পরিচ্ছেদঃ ৫০. সূরা আল-হুজুরাত
৩২৬৬। আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, আল-আকরা ইবনু হাবিস রাসূলুল্লাহ -এর কাছে এলে আবূ বকর (রাযিঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাকে তার গোত্রের কর্মকর্তা নিয়োগ করুন। উমার (রাযিঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাকে কর্মচারীর পদে নিয়োগ করবেন না। তারা পরস্পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হন এবং তাদের কণ্ঠস্বর চরমে পৌছে। আবূ বকর (রাযিঃ) উমর (রাযিঃ)-কে বললেন, আমার বিরোধিতা করাই আপনার একমাত্র লক্ষ্য। উমার (রাযিঃ) বলেন, আমার লক্ষ্য আপনার বিরোধিতা করা নয়।
বর্ণনাকারী বলেন, এ আয়াতটি তখন অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ): “হে ঈমানদারগণ! নবীর কণ্ঠস্বরের উপর তোমরা নিজেদের কণ্ঠস্বর উচু করো না"- (সূরা হুজুরাত ২)। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর হতে উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে কথা বললে তার কথা শুনা যেত না, এমনকি তা বুঝার জন্য আবার ব্যাখ্যা চাওয়ার প্রয়োজন হত।
সহীহঃ বুখারী (হাঃ ৪৮৪৫, ৪৮৪৭)।
আবূ ঈসা বলেন, ইবনুয যুবাইর তার নানা আবূ বকর (রাযিঃ)-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসটি কিছু বর্ণনাকারী ইবনু আবী মুলাইকাহর সূত্রে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُؤَمِّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ بْنِ جَمِيلٍ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَعْمِلْهُ عَلَى قَوْمِهِ . فَقَالَ عُمَرُ لاَ تَسْتَعْمِلْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَتَكَلَّمَا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ مَا أَرَدْتَ إِلاَّ خِلاَفِي . فَقَالَ عُمَرُ مَا أَرَدْتُ خِلاَفَكَ قَالَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : ( يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ ) فَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بَعْدَ ذَلِكَ إِذَا تَكَلَّمَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يُسْمِعْ كَلاَمَهُ حَتَّى يَسْتَفْهِمَهُ . قَالَ وَمَا ذَكَرَ ابْنُ الزُّبَيْرِ جَدَّهُ يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ مُرْسَلٌ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ .
Narrated 'Abdullah bin Az-Zubair:
"Al-Aqra' bin Habis arrived to meet the Prophet (ﷺ)" - he said - "so Abu Bakr said: 'O Messenger of Allah! Appoint him over his people.' 'Umar said: 'Do not appoint him O Messenger of Allah!' They continued talking before the Prophet (ﷺ) until they raised their voices. Abu Bakr said to 'Umar: 'You only wanted to contradict me.' So ['Umar] said: 'I did not want to contradict you.'" He said: "So this Ayah was revealed: 'O you who believe! Do not raise your voices above the voice of the Prophet (49:2).'" He said: "After that, when 'Umar spoke before the Prophet (ﷺ), his speech could not be heard until he told him he could not understand him." He (one of the narrators) said: "And Ibn Az-Zubair did not mention his grandfather" meaning Abu Bakr.
পরিচ্ছেদঃ ৫০. সূরা আল-হুজুরাত
৩২৬৭। আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, “যারা আপনাকে উচ্চস্বরে ঘরের বাইরে হতে ডাকে, তাদের বেশির ভাগই নির্বোধ"- (সূরা ফাত্হ ৪)। বর্ণনাকারী বলেন, জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার প্রসঙ্গে প্রশংসা হল সৌন্দর্য এবং আমার প্রসঙ্গে নিন্দা হল অপমান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ মর্যাদা শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তা’আলার।
সহীহ।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، فِي قَوْلِهِ : ( إنَّ الَّذِينَ يُنَادُونَكَ مِنْ وَرَاءِ الْحُجُرَاتِ أَكْثَرُهُمْ لاَ يَعْقِلُونَ ) قَالَ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ حَمْدِي زَيْنٌ وَإِنَّ ذَمِّي شَيْنٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " ذَاكَ اللَّهُ تَعَالَى " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Narrated Al-Bara bin 'Azib:
regarding the saying of Allah the Most High: Verily, those who call you from behind the dwellings, most of them have no sense (49:4). He said: "A man stood and said: 'O Messenger of Allah! Indeed my praise (of others) is worthwhile and my censure is appropriate.' So the Prophet (ﷺ) said: 'That is for Allah, the Mighty and Sublime.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫০. সূরা আল-হুজুরাত
৩২৬৮। আবূ জুবাইরাহ ইবনুয যাহহাক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমাদের কারো কারো দু’তিনটি নাম থাকতো। কোন কোন নামে সম্বোধন করা তাদের কাছে মন্দ লাগত। এ প্রসঙ্গেই এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ): “তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে সম্বোধন করো না....."— (সূরা ফাত্হ ১১)।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৭৪১)।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস। আবূ জুবাইরাহ ইবনুয যাহহাক (রাযিঃ) হলেন সাবিত ইবনুয যাহহাক আল-আনসারী (রাযিঃ)-এর সহোদর ভাই। আল-হারাভীর সঙ্গী আবূ যাইদের নাম সাঈদ ইবনুর রাবী’ বাসরার অধিবাসী নির্ভরযোগ্য রাবী। আবূ সালামাহ ইয়াহইয়া ইবনু খালফ-বিশর ইবনুল মুফাযযাল হতে, তিনি দাউদ ইবনু আবু হিন্দ হতে, তিনি শা’বী হতে, তিনি আবূ জুবাইরাহ ইবনুয যাহহাক (রাযিঃ) হতে উপরে বর্ণিত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ الْجَوْهَرِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي جَبِيرَةَ بْنِ الضَّحَّاكِ، قَالَ كَانَ الرَّجُلُ مِنَّا يَكُونُ لَهُ الاِسْمَيْنِ وَالثَّلاَثَةَ فَيُدْعَى بِبَعْضِهَا فَعَسَى أَنْ يَكْرَهَ قَالَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( وَلاَ تَنَابَزُوا بِالأَلْقَابِ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . أَبُو جَبِيرَةَ هُوَ أَخُو ثَابِتِ بْنِ الضَّحَّاكِ بْنِ خَلِيفَةَ أَنْصَارِيٌّ وَأَبُو زَيْدٍ سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ صَاحِبُ الْهَرَوِيِّ بَصْرِيٌّ ثِقَةٌ .
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي جَبِيرَةَ بْنِ الضَّحَّاكِ، نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Jubairah bin Ad-Dahhak:
"A man among us would be known by two or three names. He would be called by one that perhaps he disliked, so this Ayah was revealed: Nor insult with nicknames (49:11)."
পরিচ্ছেদঃ ৫০. সূরা আল-হুজুরাত
৩২৬৯। আবূ নাযরাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ): “তোমরা জেনে রাখ যে, আল্লাহর রাসূল তোমাদের মাঝে আছেন। তিনি অনেক বিষয়ে তোমাদের কথা শুনলে তোমরাই ব্যথিত হতে, কিন্তু তোমাদের কাছে আল্লাহ তা’আলা ঈমানকে প্রিয় করেছেন এবং তাকে তোমাদের হৃদয়গ্রাহী করেছেন......”— (সূরা ফাত্হ ৭)। তারপর তিনি বলেন, ইনিই তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তার কাছে ওয়াহী পাঠানো হয় এবং তিনি হচ্ছে তোমাদের সবচেয়ে উত্তম নেতা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বহু বিষয়ে তাদের কথা শুনলে তারাই সমস্যায় পড়ে যেতেন। অতএব যদি আজকাল তোমাদের কথা শুনা হয় তাহলে কি পরিস্থিতি হবে!
হাদীসটির সানাদ সহীহ।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, আমি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তানের কাছে মুসতামির ইবনু রাইয়্যানের অবস্থা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন যে, তিনি নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ الْمُسْتَمِرِّ بْنِ الرَّيَّانِ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ قَرَأَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ : ( واعْلَمُوا أَنَّ فِيكُمْ، رَسُولَ اللَّهِ لَوْ يُطِيعُكُمْ فِي كَثِيرٍ مِنَ الأَمْرِ لَعَنِتُّمْ ) قَالَ هَذَا نَبِيُّكُمْ صلى الله عليه وسلم يُوحَى إِلَيْهِ وَخِيَارُ أَئِمَّتِكُمْ لَوْ أَطَاعَهُمْ فِي كَثِيرٍ مِنَ الأَمْرِ لَعَنِتُوا فَكَيْفَ بِكُمُ الْيَوْمَ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ سَأَلْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ الْقَطَّانَ عَنِ الْمُسْتَمِرِّ بْنِ الرَّيَّانِ فَقَالَ ثِقَةٌ .
Narrated Abu Nadrah:
"Abu Sa'eed Al-Khudri recited: And know that among you there is the Messenger of Allah. If he were to obey you in much of the matter, you would surely be in trouble (49:7). He said: "This is your Prophet (ﷺ) to whom the Revelation came, and the best of your leaders, if he had obeyed them in may of their matters, then he would have been in trouble. So how about you people today?"
পরিচ্ছেদঃ ৫০. সূরা আল-হুজুরাত
৩২৭০। ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং বলেনঃ হে জনমণ্ডলী! তোমাদের হতে আল্লাহ তা’আলা জাহিলিয়াত যুগের দম্ভ ও অহংকার এবং পূর্বপুরুষের গৌরবগাথা বাতিল করেছেন। এখন মানুষ দুই অংশে বিভক্তঃ এক দল মানুষ নেককার, পরহেজগার, আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রিয় ও সম্মানিত এবং অন্য দল পাপিষ্ঠ, দুর্ভাগা, আল্লাহ তা’আলার নিকট অত্যন্ত নিকৃষ্ট, নিচু ও ঘৃণিত।
সকল মানুষই আদমের সন্তান। আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)-কে মাটি দিয়ে তৈরী করেছেন। মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “হে লোক সকল! তোমাদেরকে আমি একজন পুরুষ ও একজন নারী হতে তৈরী করেছি, তারপর বিভিন্ন বংশ ও গোত্রে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি, তোমরা যাতে একে অন্যকে চিনতে পার। যে লোক তোমাদের মাঝে বেশি পরহেজগার সেই আল্লাহ তা’আলার নিকট বেশী মর্যাদার অধিকারী। আল্লাহ তা’আলা সবকিছু সম্পর্কে জ্ঞাত, সব খবর রাখেন"- (সূরা ফাত্হ ১৩)।
সহীহঃ সহীহাহ (হাঃ ২৭০০)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীসটি আমরা শুধুমাত্র আবদুল্লাহ ইবনু দীনার হতে, তিনি ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে, এ সনদেই জেনেছি। আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার হাদীস শাস্ত্রে অত্যন্ত দুর্বল। তাকে ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন প্রমুখ দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু জাফার হলেন ’আলী ইবনুল মাদীনীর বাবা। এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরাহ ও ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতেও হাদীস উল্লেখিত রয়েছে।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ النَّاسَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ وَتَعَاظُمَهَا بِآبَائِهَا فَالنَّاسُ رَجُلاَنِ رَجُلٌ بَرٌّ تَقِيٌّ كَرِيمٌ عَلَى اللَّهِ وَفَاجِرٌ شَقِيٌّ هَيِّنٌ عَلَى اللَّهِ وَالنَّاسُ بَنُو آدَمَ وَخَلَقَ اللَّهُ آدَمَ مِنْ تُرَابٍ " . قَالَ اللَّهُ : ( يا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ يُضَعَّفُ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ هُوَ وَالِدُ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ .
Narrated Ibn 'Umar:
that the Messenger of Allah (ﷺ) gave a Khutbah to the people on the day of the conquest of Makkah, and he said: "O you people! Verily Allah has removed the slogans of Jahiliyyah from you, and its reverence of its forefathers. So, now there are two types of men: A man who is righteous, has Taqwa and honorable before Allah, and a wicked man, who is miserable and insignificant to Allah. People are children of Adam and Allah created Adam from the dust. Allah said: O you people! We have created you from a male and a female, and made you into nations and tribes, that you may know one another. Verily, the most honorable of you with Allah is the one who has most Taqwa. Verily, Allah is All-Knowing, All-Aware (49:13)."
পরিচ্ছেদঃ ৫০. সূরা আল-হুজুরাত
৩২৭১। সামুরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ধন-সম্পদ হল আভিজাত্যের প্রতীক এবং পরহেজগারী হল সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক।
সহীহঃ ইরওয়াহ (হাঃ ১৮৭০)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সামুরাহ (রাযিঃ)-এর উদ্ধৃত হিসেবে হাসান, সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র সাল্লাম ইবনু আবী মুত্ত্ব’-এর সনদে জেনেছি।
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ الأَعْرَجُ الْبَغْدَادِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَلاَّمِ بْنِ أَبِي مُطِيعٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْحَسَبُ الْمَالُ وَالْكَرَمُ التَّقْوَى " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سَمُرَةَ . لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ سَلاَّمِ بْنِ أَبِي مُطِيعٍ وَهُوَ ثِقَةٌ .
Narrated Al-Hasan:
from Samurah that the Prophet (ﷺ) said: "Al-Hasab is wealth and Al-Karam is Taqwa."