পরিচ্ছেদঃ ১৩. আঙ্গুর বা কিশমিশ ভেজানো শরবত সম্পর্কে
২১৪৭. দায়লামীর পূত্র আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, একদা তার পিতা অথবা তাদের মধ্যকার অপর এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি তো জানেন, আমরা কোথা থেকে আমরা এসেছি, আবার আপনি এও জানেন যে, আমরা কাদের মাঝ দিয়ে এসেছি ? আমাদের ওলী বা তত্তাবধানকারী কে? তিনি বলেনঃ “আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল।” তখন তারা বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা এমন অঞ্চলে বাস করি যেখানে প্রচুর আংগুর ও মদ উৎপাদন হয়। আর মদ তো আল্লাহ হারাম করেছেন। এখন আঙ্গুরের ব্যাপারে আমরা কি করবো? তিনি বলেনঃ “তোমরা তা শুকিয়ে কিশমিশ হিসেবে রেখে দেবে।” এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আমরা কিশমিশ দিয়ে কি করবো? তিনি বলেনঃ তোমরা তা চামড়ার মশকের মধ্যে ভিজিয়ে রাখবে। তা সকালে ভিজিয়ে রেখে সন্ধ্যায় পান করবে এবং সন্ধ্যায় ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করবে। আর দু’বেলা অতিক্রান্ত হলে তা মদে পরিণত হওয়ার পূর্বে তা সিরকায় পরিণত হবে।”[1]
তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ১৮/৩৩১ নং ৮৫১; নাসাঈ, আল কুবরা নং ৫২৪৪; আবূ ইয়ালা মাউসিলী সংক্ষেপে নং ৬৮২৫; আহমাদও সংক্ষেপে ৪/২৩২; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ, তারজমাহ ৮৬৭ সহীহ সনদে এবং অপর একটি সহীহ সনদে। এছাড়া আহমাদ ৪/৩৩২; আবূ দাউদ, আশরিবাহ ৩৭১০; নাসাঈ, কুবরা নং ৫২৪৫ এ অপর একটি সহীহ সনদে।
بَاب فِي النَّقِيعِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو السَّيْبَانِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الدَّيْلَمِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ أَبَاهُ أَوْ أَنَّ رَجُلًا مِنْهُمْ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا قَدْ خَرَجْنَا مِنْ حَيْثُ عَلِمْتَ وَنَزَلْنَا بَيْنَ ظَهْرَانَيْ مَنْ قَدْ عَلِمْتَ فَمَنْ وَلِيُّنَا قَالَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا أَصْحَابَ كَرْمٍ وَخَمْرٍ وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ الْخَمْرَ فَمَا نَصْنَعُ بِالْكَرْمِ قَالَ اصْنَعُوهُ زَبِيبًا قَالُوا فَمَا نَصْنَعُ بِالزَّبِيبِ قَالَ انْقَعُوهُ فِي الشِّنَانِ انْقَعُوهُ عَلَى غَدَائِكُمْ وَاشْرَبُوهُ عَلَى عَشَائِكُمْ وَانْقَعُوهُ عَلَى عَشَائِكُمْ وَاشْرَبُوهُ عَلَى غَدَائِكُمْ فَإِنَّهُ إِذَا أَتَى عَلَيْهِ الْعَصْرَانِ كَانَ خَلًّا قَبْلَ أَنْ يَكُونَ خَمْرًا