পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আশুরার রোযা সম্পর্কে
১৮০০. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আশূরা ছিল এমন একটি দিন যে দিন কুরাইশরা জাহেলী যুগেও সিয়াম পালন করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (হিজরতের করে) মদীনায় আসার পর তিনি এই দিন সিয়াম পালন করেছেন এবং লোকদেরকেও সিয়াম পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর রামাযানের সিয়াম পালন ফরয হওয়ার পর রামাযানই ফরয হিসাবে রয়ে গেল আর আশূরার সিয়াম (ফরয হিসাবে) রইল না। ফলে যার ইচ্ছা এই দিনের সিয়াম পালন করে চললো আর যার ইচ্ছা তা ছেড়ে দিলো।[1]
بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ يَوْمًا تَصُومُهُ قُرَيْشٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ صَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ حَتَّى إِذَا فُرِضَ رَمَضَانُ كَانَ رَمَضَانُ هُوَ الْفَرِيضَةُ وَتُرِكَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ فَمَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ
তাখরীজ: বুখারী, সাওম ২০০১, ২০০২; মুসলিম, সিয়াম ১১৩৫; এছাড়া, বাইহাকী, আল মা’রিফাহ নং ৮৯৮০; মালিক, সওম (৩৩)।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ৪৬৩৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬২১ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ২০২ তে। আরও দেখুন পূর্বের ১৮০০ (অনূবাদে ১৭৯৬) নং হাদীসটি।