পরিচ্ছেদঃ ৬৬- কেউ যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।

১১৮। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, বাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলা হলো ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক নারী সারা রাত নামায পড়ে, সারা দিন রোযা রাখে, ভালো কাজ করে, দান-খয়রাত করে এবং নিজ প্রতিবেশীদেরকে মুখের কথায় কষ্ট দেয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই, সে জাহান্নামী। পুনরায় সাহাবীগণ বলেন, অমুক নারী ফরয নামায পড়ে, বস্ত্র দান করে এবং কাউকে কষ্ট দেয় না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে জান্নাতী (আবু দাউদ, আহমাদ, হাকিম, ইবনে হিব্বান, বাযযার)।

بَابُ لا يُؤْذِي جَارَهُ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى مَوْلَى جَعْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ‏:‏ قِيلَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّ فُلاَنَةً تَقُومُ اللَّيْلَ وَتَصُومُ النَّهَارَ، وَتَفْعَلُ، وَتَصَّدَّقُ، وَتُؤْذِي جِيرَانَهَا بِلِسَانِهَا‏؟‏ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ لاَ خَيْرَ فِيهَا، هِيَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، قَالُوا‏:‏ وَفُلاَنَةٌ تُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ، وَتَصَّدَّقُ بِأَثْوَارٍ، وَلاَ تُؤْذِي أَحَدًا‏؟‏ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ هِيَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ‏.‏

حدثنا مسدد، قال‏:‏ حدثنا عبد الواحد، قال‏:‏ حدثنا الاعمش، قال‏:‏ حدثنا ابو يحيى مولى جعدة بن هبيرة قال‏:‏ سمعت ابا هريرة يقول‏:‏ قيل للنبي صلى الله عليه وسلم‏:‏ يا رسول الله، ان فلانة تقوم الليل وتصوم النهار، وتفعل، وتصدق، وتوذي جيرانها بلسانها‏؟‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم‏:‏ لا خير فيها، هي من اهل النار، قالوا‏:‏ وفلانة تصلي المكتوبة، وتصدق باثوار، ولا توذي احدا‏؟‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم‏:‏ هي من اهل الجنة‏.‏


Abu Hurayra said, "The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, was asked, 'Messenger of Allah! A certain woman prays in the night, fasts in the day, acts and gives sadaqa, but injures her neighbours with her tongue.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'There is no good in her. She is one of the people of the Fire.' They said, 'Another woman prays the prescribed prayers and gives bits of curd as sadaqa and does not injure anyone.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'She is one of the people of the Garden.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-আদাবুল মুফরাদ
প্রতিবেশীর সাথে সদাচার

পরিচ্ছেদঃ ৬৬- কেউ যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।

১১৯। উমারা ইবনে গুরাব (রহঃ) বলেন, তার ফুফু তাকে বলেছেন যে, তিনি উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের কাউকে তার স্বামী কামনা করলে সে নিজেকে অভিমান অথবা অনিচ্ছা বশত স্বামীর নিকট সমর্পণ করে না। এতে কি আমাদের কোন দোষ হবে? তিনি বলেন, হাঁ। তোমার উপর তার অধিকার এই যে, সে তোমাকে কামনা করলে তুমি তার নিকট নিজেকে সমর্পণ করবে। তুমি তখন উটের পিঠে থাকলেও তাকে বাধা দিতে পারবে না। রাবী বলেন, আমি তাকে বললাম, আমাদের কেউ ঋতুবতী হয়, অথচ তার ও তার স্বামীর একটি মাত্র লেপ বা বিছানা, তখন সে কি করবে? তিনি বলেন, সে তার নিম্নাঙ্গে উত্তমরূপে বস্ত্র কষে বাঁধবে, অতঃপর তার সাথেই ঘুমাবে। এর উপর দিয়ে সে যা করতে চায় করবে। সাথে সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি করতেন তাও আমি তোমাকে অবহিত করছি। আমার পালার রাতে আমি কিছু যব পিষলাম এবং তাঁর জন্য পিঠা তৈরি করলাম। তিনি ঘরে এসে পুনরায় মসজিদে চলে গেলেন।

তিনি ঘুমাতে উদ্যত হলে ঘরের দরজা বন্ধ করতেন, কলসের মুখ বন্ধ করতেন, পাত্রসমূহ উপুড় করে রাখতেন এবং বাতি নিভিয়ে দিতেন। আমি অপেক্ষায় থাকলাম যে, তিনি ফিরে আসবেন এবং আমি তাঁকে পিঠা খাওয়াবো। কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি। শেষে ঘুম আমাকে পরাভূত করলো এবং শীত তাঁকে পীড়া দিলো। তিনি আমার নিকট এসে আমাকে তুললেন, তারপর বললেনঃ আমাকে উত্তাপ দাও, আমাকে উত্তাপ দাও। আমি তাঁকে বললাম, আমি তো ঋতুবতী। তিনি বলেনঃ তথাপি তোমার উরুদ্বয় একটু উম্মুক্ত করো। আমি আমার উরুদ্বয় উম্মুক্ত করলাম। তিনি তার গাল ও মাথা আমার উরুদ্বয়ের উপর রাখলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি উত্তপ্ত হলেন। আমাদের প্রতিবেশীর একটি পোষা বকরী এসে পিঠা খেতে উদ্যত হলো। সে একটি পিঠা মুখে তুলে নিলো। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি নড়াচড়া করায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আমি তাড়াতাড়ি বকরীটিকে দরজা দিয়ে তাড়িয়ে দিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি যে পিঠাটি উঠিয়েছো তা রেখে দাও এবং তোমার প্রতিবেশীকে তার বকরীর কারণে কষ্ট দিও না।

بَابُ لا يُؤْذِي جَارَهُ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ غُرَابٍ، أَنَّ عَمَّةً لَهُ حَدَّثَتْهُ، أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَقَالَتْ‏:‏ إِنَّ زَوْجَ إِحْدَانَا يُرِيدُهَا فَتَمْنَعُهُ نَفْسَهَا، إِمَّا أَنْ تَكُونَ غَضَبَى أَوْ لَمْ تَكُنْ نَشِيطَةً، فَهَلْ عَلَيْنَا فِي ذَلِكَ مِنْ حَرَجٍ‏؟‏ قَالَتْ‏:‏ نَعَمْ، إِنَّ مِنْ حَقِّهِ عَلَيْكِ أَنْ لَوْ أَرَادَكِ وَأَنْتِ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعِيهِ، قَالَتْ‏:‏ قُلْتُ لَهَا‏:‏ إِحْدَانَا تَحِيضُ، وَلَيْسَ لَهَا وَلِزَوْجِهَا إِلاَّ فِرَاشٌ وَاحِدٌ أَوْ لِحَافٌ وَاحِدٌ، فَكَيْفَ تَصْنَعُ‏؟‏ قَالَتْ‏:‏ لِتَشُدَّ عَلَيْهَا إِزَارَهَا ثُمَّ تَنَامُ مَعَهُ، فَلَهُ مَا فَوْقَ ذَلِكَ، مَعَ أَنِّي سَوْفَ أُخْبِرُكِ مَا صَنَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ إِنَّهُ كَانَ لَيْلَتِي مِنْهُ، فَطَحَنْتُ شَيْئًا مِنْ شَعِيرٍ، فَجَعَلْتُ لَهُ قُرْصًا، فَدَخَلَ فَرَدَّ الْبَابَ، وَدَخَلَ إِلَى الْمَسْجِدِ، وَكَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ أَغْلَقَ الْبَابَ، وَأَوْكَأَ الْقِرْبَةَ، وَأَكْفَأَ الْقَدَحَ، وَأطْفَأَ الْمِصْبَاحَ، فَانْتَظَرْتُهُ أَنْ يَنْصَرِفَ فَأُطْعِمُهُ الْقُرْصَ، فَلَمْ يَنْصَرِفْ، حَتَّى غَلَبَنِي النَّوْمُ، وَأَوْجَعَهُ الْبَرْدُ، فَأَتَانِي فَأَقَامَنِي ثُمَّ قَالَ‏:‏ أَدْفِئِينِي أَدْفِئِينِي، فَقُلْتُ لَهُ‏:‏ إِنِّي حَائِضٌ، فَقَالَ‏:‏ وَإِنْ، اكْشِفِي عَنْ فَخِذَيْكِ، فَكَشَفْتُ لَهُ عَنْ فَخِذَيَّ، فَوَضَعَ خَدَّهُ وَرَأْسَهُ عَلَى فَخِذَيَّ حَتَّى دَفِئَ‏.‏ فَأَقْبَلَتْ شَاةٌ لِجَارِنَا دَاجِنَةٌ فَدَخَلَتْ، ثُمَّ عَمَدَتْ إِلَى الْقُرْصِ فَأَخَذَتْهُ، ثُمَّ أَدْبَرَتْ بِهِ‏.‏ قَالَتْ‏:‏ وَقَلِقْتُ عَنْهُ، وَاسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَبَادَرْتُهَا إِلَى الْبَابِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ خُذِي مَا أَدْرَكْتِ مِنْ قُرْصِكِ، وَلاَ تُؤْذِي جَارَكِ فِي شَاتِهِ‏.‏

حدثنا عبد الله بن يزيد، قال‏:‏ حدثنا عبد الرحمن بن زياد قال‏:‏ حدثني عمارة بن غراب، ان عمة له حدثته، انها سالت عاىشة ام المومنين رضي الله عنها، فقالت‏:‏ ان زوج احدانا يريدها فتمنعه نفسها، اما ان تكون غضبى او لم تكن نشيطة، فهل علينا في ذلك من حرج‏؟‏ قالت‏:‏ نعم، ان من حقه عليك ان لو ارادك وانت على قتب لم تمنعيه، قالت‏:‏ قلت لها‏:‏ احدانا تحيض، وليس لها ولزوجها الا فراش واحد او لحاف واحد، فكيف تصنع‏؟‏ قالت‏:‏ لتشد عليها ازارها ثم تنام معه، فله ما فوق ذلك، مع اني سوف اخبرك ما صنع النبي صلى الله عليه وسلم‏:‏ انه كان ليلتي منه، فطحنت شيىا من شعير، فجعلت له قرصا، فدخل فرد الباب، ودخل الى المسجد، وكان اذا اراد ان ينام اغلق الباب، واوكا القربة، واكفا القدح، واطفا المصباح، فانتظرته ان ينصرف فاطعمه القرص، فلم ينصرف، حتى غلبني النوم، واوجعه البرد، فاتاني فاقامني ثم قال‏:‏ ادفىيني ادفىيني، فقلت له‏:‏ اني حاىض، فقال‏:‏ وان، اكشفي عن فخذيك، فكشفت له عن فخذي، فوضع خده وراسه على فخذي حتى دفى‏.‏ فاقبلت شاة لجارنا داجنة فدخلت، ثم عمدت الى القرص فاخذته، ثم ادبرت به‏.‏ قالت‏:‏ وقلقت عنه، واستيقظ النبي صلى الله عليه وسلم فبادرتها الى الباب، فقال النبي صلى الله عليه وسلم‏:‏ خذي ما ادركت من قرصك، ولا توذي جارك في شاته‏.‏


'Umara ibn Ghurab reported that an aunt of his told him that she asked 'A'isha, Umm al-Mu'minin, "If a woman's husband desires her and she refuses to give herself to him either because she is angry or not eager, is there anything wrong in that?" "Yes," she replied. "Part of his right over you is that if he desires you when you are on a saddle, you must not refuse him." She said, "I also asked her, 'If one of us is menstruating and she and her husband only have a single cover, what should she do?' She replied, 'She should wrap her wrapper around her and sleep with him. He can have what is above it. I will tell you what the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, did on one of his nights with me. I had cooked some barley and made loaf for him. He came in, stopped at the door, and then went into the mosque. When he wanted to sleep, he closed the door, tied up the waterskin, turned the cup over and put out the light. I waited for him and he ate the loaf. He did not go until I fell asleep. Later he felt the cold and came and got me up. "Warm me! Warm me!" he said. I said, "I am menstruating." He said, "Then uncover your thighs," so I uncovered my thighs and he put his cheek and head on my thighs until he was warm. Then a pet sheep belonging to our neighbour came in. I went and took the load away. I disturbed the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, and he woke up, so I chased the sheep to the door. The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "Take what you got of your loaf and do not injure your neighbour's sheep."'


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-আদাবুল মুফরাদ
প্রতিবেশীর সাথে সদাচার

পরিচ্ছেদঃ ৬৬- কেউ যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।

১২০। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ নয়, সে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবু দাউদ)।

بَابُ لا يُؤْذِي جَارَهُ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ أَبُو الرَّبِيعِ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ‏.‏

حدثنا سليمان بن داود ابو الربيع، قال‏:‏ حدثنا اسماعيل بن جعفر، قال‏:‏ حدثنا العلاء بن عبد الرحمن، عن ابيه، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ لا يدخل الجنة من لا يامن جاره بواىقه‏.‏


Abu Hurayra reported that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "A person whose neighbours are not safe from his evil will not enter the Garden."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-আদাবুল মুফরাদ
প্রতিবেশীর সাথে সদাচার
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে