পরিচ্ছেদঃ ৬১. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ)-এর মর্যাদা

৩৮৬৭। আল-মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বারের উপর বলতে শুনেছিঃ হিশাম ইবনুল মুগীরাহ গোত্রের লোকেরা আলী ইবনু আবী তলিবের নিকট তাদের মেয়ে বিবাহ দেয়ার প্রসঙ্গে আমার নিকটে সম্মতি চেয়েছে। কিন্তু আমি অনুমতি দিব না, অনুমতি দিব না, অনুমতি দিব না। তবে আলী ইবনু আবী তলিব ইচ্ছা করলে আমার কন্যাকে তালাক দিয়ে তাদের মেয়ে বিবাহ করতে পারে। ফাতিমাহ হচ্ছে আমার শরীরের অংশ। তার কাছে যা খারাপ লাগে আমার নিকটও তা খারাপ লাগে, যা তার জন্য কষ্টদায়ক, তা আমার জন্যও কষ্টদায়ক।

সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৯৯৮), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। লাইসের হাদীসের অনুরূপ হাদীস ’আমর ইবনু দীনার, ইবনু আবী মুলাইকাহ হতে, তিনি মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ হতে বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ ‏ "‏ إِنَّ بَنِي هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ اسْتَأْذَنُونِي فِي أَنْ يُنْكِحُوا ابْنَتَهُمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَلاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ إِلاَّ أَنْ يُرِيدَ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَ ابْنَتِي وَيَنْكِحَ ابْنَتَهُمْ فَإِنَّهَا بَضْعَةٌ مِنِّي يَرِيبُنِي مَا رَابَهَا وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ نَحْوَ هَذَا ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن ابن ابي مليكة، عن المسور بن مخرمة، قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول وهو على المنبر ‏ "‏ ان بني هشام بن المغيرة استاذنوني في ان ينكحوا ابنتهم علي بن ابي طالب فلا اذن ثم لا اذن ثم لا اذن الا ان يريد ابن ابي طالب ان يطلق ابنتي وينكح ابنتهم فانها بضعة مني يريبني ما رابها ويوذيني ما اذاها ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد رواه عمرو بن دينار عن ابن ابي مليكة عن المسور بن مخرمة نحو هذا ‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhramah:
"While he was on the Minbar, I heard the Prophet (ﷺ) saying: 'Indeed Banu Hisham bin Al-Mughirah asked me if they could marry their daughter to 'Ali bin Abi Talib. But I do not allow it, I do not allow it, I do not allow it - unless 'Ali bin Abi Talib wishes to divorce my daughter and marry their daughter, because she is a part of me. I am displeased by what displeases her, and I am harmed by what harms her."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬১. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ)-এর মর্যাদা

৩৮৬৮। বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ নারীদের মধ্যে ফাতিমা (রাঃ) এবং পুরুষদের মধ্যে আলী (রাঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সবচাইতে প্রিয়। ইবরাহীম (রাহঃ) বলেন, অর্থাৎ তার পরিবারস্থ লোকদের মধ্যে।

মুনকার, নাকদুল কাত্তানীঃ ২৯১

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই হাদীসটি জেনেছি।

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ جَعْفَرٍ الأَحْمَرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ أَحَبَّ النِّسَاءِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةُ وَمِنَ الرِّجَالِ عَلِيٌّ ‏.‏ قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ يَعْنِي مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا ابراهيم بن سعيد الجوهري، حدثنا الاسود بن عامر، عن جعفر الاحمر، عن عبد الله بن عطاء، عن ابن بريدة، عن ابيه، قال كان احب النساء الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فاطمة ومن الرجال علي ‏.‏ قال ابراهيم بن سعيد يعني من اهل بيته ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من هذا الوجه ‏.‏


Narrated Buraidah:
"The most beloved of women to the Messenger of Allah (ﷺ) was Fatimah and from the men was 'Ali."


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬১. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ)-এর মর্যাদা

৩৮৬৯। আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, আলী (রাযিঃ) আবূ জাহলের কন্যাকে বিয়ে করার আলোচনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনে বললেনঃ প্রকৃতপক্ষে ফাতিমাহ আমার শরীরের একটি অংশ। যা তাকে কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়, যা তাকে ক্লান্ত করে তা আমাকেও ক্লান্ত করে।

সহীহঃ ইরওয়া (৮/২৯৪)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ রকমই বলেছেন আইউব-ইবনু আবী মুলাইকাহ হতে, তিনি ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ) হতে। একাধিক বর্ণনাকারী ইবনু আবী মুলাইকাহ হতে, তিনি মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত ইবনু আবী মুলাইকাহ তাদের উভয়ের (ইবনুয যুবাইর ও মিসওয়ার) সনদে রিওয়ায়াত করেছেন।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَلِيًّا، ذَكَرَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّمَا فَاطِمَةُ بَضْعَةٌ مِنِّي يُؤْذِينِي مَا آذَاهَا وَيُنْصِبُنِي مَا أَنْصَبَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ هَكَذَا قَالَ أَيُّوبُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ رَوَى عَنْهُمَا جَمِيعًا ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا اسماعيل ابن علية، عن ايوب، عن ابن ابي مليكة، عن عبد الله بن الزبير، ان عليا، ذكر بنت ابي جهل فبلغ ذلك النبي صلى الله عليه وسلم فقال ‏ "‏ انما فاطمة بضعة مني يوذيني ما اذاها وينصبني ما انصبها ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ هكذا قال ايوب عن ابن ابي مليكة عن ابن الزبير وقال غير واحد عن ابن ابي مليكة عن المسور بن مخرمة ويحتمل ان يكون ابن ابي مليكة روى عنهما جميعا ‏.‏


Narrated 'Abdullah bin Az-Zubair:
that 'Ali mentioned the daughter of Jahl (for marriage), and that reached the Prophet (ﷺ) so he said: "Indeed Fatimah is but a part of me, I am harmed by what harms her and I am uncomfortable by what makes her uncomfortable."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬১. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ)-এর মর্যাদা

৩৮৭০। যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ তোমরা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে আমিও তাদের বিপক্ষে লড়াই করব এবং তোমরা যাদের সাথে শান্তি স্থাপন করবে আমিও তাদের সাথে শান্তি স্থাপন করব।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৪৫)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র আলোচ্য সূত্রেই জেনেছি। উম্মু সালামা (রাঃ)-এর মুক্তদাস সুবাইহ তেমন সুপরিচিত লোক নন।

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ صُبَيْحٍ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ وَالْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ ‏ "‏ أَنَا حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبْتُمْ وَسَلْمٌ لِمَنْ سَالَمْتُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَصُبَيْحٌ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ لَيْسَ بِمَعْرُوفٍ ‏.‏

حدثنا سليمان بن عبد الجبار البغدادي، حدثنا علي بن قادم، حدثنا اسباط بن نصر الهمداني، عن السدي، عن صبيح، مولى ام سلمة عن زيد بن ارقم، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لعلي وفاطمة والحسن والحسين ‏ "‏ انا حرب لمن حاربتم وسلم لمن سالمتم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب انما نعرفه من هذا الوجه ‏.‏ وصبيح مولى ام سلمة ليس بمعروف ‏.‏


Narrated Zaid bin Arqam:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said to 'Ali, Fatimah, Al-Hasan and Al-Husain: "I am at war with whoever makes war with you, and peace for whoever makes peace with you."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬১. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ)-এর মর্যাদা

৩৮৭১। উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান, হুসাইন, আলী ও ফাতিমাহ (রাযিঃ)-কে একখানা চাদরে ঢেকে বললেনঃ “হে আল্লাহ! এরা আমার পরিবার-পরিজন এবং আমার একান্ত আপনজন। সুতরাং তাদের হতে তুমি অপবিত্রতা দূরে সরিয়ে দাও এবং তাদেরকে উত্তমরূপে পবিত্র কর”। উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমিও কি তাদের অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তুমি মঙ্গলের কাছে আছ।

সহীহঃ পূর্বে বর্ণিত (৩২০৫) নং হাদীসের সহায়তায়।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত সব হাদীসের মাঝে এটাই সবচেয়ে ভাল। এ অনুচ্ছেদে উমার ইবনু আবী সালামাহ, আনাস ইবনু মালিক, আবূল হামরা, মাকিল ইবনু ইয়াসার ও আয়িশাহ (রাযিঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَلَّلَ عَلَى الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ وَعَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ كِسَاءً ثُمَّ قَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلُ بَيْتِي وَخَاصَّتِي أَذْهِبْ عَنْهُمُ الرِّجْسَ وَطَهِّرْهُمْ تَطْهِيرًا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَأَنَا مَعَهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ إِنَّكِ إِلَى خَيْرٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَأَبِي الْحَمْرَاءِ وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَعَائِشَةَ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو احمد الزبيري، حدثنا سفيان، عن زبيد، عن شهر بن حوشب، عن ام سلمة، ان النبي صلى الله عليه وسلم جلل على الحسن والحسين وعلي وفاطمة كساء ثم قال ‏"‏ اللهم هولاء اهل بيتي وخاصتي اذهب عنهم الرجس وطهرهم تطهيرا ‏"‏ ‏.‏ فقالت ام سلمة وانا معهم يا رسول الله قال ‏"‏ انك الى خير ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح وهو احسن شيء روي في هذا الباب ‏.‏ وفي الباب عن عمر بن ابي سلمة وانس بن مالك وابي الحمراء ومعقل بن يسار وعاىشة ‏.‏


Narrated Umm Salamah:
"The Prophet (ﷺ) put a garment over Al-Hasan, Al-Hussain, 'Ali and Fatimah, then he said: 'O Allah, these are the people of my house and the close ones, so remove the Rijs from them and purify them thoroughly." So Umm Salamah said: 'And am I with them, O Messenger of Allah?' He said: "You are upon good."'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬১. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ)-এর মর্যাদা

৩৮৭২। উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উঠা-বসা, আচার-অভ্যাস ও চালচলনের সাথে তার কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ)-এর অপেক্ষা বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আমি আর কাউকে দেখিনি। আয়িশাহ (রাযিঃ) আরও বলেন, ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) যখনই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসতেন তিনি তখনই তার নিকট উঠে যেতেন, তাকে চুমু দিতেন এবং নিজের স্থানে বসাতেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে গেলে তিনিও নিজের জায়গা হতে উঠে তাকে (পিতাকে) চুমা দিতেন এবং নিজের জায়গায় বসাতেন।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মৃত্যুশয্যায়) অসুস্থ হয়ে পড়লে তার নিকট এসে ফাতিমাহ (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখের উপর ঝুঁকে পড়েন এবং তাকে চুমু দেন, তারপর মাথা তুলে কাঁদেন। আবার তিনি তার মুখের উপর ঝুঁকে পড়েন, তারপর মাথা তুলে হাসেন। আমি (আয়িশাহ) বললাম, আমি অবশ্যই জানি যে, তিনি নিশ্চয়ই আমাদের নারীদের মাঝে সর্বাধিক বুদ্ধিমতী, কিন্তু (তার হাসি দেখে ভাবলাম) অন্যান্য নারীর মত সে একজন নারীই। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করলে তাকে আমি প্রশ্ন করলাম, কি ব্যাপার! আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখের উপর ঝুঁকে পড়লেন, তারপর মাথা তুলে কাঁদলেন, আবার ঝুঁকে পড়লেন, তারপর মাথা তুলে হাসলেন। আপনি কি কারণে এরূপ করলেন?

ফাতিমাহ (রাযিঃ) বললেন, তার জীবদ্দশায় আমি কথাটি গোপন রেখেছি (কারণ তিনি গোপন কথা প্রকাশ করা সঙ্গত মনে করতেন না)। আমাকে তিনি জানান যে, এই অসুখেই তিনি ইন্তিকাল করবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে জানান যে, তার পরিবারস্থ লোকদের মাঝে সবার পূর্বে আমিই তার সঙ্গে একত্রিত হব। তাই আমি হেসেছি।

সহীহঃ নাকদুল কিত্তানী (৪৪-৪৫), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উক্ত সনদে গারীব। হাদীসটি একাধিক সূত্রে আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشْبَهَ سَمْتًا وَدَلاًّ وَهَدْيًا بِرَسُولِ اللَّهِ فِي قِيَامِهَا وَقُعُودِهَا مِنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَتْ وَكَانَتْ إِذَا دَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَامَ إِلَيْهَا فَقَبَّلَهَا وَأَجْلَسَهَا فِي مَجْلِسِهِ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ عَلَيْهَا قَامَتْ مِنْ مَجْلِسِهَا فَقَبَّلَتْهُ وَأَجْلَسَتْهُ فِي مَجْلِسِهَا فَلَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَتْ فَاطِمَةُ فَأَكَبَّتْ عَلَيْهِ فَقَبَّلَتْهُ ثُمَّ رَفَعَتْ رَأْسَهَا فَبَكَتْ ثُمَّ أَكَبَّتْ عَلَيْهِ ثُمَّ رَفَعَتْ رَأْسَهَا فَضَحِكَتْ فَقُلْتُ إِنْ كُنْتُ لأَظُنُّ أَنَّ هَذِهِ مِنْ أَعْقَلِ نِسَائِنَا فَإِذَا هِيَ مِنَ النِّسَاءِ فَلَمَّا تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ لَهَا أَرَأَيْتِ حِيْنَ أَكْبَبْتِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَفَعْتِ رَأْسَكِ فَبَكَيْتِ ثُمَّ أَكْبَبْتِ عَلَيْهِ فَرَفَعْتِ رَأْسَكِ فَضَحِكْتِ مَا حَمَلَكِ عَلَى ذَلِكَ قَالَتْ إِنِّي إِذًا لَبَذِرَةٌ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ مَيِّتٌ مِنْ وَجَعِهِ هَذَا فَبَكَيْتُ ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي أَسْرَعُ أَهْلِهِ لُحُوقًا بِهِ فَذَاكَ حِينَ ضَحِكْتُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عثمان بن عمر، اخبرنا اسراىيل، عن ميسرة بن حبيب، عن المنهال بن عمرو، عن عاىشة بنت طلحة، عن عاىشة ام المومنين، قالت ما رايت احدا اشبه سمتا ودلا وهديا برسول الله في قيامها وقعودها من فاطمة بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قالت وكانت اذا دخلت على النبي صلى الله عليه وسلم قام اليها فقبلها واجلسها في مجلسه وكان النبي صلى الله عليه وسلم اذا دخل عليها قامت من مجلسها فقبلته واجلسته في مجلسها فلما مرض النبي صلى الله عليه وسلم دخلت فاطمة فاكبت عليه فقبلته ثم رفعت راسها فبكت ثم اكبت عليه ثم رفعت راسها فضحكت فقلت ان كنت لاظن ان هذه من اعقل نساىنا فاذا هي من النساء فلما توفي النبي صلى الله عليه وسلم قلت لها ارايت حين اكببت على النبي صلى الله عليه وسلم فرفعت راسك فبكيت ثم اكببت عليه فرفعت راسك فضحكت ما حملك على ذلك قالت اني اذا لبذرة اخبرني انه ميت من وجعه هذا فبكيت ثم اخبرني اني اسرع اهله لحوقا به فذاك حين ضحكت ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب من هذا الوجه وقد روي هذا الحديث من غير وجه عن عاىشة ‏.‏


Narrated 'Aishah:
"I have not seen anyone closer in conduct, way, and manners to that of the Messenger of Allah in regards to standing and sitting, than Fatimah the daughter of the Messenger of Allah (ﷺ)." She said "Whenever she would enter upon the Prophet (ﷺ) he would stand to her and kiss her, and he would sit her in his sitting place. Whenever the Prophet (ﷺ) entered upon her she would stand from her seat, and kiss him and sit him in her sitting place. So when the Prophet (ﷺ) fell sick and Fatimah entered, she bent over and kissed him. Then she lifted her head and cried, then she bent over him and she lifted her head and laughed. So I said: 'I used to think that this one was from the most intelligent of our women, but she is really just one of the women.' So when the Prophet (ﷺ) died, I said to her: 'Do you remember when you bent over the Prophet (ﷺ) and you lifted your head and cried, then you bent over him, then you lifted your head and laughed. What caused you to do that?' She said: 'Then, I would be the one who spreads the secrets. He (ﷺ) told me that he was to die from his illness, so I cried. Then he told me that I would be the quickest of his family to meet up with him. So that is when I laughed.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬১. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ)-এর মর্যাদা

৩৮৭৩। উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমাকে ডেকে তার সাথে চুপিসারে কিছু কথা বলেন। এতে ফাতিমা কেঁদে ফেলেন। তারপর তিনি কিছু কথা বললে ফাতিমা হাসেন। উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইনতিকালের পরে আমি ফাতিমাকে তার হাসি-কান্নার কারণ প্রশ্ন করি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে অবহিত করেন যে, অচিরেই তিনি মৃত্যুবরণ করবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে অবহিত করেন যে, মারইয়াম বিনতু ইমরান ব্যতীত আমি জান্নাতের নারীদের নেত্রী হব, তাই আমি হেসেছি।

সহীহঃ মিশকাত (৬১৮৪), সহীহাহ (২/৪৩৯)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপর্যুক্ত সূত্রে গারীব।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ ابْنِ عَثْمَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَهْبٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَا فَاطِمَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَنَاجَاهَا فَبَكَتْ ثُمَّ حَدَّثَهَا فَضَحِكَتْ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلْتُهَا عَنْ بُكَائِهَا وَضَحِكِهَا قَالَتْ أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يَمُوتُ فَبَكَيْتُ ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِلاَّ مَرْيَمَ ابْنَتَ عِمْرَانَ فَضَحِكْتُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

اخبرنا محمد بن بشار، حدثنا محمد بن خالد ابن عثمة، قال حدثني موسى بن يعقوب الزمعي، عن هاشم بن هاشم، ان عبد الله بن وهب، اخبره ان ام سلمة اخبرته ان رسول الله صلى الله عليه وسلم دعا فاطمة يوم الفتح فناجاها فبكت ثم حدثها فضحكت ‏.‏ قالت فلما توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم سالتها عن بكاىها وضحكها قالت اخبرني رسول الله صلى الله عليه وسلم انه يموت فبكيت ثم اخبرني اني سيدة نساء اهل الجنة الا مريم ابنت عمران فضحكت ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب من هذا الوجه ‏.‏


Narrated Umm Salamah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) called Fatimah on the Day of the Conquest (of Makkah) and he spoke to her, so she cried. Then he spoke to her and she laughed. She said: "So when the Messenger of Allah (ﷺ) died, I asked her about her crying and laughing. She said: "The Messenger of Allah (ﷺ) told me that he will die, so I cried, then he told me that I was the master over all the women of the inhabitants of Paradise, except for Mariam the daughter of 'Imran, so I laughed."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬১. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ)-এর মর্যাদা

৩৮৭৪। জুমায়্যি ইবনু উমাইর আত-তাইনী (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আমার ফুফুর সাথে আইশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তাকে প্রশ্ন করা হল, কোন লোকটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেন, ফাতিমা (রাঃ)। আবার প্রশ্ন করা হল, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বললেন, তার স্বামী এবং তিনি ছিলেন বেশি পরিমাণে রোযা পালনকারী এবং বেশি পরিমাণে (রাতে) নামায আদায়কারী।

মুনকার, নাকদুল কাত্তানী (২০ পৃঃ)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূল জাহহাফের নাম দাউদ ইবনু আবী আউফ। সুফিয়ান সাওরী আবূল জাহহারের নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি সন্তুষজনক ব্যক্তি ছিলেন।

حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي الْجَحَّافِ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، قَالَ دَخَلْتُ مَعَ عَمَّتِي عَلَى عَائِشَةَ فَسُئِلَتْ أَىُّ النَّاسِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ فَاطِمَةُ ‏.‏ فَقِيلَ مِنَ الرِّجَالِ قَالَتْ زَوْجُهَا إِنْ كَانَ مَا عَلِمْتُ صَوَّامًا قَوَّامًا ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ قَالَ وَأَبُو الْجَحَّافِ اسْمُهُ دَاوُدُ بْنُ أَبِي عَوْفٍ وَيُرْوَى عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو الْجَحَّافِ وَكَانَ مَرْضِيًّا ‏.‏

حدثنا حسين بن يزيد الكوفي، حدثنا عبد السلام بن حرب، عن ابي الجحاف، عن جميع بن عمير التيمي، قال دخلت مع عمتي على عاىشة فسىلت اى الناس كان احب الى رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت فاطمة ‏.‏ فقيل من الرجال قالت زوجها ان كان ما علمت صواما قواما ‏.‏ هذا حديث حسن غريب ‏.‏ قال وابو الجحاف اسمه داود بن ابي عوف ويروى عن سفيان الثوري حدثنا ابو الجحاف وكان مرضيا ‏.‏


Narrated Jumai' bin 'Umair At-Taimi:
"I entered along with my uncle upon 'Aishah and she was asked: 'Who among people was the most beloved to the Messenger of Allah (ﷺ)?' She said: 'Fatimah.' So it was said: 'From the men?' She said: 'Her husband, as I knew him to fast much and stand in prayer much.'


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে