَ قَالَ لَا إِلَّا مُصَلِّيَا أَوْ قَاضِيَ حَاجَةٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَلَا عَلَيْكَ أَنْ لَا تَعْمَلَ بعدَها» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

اسنادہ حسن ، رواہ ابوداؤد (2501) ۔
(صَحِيح)

وعن سهل ابن الحنظلية انهم ساروا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم حنين فاطنبوا السير حتى كانت عشية فجاء فارس فقال يا رسول الله اني طلعت على جبل كذا وكذا فاذا انا بهوازن على بكرة ابيهم بظعنهم ونعمهم اجتمعوا الى حنين فتبسم رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال تلك غنيمة المسلمين غدا ان شاء الله ثم قال من يحرسنا الليلة قال انس بن ابي مرثد الغنوي انا يا رسول الله قال اركب فركب فرسا له فقال: «استقبل هذا الشعب حتى تكون في اعلاه» . فلما اصبحنا خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم الى مصلاه فركع ركعتين ثم قال هل حسستم فارسكم قالوا يا رسول الله ما حسسنا فثوب بالصلاة فجعل رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي وهو يلتفت الى الشعب حتى اذا قضى الصلاة قال ابشروا فقد جاء فارسكم فجعلنا ننظر الى خلال الشجر في الشعب فاذا هو قد جاء حتى وقف على رسول الله صلى الله عليه وسلم فسلم فقال اني انطلقت حتى كنت في اعلى هذا الشعب حيث امرني رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما اصبحت اطلعت الشعبين كليهما فلم ار احدا فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم هل نزلت الليلة قال لا الا مصليا او قاضي حاجة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «فلا عليك ان لا تعمل بعدها» . رواه ابو داود اسنادہ حسن ، رواہ ابوداؤد (2501) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: (عَلَى بَكْرَةِ أَبِيهِمْ) অর্থাৎ স্বীয় পিতার উটের উপর। অর্থাৎ- সকলেই একত্রিত হয়ে। কথিত আছে যে এক ব্যক্তি তাঁর সকল ছেলে-মেয়েকে একটি উটের উপরে বহন করত। এটি আরবদের একটি প্রবাদ বাক্য। এর দ্বারা তারা আধিক্য বুঝায়।
কাযী (রহিমাহুল্লাহ) লিখেছেন যে, (عَلَى بَكْرَةِ أَبِيهِمْ)-এর মধ্যকার (عَلَى) মূলত (مع) অর্থে হয়েছে। আর এ বাক্য প্রবাদ বাক্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর এ প্রবাদ বাক্যের উৎস হলো, এক ‘আরব গোত্রের কিছু লোক কোন ঘটনার সম্মুখীন হয়ে স্বীয় বাসস্থান ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। অতএব ঐ সকল লোক এখান থেকে রওয়ানা হলো। যেহেতু তারা তাদের পিছনে কোন জিনিস ফেলে যেতে চাচ্ছিল না, তাই তারা এক একটি জিনিস নিজেদের সাথে নিয়ে নিল। এমনকি তাদের নিকট যে উট ছিল সেগুলোও সাথে নিয়ে নিল।
এ অবস্থা দেখে কিছু লোক বলল, (جاءواعلى بكرةأبيهم) অর্থাৎ এ সকল লোক (সব কিছু নিয়ে) এসেছে এমনকি স্বীয় পিতার উটও নিয়ে এসেছে। পরবর্তীতে এ বাক্য এমন লোকদের ক্ষেত্রে প্রবাদ বাক্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে লাগল যারা নিজেদের সাথে তাদের সকল মাল-সামানা ও সকল লোক সহকারে আগমন করে এমতাবস্থায় তাদের সাথে কখনো উট থাকত আবার কখনো থাকত না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

(أَنْ لَا تَعْمَلَ بعدَها) অর্থ- ঐ রাতের পর তুমি অন্য কোন ‘আমল না করলেও... অর্থাৎ অন্য কোন নফল ও ফাযীলাতের কাজ না করতে পারলেও আজ রাতে তুমি যে গুণের কাজ করেছ তা তোমার মুক্তির জন্য যথেষ্ট হবে। ইবনুল মুবারক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এতে রাসূল (সা.) -এর পক্ষ থেকে সুসংবাদ আছে যে, আল্লাহ তার পূর্বের ও পরের গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। মুল্লা আলী ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তবে এতে সন্দেহের অবকাশ আছে।
‘আল্লামাহ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, অর্থাৎ এই রাতের পর তুমি যদি কোন অতিরিক্ত কল্যাণকর কাজ নাও কর তবে তোমার কোন সমস্যা হবে না। কারণ এই রাতের ‘আমল তোমার জন্য সাওয়াব ও ফাযীলাতের দিক দিয়ে যথেষ্ট। তিনি এখানে নফল ও সাওয়াবের কথা বলেছেন, ফরযের কথা বলেননি। কারণ ফরয কাজ বান্দার থেকে কম করা হয় না। এটারও সম্ভাবনা আছে যে, উক্ত ঘোষণার মধ্যে আমল দ্বারা জিহাদ উদ্দেশ্য। অর্থাৎ তুমি আজকের রাত্রিতে আল্লাহর রাস্তায় আমাদের পাহারাদারির দায়িত্ব যেভাবে পরিশ্রম, বীরত্ব ও আন্তরিকতার সাথে পালন করেছ এরপর যদি তুমি জিহাদে শরীক নাও হও তবুও তোমাকে এ ব্যাপারে কোন ধরপাকড় করা হবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯৩৩-[৬৬] আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি অল্প কয়েকটি খেজুর রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে নিয়ে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কাছে দু’আ করুন যেন এগুলোর মাঝে বরকত হয়। তখন তিনি (সা.) খেজুরগুলো হাতে নিলেন। অতঃপর সেগুলোর মাঝে আমার জন্য বরকতের দু’আ করলেন। তারপর বললেন, এগুলো নিয়ে যাও এবং তোমার খাদ্য-থলির মাঝে রেখে দাও। যখনই তুমি থলি হতে কিছু নিতে চাবে, তখনই তার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে নেবে। তবে কখনো থলিটিকে ঝেড়ে খালি করবে না।
[আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন,] আমি সে খেজুর হতে এত এত ’ওয়াসাক’ পরিমাণ আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছি। এতদ্ভিন্ন তা হতে আমরা নিজেরাও খেয়েছি এবং অন্যান্যকেও খাওয়েছি। আর উক্ত থলিটি কখনো আমার কোমর হতে আলাদা হত না। পরিশেষে ’উসমান (রাঃ)-এর শাহাদাতের দিন সেই থলিটি কোথাও খুলে পড়ে যায়। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَمَرَاتٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ فِيهِنَّ بِالْبَرَكَةِ فَضَمَّهُنَّ ثُمَّ دَعَا لي فِيهِنَّ بِالْبركَةِ فَقَالَ خذهن واجعلهن فِي مِزْوَدِكَ كُلَّمَا أَرَدْتَ أَنْ تَأْخُذَ مِنْهُ شَيْئًا فَأَدْخِلْ فِيهِ يَدَكَ فَخُذْهُ وَلَا تَنْثُرْهُ نَثْرًا فَقَدْ حَمَلْتُ مِنْ ذَلِكَ التَّمْرِ كَذَا وَكَذَا مِنْ وَسْقٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَكُنَّا نَأْكُلُ مِنْهُ وَنُطْعِمُ وَكَانَ لَا يُفَارِقُ حَقْوِي حَتَّى كَانَ يَوْمُ قَتْلِ عُثْمَانَ فَإِنَّهُ انْقَطَعَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3839 وقال : حسن غریب) ۔
(صَحِيح)

وعن ابي هريرة قال اتيت النبي صلى الله عليه وسلم بتمرات فقلت يا رسول الله ادع الله فيهن بالبركة فضمهن ثم دعا لي فيهن بالبركة فقال خذهن واجعلهن في مزودك كلما اردت ان تاخذ منه شيىا فادخل فيه يدك فخذه ولا تنثره نثرا فقد حملت من ذلك التمر كذا وكذا من وسق في سبيل الله فكنا ناكل منه ونطعم وكان لا يفارق حقوي حتى كان يوم قتل عثمان فانه انقطع. رواه الترمذي اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3839 وقال : حسن غریب) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: হাদীসটির শেষ বাক্য দ্বারা জানা যায় যে, যখন ফিতনাহ্ ছড়িয়ে পড়ে তখন বরকত উঠে যায়। আর মনের দুঃখে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলতেন, (للناس هم ولي همان بينهم هم  الجر اب وهم الشيخ عثبانا) অর্থাৎ মানুষের জন্য একটি দুঃখ, কিন্তু আমার দুঃখ দু'টি- একটি হলো আমার থলি হারানো আর দ্বিতীয়টি হলো মহামান্য খলীফাহ্ ‘উসমান (রাঃ)-কে হারানো। (মিরকাতুল মাফাতীহ, মাযাহিরে হাক ৭ম খণ্ড, ১৬১ পৃষ্ঠা)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে