পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৩২। ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, আমি আমার প্রতিটি ব্যাপারেই দোয়া করে থাকি, এমনকি আমার জন্তুযানকে দ্রুত গতিসম্পন্ন করে দেওয়ার জন্যও দোয়া করি। তাতে আমি আনন্দদায়ক ফলই লাভ করি।
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ يَعِيشَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يُونُسُ ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ : " إِنِّي لأَدْعُو فِي كُلِّ شَيْءٍ مِنْ أَمْرِي حَتَّى أَنْ يُفْسِحَ اللَّهُ فِي مَشْيِ دَابَّتِي ، حَتَّى أَرَى مِنْ ذَلِكَ مَا يَسُرُّنِي
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৩৩। উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তার দোয়াসমূহের মধ্যে একটি ছিলোঃ “হে আল্লাহ! সৎকর্মশীল লোকদের সাথে আমার মৃত্যু দান করো, নিকৃষ্ট লোকদের মধ্যে আমাকে জীবিত রেখো না এবং উত্তম লোকদের সাথে আমার মিলন ঘটাও”।
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو مُعَاوِيَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُهَاجِرٌ أَبُو الْحَسَنِ ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ الأَوْدِيِّ ، عَنْ عُمَرَ ، أَنَّهُ كَانَ فِيمَا يَدْعُو : " اللَّهُمَّ تَوَفَّنِي مَعَ الأَبْرَارِ ، وَلا تُخَلِّفْنِي فِي الأَشْرَارِ ، وَأَلْحِقْنِي بِالأَخْيَارِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৩৪। শাকীক (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ (রাঃ) বেশীর ভাগ নিম্নোক্ত বাক্যে দোয়া করতেনঃ “আমাদের প্রতিপালক! আমাদের মধ্যকার সম্পর্কের সংশোধন করে দাও, আমাদেরকে ইসলামের পথে পরিচালিত করো, আমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে মুক্তি দাও, প্রকাশ্য ও গুপ্ত সকল প্রকার অশ্লীলতা থেকে আমাদের দূরে রাখো, আমাদের শ্রবণেন্দ্রীয়, অন্তরসমূহ ও আমাদের স্ত্রী-পুত্রদের মধ্যে বরকত দান করো এবং আমাদের তওবা কবুল করো। কেননা তুমিই তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। তুমি আমাদেরকে নিয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞ, এগুলোর প্রশংসাকারী ও আলোচনাকারী বানাও এবং তা আমাদেরকে পূর্ণরূপে দান করে”।-(আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তাবারানী)
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبِي ، قَالَ : حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شَقِيقٌ ، قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ ، يُكْثِرُ أَنْ يَدْعُوَ بِهَؤُلاءِ الدَّعَوَاتِ : " رَبَّنَا أَصْلِحْ بَيْنَنَا ، وَاهْدِنَا سَبِيلَ الإِسْلامِ ، وَنَجِّنَا مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ ، وَاصْرِفْ عَنَّا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهْرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ ، وَبَارِكْ لَنَا فِي أَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُلُوبِنَا وَأَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا ، وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ، وَاجْعَلْنَا شَاكِرِينَ لِنِعْمَتِكَ ، مُثْنِينَ بِهَا ، قَائِلِينَ بِهَا ، وَأَتْمِمْهَا عَلَيْنَا
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৩৫। সাবিত (রহঃ) বলেন, আনাস (রাঃ) তার ভাইয়ের জন্য দোয়া করার সময় বলতেন, “আল্লাহ তার প্রতি সৎকর্মপরায়ণ লোকদের দোয়া বর্ষণ করুন, যারা যালেম বা পাপাচারী নন, যারা রাত জেগে ইবাদত করেন এবং দিনের বেলা রোযা রাখেন”।
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ ، عَنْ ثَابِتٍ ، قَالَ : كَانَ أَنَسٌ ، إِذَا دَعَا لأَخِيهِ ، يَقُولُ : " جَعَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ صَلاةَ قَوْمٍ إِبْرَارٍ لَيْسُوا بِظَلَمَةٍ وَلا فُجَّارٍ ، يَقُومُونَ اللَّيْلَ ، وَيَصُومُونَ النَّهَارَ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৩৬। আমর ইবনে হুরাইস (রাঃ) বলেন, আমার মা আমাকে নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলেন। তিনি আমার মাথা মলে দিলেন এবং আমার রিযিকের জন্য দোয়া করলেন। -(উসদুল গাবা)
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ الْيَمَانِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ حُرَيْثٍ ، يَقُولُ : " ذَهَبَتْ بِي أُمِّي إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَمَسَحَ عَلَى رَأْسِي ، وَدَعَا لِي بِالرِّزْقِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৩৭। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন যে, তিনি যাবিয়ায় অবস্থানকালে তাকে বলা হলো, আপনার ভাই-বন্ধু তাদের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করানোর উদ্দেশ্যে বসরা থেকে আপনার নিকট এসেছে। তিনি বলেন, “হে আল্লাহ! আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের দয়া করুন, আমাদের দুনিয়ার কল্যাণ ও আখেরাতের কল্যাণ দান করুন এবং আমাদেরকে দোযখের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন”। তারা আরো অধিক দোয়ার আবেদন করলে তিনি পূর্বোক্ত দোয়া করেন। তিনি বলেন, তোমাদের যদি তা দান করা হয় তাহলে তোমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ দান করা হলো।
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا مُوسَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرُّومِيُّ ، قَالَ : أَخْبَرَنِي أَبِي ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : قِيلَ لَهُ : " إِنَّ إِخْوَانَكَ أَتَوْكَ مِنَ الْبَصْرَةِ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ بِالزَّاوِيَةِ ، لِتَدْعُوَ اللَّهَ لَهُمْ ، قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَنَا ، وَارْحَمْنَا ، وَآتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً ، وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً ، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ، فَاسْتَزَادُوهُ ، فَقَالَ مِثْلَهَا ، فَقَالَ : إِنْ أُوتِيتُمْ هَذَا ، فَقَدْ أُوتِيتُمْ خَيْرَ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৩৮। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি গাছের ডাল ধরে নাড়া দিলেন কিন্তু পাতা ঝরলো না। তিনি পুনরায় তা ধরে নাড়া দিলেন কিন্তু এবারও পাতা ঝরলো না। তিনি পুনরায় ডাল ধরে নাড়া দিলে এবার পাতা ঝরলো। তিনি বলেনঃ “সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” বাক্য গুনাহ ঝরিয়ে দেয়, যেমন গাছ তার পাতাসমূহ ঝরিয়ে দেয় (তিরমিযী, আহমাদ)।
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو رَبِيعَةَ سِنَانٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ ، قَالَ : " أَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُصْنًا فَنَفَضَهُ فَلَمْ يَنْتَفِضْ ، ثُمَّ نَفَضَهُ فَلَمْ يَنْتَفِضْ ، ثُمَّ نَفَضَهُ فَانْتَفَضَ ، قَالَ : إِنَّ سُبْحَانَ اللَّهِ ، وَالْحَمْدَ لِلَّهِ ، وَلا إِلَهَ إِلا اللَّهُ ، يَنْفُضْنَ الْخَطَايَا كَمَا تَنْفُضُ الشَّجَرَةُ وَرَقَهَا
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৩৯। আনাস (রাঃ) বলেন, এক মহিলা তার কোন প্রয়োজন পূরণের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলো। তিনি বলেনঃ আমি কি তোমাকে এর চেয়েও উত্তম কিছু বলে দিবো না? তোমার শয়নকালে তুমি তেত্রিশবার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, তেত্রিশবার “সুবহানাল্লাহ” এবং চৌত্রিশবার “আলহামদু লিল্লাহ” বলবে, তাতে এক শতবার হবে এবং তা দুনিয়া ও তার মধ্যকার সব কিছুর চেয়ে উত্তম। (মুসনাদ আহমাদ, ইবনে হিব্বান)
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سَلَمَةُ ، قَالَ : سَمِعْتُ أَنَسًا ، يَقُولُ : " أَتَتِ امْرَأَةٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَشْكُو إِلَيْهِ الْحَاجَةَ ، أَوْ بَعْضَ الْحَاجَةِ ، فَقَالَ : أَلا أَدُلُّكَ عَلَى خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ ؟ تُهَلِّلِينَ اللَّهَ ثَلاثِينَ عِنْدَ مَنَامِكِ ، وَتُسَبِّحِينَ ثَلاثًا وَثَلاثِينَ ، وَتَحْمَدِينَ أَرْبَعًا وَثَلاثِينَ ، فَتِلْكَ مِائَةٌ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৪০। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেনঃ যে ব্যক্তি এক শতবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, এক শতবার সুবহানাল্লাহ এবং এক শতবার আল্লাহু আকবার বলবে তার জন্য তা দশটি গোলাম আযাদ করা এবং সাতটি উট কোরবানী করার চেয়ে উত্তম।
وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ هَلَّلَ مِائَةً ، وَسَبَّحَ مِائَةً ، وَكَبَّرَ مِائَةً ، خَيْرٌ لَهُ مِنْ عَشْرِ رِقَابٍ يُعْتِقُهَا ، وَسَبْعِ بَدَنَاتٍ يَنْحَرُهَا
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৪১। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন দোয়া সর্বোত্তম? তিনি বলেনঃ তুমি আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখেরাতের স্বস্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করো। সে পরদিন সকালে তার নিকট এসে আবার বললো, হে আল্লাহর নবী! কোন দোয়া সর্বোত্তম? তিনি বলেনঃ তুমি আল্লাহর নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের স্বস্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করো, সুখ-শান্তি প্রার্থনা করো। যদি তোমাকে দুনিয়া ও আখেরাতের স্বস্তি ও নিরাপত্তা দান করা হয় তবে তুমি সফলকাম হলে। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ ، فَقَالَ : " يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَيُّ الدُّعَاءِ أَفْضَلُ ؟ قَالَ : سَلِ اللَّهَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، ثُمَّ أَتَاهُ الْغَدَ فَقَالَ : يَا نَبِيَّ اللَّهِ ، أَيُّ الدُّعَاءِ أَفْضَلُ ؟ قَالَ : سَلِ اللَّهَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، فَإِذَا أُعْطِيتَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ فَقَدْ أَفْلَحْتَ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৪২। আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম কথা হচ্ছেঃ “সুবহানাল্লাহ লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন কাদীর। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি” (আল্লাহ মহাপবিত্র, তাঁর কোন শরীক নাই। রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর এবং তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। মন্দকে রোধ করা এবং কল্যাণ হাসিল করার শক্তি আল্লাহ ব্যতীত কারো নাই। আল্লাহ মহাপবিত্র ও সকল প্রশংসা তাঁরই”) (মুসলিম)
حَدَّثَنَا آدَمُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَسْرِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " أَحَبُّ الْكَلامِ إِلَى اللَّهِ : سُبْحَانَ اللَّهِ لا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، لا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلا بِاللَّهِ ، سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯- বিবিধ।
৬৪৩। আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। আমি নামায পড়ছিলাম। তার কি একটা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমি তাতে বিলম্ব করলাম। তিনি বলেনঃ হে আয়েশা! তুমি অবশ্যই সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপকার্থক দোয়া করবে। নামায শেষ করে আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপকার্থক দোয়া কি? তিনি বলেনঃ তুমি বলো, “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট বিলম্বে ও অবিলম্বে, আমার জ্ঞাত ও অজ্ঞাত সব রকম কল্যাণ কামনা করছি। আমি তোমার নিকট বিলম্বে ও অবিলম্বে আমার জানা ও অজানা সব রকম ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি তোমার নিকট বেহেশত এবং যে কথা ও কাজ বেহেশতের নিকটবর্তী করে দেয় তা প্রার্থনা করছি। আমি তোমার নিকট দোযখ থেকে এবং যে কথা ও কাজ দোযখের নিকটবর্তী করে দেয় তা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি তোমার নিকট সেই জিনিস প্রার্থনা করছি যা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার নিকট প্রার্থনা করেছেন। আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি সেই জিনিস থেকে যা থেকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। আমার ব্যাপারে তুমি যে ফয়সালা করেছো পরিণামে তাকে (আমার) হেদায়াতের উপায় বানাও” (ইবনে মাজাহ)।
حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ ، عَنْ جَبْرِ بْنِ حَبِيبٍ ، عَنْ أُمِّ كُلْثُومِ ابْنَةِ أَبِي بَكْرٍ ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، قَالَتْ : " دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أُصَلِّي ، وَلَهُ حَاجَةٌ ، فَأَبْطَأْتُ عَلَيْهِ ، قَالَ : يَا عَائِشَةُ ، عَلَيْكِ بِجُمَلِ الدُّعَاءِ وَجَوَامِعِهِ ، فَلَمَّا انْصَرَفْتُ ، قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، وَمَا جُمَلُ الدُّعَاءِ وَجَوَامِعُهُ ؟ قَالَ : قُولِي : اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ كُلِّهِ ، عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ ، مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الشَّرِّ كُلِّهِ عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ ، مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمُ ، وَأَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ ، وَأَسْأَلُكَ مِمَّا سَأَلَكَ بِهِ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِمَّا تَعَوَّذَ مِنْهُ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، وَمَا قَضَيْتَ لِي مِنْ قَضَاءٍ فَاجْعَلْ عَاقِبَتَهُ رُشْدًا