পরিচ্ছেদঃ ৪৬. মুক্ত দাস-দাসীর (যাকে মালিক বললো: ‘তুমি মুক্ত’- আমি বা অন্য কেউ তোমার মালিক নই) মীরাছ সম্পর্কে
৩১৫৫. আবী আমর শাইবানী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুক্ত দাস সম্পর্কে আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, মুক্ত দাস যেখানে ইচ্ছা তার সম্পদ খরচ করতে পারবে।[1]আব্দুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ (বর্ণনাকারী) বলেন, শু’বাহ বলেছেন, সালামাহ এটি আমি ব্যতীত আর কারও নিকট শুনেনি।
তাখরীজ : ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৬৯ নং ১১৪৮০;বাইহাকী; ওয়ালা ১০/৩০২।
باب مِيرَاثِ السَّائِبَةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ قَالَا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ السَّائِبَةُ يَضَعُ مَالَهُ حَيْثُ شَاءَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ قَالَ شُعْبَةُ لَمْ يَسْمَعْ هَذَا مِنْ سَلَمَةَ أَحَدٌ غَيْرِي
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. মুক্ত দাস-দাসীর (যাকে মালিক বললো: ‘তুমি মুক্ত’- আমি বা অন্য কেউ তোমার মালিক নই) মীরাছ সম্পর্কে
৩১৫৬. ইউনূস (রহঃ) হতে বর্ণিত, হাসান (রহঃ) কে ’সায়িবাহ’র মীরাছ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, প্রত্যেক মুক্তিপ্রাপ্ত দাসই ’সায়িবাহ’।[1] (তথা উভয়ের অবস্থা একই)
তাখরীজ : ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৬৮-৩৬৯ নং ১১৪৭৮।
باب مِيرَاثِ السَّائِبَةِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ وَرْدَانَ عَنْ يُونُسَ عَنْ الْحَسَنِ سُئِلَ عَنْ مِيرَاثِ السَّائِبَةِ فَقَالَ كُلُّ عَتِيقٍ سَائِبَةٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. মুক্ত দাস-দাসীর (যাকে মালিক বললো: ‘তুমি মুক্ত’- আমি বা অন্য কেউ তোমার মালিক নই) মীরাছ সম্পর্কে
৩১৫৭. আবী উছমান (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সাদাকাহ ও দাসমুক্তি এর সাওয়াব থাকবে নির্ধারিত দিনে বা সময়ে।[1] (তথা কিয়ামতের দিনে)
তাখরীজ : বাইহাকী; ওয়ালা ১০/৩০১; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৬৮ নং ১১৪৬৫; আব্দুর রাযযাক ১২৪৯৩ (এখানে রয়েছে: ‘এর অর্থ: কিয়ামত দিবসে’)।
باب مِيرَاثِ السَّائِبَةِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ قَالَ قَالَ عُمَرُ الصَّدَقَةُ وَالسَّائِبَةُ لِيَوْمِهِمَا
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. মুক্ত দাস-দাসীর (যাকে মালিক বললো: ‘তুমি মুক্ত’- আমি বা অন্য কেউ তোমার মালিক নই) মীরাছ সম্পর্কে
৩১৫৮. যাকারিয়া হতে বর্ণিত, আমির (রহঃ) কে (সাইয়িবা) মুক্তিপ্রাপ্ত দাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, তার ’ওয়ালা’ বা অভিভাবকত্ব কে লাভ করবে? তিনি বলেন, যে তাকে মুক্ত করেছে।[1]
তাখরীজ : ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৬৮ নং ১১৪৭৭।
باب مِيرَاثِ السَّائِبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا عَنْ عَامِرٍ قَالَ سُئِلَ عَامِرٌ عَنْ الْمَمْلُوكِ يُعْتَقُ سَائِبَةً لِمَنْ وَلَاؤُهُ قَالَ لِلَّذِي أَعْتَقَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. মুক্ত দাস-দাসীর (যাকে মালিক বললো: ‘তুমি মুক্ত’- আমি বা অন্য কেউ তোমার মালিক নই) মীরাছ সম্পর্কে
৩১৫৯. আব্দুর রহমান ইবনু আমর (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সময়ে একটি দাস মৃত্যুবরণ করলো, যার কোনো ওয়ালী (অভিভাবক-মালিক) ছিল না। তখন তিনি তার সম্পদকে বায়তুল মালে অন্তর্ভূক্ত করার আদেশ দিলেন।[1]
তাখরীজ : ইবনু আবী শাইবা ১১/৪১৩ নং ১১৬৩৭ সহীহ সনদে।
باب مِيرَاثِ السَّائِبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ الْبَصْرِيُّ هُوَ رَوْحُ بْنُ أَسْلَمَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ مَاتَ مَوْلًى عَلَى عَهْدِ عُثْمَانَ وَلَيْسَ لَهُ وَالٍ فَأَمَرَ بِمَالِهِ فَأُدْخِلَ بَيْتَ الْمَالِ
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. মুক্ত দাস-দাসীর (যাকে মালিক বললো: ‘তুমি মুক্ত’- আমি বা অন্য কেউ তোমার মালিক নই) মীরাছ সম্পর্কে
৩১৬০. আমির (রহঃ) হতে বর্ণিত, কোনো এক লোক মৃত্যু বরণ করলো, যার কোনো মুক্তকারী মালিক-অভিভাবক ছিল না। এ ব্যক্তি সম্পর্কে মাসরূক (রহঃ) বলেন, তার সম্পদ ব্যয় হবে তার ওয়াসীয়াত অনুযায়ী। আর সে ওয়াসীয়াত না করলে তা বায়তুল মাল (রাষ্ট্রীয় কোষাগারে) জমা করা হবে।[1]
তাখরীজ : ইবনু আবী শাইবা ১১/৪১৩ নং ১১৬৩৮; সাঈদ ইবনু মানসূর ২২১, ২২২।
باب مِيرَاثِ السَّائِبَةِ
حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ عَنْ عَامِرٍ عَنْ مَسْرُوقٍ فِي رَجُلٍ مَاتَ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَوْلَى عَتَاقَةٍ قَالَ مَالُهُ حَيْثُ أَوْصَى بِهِ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ أَوْصَى فَهُوَ فِي بَيْتِ الْمَالِ
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. মুক্ত দাস-দাসীর (যাকে মালিক বললো: ‘তুমি মুক্ত’- আমি বা অন্য কেউ তোমার মালিক নই) মীরাছ সম্পর্কে
৩১৬১. আবী বাকর ইবনু আবী মারিয়াম হতে বর্ণিত, যাকে সায়িবাহ হিসেবে মুক্তি দান করা হয়েছে, এমন মুক্ত দাস সম্পর্কে যামরাহ, রাশিদ ইবনু সা’দ ও অন্যান্যরা বলেন, যে তাকে মুক্ত করেছে, সে-ই তার অভিভাবকত্ব লাভ করবে। সে দাসত্ব হতে তাকে মুক্তি দিয়েছে কিন্তু মালিকানা (অভিভাবকত্ব) হতে তাকে মুক্তি দেয়নি।[1]
তাখরীজ : সাঈদ ইবনু মানসূর ২২৮।
باب مِيرَاثِ السَّائِبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ ضَمْرَةَ وَرَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ وَغَيْرِهِمَا قَالُوا فِيمَنْ أُعْتِقَ سَائِبَةً إِنَّ وَلَاءَهُ لِمَنْ أَعْتَقَهُ إِنَّمَا سَيَّبَهُ مِنْ الرِّقِّ وَلَمْ يُسَيِّبْهُ مِنْ الْوَلَاءِ
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. মুক্ত দাস-দাসীর (যাকে মালিক বললো: ‘তুমি মুক্ত’- আমি বা অন্য কেউ তোমার মালিক নই) মীরাছ সম্পর্কে
৩১৬২. মানসূর হতে বর্ণিত, ইবরাহীম ও শা’বী (রহঃ) বলেন, ’সায়িবাহ’র মালিকানা (অভিভাবকত্ব) ক্রয়- বিক্রয় করা ও তা হিবাহ (দান) করাতে কোনো দোষ নেই।[1]
তাখরীজ : ইবনু আবী শাইবা ৬/১২৪ নং ৫১৯, ১১/৪২১ নং ১১৬৬৬।
باب مِيرَاثِ السَّائِبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ عَنْ شُعْبَةَ قَالَ أَخْبَرَنِي مَنْصُورٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ وَالشَّعْبِيِّ قَالَا لَا بَأْسَ بِبَيْعِ وَلَاءِ السَّائِبَةِ وَهِبَتِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. মুক্ত দাস-দাসীর (যাকে মালিক বললো: ‘তুমি মুক্ত’- আমি বা অন্য কেউ তোমার মালিক নই) মীরাছ সম্পর্কে
৩১৬৩. কাসিম (রহঃ) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি একটি গোলামকে ’সায়িবা’ হিসেবে মুক্তি দান করলো, এরপর সে আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট এসে বললো, আমি আমার একটি গোলামকে ’সায়িবা’ হিসেবে মুক্তি দান করেছি, এ হচ্ছে তার মালিকানা (ওয়ারিসী স্বত্ব)। তিনি বললেন, তা তো তোমার। লোকটি বললো, এতে আমার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বললেন, তুমি তা রেখে দাও, কেননা, এতে (মালিকানায়) অনেকেই ওয়ারিস (স্বত্বাধিকারী) আছে। [1]
তাখরীজ : আব্দুর রাযযাক ১৬১৬৯; বাইহাকী; ফারাইয ৬/২৪৩ এর সনদটি সহীহ; সাঈদ ইবনু মানসূর ২২৫ মুনকাতি’ বা বিচ্ছিন্ন সনদে; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৬৭ নং ১১৪৭৪ বিচ্ছিন্ন সনদে। আরও দেখুন, বুখারী ৬৭৫৩।
باب مِيرَاثِ السَّائِبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ عَنْ الْقَاسِمِ قَالَ أَعْتَقَ رَجُلٌ غُلَامًا سَائِبَةً فَأَتَى عَبْدَ اللَّهِ وَقَالَ إِنِّي أَعْتَقْتُ غُلَامًا لِي سَائِبَةً وَهَذِهِ تَرِكَتُهُ قَالَ هِيَ لَكَ قَالَ لَا حَاجَةَ لِي فِيهَا قَالَ فَضَعْهَا فَإِنَّ هَا هُنَا وَارِثًا كَثِيرًا