পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আশুরার রোযা সম্পর্কে
১৭৯৬. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (হিজরত করে) মদীনায় উপনীত হলেন, সেই সময় ইয়াহুদীরা আশুরার দিন রোযা রাখত। তিনি তাদেরকে (এ ব্যাপারে) জিজ্ঞেস করলে তারা বললো, এ দিনে আল্লাহ্ মূসা (আঃ)-কে ফিরাউনের উপর বিজয় দান করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে) বলেন: “তোমরা মূসা (আঃ)-এর (অনুসরণের) ব্যাপারে তাদের চেয়ে) অধিক নিকটবর্তী। ফলে তোমরা এদিন রোযা পালন করো।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, সওম ২০০৪; মুসলিম, সিয়াম ১১৩০;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৬৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬২৫ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫২৫ তে।
بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ
أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَالْيَهُودُ يَصُومُونَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَسَأَلَهُمْ فَقَالُوا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي ظَهَرَ فِيهِ مُوسَى عَلَى فِرْعَوْنَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْتُمْ أَوْلَى بِمُوسَى فَصُومُوهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আশুরার রোযা সম্পর্কে
১৭৯৭. ’আয়িশাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাথেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশূরার দিন রোযা রাখতেন এবং এ দিন রোযা রাখতে নির্দেশ দিতেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৫৯২; মুসলিম, সিয়াম ১১২৫; বাইহাকী, আল মা’রিফাহ নং ৮৯৮৮;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৬৩৮; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬২১ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ২০২ তে।
بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَيَأْمُرُنَا بِصِيَامِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আশুরার রোযা সম্পর্কে
১৭৯৮. সালামা ইবন আকওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, ’আশূরার দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেন: “আজকের দিনটি হলো আশুরার দিন। ফলে যে ব্যক্তি খেয়েছিল, বা পান করেছিল, সে যেন দিনের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে। আর যে এখনো খায়নি বা পান করেনি, সে যেন সাওম পালন করে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, সাওম ১৯২৪; মুসলিম, সিয়াম ১১৩৫;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬১৯ তে।
بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ إِنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ فَمَنْ كَانَ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ فَلْيُتِمَّ بَقِيَّةَ يَوْمِهِ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ فَلْيَصُمْهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আশুরার রোযা সম্পর্কে
১৭৯৯. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আশূরার দিন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “জাহিলী যুগে কুরাইশরা এ দিন রোযা রাখতো। অতএব তোমাদের কেউ এ দিন রোযা রাখতে আগ্রহী হলে সে রোযা রাখতে পারে এবং কেউ রোযা রাখতে অনাগ্রহী হলে নাও রাখতে পারে।”[1]
ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ দিন রোযা রাখতেন না তবে তার (অন্য কোনো) রোযার সাথে এটি একইদিনে পড়লে সেটি ভিন্ন কথা।
তাখরীজ: বুখারী, সাওম ১৮৯২; মুসলিম, সিয়াম ১১২৬;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬২২, ৩৬২৩ তে।
بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا يَوْمُ عَاشُورَاءَ كَانَتْ قُرَيْشٌ تَصُومُهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَصُومَهُ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَتْرُكَهُ فَلْيَتْرُكْهُ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ لَا يَصُومُهُ إِلَّا أَنْ يُوَافِقَ صِيَامَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আশুরার রোযা সম্পর্কে
১৮০০. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আশূরা ছিল এমন একটি দিন যে দিন কুরাইশরা জাহেলী যুগেও সিয়াম পালন করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (হিজরতের করে) মদীনায় আসার পর তিনি এই দিন সিয়াম পালন করেছেন এবং লোকদেরকেও সিয়াম পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর রামাযানের সিয়াম পালন ফরয হওয়ার পর রামাযানই ফরয হিসাবে রয়ে গেল আর আশূরার সিয়াম (ফরয হিসাবে) রইল না। ফলে যার ইচ্ছা এই দিনের সিয়াম পালন করে চললো আর যার ইচ্ছা তা ছেড়ে দিলো।[1]
তাখরীজ: বুখারী, সাওম ২০০১, ২০০২; মুসলিম, সিয়াম ১১৩৫; এছাড়া, বাইহাকী, আল মা’রিফাহ নং ৮৯৮০; মালিক, সওম (৩৩)।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ৪৬৩৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬২১ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ২০২ তে। আরও দেখুন পূর্বের ১৮০০ (অনূবাদে ১৭৯৬) নং হাদীসটি।
بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ يَوْمًا تَصُومُهُ قُرَيْشٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ صَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ حَتَّى إِذَا فُرِضَ رَمَضَانُ كَانَ رَمَضَانُ هُوَ الْفَرِيضَةُ وَتُرِكَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ فَمَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ