পরিচ্ছেদঃ ৯৯. তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার ফযীলত এবং বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তা'আলার দয়া ও অনুগ্রহ প্রসঙ্গে
৩৫৩৫। যির ইবনু হুবাইশ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মোজাদ্বয়ের উপর মসিহ করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার উদ্দেশে আমি সাফওয়ান ইবনু আসসাল আল-মুরাদী (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করলাম। তিনি বললেন, হে যির! তোমাকে কিসে নিয়ে এসেছে? আমি বললাম, জ্ঞানের অন্বেষা! তিনি বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলার ফেরেশতাগণ জ্ঞানের অন্বেষায় খুশি হয়ে জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের পাখা বিছিয়ে দেন। আমি বললাম, আমার মনে একটা দ্বিধাদ্বন্ধ সৃষ্টি হয়েছে মলমূত্র ত্যাগের পর মোজার উপর মাসেহ করা প্রসঙ্গে। আর আপনি হলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন সাহাবী। তাই আপনাকে আমি প্রশ্ন করতে এসেছি যে, এ প্রসঙ্গে আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কিছু আলোচনা করতে শুনেছেন কি?
তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমাদেরকে তিনি নির্দেশ দিতেন যে, আমরা সফররত অবস্থায় থাকলে এবং নাপাকির গোসলের প্রয়োজন না হলে তিন দিন ও তিন রাত পর্যন্ত যেন আমাদের মোজাদ্বয় না খুলি। মলমূত্র ত্যাগ এবং ঘুমানোর কারণে তা খোলার দরকার নেই, বরং শুধু তার উপর মাসেহ করলেই চলবে।
যির (রাহঃ) বলেন, আমি বললাম, মহব্বত (ভালবাসা) প্রসঙ্গে আপনি কি তাকে কিছু আলোচনা করতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। এক সফরে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। একদিন আমরা তার নিকটেই ছিলাম, এমন সময় এক বেদুঈন উচ্চস্বরে তাকে ডাক দিয়ে বলে, হে মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার ন্যায় একই রকম উচ্চ শব্দে তার ডাকে জবাব দিলেনঃ আস। সেই বেদুঈনকে আমরা বললাম, তোমার অমঙ্গল হোক, তোমার কণ্ঠস্বর নীচু কর। কেননা তুমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে আছ। নবীর সম্মুখে তোমাকে উচ্চস্বরে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে (কুরআনে)।
লোকটি বলল, আল্লাহর শপথ! আমি নীচু স্বরে কথা বলতে পারি না। এবার সে বলল, এক লোক এক গোত্রকে ভালবাসে, কিন্তু তাদের সঙ্গে সে মিলিত হতে পারেনি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কোন লোক যাকে ভালবাসে কিয়ামতের দিন সে তার সঙ্গেই থাকবে। তারপর তিনি আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে থাকলেন। অবশেষে তিনি পাশ্চাত্যে অবস্থিত একটি দরজার কথা উল্লেখ করলেন যা এত দীর্ঘ যে, একটি সওয়ারীর সেই দরজার এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত পার করতে চল্লিশ কিংবা সত্তর বছর সময় লাগবে।
সুফইয়ান (রাহঃ) বলেন, পাশ্চাত্যের সেই দরজা সিরিয়ার দিকে অবস্থিত। যে দিন আল্লাহ তা’আলা আকাশসমূহ ও যামীন সৃষ্টি করেছেন সেদিন ঐ দরজাও সৃষ্টি করেছেন। তা তাওবার জন্য খোলা রয়েছে। পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত তা রুদ্ধ করা হবে না।
হাসানঃ তা’লীকুর রাগীব (৪/৭৩), ৯৬ নং হাদীসে এর অংশ বিশেষ বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ أَسْأَلُهُ عَنِ الْمَسْحِ، عَلَى الْخُفَّيْنِ فَقَالَ مَا جَاءَ بِكَ يَا زِرُّ فَقُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ فَقَالَ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا يَطْلُبُ . قُلْتُ إِنَّهُ حَكَّ فِي صَدْرِي الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ بَعْدَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَكُنْتَ امْرَأً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتُ أَسْأَلُكَ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي ذَلِكَ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كَانَ يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِيِنَ أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ لَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ . فَقُلْتُ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَبَيْنَا نَحْنُ عِنْدَهُ إِذْ نَادَاهُ أَعْرَابِيٌّ بِصَوْتٍ لَهُ جَهْوَرِيٍّ يَا مُحَمَّدُ . فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى نَحْوٍ مِنْ صَوْتِهِ هَاؤُمُ وَقُلْنَا لَهُ وَيْحَكَ اغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ فَإِنَّكَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا . فَقَالَ وَاللَّهِ لاَ أَغْضُضُ . قَالَ الأَعْرَابِيُّ الْمَرْءُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ . قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . فَمَازَالَ يُحَدِّثُنَا حَتَّى ذَكَرَ بَابًا مِنْ قِبَلِ الْمَغْرِبِ مَسِيرَةُ عَرْضِهِ أَوْ يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي عَرْضِهِ أَرْبَعِينَ أَوْ سَبْعِينَ عَامًا قَالَ سُفْيَانُ قِبَلَ الشَّامِ خَلَقَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ مَفْتُوحًا يَعْنِي لِلتَّوْبَةِ لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Zirr bin Hubaish said:
“I came to Safwan bin `Assal Al Muradi to ask him about wiping over the Khuff, so he said: ‘What has brought you, O Zirr?’ So I said: ‘The desire for knowledge.’ So he said: ‘Indeed, the angels lower their wings for the seeker of knowledge, out of pleasure with what he is seeking.’ So I said: ‘Indeed there is some doubt in my chest concerning wiping over the Khuff after defecation and urination, and you were a man from the Companions of the Prophet (ﷺ), so I came to you to ask you: Have you heard him (ﷺ) mention anything concerning that?’ He said: ‘Yes, he (ﷺ) used to order us, that when we were travelers’ - or - ‘in travel, to not remove our Khuff for three days and nights except, from sexual impurity, but not from defecation, urination, and sleep.’” He said: “Have you heard him (ﷺ) mention anything concerning love?” He said: “Yes. We were with the Messenger of Allah (ﷺ) on a journey when a Bedouin with a loud voice called upon him (saying): ‘O Muhammad!’ So the Messenger of Allah (ﷺ) responded to him with a voice similar to him (saying): ‘Come.’ So we said to him: ‘Lower your voice for you are with the Prophet (ﷺ), and you have been prohibited from this.’ He said: ‘By Allah, I will not lower (my voice).’ The Bedouin said: ‘A man loves a people but he is not with them (in terms of deeds)?’ He (ﷺ) said: ‘A man is with whomever he loves on the Day of Judgement.’” So he did not cease talking with us, until he mentioned a gate in the direction of the west with the width of seventy years journey - or a rider would travel its width - for forty or seventy years.” Sufyan (one of the narrators) said: “In the direction of Ash-Sham, Allah created it the Day He created the heavens and the earth, open - that is, for repentance. It shall not be locked until the sun rises through it.”
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার ফযীলত এবং বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তা'আলার দয়া ও অনুগ্রহ প্রসঙ্গে
৩৫৩৬। যির ইবনু হুবাইশ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি সাফওয়ান ইবনু আসসাল আল-মুরাদী (রাযিঃ)-এর কাছে আসলাম। তিনি আমাকে বললেন, তোমাকে কিসে নিয়ে এসেছে? আমি বললাম, জ্ঞানের সন্ধানে। তিনি বললেন, আমি অবগত হয়েছি যে, জ্ঞান অন্বেষণকারীর কাজের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে ফেরেশতাগণ তার জন্য তাদের পাখা বিছিয়ে দেন। যির (রাহঃ) বলেন, মলমূত্র ত্যাগের পর মোজাদ্বয়ের উপর মাসাহ করা প্রসঙ্গে আমার মনে একটা দ্বিধার সঞ্চার হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আপনি এ প্রসঙ্গে কিছু জানেন কি?
তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমাদেরকে তিনি হুকুম দিয়েছেন যে, আমরা সফররত অবস্থায় নাপাকির গোসলের প্রয়োজন না হলে যেন তিন দিন ও তিন রাত পর্যন্ত আমাদের মোজা না খুলি। মলমূত্র ত্যাগ ও ঘুমানোর কারণেও তা খোলার প্রয়োজন নেই। যির (রাহঃ) বলেন, আমি পুনরায় বললাম, আপনি ভালবাসা প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কিছু জানেন কি?
তিনি বললেন, হ্যাঁ। কোন এক সফরে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। লোকদের একেবারে পেছন হতে এক লোক খুব উচ্চস্বরে তাকে ডাক দিল। লোকটি নির্বোধ বেদুঈন ও রুক্ষ ছিল। সে বলল, হে মুহাম্মাদ, হে মুহাম্মাদ! লোকেরা তাকে বলল, থাম! এভাবে আল্লাহ তা’আলার নবীকে সম্বোধন করতে তোমাকে (কুরআনে) বারণ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাকে তার ন্যায় উচ্চস্বরে উত্তর দিলেনঃ আস।
লোকটি বলল, এক লোক কোন গোত্রকে ভালবাসে, কিন্তু তাদের সঙ্গে সে মিলিত হতে পারেনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কোন লোক যাকে ভালবাসে সে তার সাথী হবে।
যির (রাহঃ) বলেন, আমার সঙ্গে সাফওয়ান (রাযিঃ) অবিরত কথা বলে যাচ্ছিলেন। পরিশেষে তিনি আমাকে বললেন, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তা’আলা তাওবার জন্য পাশ্চাত্যে একটি দরজা রেখেছেন, যার এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তের ব্যবধান সত্তর বছরের। সূর্য সেদিক হতে উদিত না হওয়া পর্যন্ত সেই দরজা বন্ধ হবে না। আর সে কথার প্রমাণ প্রাচুর্যময় মহান আল্লাহ তা’আলার বাণী (অনুবাদ) “এমন একদিন সংঘটিত হবে যে দিন তোমার প্রভুর কিছু নিদর্শন আসবে, সেই দিন কোন লোকের ঈমান তার কাজে আসবে না যে আগে কখনো ঈমান আনেনি”।
সানাদ সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ فَقَالَ لِي مَا جَاءَ بِكَ قُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ . قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا يَفْعَلُ . قَالَ قُلْتُ إِنَّهُ حَاكَ أَوْ قَالَ حَكَّ فِي نَفْسِي شَيْءٌ مِنَ الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِينَ أُمِرْنَا أَنْ لاَ نَخْلَعَ خِفَافَنَا ثَلاَثًا إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ . قَالَ فَقُلْتُ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَنَادَاهُ رَجُلٌ كَانَ فِي آخِرِ الْقَوْمِ بِصَوْتٍ جَهْوَرِيٍّ أَعْرَابِيٌّ جِلْفٌ جَافٍ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ يَا مُحَمَّدُ . فَقَالَ لَهُ الْقَوْمُ مَهْ إِنَّكَ قَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا . فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوًا مِنْ صَوْتِهِ هَاؤُمُ فَقَالَ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ . قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ " . قَالَ زِرٌّ فَمَا بَرِحَ يُحَدِّثُنِي حَتَّى حَدَّثَنِي أَنَّ اللَّهَ جَعَلَ بِالْمَغْرِبِ بَابًا عَرْضُهُ مَسِيرَةُ سَبْعِينَ عَامًا لِلتَّوْبَةِ لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ قِبَلِهِ وَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّْ : ( يومَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Zirr bin Hubaish said:
“I came to Safwan bin `Assal Al-Muradi so he said to me: ‘What has brought you, O Zirr?’ So I said: ‘The desire for knowledge.’ So he said: ‘It has been conveyed to me that the angels lower their wings for the seeker of knowledge, out of pleasure with what he is doing.’” He said: “So I said to him: ‘Indeed there is something wavering’ - or - ‘some doubt in my chest concerning wiping over the Khuff after defecation. So have you retained anything from the Messenger of Allah (ﷺ) concerning that?’ He said: ‘Yes, when we were travelers, he (ﷺ) used to order us not to remove our Khuff for three days and nights, except from sexual impurity, but not from defecation, urination, and sleep.’” He said: “So I said: ‘So have you memorized anything from the Messenger of Allah (ﷺ) concerning love?’ He said: ‘Yes, we were in one of our journeys with the Messenger of Allah (ﷺ) when a man, a harsh, foolish Bedouin, who had been at the end of the group, called him with a loud voice, saying: “O Muhammad! O Muhammad!” So the people said to him “Mah! Indeed, you have been prohibited from this.” So the Messenger of Allah (ﷺ) responded to him with similar to his voice: “Come.” So he said: “A man loves a people but he has not reached them?” He said: ‘So the Messenger of Allah (ﷺ) said: “A man is with whomever he loves.”’ Zirr said: “He did not cease reporting to me until he had reported that Allah, the Mighty and Sublime, has appointed a gate in the west - its width is the distance of a seventy-year journey - for repentance: it shall not be locked until the sun rises from its direction, and that is the Statement of Allah, Blessed be He and Most High, of the Ayah: The Day some of the signs of your Lord come, no soul shall be benefited by its believing.”
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার ফযীলত এবং বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তা'আলার দয়া ও অনুগ্রহ প্রসঙ্গে
৩৫৩৭। ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ রূহ কণ্ঠাগত না হওয়া (মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত) পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা বান্দার তওবা কবুল করেন।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৪২৫৩)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। মুহাম্মাদ ইবনু সনদে উক্ত মর্মের একই রকম বর্ণিত হয়েছে।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ .
Ibn `Umar narrated that the Prophet (ﷺ) said:
“Indeed Allah accepts the repentance of a slave as long as (his soul does not reach his throat).”
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার ফযীলত এবং বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তা'আলার দয়া ও অনুগ্রহ প্রসঙ্গে
৩৫৩৮। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ তার হারানো মাল ফিরে পেলে যতটা আনন্দিত হয়, তোমাদের কারো তাওবায় (ক্ষমা প্রার্থনায়) আল্লাহ তা’আলা তার চাইতে বেশি আনন্দিত হন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৪২৪৭), মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসউদ, নুমান ইবনু বাশীর ও আনাস (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, উপরোক্ত সনদে আবূয যিনাদ হতে বর্ণিত এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। উক্ত হাদীসটি মাকহুল হতে স্বীয় সনদে আবূ যার (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَلَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ أَحَدِكُمْ مِنْ أَحَدِكُمْ بِضَالَّتِهِ إِذَا وَجَدَهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَأَنَسٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الزِّنَادِ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ مَكْحُولٍ بِإِسْنَادٍ لَهُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا .
Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah is more delighted with the repentance of one of you, than one of you is, when finding his lost animal.”
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার ফযীলত এবং বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তা'আলার দয়া ও অনুগ্রহ প্রসঙ্গে
৩৫৩৯। আবূ আইউব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি মুমূর্ষ অবস্থায় বলেন, তোমাদের হতে আমি একটি বিষয় লুকিয়ে রেখেছি যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আমি শুনেছি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা যদি গুনাহ না করতে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা এমন এক দলের আবির্ভাব করতেন যারা গুনাহ করত, তারপর আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে মাফ করতেন।
সহীহঃ সহীহাহ (হাঃ ৯৬৭-৯৭০, ১৯৬৩), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস মুহাম্মাদ ইবনু কাব (রহঃ) আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সনদে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন। কুতাইবাহ আবদুর রহমান ইবনু আবূয যিনাদ হতে, তিনি গুফরার মুক্ত দাস উমার হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু কা’ব আল-কুরায়ী হতে, তিনি আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সনদে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ، قَاصِّ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي صِرْمَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، أَنَّهُ قَالَ حِينَ حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قَدْ كَتَمْتُ عَنْكُمْ شَيْئًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَوْلاَ أَنَّكُمْ تُذْنِبُونَ لَخَلَقَ اللَّهُ خَلْقًا يُذْنِبُونَ وَيَغْفِرُ لَهُمْ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الرِّجَالِ، عَنْ عُمَرَ، مَوْلَى غَفْرَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
Abu Sirmah narrated from Abu Ayyub, that:
when death reached him, he said: “I have concealed something I heard from the Messenger of Allah (ﷺ) from you. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: ‘If you did not sin, Allah would create a creation that would sin, so He will forgive them.’”
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার ফযীলত এবং বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তা'আলার দয়া ও অনুগ্রহ প্রসঙ্গে
৩৫৪০। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছিঃ বারাকাতময় আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ হে আদম সন্তান! যতক্ষণ আমাকে তুমি ডাকতে থাকবে এবং আমার হতে (ক্ষমা পাওয়ার) আশায় থাকবে, তোমার গুনাহ যত অধিক হোক, তোমাকে আমি ক্ষমা করব, এতে কোন পরওয়া করব না। হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহর পরিমাণ যদি আসমানের কিনারা বা মেঘমালা পর্যন্তও পৌছে যায়, তারপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, এতে আমি পরওয়া করব না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি সম্পূর্ণ পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়েও আমার নিকট আস এবং আমার সঙ্গে কাউকে অংশীদার না করে থাক, তাহলে তোমার কাছে আমিও পৃথিবী পূর্ণ ক্ষমা নিয়ে হাযির হব।
সহীহঃ সহীহাহ (হাঃ ১২৭, ১২৮), রাওযুন নাযীর (হাঃ ৪৩২), মিশকাত তাহকীক সানী (হাঃ ২৩৩৬), তা’লীকুর রাগীব (হাঃ ২/২৬৮)।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র উপর্যুক্ত সনদেই অবগত হয়েছি।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ الْجَوْهَرِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ فَائِدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ بَكْرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيَّ، يَقُولُ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " قَالَ اللَّهُ يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ مَا دَعَوْتَنِي وَرَجَوْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ عَلَى مَا كَانَ فِيكَ وَلاَ أُبَالِي يَا ابْنَ آدَمَ لَوْ بَلَغَتْ ذُنُوبُكَ عَنَانَ السَّمَاءِ ثُمَّ اسْتَغْفَرْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ وَلاَ أُبَالِي يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ لَوْ أَتَيْتَنِي بِقُرَابِ الأَرْضِ خَطَايَا ثُمَّ لَقِيتَنِي لاَ تُشْرِكُ بِي شَيْئًا لأَتَيْتُكَ بِقُرَابِهَا مَغْفِرَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Anas bin Malik narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah, Blessed is He and Most High, said: ‘O son of Adam! Verily as long as you called upon Me and hoped in Me, I forgave you, despite whatever may have occurred from you, and I did not mind. O son of Adam! Were your sins to reach the clouds of the sky, then you sought forgiveness from Me, I would forgive you, and I would not mind. So son of Adam! If you came to me with sins nearly as great as the earth, and then you met Me not associating anything with Me, I would come to you with forgiveness nearly as great as it.’”