পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মালিকানা (অভিভাবকত্ব) টেনে নেওয়া
৩২০৪. শা’বী (রহঃ) হতে বর্ণিত, আলী, উমার ও যাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, পিতা তার সন্তানের (দাসের) মালিকানা চালিয়ে নেবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৯৭ নং ১১৫৮৩; আব্দুর রাযযাক ১৬২৭৬, ১৬২৭৭ কেবল উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুনকাতি’ সনদে। দেখুন বাইহাকী, ওয়ালা ৬/৩০৭।
باب جَرِّ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَلِيٍّ وَعُمَرَ وَزَيْدٍ قَالُوا الْوَالِدُ يَجُرُّ وَلَاءَ وَلَدِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মালিকানা (অভিভাবকত্ব) টেনে নেওয়া
৩২০৫. আশ’আস হতে বর্ণিত, শা’বী (রহঃ) বলেন, দাদা মালিকানা ধরে রাখবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৯৭, ৪০০ নং ১১৫৮৩, ১১৫৯৪; আব্দুর রাযযাক নং ১৬২৮৬ সনদ সহীহ।
باب جَرِّ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ الْجَدُّ يَجُرُّ الْوَلَاءَ
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মালিকানা (অভিভাবকত্ব) টেনে নেওয়া
৩২০৬. ইবনু সীরীন (রহঃ) হতে বর্ণিত, শুরাইহ (রহঃ) বলেন, তার সন্তানের ওয়ালা’ বা অভিভাবকত্ব পিতার নিজের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ১৬২৭৮, ১৬২৭৯; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৯৮, ৩৯৯ নং ১১৫৮৭, ১১৫৮৯; বাইহাকী, ওয়ালা ১০/৩০৭।
باب جَرِّ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ شُرَيْحٍ قَالَ الْوَالِدُ يَجُرُّ وَلَاءَ وَلَدِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মালিকানা (অভিভাবকত্ব) টেনে নেওয়া
৩২০৭. যাকারিয়া (রহঃ) হতে বর্ণিত, কোনো এক দাস মৃত্যূ বরণ করলো, তার পিতা ছিল স্বাধীন পুরুষ এবং তার স্ত্রী ছিল একজন দাসী যার গর্ভে তার কয়েকটি পুত্র ছিল। আমির (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, এ ব্যক্তির সন্তানের মালিকানা (অভিভাবকত্ব) কে পাবে? তিনি বললেন, দাদার মালিক/মনিবগণ।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, ওয়ালা ১০/৩০৭।
باب جَرِّ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا عَنْ عَامِرٍ فِي مَمْلُوكٍ تُوُفِّيَ وَلَهُ أَبٌ حُرٌّ وَلَهُ بَنُونَ مِنْ امْرَأَةٍ حُرَّةٍ لِمَنْ وَلَاءُ وَلَدِهِ قَالَ لِمَوَالِي الْجَدِّ
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মালিকানা (অভিভাবকত্ব) টেনে নেওয়া
৩২০৮. মুগীরা হতে বর্ণিত, এক মুকাতাব (অর্থের বিনিময়ে মুক্তিদানের চুক্তিকৃত) দাস তার চুক্তিকৃত অর্থের অর্ধেক পরিশোধ করেই মৃত্যুবরণ করলো। আর তার স্বাধীনা স্ত্রীর গর্ভের একটি সন্তান রয়েছে। এ লোক সম্পর্কে ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, আমি তো কেবল একথাই মনে করি, সে (তার মালিক/ মনিব) তার সন্তানের মালিকানা ফিরে নিয়ে গেছে।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ১৬২৮৭।
باب جَرِّ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي مُكَاتَبٍ مَاتَ وَقَدْ أَدَّى نِصْفَ مُكَاتَبَتِهِ وَلَهُ وَلَدٌ مِنْ امْرَأَةٍ أَحْرَارٌ قَالَ مَا أُرَاهُ إِلَّا قَدْ جَرَّ وَلَاءَ وَلَدِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মালিকানা (অভিভাবকত্ব) টেনে নেওয়া
৩২০৯. ইবরাহীম (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, শুরাইহ কোনো মামলার রায় দিয়ে দিলে তিনি তা থেকে আর প্রত্যাবর্তন করতেন না। কিন্তু আসওয়াদ যখন তার নিকট বর্ণনা করলেন যে, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: যখন কোনো দাস কোনো স্বাধীনা নারীকে বিয়ে করে, আর সে নারী স্বাধীন সন্তান জন্ম দেয়, অত:পর সে লোকটি স্বাধীন হয়ে গেলে (সেই সন্তানদের) মালিকানা (অভিভাবকত্ব) তাদের পিতার মালিক/মনিবের নিকট ফিরে যাবে।’ তখন শুরাইহ এ মত গ্রহণ করলেন।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, ওয়ালা ১০/৩০৭; আব্দুর রাযযাক নং ১৬২৮৭; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৯৯ নং ১১৫৮৯।
باب جَرِّ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ كَانَ شُرَيْحٌ لَا يَرْجِعُ عَنْ قَضَاءٍ يَقْضِي بِهِ فَحَدَّثَهُ الْأَسْوَدُ أَنَّ عُمَرَ قَالَ إِذَا تَزَوَّجَ الْمَمْلُوكُ الْحُرَّةَ فَوَلَدَتْ أَوْلَادًا أَحْرَارًا ثُمَّ عُتِقَ بَعْدَ ذَلِكَ رَجَعَ الْوَلَاءُ لِمَوَالِي أَبِيهِمْ فَأَخَذَ بِهِ شُرَيْحٌ
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মালিকানা (অভিভাবকত্ব) টেনে নেওয়া
৩২১০. ইবরাহীম (রহঃ) হতে বর্ণিত, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যদি কোনো দাসের অধীনে কোনো মুক্ত স্ত্রীলোক থাকে যার সন্তানদেরকে তার মাতার মুক্তি দানের মাধ্যমে মুক্তি দান করা হয়, এমতাবস্থায় পিতা মুক্তি পেলে ওয়ালা’ তথা অভিভাবকত্ব চলে যাবে তার পিতার নিকট।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, ওয়ালা ১০/৩০৬; আব্দুর রাযযাক নং ১৬২৭৬, ১৬২৭৭; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৯৭ নং ১১৫৮১। তবে অপর সনদে বাইহাকী, ওয়ালা ১০/৩০৬; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৯৭ নং ১১৫৮২ এর সনদটি সহীহ।
باب جَرِّ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا يَعْلَى عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ قَالَ عُمَرُ فِي الْمَمْلُوكِ يَكُونُ تَحْتَهُ الْحُرَّةُ يُعْتَقُ الْوَلَدُ بِعِتْقِ أُمِّهِ فَإِذَا عُتِقَ الْأَبُ جَرَّ الْوَلَاءَ
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মালিকানা (অভিভাবকত্ব) টেনে নেওয়া
৩২১১. কাছীর ইবনু শিনজীর হতে বর্ণিত, যদি কোনো দাসের অধীনে কোনো মুক্ত স্ত্রীলোক থাকে, এক্ষেত্রে আতা (রহঃ) বলেন, সে স্ত্রীলোক এ লোকের ওরসে যে সন্তান জন্ম দেবে, সে যদি দাস হয়, তখন এ সন্তানের ওয়ালা’ বা অভিভাবকত্ব পাবে সে স্ত্রীলোকের (মুক্তিদানকারী) অভিভাবকগণ। আর সে স্ত্রীলোক এ লোকের ওরসে যে মুক্ত/স্বাধীন সন্তান জন্ম দেবে, সে সকল সন্তানের ওয়ালা’ বা অভিভাবকত্ব পাবে সে পুরুষের (মুক্তিদানকারী) অভিভাবকগণ।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৪০৩ নং ১১৫৯৭; আব্দুর রাযযাক নং ১৬২৯০ সহীহ সনদে।
باب جَرِّ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ عَنْ كَثِيرِ بْنِ شِنْظِيرٍ عَنْ عَطَاءٍ فِي الْحُرَّةِ تَحْتَ الْعَبْدِ قَالَ أَمَّا مَا وَلَدَتْ مِنْهُ وَهُوَ عَبْدٌ فَوَلَاؤُهُمْ لِأَهْلِ نِعْمَتِهَا وَمَا وَلَدَتْ مِنْهُ وَهُوَ حُرٌّ فَوَلَاؤُهُمْ لِأَهْلِ نِعْمَتِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মালিকানা (অভিভাবকত্ব) টেনে নেওয়া
৩২১২. ইবরাহীম (রহঃ) হতে বর্ণিত, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: যদি কোনো দাসের অধীনে কোনো মুক্ত স্ত্রীলোক থাকে , আর তার গর্ভে সেই দাসের পক্ষের কোনো ছেলে থাকে, ফলে সে ছেলেকে তার মাতার মুক্ত হওয়ার কারণে মুক্তি দান করা হবে, আর তার ওয়ালা’ বা অভিভাবকত্ব লাভ করবে সে স্ত্রীলোকের অভিভাবকগণ। এরপর যখন তার পিতা মুক্তি পাবে, তখন তার (ছেলের) ওয়ালা’ তথা অভিভাবকত্ব চলে যাবে তার পিতার অভিভাবকগণের নিকট।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, ওয়ালা ১০/৩০৬। বাইহাকী বলেন, এটি মুনকাতি’, তবে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে এটি মুত্তাসিল হিসেবেও বর্ণিত হয়েছে…।” আর এটি ৩২০৬ এ গত হয়েছে যেখানে আমরা এটি মুনাকাতি’ ও মুত্তাসিল উভয়টি তাখরীজ করেছি।
باب جَرِّ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ قَالَ عُمَرُ إِذَا كَانَتْ الْحُرَّةُ تَحْتَ الْمَمْلُوكِ فَوَلَدَتْ لَهُ غُلَامًا فَإِنَّهُ يُعْتَقُ بِعِتْقِ أُمِّهِ وَوَلَاؤُهُ لِمَوَالِي أُمِّهِ فَإِذَا أُعْتِقَ الْأَبُ جَرَّ الْوَلَاءَ إِلَى مَوَالِي أَبِيهِ
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মালিকানা (অভিভাবকত্ব) টেনে নেওয়া
৩২১৩. আলা’ ইবনু আব্দুর রহমান তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমার মাতা ছিলেন একজন অগ্নিদগ্ধ মহিলার মুক্ত দাসী। আর আমার পিতা মালিক ইবনু আউস ইবনুল হাদাছানী আন নাসরীর সাথে মুকাতাবাহ’ (অর্থের বিনিময়ে মুক্তি দানে চুক্তি)-তে আবদ্ধ ছিলেন। এরপর আমার পিতা তার সকল অর্থ পরিশোধ করে দেন। তখন অগ্নিদগ্ধ লোকটি উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট গিয়ে আমার উপর তার অধিকার চাই - তথা আমাকে দান হিসেবে চায়; তখন মালিক ইবনু আউস তার নিকট উপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি বলেন, এ তো আমার মুক্ত দাস। তখন তারা উভয়ে উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট মোকদ্দমা পেশ করেন। তখন তিনি ফায়সালা করেন যে, তাকে (আামর পিতাকে) অগ্নিদগ্ধ লোকটি পাবে।[1]
তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি। তবে দেখতে পারেন, বাইহাকী, ওয়ালা ১০/৩১৫।
باب جَرِّ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ابْنِ إِسْحَقَ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَانَتْ أُمِّي مَوْلَاةً لِلْحُرَقَةِ وَكَانَ أَبِي يَعْقُوبُ مُكَاتَبًا لِمَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ النَّصْرِيِّ ثُمَّ إِنَّ أَبِي أَدَّى كِتَابَتَهُ فَدَخَلَ الْحُرَقِيُّ عَلَى عُثْمَانَ يَسْأَلُ الْحَقَّ يَعْنِي الْعَطَاءَ وَعِنْدَهُ مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ فَقَالَ ذَاكَ مَوْلَايَ فَاخْتَصَمَا إِلَى عُثْمَانَ فَقَضَى بِهِ لِلْحُرَقِيِّ