পরিচ্ছেদঃ ১. ওযু ও সালাত ফরয হওয়া সম্পর্কে

৬৭৩. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আগবাড়িয়ে (প্রশ্ন করা) থেকে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিলো, তখন কোনো মরুবাসী ও বুদ্ধিমান বেদুঈন এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করলে তাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হতাম। (একদিন) আমরা তাঁর নিকট বসে ছিলাম, এমতাবস্থায় তেমনি একটি ঘটনা ঘটলো। এক বেদু’ঈন এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো। তারপর সে বললো: হে মুহাম্মদ, আপনার দূত আমাদের নিকট এসে দাবী করেছিলো যে, আপনার নাকি বলেন, আল্লাহ আপনাকে (রাসূল) হিসেবে পাঠিয়েছেন?

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “সে সত্যই বলেছে”। বেদুঈন লোকটি বললো: সেই সত্তার কসম, যিনি আসমানকে সুউচ্চ করেছেন এবং ভূমিকে বিস্তৃত করেছেন এবং পাহাড়সমূহকে প্রোথিত করেছেন! আল্লাহই কি আপনাকে পাঠিয়েছেন? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: আপনার দূত আমাদের নিকট এসে দাবী করেছিলো যে, আপনার নাকি বলেন: আমাদের উপর নাকি দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে? তখন উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “সে সত্যই বলেছে।”

সে বললো: সেই সত্তার কসম (দিয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি), যিনি আপনাকে পাঠিয়েছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এ আদেশ করেছেন? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: আপনার দূত আমাদের নিকট এসে দাবী করেছিলো যে, আপনার নাকি বলেন: বছরে একমাস সিয়াম পালন করা নাকি আমাদের উপর ফরয করা হয়েছে? তখন উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “সে সত্যই বলেছে।”

সে বললো: সেই সত্তার কসম (দিয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি), যিনি আপনাকে পাঠিয়েছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এর আদেশ দিয়েছেন? তখন তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: আপনার দূত আমাদের নিকট এসে দাবী করেছিলো যে, আপনার নাকি বলেন: আমাদের মাল-সম্পদ থেকে যাকাত দেওয়া নাকি আমাদের উপর ফরয করা হয়েছে? তখন উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “সে সত্যই বলেছে।”

সে বললো: সেই সত্তার কসম (দিয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি), যিনি আপনাকে পাঠিয়েছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এর আদেশ দিয়েছেন? তখন তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: আপনার দূত আমাদের নিকট এসে দাবী করেছিলো যে, আপনি নাকি বলেন: আমাদের মধ্যে থেকে বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছাতে সামর্থবানদের উপর বায়তুল্লাহ’র হাজ্জ্ব পালন করা নাকি ফরয করা হয়েছে? তখন উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “সে সত্যই বলেছে।”

সে বললো: সেই সত্তার কসম (দিয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি), যিনি আপনাকে পাঠিয়েছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এর আদেশ দিয়েছেন? তখন তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: তাহলে সেই সত্তার কসম যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন! আমি এর থেকে কোনো কিছু ছেড়েও দিব না, আবার এর থেকে কোনো কিছু অতিরিক্তও করব না।” তিনি (আনাস রা:) বলেন: এরপর বেদুঈন লোকটি লাফাতে লাফাতে দৌড় দিলো। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন: “বেদুঈন লোকটি যদি সত্য বলে থাকে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”[1]

بَاب فَرْضِ الْوُضُوءِ وَالصَّلَاةِ

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ لَمَّا نُهِينَا أَنْ نَبْتَدِئَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعْجِبُنَا أَنْ يَقْدُمَ الْبَدَوِيُّ وَالْأَعْرَابِيُّ الْعَاقِلُ فَيَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ عِنْدَهُ فَبَيْنَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَجَثَا بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ رَسُولَكَ أَتَانَا فَزَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ فَبِالَّذِي رَفَعَ السَّمَاءَ وَبَسَطَ الْأَرْضَ وَنَصَبَ الْجِبَالَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا صَوْمَ شَهْرٍ فِي السَّنَةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا فِي أَمْوَالِنَا الزَّكَاةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا الْحَجَّ إِلَى الْبَيْتِ مَنْ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ قَالَ فَوَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَدَعُ مِنْهُنَّ شَيْئًا وَلَا أُجَاوِزُهُنَّ قَالَ ثُمَّ وَثَبَ الْأَعْرَابِيُّ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ صَدَقَ الْأَعْرَابِيُّ دَخَلَ الْجَنَّةَ

إسناده صحيح والحديث متفق عليه

اخبرنا علي بن عبد الحميد حدثنا سليمان بن المغيرة عن ثابت عن انس بن مالك قال لما نهينا ان نبتدى النبي صلى الله عليه وسلم كان يعجبنا ان يقدم البدوي والاعرابي العاقل فيسال النبي صلى الله عليه وسلم ونحن عنده فبينا نحن كذلك اذ جاء اعرابي فجثا بين يدي رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا محمد ان رسولك اتانا فزعم لنا انك تزعم ان الله ارسلك فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال فبالذي رفع السماء وبسط الارض ونصب الجبال الله ارسلك فقال النبي صلى الله عليه وسلم نعم قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا خمس صلوات في اليوم والليلة فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا فقال النبي صلى الله عليه وسلم نعم قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا صوم شهر في السنة فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا قال نعم قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا في اموالنا الزكاة فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا فقال النبي صلى الله عليه وسلم نعم قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا الحج الى البيت من استطاع اليه سبيلا فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا قال النبي صلى الله عليه وسلم نعم قال فوالذي بعثك بالحق لا ادع منهن شيىا ولا اجاوزهن قال ثم وثب الاعرابي فقال النبي صلى الله عليه وسلم ان صدق الاعرابي دخل الجنة اسناده صحيح والحديث متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ১. ওযু ও সালাত ফরয হওয়া সম্পর্কে

৬৭৪. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: (একদা) এক বেদু’ঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বললো: হে বনী আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র! ’আস-সালামু আলাইকা’ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)। তখন তিনি বললেন: “ওয়া আলাইকা (তোমার উপরও)।”

লোকটি বললো: আমি আপনার মাতুল বংশ বনী সা’দ ইবনু বাকর গোত্রের এক ব্যক্তি। আর আমি আমার গোত্রের দূত ও প্রতিনিধি হিসেবে আপনার নিকট এসেছি। আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করব এবং সে প্রশ্ন করার ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করবো এবং আমি কসম দিয়ে আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করবো এবং আমার এ কসম দিয়ে জিজ্ঞাসার ব্যাপারে আমি আপনার প্রতিই কঠোরতা অবলম্বন করবো। তিনি বললেন: “হে বনী সা’দ গোত্রের ভাই! তুমি তোমার প্রশ্ন করা শুরু কর।”

সে লোকটি বললো, আপনাকে কে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী লোকদেরকেই বা কে সৃষ্টি করেছেন? তিনি বললেন: “আল্লাহ।”

লোকটি বলল, আমি আপনাকে তাঁর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, তিনিই কি আপনাকে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন: “হাঁ।”

সে বললো, সাত আসমান ও সাত জমিনকে কে সৃষ্টি করেছেন এবং এদের মাঝে রিযিকের ব্যবস্থা করেছেন কে? তিনি বললেন: “আল্লাহ।”

লোকটি বলল, আমি আপনাকে তাঁরই কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, তিনিই কি আপনাকে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন: “হাঁ।”

সে বলল, আমরা আপনার (প্রেরিত) পত্রে পেয়েছি এবং আপনার দূত আমাদেরকে আদেশ করেছে যে, আমরা যেন দিনে ও রাতে নির্দিষ্ট সময়মত পাঁচবার সালাত আদায় করি। আমি আপনাকে তাঁর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, তিনিই কি আপনাকে (এর) আদেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন: “হাঁ।”

অতঃপর সে বলল, আমরা আপনার (প্রেরিত) পত্রে পেয়েছি এবং আপনার দূত আমাদেরকে আদেশ করেছে যে, আমরা যেন আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের নিকট থেকে সম্পদ (এর কিছু অংশ) সংগ্রহ করি এবং আমাদের দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করি। আমি আপনাকে তাঁর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, তিনিই কি আপনাকে (এর) আদেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন: “হাঁ।”

অতঃপর সে বলল, পঞ্চম (প্রশ্ন)টি আমি আর জিজ্ঞেস করছি না। এবং এর কোনো প্রয়োজনও আমার নেই। তারপর সে বললো, আমি এবং আমার কওমের যারা আমার অনুসরণ করবে, আমরা সকলে অবশ্যই এর উপর আমল করব।’ এরপর সে ফিরে গেল। ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হেঁসে ফেললেন, এমনকি তাঁর দাঁত পর্যন্ত প্রকাশিত হয়ে পড়লো। অতঃপর তিনি বললেন: “যে সত্তার হাতের মুঠোয় আমার প্রাণ, সেই সত্তার কসম! যদি সে সত্য বলে থাকে, তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”[1]

بَاب فَرْضِ الْوُضُوءِ وَالصَّلَاةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا غُلَامَ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ وَعَلَيْكَ وَقَالَ إِنِّي رَجُلٌ مِنْ أَخْوَالِكَ مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ وَأَنَا رَسُولُ قَوْمِي إِلَيْكَ وَوَافِدُهُمْ وَإِنِّي سَائِلُكَ فَمُشَدِّدٌ مَسْأَلَتِي إِلَيْكَ وَمُنَاشِدُكَ فَمُشَدِّدٌ مُنَاشَدَتِي إِيَّاكَ قَالَ خُذْ عَنْكَ يَا أَخَا بَنِي سَعْدٍ قَالَ مَنْ خَلَقَكَ وَخَلَقَ مَنْ قَبْلَكَ وَمَنْ هُوَ خَالِقُ مَنْ بَعْدَكَ قَالَ اللَّهُ قَالَ فَنَشَدْتُكَ بِذَلِكَ أَهُوَ أَرْسَلَكَ قَالَ نَعَمْ قَالَ مَنْ خَلَقَ السَّمَوَاتِ السَّبْعَ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ وَأَجْرَى بَيْنَهُنَّ الرِّزْقَ قَالَ اللَّهُ قَالَ فَنَشَدْتُكَ بِذَلِكَ أَهُوَ أَرْسَلَكَ قَالَ نَعَمْ قَالَ إِنَّا وَجَدْنَا فِي كِتَابِكَ وَأَمَرَتْنَا رُسُلُكَ أَنْ نُصَلِّيَ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ لِمَوَاقِيتِهَا فَنَشَدْتُكَ بِذَلِكَ أَهُوَ أَمَرَكَ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّا وَجَدْنَا فِي كِتَابِكَ وَأَمَرَتْنَا رُسُلُكَ أَنْ نَأْخُذَ مِنْ حَوَاشِي أَمْوَالِنَا فَنَرُدَّهَا عَلَى فُقَرَائِنَا فَنَشَدْتُكَ بِذَلِكَ أَهُوَ أَمَرَكَ بِذَلِكَ قَالَ نَعَمْ ثُمَّ قَالَ أَمَّا الْخَامِسَةُ فَلَسْتُ بِسَائِلِكَ عَنْهَا وَلَا أَرَبَ لِي فِيهَا ثُمَّ قَالَ أَمَا وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَأَعْمَلَنَّ بِهَا وَمَنْ أَطَاعَنِي مِنْ قَوْمِي ثُمَّ رَجَعَ فَضَحِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ثُمَّ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَئِنْ صَدَقَ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ

إسناده ضعيف محمد بن فضيل متأخر السماع من عطاء

اخبرنا محمد بن يزيد حدثنا ابن فضيل حدثنا عطاء بن الساىب عن سالم بن ابي الجعد عن ابن عباس قال جاء اعرابي الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال السلام عليك يا غلام بني عبد المطلب فقال وعليك وقال اني رجل من اخوالك من بني سعد بن بكر وانا رسول قومي اليك ووافدهم واني ساىلك فمشدد مسالتي اليك ومناشدك فمشدد مناشدتي اياك قال خذ عنك يا اخا بني سعد قال من خلقك وخلق من قبلك ومن هو خالق من بعدك قال الله قال فنشدتك بذلك اهو ارسلك قال نعم قال من خلق السموات السبع والارضين السبع واجرى بينهن الرزق قال الله قال فنشدتك بذلك اهو ارسلك قال نعم قال انا وجدنا في كتابك وامرتنا رسلك ان نصلي في اليوم والليلة خمس صلوات لمواقيتها فنشدتك بذلك اهو امرك قال نعم قال فانا وجدنا في كتابك وامرتنا رسلك ان ناخذ من حواشي اموالنا فنردها على فقراىنا فنشدتك بذلك اهو امرك بذلك قال نعم ثم قال اما الخامسة فلست بساىلك عنها ولا ارب لي فيها ثم قال اما والذي بعثك بالحق لاعملن بها ومن اطاعني من قومي ثم رجع فضحك النبي صلى الله عليه وسلم حتى بدت نواجذه ثم قال والذي نفسي بيده لىن صدق ليدخلن الجنة اسناده ضعيف محمد بن فضيل متاخر السماع من عطاء

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ১. ওযু ও সালাত ফরয হওয়া সম্পর্কে

৬৭৫. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু সা’দ ইবনু বাকর, যিমাম ইবনু ছা’লাবা রাদ্বিযাল্লাহু আনহুকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট পাঠিয়েছিলো। এরপর সে এসে তাঁর নিকট উপস্থিত হলো। এরপর সে তার উটটিকে মসজিদের দরজার সামনে বসিয়ে বেঁধে রাখলো এবং সে মসিজেদ প্রবেশ করলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবীগণের মাঝে বসে ছিলেন। আর যিমাম ছিল শক্তিশালী এক পুরুষ, যার লম্বা চুলগুলোতে দুটি বেনী করা ছিলো। সে সোজা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে এসে থামলো। অতঃপর সে বললো: তোমাদের মধ্যে আব্দুল মুত্তালিবের (বংশের) পুত্র কে?

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: আমি হলাম আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র।

সে জিজ্ঞেস করলো: (আপনি কি) মুহাম্মাদ? তিনি বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: হে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং আমি সে প্রশ্নের ব্যাপারে রূঢ়তা দেখাবো। কিন্তু আপনি আমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন না।

তিনি বললেন: “তোমার যা মনে চায় জিজ্ঞেস কর, আমি অসন্তুষ্ট হবো না।

আমি আপনাকে স্বীয় ইলাহ ও আপনার পূর্ববর্তীদের এবং আপনার পরবর্তীতে সৃষ্ট সকল সৃষ্টির ইলাহ, আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আল্লাহই কি আপনাকে আমাদের নিকট রাসূলরূপে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন: “আল্লাহুম্মা (তথা আল্লাহ সাক্ষী), হাঁ।”

আমি আপনাকে স্বীয় ইলাহ ও আপনার পূর্ববর্তীদের এবং আপনার পরবর্তীতে সৃষ্ট সকল সৃষ্টির ইলাহ, আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আল্লাহই কি আপনাকে আদেশ করেছেন যে, আমরা যেন একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, তাঁর সাথে কোনোকিছুকে যেন শরীক না করি? আরে আমাদের পূর্ব পূরুষরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে সকল শরীকদের ইবাদত করতো, আমরা তাদেরকে পরিত্যাগ করি? তিনি বললেন: “আল্লাহুম্মা (তথা আল্লাহ সাক্ষী), হাঁ।”

আমি আপনাকে স্বীয় ইলাহ ও আপনার পূর্ববর্তীদের এবং আপনার পরবর্তীতে সৃষ্ট সকল সৃষ্টির ইলাহ, আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আল্লাহই কি আপনাকে আদেশ করেছেন যে, আমরা যেন এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি? তিনি বললেন: “আল্লাহুম্মা (তথা আল্লাহ সাক্ষী), হাঁ।”

তিনি (বর্ণনাকারী ইবনু আব্বাস রা:) বলেন: এরপর সে একটি একটি করে ইসলামের ফরযসমূহের প্রত্যেক ফরয যেমন, যাকাত, সিয়াম, হাজ্জ্ব ও ইসলামী বিধানসমূহ উল্লেখ করতে লাগলো। এবং এর প্রত্যেকটি উল্লেখ করার সময় তাঁকে শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করলো যেভাবে সে পূর্বে উল্লেখিত বিষয়গুলিতে তাঁকে শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করল। এরপর যখন সে বিরত হলো, তখন বলল: তাহলে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মা’বুদ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আর আমি অবিলম্বেই এসকল ফরয আদায় করব এবং আপনি আমাকে যেসকল বিষয় থেকে নিষেধ করলেন, আমি সেগুলো পরিহার করবো।

তারপর সে বললো: আমি এতে কিছু বাড়াবোও না, আবার কমাবোও না। তারপর সে তার উটের নিকট ফিরে গেলো। আর যখন সে ফিরে গেলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “দু’বেনীওয়ালা যদি সত্য বলে থাকে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

তারপর লোকটি তার উটের নিকট এসে তার বাঁধন খুলে দিলো তারপর চলে গেল। তারপর সে তার কওমের নিকট উপনীত হয়ে তাদেরকে তার নিকট একত্রিত করলো। এরপর সেই প্রথমে কথা বলা শুরু করলো। সে বললো: কত মন্দ লাত ও উযযা!

তারা (কওমের লোকজন) বলল: হে যিমাম, থামো! কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হওয়াকে ভয় করো, পাগল হওয়াকে ভয় করো এবং গোদ রোগকে ভয় করো।

সে বললো: তোমরা ধ্বংস হও! আল্লাহর কসম! এ দুটো তোমাদের কোনোই ক্ষতি করতে পারে না এবং কোনোই উপকার করতে পারে না। তোমরা যে অবস্থায় ছিলে, তা থেকে তোমাদেরকে উদ্ধার করার জন্য আল্লাহ রাসূল প্রেরণ করেছেন এবং তাঁর প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মা’বুদ নেই, এবং আরও (সাক্ষ্য দিচ্ছি) যে, মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল। আর তিনি তোমাদেরকে যা করার আদেশ করেছেন এবং যা থেকে নিষেধ করেছেন, সেসব নিয়ে আমি তাঁর নিকট থেকে তোমাদের কাছে এসেছি।

তিনি (ইবনু আব্বাস রা:) বলেন: আল্লাহর কসম! সেদিন সেখানে উপস্থিত পুরুষ ও নারী সকলেই সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বেই মুসলিম হয়ে গিয়েছি। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু আব্বাস রা: বলেন: আমরা যিমাম ইবনু ছা’লাবার চেয়ে উত্তম কোনো কওমের প্রতিনিধির কথা শুনিনি।[1]

بَاب فَرْضِ الْوُضُوءِ وَالصَّلَاةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ نُوَيْفِعٍ عَنْ كُرَيْبٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ بَعَثَ بَنُو سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ ضِمَامَ بْنَ ثَعْلَبَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدِمَ عَلَيْهِ فَأَنَاخَ بَعِيرَهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ ثُمَّ عَقَلَهُ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فِي أَصْحَابِهِ وَكَانَ ضِمَامٌ رَجُلًا جَلْدًا أَشْعَرَ ذَا غَدِيرَتَيْنِ حَتَّى وَقَفَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيُّكُمْ ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالَ مُحَمَّدٌ قَالَ نَعَمْ قَالَ يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِنِّي سَائِلُكَ وَمُغَلِّظٌ فِي الْمَسْأَلَةِ فَلَا تَجِدَنَّ فِي نَفْسِكَ قَالَ لَا أَجِدُ فِي نَفْسِي فَسَلْ عَمَّا بَدَا لَكَ قَالَ إِنِّي أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ إِلَهِكَ وَإِلَهِ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ وَإِلَهِ مَنْ هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكَ آللَّهُ بَعَثَكَ إِلَيْنَا رَسُولًا قَالَ اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ إِلَهِكَ وَإِلَهِ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ وَإِلَهِ مَنْ هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ نَعْبُدَهُ وَحْدَهُ لَا نُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَأَنْ نَخْلَعَ هَذِهِ الْأَنْدَادَ الَّتِي كَانَتْ آبَاؤُنَا تَعْبُدُهَا مِنْ دُونِهِ قَالَ اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ إِلَهِكَ وَإِلَهِ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ وَإِلَهِ مَنْ هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ نُصَلِّيَ هَذِهِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ قَالَ اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ ثُمَّ جَعَلَ يَذْكُرُ فَرَائِضَ الْإِسْلَامِ فَرِيضَةً فَرِيضَةً الزَّكَاةَ وَالصِّيَامَ وَالْحَجَّ وَشَرَائِعَ الْإِسْلَامِ كُلَّهَا وَيُنَاشِدُهُ عِنْدَ كُلِّ فَرِيضَةٍ كَمَا نَاشَدَهُ فِي الَّتِي قَبْلَهَا حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَالَ فَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَسَأُؤَدِّي هَذِهِ الْفَرِيضَةَ وَأَجْتَنِبُ مَا نَهَيْتَنِي عَنْهُ ثُمَّ قَالَ لَا أَزِيدُ وَلَا أُنْقِصُ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى بَعِيرِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ وَلَّى إِنْ يَصْدُقْ ذُو الْعَقِيصَتَيْنِ يَدْخُلْ الْجَنَّةَ فَأَتَى إِلَى بَعِيرِهِ فَأَطْلَقَ عِقَالَهُ ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ فَاجْتَمَعُوا إِلَيْهِ فَكَانَ أَوَّلَ مَا تَكَلَّمَ أَنْ قَالَ بِاسْتِ اللَّاتِ وَالْعُزَّى قَالُوا مَهْ يَا ضِمَامُ اتَّقِ الْبَرَصَ وَاتَّقِ الْجُنُونَ وَاتَّقِ الْجُذَامَ قَالَ وَيْلَكُمْ إِنَّهُمَا وَاللَّهِ مَا يَضُرَّانِ وَلَا يَنْفَعَانِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ رَسُولًا وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ كِتَابًا اسْتَنْقَذَكُمْ بِهِ مِمَّا كُنْتُمْ فِيهِ وَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَقَدْ جِئْتُكُمْ مِنْ عِنْدِهِ بِمَا أَمَرَكُمْ بِهِ وَنَهَاكُمْ عَنْهُ قَالَ فَوَاللَّهِ مَا أَمْسَى مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ وَفِي حَاضِرِهِ رَجُلٌ وَلَا امْرَأَةٌ إِلَّا مُسْلِمًا قَالَ يَقُولُ ابْنُ عَبَّاسٍ فَمَا سَمِعْنَا بِوَافِدِ قَوْمٍ كَانَ أَفْضَلَ مِنْ ضِمَامِ بْنِ ثَعْلَبَةَ

إسناده ضعيف ولكن الحديث صحيح

اخبرنا محمد بن حميد حدثنا سلمة حدثني محمد بن اسحق حدثني سلمة بن كهيل ومحمد بن الوليد بن نويفع عن كريب مولى ابن عباس عن ابن عباس قال بعث بنو سعد بن بكر ضمام بن ثعلبة الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقدم عليه فاناخ بعيره على باب المسجد ثم عقله ثم دخل المسجد ورسول الله صلى الله عليه وسلم جالس في اصحابه وكان ضمام رجلا جلدا اشعر ذا غديرتين حتى وقف على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ايكم ابن عبد المطلب فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم انا ابن عبد المطلب قال محمد قال نعم قال يا ابن عبد المطلب اني ساىلك ومغلظ في المسالة فلا تجدن في نفسك قال لا اجد في نفسي فسل عما بدا لك قال اني انشدك بالله الهك واله من كان قبلك واله من هو كاىن بعدك الله بعثك الينا رسولا قال اللهم نعم قال فانشدك بالله الهك واله من كان قبلك واله من هو كاىن بعدك الله امرك ان نعبده وحده لا نشرك به شيىا وان نخلع هذه الانداد التي كانت اباونا تعبدها من دونه قال اللهم نعم قال فانشدك بالله الهك واله من كان قبلك واله من هو كاىن بعدك الله امرك ان نصلي هذه الصلوات الخمس قال اللهم نعم قال ثم جعل يذكر فراىض الاسلام فريضة فريضة الزكاة والصيام والحج وشراىع الاسلام كلها ويناشده عند كل فريضة كما ناشده في التي قبلها حتى اذا فرغ قال فاني اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله وساودي هذه الفريضة واجتنب ما نهيتني عنه ثم قال لا ازيد ولا انقص ثم انصرف الى بعيره فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم حين ولى ان يصدق ذو العقيصتين يدخل الجنة فاتى الى بعيره فاطلق عقاله ثم خرج حتى قدم على قومه فاجتمعوا اليه فكان اول ما تكلم ان قال باست اللات والعزى قالوا مه يا ضمام اتق البرص واتق الجنون واتق الجذام قال ويلكم انهما والله ما يضران ولا ينفعان ان الله قد بعث رسولا وانزل عليه كتابا استنقذكم به مما كنتم فيه واني اشهد ان لا اله الا الله وان محمدا عبده ورسوله وقد جىتكم من عنده بما امركم به ونهاكم عنه قال فوالله ما امسى من ذلك اليوم وفي حاضره رجل ولا امراة الا مسلما قال يقول ابن عباس فما سمعنا بوافد قوم كان افضل من ضمام بن ثعلبة اسناده ضعيف ولكن الحديث صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে