৩৮৭২

পরিচ্ছেদঃ ৬১. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ)-এর মর্যাদা

৩৮৭২। উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উঠা-বসা, আচার-অভ্যাস ও চালচলনের সাথে তার কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ)-এর অপেক্ষা বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আমি আর কাউকে দেখিনি। আয়িশাহ (রাযিঃ) আরও বলেন, ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) যখনই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসতেন তিনি তখনই তার নিকট উঠে যেতেন, তাকে চুমু দিতেন এবং নিজের স্থানে বসাতেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে গেলে তিনিও নিজের জায়গা হতে উঠে তাকে (পিতাকে) চুমা দিতেন এবং নিজের জায়গায় বসাতেন।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মৃত্যুশয্যায়) অসুস্থ হয়ে পড়লে তার নিকট এসে ফাতিমাহ (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখের উপর ঝুঁকে পড়েন এবং তাকে চুমু দেন, তারপর মাথা তুলে কাঁদেন। আবার তিনি তার মুখের উপর ঝুঁকে পড়েন, তারপর মাথা তুলে হাসেন। আমি (আয়িশাহ) বললাম, আমি অবশ্যই জানি যে, তিনি নিশ্চয়ই আমাদের নারীদের মাঝে সর্বাধিক বুদ্ধিমতী, কিন্তু (তার হাসি দেখে ভাবলাম) অন্যান্য নারীর মত সে একজন নারীই। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করলে তাকে আমি প্রশ্ন করলাম, কি ব্যাপার! আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখের উপর ঝুঁকে পড়লেন, তারপর মাথা তুলে কাঁদলেন, আবার ঝুঁকে পড়লেন, তারপর মাথা তুলে হাসলেন। আপনি কি কারণে এরূপ করলেন?

ফাতিমাহ (রাযিঃ) বললেন, তার জীবদ্দশায় আমি কথাটি গোপন রেখেছি (কারণ তিনি গোপন কথা প্রকাশ করা সঙ্গত মনে করতেন না)। আমাকে তিনি জানান যে, এই অসুখেই তিনি ইন্তিকাল করবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে জানান যে, তার পরিবারস্থ লোকদের মাঝে সবার পূর্বে আমিই তার সঙ্গে একত্রিত হব। তাই আমি হেসেছি।

সহীহঃ নাকদুল কিত্তানী (৪৪-৪৫), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উক্ত সনদে গারীব। হাদীসটি একাধিক সূত্রে আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشْبَهَ سَمْتًا وَدَلاًّ وَهَدْيًا بِرَسُولِ اللَّهِ فِي قِيَامِهَا وَقُعُودِهَا مِنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَتْ وَكَانَتْ إِذَا دَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَامَ إِلَيْهَا فَقَبَّلَهَا وَأَجْلَسَهَا فِي مَجْلِسِهِ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ عَلَيْهَا قَامَتْ مِنْ مَجْلِسِهَا فَقَبَّلَتْهُ وَأَجْلَسَتْهُ فِي مَجْلِسِهَا فَلَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَتْ فَاطِمَةُ فَأَكَبَّتْ عَلَيْهِ فَقَبَّلَتْهُ ثُمَّ رَفَعَتْ رَأْسَهَا فَبَكَتْ ثُمَّ أَكَبَّتْ عَلَيْهِ ثُمَّ رَفَعَتْ رَأْسَهَا فَضَحِكَتْ فَقُلْتُ إِنْ كُنْتُ لأَظُنُّ أَنَّ هَذِهِ مِنْ أَعْقَلِ نِسَائِنَا فَإِذَا هِيَ مِنَ النِّسَاءِ فَلَمَّا تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ لَهَا أَرَأَيْتِ حِيْنَ أَكْبَبْتِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَفَعْتِ رَأْسَكِ فَبَكَيْتِ ثُمَّ أَكْبَبْتِ عَلَيْهِ فَرَفَعْتِ رَأْسَكِ فَضَحِكْتِ مَا حَمَلَكِ عَلَى ذَلِكَ قَالَتْ إِنِّي إِذًا لَبَذِرَةٌ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ مَيِّتٌ مِنْ وَجَعِهِ هَذَا فَبَكَيْتُ ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي أَسْرَعُ أَهْلِهِ لُحُوقًا بِهِ فَذَاكَ حِينَ ضَحِكْتُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عثمان بن عمر، اخبرنا اسراىيل، عن ميسرة بن حبيب، عن المنهال بن عمرو، عن عاىشة بنت طلحة، عن عاىشة ام المومنين، قالت ما رايت احدا اشبه سمتا ودلا وهديا برسول الله في قيامها وقعودها من فاطمة بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قالت وكانت اذا دخلت على النبي صلى الله عليه وسلم قام اليها فقبلها واجلسها في مجلسه وكان النبي صلى الله عليه وسلم اذا دخل عليها قامت من مجلسها فقبلته واجلسته في مجلسها فلما مرض النبي صلى الله عليه وسلم دخلت فاطمة فاكبت عليه فقبلته ثم رفعت راسها فبكت ثم اكبت عليه ثم رفعت راسها فضحكت فقلت ان كنت لاظن ان هذه من اعقل نساىنا فاذا هي من النساء فلما توفي النبي صلى الله عليه وسلم قلت لها ارايت حين اكببت على النبي صلى الله عليه وسلم فرفعت راسك فبكيت ثم اكببت عليه فرفعت راسك فضحكت ما حملك على ذلك قالت اني اذا لبذرة اخبرني انه ميت من وجعه هذا فبكيت ثم اخبرني اني اسرع اهله لحوقا به فذاك حين ضحكت ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب من هذا الوجه وقد روي هذا الحديث من غير وجه عن عاىشة ‏.‏


Narrated 'Aishah:
"I have not seen anyone closer in conduct, way, and manners to that of the Messenger of Allah in regards to standing and sitting, than Fatimah the daughter of the Messenger of Allah (ﷺ)." She said "Whenever she would enter upon the Prophet (ﷺ) he would stand to her and kiss her, and he would sit her in his sitting place. Whenever the Prophet (ﷺ) entered upon her she would stand from her seat, and kiss him and sit him in her sitting place. So when the Prophet (ﷺ) fell sick and Fatimah entered, she bent over and kissed him. Then she lifted her head and cried, then she bent over him and she lifted her head and laughed. So I said: 'I used to think that this one was from the most intelligent of our women, but she is really just one of the women.' So when the Prophet (ﷺ) died, I said to her: 'Do you remember when you bent over the Prophet (ﷺ) and you lifted your head and cried, then you bent over him, then you lifted your head and laughed. What caused you to do that?' She said: 'Then, I would be the one who spreads the secrets. He (ﷺ) told me that he was to die from his illness, so I cried. Then he told me that I would be the quickest of his family to meet up with him. So that is when I laughed.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ)