পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
১৯১. শাক্বীক্ব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: তোমাদের অবস্থা তখন কেমন হবে যখন ফিতনা তোমাদের আচ্ছন্ন করে ফেলবে, যার মধ্যেই বড়রা বৃদ্ধ হবে এবং ছোটরা বেড়ে উঠবে। আর সেটিকেই লোকেরা সুন্নাত হিসেবে গ্রহণ করবে। যখন তা (ফিতনা) পরিবর্তন করা হবে, তখন লোকেরা বলবে, সুন্নাতকে পরিবর্তন করে ফেলা হল! তারা জিজ্ঞেস করল, হে আবু আব্দুর রহমান! এটা কখন ঘটবে? তিনি বললেন, যখন তোমাদের মধ্যে কুররা আবিদ বা দরবেশের সংখ্যা বেশি হবে এবং ফকীহ (বিশেষজ্ঞ আলিম) দের সংখ্যা কমে যাবে, আমীর বা নেতার সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং আমানতদারের সংখ্যা কমে যাবে এবং আখিরাতের আমলের (কাজের) দ্বারা দুনিয়া (এর লাভ) অন্বেষণ করা হবে।[1]
তাখরীজ: হাকিম, আল মুসতাদরাক, ৪/৫১৪-৫১৫; হাকিম চুপ থেকেছেন এবং যাহাবী একে বুখারী-মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন। আর তিনি যা বলেছেন সেটিই সঠিক। (তার মানে বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।); ইবনু আবী শাইবা, ১৫/২৪ নং ১৯০০৩; ইবনু ওয়াদাহ, আল বিদ’আহ, পৃ: ৭৮ নং ৮০।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: " كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا لَبِسَتْكُمْ فِتْنَةٌ يَهْرَمُ فِيهَا الْكَبِيرُ، وَيَرْبُو فِيهَا الصَّغِيرُ، وَيَتَّخِذُهَا النَّاسُ سُنَّةً، فَإِذَا غُيِّرَتْ قَالُوا: غُيِّرَتِ السُّنَّةُ ". قَالُوا: وَمَتَى ذَلِكَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ؟ قَالَ: إِذَا كَثُرَتْ قُرَّاؤُكُمْ، وَقَلَّتْ فُقَهَاؤُكُمْ، وَكَثُرَتْ أُمَرَاؤُكُمْ، وَقَلَّتْ أُمَنَاؤُكُمْ، وَالْتُمِسَتِ الدُّنْيَا بِعَمَلِ الْآخِرَةِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
১৯২. আলকামাহ বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, তোমাদের অবস্থা তখন কেমন হবে যখন ফিতনা তোমাদের আচ্ছন্ন করে ফেলবে, যার মধ্যেই বড়রা বৃদ্ধ হবে এবং ছোটরা বেড়ে উঠবে? যখন তা (ফিতনা) থেকে সামান্য কিছু পরিত্যাগ করা হবে, তখন বলা হবে, সুন্নাতকে পরিত্যাগ করা হল! তারা জিজ্ঞেস করল, এটা কখন ঘটবে? তিনি বললেন, যখন তোমাদের মধ্যকার আলিমগণ মৃত্যুবরণ করবেন এবং তোমাদের মাঝে জাহিল (মূর্খ)দের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তোমাদের মধ্যে কুররা বা দরবেশের সংখ্যা বেশি হবে এবং ফকীহ (বিশেষজ্ঞ আলিম) দের সংখ্যা কমে যাবে, আমীর বা নেতার সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং আমানতদারের সংখ্যা কমে যাবে, আখিরাতের আমলের (কাজের) দ্বারা দুনিয়া (এর লাভ) অন্বেষণ করা হবে এবং দ্বীনের উদ্দেশ্যে ব্যতীত অন্য উদ্দেশ্যে গভীর জ্ঞান (ফিকহ) অর্জন করা হবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু ওয়াদাহ, আল বিদ’আহ, পৃ: ৮৯ এবং সংক্ষিপ্ত আকারে পৃ: ৩৪ এ; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম, নং ১১৩৫।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا لَبِسَتْكُمْ فِتْنَةٌ يَهْرَمُ فِيهَا الْكَبِيرُ وَيَرْبُو فِيهَا الصَّغِيرُ، إِذَا تُرِكَ مِنْهَا شَيْءٌ قِيلَ: تُرِكَتِ السُّنَّةُ "، قَالُوا: وَمَتَى ذَلِكَ؟ قَالَ: «إِذَا ذَهَبَتْ عُلَمَاؤُكُمْ، وَكَثُرَتْ جُهَلَاؤُكُمْ، وَكَثُرَتْ قُرَّاؤُكُمْ، وَقَلَّتْ فُقَهَاؤُكُمْ، وَكَثُرَتْ أُمَرَاؤُكُمْ، وَقَلَّتْ أُمَنَاؤُكُمْ، وَالْتُمِسَتِ الدُّنْيَا بِعَمَلِ الْآخِرَةِ، وَتُفُقِّهَ لِغَيْرِ الدِّينِ
إسناده ضعيف لضعف يزيد بن أبي زياد ولكن الحديث صحيح بما سبقه
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
১৯৩. আওযায়ী বলতেন, আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, ধ্বংস ঐসকল ব্যক্তির জন্য যারা ইবাদতের উদ্দেশ্য ব্যতীত গভীর জ্ঞানার্জন করে এবং সংশয়পূর্ণ বস্তুসমূহের মাধ্যমে হারাম বস্তুসমূহকে হালাল প্রতিপন্ন করে ।[1]
তাখরীজ: খতীব, ইকতিদাউল ইলম ওয়াল আমল, পৃ: ৭৮ নং ১১৯; দেখুন শুয়াবুল ঈমান, নং ১৯২৪-১৯২৫।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: أُنْبِئْتُ أَنَّهُ كَانَ يُقَالُ: «وَيْلٌ لِلْمُتَفَقِّهِينَ لِغَيْرِ الْعِبَادَةِ وَالْمُسْتَحِلِّينَ الحرماتِ بِالشُّبُهَاتِ
إسناده ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
১৯৪. মাসরূক্ব হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমাদের আগামী বছর গুলো বিগত বছরগুলো থেকে অবশ্যই নিকৃষ্ট হবে। জেনে রাখ, আমি এ কথার দ্বারা এটা বুঝাচ্ছি না যে, এক বছরের চেয়ে আরেক বছর অধিক উর্বর হবে এবং এক আমীর অপর আমীর থেকে উত্তম হবে। বরং আমি এ দ্বারা একথা বুঝাতে চাচ্ছি যে, তোমাদের আলিমগণ, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ এবং ফকীহগণ মৃত্যুবরণ করবেন। অতঃপর তোমরা তাদের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মত কাউকে পাবে না। আর এমন একটি সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হবে যারা তাদের সকল কাজে আপন রায় (মতামত) দ্বারা কিয়াস করবে।[1]
তাখরীজ: আমি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৮৫৮ তে এর পূর্ণাঙ্গ তাখরীজ করেছি। এছাড়াও, ইবনু ওয়াদাহ, আল বিদ’আ নং ৭৮, ২৪৮; খতীব, আল ফাকিহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, ১/১৮২; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম,, নং ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯ ।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ سُهَيْلٍ، مَوْلَى يَحْيَى بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، ثَنَا يَحْيَى، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «لَا يَأْتِي عَلَيْكُمْ عَامٌ إِلَّا وَهُوَ شَرٌّ مِنَ الَّذِي كَانَ قَبْلَهُ. أَمَا إِنِّي لَسْتُ أَعْنِي عَامًا أَخْصَبَ مِنْ عَامٍ، وَلَا أَمِيرًا خَيْرًا مِنْ أَمِيرٍ، وَلَكِنْ عُلَمَاؤُكُمْ وَخِيَارُكُمْ وَفُقَهَاؤُكُمْ يَذْهَبُونَ، ثُمَّ لَا تَجِدُونَ مِنْهُمْ خَلَفًا، وَيَجِيءُ قَوْمٌ يَقِيسُونَ الْأُمُورَ بِرَأْيِهِمْ
إسناده ضعيف لضعف مجالد بن سعيد
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
১৯৫. ইবনু সীরীন বলেন, ইবলিসই সর্বপ্রথম কিয়াস করেছিল এবং একমাত্র কিয়াসের ভিত্তিতেই সূর্য ও চন্দ্রের ইবাদত করা (শুরু) হয়েছিল।[1]
তাখরীজ: তাবারী, আত তাফসীর, ৮/১৩১; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম, নং ১৬৭৫; খতীব, আল ফাকিহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, নং ৫০৬; দেখুন পরবর্তী হাদীসটি।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ دَاوُدَ بْنَ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ قَالَ: أَوَّلُ مَنْ قَاسَ إِبْلِيسُ، وَمَا عُبِدَتِ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ إِلَّا بِالْمَقَايِيسِ
إسناده جيد
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
১৯৬. মাতর থেকে বর্ণিত, হাসান এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন, (خَلَقْتَنِي مِن نَّارٍ وَخَلَقْتَهُ مِن طِينٍ) (আমাকে আপনি আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি হতে”- সূরা আল-আরাফ: ১২) তারপর তিনি বললেন, ইবলিস কিয়াস (তুলনা) করল। আর ইবলিসই সর্বপ্রথম কিয়াস করেছিল।[1]
তাখরীজ: তাবারী, আত তাফসীর, ৮/১৩১; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম, নং ১৬৭৪; দেখুন পূর্ববর্তী হাদীসটি।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ مَطَرٍ عَنِ الْحَسَنِ أَنَّهُ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ (خَلَقْتَنِي مِنْ نَارٍ وَخَلَقْتَهُ مِنْ طِينٍ) [الأعراف: 12] قَالَ: «قَاسَ إِبْلِيسُ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ قَاسَ
إسناده ضعيف من أجل محمد بن كثير ومطر
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
১৯৭. মাসরূক বলেন, আমি কিয়াস করতে খুব ভয় পাই বা আশঙ্কাবোধ করি এই জন্য যে, আমার পা পিছলে যায় কি-না![1]
তাখরীজ: ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম, নং ১৬৭৬, ১৬৭৭, ১৬৭৮; খতীব, আল ফাকিহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, নং ৪৮৯;
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ أَنَّهُ قَالَ: «إِنِّي أَخَافُ أَوْ أَخْشَى أَنْ أَقِيسَ، فَتَزِلَّ قَدَمِي
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
১৯৮. শা’বী বলতেন, আল্লাহর কসম, যদি তোমরা কিয়াস করাকে অবলম্বন কর, তাহলে অবশ্যই তোমরা হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল বানিয়ে ফেলবে।[1]
তাখরীজ: খতীব, আল ফাকিহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, নং ১/১৮৩, ১৮৪; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম, নং ১৬৭৯ ঈসা হান্নাতের সনদে, ঈসা হান্নাত মাতরূক।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: وَاللَّهِ «لَئِنْ أَخَذْتُمْ بِالْمَقَايِيسِ، لَتُحَرِّمُنَّ الْحَلَالَ، وَلَتُحِلُّنَّ الْحَرَامَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
১৯৯. ইসমাঈল হতে বর্ণিত, আমির বলতেন: আমার নিকট সবচেয়ে ঘৃণ্য কথা হল, ’আপনার মতামত কী-’ ’আপনার মতামত কী’। কোন লোক তার সাথীকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে অতঃপর বলে, ’তোমার মতামত কী?’। আর তিনি (আমির) কিয়াস করতেন না।[1]
তাখরীজ: ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ, ২/৫১৭ নং ৬০৫ ও ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ২০৯৫ অন্য সনদে এটি বর্ণনা করেছেন। আর এ সনদটি সহীহ।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَامِرٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: " مَا أَبْغَضَ إِلَيَّ أَرَأَيْتَ، أَرَأَيْتَ يَسْأَلُ الرَّجُلُ صَاحِبَهُ فَيَقُولُ: أَرَأَيْتَ وَكَانَ لَا يُقَايِسُ
لم يحكم عليه المحقق
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
২০০. যিবরিক্বান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ ওয়ায়িল আমাকে সেই সেকল লোকদের নিকট বসা হতে বারণ করেছেন, যারা (কোন বিষয়ে প্রশ্ন করে) বলে ’আপনার মতামত কী?’।[1]
তাখরীজ: ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ২/৪৫১ নং ৪১৫, ৪১৬, ২/৫১৬ নং ৬০৪; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ২০৯৪।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الزِّبْرِقَانِ، قَالَ: «نَهَانِي أَبُو وَائِلٍ أَنْ أُجَالِسَ أَصْحَابَ أَرَأَيْتَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
২০১. শা’বী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি এসকল (অনাগত বিষয়ে অধিক প্রশ্নকারী) লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জামানার হত, তবে (এদের প্রশ্নের জবাবে) অবশ্যই পুরো কুরআনই নাযিল হত (একথা বলে) যে,’তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করছে’, তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করছে’।[1]
তাখরীজ: এ আছারটি সনদসহ আমি আর কোথাও পাইনি। আর ইবনু বাত্তাহ (সনদবিহীনভাবে) ‘আল ইবানা’ ১/৪১৯ তে কাছাকাছি শব্দে এটি বর্ণনা করেছেন।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، أَنبَأَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: «لَوْ أَنَّ هَؤُلَاءِ كَانُوا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَنَزَلَتْ عَامَّةُ الْقُرْآنِ يَسْأَلُونَكَ يَسْأَلُونَكَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
২০২. মাইমুন আবু হামযা বলেন, ইবরাহীম আমাকে বলেন, হে আবু হামযা! আল্লাহর কসম! আমি কথা বলেছি (ফতওয়া দিয়েছি)। কিন্তু, আমার যদি কোন গত্যন্তর থাকত তবে আমি কোন কথা-ই বলতাম না (কোন ফতওয়া দিতাম না) । কেননা, যে যুগে আমি কুফাবাসীদের ফকীহ হয়েছি, সেই যুগটি অত্যন্ত মন্দ।[1]
তাখরীজ: দাওলাবী, আল কুন্নী ১/১৫৮; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৪/২২৩।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدٌ هُوَ: ابْنُ طَلْحَةَ، عَنْ مَيْمُونٍ أَبِي حَمْزَةَ قَالَ: قَالَ لِي إِبْرَاهِيمُ: يَا أَبَا حَمْزَةَ، «وَاللَّهِ لَقَدْ تَكَلَّمْتُ، وَلَوْ وَجَدْتُ بُدًّا مَا تَكَلَّمْتُ، وَإِنَّ زَمَانًا أَكُونُ فِيهِ فَقِيهَ أَهْلِ الْكُوفَةِ زَمَانُ سُوءٍ
إسناده ضعيف لضعف ميمون أبي حمزة القصاب
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
২০৩. মুজাহিদ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, তুমি যে কারও কথার (কিয়াস করার মাধ্যমে) প্রতিউত্তর দেয়া[1] থেকে বিরত থাকো।[2]
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ লাইছের কারণে। আর সে হল ইবনু আবী সালীম।
তাখরীজ: আবু খায়ছামা, আল ইলম, নং ৬৫; খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, ১/১৮২।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: " إِيَّاي وَالْمُكَايَلَةَ يَعْنِي: فِي الْكَلَامِ
إسناده ضعيف من أجل ليث وهو: ابن أبي سليم
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
২০৪. শা’বী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুরাইহ-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন তার নিকট মুরাদ গোত্রের এক ব্যক্তি এসে বললো, হে আবু উমাইয়্যা! আঙুলসমূহের দিয়াত (রক্তপণ) কী? তিনি বলেন, (প্রতিটি আঙুলের জন্য) দশ দশটি (করে উট)। লোকটি বলল, সুবহানাল্লাহ! এ দু’টি আঙ্গুল কি সমান? একথা বলে সে কনিষ্ঠ অঙ্গুলি ও বৃদ্ধাঙ্গুলি একত্রিত করল। তখন শুরাইহ বললেন, সুবহানাল্লাহ! তোমার কান আর তোমার হাত কি সমান? কান তো চুল, টুপি ও পাগড়ী দ্বারা আবৃত থাকে, তার জন্য অর্ধেক দিয়াত (রক্তপণ), আবার হাতের জন্যও অর্ধেক দিয়াত।
তোমার জন্য আফসোস! নিশ্চয় সুন্নাত (হাদীছ) তোমাদের কিয়াস হতে অগ্রবর্তী। সুতরাং সুন্নাতের অনুসরণ কর, বিদ’আত তৈরি করো না। কেননা, তুমি কখনো পথভ্রষ্ট হবে না, যতক্ষণ তুমি হাদীসকে আঁকড়ে ধরে থাকবে।
আবু বাকর বলেন, তারপর শা’বী আমাকে বলেন, হে হুযালী! যদি তোমাদের মধ্যকার একজন জ্ঞানী ব্যক্তিকে এবং এই দোলনার শিশুকে হত্যা করা হয়, তবে এদের দিয়াত সমান হবে কি? আমি বললাম, হাঁ। তখন তিনি বললেন, তাহলে কিয়াস (তুলনা-অনুমান) কোথায় গেল?[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুছান্নাফ নং ১৭৭০৩ অতি সংক্ষিপ্ত আকারে; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম, নং ২০২৪।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْهُذَلِيُّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: شَهِدْتُ شُرَيْحًا وَجَاءَهُ رَجُلٌ مِنْ مُرَادٍ، فَقَالَ: يَا أَبَا أُمَيَّةَ، مَا دِيَةُ الْأَصَابِعِ؟ قَالَ: «عَشْرٌ عَشْرٌ». قَالَ: يَا سُبْحَانَ اللَّهِ، أَسَوَاءٌ هَاتَانِ؟ جَمَعَ بَيْنَ الْخِنْصِرِ وَالْإِبْهَامِ. فَقَالَ شُرَيْحٌ: يَا سُبْحَانَ اللَّهِ، أَسَوَاءٌ أُذُنُكَ وَيَدُكَ؟ فَإِنَّ الْأُذُنَ يُوَارِيهَا الشَّعْرُ وَالْكُمَّةُ وَالْعِمَامَةُ فِيهَا نِصْفُ الدِّيَةِ، وَفِي الْيَدِ نِصْفُ الدِّيَةِ. وَيْحَكَ: إِنَّ السُّنَّةَ سَبَقَتْ قِيَاسَكُمْ فَاتَّبِعْ وَلَا تَبْتَدِعْ، فَإِنَّكَ لَنْ تَضِلَّ مَا أَخَذْتَ بِالْأَثَرِ. قَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَقَالَ لِي الشَّعْبِيُّ: يَا هُذَلِيُّ، لَوْ أَنَّ أَحْنَفَكُمْ قُتِلَ وَهَذَا الصَّبِيُّ فِي مَهْدِهِ، أَكَانَ دِيَتُهُمَا سَوَاءً؟ قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: فَأَيْنَ الْقِيَاسُ
في إسناده أبو بكر الهذلي وهو متروك
পরিচ্ছেদঃ ২২. কালের বিবর্তন ও নতুন বিষয়ের আবির্ভাব
২০৫. রবীয়াহ ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, মানুষদের সামনে কুরআনকে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে এমনকি মহিলা, শিশু, পুরুষ সকলেই তা পাঠ করতে থাকবে। অতঃপর এক ব্যক্তি বলবে: আমি তো কুরআন পাঠ করলাম, কিন্তু কেউ-ই তো আমার অনুসরণ করল না। আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই আমি লোকদের মাঝে এ (কুরআন) নিয়ে দণ্ডায়মান হব, যাতে তারা আমার অনুসরণ করে। অত:পর সে তা নিয়ে তাদের মাঝে দণ্ডায়মান হবে, কিন্তু কেউ-ই তার অনুসরণ করবে না। তখন সে বলবে, আমি তো কুরআন পাঠ করলাম তবুও কেউ আমার অনুসরণ করল না! আমি তাদের মাঝে তা নিয়ে দণ্ডায়মান হলাম (বাস্তবায়ন করলাম), তাতেও তারা আমার অনুসরণ করল না! ফলে এখন আমি অবশ্যই আমার বাড়িতে চারপাশে পর্দা বা বেড়া দিয়ে ঘিরে দেব একটি সিজদার স্থান বানাব (খানকা তৈরী করব), যাতে লোকেরা আমার অনুসরণ করে। ফলে সে তার বাড়িতে চারপাশে পর্দা বা বেড়া দিয়ে ঘিরে একটি সিজদার স্থান বানাবে (খানকা তৈরী করবে), কিন্তু তারপরও কেউ-ই তার অনুসরণ করবে না।
তাই সে বলবে, আমি এত কুরআন পড়লাম, কিন্তু কেউ-ই তো আমার অনুসরণ করল না। আমি তাদের মাঝে তা নিয়ে দাঁড়ালাম, তাতেও তারা আমার অনুসরণ করল না! আমার বাড়িতে চারপাশে পর্দা বা বেড়া দিয়ে ঘিরে সিজদার স্থান বানালাম (খানকা তৈরী করলাম), তবুও কেউ আমার অনুসরণ করল না! আল্লাহর কসম, তাহলে আমি তাদের নিকট এমন কথা বা বাণী নিয়ে উপস্থিত হব, যা তারা আল্লাহ জাল্লা ওয়া ’আলা’র কিতাবে খুঁজে পাবে না, আর তারা তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট থেকেও শুনেনি, যেন তারা আমার অনুসরণ করে।
মুয়ায বলেন, সাবধান! তারা যা নিয়ে আসবে, তা থেকে তোমরা দূরে থাকবে। কেননা, তারা যা নিয়ে আসবে, নিশ্চয়ই তা পথভ্রষ্টতা বা বিভ্রান্তি।[1]
তাখরীজ: মা’মার, জামি’ ১১/৩৬৩-৩৬৪ নং ২০৭৫০; আবু দাউদ, ৪৬১১; ইবনু ওয়াদা, আল বিদ’আ নং ৫৯-৬৩; ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/৩০৮ নং ১৪৩; আল আজুরী, আশ শরীয়াহ পৃ.৫৪-৫৫; ফাসওয়ায়ী, আল মারেফাতু ওয়াত তারীখ ২/৩২১-৩২২; লালিকায়ী, শরহু উসুলুল ই’তিকাদ নং ১১৬-১১৭।
بَابُ تَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَمَا يَحْدُثُ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: قَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، " يُفْتَحُ الْقُرْآنُ عَلَى النَّاسِ حَتَّى يَقْرَأَهُ الْمَرْأَةُ وَالصَّبِيُّ وَالرَّجُلُ، فَيَقُولُ الرَّجُلُ: قَدْ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ فَلَمْ أُتَّبَعُ، وَاللَّهِ لَأَقُومَنَّ بِهِ فِيهِمْ لَعَلِّي أُتَّبَعُ، فَيَقُومُ بِهِ فِيهِمْ فَلَا يُتَّبَعُ، فَيَقُولُ: قَدْ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ فَلَمْ أُتَّبَعْ، وَقَدْ قُمْتُ بِهِ فِيهِمْ، فَلَمْ أُتَّبَعْ، لَأَحتَظِرَنَّ فِي بَيْتِي مَسْجِدًا لَعَلِّي أُتَّبَعُ، فَيَحْتَظِرُ فِي بَيْتِهِ مَسْجِدًا فَلَا يُتَّبَعُ، فَيَقُولُ: قَدْ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ فَلَمْ أُتَّبَعْ، وَقُمْتُ بِهِ فِيهِمْ فَلَمْ أُتَّبَعْ، وَقَدِ احْتظرْتُ فِي بَيْتِي مَسْجِدًا، فَلَمْ أُتَّبَعْ، وَاللَّهِ لَآتِيَنَّهُمْ: بِحَدِيثٍ لَا يَجِدُونَهُ فِي كِتَابِ اللَّهِ - جَلَّ وَعَلَا - وَلَمْ يَسْمَعُوهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَلِّي أُتَّبَعُ قَالَ مُعَاذٌ: فَإِيَّاكُمْ وَمَا جَاءَ بِهِ فَإِنَّ مَا جَاءَ بِهِ ضَلَالَةٌ
إسناده صحيح