পরিচ্ছেদঃ ২৯৩- ইস্তিখারার দোয়া।
৭০৮। জাবের (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যেমন কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন, তেমনি সকল ব্যাপারে আমাদেরকে ইস্তিখারা করা শিক্ষা দিতেন। কেউ কোন কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করলে সে যেন দুই রাকআত নামায পড়ে এবং তারপর বলেঃ
উচ্ছারনঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসতাখীরুকা বিইলমিকা ওয়া আসতাকদিরুকা বিকুদরাতিকা ওয়া আসআলুকা মিন ফাদলিকাল আযম। ফাইন্নাকা তাকদিরু ওয়ালা আকদিরু ওয়া তালামু ওয়ালা আলামু ওয়া আনতা আল্লামুল গুয়ুব। আল্লাহুম্মা ইন কুনতা তালামু আন্না হাযাল আমরা খাইরুল্লী ফি দীনী ওয়া মাআশী ওয়া আকিবাতি আমরা আও ফী আজেলে আমরী ওয়া আজেলিহী ফাকদুরহু লী। ওয়াইন কুনতা তালামু আন্না হাযাল আমরা শাররুল্লী ফী দীনী ওয়া মাআশী ওয়া আকিবাতি আমরী আও ফী আজেলে আমরী ওয়া আজেলিহী ফাসরেফহু আন্নী ওয়াসরিফনী আনহু ওয়াকদুর লিয়াল খাইরা হাইছু কানা সুম্মা রাদ্দিনী বিহী
অর্থঃ “(হে আল্লাহ! আমি তোমার জ্ঞানের সাহায্যে তোমার কাছে কল্যাণ কামনা করছি। আমি তোমার শক্তির সাহায্যে শক্তি এবং তোমার মহান অনুগ্রহ কামনা করছি। কেননা তুমিই ক্ষমতাবান এবং আমি অক্ষম। তুমি জ্ঞানবান, আমি জ্ঞানহীন এবং তুমি অদৃশ্য বিষয় সম্পূর্ণ পরিজ্ঞাত। হে আল্লাহ! তোমার জ্ঞানে আমার এ কাজ আমার দীন, জীবন-জীবিকা ও কর্মের পরিণামে এবং আমার বর্তমান ও ভবিষ্যত জীবনের জন্য কল্যাণকর হলে তুমি তা আমার জন্য নিধারিত করে দাও। আর যদি তোমার জ্ঞানে আমার এ কাজ আমার দীন, জীবন-জীবিকা ও কর্মের পরিণামে অথবা বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য অকল্যাণকর হয়, তবে তুমি তা আমার থেকে ফিরিয়ে নাও এবং আমাকেও তা থেকে ফিরিয়ে রাখো। আমার জন্য সর্বক্ষেত্রে কল্যাণ নির্ধারণ করো এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্ট করে দাও”। আর (আমার এ কাজ এর স্থলে) নিজের প্রয়োজনের নামোল্লেখ করবে। (বুখারী)
حَدَّثَنَا مُطَرِّفُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو الْمُصْعَبِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْمَوَالِ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ ، عَنْ جَابِرٍ ، قَالَ : " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كَالسُّورَةِ مِنَ الْقُرْآنِ : إِذَا هَمَّ بِالأَمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَقُولُ : اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ ، وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلا أَقْدِرُ ، وَتَعْلَمُ وَلا أَعْلَمُ ، وَأَنْتَ عَلامُ الْغُيُوبِ ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي ، وَمَعَاشِي ، وَعَاقِبَةِ ، أَوْ قَالَ : فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ فَاقْدُرْهُ لِي ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي ، وَمَعَاشِي ، وَعَاقِبَةِ أَمْرِي ، أَوْ قَالَ : عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ ، فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ ، وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ، ثُمَّ رَضِّنِي ، وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৯৩- ইস্তিখারার দোয়া।
৭০৯। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মসজিদে অর্থাৎ মসজিদুল ফাতহ (বিজয়ের মসজিদ) এ সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার দোয়া করলেন এবং বুধবার নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে তাঁর দোয়া কবুল হলো। জাবের (রাঃ) বলেন, যখনই আমার কোন গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজ উপস্থিত হয়েছে তখনই আমি উক্ত সময়ে প্রার্থনার ইচ্ছা করেছি এবং বুধবার এই সময়ে দোয়া করেছি এবং তা যে কবুল হয়েছে তাও বুঝতে পেরেছি। (আবু দাউদ)
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَمْزَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ ، يَقُولُ : " دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْمَسْجِدِ ، مَسْجِدِ الْفَتْحِ ، يَوْمَ الاثْنَيْنِ وَيَوْمَ الثُّلاثَاءِ وَيَوْمَ الأَرْبِعَاءِ ، فَاسْتُجِيبَ لَهُ بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ مِنْ يَوْمِ الأَرْبِعَاءِ ، قَالَ جَابِرٌ : وَلَمْ يَنْزِلْ بِي أَمْرٌ مُهِمٌّ غائِظٌ إِلا تَوَخَّيْتُ تِلْكَ السَّاعَةَ ، فَدَعَوْتُ اللَّهَ فِيهِ بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ يَوْمَ الأَرْبِعَاءِ فِي تِلْكَ السَّاعَةِ ، إِلا عَرَفْتُ الإِجَابَةَ
পরিচ্ছেদঃ ২৯৩- ইস্তিখারার দোয়া।
৭১০। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি তার দোয়ায় বললো, “হে আসমানসমূহের সৃষ্টিকর্তা, হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী। আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে কোন্ নামে (আল্লাহকে ডেকে) দোয়া করছে তা কি তোমরা জানো? সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! সে আল্লাহর কাছে তাঁর এমন নামের উসীলায় দোয়া করেছে যে, সেই নামে কেউ তাকে ডাকলে তিনি তার ডাকে সাড়া দেন। (আবু দাউদ, তিরমিযী, আহমাদ)
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ عَنْ خَلَفِ بْنِ خَلِيفَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنِي حَفْصُ ابْنُ أَخِي أَنَسٍ ، عَنْ أَنَسٍ : " كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَدَعَا رَجُلٌ ، فَقَالَ : يَا بَدِيعَ السَّمَاوَاتِ ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ ، إِنِّي أَسْأَلُكَ ، فَقَالَ : أَتَدْرُونَ بِمَا دَعَا ؟ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ ، دَعَا اللَّهَ بِاسْمِهِ الَّذِي إِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ
পরিচ্ছেদঃ ২৯৩- ইস্তিখারার দোয়া।
৭১১। আবু বাকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলেন, আমাকে একটি দোয়া শিখিয়ে দিন যা আমি আমার নামাযে পড়তে পারি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি এ দোয়া পড়বেঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাছীরাও ওয়ালা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা ফাগফির লী মিন ইনদিকা মাগফিরাতান ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম” অর্থঃ (হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আমার নিজের উপর অনেক যুলুম করেছি। তুমি ছাড়া গুনাহ মাফ করার কেউ নাই। অতএব তুমি তোমার পক্ষ থেকে আমাকে মাফ করে দাও এবং আমার প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ করো। নিশ্চয় তুমি ক্ষমাকারী অতি দয়ালু)। (বুখারী)
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ : حَدَّثَنَا ابْن وَهْبٍ ، قَالَ : أَخْبَرَنِي عَمْرٌو ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو قَالَ : قَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ ، عَنْهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلاتِي ، قَالَ : قُلِ : اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا ، وَلا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلا أَنْتَ ، فَاغْفِرْ لِي مِنْ عِنْدِكَ مَغْفِرَةً ، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ