পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৩১. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাষ্ঠখণ্ডের নিকট দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। তারপর যখন মিম্বার (বানিয়ে) নিলেন, তখন কাষ্ঠখণ্ডটি কাঁদতে থাকল যতক্ষণ না তিনি সেটির কাছে এসে তার উপর হাত বুলিয়ে দিলেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, ৩৫৮৩; তিরমিযী ৫০৫।
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ الْعَلَاءِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ
يَخْطُبُ إِلَى جِذْعٍ، فَلَمَّا اتَّخَذَ الْمِنْبَرَ حَنَّ الْجِذْعُ حَتَّى أَتَاهُ، فَمَسَحَهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৩২. ইবনু বুরাইদা তার পিতা বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন খুতবা দিতেন তখন তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন। এভাবে (দীর্ঘক্ষণ) দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর জন্য কষ্টকর হত। তখন তাঁর জন্য খেজুর গাছের একটি কাষ্ঠ খণ্ড নিয়ে আসা হল এবং তিনি যেখানে দাঁড়াতেন তার পাশে গর্ত করে খাড়া ভাবে পূঁতে দেওয়া হল। অতঃপর তিনি দীর্ঘক্ষণ ধরে খুতবা দেওয়ার সময় সেটিতে ভর দিতেন, আবার তার সাথে ঠেস দিয়েও দাঁড়াতেন। এটির প্রতি মদীনায় আগত এক ব্যক্তির দৃষ্টি আকৃষ্ট হল। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঐ কাষ্ঠখণ্ডটির পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো। সে তার পাশের এক ব্যক্তিকে বলল, যদি জানতে পারতাম যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য উপকারী কিছু করলে তিনি আমার প্রশংসা করবেন, তাহলে অবশ্যই আমি তাঁর জন্য একটি বসার জায়গা বানিয়ে দিতাম, যার উপর তিনি দাঁড়াতে পারতেন। তিনি ইচ্ছা করলে বসতে পারতেন, আবার ইচ্ছা করলে দাঁড়াতেও পারতেন।
একথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট পৌঁছলে তিনি বললেন: ’তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো।’ তাকে তাঁর নিকট নিয়ে আসা হলে তাকে তিন বা চার ধাপ উঁচু এই (মিম্বার)টি বানানোর নির্দেশ দিলেন, যা এখনকার মদীনার (মসজিদে নববীর) মিম্বার। (সেটি বানানো হলে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেটিতে বসে বেশ আরাম পেলেন। যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই কাষ্ঠ খণ্ডটিকে ছেড়ে তাঁর জন্য বানানো এ (মিম্বার) টিতে আরোহন করলেন, তখন যেভাবে উটনী (বাচ্চার বিরহে) কাঁদে, তেমনিভাবে কাষ্ঠ খণ্ডটি অস্থির হয়ে কাঁদতে লাগলো,যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে ছেড়ে গেলেন।
ইবনু বুরাইদা তার পিতা হতে তাঁর ধারণা অনুযায়ী আরও বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কাষ্ঠ খণ্ডটির কান্না শুনতে পেলেন, তখন তিনি তার কাছে ফিরে গিয়ে এর গায়ে হাত রেখে বললেন: ’তুমি বেছে নাও (কোনটি চাও), তুমি যেখানে ছিলে সেখানে তোমাকে পূঁতে রাখব, ফলে তুমি যেমন ছিলে তেমনই থাকবে,অথবা আমি তোমাকে জান্নাতে রোপণ করব, তখন তুমি সেখানকার নদী ও ঝর্ণা থেকে পান করতে পারবে এবং তুমি সুন্দর সুশোভিত হয়ে উঠবে এবং ফল-ফলাদি দেবে, আর তখন আল্লাহর ওলীগণ তোমার ফল-ফলাদি ও খেজুর খাবে, তুমি যদি চাও তবে আমি তাই করব।’
তাঁর আরও ধারণা, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্ভবত আরও বলতে শুনেছেন, তিনি সেটিকে বলেছেন: ’হাঁ, আমি দু’বার তাই করেছি।’ তখন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, (যে সে কোনটি বেছে নিয়েছে?), তখন তিনি বললেন: ’সে বেছে নিয়েছে যে, আমি যেন তাকে জান্নাতে রোপণ করে দেই।”[1]
তাখরীজ: (মুহাক্কিক্ব এখানে তার তাহক্বীক্বকৃত হাইছামীর মাজমাউয যাওয়াইদ (৩১৩২ নং) হাদীসের আলোচনা দেখতে বলেছেন।)
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا تَمِيمُ بْنُ عَبْدِ الْمُؤْمِنِ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ حَيَّانَ، حَدَّثَنِي ابْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَطَبَ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيامَ، فَكَانَ يَشُقُّ عَلَيْهِ قِيَامُهُ، فَأُتِيَ بِجِذْعِ نَخْلَةٍ فَحُفِرَ لَهُ وَأُقِيمَ إِلَى جَنْبِهِ قَائِمًا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَطَبَ فَطَالَ الْقِيَامُ عَلَيْهِ، اسْتَنَدَ إِلَيْهِ فَاتَّكَأَ عَلَيْهِ فَبَصُرَ بِهِ رَجُلٌ كَانَ وَرَدَ الْمَدِينَةَ، فَرَآهُ قَائِمًا إِلَى جَنْبِ ذَلِكَ الْجِذْعِ، فَقَالَ: لِمَنْ يَلِيهِ مِنْ النَّاسِ: لَوْ أَعْلَمُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَحْمَدُنِي فِي شَيْءٍ يَرْفُقُ بِهِ، لَصَنَعْتُ لَهُ مَجْلِسًا يَقُومُ عَلَيْهِ، فَإِنْ شَاءَ، جَلَسَ مَا شَاءَ، وَإِنْ شَاءَ، قَامَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " ائْتُونِي بِهِ "، فَأَتَوْهُ بِهِ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَصْنَعَ لَهُ هَذِهِ الْمَرَاقِيَ الثَّلَاثَ، أَوْ الْأَرْبَعَ هِيَ الْآنَ فِي مِنْبَرِ الْمَدِينَةِ، فَوَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ رَاحَةً، فَلَمَّا فَارَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجِذْعَ وَعَمَدَ إِلَى هَذِهِ الَّتِي صُنِعَتْ لَهُ، جَزِعَ الْجِذْعُ فَحَنَّ كَمَا تَحِنُّ النَّاقَةُ حِينَ فَارَقَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَزَعَمَ ابْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ سَمِعَ حَنِينَ الْجِذْعِ، رَجَعَ إِلَيْهِ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهِ وَقَالَ: " اخْتَرْ أَنْ أَغْرِسَكَ فِي الْمَكَانِ الَّذِي كُنْتَ فِيهِ، فَتَكُونَ كَمَا كُنْتَ، وَإِنْ شِئْتَ أَنْ أَغْرِسَكَ فِي الْجَنَّةِ فَتَشْرَبَ مِنْ أَنْهَارِهَا وَعُيُونِهَا فَيَحْسُنُ نَبْتُكَ، وَتُثْمِرُ فَيَأْكُلَ أَوْلِيَاءُ اللَّهِ مِنْ ثَمَرَتِكَ وَنَخْلِكَ فَعَلْتُ " فَزَعَمَ أَنَّهُ سَمِعَ مِنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ لَهُ: " نَعَمْ قَدْ فَعَلْتُ مَرَّتَيْنِ "، فَسُأَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: اخْتَارَ أَنْ أَغْرِسَهُ فِي الْجَنَّةِ
إسناده فيه ضعيفان : محمد بن حميد وصالح بن حيان
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৩৩. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মিম্বার তৈরীর পূর্বে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাষ্ঠ খণ্ডের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়াতেন। তারপর যখন মিম্বার তৈরী করা হল, তখন এই কাষ্ঠখণ্ডটি এমনভাবে কাঁদতে লাগল যে, আমরা তা শুনতে পেলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটির উপর তাঁর হাত রাখলেন, ফলে এটি শান্ত হল।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ, আল মুসনাদ ৩/২৯৩; বুখারী ৪৪৯; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৫০৮।
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَقُومُ إِلَى جِذْعٍ قَبْلَ أَنْ يُجْعَلَ الْمِنْبَرُ، فَلَمَّا جُعِلَ الْمِنْبَرُ حَنَّ ذَلِكَ الْجِذْعُ حَتَّى سَمِعْنَا حَنِينَهُ، فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ عَلَيْهِ فَسَكَنَ
لم يحكم عليه المحقق
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৩৪. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাষ্ঠ খণ্ডের সাথে হেলান দিয়ে খুতবা দিতেন। তারপর যখন মিম্বার তৈরী করা হল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিম্বারের উপর বসলেন, তখন সেটি (কাষ্ঠখণ্ডটি) দশ মাসের গর্ভবতী উটনীর ন্যায় (শব্দ করে) কান্না জুড়ে দিল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটির উপর তাঁর হাত রাখলেন, ফলে তা শান্ত হয়ে গেল।[1]
তাখরীজ: পূর্ববর্তী হাদীসটি দেখনু।
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ إِلَى خَشَبَةٍ، فَلَمَّا صُنِعَ الْمِنْبَرُ فَجَلَسَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَنَّتْ حَنِينَ الْعِشَارِ حَتَّى وَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ عَلَيْهَا فَسَكَنَتْ
صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৩৫. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত তিনি বলেন, কাষ্ঠ খণ্ডটি এমনভাবে কাঁদতে লাগল, যেভাবে বাচ্চা হারানো উটনী কেঁদে থাকে।”[1]
তাখরীজ: আহমদ ৩/২৯৩; আবী ইয়ালা, আল মুসনাদ নং ২১৭৭; পূর্ণ তাখরীজের জন্য পূর্বের হাদীসটি দ্র:
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
أَخْبَرَنَا فَرْوَةُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاق، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي كَرِيبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: حَنَّتْ الْخَشَبَةُ حَنِينَ النَّاقَةِ الْخَلُوجِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৩৬. তুফাইল তার পিতা উবাই ইবনু কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মাসজিদ যখন ছাদবিহীন ছিল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাষ্ঠখণ্ডের নিকট দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন এবং সেটির উপর ভর দিয়ে খুতবা দিতেন। একজন সাহাবী বললেন, আমরা কি আপনার (মসজিদের) জন্য একটি বসার জায়গা বানিয়ে দেব না, যার উপর দাঁড়ালে জুমু’আর দিন লোকজন আপনাকে দেখতে পায় এবং আপনার খুতবা শুনতে পায়? তিনি বললেন: ’হাঁ’। তখন তাঁর জন্য তিন স্তরবিশিষ্ট অবকাঠামো তৈরী করে মিম্বারের উপর স্থাপন করা হলো। এভাবে মিম্বার তৈরী হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক নির্ধারিত সেটি সে স্থানে স্থাপন করা হল।
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে মিম্বারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য একে (কাষ্ঠখণ্ডটিকে) অতিক্রম করে আগে বাড়লেন, ঠিক তখনই তা আর্তনাদ করে উঠল। ফলে তা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটির উপর হাত বুলিয়ে দিলেন, অতঃপর সেটি শান্ত হল। তারপর তিনি মিম্বারে ফিরে এলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর থেকে যখনই তিনি সালাত আদায় করতেন, এটির নিকটেই আদায় করতেন। তারপর যখন মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হল, তখন উবাই ইবনু কা’ব সেই কাষ্ঠ খণ্ডটি নিয়ে গেলেন। যতদিন তা জীর্ণ না হয়েছিল এবং উইপোকা খেয়ে টুকরা টুকরা না করেছিল, ততদিন তা তার নিকটই ছিল।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ, আল মুসনাদ ৫/১৩৮-১৩৯; ইবনু মাজা ১৪১৪; আবু নুয়াইম, আদ দালাইল ৩০৬।
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُصَلِّي إِلَى جِذْعٍ وَيَخْطُبُ إِلَيْهِ إِذْ كَانَ الْمَسْجِدُ عَرِيشًا، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ: أَلَا نَجْعَلُ لَكَ عَرِيشًا تَقُومُ عَلَيْهِ يَرَاكَ النَّاسُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَتُسْمَعُ مِنْ خُطْبَتِكَ؟، قَالَ: " نَعَمْ "، فَصُنِعَ لَهُ الثَّلَاثَ دَرَجَاتٍ، هُنَّ اللَّوَاتِي عَلَى الْمِنْبَرِ، فَلَمَّا صُنِعَ الْمِنْبَرُ وَوُضِعَ فِي مَوْضِعِهِ الَّذِي وَضَعَهُ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَلَمَّا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرِيدُ الْمِنْبَرَ مَرَّ عَلَيْهِ، فَلَمَّا جَاوَزَهُ، خَارَ الْجِذْعُ حَتَّى تَصَدَّعَ وَانْشَقَّ، فَرَجَعَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَسَحَهُ بِيَدِهِ حَتَّى سَكَنَ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمِنْبَرِ، قَالَ: فَكَانَ إِذَا صَلَّى، صَلَّى إِلَيْهِ فَلَمَّا هُدِمَ الْمَسْجِدُ أَخَذَ ذَلِكَ الْجِذْعَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ فَلَمْ يَزَلْ عِنْدَهُ حَتَّى بَلِيَ فَأَكَلَتْهُ الْأَرَضَةُ وَعَادَ رُفَاتًا
إسناده حسن من أجل عبد الله بن محمد بن عقيل
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৩৭. আবু সাঈদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাষ্ঠখণ্ডের নিকট (দাঁড়িয়ে) খুতবা দিতেন। তারপর রোমের একজন ব্যক্তি এসে বলল, আমি আপনার জন্য একটি মিম্বার বানিয়ে দিব যার উপরে (দাঁড়িয়ে) আপনি খুতবা দিবেন। তারপর সে তাঁর জন্যে একটি মিম্বার তৈরী করল, যা তোমরা দেখছ। তারপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবা দেওয়ার জন্য মিম্বারের উপর দাঁড়ালেন, তখন উটনী তার বাচ্চার জন্য যেভাবে কাঁদে, তেমনিভাবে কাষ্ঠখণ্ডটি কান্না জুড়ে দিল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (মিম্বার থেকে) নেমে সেটির দিকে এগিয়ে গেলেন এবং একে আলিঙ্গন করলেন, ফলে তা শান্ত হয়ে গেল। তখন আদেশ দেয়া হলো, যেন এর জন্য একটি গর্ত খুঁড়ে একে দাফন করে দেওয়া হয়।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ১১/৪৮৬ নং ১১৭৯৮; আবী ইয়ালা (১০৬৮) সংক্ষেপে হাসান সনদে।
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنْ أَبِي الْوَدَّاكِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَخْطُبُ إِلَى لِزْقِ جِذْعٍ فَأَتَاهُ رَجُلٌ رُومِيٌّ، فَقَالَ: أَصْنَعُ لَكَ مِنْبَرًا تَخْطُبُ عَلَيْهِ، فَصَنَعَ لَهُ مِنْبَرًا هَذَا الَّذِي تَرَوْنَ، قَالَ: فَلَمَّا قَامَ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ، حَنَّ الْجِذْعُ حَنِينَ النَّاقَةِ إِلَى وَلَدِهَا، فَنَزَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَمَّهُ إِلَيْهِ فَسَكَنَ، فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُحْفَرَ لَهُ وَيُدْفَنَ
إسناده ضعيف لضعف مجالد بن سعيد
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৩৮. হাসান রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনায় আগমন করলেন তখন লোকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি একটি কাষ্ঠখণ্ডের সাথে হেলান দিতেন। তারপর যখন তার চারিপাশে অনেক লোকের সমাগম হল, আর তিনি লোকদেরকে (তাঁর কথা) শুনাবার ইচ্ছা করলেন, তখন তিনি বললেন: ’আমার জন্য এমন একটি জিনিস বানাও, যার উপর আমি আরোহণ করে (খুতবা দিতে) পারি।’ তারা বললেন: হে আল্লাহর নবী, সেটি কেমন হবে? তিনি বললেন: ’মুসা’র মাচা যেমন ছিল, ঠিক তেমনি একটি মাচা। অতঃপর তারা তাঁর জন্য তা (মিম্বার) তৈরী করলেন। (বর্ণনাকারী) হাসান বলেন: আল্লাহর কসম! তখন সেই কাষ্ঠখণ্ডটি কান্না জুড়ে দিল। হাসান বলেন, সুবহানাল্লাহ! আনুগত্যকারী লোকদের অন্তর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য) এমন আকাংখী কি? আবূ মুহাম্মদ বলেন: ’অর্থাৎ এ (ঘটনা) টি।’[1]
তাখরীজ: আবী ইয়ালা, আল মুসনাদ ২৭৫৬; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৫০৭; হাইছামী, মাওয়ারিদুয যাম’আন ৫৭৪। আলবানী সহীহাহ ৬১৬।
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الصَّعْقُ، قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ، يَقُولُ: لَمَّا أَنْ قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ جَعَلَ " يُسْنِدُ ظَهْرَهُ إِلَى خَشَبَةٍ وَيُحَدِّثُ النَّاسَ "، فَكَثُرُوا حَوْلَهُ، فَأَرَادَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُسْمِعَهُمْ، فَقَالَ: " ابْنُوا لِي شَيْئًا أَرْتَفِعُ عَلَيْهِ "، قَالُوا: كَيْفَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ؟، قَالَ: " عَرِيشٌ كَعَرِيشِ مُوسَى "، فَلَمَّا أَنْ بَنَوْا لَهُ، قَالَ الْحَسَنُ: حَنَّتْ وَاللَّهِ الْخَشَبَةُ، قَالَ الْحَسَنُ: سُبْحَانَ اللَّهِ ! هَلْ تُبْتَغَى قُلُوبُ قَوْمٍ سَمِعُوا؟ قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ: يَعْنِي هَذَا
مرسل إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৩৯. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মিম্বার বানানোর পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাষ্ঠখণ্ডের নিকট (দাঁড়িয়ে) খুতবা দিতেন। তারপর যখন তিনি মিম্বার বানালেন এবং সেটির দিকে ফিরে গেলেন, তখন কাষ্ঠখণ্ডটি কান্নাজুড়ে দিল। ফলে তিনি এটিকে আলিঙ্গন করলেন, অতঃপর এটি শান্ত হল। এবং তিনি বললেন: ’আমি যদি একে আলিঙ্গন না করতাম, তবে অবশ্যই তা কিয়ামত পর্য়ন্ত (এভাবে) কাঁদতে থাকত।’[1]
তাখরীজ: আহমাদ, আল মুসনাদ ১/২৪৯, ২৬৩, ২৬৭; ইবনু আবী শাইবা ১১/৪৮৪ নং ১১৭৯৫; আবদ্ ইবনু হুমাইদ ১৩৩৬; বুখারী, আল কাবীর ৭/২৬; তাবারানী, মু’জামুল কাবীর ১২/১৮৭ নং ১২৮৪১।
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
أَخْبَرَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ: يَخْطُبُ إِلَى جِذْعٍ قَبْلَ أَنْ يَتَّخِذَ الْمِنْبَرَ، فَلَمَّا اتَّخَذَ الْمِنْبَرَ وَتَحَوَّلَ إِلَيْهِ، حَنَّ الْجِذْعُ، فَاحْتَضَنَهُ، فَسَكَنَ "، وَقَالَ: لَوْ لَمْ أَحْتَضِنْهُ، لَحَنَّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৪০. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।[1]
তাখরীজ: তিরমিযী ৩৬৩১; ইবনু মাজাহ ১৪১৫; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৫০৭।
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
أَخْبَرَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، بِمِثْلِهِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৪১. সাহল ইবনু সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, যে কাষ্ঠখণ্ডটির নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (খুতবার সময়) দাঁড়াতেন, সেটি কাঁন্না জুড়ে দিল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঠে সেটির নিকট গেলেন এবং সেটির উপর তাঁর হাত রাখলেন, এরপর সেটি শান্ত হল।[1]
তাখরীজ: বুখারী ৯১৭; মুসলিম ৫৪৪; ইবনু মাজাহ ১৪১৬; ইবনু আবী শাইবাহ ১১/৪৮৫ নং ১১৭৯৬।
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: حَنَّتِ الْخَشَبَةُ الَّتِي كَانَ يَقُومُ عِنْدَهَا، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهَا، وَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهَا، فَسَكَنَتْ
إسناده ضعيف لضعف المسعودي وهو عبد الرحمن بن عبد الله بن عتبة والحديث متفق عليه
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৪২. আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমু’আর দিনে মসজিদের একটি কাষ্ঠখণ্ডের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে লোকদের মাঝে খুতবা দিতেন। তারপর এক রোম থেকে একজন লোক এসে বলল, আমি আপনার জন্য একটি কিছু বানিয়ে দিব যার উপরে বসলে মনে হবে যেন আপনি দাঁড়িয়ে আছেন? তারপর সে তাঁর জন্যে একটি মিম্বার তৈরী করল, যার (নিচের দিকে) দু’টি ধাপ ছিল, আর (উপরের দিকে) তৃতীয় ধাপে তিনি বসতেন। অতঃপর যখন আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই মিম্বারে বসলেন, তখন কাষ্ঠখণ্ডটি ষাঁড়ের মত আর্তনাদ করতে লাগলো, এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শোকে পুরো মসজিদ প্রকম্পিত হয়ে উঠল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিম্বার হতে নেমে সেটির দিকে আসলেন এবং আর্তনাদরত কাষ্ঠখণ্ডটিকে আলিঙ্গন করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেটিকে আলিঙ্গন করা মাত্র তা শান্ত হয়ে গেল। তারপর তিনি বলেন: ’সেই মহান সত্ত্বার কসম, যার হাতে রয়েছে মুহাম্মাদের প্রাণ, আমি যদি একে আলিঙ্গন না করতাম, তবে অবশ্যই তা কিয়ামত পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শোকে এভাবে কাঁদতে থাকত।’ এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটিকে দাফন করার নিদের্শ দিলেন, ফলে এটিকে দাফন করে দেয়া হল।[1]
তাখরীজ: আহমদ, ৩/২২৬; তিরমিযী ৩৬৩১; ইবনু মাজাহ ১৪১৫।
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاق بْنُ أَبِي طَلْحَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ: يَقُومُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَيُسْنِدُ ظَهْرَهُ إِلَى جِذْعٍ مَنْصُوبٍ فِي الْمَسْجِدِ فَيَخْطُبُ النَّاسَ، فَجَاءَهُ رُومِيٌّ، فَقَالَ: أَلَا أَصْنَعُ لَكَ شَيْئًا تَقْعُدُ عَلَيْهِ وَكَأَنَّكَ قَائِمٌ؟ فَصَنَعَ لَهُ مِنْبَرًا لَهُ دَرَجَتَانِ، وَيَقْعُدُ عَلَى الثَّالِثَةِ، فَلَمَّا قَعَدَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ذَلِكَ الْمِنْبَرِ، خَارَ الْجِذْعُ كَخُوَارِ الثَّوْرِ حَتَّى ارْتَجَّ الْمَسْجِدُ حُزْنًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْمِنْبَرِ، فَالْتَزَمَهُ وَهُوَ يَخُورُ، فَلَمَّا الْتَزَمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَكَنَ، ثُمَّ قَالَ: أَمَا وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ لَمْ أَلْتَزِمْهُ، لَمَا زَالَ هَكَذَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ حُزْنًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدُفِنَ
إسناده صحيح