পরিচ্ছেদঃ ১৩. দাদার (মীরাস) সম্পর্কে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য
২৯৫৬. শা’বী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তখন ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন বসরায়। তিনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট চিঠি লিখলেন: আমার নিকট দাদা এবং ছয় ভাই (এর মাঝে মীরাস বন্টনের মাস’আলা) এসেছিল। তখন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে লিখে পাঠালেন, দাদাকে এক চতুর্থাংশ দাও এবং তার পরে আর কাউকে (ভাইদেরকে) কিছু দিও না।[1]
তাথরীজ: বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৪৯; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৯/২৮৪; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৯৩ নং ১১২৬৮ (সনদ সহীহ), ১১২৬৯। দেখুন, ফাতহুল বারী ১২/২১।
باب قَوْلِ عَلِيٍّ فِي الْجَدِّ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ عَنْ الشَّيْبَانِيِّ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ كَتَبَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِلَى عَلِيٍّ وَابْنُ عَبَّاسٍ بِالْبَصْرَةِ إِنِّي أُتِيتُ بِجَدٍّ وَسِتَّةِ إِخْوَةٍ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَلِيٌّ أَنْ أَعْطِ الْجَدَّ سُبُعًا وَلَا تُعْطِهِ أَحَدًا بَعْدَهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৩. দাদার (মীরাস) সম্পর্কে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য
২৯৫৭. শা’বী (রহঃ) হতে বর্ণিত, দাদা এবং ছয় ভাই (এর মাঝে মীরাস বন্টন) সম্পর্কে তিনি বলেন, দাদাকে এক চতুর্থাংশ দাও। আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’তিনি’ অর্থাৎ আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু। তথা শা’বী আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে এটি বর্ণনা করছেন।[1]
তাথরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৯৩ নং ১১২৬৮ সনদ সহীহ। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।
باب قَوْلِ عَلِيٍّ فِي الْجَدِّ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا حَسَنٌ عَنْ إِسْمَعِيلَ عَنْ الشَّعْبِيِّ فِي سِتَّةِ إِخْوَةٍ وَجَدٍّ قَالَ أَعْطِ الْجَدَّ السُّدُسَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد كَأَنَّهُ يَعْنِي عَلِيًّا الشَّعْبِيُّ يَرْوِيهِ عَنْ عَلِيٍّ
পরিচ্ছেদঃ ১৩. দাদার (মীরাস) সম্পর্কে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য
২৯৫৮. আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাদাকে ভাইয়ের স্থলবর্তী করতেন, এক ষষ্ঠাংশ পর্যন্ত।[1]
তাথরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৯৩ নং ১১২৬৯; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৪৯; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৯/২৮৪।
باب قَوْلِ عَلِيٍّ فِي الْجَدِّ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَمَةَ أَنَّ عَلِيًّا كَانَ يَجْعَلُ الْجَدَّ أَخًا حَتَّى يَكُونَ سَادِسًا
পরিচ্ছেদঃ ১৩. দাদার (মীরাস) সম্পর্কে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য
২৯৫৯. হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ভাইগণের সাথে দাদাকে (মীরাসে) এক ষষ্ঠাংশ পর্যন্ত অংশীদার করতেন।[1]
তাথরীজ: ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৯/২৮৪ সনদ সহীহ। এখানে রয়েছে: ভাই পাঁচ জন হলে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাদের সাথে দাদাকে দিতেন এক পঞ্চমাংশ, আর ভাই এর চেয়ে অধিক সংখ্যক হলে, দাদাকে দিতেন এক ষষ্ঠাংশ, এর চেয়ে কম দিতেন না।’
باب قَوْلِ عَلِيٍّ فِي الْجَدِّ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الْحَسَنِ أَنَّ عَلِيًّا كَانَ يُشَرِّكُ الْجَدَّ مَعَ الْإِخْوَةِ إِلَى السُّدُسِ
পরিচ্ছেদঃ ১৩. দাদার (মীরাস) সম্পর্কে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য
২৯৬০. আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাদাকে ভাইয়ের স্থলবর্তী করতেন এক ষষ্ঠাংশ পর্যন্ত।[1]
তাথরীজ: এটি গত হয়েছে ২৯৫৫ নং এ।
باب قَوْلِ عَلِيٍّ فِي الْجَدِّ
حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَمَةَ قَالَ كَانَ عَلِيٌّ يُشَرِّكُ بَيْنَ الْجَدِّ وَالْإِخْوَةِ حَتَّى يَكُونَ سَادِسًا
পরিচ্ছেদঃ ১৩. দাদার (মীরাস) সম্পর্কে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য
২৯৬১. ইবরাহীম (রহঃ) হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাদাকে ভাইদের সাথে এক ষষ্ঠাংশ পর্যন্ত (মীরাসে) শরীক করতেন। আর প্রত্যেক অংশীদারকে তার নির্ধারিত অংশ দিতেন। বৈপিত্রেয় ভাই ও বোনকে দাদার সাথে মীরাস দিতেন না। (মৃতব্যক্তির) সন্তান থাকলে দাদাকে এক ষষ্ঠাংশের বেশি দিতেন না। আর সহোদর ভাইয়ের সাথে বৈমাত্রেয় ভাইকে মীরাসে অংশীদার করতেন না। আর যখন এক সহোদর বোন এবং এক বৈমাত্রেয় ভাই হতো, তখন বোনকে দিতেন অর্ধেক সম্পদ এবং অপর অর্ধাংশ দাদা ও ভাইয়ের মাঝে আধা-আধি করে বন্টন করে দিতেন। আর ভাইবোন অনেক হলে দাদার সঙ্গে তারা এক ষষ্ঠাংশ পর্যন্ত শরীক করতেন।[1]
তাথরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ ১৯০৬৪; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৯৮ নং ১১২৮২ বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৪৯।
باب قَوْلِ عَلِيٍّ فِي الْجَدِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ كَانَ عَلِيٌّ يُشَرِّكُ الْجَدَّ إِلَى سِتَّةٍ مَعَ الْإِخْوَةِ يُعْطِي كُلَّ صَاحِبِ فَرِيضَةٍ فَرِيضَتَهُ وَلَا يُوَرِّثُ أَخًا لِأُمٍّ مَعَ جَدٍّ وَلَا أُخْتًا لِأُمٍّ وَلَا يَزِيدُ الْجَدَّ مَعَ الْوَلَدِ عَلَى السُّدُسِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ غَيْرُهُ وَلَا يُقَاسِمُ بِأَخٍ لِأَبٍ مَعَ أَخٍ لِأَبٍ وَأُمٍّ وَإِذَا كَانَتْ أُخْتٌ لِأَبٍ وَأُمٍّ وَأَخٌ لِأَبٍ أَعْطَى الْأُخْتَ النِّصْفَ وَالنِّصْفَ الْآخَرَ بَيْنَ الْجَدِّ وَالْأَخِ نِصْفَيْنِ وَإِذَا كَانُوا إِخْوَةً وَأَخَوَاتٍ شَرَّكَهُمْ مَعَ الْجَدِّ إِلَى السُّدُسِ