পরিচ্ছেদঃ ১২. মুসলিমের দাস পালিয়ে মুশরিকদের নিকট গেলে এবং এ সম্পর্কে জারীর (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে শা'বী থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে শব্দগত পার্থক্য
৪০৫১. মুহাম্মাদ ইবন কুদামা (রহঃ) ... মুগীরা (রহঃ) শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, জারীর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করতেন যে, গোলাম যখন পালিয়ে যায়, তখন তার নামায কবূল হয় না। যদি সে এভাবে মৃত্যুবরণ করে, তবে সে কাফির হয়ে মরবে। জারীর (রাঃ)-এর এক গোলাম পালিয়ে গিয়েছিল। তিনি তাকে গ্রেফতার করার পর তার গর্দান উড়িয়ে দেন।
الْعَبْدُ يَأْبَقُ إِلَى أَرْضِ الشِّرْكِ وَذِكْرُ اخْتِلَافِ أَلْفَاظِ النَّاقِلِينَ لِخَبَرِ جَرِيرٍ فِي ذَلِكَ الِاخْتِلَافِ عَلَى الشَّعْبِيِّ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ عَنْ جَرِيرٍ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ كَانَ جَرِيرٌ يُحَدِّثُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَبَقَ الْعَبْدُ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ وَإِنْ مَاتَ مَاتَ كَافِرًا وَأَبَقَ غُلَامٌ لِجَرِيرٍ فَأَخَذَهُ فَضَرَبَ عُنُقَهُ
Jarir used to narrate from the Prophet [SAW]:
"If a slave runs away, no Salah will be accepted from him, and if he dies he will die a disbeliever." A slave of Jarir's ran away, and he caught him and struck his neck (killing him).
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/২১. মহান আল্লাহর বাণীঃ
৪৪৯৬. ’আসিম ইবনু সুলাইমান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে সাফা ও মারওয়াহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমরা ঐ দু’টিকে জাহিলী যুগের কাজ বলে মনে করতাম। যখন ইসলাম আসল, তখন আমরা এ দু’টির মধ্যে সায়ী করা থেকে বিরত থাকি। তখন আল্লাহ আয়াত অবতীর্ণ করেন- إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ থেকে أَنْ يَطَّوَّفَ পর্যন্ত। [১৬৪৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৪১)
بَاب قَوْلِهِ :
مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَاصِمِ بْنِ سُلَيْمَانَ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَقَالَ كُنَّا نَرَى أَنَّهُمَا مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا كَانَ الإِسْلَامُ أَمْسَكْنَا عَنْهُمَا فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَآئِرِ اللهِ ج فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَّطَّوَّفَ بِهِمَا).
Narrated `Asim bin Sulaiman:
I asked Anas bin Malik about Safa and Marwa. Anas replied, "We used to consider (i.e. going around) them a custom of the Pre-islamic period of Ignorance, so when Islam came, we gave up going around them. Then Allah revealed" "Verily, Safa and Marwa (i.e. two mountains at Mecca) are among the Symbols of Allah. So it is not harmful of those who perform the Hajj of the House (of Allah) or perform the Umra to ambulate (Tawaf) between them." (2.158)
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. যে ব্যক্তি প্রসিদ্ধি ও পরিচিতিকে অপছন্দ করে
৫৩৬. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম হতে বর্ণনা করেন, তিনি (বসার সময়) স্তম্ভের উপর ভর দিতে অপছন্দ করতেন।”[1]
بَابُ مَنْ كَرِهَ الشُّهْرَةَ وَالْمَعْرِفَةَ
أَخْبَرَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ أَنَّهُ كَانَ يَكْرَهُ أَنْ يَسْتَنِدَ إِلَى السَّارِيَةِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. যে ব্যক্তি প্রসিদ্ধি ও পরিচিতিকে অপছন্দ করে
৫৩৭. মুগীরাহ বলেন: ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত তিনি (নিজ থেকে) কখনো হাদীস বর্ণনা করা শুরু করতেন না।”[1]
তাখরীজ: খতীব, আল জামি’ নং ৩৬২; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৬/১৯২ হাসান সনদে। এখানে ইবরাহীমের সাথে আতা’ রাহি.-এর কথাও উল্লেখ আছে যে, তাদেরকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করার পূর্বে তারা কখনো কথা বলতেন না।
بَابُ مَنْ كَرِهَ الشُّهْرَةَ وَالْمَعْرِفَةَ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مُغِيرَةَ قَالَ كَانَ إِبْرَاهِيمُ لَا يَبْتَدِئُ الْحَدِيثَ حَتَّى يُسْأَلَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৫. সালাতের সময় যদি মহিলার হায়েয হয় কিংবা পবিত্র হয়
৯১০. এবং মুগীরাহ বর্ণনা করেন, তিনি আমির হতে ......[1]
بَابُ الْمَرْأَةِ تَطْهُرُ عِنْدَ الصَّلَاةِ أَوْ تَحِيضُ
وَمُغِيرَةُ عَنْ عَامِرٍ
পরিচ্ছেদঃ ৯৫. সালাতের সময় যদি মহিলার হায়েয হয় কিংবা পবিত্র হয়
৯১৪. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, শা’বী বলেন: যখন কোনো মহিলা (সালাতের ওয়াক্ত হওয়ার পর সালাত আদায়ে) শৈথিল্য প্রদর্শন করতে থাকে, এরপর তার হায়েয এসে যায়, তবে (পবিত্র হওয়ার পর) তাকে তা কাযা আদায় করতে হবে।[1]
তাখরীজ: এটি গত হয়েছে ৯১৪ (অনুবাদে ৯১০) নং এ।
بَابُ الْمَرْأَةِ تَطْهُرُ عِنْدَ الصَّلَاةِ أَوْ تَحِيضُ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ إِذَا فَرَّطَتْ ثُمَّ حَاضَتْ قَضَتْ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৭. গর্ভবতী মহিলা যখন রক্ত দেখে
৯৭০. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, যে গর্ভবতী মহিলা রক্ত (নির্গত হতে) দেখে, তার সম্পর্কে ইবরাহীম রাহি. বলেন: তার দেহ হতে রক্ত ধুয়ে ফেলবে এবং ওযু করে সালাত আদায় করবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/২১২; দেখুন, পরবতী ৯৮২ (অনুবাদে ৯৭৬) নং হাদীসটি।
بَاب فِي الْحُبْلَى إِذَا رَأَتْ الدَّمَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي الْحَامِلِ تَرَى الدَّمَ قَالَ تَغْسِلُ عَنْهَا الدَّمَ وَتَتَوَضَّأُ وَتُصَلِّي
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৭. গর্ভবতী মহিলা যখন রক্ত দেখে
৯৭৪. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম রাহি. বলেন, গর্ভকালীন (স্রাব) হায়েয বলে গণ্য হবে না।[1]
তাখরীজ: আগের ৯৭৬ (অনুবাদে ৯৭০) নং হাদীসটি দেখুন।
بَاب فِي الْحُبْلَى إِذَا رَأَتْ الدَّمَ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ عَنْ جَرِيرٍ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ لَا يَكُونُ حَيْضٌ عَلَى حَمْلٍ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৭. গর্ভবতী মহিলা যখন রক্ত দেখে
৯৭৬. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম রাহি. বলেন: যে গর্ভবতী মহিলা রক্ত (নির্গত হতে) দেখে, সে সালাত পরিত্যাগ করবে না।[1]
তাখরীজ: এটি গত হয়েছে ৯৮০ (অনুবাদে ৯৭৪) নং এ। আরও দেখুন, ৯৭৬ (অনুবাদে ৯৭০) নং হাদীসটি।
بَاب فِي الْحُبْلَى إِذَا رَأَتْ الدَّمَ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ إِذَا رَأَتْ الْحَامِلُ الدَّمَ لَمْ تَدَعْ الصَّلَاةَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০০. কোনো মহিলা ‘জুনুবী’ হয়, এর পরপরই তার হায়েয আসে
৯৯৭. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, এমন মহিলা যে, ’জুনুবী’ হয়, আর এর পরপরই তার হায়েয আসে- এমন মহিলা সম্পর্কে ইবরাহীম রাহি. বলেন, তাকে (জানাবাতের ফরয) গোসল করতে হবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৭৭; আব্দুর রাযযাক নং ১০৫৯, ১০৬০ সহীহ সনদে। এটি ১০০৬ (অনুবাদে ১০০০) নং এ আসছে। সেখানে পূর্ণ তারখরীজ দেখুন।
بَابُ الْمَرْأَةِ تَجْنُبُ ثُمَّ تَحِيضُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي الْمَرْأَةِ تُجْنِبُ ثُمَّ تَحِيضُ قَالَ تَغْتَسِلُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০০. কোনো মহিলা ‘জুনুবী’ হয়, এর পরপরই তার হায়েয আসে
১০০০. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, এমন মহিলা যার স্বামী তার সাথে মিলিত হলো, এরপর তার হায়েয হলো- এমন মহিলা সম্পর্কে ইবরাহীম রাহি. বলেন, ’সে গোসল করবে’- এটাই আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়।[1]
তাখরীজ: এটি ১০০৩ (অনুবাদে ৯৯৭)
بَابُ الْمَرْأَةِ تَجْنُبُ ثُمَّ تَحِيضُ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي رَجُلٍ غَشِيَ امْرَأَتَهُ فَحَاضَتْ فَقَالَ تَغْتَسِلُ أَحَبُّ إِلَيَّ
أثر صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০২. হায়িয (অতিক্রান্ত) হলে মহিলারা সিয়াম কাযা আদায় করবে কিন্তু সালাতের কাযা আদায় করবে না
১০১১. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, হায়িযগ্রস্ত মহিলা সিজদা (আত-তিলাওয়াত) শুনতে পেলে, তার সম্পর্কে ইবরাহীম রাহি. বলেন: সে এ সাজদার কাযা আদায় করবে না।[1]
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব এখানে তাখরীজের প্রয়োজন মনে করেননি-অনুবাদক)
بَابٌ فِي الْحَائِضِ تَقْضِي الصَّوْمَ وَلَا تَقْضِي الصَّلَاةَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي الْحَائِضِ تَسْمَعُ السَّجْدَةَ قَالَ لَا تَقْضِي
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০৩. হায়িযগ্রস্ত মহিলা আল্লাহর যিকির করবে কিন্তু কুরআন পাঠ করবে না
১০২৩. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম রাহি. বলেন: হায়িযগ্রস্ত মহিলা ও ’জুনুবী (সহবাসের কারণে অপবিত্র) ব্যক্তি আল্লাহর যিকির করতে পারবে এবং ’বিসমিল্লাহ’ও বলতে পারবে।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ১৩০৫ সহীহ সনদে।
بَابُ الْحَائِضِ تَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَلَا تَقْرَأُ الْقُرْآنَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ الْحَائِضُ وَالْجُنُبُ يَذْكُرَانِ اللَّهَ وَيُسَمِّيَانِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০৮. হায়িযগ্রস্ত মহিলা তার স্বামীর চুল আঁচড়ে দিতে পারে
১০৯৬. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম রাহি. বলেন, তার নিকট বলা হয়েছে: হায়িযগ্রস্ত মহিলার হায়িয তার হাতে লেগে নেই। সে তার হাত ধুয়ে নেবে এবং আটার খামীর বানাবে এবং নবীয তৈরি করবে।[1]
তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি। তবে এটি মারফু’ হিসেবে সহীহ। দেখুন ৭৯৮ ও ১১০৫ (অনুবাদে ৭৯২, ১০৯৯) নং ও পরবর্তী হাদীসটি।
بَاب الْحَائِضِ تَمْشُطُ زَوْجَهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ كَانَ يُقَالُ الْحَائِضُ لَيْسَتْ الْحِيضَةُ فِي يَدِهَا تَغْسِلُ يَدَهَا وَتَعْجِنُ وَتَنْبِذُ
পরিচ্ছেদঃ ১০৮. হায়িযগ্রস্ত মহিলা তার স্বামীর চুল আঁচড়ে দিতে পারে
১০৯৭. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম রাহি. বলতেন, হায়িযগ্রস্ত মহিলার হায়িয তার হাতে লেগে নেই। তিনি আরও বলতেন: হায়িযগ্রস্ত মহিলা তো জীবিত (অনেক নারী-পূরুষে)-দের প্রিয়ভাজন ব্যক্তি।[1]
তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি। আগের হাদীসটি দেখুন।
بَاب الْحَائِضِ تَمْشُطُ زَوْجَهَا
أَخْبَرَنَا أَبُو زَيْدٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ كَانَ يَقُولُ إِنَّ الْحَائِضَ حِيضَتُهَا لَيْسَتْ فِي يَدِهَا وَكَانَ يَقُولُ الْحَائِضُ حُبُّ الْحَيِّ
পরিচ্ছেদঃ ১০৮. হায়িযগ্রস্ত মহিলা তার স্বামীর চুল আঁচড়ে দিতে পারে
১১০১. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, হায়িযগ্রস্ত মহিলা কর্তৃক অসুস্থ ব্যক্তিকে ওযু করানোকে ইবরাহীম রাহি. দোষণীয় মনে করতেন না।[1]
তাখরীজ: সামনে ১১১০ (অণুবাদে ১১০৪) নং এ আসছে।
بَاب الْحَائِضِ تَمْشُطُ زَوْجَهَا
أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ كَانَ لَا يَرَى بَأْسًا أَنْ تُوَضِّئَ الْحَائِضُ الْمَرِيضَ
পরিচ্ছেদঃ ১১১. যখন কোনো লোক তার হায়িযগ্রস্ত স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়
১১৩০. মুগীরাহ ইবরাহীম রাহি. হতে বর্ণনা করেন, .....[1]
এবং ইসমাঈল ইবনু আবী খালিদ, আমীর রাহি. হতে বর্ণনা করেন, তারা উভয়ে বলেন, তা (তার সাথে মিলিত হওয়া) গুনাহের কাজ হয়েছে। সে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং তাঁর নিকট তাওবা করবে। আর সে এ কাজের পুনরাবৃত্তি করবে না।[2]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৪/৩২; আব্দুর রাযযাক নং ১২৬৮ ইবরাহীম বলেন, তার উপর কোনো কিছুই ওয়াজিব নয়। সে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা (ইস্তিগফার) করবে।’ এর সনদ সহীহ।
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৪/৩২।
بَاب إِذَا أَتَى الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا مُغِيرَةُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ ح وَأَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ عَنْ عَامِرٍ فِيمَنْ أَتَى أَهْلَهُ وَهِيَ حَائِضٌ قَالَا ذَنْبٌ أَتَاهُ يَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَيَتُوبُ إِلَيْهِ وَلَا يَعُودُ
পরিচ্ছেদঃ ১১৬. হায়িযগ্রস্ত মহিলার মসজিদে প্রবেশ
১১৯৮. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম রাহি. বলেন, মসজিদ হতে হায়িযগ্রস্ত নারীর কোনো কিছু এনে দেওয়ায় কোনো দোষ নেই।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/৩৬০;পূর্ণাঙ্গ তাখরীজের জন্য পরবর্তী টীকাটি দেখুন।
بَاب دُخُولِ الْحَائِضِ الْمَسْجِدَ
أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ لَا بَأْسَ أَنْ تَتَنَاوَلَ الْحَائِضُ مِنْ الْمَسْجِدِ الشَّيْءَ
পরিচ্ছেদঃ ২১৬. রুকূ’র পরে ‘কুনুত’ পাঠ করা
১৬৩৪. আসিম রাহি. বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ’কুনুত’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তরে বললেন: “(তা) রুকূ’র পূর্বে।” তিনি (আসিম) বলেন, আমি তাঁকে বললাম, অমুকের ধারণা, আপনি নাকি বলেছেন, (তা হচ্ছে) রুকূ’র পরে। তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। এরপর তিনি হাদীস বর্ণনা করলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফজরের সালাতে) এক মাস ধরে রুকূ’র পরে কুনূত (-এ নাযেলা) পড়েছেন। আর এতে তিনি বনী সুলাইম গোত্রের বিরূদ্ধে বদদোয়া করেছিলেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, বিতর ১০০১, ১০০২, ১০০৩; মুসলিম, মাসাজিদ ৬৭৭; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯২১, ৩০২৮, ৩০৫৭, ৩০৬৯, ৩০৮২, ৩০৯৬, ৩১১৫, ৩২৩১, ৩৯১৬, ৩৯৯৪, ৪০০০, ৪০২৬, ৪০৩১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯৭৩, ১৯৮২, ১৯৮৫ তে।
بَاب فِي الْقُنُوتِ بَعْدَ الرُّكُوعِ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ الْقُنُوتِ فَقَالَ قَبْلَ الرُّكُوعِ قَالَ فَقُلْتُ إِنَّ فُلَانًا زَعَمَ أَنَّكَ قُلْتَ بَعْدَ الرُّكُوعِ قَالَ كَذَبَ ثُمَّ حَدَّثَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَنَتَ شَهْرًا بَعْدَ الرُّكُوعِ يَدْعُو عَلَى حَيٍّ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ
পরিচ্ছেদঃ ৩০. মাকাতাব (নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে মুক্তিলাভের চুক্তিকারী দাস) সম্পর্কে
৩০৪১. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, যতক্ষণ কোন মুকাতিব (চুক্তিকৃত) দাসের চুক্তিকৃত অর্থ পরিশোধে কোনো কিছু বাকী থাকে, এমতাবস্থায় সে দাস মীরাছের কোনোকিছুই পাবে না।[1]
তাখরীজ: এটি আমি এখানে ব্যতীত অন্য কোথাও পাইনি।
باب الْمُكَاتَبِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ لَيْسَ لِلْمُكَاتَبِ مِيرَاثٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ شَيْءٌ مِنْ مُكَاتَبَتِهِ