পরিচ্ছেদঃ ২. পাক-পবিত্রতা সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে
৬৭৬. আবু মালিক আল আশ’আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: পবিত্রতা ঈমানের অর্ধাংশ, আর ’আলহামদুলিল্লাহ’ মীযান (ওজনের পাল্লা) পূর্ণ করে দেয়। আর ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার’ আসমান ও জমিন- এতদুভয়ের মধ্যবর্তী শূন্যস্থল পূর্ণ করে দেয়। আর সালাত হচ্ছে নূর, সাদাকা (দান) দলীল এবং ওযু হচ্ছে উজ্জ্বলতা। আর কুরআন তোমার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে প্রমাণ। প্রত্যেক মানুষ প্রতিদিন সকালে নিজ সত্তাকে বিক্রয় করে, ফলে হয় সে নিজেকে (আগুন থেকে) মুক্তিদানকারী হয়, অথবা, সে নিজেকে ধ্বংসকারী হয়।”[1]
তাখরীজ: সহীহ মুসলিম, তাহারাত ২২৩; আর আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ করেছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৩৩৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৮৪৪ নং এ; সেখানে দেখতে চাইলে দেখুন।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الطُّهُورِ
أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا أَبَانُ هُوَ ابْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ زَيْدٍ عَنْ أَبِي سَلَّامٍ عَنْ أَبِي مَالِكٍ الْأَشْعَرِيِّ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الطُّهُورُ شَطْرُ الْإِيمَانِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ يَمْلَأُ الْمِيزَانَ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ يَمْلَآَنِ مَا بَيْنَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَالصَّلَاةُ نُورٌ وَالصَّدَقَةُ بُرْهَانٌ وَالْوُضُوءُ ضِيَاءٌ وَالْقُرْآنُ حُجَّةٌ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ وَكُلُّ النَّاسِ يَغْدُو فَبَائِعٌ نَفْسَهُ فَمُعْتِقُهَا أَوْ مُوبِقُهَا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২. পাক-পবিত্রতা সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে
৬৭৭. বনী সালীম গোত্রের এক ব্যক্তি হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার হাতের মধ্যে তাঁর হাত রেখে (একে) শক্ত করে ধরলেন- অথবা তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর হাতে আমার হাত নিয়ে (একে) শক্ত করে ধরলেন- আর তাঁর (অপর) হাত ছিল আমার হাতের মধ্যে (এমতাবস্থায় তিনি বললেন): “সুবহানাল্লাহ মীযানের অর্ধেক (ভরে দেয়), আলহামদুলিল্লাহ’ মীযানকে পরিপূর্ণ ভরে দেয়। আর ’আল্লাহু আকবার’ আসমান ও জমিন- এতদুভয়ের মধ্যবর্তী শূন্যস্থল পূর্ণ করে দেয়। আর ওযু হচ্ছে ঈমানের অর্ধাংশ। আর সিয়াম হচ্ছে সবরের (ধৈর্য্যের) অর্ধাংশ।”[1]
তাখরীজ: আহমদ ৪/২৬০, ৫/৩৭০; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ৩/২৯১ নং ৩৫৭৫; তিরমিযী, ৩৫১৪ (সংক্ষেপে); আহমদ (অপর একটি হাসান সনদে) ৫/৩৬৫০।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الطُّهُورِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ جُرَيٍّ النَّهْدِيِّ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ قَالَ عَقَدَهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَدِي أَوْ قَالَ عَقَدَهُنَّ فِي يَدِهِ وَيَدُهُ فِي يَدِي سُبْحَانَ اللَّهِ نِصْفُ الْإِيمَانِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ يَمْلَأُ الْمِيزَانَ وَاللَّهُ أَكْبَرُ يَمْلَأُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَالْوُضُوءُ نِصْفُ الْإِيمَانِ وَالصَّوْمُ نِصْفُ الصَّبْرِ
إسناده جيد
পরিচ্ছেদঃ ২. পাক-পবিত্রতা সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে
৬৭৮. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুক্ত গোলাম সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা (দ্বীনের বিধি-বিধান পালনে) অটল থাকো, আর তোমরা কখনো (তোমাদের আমলসমূহকে) গুণে গুণে রেখো না। আর তোমরা জেনে রাখো, তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম আমল হলো সালাত।” তিনি অন্যত্র বলেন: “আর তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম আমল হলো সালাত। আর মু’মিন ব্যতীত অন্য কেউই উযু’র যথাযোগ্য হিফাযত করে না।”[1]
তাখরীজ: আমরা এটি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১০৩৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৬৪ এ পূর্ণাঙ্গ তাখরীজ দিয়েছি। এছাড়া এটি বর্ণনা করেছেন, খতীব, তারীখ ১/২৯৩; মালিক, মু’য়াত্তা ৩৭।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الطُّهُورِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ وَالْأَعْمَشِ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَقِيمُوا وَلَنْ تُحْصُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ خَيْرَ أَعْمَالِكُمْ الصَّلَاةُ وَقَالَ الْآخَرُ إِنَّ مِنْ خَيْرِ أَعْمَالِكُمْ الصَّلَاةَ وَلَنْ يُحَافِظَ عَلَى الْوُضُوءِ إِلَّا مُؤْمِنٌ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২. পাক-পবিত্রতা সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে
৬৭৯. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুক্ত গোলাম সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা ঠিকভাবে (ও মধ্যমপন্থায় আমল) করতে থাকো এবং নৈকট্য লাভ করো। আর তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম আমল হলো সালাত। আর মু’মিন ব্যতীত অন্য কেউই উযু’র যথাযোগ্য হিফাযত করে না।”[1]
তাখরীজ: আহমদ, ৫/২৮২; ইবনু হিব্বান নং ১০৩৭; তাবারানী, কাবীর ২/১০১ নং ১৪৪৪; (আয়শা রা: হতে সহীহ বুখারী, ৬৪৬৩, ৬৪৬৪, ৬৪৬৭; সহীহ মুসলিম ২৮১৬)।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الطُّهُورِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْبَانَ قَالَ حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ أَنَّ أَبَا كَبْشَةَ السَّلُولِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا وَخَيْرُ أَعْمَالِكُمْ الصَّلَاةُ وَلَنْ يُحَافِظَ عَلَى الْوُضُوءِ إِلَّا مُؤْمِنٌ