পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. সূর্যগ্রহণের সময়কালীন সালাত
১৫৬৫. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, এক ইয়াহুদী মহিলা তাঁর নিকট এলো। এরপর সে (মহিলাটি আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে) বলল, ’আল্লাহ তা’আলা আপনাকে কবরের আযাব হতে রক্ষা করুন।’ এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এলে তাঁকে তিনি (আয়িশা) জিজ্ঞেস করলেন, লোকদেরকে কি তাদের কবরে আযাব দেওয়া হবে? রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেনঃ “(তা থেকে) আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।” (এরপর) কোন এক দিন রাসূলুল্লাহ্ (সা) সাওয়ারীতে আরোহণ করেন। তখন সূর্যগ্রহণ আরম্ভ হয়। তিনি ফিরে আসেন এবং (সাওয়ারী হতে) অবতরণ করেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই স্থানে গেলেন যেখানে তিনি সালাত আদায় করতেন। তারপর (তিনি সালাতে দাঁড়ালেন এবং) লোকেরাও তাঁর পেছনে দাঁড়ালো। তিনি দীর্ঘ কিয়াম করলেন। এরপর দীর্ঘক্ষণ রুকূ’তে থাকলেন। তারপর (মাথা) উঠালেন, আবার দীর্ঘ কিয়াম করলেন। তবে এ কিয়াম প্রথম কিয়ামের চাইতে স্বল্পস্থায়ী ছিল। এরপর তিনি আবার দীর্ঘ রুকূ’ করেন। তবে এ রুকূ’ প্রথম রুকূ’র চাইতে স্বল্পস্থায়ী ছিল। তারপর তিনি দু’টি সিজদা করলেন। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে পুনরায় (প্রথম রাকা’আতের) অনুরূপ করেন। এরপর সূর্য উজ্জ্বল হয়ে গেলো, তখন তিনি আমার নিকট প্রবেশ করলেন। এরপর বললেন: “আমি তোমাদেরকে দেখলাম, তোমাদের কবরে তোমাদেরকে দাজ্জালের ফিতনার ন্যায় ফিতনায় ফেলা হচ্ছে।”আমি তাঁকে (এও) বলতে শুনেছি: “আল্লাহুম্মা ইন্নী ’আ’উযুবিকা মিন আযাবিল ক্বাবরী, ওয়া ’আ’উযুবিকা মিন আযাবিন নার।”[1] (অর্থ: ’হে আল্লাহ! আমি কবরের আযাব হতে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং আমি জাহান্নামের আযাব হতেও আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’)
بَاب الصَّلَاةِ عِنْدَ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ يَهُودِيَّةً دَخَلَتْ عَلَيْهَا فَقَالَتْ أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَتْهُ أَيُعَذَّبُ النَّاسُ فِي قُبُورِهِمْ قَالَ عَائِذٌ بِاللَّهِ قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكِبَ يَوْمًا مَرْكَبًا فَخَسَفَتْ الشَّمْسُ فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلَ ثُمَّ عَمَدَ إِلَى مَقَامِهِ الَّذِي كَانَ يُصَلِّي فِيهِ فَقَامَ النَّاسُ خَلْفَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ تَجَلَّتْ الشَّمْسُ فَدَخَلَ عَلَيَّ فَقَالَ إِنِّي أُرَاكُمْ تُفْتَنُونَ فِي قُبُورِكُمْ كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ سَمِعْتُهُ يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ
তাখরীজ: বুখারী, কুসূফ ১০৪৯, ১০৫০; মুসলিম, কুসূফ ৯০৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৮৪১ (বিস্তারিত টীকাসহ); সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮৪০, ২৮৪১, ২৮৪২, ২৮৪৫, ২৮৪৬ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ১৭৯, ১৮০ তে।...