পরিচ্ছেদঃ ৪৩৪- হতবাক হয়ে বা অন্য কারণে কারো নিজ উরুতে চপেটাঘাত করা।
৯৬৪। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এবং ফাতেমার নিকট এসে বলেনঃ তোমরা কি (রাতে নফল) নামায পড়ো না? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের প্রাণ তো আল্লাহর হাতে, যখন তাঁর মর্জি হয় আমরা উঠি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কথার কোন প্রতিউত্তর না করে চলে গেলেন। আমি শুনতে পেলাম যে, তিনি ফিরে যেতে যেতে তাঁর উরুতে চপেটাঘাত করে বলছেনঃ “মানুষ অতিশয় বিতর্কপ্রিয়”। (সূরা কাহফঃ ৫৪)
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ حَدَّثَهُ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ بِنْتَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: أَلاَ تُصَلُّونَ؟ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّمَا أَنْفُسُنَا عِنْدَ اللهِ، فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا، فَانْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم، وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَيَّ شَيْئًا، ثُمَّ سَمِعْتُ وَهُوَ مُدْبِرٌ يَضْرِبُ فَخِذَهُ يَقُولُ: (وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلاً).
'Ali reported that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, knocked at the door of 'Ali and Fatima, the daughter of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, and said, "Don't you pray?" 'Ali said, "I said, 'Messenger of Allah, our spirits are with Allah. When He wishes to wake us up, we will make up.' The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, left without saying anything to me. Then I heard him strike him thigh after his back was turned. He said, 'More than anything else, man is argumentative.' (18:
54)"
পরিচ্ছেদঃ ৪৩৪- হতবাক হয়ে বা অন্য কারণে কারো নিজ উরুতে চপেটাঘাত করা।
৯৬৫। আবু রাযীন (রহঃ) বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রাঃ) কে দেখেছি যে, তিনি তার কপালে চপেটাঘাত করে বলছেন, হে ইরাকবাসীরা! তোমরা কি মনে করো যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যা আরোপ করি? তোমরা সওয়াবের ভাগী হবে আর আমি হবো গুনাহর ভাগী? আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কারো এক জুতার ফিতা ছিড়ে গেলে সে যেন অপর জুতাটি পায়ে দিয়ে না হাঁটে, যাবৎ না তা মেরামত করে নেয়। (মুসলিম, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ, আহমাদ, আবু আওয়ানা)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: رَأَيْتُهُ يَضْرِبُ جَبْهَتَهُ بِيَدِهِ وَيَقُولُ: يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، أَتَزْعُمُونَ أَنِّي أَكْذِبُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أَيَكُونُ لَكُمُ الْمَهْنَأُ وَعَلَيَّ الْمَأْثَمُ؟ أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: إِذَا انْقَطَعَ شِسْعُ نَعْلِ أَحَدِكُمْ، فَلاَ يَمْشِي فِي نَعْلِهِ الأُخْرَى حَتَّى يُصْلِحَهُ.
Abu Razin said about Abu Hurayra, "I saw him striking his brow with his hand whole saying, 'People of Iraq, do you claim that I lie against the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace? Do you have enjoyment while I have the wrong action? I testify that I heard the , Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, "When one of you breaks his sandal-strap, he should not walk in his other sandal until it is mended."
পরিচ্ছেদঃ ৪৩৪- হতবাক হয়ে বা অন্য কারণে কারো নিজ উরুতে চপেটাঘাত করা।
৯৬৬। আবুল আলিয়া আল-বারাআ (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনুস সামিত (রহঃ) আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তার জন্য একটি চেয়ার রেখে দিলাম। তিনি তাতে বসলে আমি তাকে বললাম, ইবনে যিয়াদ দেরীতে নামায পড়ে। আপনি আমাকে কি নির্দেশ দেন? তিনি আমার উরুতে সজোরে চপেটাঘাত করেন এবং ফলে তাতে দাগ পড়ে যায়। তারপর তিনি বলেন, তুমি আমাকে যা জিজ্ঞেস করলে হুবহু এই প্রশ্নটি আমি আবু যার (রাঃ)-কে করেছিলাম। তিনি আমার উরুতে চপেটাঘাত করেন, যেমন আমি তোমার উরুতে চপেটাঘাত করলাম। তিনি বলেন, তুমি ওয়াক্তমত নামায পড়ে নাও। যদি পরে তাদের সাথে নামায পাও তবে পুনরায় তাদের সাথে নামায পড়ে নিও এবং বলো না, আমি তো নামায পড়েছি, এখন আর পড়বো না। (বুখারী, মুসলিম)
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ أَبِي تَمِيمَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَاءِ قَالَ: مَرَّ بِي عَبْدُ اللهِ بْنُ الصَّامِتِ، فَأَلْقَيْتُ لَهُ كُرْسِيًّا، فَجَلَسَ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّ ابْنَ زِيَادٍ قَدْ أَخَّرَ الصَّلاَةَ، فَمَا تَأْمُرُ؟ فَضَرَبَ فَخِذِي ضَرْبَةً، أَحْسَبُهُ قَالَ: حَتَّى أَثَّرَ فِيهَا، ثُمَّ قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا ذَرٍّ كَمَا سَأَلْتَنِي، فَضَرَبَ فَخِذِي كَمَا ضَرَبْتُ فَخِذَكَ، فَقَالَ: صَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا، فَإِنْ أَدْرَكْتَ مَعَهُمْ فَصَلِّ، وَلاَ تَقُلْ: قَدْ صَلَّيْتُ، فلا أُصَلِّي.
Abu'l-'Aliyya al-Bara' said, "'Abdullah ibn as-Samit passed by me and I gave him a chair. He sat down. I told him, 'Ibn Ziyad has delayed the prayer. What do you command?' He hit my thigh (and I think he said, 'So that it left a mark on me') and then he said, 'I asked Abu Dharr as you asked me and he hit my thigh as I have hit yours. He said, "Pray the prayer at the proper time, but if you come across some of them, pray with them and do not say, 'I have already prayed,' and then not pray."'"
পরিচ্ছেদঃ ৪৩৪- হতবাক হয়ে বা অন্য কারণে কারো নিজ উরুতে চপেটাঘাত করা।
৯৬৭। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে একটি দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইবনে সাইয়াদ-এর নিকট গেলেন। তারা তাকে (ইবনে সাইয়াদকে) বনু মাগাল দুর্গের পাশে অন্যান্য বালকের সাথে খেলাধুলারত পেলেন। তখন ইবনে সাইয়াদ বলেগ প্রায়। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগমন অনুভব করার আগেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে ফেলেন। তারপর তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, আমি আল্লাহর রাসূল? ইবনে সাইয়াদ তার দিকে দৃষ্টিপাত করে বললো, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মীদের রাসূল। এরপর সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললো, আপনি কি সাক্ষ্য দিবেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ছেড়ে দিয়ে বলেনঃ আমি আল্লাহর উপর এবং তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান এনেছি।
তারপর তিনি ইবনে সাইয়াদকে জিজ্ঞেস করেনঃ তুমি কী দেখে থাকো? ইবনে সাইয়াদ বললো, আমার কাছে সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী আগমন করে থাকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ব্যাপারটি তোমার কাছে বিভ্রান্তিকর করা হয়েছে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি একটি বিষয়ে তোমার থেকে (আমার মনের মধ্যে) গোপন রেখেছি। বলতো, সেটি কি? ইবনে সাইয়াদ বললো, তা হচ্ছে ’আদ-দুখখ’। তিনি বলেনঃ তুমি লাঞ্ছিত হও। তুমি কখনো তোমার (জন্য নির্ধারিত) সীমা অতিক্রম করতে পারবে না।
উমার (রাঃ) বলেন, আমাকে অনুমতি দিন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যদি সে সেই (দাজ্জাল) হয়ে থাকে, তাহলে তাকে কাবু করার সামর্থ্য তোমাকে দেয়া হয়নি। আর যদি সে সেই দাজ্জাল না হয়, তাহলে তাকে হত্যা করার মধ্যে তোমার কোন কল্যাণ নেই।
রাবী সালেম (রহঃ) বলেন, আমি ইবনে উমার (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং উবাই ইবনে কাব (রাঃ) ঐ খেজুর বাগানের দিকে গেলেন যেখানে ইবনে সাইয়াদ ছিল। ইবনে সাইয়াদ তাঁকে দেখে ফেলার আগেই ইবনে সাইয়াদের কিছু কথা তিনি শুনে নিতে চাচ্ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে একটি চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখলেন, যার ভেতর থেকে তার গুনগুন শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ইবনে সাইয়াদের মা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখতে পেলো যে, তিনি খেজুর গাছের কাণ্ডের আড়ালে আত্মগোপন করে অগ্রসর হচ্ছেন। সে তখন ইবনে সাইয়াদকে ডেকে বললো, ও সাফ! (এটি ইবনে সাইয়াদের ডাকনাম) এই যে মুহাম্মাদ! তখন ইবনে সাইয়াদ লাফিয়ে উঠলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে (ইবন সাইয়াদের মা) তাকে স্ব-অবস্থায় থাকতে দিলে (ব্যাপারটি) স্পষ্ট হয়ে যেতো।
সালেম (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনসমাবেশে ভাষণ দিতে দাড়িয়ে প্রথমে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন, অতঃপর দাজ্জালের প্রসংগ উত্থাপন করলেন। তিনি বলেনঃ আমি তোমাদেরকে তার ব্যাপারে সতর্ক করছি এবং এমন কোন নবী আসেননি যিনি তাঁর উম্মাতকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেননি। নূহ (আঃ)-ও তার উম্মাতকে সতর্ক করেছেন। তবে আমি তার ব্যাপারে এমন একটি কথা বলবো যা পূর্ববতী নবীগণ বলেননি। জেনে রাখো! সে হবে কানা। আর আল্লাহ কখনও অন্ধ নন। (বুখারী, মুসলিম)
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ انْطَلَقَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِي رَهْطٍ مِنْ أَصْحَابِهِ , قِبَلَ ابْنِ صَيَّادٍ ، حَتَّى وَجَدُوهُ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ , فِي أُطُمِ بَنِي مَغَالَةَ ، وَقَدْ قَارَبَ ابْنُ صَيَّادٍ يَوْمَئِذٍ الْحُلُمَ ، فَلَمْ يَشْعُرْ حَتَّى ضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ظَهْرَهُ بِيَدِهِ ، ثُمَّ قَالَ : " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ؟ " ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ : أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ الأُمِّيِّينَ ، قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ : فَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ؟ فَرَصَّهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ قَالَ : " آمَنْتُ بِاللَّهِ وَبِرَسُولِهِ " ، ثُمَّ قَالَ لابْنِ صَيَّادٍ : " مَاذَا تَرَى ؟ " ، فَقَالَ ابْنُ صَيَّادٍ : يَأْتِينِي صَادِقٌ وَكَاذِبٌ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " خُلِّطَ عَلَيْكَ الأَمْرُ " ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنِّي خَبَّأْتُ لَكَ خَبِيئًا " ، قَالَ : هُوَ الدُّخُّ ، قَالَ : " اخْسَأْ فَلَمْ تَعْدُ قَدْرَكَ " ، قَالَ عُمَرُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَتَأْذَنُ لِي فِيهِ أَنْ أَضْرِبَ عُنُقَهُ ؟ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنْ يَكُ هُوَ لا تُسَلَّطُ عَلَيْهِ ، وَإِنْ لَمْ يَكُ هُوَ فَلا خَيْرَ لَكَ فِي قَتْلِهِ " ، قَالَ سَالِمٌ : فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ , يَقُولُ : انْطَلَقَ بَعْدَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ الأَنْصَارِيُّ يَوْمًا , إِلَى النَّخْلِ الَّتِي فِيهَا ابْنُ صَيَّادٍ ، حَتَّى إِذَا دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَفِقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَّقِي بِجُذُوعِ النَّخْلِ ، وَهُوَ يَسْمَعُ مِنِ ابْنِ صَيَّادٍ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يَرَاهُ ، وَابْنُ صَيَّادٍ مُضْطَجِعٌ عَلَى فِرَاشِهِ فِي قَطِيفَةٍ لَهُ فِيهَا زَمْزَمَةٌ ، فَرَأَتْ أُمُّ ابْنِ صَيَّادٍ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَهُوَ يَتَّقِي بِجُذُوعِ النَّخْلِ ، فَقَالَتْ لابْنِ صَيَّادٍ : أَيْ صَافُ وَهُوَ اسْمُهُ هَذَا مُحَمَّدٌ ، فَتَنَاهَى ابْنُ صَيَّادٍ ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَوْ تَرَكَتْهُ لَبَيَّنَ " ، قَالَ سَالِمٌ : قَالَ عَبْدُ اللَّهِ : قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ، ثُمَّ ذَكَرَ الدَّجَّالَ , فَقَالَ : " إِنِّي أُنْذِرُكُمُوهُ ، وَمَا مِنْ نَبِيٍّ إِلا وَقَدْ أَنْذَرَ قَوْمَهُ ، لَقَدْ أَنْذَرَ نُوحٌ قَوْمَهُ ، وَلَكِنْ سَأَقُولُ لَكُمْ فِيهِ قَوْلا لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ : تَعْلَمُونَ أَنَّهُ أَعْوَرُ ، وَأَنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ
It is related that 'Abdullah ibn 'Umar reported that 'Umar went with the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, with a group to visit Ibn Sayyad. They found him playing with some children in the hills of Banu Maghala. Ibn Sayyad, who was approaching puberty, did not notice them until the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, patted him with his hand and then said to him, 'Do you testify that I am the Messenger of Allah?' Ibn Sayyad looked at him and said, 'I testify that you are the Messenger of the unlettered.' Ibn Sayyad said to the Prophet, 'Do you testify that I am the Messenger of Allah?' He refuted it and said, 'I have believed in Allah and His Messengers.' Then he said to him, 'What dreams do you have?' Ibn Sayyad replied, 'Both truthful people and liars come to me.' The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, 'You are in a state of confusion.' Then the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said to him, 'I am concealing something from you.' Ibn Sayyad said, 'It is just smoke.' He said, 'Shame on you! You will not go too far.' 'Umar said, 'Messenger of Allah, let me cut his head off?' The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, 'If it is him (i.e. the Dajjal), you will not be able to get the better of him. If it is not him, there is no point in killing him.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪৩৪- হতবাক হয়ে বা অন্য কারণে কারো নিজ উরুতে চপেটাঘাত করা।
৯৬৮। জাবের (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাপাক হলে (অর্থাৎ তাঁর উপর গোসল ফরজ হলে) তিন অঞ্জলী পানি তাঁর মাথায় ঢালতেন। হাসান ইবনে মুহাম্মাদ (রহঃ) বলেন, হে আবু আবদুল্লাহ! আমার মাথার চুল যে অনেক বেশী ঘন। রাবী বলেন, জাবের (রাঃ) হাসানের উরুতে চপেটাঘাত করে বলেন, ভ্রাতুষ্পুত্র! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাথার চুল তোমার মাথার চুলের চাইতে বেশী ঘন ও সরস ছিল। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ جُنُبًا، يَصُبُّ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثَ حَفَنَاتٍ مِنْ مَاءٍ قَالَ الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ: أَبَا عَبْدِ اللهِ، إِنَّ شَعْرِي أَكْثَرُ مِنْ ذَاكَ، قَالَ: وَضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى فَخِذِ الْحَسَنِ فَقَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، كَانَ شَعْرُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَكْثَرَ مِنْ شَعْرِكَ وَأَطْيَبَ.
Jabir said, "When the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, was in janaba, he would pour three cupfuls of water over his head."