পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৭৬. ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকদের জিজ্ঞাসিত সকল বিষয়ে যে ব্যক্তি ফতোয়া দিয়ে দেয়, নিশ্চয়ই সেই ব্যক্তি একজন উন্মাদ বা পাগল।[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «إِنَّ الَّذِي يُفْتِي النَّاسَ فِي كُلِّ مَا يُسْتَفْتَى لَمَجْنُونٌ

إسناده صحيح

اخبرنا محمد بن يوسف، عن سفيان، عن الاعمش، عن ابي واىل، عن ابن مسعود قال: «ان الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى لمجنون اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৭৭. হুযায়ফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কেবলমাত্র তিন প্রকারের মানুষ লোকদেরকে ফতওয়া দিতে পারো: (এক.) যে ব্যক্তি ইমাম, কিংবা শাসক, (দুই.) যে ব্যক্তি আল-কুরআনের নাসিখ ও মানসুখ সম্পর্কে অভিজ্ঞ। তারা জিজ্ঞাসা করল, হে হুযায়ফা! ঔ ব্যক্তিটি কে? তিনি বললেন, উমার বিন খাত্ত্বাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু।  (তিন.) এবং বোকা, (কিন্তু জ্ঞানীর) ভানকারী।[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " إِنَّمَا يُفْتِي النَّاسَ ثَلَاثَةٌ: رَجُلٌ إِمَامٌ أَوْ وَالٍ، وَرَجُلٌ يَعْلَمُ نَاسِخَ الْقُرْآنِ مِنَ الْمَنْسُوخِ - قَالُوا: يَا حُذَيْفَةُ، مِنْ ذَاكَ؟ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ - أَوْ أَحْمَقُ مُتَكَلِّفٌ

إسناده ضعيف لانقطاعه محمد بن سيرين لم يدرك حذيفة

اخبرنا سعيد بن عامر، عن هشام، عن محمد، عن حذيفة رضي الله عنه، قال: " انما يفتي الناس ثلاثة: رجل امام او وال، ورجل يعلم ناسخ القران من المنسوخ - قالوا: يا حذيفة، من ذاك؟ قال عمر بن الخطاب - او احمق متكلف اسناده ضعيف لانقطاعه محمد بن سيرين لم يدرك حذيفة

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৭৮. আবী ওবাইদাহ ইবনু হুযায়ফা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযায়ফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, কেবলমাত্র তিন প্রকারের মানুষ লোকদেরকে ফতওয়া দিতে পারে: (এক) যে ব্যক্তি আল-কুরআনের নাসিখ ও মানসুখ সম্পর্কে জ্ঞানী। তারা বলল, হে হুযায়ফা! ঐ ব্যক্তিটি কে? তিনি বললেন, উমার বিন খাত্ত্বাব । তিনি বলে চললেন, (দুই.) সেই শাসক যার (ফতওয়া না দিয়ে) গত্যন্তর থাকে না; কিংবা বোকা, (কিন্তু জ্ঞানীর) ভানকারী।

অতঃপর মুহাম্মদ বলেন: আর আমি তো এ দু’প্রকার (উমার ইবনুল খাত্ত্বাব কিংবা শাসক) এর অন্তর্ভূক্ত নই-ই, আর আমি আশা করি আমি তৃতীয় প্রকারেরও (ভানকারী আহাম্মকের) অন্তর্ভূক্ত নই।’[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، أَنبَأَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ حُذَيْفَةَ قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: " إِنَّمَا يُفْتِي النَّاسَ أَحَدُ ثَلَاثَةٍ: رَجُلٌ عَلِمَ نَاسِخَ الْقُرْآنِ مِنْ مَنْسُوخِهِ، قَالُوا: وَمَنْ ذَاكَ؟ قَالَ: عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ - قَالَ: «وَأَمِيرٌ لَا يَجِدُ بُدًّا، أَوْ أَحْمَقُ مُتَكَلِّفٌ» ثُمَّ قَالَ مُحَمَّدٌ: فَلَسْتُ بِوَاحِدٍ مِنْ هَذَيْنِ، وَأَرْجُو أَنْ لَا أَكُونَ الثَّالِثَ

اخبرنا عبد الله بن سعيد، انبانا ابو اسامة، عن هشام بن حسان، عن محمد، عن ابي عبيدة بن حذيفة قال: قال حذيفة رضي الله عنه: " انما يفتي الناس احد ثلاثة: رجل علم ناسخ القران من منسوخه، قالوا: ومن ذاك؟ قال: عمر بن الخطاب - قال: «وامير لا يجد بدا، او احمق متكلف» ثم قال محمد: فلست بواحد من هذين، وارجو ان لا اكون الثالث

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৭৯. মাসরূক হতে বর্ণিত, তিনি আব্দুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে জ্ঞান রাখে, সে যেন সেই জ্ঞান অনুযায়ী কথা-বার্তা বলে। আর যে কোন বিষয়ে জ্ঞান রাখে না, সে যেন তার অজানা বিষয়ে একথা বলে, ’আল্লাহ-ই ভাল জানেন।’ আর যখন আলিম এমন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হয় যা সে জানে না, তবে সে যেন বলেন, ’আল্লাহ-ই ভাল জানেন।’ আর মহান আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বলেছেন: “বল, আমি তোমাদের নিকট কোনো পারিশ্রমিক চাই না এবং আমি ভানকারীদের অন্তর্ভূক্তও নই।”(সূরা ছোয়াদ : ৮৬)।[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: " مَنْ عَلِمَ مِنْكُمْ عِلْمًا، فَلْيَقُلْ بِهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْلَمْ، فَلْيَقُلْ لِمَا لَا يَعْلَمُ: اللَّهُ أَعْلَمُ. فَإِنَّ: الْعَالِمَ إِذَا سُئِلَ عَمَّا لَا يَعْلَمُ، قَالَ: اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَعْلَمُ، " وَقَدْ قَالَ اللَّهُ لِرَسُولِهِ: (قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ)

إسناده صحيح والحديث متفق عليه

اخبرنا جعفر بن عون، عن الاعمش، عن مسلم، عن مسروق، عن عبد الله قال: " من علم منكم علما، فليقل به، ومن لم يعلم، فليقل لما لا يعلم: الله اعلم. فان: العالم اذا سىل عما لا يعلم، قال: الله عز وجل اعلم، " وقد قال الله لرسوله: (قل ما اسالكم عليه من اجر وما انا من المتكلفين) اسناده صحيح والحديث متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৮০. আবুল মুহাল্লাব হতে বর্ণিত, (একদা) আবু মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খুতবায় বলেন, যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে জানে, সে যেন তা লোকদেরকে শেখায়। আর সে যেন এমন বিষয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকে, যে বিষয় তার জানা নেই। কেননা এর মাধ্যমে সে দীন থেকে বেরিয়ে যাবে এবং ভানকারীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে।[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ،: أَنَّ أَبَا مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ، فِي خُطْبَتِهِ: «مَنْ عَلِمَ عِلْمًا، فَلْيُعَلِّمْهُ النَّاسَ، وَإِيَّاهُ أَنْ يَقُولَ مَا لَا عِلْمَ لَهُ بِهِ فَيَمْرُقُ مِنَ الدِّينِ وَيَكُونَ مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ

اخبرنا يزيد بن هارون، حدثنا حميد، عن ابي رجاء، عن ابي المهلب،: ان ابا موسى رضي الله عنه، قال، في خطبته: «من علم علما، فليعلمه الناس، واياه ان يقول ما لا علم له به فيمرق من الدين ويكون من المتكلفين

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৮১. আবুল বুখতারী ও যাজান উভয়ে বর্ণনা করেন, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আহ! হৃদয়ে শীতলতা দানকারী কতই না উত্তম কথা, যে কোন অজানা বিষয়ে আমার নিকট কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে তার জবাবে আমার একথা বলা, ’আল্লাহ-ই সবচেয়ে ভাল জানেন’![1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، وَزَاذَانَ، قَالَا: قَالَ عَلِيٌّ رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِ " وَا بَرْدَهَا عَلَى الْكَبِدِ إِذَا سُئِلْتُ عَمَّا لَا أَعْلَمُ، أَنْ أَقُولَ: اللَّهُ أَعْلَمُ

إسناده ضعيف خالد بن عبد الله متأخر السماع من عطاء

اخبرنا عمرو بن عون، عن خالد بن عبد الله، عن عطاء بن الساىب، عن ابي البختري، وزاذان، قالا: قال علي رضوان الله عليه " وا بردها على الكبد اذا سىلت عما لا اعلم، ان اقول: الله اعلم اسناده ضعيف خالد بن عبد الله متاخر السماع من عطاء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৮২. আবুল বুখতারী হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: আহ! হৃদয়ে শীতলতা দানকারী কতই না উত্তম কথা, যে তোমার অজানা বিষয়ে (জিজ্ঞাসিত হলে) তুমি একথা বলবে, ’আল্লাহ-ই সবচেয়ে ভাল জানেন’![1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِ، قَالَ: " يَا بَرْدَهَا عَلَى الْكَبِدِ أَنْ تَقُولَ لِمَا لَا تَعْلَمُ: اللَّهُ أَعْلَمُ

إسناده ضعيف شريك متأخر السماع من عطاء

اخبرنا ابو نعيم، حدثنا شريك، عن عطاء بن الساىب، عن ابي البختري، عن علي رضوان الله عليه، قال: " يا بردها على الكبد ان تقول لما لا تعلم: الله اعلم اسناده ضعيف شريك متاخر السماع من عطاء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৮৩. রাযীন আবু নু’মান আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যখন তোমাদেরকে এমন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, যা তোমরা জান না, তখন তোমরা পালিয়ে যাও। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! এ পালিয়ে যাওয়াটা কেমন ভাবে? তিনি বললেন: তা হল, তোমরা বলবে: ’আল্লাহ-ই ভাল জানেন’।[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا عُمَيْرُ بْنُ عَرْفَجَةَ، حَدَّثَنَا رَزِينٌ أَبُو النُّعْمَانِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «إِذَا سُئِلْتُمْ عَمَّا لَا تَعْلَمُونَ، فَاهْرُبُوا» قَالَ: وَكَيْفَ الْهَرَبُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: تَقُولُونَ: اللَّهُ أَعْلَمُ

لم يحكم عليه المحقق

اخبرنا محمد بن يوسف، حدثنا عمير بن عرفجة، حدثنا رزين ابو النعمان، عن علي بن ابي طالب رضي الله عنه، قال: «اذا سىلتم عما لا تعلمون، فاهربوا» قال: وكيف الهرب يا امير المومنين؟ قال: تقولون: الله اعلم لم يحكم عليه المحقق

হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৮৪. আযুরাহ আত তামিমী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আহ! হৃদয়ে শীতলতা দানকারী কতই না উত্তম কথা- এ কথা তিনি তিনবার বলেন। তখন তারা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! সেটা কোন্ কথা? তখন তিনি বলেন, কোন লোক অজানা বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে তার একথা বলা, ’আল্লাহ-ই সবচেয়ে ভাল জানেন’।[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ عَزْرَةَ التَّمِيمِيِّ، قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَا بَرْدَهَا عَلَى الْكَبِدِ، ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. قَالُوا: وَمَا ذَلِكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: " أَنْ يُسْأَلَ الرَّجُلُ عَمَّا لَا يَعْلَمُ فَيَقُولُ: اللَّهُ أَعْلَمُ

لم يحكم عليه المحقق

اخبرنا محمد بن حميد، حدثنا جرير، عن منصور، عن مسلم البطين، عن عزرة التميمي، قال: قال علي رضي الله عنه، وا بردها على الكبد، ثلاث مرات. قالوا: وما ذلك يا امير المومنين؟ قال: " ان يسال الرجل عما لا يعلم فيقول: الله اعلم لم يحكم عليه المحقق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৮৫. উরওয়া হতে বর্ণিত, তিনি ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি ইবনু উমার রা: কে একটি মাস’আলা জিজ্ঞেস করেন। তখন তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। যখন সেই লোকটি ফিরে গেল, তখন ইবনু উমার বললেন, ইবনু উমার কী উত্তম কথা-ই না বলেছে! যে বিষয়ে তাঁর জানা নেই-এমন বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, ’এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا فَرْوَةُ بْنُ أَبِي الْمَغْرَاءِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ رَجُلًا سَأَلَهُ عَنْ مَسْأَلَةٍ فَقَالَ: لَا عِلْمَ لِي بِهَا، فَلَمَّا أَدْبَرَ الرَّجُلُ، قَالَ ابْنُ عُمَرَ: " نِعْمَ مَا قَالَ ابْنُ عُمَرَ، سُئِلَ عَمَّا لَا يَعْلَمُ فَقَالَ: لَا عِلْمَ لِي بِهِ

إسناده صحيح

اخبرنا فروة بن ابي المغراء، حدثنا علي بن مسهر، عن هشام بن عروة، عن ابيه، عن ابن عمر رضي الله عنهما، ان رجلا ساله عن مسالة فقال: لا علم لي بها، فلما ادبر الرجل، قال ابن عمر: " نعم ما قال ابن عمر، سىل عما لا يعلم فقال: لا علم لي به اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৮৬. মুগীরা থেকে বর্ণিত, তিনি শা’বী রাহিমাহুমুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ’আমি জানি না’ -এ কথা বলা হল ’ইলমে’র অর্ধাংশ।[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُغِيرَةَ عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ لَا أَدْرِي نِصْفُ الْعِلْمِ

إسناده صحيح

اخبرنا يحيى بن حماد، حدثنا ابو عوانة، عن مغيرة عن الشعبي قال لا ادري نصف العلم اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৮৭. নাফি’ হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা’র নিকট এসে কোন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করলো। তখন তিনি বললেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। অতঃপর লোকটি ফিরে যাওয়ার পর (লোকদের দিকে) লক্ষ্য করে বললেন, ইবনু উমার কী উত্তম কথা-ই না বলেছে! যে বিষয়ে তাঁর জানা নেই সে বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলে দিলেন, ’এ বিষয়ে আমার তথা ইবনু উমারের জানা নেই।[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْعُمَرِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ رَجُلًا أَتَى ابْنَ عُمَرَ يَسْأَلُهُ عَنْ شَيْءٍ فَقَالَ: لَا عِلْمَ لِي، ثُمَّ الْتَفَتَ بَعْدَ أَنْ قَفَّى الرَّجُلُ فَقَالَ: نِعْمَ مَا قَالَ ابْنُ عُمَرَ يسُألَ عَمَّا لَا يَعْلَمُ، فَقَالَ: لَا عِلْمَ لِي، يَعْنِي ابْنُ عُمَرَ نَفْسَهُ

اخبرنا عبد الله بن مسلمة، حدثنا عبد الله العمري، عن نافع، ان رجلا اتى ابن عمر يساله عن شيء فقال: لا علم لي، ثم التفت بعد ان قفى الرجل فقال: نعم ما قال ابن عمر يسال عما لا يعلم، فقال: لا علم لي، يعني ابن عمر نفسه

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৮৮. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমিরকে যখন কোন বিষয়ে প্রশ্ন করা হত, তখন তিনি বলতেন, ’আমি জানি না’। তারা তাকে পুনরায় একই প্রশ্ন করলে তিনি বলেন: আমি আল্লাহর কসম করে তোমাকে বলছি, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই।”[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، قَالَ: كَانَ عَامِرٌ " إِذَا سُئِلَ عَنْ شَيْءٍ يَقُولُ: لَا أَدْرِي، فَإِنْ رُدُّوا عَلَيْهِ، قَالَ: إِنْي حَلَفْتُ لَكَ بِاللَّهِ إِنْ كَانَ لِي بِهِ عِلْمٌ

إسناده ضعيف لضعف محمد بن حميد

اخبرنا محمد بن حميد، ثنا جرير، عن مغيرة، قال: كان عامر " اذا سىل عن شيء يقول: لا ادري، فان ردوا عليه، قال: اني حلفت لك بالله ان كان لي به علم اسناده ضعيف لضعف محمد بن حميد

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৮৯. ইবনু সীরীন থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে আমার জানা বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হোক, আর অজানা বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হোক- আমি তা পরোয়া করিনা। কেননা, যখন আমাকে এমন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, যা আমি জানি তখন আমি যা জানি তা বলি, ; আর যখন আমাকে আমার অজানা কোন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন আমি বলে দেই, আমি জানিনা।[1]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَفْصٍ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ: مَا أُبَالِي سُئِلْتُ عَمَّا أَعْلَمُ أَوْ مَا لَا أَعْلَمُ، لِأَنِّي " إِذَا سُئِلْتُ عَمَّا أَعْلَمُ، قُلْتُ مَا أَعْلَمُ، وَإِذَا سُئِلْتُ عَمَّا لَا أَعْلَمُ، قُلْتُ: لَا أَعْلَمُ

إسناده صحيح

اخبرنا هارون بن معاوية، عن حفص، عن اشعث، عن ابن سيرين، قال: ما ابالي سىلت عما اعلم او ما لا اعلم، لاني " اذا سىلت عما اعلم، قلت ما اعلم، واذا سىلت عما لا اعلم، قلت: لا اعلم اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২১. যেকোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়ামাত্রই যে ব্যক্তি লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায়- তার সম্পর্কে

১৯০. আ’মাশ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবরাহীম (আন নাখঈ’)-কে কখনো বলতে শুনিনি, ’এটি হালাল’ আর, ’এটি হারাম’। বরং তিনি বলতেন: তাঁরা (সাহাবীরা) তা ’মাকরূহ’ (অপছন্দনীয়) মনে করতেন, এবং তাঁরা তা ’মুস্তাহাব’ (পছন্দনীয়) মনে করতেন।’[১]

باب في الذي يفتي الناس في كل ما يستفتى

أَخْبَرَنَا هَارُونُ، عَنْ حَفْصٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، قَالَ: مَا سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ يَقُولُ قَطُّ: حَلَالٌ وَلَا حَرَامٌ، إِنَّمَا كَانَ يَقُولُ: كَانُوا يتكْرهونَ، وَكَانُوا يَسْتَحِبُّونَ

إسناده صحيح

اخبرنا هارون، عن حفص، عن الاعمش، قال: ما سمعت ابراهيم يقول قط: حلال ولا حرام، انما كان يقول: كانوا يتكرهون، وكانوا يستحبون اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে