পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. সূর্যগ্রহণের সময়কালীন সালাত
১৫৬৩. আবী মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয়ই সূর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণ কোনো লোকের মৃত্যুর কারণে সংঘটিত হয় না। বরং এ দু’টি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। তাই যখনই তোমরা এ দু’টিতে (চন্দ্র-সূর্যে) গ্রহণ সংঘটিত হতে দেখবে, তখনই তোমরা সালাতে দণ্ডায়মান হয়ে যাবে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, কুসূফ ১০৪১; মুসলিম, কুসূফ ৯১১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৬০ তে।
بَاب الصَّلَاةِ عِنْدَ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ عَنْ قَيْسٍ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَيْسَا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنْ النَّاسِ وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَقُومُوا فَصَلُّوا
পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. সূর্যগ্রহণের সময়কালীন সালাত
১৫৬৪. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্যগ্রহণের সময় আট রুকূ’ ও চার সিজদাসহ (দু’ রাকা’আত) সালাত আদায় করেন।[1]
তাখরীজ: আহমাদ ১/২২৫; ইবনু আবী শাইবা ২/৪৬৭; মুসলিম, কুসূফ ৯০৮; বাইহাকী ৩/৩২৭; নাসাঈ, কুসূফ ৩/১২৮-১২৯; আরও দেখুন ১৫৬৯ নং ও পরবর্তী হাদীসের টীকা দুটি।
بَاب الصَّلَاةِ عِنْدَ الْكُسُوفِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمَدِينِيُّ وَمُسَدَّدٌ قَالَا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ حَدَّثَنِي حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي كُسُوفٍ ثَمَانَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ
পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. সূর্যগ্রহণের সময়কালীন সালাত
১৫৬৫. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, এক ইয়াহুদী মহিলা তাঁর নিকট এলো। এরপর সে (মহিলাটি আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে) বলল, ’আল্লাহ তা’আলা আপনাকে কবরের আযাব হতে রক্ষা করুন।’ এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এলে তাঁকে তিনি (আয়িশা) জিজ্ঞেস করলেন, লোকদেরকে কি তাদের কবরে আযাব দেওয়া হবে? রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেনঃ “(তা থেকে) আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।” (এরপর) কোন এক দিন রাসূলুল্লাহ্ (সা) সাওয়ারীতে আরোহণ করেন। তখন সূর্যগ্রহণ আরম্ভ হয়। তিনি ফিরে আসেন এবং (সাওয়ারী হতে) অবতরণ করেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই স্থানে গেলেন যেখানে তিনি সালাত আদায় করতেন। তারপর (তিনি সালাতে দাঁড়ালেন এবং) লোকেরাও তাঁর পেছনে দাঁড়ালো। তিনি দীর্ঘ কিয়াম করলেন। এরপর দীর্ঘক্ষণ রুকূ’তে থাকলেন। তারপর (মাথা) উঠালেন, আবার দীর্ঘ কিয়াম করলেন। তবে এ কিয়াম প্রথম কিয়ামের চাইতে স্বল্পস্থায়ী ছিল। এরপর তিনি আবার দীর্ঘ রুকূ’ করেন। তবে এ রুকূ’ প্রথম রুকূ’র চাইতে স্বল্পস্থায়ী ছিল। তারপর তিনি দু’টি সিজদা করলেন। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে পুনরায় (প্রথম রাকা’আতের) অনুরূপ করেন। এরপর সূর্য উজ্জ্বল হয়ে গেলো, তখন তিনি আমার নিকট প্রবেশ করলেন। এরপর বললেন: “আমি তোমাদেরকে দেখলাম, তোমাদের কবরে তোমাদেরকে দাজ্জালের ফিতনার ন্যায় ফিতনায় ফেলা হচ্ছে।”আমি তাঁকে (এও) বলতে শুনেছি: “আল্লাহুম্মা ইন্নী ’আ’উযুবিকা মিন আযাবিল ক্বাবরী, ওয়া ’আ’উযুবিকা মিন আযাবিন নার।”[1] (অর্থ: ’হে আল্লাহ! আমি কবরের আযাব হতে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং আমি জাহান্নামের আযাব হতেও আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’)
তাখরীজ: বুখারী, কুসূফ ১০৪৯, ১০৫০; মুসলিম, কুসূফ ৯০৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৮৪১ (বিস্তারিত টীকাসহ); সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮৪০, ২৮৪১, ২৮৪২, ২৮৪৫, ২৮৪৬ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ১৭৯, ১৮০ তে।...
بَاب الصَّلَاةِ عِنْدَ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ يَهُودِيَّةً دَخَلَتْ عَلَيْهَا فَقَالَتْ أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَتْهُ أَيُعَذَّبُ النَّاسُ فِي قُبُورِهِمْ قَالَ عَائِذٌ بِاللَّهِ قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكِبَ يَوْمًا مَرْكَبًا فَخَسَفَتْ الشَّمْسُ فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلَ ثُمَّ عَمَدَ إِلَى مَقَامِهِ الَّذِي كَانَ يُصَلِّي فِيهِ فَقَامَ النَّاسُ خَلْفَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ تَجَلَّتْ الشَّمْسُ فَدَخَلَ عَلَيَّ فَقَالَ إِنِّي أُرَاكُمْ تُفْتَنُونَ فِي قُبُورِكُمْ كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ سَمِعْتُهُ يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ
পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. সূর্যগ্রহণের সময়কালীন সালাত
১৫৬৬. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্যগ্রহণের সময় সালাত আদায় করেছেন। এরপর ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) সালাত ছিল দু’ রাকা’আত। আর এ দু’ রাকা’আতের প্রত্যেক রাকা’আতে দু’টি করে রুকূ’ করেন। এরপর তিনি তাদেরকে খুতবা দেন। তিনি (খুতবায়) বলেন: “নিশ্চয়ই সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। আর কারো মৃত্যু বা জন্মগ্রহণের কারণে সূর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণ সংঘটিত হয় না। তাই যখনই তোমরা তা (চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্য গ্রহণ হতে) দেখবে, তখনই ভীতিসহ আল্লাহর যিকিরের (সালাতের) প্রতি ধাবিত হবে।[1]
তাখরীজ: মালিক, কুসূফ (২); বুখারী, কুসূফ ১০৫২; মুসলিম, কুসূফ ৯০৭; বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার নং ৭০৩৯; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮৩২, ২৮৫৩ তে।
بَاب الصَّلَاةِ عِنْدَ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَبُو يَعْقُوبَ يُوسُفُ الْبُوَيْطِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِدْرِيسَ هُوَ الشَّافِعِيُّ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ خَسَفَتْ الشَّمْسُ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَكَى ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ صَلَاتَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ خَطَبَهُمْ فَقَالَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَا يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَافْزَعُوا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ
পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. সূর্যগ্রহণের সময়কালীন সালাত
১৫৬৭. (অপর সূত্রে) আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে (অনুরূপ) বর্ণিত হয়েছে।[1]
তাখরীজ: মালিক, কুসূফ (১); বুখারী, কুসূফ ১০৪৪; মুসলিম, কুসূফ ৯০৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৮৪০, ৪৮৪১; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮৪০ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ১৭৯, ১৮০ তে। দেখুন, আগের ১৫৬৮ নং হাদীসটি।
بَاب الصَّلَاةِ عِنْدَ الْكُسُوفِ
قَالَ وَأَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ
পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. সূর্যগ্রহণের সময়কালীন সালাত
১৫৬৮. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাত আদায় করেছেন। এরপর তিনি (আয়িশা) বর্ণনা করেন যে, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করেন, যার প্রত্যেক রাকা’আতে দু’টি করে রুকূ’ করেন।[1]
তাখরীজ: মালিক, কুসূফ (৩); দেখুন, আগের হাদীসটি।
بَاب الصَّلَاةِ عِنْدَ الْكُسُوفِ
قَالَ وَأَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ خَسَفَتْ الشَّمْسُ فَصَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَكَتْ أَنَّهُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ رَكْعَتَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. সূর্যগ্রহণের সময়কালীন সালাত
১৫৬৯. আসমা বিনতে আবী বাকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত যে, সূর্যগ্রহণের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাসমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।[1]
তাখরীজ: মালিক, কুসূফ (৪); বুখারী, আল ইলম (৮৬); মুসলিম, কুসূফ ৯০৫।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮৫৫ তে।
بَاب الصَّلَاةِ عِنْدَ الْكُسُوفِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ حِينَ كَسَفَتْ الشَّمْسُ بِعَتَاقَةٍ
পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. সূর্যগ্রহণের সময়কালীন সালাত
১৫৭০. (অপর সনদে) আসমা বিনতে আবী বাকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]
তাখরীজ: বুখারী, আল ইতক্ব ২৫১৯; পূর্বের হাদীস ওটীকাটি দেখুন।
بَاب الصَّلَاةِ عِنْدَ الْكُسُوفِ
قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حُذَيْفَةَ مُوسَى بْنُ مَسْعُودٍ عَنْ زَائِدَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ فَاطِمَةَ عَنْ أَسْمَاءَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ