৩২

পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ

৩২. ইবনু বুরাইদা তার পিতা বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন খুতবা দিতেন তখন তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন। এভাবে (দীর্ঘক্ষণ) দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর জন্য কষ্টকর হত। তখন তাঁর জন্য খেজুর গাছের একটি কাষ্ঠ খণ্ড নিয়ে আসা হল এবং তিনি যেখানে দাঁড়াতেন তার পাশে গর্ত করে খাড়া ভাবে পূঁতে দেওয়া হল। অতঃপর তিনি দীর্ঘক্ষণ ধরে খুতবা দেওয়ার সময় সেটিতে ভর দিতেন, আবার তার সাথে ঠেস দিয়েও দাঁড়াতেন। এটির প্রতি মদীনায় আগত এক ব্যক্তির দৃষ্টি আকৃষ্ট হল। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঐ কাষ্ঠখণ্ডটির পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো। সে তার পাশের এক ব্যক্তিকে বলল, যদি জানতে পারতাম যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য উপকারী কিছু করলে তিনি আমার প্রশংসা করবেন, তাহলে অবশ্যই আমি তাঁর জন্য একটি বসার জায়গা বানিয়ে দিতাম, যার উপর তিনি দাঁড়াতে পারতেন। তিনি ইচ্ছা করলে বসতে পারতেন, আবার ইচ্ছা করলে দাঁড়াতেও পারতেন।

একথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট পৌঁছলে তিনি বললেন: ’তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো।’ তাকে তাঁর নিকট নিয়ে আসা হলে তাকে তিন বা চার ধাপ উঁচু এই (মিম্বার)টি বানানোর নির্দেশ দিলেন, যা এখনকার মদীনার (মসজিদে নববীর) মিম্বার। (সেটি বানানো হলে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেটিতে বসে বেশ আরাম পেলেন। যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই কাষ্ঠ খণ্ডটিকে ছেড়ে তাঁর জন্য বানানো এ (মিম্বার) টিতে আরোহন করলেন, তখন যেভাবে উটনী (বাচ্চার বিরহে) কাঁদে, তেমনিভাবে কাষ্ঠ খণ্ডটি অস্থির হয়ে কাঁদতে লাগলো,যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে ছেড়ে গেলেন।

ইবনু বুরাইদা তার পিতা হতে তাঁর ধারণা অনুযায়ী আরও বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কাষ্ঠ খণ্ডটির কান্না শুনতে পেলেন, তখন তিনি তার কাছে ফিরে গিয়ে এর গায়ে হাত রেখে বললেন: ’তুমি বেছে নাও (কোনটি চাও), তুমি যেখানে ছিলে সেখানে তোমাকে পূঁতে রাখব, ফলে তুমি যেমন ছিলে তেমনই থাকবে,অথবা আমি তোমাকে জান্নাতে রোপণ করব, তখন তুমি সেখানকার নদী ও ঝর্ণা থেকে পান করতে পারবে এবং তুমি সুন্দর সুশোভিত হয়ে উঠবে এবং ফল-ফলাদি দেবে, আর তখন আল্লাহর ওলীগণ তোমার ফল-ফলাদি ও খেজুর খাবে, তুমি যদি চাও তবে আমি তাই করব।’

তাঁর আরও ধারণা, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্ভবত আরও বলতে শুনেছেন, তিনি সেটিকে বলেছেন: ’হাঁ, আমি দু’বার তাই করেছি।’ তখন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, (যে সে কোনটি বেছে নিয়েছে?), তখন তিনি বললেন: ’সে বেছে নিয়েছে যে, আমি যেন তাকে জান্নাতে রোপণ করে দেই।”[1]

بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا تَمِيمُ بْنُ عَبْدِ الْمُؤْمِنِ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ حَيَّانَ، حَدَّثَنِي ابْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَطَبَ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيامَ، فَكَانَ يَشُقُّ عَلَيْهِ قِيَامُهُ، فَأُتِيَ بِجِذْعِ نَخْلَةٍ فَحُفِرَ لَهُ وَأُقِيمَ إِلَى جَنْبِهِ قَائِمًا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَطَبَ فَطَالَ الْقِيَامُ عَلَيْهِ، اسْتَنَدَ إِلَيْهِ فَاتَّكَأَ عَلَيْهِ فَبَصُرَ بِهِ رَجُلٌ كَانَ وَرَدَ الْمَدِينَةَ، فَرَآهُ قَائِمًا إِلَى جَنْبِ ذَلِكَ الْجِذْعِ، فَقَالَ: لِمَنْ يَلِيهِ مِنْ النَّاسِ: لَوْ أَعْلَمُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَحْمَدُنِي فِي شَيْءٍ يَرْفُقُ بِهِ، لَصَنَعْتُ لَهُ مَجْلِسًا يَقُومُ عَلَيْهِ، فَإِنْ شَاءَ، جَلَسَ مَا شَاءَ، وَإِنْ شَاءَ، قَامَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " ائْتُونِي بِهِ "، فَأَتَوْهُ بِهِ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَصْنَعَ لَهُ هَذِهِ الْمَرَاقِيَ الثَّلَاثَ، أَوْ الْأَرْبَعَ هِيَ الْآنَ فِي مِنْبَرِ الْمَدِينَةِ، فَوَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ رَاحَةً، فَلَمَّا فَارَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجِذْعَ وَعَمَدَ إِلَى هَذِهِ الَّتِي صُنِعَتْ لَهُ، جَزِعَ الْجِذْعُ فَحَنَّ كَمَا تَحِنُّ النَّاقَةُ حِينَ فَارَقَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَزَعَمَ ابْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ سَمِعَ حَنِينَ الْجِذْعِ، رَجَعَ إِلَيْهِ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهِ وَقَالَ: " اخْتَرْ أَنْ أَغْرِسَكَ فِي الْمَكَانِ الَّذِي كُنْتَ فِيهِ، فَتَكُونَ كَمَا كُنْتَ، وَإِنْ شِئْتَ أَنْ أَغْرِسَكَ فِي الْجَنَّةِ فَتَشْرَبَ مِنْ أَنْهَارِهَا وَعُيُونِهَا فَيَحْسُنُ نَبْتُكَ، وَتُثْمِرُ فَيَأْكُلَ أَوْلِيَاءُ اللَّهِ مِنْ ثَمَرَتِكَ وَنَخْلِكَ فَعَلْتُ " فَزَعَمَ أَنَّهُ سَمِعَ مِنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ لَهُ: " نَعَمْ قَدْ فَعَلْتُ مَرَّتَيْنِ "، فَسُأَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: اخْتَارَ أَنْ أَغْرِسَهُ فِي الْجَنَّةِ

إسناده فيه ضعيفان : محمد بن حميد وصالح بن حيان

اخبرنا محمد بن حميد، حدثنا تميم بن عبد المومن، حدثنا صالح بن حيان، حدثني ابن بريدة، عن ابيه، قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا خطب قام فاطال القيام، فكان يشق عليه قيامه، فاتي بجذع نخلة فحفر له واقيم الى جنبه قاىما للنبي صلى الله عليه وسلم فكان النبي صلى الله عليه وسلم اذا خطب فطال القيام عليه، استند اليه فاتكا عليه فبصر به رجل كان ورد المدينة، فراه قاىما الى جنب ذلك الجذع، فقال: لمن يليه من الناس: لو اعلم ان محمدا يحمدني في شيء يرفق به، لصنعت له مجلسا يقوم عليه، فان شاء، جلس ما شاء، وان شاء، قام، فبلغ ذلك النبي صلى الله عليه وسلم فقال: " اىتوني به "، فاتوه به، فامره ان يصنع له هذه المراقي الثلاث، او الاربع هي الان في منبر المدينة، فوجد النبي صلى الله عليه وسلم في ذلك راحة، فلما فارق النبي صلى الله عليه وسلم الجذع وعمد الى هذه التي صنعت له، جزع الجذع فحن كما تحن الناقة حين فارقه النبي صلى الله عليه وسلم فزعم ابن بريدة، عن ابيه ان النبي صلى الله عليه وسلم حين سمع حنين الجذع، رجع اليه فوضع يده عليه وقال: " اختر ان اغرسك في المكان الذي كنت فيه، فتكون كما كنت، وان شىت ان اغرسك في الجنة فتشرب من انهارها وعيونها فيحسن نبتك، وتثمر فياكل اولياء الله من ثمرتك ونخلك فعلت " فزعم انه سمع من النبي صلى الله عليه وسلم وهو يقول له: " نعم قد فعلت مرتين "، فسال النبي صلى الله عليه وسلم فقال: اختار ان اغرسه في الجنة اسناده فيه ضعيفان : محمد بن حميد وصالح بن حيان

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)