পরিচ্ছেদঃ ২৭২- যে কোন ব্যক্তি ভোরে উপনীত হয়ে যা বলবে।
৬০৮। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরে উপনীত হয়ে বলতেনঃ
“আমরা ভোরে উপনীত হয়েছি এবং আল্লাহর রাজত্ব (সৃষ্টিকুল) ভোরে উপনীত হয়েছে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, তার কোন শরীক নাই। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নাই এবং পুনরুত্থান তার কাছে।
তিনি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলতেনঃ
“আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছি। আল্লাহর রাজত্ব সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং তার কোন শরীক নাই। আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই এবং তার কাছেই ফিরে যেতে হবে”।
(আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, আহমাদ, ইবনে হিব্বান, আবু আওয়া নাসাঈ)
حَدَّثَنَا مُوسَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عُمَرُ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَصْبَحَ ، قَالَ : أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْحَمْدُ كُلُّهُ لِلَّهِ ، لا شَرِيكَ لَهُ ، لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ ، وَإِلَيْهِ النُّشُورُ ، وَإِذَا أَمْسَى ، قَالَ : أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ ، وَالْحَمْدُ كُلُّهُ لِلَّهِ ، لا شَرِيكَ لَهُ ، لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ ، وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৩- যে ব্যক্তি অপরের জন্য দোয়া করে।
৬০৯। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মর্যাদাবানের পুত্র মর্যাদাবানের পুত্র মর্যাদাবানের পুত্র ইউসুফ ইবনে ইয়াকুব ইবনে ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (আঃ), যিনি বরকতময় মহান আল্লাহর অন্তরঙ্গ বন্ধু। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ইউসুফ (আঃ) যতো কাল কারাগারে ছিলেন আমি যদি ততো কাল কারাগারে থাকতাম এবং অতঃপর রাজদূত আমার নিকট এসে আহবান জানালে আমি (তার ডাকে) সাড়া দিতাম। অতঃপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত পড়েন (অনুবাদঃ) “রাজদূত যখন তার নিকট উপস্থিত হলো তখন সে বললো, তুমি তোমার মনিবের নিকট ফিরে যাও এবং তাকে জিজ্ঞেস করো, যে নারীরা নিজেদের হাত কেটেছিলো তাদের অবস্থা কি” (সূরা ইউসুফঃ ৫০)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ লুত (আঃ) এর উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। তিনি মজবুত দুর্গে আশ্রয় গ্রহণের আকাঙ্খা করেছিলেন। তিনি তাঁর কাওমকে বললেন, “তোমাদের উপর যদি আমার জোর খাটতো অথবা যদি আমি কোন সুদৃঢ় দুর্গের আশ্রয় নিতে পারতাম” (সূরা হূদঃ ৮০)। তার পর থেকে আল্লাহ যে কোন জাতির মর্যাদাবান ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মধ্য থেকেই নবীগণকে পাঠিয়েছেন। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, আহমাদ)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلامٍ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ الْكَرِيمَ ابْنَ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ ، يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ الرَّحْمَنِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَوْ لَبِثْتُ فِي السِّجْنِ مَا لَبِثَ يُوسُفُ ، ثُمَّ جَاءَنِي الدَّاعِي لأَجَبْتُ ، إِذْ جَاءَهُ الرَّسُولُ ، فَقَالَ : ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ مَا بَالُ النِّسْوَةِ اللَّاتِي قَطَّعْنَ أَيْدِيَهُنَّ سورة يوسف آية 50 ، وَرَحْمَةُ اللَّهِ عَلَى لُوطٍ ، إِنْ كَانَ لَيَأْوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ ، إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ : لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً أَوْ آوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ سورة هود آية 80 ، فَمَا بَعَثَ اللَّهُ بَعْدَهُ مِنْ نَبِيٍّ إِلا فِي ثَرْوَةٍ مِنْ قَوْمِهِ ، قَالَ مُحَمَّدٌ : الثَّرْوَةُ : الْكَثْرَةُ وَالْمَنَعَةُ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৪- অন্তর নিংড়ানো দোয়া।
৬১০। আবদুর রহমান ইবনে ইয়াযীদ (রহঃ) বলেন, রবী (রহঃ) প্রতি জুমুআর দিন আলকামা (রহঃ)-এর নিকট আসতেন। আমি তথায় উপস্থিত না থাকলে তারা আমার জন্য লোক পাঠিয়ে দিতেন। একদা রবী (রহঃ) এলেন। কিন্তু আমি তথায় উপস্থিত ছিলাম না। তাই আলকামা (রহঃ) আমার সাথে সাক্ষাত করে আমাকে বলেন, তুমি কি দেখেছো রবী কি নিয়ে এসেছে? তিনি বলেন, আপনি কি লক্ষ্য করেন না, লোকে প্রচুর দোয়া করে কিন্তু তাদের দোয়া কতো কম কবুল হয়? তার কারণ এই যে, মহামহিম আল্লাহ অন্তর নিঃসৃত দোয়া ছাড়া কবুল করেন না। আমি বললাম, আবদুল্লাহ (রাঃ)-ও কি তাই বলেননি? তিনি জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি বলেছেন? তিনি বলেন, আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহ এমন লোকের দোয়া কবুল করেন না, যে লোককে শুনাবার জন্য, প্রদর্শনীর জন্য এবং অভিনয়ের ভঙ্গিতে দোয়া করে। কিন্তু যে ব্যক্তি অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া করে তিনি তার দোয়া কবুল করেন। রবী বলেন, আলকামা (রহঃ)-এর স্মরণ হলে তিনি বলেন, হাঁ (তিনি তাই বলেছেন)।
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبِي ، قَالَ : حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ ، قَالَ : حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ الْحَارِثِ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ ، قَالَ : كَانَ الرَّبِيعُ يَأْتِي عَلْقَمَةَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ، فَإِذَا لَمْ أَكُنْ ثَمَّةَ أَرْسَلُوا إِلَيَّ ، فَجَاءَ مَرَّةً وَلَسْتُ ثَمَّةَ ، فَلَقِيَنِي عَلْقَمَةُ ، وَقَالَ لِي : " أَلَمْ تَرَ مَا جَاءَ بِهِ الرَّبِيعُ ؟ قَالَ : أَلَمْ تَرَ أَكْثَرَ مَا يَدْعُو النَّاسَ ، وَمَا أَقَلَّ إِجَابَتَهُمْ ؟ وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لا يَقْبَلُ إِلا النَّاخِلَةَ مِنَ الدُّعَاءِ ، قُلْتُ : أَوَ لَيْسَ قَدْ قَالَ ذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ ؟ قَالَ : وَمَا قَالَ ؟ قَالَ : قَالَ عَبْدُ اللَّهِ : لا يَسْمَعُ اللَّهُ مِنْ مُسْمِعٍ ، وَلا مُرَاءٍ ، وَلا لاعِبٍ ، إِلا دَاعٍ دَعَا يَثْبُتُ مِنْ قَلْبِهِ ، قَالَ : فَذَكَرَ عَلْقَمَةَ ؟ قَالَ : نَعَمْ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৫- প্রত্যয় সহকারে দোয়া করবে। কারণ আল্লাহর জন্য বাধ্যতামূলক করণীয় কিছু নাই।
৬১১। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন দোয়া করে তখন সে যেন এরূপ না বলে, যদি তুমি চাও (তবে আমার দোয়া কবুল করো)। বরং সে যেন দৃঢ়তার সাথে এবং পরম আগ্রহভরে দোয়া করে। কেননা কিছু দান করা আল্লাহর কাছে বিরাট কিছু নয়। (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ ، عَنِ الْعَلاءِ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " إِذَا دَعَا أَحَدُكُمْ فَلا يَقُولُ : إِنْ شِئْتَ ، وَلْيَعْزِمِ الْمَسْأَلَةَ ، وَلْيُعَظِّمِ الرَّغْبَةَ ، فَإِنَّ اللَّهَ لا يَعْظُمُ عَلَيْهِ شَيْءٌ أَعْطَاهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৫- প্রত্যয় সহকারে দোয়া করবে। কারণ আল্লাহর জন্য বাধ্যতামূলক করণীয় কিছু নাই।
৬১২। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ দোয়া করলে দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে করবে। দোয়ায় এরূপ বলবে না যে, হে আল্লাহ! যদি তুমি চাও তবে আমাকে দাও। কেননা আল্লাহকে বাধ্য করার কেউ নাই। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, আহমাদ)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلامٍ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِذَا دَعَا أَحَدُكُمْ فَلْيَعْزِمْ فِي الدُّعَاءِ ، وَلا يَقُلِ : اللَّهُمَّ إِنْ شِئْتَ فَأَعْطِنِي ، فَإِنَّ اللَّهَ لا مُسْتَكْرِهَ لَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৬- হাত তুলে দোয়া করা।
৬১৩। আবু নাঈম ওয়াহব (রহঃ) বলেন, আমি ইবনে উমার (রাঃ) ও ইবনুয যুবাইর (রাঃ)-কে দোয়া করে হাতের তালু মুখমণ্ডলে মলতে দেখেছি।
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ ، قَالَ : أَخْبَرَنِي أَبِي ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ وَهُوَ وَهْبٌ ، قَالَ : رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ ، وَابْنَ الزُّبَيْرِ يَدْعُوَانِ ، يُدِيرَانِ بِالرَّاحَتَيْنِ عَلَى الْوَجْهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৬- হাত তুলে দোয়া করা।
৬১৪। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর দুই হাত তুলে দোয়া করতে দেখেছেন। তিনি তাঁর দোয়ায় বলেনঃ “আমি একজন মানুষই। অতএব তুমি আমাকে শাস্তি দিও না। আমি যদি কোন মুমিন ব্যক্তিকে কষ্ট দিয়ে থাকি বা গালি দিয়ে থাকি, তবে তুমি সেজন্য আমাকে শাস্তি দিও না (মুসলিম, মুসনাদ আহমাদ)।
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، عَنْ عِكْرِمَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، زَعَمَ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْهَا ، أَنَّهَا رَأَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو رَافِعًا يَدَيْهِ ، يَقُولُ : " إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَلا تُعَاقِبْنِي ، أَيُّمَا رَجُلٌ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ آذَيْتُهُ أَوْ شَتَمْتُهُ فَلا تُعَاقِبْنِي فِيهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৬- হাত তুলে দোয়া করা।
৬১৫। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, তুফাইল ইবনে আমর আদ-দাওসী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে হাযির হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দাওস গোত্র নাফরমান হয়েছে এবং ইসলাম গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অতএব আপনি তাদের জন্য আল্লাহর কাছে বদদোয়া করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলামুখী হয়ে তাঁর উভয় হাত উপরে তুললেন। লোকজন মনে করলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বদদোয়া করবেন। কিন্তু তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! দাওস গোত্রকে হেদায়াত দান করো এবং তাদেরকে মুসলিমদের সাথে মিলিয়ে দাও।--(বুখারী, মুসলিম)
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ ، عَنِ الأَعْرَجِ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : " قَدِمَ الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرٍو الدَّوْسِيُّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنَّ دَوْسًا قَدْ عَصَتْ وَأَبَتْ ، فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهَا ، فَاسْتَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقِبْلَةَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ ، فَظَنَّ النَّاسُ أَنَّهُ يَدْعُو عَلَيْهِمْ ، فَقَالَ : اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا ، وَائْتِ بِهِمْ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৬- হাত তুলে দোয়া করা।
৬১৬। আনাস (রাঃ) বলেন, এক বছর অনাবৃষ্টি হলো। মুসলিমদের একজন জুমুআর দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে দাড়িয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অনাবৃষ্টি চলছে, ভূমি শুষ্ক (চৌচির) হয়ে গেছে, সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দুই হাত উর্ধ্বে তুললেন। তখন আকাশে মেঘ ছিলো না। তিনি তাঁর দুই হাত এতো প্রসারিত করলেন যে, আমি তাঁর বগলদ্বয়ের শুভ্রতা দেখতে পেলাম। তিনি আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করলেন। আমরা জুমুআর নামায শেষ না করতেই এমন বৃষ্টি হলো যে, নিকটস্থ বাড়ি-ঘরের যুবকরা ফিরে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলো। সপ্তাহ ধরে অবিরত বৃষ্টি হতে থাকলো। পরবর্তী জুমুআ উপস্থিত হলে লোকজন বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়ছে। কাফেলার চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আদম সন্তানের এতো তাড়াতাড়ি বিরক্ত হয়ে যাওয়াতে মৃদু হাসলেন এবং হাত তুলে বলেনঃ “হে আল্লাহ! আমাদের আশেপাশে বৃষ্টি বর্ষণ করুন, আমাদের উপর আর নয়”। ফলে মদীনার আকাশ থেকে মেঘ চলে গেলো (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلامٍ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : " قَحَطَ الْمَطَرُ عَامًا ، فَقَامَ بَعْضُ الْمُسْلِمِينَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، قَحَطَ الْمَطَرُ ، وَأَجْدَبَتِ الأَرْضُ ، وَهَلَكَ الْمَالُ ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ ، وَمَا يُرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابَةٍ ، فَمَدَّ يَدَيْهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ يَسْتَسْقِي اللَّهَ ، فَمَا صَلَّيْنَا الْجُمُعَةَ حَتَّى أَهَمَّ الشَّابُّ الْقَرِيبُ الدَّارِ الرُّجُوعَ إِلَى أَهْلِهِ ، فَدَامَتْ جُمُعَةٌ ، فَلَمَّا كَانَتِ الْجُمُعَةُ الَّتِي تَلِيهَا ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ ، وَاحْتَبَسَ الرُّكْبَانُ ، فَتَبَسَّمَ لِسُرْعَةِ مَلالِ ابْنِ آدَمَ وَقَالَ بِيَدِهِ : اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا ، وَلا عَلَيْنَا ، فَتَكَشَّطَتْ عَنِ الْمَدِينَةِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৬- হাত তুলে দোয়া করা।
৬১৭। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর দুই হাত তুলে দোয়া করতে দেখেছেন। তিনি তাঁর দোয়ায় বলেনঃ “হে আল্লাহ! আমি একজন মানুষই। অতএব তুমি আমাকে শাস্তি দিও না। আমি যদি কোন মুমিন ব্যক্তিকে কষ্ট দিয়ে থাকি বা গালি দিয়ে থাকি, তবে তুমি সেজন্য আমাকে শাস্তি দিও না” (মুসলিম, আবু দাউদ)।
حَدَّثَنَا الصَّلْتُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ ، عَنْ سِمَاكٍ ، عَنْ عِكْرِمَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْهَا ، أَنَّهَا رَأَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو رَافِعًا يَدَيْهِ ، يَقُولُ : " اللَّهُمَّ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَلا تُعَاقِبْنِي ، أَيُّمَا رَجُلٌ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ آذَيْتُهُ أَوْ شَتَمْتُهُ فَلا تُعَاقِبْنِي فِيهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৬- হাত তুলে দোয়া করা।
৬১৮। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তুফাইল ইবনে আমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলেন, আপনার কি দুর্গ ও প্রতিরক্ষার প্রয়োজন আছে? দাওস গোত্রের দুর্গ? রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন। এজন্য যে, আল্লাহ আনসারদের জন্যই তাঁর প্রতিরক্ষা (সংক্রান্ত) সওয়াবের ভাণ্ডার সংরক্ষিত করেছেন। অতঃপর তুফাইল (রাঃ) হিজরত করে চলে আসলেন। তার সাথে তার সগোত্রীয় এক ব্যক্তিও আসলো। লোকটি রোগাক্রান্ত হলো এবং (রোগ যাতনায়) জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে গেলো। তাই সে শিং-এর মধ্যে থেকে একটি ছুরি নিয়ে তার ঘাড়ের (দুই) দিকের রগ কেটে ফেললো। তাতে তার মৃত্যু হলো।
তুফাইল (রাঃ) তাকে স্বপ্নে দেখলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার সাথে কিরূপ আচরণ করা হলো। সে বললো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আমার হিজরত করার কারণে আমাকে ক্ষমা করা হয়েছে। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তোমার দুই হাতের অবস্থা কি? রাবী বলেন, বলা হলো, তোমার হাতের দ্বারা তুমি যা নষ্ট করেছে তা আমরা আর সংস্কার করবো না। রাবী বলেন, তুফাইল (রাঃ) স্বপ্নের কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বর্ণনা করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে আল্লাহ! তার দুই হাতকে ক্ষমা করে দাও এবং (দোয়ায় ) তিনি তাঁর দুই হাত উঠালেন। (মুসলিম, আওয়ানা, হাকিম, ইবনে হিব্বান, আহমাদ)
حَدَّثَنَا عَارِمٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ الصَّوَّافُ ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، أَنَّ الطُّفَيْلَ بْنَ عَمْرٍو ، قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " هَلْ لَكَ فِي حِصْنٍ وَمَنَعَةٍ ، حِصْنِ دَوْسٍ ؟ قَالَ : فَأَبَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، لِمَا ذَخَرَ اللَّهُ لِلأَنْصَارِ ، فَهَاجَرَ الطُّفَيْلُ ، وَهَاجَرَ مَعَهُ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ ، فَمَرِضَ الرَّجُلُ فَضَجَرَ ، أَوْ كَلِمَةٌ شَبِيهَةٌ بِهَا ، فَحَبَا إِلَى قَرْنٍ ، فَأَخَذَ مِشْقَصًا فَقَطَعَ وَدَجَيْهِ ، فَمَاتَ ، فَرَآهُ الطُّفَيْلُ فِي الْمَنَامِ قَالَ : مَا فُعِلَ بِكَ ؟ قَالَ : غُفِرَ لِي بِهِجْرَتِي إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : مَا شَأْنُ يَدَيْكَ ؟ قَالَ : فَقِيلَ : إِنَّا لا نُصْلِحُ مِنْكَ مَا أَفْسَدْتَ مِنْ يَدَيْكَ ، قَالَ : فَقَصَّهَا الطُّفَيْلُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ : اللَّهُمَّ وَلِيَدَيْهِ فَاغْفِرْ ، وَرَفَعَ يَدَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৬- হাত তুলে দোয়া করা।
৬১৯। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্রয় প্রার্থনা করে বলতেনঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই অলসতা থেকে, আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই ভীরুতা থেকে, আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই কৃপণতা থেকে এবং বার্ধক্য থেকে -(বুখারী, মুসলিম)।
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَعَوَّذُ ، يَقُولُ : اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَرَمِ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৬- হাত তুলে দোয়া করা।
৬২০। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মহামহিম আল্লাহ বলেছেন, আমি আমার বান্দার জন্য সেইরূপ যেরূপ সে আমার সম্পর্কে ধারণা পোষণ করে। আমি তার সাথেই থাকি যখন সে আমাকে ডাকে -(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)।
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ : أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي ، وَأَنَا مَعَهُ إِذَا دَعَانِي
পরিচ্ছেদঃ ২৭৭- সায়্যিদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া)
৬২১। শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সায়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া হলোঃ
উচ্চারণ:“আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ’উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূউ’ বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা”
অর্থঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক। তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছে এবং আমি তোমার বান্দা। আমি যথাসাধ্য তোমার ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি পালনে বদ্ধপরিকর। আমি তোমার দেয়া নিয়ামতের কথা স্বীকার করি এবং আমার পাপের কথাও তোমার কাছে স্বীকার করি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো। কেননা তুমি ছাড়া গুনাহ মাফকারী আর কেউ নাই। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার আশ্রয় চাই”। যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে এরূপ বলে (ঐ রাতে) মারা গেলে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে বা বেহেশতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর সে ভোরে উপনীত হয়ে ঐরুপ বললে এবং সেদিন মারা গেলে বেহেশতে প্রবেশ করবে বা বেহেশতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (বুখারী, তিরমিযী, নাসাঈ)
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ كَعْبٍ ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " سَيِّدُ الاسْتِغْفَارِ : اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي ، فَاغْفِرْ لِي ، فَإِنَّهُ لا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلا أَنْتَ ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ ، إِذَا قَالَ حِينَ يُمْسِي فَمَاتَ دَخَلَ الْجَنَّةَ ، أَوْ : كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ، وَإِذَا قَالَ حِينَ يُصْبِحُ فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ . . . " مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৭- সায়্যিদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া)
৬২২। ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মজলিসে অবশ্যই গণনা করে দেখতাম যে, তিনি এক মজলিসে শতবার বলতেনঃ “প্ৰভু! আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার তওবা কবুল করো। নিশ্চয় তুমিই একমাত্র তওবা কবুলকারী, দয়াময়”। (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, আহমাদ, ইবনে হিব্বান)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ ، عَنِ ابْنِ سُوقَةَ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ : " إِنْ كُنَّا لَنَعُدُّ فِي الْمَجْلِسِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : رَبِّ اغْفِرْ لِي ، وَتُبْ عَلَيَّ ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ " مِائَةَ مَرَّةٍ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৭- সায়্যিদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া)
৬২৩। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাশতের নামায পড়লেন, অতঃপর বলেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার তওবা কবুল করো। নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী, দয়াময়”। এমনকি তিনি তা শতবার বললেন (নাসাঈ, আহমাদ)।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ، عَنْ حُصَيْنٍ ، عَنْ هِلالِ بْنِ يَسَافٍ ، عَنْ زَاذَانَ ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، قَالَتْ : " صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الضُّحَى ، ثُمَّ قَالَ : اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ، وَتُبْ عَلَيَّ ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ " ، حَتَّى قَالَهَا مِائَةَ مَرَّةٍ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৭- সায়্যিদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া)
৬২৪। শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সায়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া হলো, কারো এভাবে বলাঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক। তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছে এবং আমি তোমার বান্দা। আমি যথাসাধ্য তোমার দেয়া ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি পালনে বদ্ধপরিকর। আমি আমার কৃতকর্মের ক্ষতি থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। আমি তোমার কাছে তোমার দেয়া নিয়ামতরাজির স্বীকারোক্তি করছি এবং আমি তোমার কাছে আমার গুনাহ স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো। কেননা তুমি ছাড়া গুনাহ মাফকারী আর কেউ নাই”।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন ব্যক্তি দৃঢ় প্রত্যয়সহ দিনের বেলা তা বললে এবং সেদিনই সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বে মারা গেলে সে জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর কোন ব্যক্তি দৃঢ় প্রত্যয়সহ তা রাতের বেলা বললে এবং ভোর হওয়ার পূর্বেই মারা গেলে সেও জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (বুখারী, তিরমিযী, নাসাঈ)
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنِي بُشَيْرُ بْنُ كَعْبٍ الْعَدَوِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنِي شَدَّادُ بْنُ أَوْسٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " سَيِّدُ الاسْتِغْفَارِ أَنْ يَقُولَ : اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي ، لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي ، فَاغْفِرْ لِي ، فَإِنَّهُ لا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلا أَنْتَ ، قَالَ : مَنْ قَالَهَا مِنَ النَّهَارِ مُوقِنًا بِهَا ، فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ قَبْلَ أَنْ يُمْسِيَ فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ، وَمَنْ قَالَهَا مِنَ اللَّيْلِ وَهُوَ مُوقِنٌ بِهَا ، فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصْبِحَ فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৭- সায়্যিদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া)
৬২৫। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো। আমি দৈনিক শতবার আল্লাহর কাছে তওবা করি।
حَدَّثَنَا حَفْصٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ ، سَمِعْتُ الأَغَرَّ ، رَجُلٌ مِنْ جُهَيْنَةَ ، يُحَدِّثُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ، قَالَ : سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقُولُ : " تُوبُوا إِلَى اللَّهِ ، فَإِنِّي أَتُوبُ إِلَيْهِ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৭- সায়্যিদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া)
৬২৬। কাব ইবনে উজরা (রাঃ) বলেন, নামাযের পরে পড়ার কলেমা আছে, যেগুলোর পাঠকারী ক্ষতিগ্রস্থ হয় নাঃ “আল্লাহ মহাপবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। আল্লাহ মহান”। রাবী আবু উনাইস ও আমর ইবনে কায়েস (রহঃ) হাদীসটি মারফু সুত্রে বর্ণনা করেছেন। (মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ ، عَنِ الْحَكَمِ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ ، قَالَ : " مُعَقِّبَاتٌ لا يَخِيبُ قَائِلُهُنَّ : سُبْحَانَ اللَّهِ ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ، وَلا إِلَهَ إِلا اللَّهُ ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ ، مِائَةَ مَرَّةٍ " . رَفَعَهُ ابْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ , وَعَمْرُو بْنُ قَيْسٍ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৮- ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করা।
৬২৭। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সত্বর কবুল হওয়ার মতো দোয়া হলো এক অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য অপর অনুপস্থিত ব্যক্তির দোয়া। (তিরমিযী, আবু দাউদ)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " أَسْرَعُ الدُّعَاءِ إِجَابَةً دُعَاءُ غَائِبٍ لِغَائِبٍ