পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৮৬। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ)-কে বললাম, শত আয়াতের চাইতে ক্ষুদ্রতম সূরা আল-আনফালকে শত আয়াত সম্বলিত সূরা বারাআতের পূর্বে স্থাপন করতে কিসে আপনাদেরকে উদ্বুদ্ধ করল? যার ফলে আপনারা এই দুটি সূরাকে একত্রে মিলিয়ে দিলেন, অথচ উভয়ের মাঝখানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ বাক্যটি লিখেননি এবং এটিকে সপ্ত দীর্ঘ সূরার মধ্যে রেখে দিয়েছেন। আপনাদের এরূপ করার কারণ কি?

উসমান (রাযিঃ) বললেন, একই সময়কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর অনেকগুলো সূরা অবতীর্ণ হত। অতএব তার উপর কোন আয়াত অবতীর্ণ হলে তিনি লেখকদের কাউকে ডেকে বলতেন, এ আয়াতগুলো অমুক সূরায় যোগ কর যাতে এই এই বিষয়ের বর্ণনা রয়েছে। অতএব তার উপর আয়াত অবতীর্ণ হলে তিনি বলতেন, ঐ সূরাতে এ আয়াতটি শামিল কর যাতে এই এই বিষয়ের বর্ণনা রয়েছে।

সূরা আল-আনফাল ছিল মদীনায় অবতীর্ণ প্রাথমিক সূরাসমূহের অন্তর্ভুক্ত। আর বারাআত ছিল (নাযিলের দিক হতে) কুরআনের শেষ দিকের সূরা। সূরা বারাআতের আলোচ্য বিষয় সূরা আল-আনফালের আলোচ্য বিষয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল। তাই আমার ধারণা হল, এটি (বারাআত) তার অন্তর্ভুক্ত। এদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুবরণ করেন। অথচ তিনি আমাদের স্পষ্ট করে বলে যাননি যে, এ সূরা (বারাআত) আনফালের অন্তর্ভুক্ত কি না। তাই আমি উভয় সূরাকে একত্রে মিলিয়ে দিয়েছি এবং সূরাদুটাের মাঝখানে বিসমিল্লাহির রাহমাননির রাহীম বাক্যও লিখিনি, আর এটিকে সপ্ত দীর্ঘ সূরাসমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছি।

হাসান।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমরা এ হাদীস শুধু ’আওফ হতে, তিনি ইয়াযীদ আল-ফারিসী হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে এই সূত্রেই জেনেছি। ইয়াযীদ আল-ফারেসী বসরাবাসী তাবিঈগণের অন্তর্ভুক্ত। আর ইয়াযীদ ইবনু আবান আর-রাকাশীও বাসরাবাসী তাবিঈগণের অন্তর্ভুক্ত। তবে তিনি পূর্বোক্ত জনের চাইতে কনিষ্ঠ। ইয়াযীদ আর-রাকাশী (রাহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَسَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ الْفَارِسِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مَا حَمَلَكُمْ أَنْ عَمَدْتُمْ، إِلَى الأَنْفَالِ وَهِيَ مِنَ الْمَثَانِي وَإِلَى بَرَاءَةَ وَهِيَ مِنَ الْمِئِينَ فَقَرَنْتُمْ بَيْنَهُمَا وَلَمْ تَكْتُبُوا بَيْنَهُمَا سَطْرَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَوَضَعْتُمُوهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ مَا حَمَلَكُمْ عَلَى ذَلِكَ فَقَالَ عُثْمَانُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا يَأْتِي عَلَيْهِ الزَّمَانُ وَهُوَ تَنْزِلُ عَلَيْهِ السُّوَرُ ذَوَاتُ الْعَدَدِ فَكَانَ إِذَا نَزَلَ عَلَيْهِ الشَّىْءُ دَعَا بَعْضَ مَنْ كَانَ يَكْتُبُ فَيَقُولُ ضَعُوا هَؤُلاَءِ الآيَاتِ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا وَإِذَا نَزَلَتْ عَلَيْهِ الآيَةُ فَيَقُولُ ضَعُوا هَذِهِ الآيَةَ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا وَكَانَتِ الأَنْفَالُ مِنْ أَوَائِلِ مَا أُنْزِلَتْ بِالْمَدِينَةِ وَكَانَتْ بَرَاءَةُ مِنْ آخِرِ الْقُرْآنِ وَكَانَتْ قِصَّتُهَا شَبِيهَةً بِقِصَّتِهَا فَظَنَنْتُ أَنَّهَا مِنْهَا فَقُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا أَنَّهَا مِنْهَا فَمِنْ أَجْلِ ذَلِكَ قَرَنْتُ بَيْنَهُمَا وَلَمْ أَكْتُبْ بَيْنَهُمَا سَطْرَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَوَضَعْتُهَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَوْفٍ عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَيَزِيدُ الْفَارِسِيُّ قَدْ رَوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ غَيْرَ حَدِيثٍ وَيُقَالُ هُوَ يَزِيدُ بْنُ هُرْمُزَ وَيَزِيدُ الرَّقَاشِيُّ هُوَ يَزِيدُ بْنُ أَبَانَ الرَّقَاشِيُّ وَلَمْ يُدْرِكِ ابْنَ عَبَّاسٍ إِنَّمَا رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَكِلاَهُمَا مِنَ التَّابِعِينَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَيَزِيدُ الْفَارِسِيُّ أَقْدَمُ مِنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، ومحمد بن جعفر، وابن ابي عدي، وسهل بن يوسف، قالوا حدثنا عوف بن ابي جميلة، حدثنا يزيد الفارسي، حدثنا ابن عباس، قال قلت لعثمان بن عفان ما حملكم ان عمدتم، الى الانفال وهي من المثاني والى براءة وهي من المىين فقرنتم بينهما ولم تكتبوا بينهما سطر بسم الله الرحمن الرحيم ووضعتموهما في السبع الطول ما حملكم على ذلك فقال عثمان كان رسول الله صلى الله عليه وسلم مما ياتي عليه الزمان وهو تنزل عليه السور ذوات العدد فكان اذا نزل عليه الشىء دعا بعض من كان يكتب فيقول ضعوا هولاء الايات في السورة التي يذكر فيها كذا وكذا واذا نزلت عليه الاية فيقول ضعوا هذه الاية في السورة التي يذكر فيها كذا وكذا وكانت الانفال من اواىل ما انزلت بالمدينة وكانت براءة من اخر القران وكانت قصتها شبيهة بقصتها فظننت انها منها فقبض رسول الله صلى الله عليه وسلم ولم يبين لنا انها منها فمن اجل ذلك قرنت بينهما ولم اكتب بينهما سطر بسم الله الرحمن الرحيم فوضعتها في السبع الطول ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن لا نعرفه الا من حديث عوف عن يزيد الفارسي عن ابن عباس ‏.‏ ويزيد الفارسي قد روى عن ابن عباس غير حديث ويقال هو يزيد بن هرمز ويزيد الرقاشي هو يزيد بن ابان الرقاشي ولم يدرك ابن عباس انما روى عن انس بن مالك وكلاهما من التابعين من اهل البصرة ويزيد الفارسي اقدم من يزيد الرقاشي ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"I said to 'Uthman bin 'Affan: 'What was your reasoning with Al-Anfal - while it is from the Muthani (Surah with less than one-hundred Ayat), and Bara'ah while it is from the Mi'in (Surah with about one-hundred Ayat), then you put them together, without writing the line Bismillahir-Rahmanir-Rahim between them, and you placed them with the seven long (Surah) - why did you do that?' So 'Uthman said: 'A long time might pass upon the Messenger of Allah (ﷺ) without anything being revealed to him, and then sometimes a Surah with numerous (Ayat) might be revealed. So when something was revealed, he would call for someone who could write, and say: "Put these Ayat in the Surah which mentions this and that in it." When an Ayah was revealed, he would say: "Put this Ayah in the Surah which mentions this and that in it." Now Al-Anfal was among the first of those revealed in Al-Madinah, and Bara'ah among the last of those revealed of the Qur'an, and its narrations (those of Bara'ah) resembled its narrations (those of Al-Anfal), so we thought that it was part of it. Then the Messenger of Allah (ﷺ) died, and it was not made clear to us whether it was part of it. So it is for this reason that we put them together without writing Bismillahir-Rahmanir-Rahim between them, and we put that with the seven long (Surahs).'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৮৭। সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার বাবা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বিদায় হাজ্জে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও তার গুণগান বর্ণনা করলেন, ওয়াজ-নাসীহাত করলেন ও উপদেশ দিলেন। তারপর তিনি বললেনঃ আমি কোন দিনটির মর্যাদা বর্ণনা করছি, আমি কোন দিনটির মর্যাদা বর্ণনা করছি, আমি কোন দিনটির মর্যাদা ঘোষণা করছি?

বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! হজ্জের মহান দিনের। তিনি বললেনঃ তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-মাল ও তোমাদের ইজ্জত-সম্মানে হস্তক্ষেপ তোমাদের উপর হারাম, যেরূপ তোমাদের এ দিনে এ শহরে ও এ মাসে হারাম। জেনে রেখ! অপরাধীই অপরাধ কর্মের জন্য দায়ী ও দোষী। ছেলের অপরাধের জন্য বাবা এবং বাবার অপরাধের জন্য ছেলে অপরাধী নয়। জেনে রেখ! এক মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই। কাজেই এক মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের ঐ জিনিসই হালাল যা সে স্বেচ্ছায় তার জন্য হালাল করে (দান করে)।

জেনে রেখ! জাহিলী যুগের প্রাপ্য সকল প্রকার সূদ বাতিল ঘোষণা করা হল। তবে তোমাদের মূলধন ফেরত পাবে। তোমরা কারো প্রতি যুলুম করবে না এবং তোমাদের প্রতিও যুলুম করা হবে না। আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিবের সূদের সকল পাওনা বাতিল করা হল।

জেনে রেখ! জাহিলিয়াতের সকল প্রকার রক্তের দাবি বাতিল করা হল। জাহিলিয়াতের সর্বপ্রথম যার রক্ত আমি বাতিল ঘোষণা করছি সে হচ্ছে হারিস ইবনু আবদুল মুতালিবের রক্ত। সে শিশু অবস্থায় বনু লাইস গোত্রে দুধ পানরত অবস্থায় হুযাইল গোত্র তাকে হত্যা করেছিল।

শোন! আমি তোমাদেরকে নারীদের সাথে ভালো ব্যবহারের উপদেশ দিচ্ছি। তারা তোমাদের নিকট বন্দীর মত যুক্ত। তাদের উপর তোমাদের কোন কর্তৃত্ব নেই, যদি না তারা কোন প্রকাশ্য অশ্লীলতায় জড়িয়ে পড়ে। যদি তারা তাই করে তাহলে তোমরা তাদের বিছানা পৃথক করে দাও এবং একান্ত প্রয়োজন হলে হালকাভাবে আঘাত কর। যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়ে যায়, তবে তাদের প্রতি বাড়াবাড়ির পথ অন্বেষণ কর না। জেনে রেখ! তোমাদের যেরূপ অধিকার রয়েছে তোমাদের স্ত্রীদের উপর, তোমাদের স্ত্রীদেরও তদ্রুপ অধিকার রয়েছে তোমাদের উপর (কাজেই উভয়ের প্রতি উভয়ের অধিকার আদায় করা কর্তব্য)।

তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার এই যে, তারা তোমাদের অপছন্দনীয় লোককে তোমাদের বিছানায় স্থান দিবে না এবং তোমাদের অপছন্দনীয় লোককে তোমাদের ঘরে যাতায়াতের অনুমতি দিবে না। আর তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে, তোমরা (যথাসম্ভব) তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ ও আহারের সুব্যবস্থা করবে।

হাসানঃ ইবনু মা-জাহ (১৮৫১)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এটি শাবীব ইবনু গারক্বাদাহ হতে আবূল আহওয়াস (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ النَّاسُ يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا أَلاَ لاَ يَجْنِي جَانٍ إِلاَّ عَلَى نَفْسِهِ وَلاَ يَجْنِي وَالِدٌ عَلَى وَلَدِهِ وَلاَ وَلَدٌ عَلَى وَالِدِهِ أَلاَ إِنَّ الْمُسْلِمَ أَخُو الْمُسْلِمِ فَلَيْسَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ إِلاَّ مَا أَحَلَّ مِنْ نَفْسِهِ أَلاَ وَإِنَّ كُلَّ رِبًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ لَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لاَ تَظْلِمُونَ وَلاَ تُظْلَمُونَ غَيْرَ رِبَا الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَإِنَّهُ مَوْضُوعٌ كُلُّهُ أَلاَ وَإِنَّ كُلَّ دَمٍ كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ وَأَوَّلُ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ دَمُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي لَيْثٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا فَإِنَّمَا هُنَّ عَوَانٌ عِنْدَكُمْ لَيْسَ تَمْلِكُونَ مِنْهُنَّ شَيْئًا غَيْرَ ذَلِكَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ فَإِنْ فَعَلْنَ فَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً أَلاَ إِنَّ لَكُمْ عَلَى نِسَائِكُمْ حَقًّا وَلِنِسَائِكُمْ عَلَيْكُمْ حَقًّا فَأَمَّا حَقُّكُمْ عَلَى نِسَائِكُمْ فَلاَ يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ مَنْ تَكْرَهُونَ وَلاَ يَأْذَنَّ فِي بُيُوتِكُمْ مَنْ تَكْرَهُونَ أَلاَ وَإِنَّ حَقَّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو الأَحْوَصِ عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي الخلال، حدثنا حسين بن علي الجعفي، عن زاىدة، عن شبيب بن غرقدة، عن سليمان بن عمرو بن الاحوص، حدثنا ابي انه، شهد حجة الوداع مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فحمد الله واثنى عليه وذكر ووعظ ثم قال ‏"‏ اى يوم احرم اى يوم احرم اى يوم احرم ‏"‏ ‏.‏ قال فقال الناس يوم الحج الاكبر يا رسول الله ‏.‏ قال ‏"‏ فان دماءكم واموالكم واعراضكم عليكم حرام كحرمة يومكم هذا في بلدكم هذا في شهركم هذا الا لا يجني جان الا على نفسه ولا يجني والد على ولده ولا ولد على والده الا ان المسلم اخو المسلم فليس يحل لمسلم من اخيه شيء الا ما احل من نفسه الا وان كل ربا في الجاهلية موضوع لكم رءوس اموالكم لا تظلمون ولا تظلمون غير ربا العباس بن عبد المطلب فانه موضوع كله الا وان كل دم كان في الجاهلية موضوع واول دم اضع من دماء الجاهلية دم الحارث بن عبد المطلب كان مسترضعا في بني ليث فقتلته هذيل الا واستوصوا بالنساء خيرا فانما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن شيىا غير ذلك الا ان ياتين بفاحشة مبينة فان فعلن فاهجروهن في المضاجع واضربوهن ضربا غير مبرح فان اطعنكم فلا تبغوا عليهن سبيلا الا ان لكم على نساىكم حقا ولنساىكم عليكم حقا فاما حقكم على نساىكم فلا يوطىن فرشكم من تكرهون ولا ياذن في بيوتكم من تكرهون الا وان حقهن عليكم ان تحسنوا اليهن في كسوتهن وطعامهن ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وقد رواه ابو الاحوص عن شبيب بن غرقدة ‏.‏


Narrated Sulaiman bin 'Amr bin Al-Ahwas:
"My father narrated to me that he attended the Farewell Hajj with the Messenger of Allah (ﷺ). He (ﷺ) expressed his gratitude to Allah and praised Him, and reminded and exhorted, then he said: 'Which day is most sacred? Which day is most sacred? Which day is most sacred?' He said: "So the people said: 'The day of Al-Hajj Al-Akbar O Messenger of Allah!' So he said: 'Indeed, your blood, your wealth, your honor, is as sacred for you as the sacredness of this day of yours, in this city of yours, in this month of yours. Behold! None commits a crime but against himself, none offends a father for a son, nor a son for a father. Behold! Indeed the Muslim is the brother of the Muslim, so it is not lawful for the Muslim to do anything to his brother, which is not lawful to be done to himself. Behold! All Riba from Jahiliyyah is invalid, for you is the principle of your wealth, but your are not to wrong nor be wronged - except in the case of Riba of Al-'Abbas bin 'Abdul-Muttalib - otherwise it is all invalid. Behold! All retribution regarding cases of blood during Jahiliyyah are invalid. The first case of blood retribution invalidated among those of Jahiliyyah, is the blood of Al-Harith bin 'Abdul-Muttalib who was nursed among Banu Laith and killed by Hudhail. Behold! I order you to treat women well, for they are but like captives with you, you have no sovereignty beyond this over them, unless they manifest lewdness. If they do that, then abandon their beds, and beat them with a beating that is not painful. Then if they obey you, then there is no cause for you against them beyond that. Behold! There are rights for you upon your women, and rights for your women upon you. As for your rights upon them,then they are not to allow anyone on your bedding whom you dislike, nor to permit anyone whom you dislike in your homes. Behold! Indeed their rights upon you are that you treat them well in clothing them and feeding them.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৮৮। আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাজ্জের মহান দিন প্রসঙ্গে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ কুরবানীর দিন।

সহীহঃ (৯৫৭) নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ يَوْمِ الْحَجِّ الأَكْبَرِ فَقَالَ ‏ "‏ يَوْمُ النَّحْرِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عبد الوارث بن عبد الصمد بن عبد الوارث، حدثنا ابي، عن ابيه، عن محمد بن اسحاق، عن ابي اسحاق، عن الحارث، عن علي، قال سالت رسول الله صلى الله عليه وسلم عن يوم الحج الاكبر فقال ‏ "‏ يوم النحر ‏"‏ ‏.‏


Narrated 'Ali:
"I asked the Messenger of Allah (ﷺ) about the day of Al-Hajj Al-Akbar, and he said: "The day of An-Nahr."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৮৯। আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাজ্জের মহান দিন হচ্ছে কুরবানীর দিন।

সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।

আবূ ঈসা বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকের হাদিসের চাইতে এটি অনেক বেশি সহীহ। কেননা এ হাদীস বিভিন্ন সূত্রে আবূ ইসহাক-আল হারিস হতে, তিনি আলী (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে মাওকুফভাবে বর্ণিত হয়েছে। মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকের সূত্র ব্যতীত অন্য কেউ এটিকে মারফুভাবে বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। শু’বাহ এ হাদীসটি আবূ ইসহাক হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মুররাহ হতে, তিনি আল-হারিস হতে তিনি আলী হতে মাওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ يَوْمُ النَّحْرِ ‏.‏ قَالَ هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ لأَنَّهُ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفًا وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَفَعَهُ إِلاَّ مَا رُوِيَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفًا ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن ابي اسحاق، عن الحارث، عن علي، قال يوم الحج الاكبر يوم النحر ‏.‏ قال هذا الحديث اصح من حديث محمد بن اسحاق لانه روي من غير وجه هذا الحديث عن ابي اسحاق عن الحارث عن علي موقوفا ولا نعلم احدا رفعه الا ما روي عن محمد بن اسحاق وقد روى شعبة هذا الحديث عن ابي اسحاق عن عبد الله بن مرة عن الحارث عن علي موقوفا ‏.‏


Narrated 'Ali:
"The day of Al-Hajj Al-Akbar is the day of An-Nahr."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৯০। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রাযিঃ)-কে সূরা বারাআতের প্রাথমিক আয়াতগুলো সহকারে মক্কা মুআজ্জামায় পাঠান। তারপর তাকে ফেরত ডেকে এনে বললেন? আমার পরিবারের কোন সদস্য ব্যতীত অন্য কাউকে দিয়ে এটা পাঠানো উচিত নয়। এরপর তিনি আলী (রাযিঃ)-কে ডাকলেন এবং তাকেই এটি দিলেন।

সনদ হাসান।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান; আনাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে গারীব।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَعَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِبَرَاءَةَ مَعَ أَبِي بَكْرٍ ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ ‏ "‏ لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يُبَلِّغَ هَذَا إِلاَّ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِي ‏"‏ ‏.‏ فَدَعَا عَلِيًّا فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عفان بن مسلم، وعبد الصمد بن عبد الوارث، قالا حدثنا حماد بن سلمة، عن سماك بن حرب، عن انس بن مالك، قال بعث النبي صلى الله عليه وسلم ببراءة مع ابي بكر ثم دعاه فقال ‏ "‏ لا ينبغي لاحد ان يبلغ هذا الا رجل من اهلي ‏"‏ ‏.‏ فدعا عليا فاعطاه اياها ‏.‏ قال هذا حديث حسن غريب من حديث انس بن مالك ‏.‏


Narrated Anas bin Malik:
"The Prophet (ﷺ) sent Abu Bakr with the (announcement of) Bara'ah (the declaration to publicize the disavowal of the idolaters). Then he summoned him and said: 'It is not right for anyone to convey this except a man among my family.'"So he called for 'Ali and gave it to him."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৯১। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রাযিঃ)-কে (আমীরুল হাজ্জ নিয়োগ করে) পাঠান এবং এই বাক্যগুলো ঘোষণার জন্যে তাকে নির্দেশ দেন। তারপর তিনি ’আলী (রাযিঃ)-কে পাঠান। আবূ বকর (রাযিঃ) পথিমধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উটনী কাসওয়ার শব্দ শুনতে পান। আবূ বকর (রাযিঃ) সন্ত্রস্ত হয়ে বের হলেন। তিনি ভেবেছিলেন হয়ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসেছেন। কিন্তু তিনি ছিলেন আলী (রাযিঃ)।

আলী (রাযিঃ) আবূ বকর (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর লেখা ফরমানটি দিলেন এবং তাতে তাকে এসব বিষয় ঘোষণা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। তারা দু’জনেই গন্তব্যের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং হজ্জ সম্পন্ন করলেন। আলী (রাযিঃ) আইয়্যামে তাশরীকে (কুরবানীর দিন) দাঁড়িয়ে বললেনঃ প্রত্যেক মুশরিকের সাথে আল্লাহ ও তার রাসূলের সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষনা দেয়া হল। অতএব তোমরা আর চার মাস দেশে চলাফেরা কর। এ বছরের পর আর কোন মুশরিক হাজ্জ করতে পারবে না। নগ্ন অবস্থায় কেউ বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করবে না। শুধু মুমিন ব্যতীত অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আলী (রাযিঃ) এভাবে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়লে আবূ বকর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে একই রকম ঘোষণা দিতে থাকেন।

সনদ সহীহ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে এই সূত্রে হাসান গারীব।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَبَا بَكْرٍ وَأَمَرَهُ أَنْ يُنَادِيَ بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ ثُمَّ أَتْبَعَهُ عَلِيًّا فَبَيْنَا أَبُو بَكْرٍ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ إِذْ سَمِعَ رُغَاءَ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْقَصْوَاءَ فَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فَزِعًا فَظَنَّ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ عَلِيٌّ فَدَفَعَ إِلَيْهِ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ عَلِيًّا أَنْ يُنَادِيَ بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ فَانْطَلَقَا فَحَجَّا فَقَامَ عَلِيٌّ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ فَنَادَى ذِمَّةُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ بَرِيئَةٌ مِنْ كُلِّ مُشْرِكٍ فَسِيحُوا فِي الأَرْضِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَلاَ يَحُجَّنَّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ وَلاَ يَطُوفَنَّ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ وَلاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ مُؤْمِنٌ وَكَانَ عَلِيٌّ يُنَادِي فَإِذَا عَيِيَ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَنَادَى بِهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن اسماعيل، حدثنا سعيد بن سليمان، حدثنا عباد بن العوام، حدثنا سفيان بن حسين، عن الحكم بن عتيبة، عن مقسم، عن ابن عباس، قال بعث النبي صلى الله عليه وسلم ابا بكر وامره ان ينادي بهولاء الكلمات ثم اتبعه عليا فبينا ابو بكر في بعض الطريق اذ سمع رغاء ناقة رسول الله صلى الله عليه وسلم القصواء فخرج ابو بكر فزعا فظن انه رسول الله صلى الله عليه وسلم فاذا هو علي فدفع اليه كتاب رسول الله صلى الله عليه وسلم وامر عليا ان ينادي بهولاء الكلمات فانطلقا فحجا فقام علي ايام التشريق فنادى ذمة الله ورسوله بريىة من كل مشرك فسيحوا في الارض اربعة اشهر ولا يحجن بعد العام مشرك ولا يطوفن بالبيت عريان ولا يدخل الجنة الا مومن وكان علي ينادي فاذا عيي قام ابو بكر فنادى بها ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا حديث حسن غريب من هذا الوجه من حديث ابن عباس ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"The Messenger of Allah (ﷺ) dispatched Abu Bakr ordering him to announce these statements. Then 'Ali followed him. When Abu Bakr was at a particular road, he heard the heavy breathing of Al-Qiswa, the she camel of the Messenger of Allah (ﷺ), so Abu Bakr appeared frightened because he thought that it was the Messenger of Allah (ﷺ). When he saw that it was 'Ali, he gave him the letter of the Messenger of Allah (ﷺ), and told 'Ali to announce the statements. So he left to perform Hajj. During the day of At-Tashriq 'Ali stood to announce: 'The protection of Allah and His Messenger is removed from every idolater. So travel in the land for four months. There is to be no idolater performing Hajj after this year, nor may anyone perform Tawaf around the House while naked. None shall enter Paradise but a believer.' 'Ali was making the announcement, so when he became exhausted Abu Bakr would announce it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৯২। যাইদ ইবনু ইউসাই (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আলী (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, আপনাকে হাজ্জ উপলক্ষে কোন জিনিস সহকারে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বললেন, আমাকে (হাজ্জে) চারটি বিষয় সহকারে পাঠানো হয়েছিলঃ (১) কোন উলঙ্গ ব্যক্তি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করতে পারবে না; (২) যাদের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চুক্তি আছে তা তার নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে আর যাদের সাথে তার কোন চুক্তি নেই তারা চার মাসের অবকাশ পাবে (নিরাপত্তা সহকারে বিচরণ করার); (৩) মুমিন ব্যতীত কোন ব্যক্তি জান্নাতে যেতে পারবে না এবং (৪) এ বছরের পর মুসলিমগণ ও মুশরিকরা (হাজ্জে) একত্র হতে পারবে না (এরপর হতে মুশরিকদের জন্য হজ্জে যোগদান চিরতরে নিষিদ্ধ)।

সহীহঃ (৮৭১) নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এটি আবূ ইসহাক হতে ইবনু উয়াইনার বর্ণিত হাদীস। সুফইয়ান সাওরীও এটি আবূ ইসহাক হতে, তিনি তার কোন সহযোগী হতে, তিনি আলী (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

নাসর ইবনু আলী প্রমুখ সুফিয়ান ইবনু উয়াইনাহ হতে, তিনি আবু ইসহাক হতে, তিনি যাইদ ইবনু ইউসাই হতে, তিনি আলী (রাযিঃ) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের মত বর্ণনা করেছেন। আলী ইবনু খাশরাম-সুফইয়ান ইবনু তিনি আলী (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।

আবূ ঈসা বলেন, ইবনু উয়াইনাহ উভয় রিওয়ায়াত ইবনু উসাই ও ইবনু ইউসাই উভয়ের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। সঠিক হল যাইদ ইবনু উসাই। শু’বাহ (রাহঃ) উক্ত হাদীস ব্যতীত অন্য হাদীস আবূ ইসহাকের সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে সন্দেহে পতিত হয়েছেন এবং যাইদ ইবনু উসাইল নাম বলেছেন; কিন্তু এ ক্ষেত্রে শু’বাহর অনুসরণ করা হয়নি।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، قَالَ سَأَلْنَا عَلِيًّا بِأَىِّ شَيْءٍ بُعِثْتَ فِي الْحَجَّةِ قَالَ بُعِثْتُ بِأَرْبَعٍ أَنْ لاَ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ وَمَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَهْدٌ فَهُوَ إِلَى مُدَّتِهِ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ عَهْدٌ فَأَجَلُهُ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَلاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ نَفْسٌ مُؤْمِنَةٌ وَلاَ يَجْتَمِعُ الْمُشْرِكُونَ وَالْمُسْلِمُونَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهُوَ حَدِيثُ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، نَحْوَهُ ‏.‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أُثَيْعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، كِلْتَا الرِّوَايَتَيْنِ يُقَالُ عَنْهُ عَنِ ابْنِ أُثَيْعٍ، وَعَنِ ابْنِ يُثَيْعٍ، وَالصَّحِيحُ، هُوَ زَيْدُ بْنُ أُثَيْعٍ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدٍ، غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ فَوَهِمَ فِيهِ وَقَالَ زَيْدُ بْنُ أُثَيْلٍ وَلاَ يُتَابَعُ عَلَيْهِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن ابي اسحاق، عن زيد بن يثيع، قال سالنا عليا باى شيء بعثت في الحجة قال بعثت باربع ان لا يطوف بالبيت عريان ومن كان بينه وبين النبي صلى الله عليه وسلم عهد فهو الى مدته ومن لم يكن له عهد فاجله اربعة اشهر ولا يدخل الجنة الا نفس مومنة ولا يجتمع المشركون والمسلمون بعد عامهم هذا ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن وهو حديث سفيان بن عيينة عن ابي اسحاق ورواه الثوري عن ابي اسحاق عن بعض اصحابه عن علي ‏.‏ وفي الباب عن ابي هريرة ‏.‏ حدثنا نصر بن علي، وغير، واحد، قالوا حدثنا سفيان بن عيينة، عن ابي اسحاق، عن زيد بن يثيع، عن علي، نحوه ‏.‏ حدثنا علي بن خشرم، حدثنا سفيان بن عيينة، عن ابي اسحاق، عن زيد بن اثيع، عن علي، نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى وقد روي عن ابن عيينة، كلتا الروايتين يقال عنه عن ابن اثيع، وعن ابن يثيع، والصحيح، هو زيد بن اثيع وقد روى شعبة، عن ابي اسحاق، عن زيد، غير هذا الحديث فوهم فيه وقال زيد بن اثيل ولا يتابع عليه ‏.‏ وفي الباب عن ابي هريرة ‏.‏


Narrated Zaid bin Yuthai':
"We asked 'Ali what he had been dispatched with during the Hajj. He said: 'I was sent with four: That there shall be no Tawaf around the House while naked, that if there is a treaty between someone and the Prophet (ﷺ), then the treaty remains until its expiration, and whoever does not have a treaty, then he has the span of four months, none shall enter Paradise except a believer, and the idolaters and Muslims shall not congregate (for Hajj) after this year.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৯৩। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কোন ব্যক্তিকে মসজিদে যাতায়াতে অভ্যস্ত দেখলে তার ঈমানের সাক্ষী দিও। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “আল্লাহ্ তা’আলার মাসজিদসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ তো তারাই করে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান এনেছে......" (সূরাঃ আত-তাওবা-১৮)।

দুর্বল, ২৭৫০ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে

ইবনু আবূ উমার-আবদুল্লাহ ইবনু ওয়াহব হতে তিনি আমর ইবনুল হারিস হতে তিনি দাররাজ হতে তিনি আবুল হাইসাম হতে তিনি আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) এর সূত্রেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উপরের হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে “তোমরা যাকে মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করতে দেখ” এরূপ বর্ণিত আছে।

দুর্বল, দেখুন পূর্বের হাদীস

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূল হাইসামের নাম সুলাইমান ইবনু আমর ইবনু আবদুল উতওয়ারী। তিনি ইয়াতীম ছিলেন এবং আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)-এর পরিবারে লালিত-পালিত হন।

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الرَّجُلَ يَعْتَادُ الْمَسْجِدَ فَاشْهَدُوا لَهُ بِالإِيمَانِ ‏.‏ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏ إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ‏)‏ ‏.‏ ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ يَتَعَاهَدُ الْمَسْجِدَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَأَبُو الْهَيْثَمِ اسْمُهُ سُلَيْمَانُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدٍ الْعُتْوَارِيُّ وَكَانَ يَتِيمًا فِي حَجْرِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا رشدين بن سعد، عن عمرو بن الحارث، عن دراج، عن ابي الهيثم، عن ابي سعيد، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذا رايتم الرجل يعتاد المسجد فاشهدوا له بالايمان ‏.‏ قال الله تعالى ‏:‏ ‏(‏ انما يعمر مساجد الله من امن بالله واليوم الاخر ‏)‏ ‏.‏ ‏"‏ ‏.‏ حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا عبد الله بن وهب، عن عمرو بن الحارث، عن دراج، عن ابي الهيثم، عن ابي سعيد، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه الا انه قال ‏ "‏ يتعاهد المسجد ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏ وابو الهيثم اسمه سليمان بن عمرو بن عبد العتواري وكان يتيما في حجر ابي سعيد الخدري ‏.‏


Narrated Abu Sa'eed:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "When you see a man frequenting the Masjid, then testify to his faith. Indeed Allah, Most High, said: The Masjid shall be maintained by those who believe in Allah and the Last day (9:18)."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৯৪। সাওবান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যারা সোনা ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহ তা’আলার পথে ব্যায় করে না তাদেরকে পীড়াদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও”— (সূরা আত-তওবাঃ ৩৪), এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার সময় আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ভ্রমণে ছিলাম। কোন কোন সাহাবী বলেন, এ আয়াতটি সোনা ও রূপার সমালোচনায় অবতীর্ণ হয়েছে। কোন সম্পদ উৎকৃষ্ট আমরা তা জানতে পারলে তা জমা করতাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উৎকৃষ্ট সম্পদ হল (আল্লাহ তা’আলার) যিকরকারী জিহ্বা, কৃতজ্ঞ অন্তর ও ঈমানদার স্ত্রী, যে স্বামীকে দীনদারির ব্যাপারে সহযোগিতা করে।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৮৫৬)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে প্রশ্ন করে বললাম, সালিম ইবনু আবূল জা’দ (রহঃ) সাওবান (রাযিঃ) হতে (হাদীস) শুনেছেন কি? তিনি বলেন, না। আমি তাকে বললাম, তাহলে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণের মধ্যে কার নিকটে শুনেছেন? তিনি বললেন, তিনি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ ও আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ)-এর নিকট শুনেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আরো কয়েকজন সাহাবীর নামও তিনি উল্লেখ করেছেন।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ ‏)‏ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ أُنْزِلَ فِي الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ مَا أُنْزِلَ ‏.‏ لَوْ عَلِمْنَا أَىُّ الْمَالِ خَيْرٌ فَنَتَّخِذَهُ فَقَالَ ‏"‏ أَفْضَلُهُ لِسَانٌ ذَاكِرٌ وَقَلْبٌ شَاكِرٌ وَزَوْجَةٌ مُؤْمِنَةٌ تُعِينُهُ عَلَى إِيمَانِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ فَقُلْتَ لَهُ سَالِمُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ سَمِعَ مِنْ ثَوْبَانَ فَقَالَ لاَ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهُ مِمَّنْ سَمِعَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمِعَ مِنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَذَكَرَ غَيْرَ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا عبيد الله بن موسى، عن اسراىيل، عن منصور، عن سالم بن ابي الجعد، عن ثوبان، قال لما نزلت ‏:‏ ‏(‏ والذين يكنزون الذهب والفضة ‏)‏ قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم في بعض اسفاره فقال بعض اصحابه انزل في الذهب والفضة ما انزل ‏.‏ لو علمنا اى المال خير فنتخذه فقال ‏"‏ افضله لسان ذاكر وقلب شاكر وزوجة مومنة تعينه على ايمانه ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن ‏.‏ سالت محمد بن اسماعيل فقلت له سالم بن ابي الجعد سمع من ثوبان فقال لا ‏.‏ فقلت له ممن سمع من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم قال سمع من جابر بن عبد الله وانس بن مالك وذكر غير واحد من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Thawban:
"When (the following) was revealed: And those who hoard up gold and silver... (9:34)" He said: "We were with the Messenger of Allah (ﷺ) during one of his journeys, so some of his Companions said: (This) has been revealed about gold and silver, if we knew which wealth was better then we would use it. So he (ﷺ) said: 'The most virtuous of it is a remembering tongue, a grateful heart, and a believing wife that helps him with his faith.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৯৫। আদী ইবনু হাতিম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি গলায় স্বর্ণের ক্রুশ পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে এলাম। তিনি বললেনঃ হে ’আদী! তোমার গলা হতে এই প্রতিমা সরিয়ে ফেল। (এই বলে) আমি তাকে সূরা বারাআতের নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করতে শুনলাম (অনুবাদ) “তারা আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত তাদের পণ্ডিতগণকে ও সংসারবিরাগীগণকে তাদের প্রভু বানিয়ে নিয়েছে" (সূরা আত-তওবা ৩১)।

তারপর তিনি বললেনঃ তারা অবশ্য তাদের পূজা করত না। তবে তারা কোন জিনিসকে যখন তাদের জন্য হালাল বলত তখন সেটাকে তারা হালাল বলে মেনে নিত। আবার তারা কোন জিনিসকে যখন তাদের জন্য হারাম বলত তখন নিজেদের জন্য উহাকে হারাম বলে মেনে নিত।

হাসান।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীস শুধু আবদুস সালাম ইবনু হারবের সূত্রে জেনেছি। হাদীস শাস্ত্রে গুতাইফ ইবনু আইয়ান খুবএকটা প্রসিদ্ধ নন।

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ غُطَيْفِ بْنِ أَعْيَنَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَفِي عُنُقِي صَلِيبٌ مِنْ ذَهَبٍ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ يَا عَدِيُّ اطْرَحْ عَنْكَ هَذَا الْوَثَنَ ‏"‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فِي سُورَةِ بَرَاءَةََ ‏:‏ ‏(‏ اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ ‏)‏ قَالَ ‏"‏ أَمَا إِنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يَعْبُدُونَهُمْ وَلَكِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا أَحَلُّوا لَهُمْ شَيْئًا اسْتَحَلُّوهُ وَإِذَا حَرَّمُوا عَلَيْهِمْ شَيْئًا حَرَّمُوهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ حَرْبٍ ‏.‏ وَغُطَيْفُ بْنُ أَعْيَنَ لَيْسَ بِمَعْرُوفٍ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا الحسين بن يزيد الكوفي، حدثنا عبد السلام بن حرب، عن غطيف بن اعين، عن مصعب بن سعد، عن عدي بن حاتم، قال اتيت النبي صلى الله عليه وسلم وفي عنقي صليب من ذهب ‏.‏ فقال ‏"‏ يا عدي اطرح عنك هذا الوثن ‏"‏ ‏.‏ وسمعته يقرا في سورة براءة ‏:‏ ‏(‏ اتخذوا احبارهم ورهبانهم اربابا من دون الله ‏)‏ قال ‏"‏ اما انهم لم يكونوا يعبدونهم ولكنهم كانوا اذا احلوا لهم شيىا استحلوه واذا حرموا عليهم شيىا حرموه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه الا من حديث عبد السلام بن حرب ‏.‏ وغطيف بن اعين ليس بمعروف في الحديث ‏.‏


Narrated 'Adi bin Hatim:
"I came to the Prophet (ﷺ) while I had a cross of gold around my neck. He said: 'O 'Adi! Remove this idol from yourself!' And I heard him reciting from Surah Bara'ah: They took their rabbis and monks as lords besides Allah (9:31). He said: 'As for them, they did not worship them, but when they made something lawful for them, they considered it lawful, and when they made something unlawful for them, they considered it unlawful.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৯৬। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, আবূ বকর (রাযিঃ) তাকে বলেছেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (সাওর) গিরিগুহায় অবস্থানকালে বললাম, যদি কাফিরদের কেউ তার পদদ্বয়ের দিকে (নীচের দিকে) তাকায়, তাহলে সে নিশ্চত আমাদেরকে তার পায়ের নীচেই দেখবে। তিনি বললেনঃ হে আবূ বকর! যে দু’জনের সাথে তৃতীয়জন হিসেবে আল্লাহ তা’আলা আছেন সেই দু’জনের ব্যাপারে আপনার কি ধারণা?

সহীহঃ তাখরাজু ফিকুহিস সীরাহ (১৭৩), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীসটি হাম্মামের সূত্রেই বর্ণিত আছে। একমাত্র তিনিই এটি বর্ণনা করেছেন। হাব্বান ইবনু হিলাল প্রমুখও হাম্মামের সূত্রে এ হাদীস একই রকম বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، حَدَّثَهُ قَالَ قُلْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ فِي الْغَارِ لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ يَنْظُرُ إِلَى قَدَمَيْهِ لأَبْصَرَنَا تَحْتَ قَدَمَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ يَا أَبَا بَكْرٍ مَا ظَنُّكَ بِاثْنَيْنِ اللَّهُ ثَالِثُهُمَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا يُعْرَفُ مِنْ حَدِيثِ هَمَّامٍ تَفَرَّدَ بِهِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ هَمَّامٍ نَحْوَ هَذَا ‏.‏

حدثنا زياد بن ايوب البغدادي، حدثنا عفان بن مسلم، حدثنا همام، حدثنا ثابت، عن انس، ان ابا بكر، حدثه قال قلت للنبي صلى الله عليه وسلم ونحن في الغار لو ان احدهم ينظر الى قدميه لابصرنا تحت قدميه ‏.‏ فقال ‏ "‏ يا ابا بكر ما ظنك باثنين الله ثالثهما ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح غريب انما يعرف من حديث همام تفرد به ‏.‏ وقد روى هذا الحديث حبان بن هلال وغير واحد عن همام نحو هذا ‏.‏


Narrated Anas:
that Abu Bakr narrated to him, he said: "While were in the cave, I said to the Prophet (ﷺ): 'If one of them were to look down at his feet, then he would see us under his feet.' So he said: 'O Abu Bakr! What do you think about two, the third of whom is Allah?'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৯৭। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, "উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ আবদুল্লাহ ইবনু উবাই মারা গেলে তার জানাযা আদায়ের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আবেদন করা হয়। তিনি সেখানে যেতে শুরু করলেন। তিনি জানাযার উদ্দেশে দাঁড়ালে আমি ঘুরে গিয়ে তার বুক বারবার সামনে দাড়িয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল আল্লাহ তা’আলার দুশমন ইবনু উবাইর জানাযা কি আপনি আদায় করবেন, যে অমুক দিন এই কথা বলেছে, অমুক দিন এই কথা বলেছে? এভাবে নির্দিষ্ট দিন তারিখ উল্লেখ করে “উমর (রাযিঃ) বলতে লাগলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাসি দিতে থাকলেন।

এমনকি আমি যখন তাকে অনেক কিছু বললাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে উমার! আমার সামনে হতে সরে যাও। আমাকে এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। কাজেই আমি (জানাযা আদায়ের) এখতিয়ার গ্রহণ করেছি। আমাকে বলা হয়েছে (আয়াতের অর্থ) “তুমি এদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর বা না কর, এমনকি তুমি যদি সত্তর বারও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর, তবুও আল্লাহ তা’আলা তাদের কখনো ক্ষমা করবেন না”— (সূরা আত-তওবা ৮০)।

আমি যদি জানতাম তাদের জন্য সত্তর বারের বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা’আলা তাদের ক্ষমা করে দিবেন, তাহলে আমি তাই করতাম। উমার (রাযিঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জানাযা আদায় করলেন এবং তার জানাযার সাথে গেলেন। তিনি তার কবরের সামনে দাঁড়ান এবং সকল কাজ শেষ করেন। উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে আমার দুঃসাহসিকতায় আশ্চর্যবোধ হল। আল্লাহ ও তার রাসূলই ভালো জানেন। আল্লাহর শপথ! কিছুক্ষণ পরেই এ দুটি আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ

(অনুবাদ) "তাদের কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে তুমি কখনো তার জানাযা আদায় করবে না এবং তার কবরের পাশে কখনো দাঁড়াবে না। কেননা তারা আল্লাহ ও তার রাসূলকে অস্বীকার করেছে এবং পাপাচারী অবস্থায় এদের মৃত্যু হয়েছে" (সূরা আত-তওবা্ ৮৪)। উমর (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আর কোন মুনাফিকের জানায আদায় করেননি এবং এদের কবরের পাশেও দাঁড়াননি।

সহীহঃ আহকা-মুল জানা-য়িয (৯৩, ৯৫)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ لَمَّا تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ دُعِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلصَّلاَةِ عَلَيْهِ فَقَامَ إِلَيْهِ فَلَمَّا وَقَفَ عَلَيْهِ يُرِيدُ الصَّلاَةَ تَحَوَّلْتُ حَتَّى قُمْتُ فِي صَدْرِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعَلَى عَدُوِّ اللَّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ الْقَائِلِ يَوْمَ كَذَا كَذَا وَكَذَا يَعُدُّ أَيَّامَهُ ‏.‏ قَالَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَبَسَّمُ حَتَّى إِذَا أَكْثَرْتُ عَلَيْهِ قَالَ ‏"‏ أَخِّرْ عَنِّي يَا عُمَرُ ‏.‏ إِنِّي خُيِّرْتُ فَاخْتَرْتُ قَدْ قِيلَ لِي ‏:‏ ‏(‏ اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ ‏)‏ لَوْ أَعْلَمُ أَنِّي لَوْ زِدْتُ عَلَى السَّبْعِينَ غُفِرَ لَهُ لَزِدْتُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهِ وَمَشَى مَعَهُ فَقَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى فُرِغَ مِنْهُ قَالَ فَعَجَبٌ لِي وَجُرْأَتِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَوَاللَّهِ مَا كَانَ إِلاَّ يَسِيرًا حَتَّى نَزَلَتْ هَاتَانِ الآيَتَانِ ‏:‏ ‏(‏وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ قَالَ فَمَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَهُ عَلَى مُنَافِقٍ وَلاَ قَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا يعقوب بن ابراهيم بن سعد، عن ابيه، عن محمد بن اسحاق، عن الزهري، عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة، عن ابن عباس، قال سمعت عمر بن الخطاب، يقول لما توفي عبد الله بن ابى دعي رسول الله صلى الله عليه وسلم للصلاة عليه فقام اليه فلما وقف عليه يريد الصلاة تحولت حتى قمت في صدره فقلت يا رسول الله اعلى عدو الله عبد الله بن ابى القاىل يوم كذا كذا وكذا يعد ايامه ‏.‏ قال ورسول الله صلى الله عليه وسلم يتبسم حتى اذا اكثرت عليه قال ‏"‏ اخر عني يا عمر ‏.‏ اني خيرت فاخترت قد قيل لي ‏:‏ ‏(‏ استغفر لهم او لا تستغفر لهم ان تستغفر لهم سبعين مرة فلن يغفر الله لهم ‏)‏ لو اعلم اني لو زدت على السبعين غفر له لزدت ‏"‏ ‏.‏ قال ثم صلى عليه ومشى معه فقام على قبره حتى فرغ منه قال فعجب لي وجراتي على رسول الله صلى الله عليه وسلم والله ورسوله اعلم فوالله ما كان الا يسيرا حتى نزلت هاتان الايتان ‏:‏ ‏(‏ولا تصل على احد منهم مات ابدا ولا تقم على قبره ‏)‏ الى اخر الاية قال فما صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم بعده على منافق ولا قام على قبره حتى قبضه الله ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"I heard 'Umar bin Al-Khattab saying: 'When 'Abdullah bin Ubayy died, the Messenger of Allah (ﷺ) was called to perform the funeral prayer over him. The Messenger of Allah (ﷺ) came to him, and when he stood over him, about to perform the prayer, he turned until he was standing at his chest. I said: "O Messenger of Allah! (You pray) for Allah's enemy 'Abdullah bin Ubayy, who on this day said this and that" - mentioning different days. He said: "The Messenger of Allah (ﷺ) was smiling until I had said too much to him and he said: 'Leave me O 'Umar! Indeed I have been given the choice, so I chose. I was told: Whether you ask forgiveness for them, or do not ask for forgiveness for them. Even though you ask for their forgiveness seventy times, Allah will not forgive them (9:80). If I knew that were I to ask more than seventy times that he would be forgiven, then I would do so." He said: "Then he performed the Salat for him and walked with him (his funeral procession) and he stood at his grave until it was finished. I was amazed at myself and my daring to talk like that to the Messenger of Allah (ﷺ), while Allah and His Messenger (ﷺ) know better. But by Allah! It was not long until these two Ayat were revealed: 'And never pray for any of them who dies nor stand at his grave... (9:84) until the end of the Ayah. He said: "So afterwards the Messenger of Allah (ﷺ) did not perform the Salat for a hypocrite, nor would he stand at his grave until Allah took him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৯৮। ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলে, ’আবদুল্লাহ্ (রাযিঃ)-এর বাবা ’আবদুল্লাহ ইবনু উবাই মারা গেলে আবদুল্লাহ্ (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে এসে বলেন, আপনার জামাটি আমাকে দিন, তা দিয়ে তাকে (বাবাকে) কাফন দিব এবং আপনি তার জানাযা আদায় করুন, তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার জামা দিলেন এবং বললেনঃ তোমরা (গোসল, কাফন ইত্যাদি হতে) অবসর হলে আমাকে খবর দিও।

তিনি নামায আদায়ের প্রস্তুতি নিলে উমর (রাযিঃ) তাকে টেনে ধরে বললেন, আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে মুনাফিকদের জানায আদায় করতে নিষেধ করেননি? তিনি বললেন; আমাকে দুটাে ব্যাপারেই স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে- “তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর বা না কর"। যাই হোক তিনি তার জানাযা আদায় করলেন। আল্লাহ তা’আলা তখন এ আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) “তাদের কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে তুমি কখনো তার জানাযা আদায় করবে না এবং তার কবরের পাশেও কখনো দাড়াবে না....” (সূরা আত-তওবা ৮৪)। এরপর তিনি তাদের জানাযা আদায় করা ছেড়ে দেন।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৫২৩), বুখারী (৪৬৭০), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ مَاتَ أَبُوهُ فَقَالَ أَعْطِنِي قَمِيصَكَ أُكَفِّنْهُ فِيهِ وَصَلِّ عَلَيْهِ وَاسْتَغْفِرْ لَهُ ‏.‏ فَأَعْطَاهُ قَمِيصَهُ وَقَالَ ‏"‏ إِذَا فَرَغْتُمْ فَآذِنُونِي ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يُصَلِّيَ جَذَبَهُ عُمَرُ وَقَالَ أَلَيْسَ قَدْ نَهَى اللَّهُ أَنْ تُصَلِّيَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ فَقَالَ ‏"‏ أَنَا بَيْنَ خِيرَتَيْنِ ‏:‏ ‏(‏اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ فَصَلَّى عَلَيْهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ‏:‏ ‏(‏وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ ‏)‏ فَتَرَكَ الصَّلاَةَ عَلَيْهِمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، حدثنا عبيد الله، اخبرنا نافع، عن ابن عمر، قال جاء عبد الله بن عبد الله بن ابى الى النبي صلى الله عليه وسلم حين مات ابوه فقال اعطني قميصك اكفنه فيه وصل عليه واستغفر له ‏.‏ فاعطاه قميصه وقال ‏"‏ اذا فرغتم فاذنوني ‏"‏ ‏.‏ فلما اراد ان يصلي جذبه عمر وقال اليس قد نهى الله ان تصلي على المنافقين فقال ‏"‏ انا بين خيرتين ‏:‏ ‏(‏استغفر لهم او لا تستغفر لهم ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ فصلى عليه فانزل الله‏:‏ ‏(‏ولا تصل على احد منهم مات ابدا ولا تقم على قبره ‏)‏ فترك الصلاة عليهم ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Ibn 'Umar:
"'Abdullah bin 'Abdullah bin Ubayy came to the Messenger of Allah (ﷺ) when his father died, and said: 'Give me your shirt to shroud him in and perform the Salat upon him, and seek forgiveness for him.' So he (ﷺ) gave him his shirt, and said: 'When you are finished then inform me.' So when he wanted to perform the Salat, 'Umar tugged at him and said: 'Has not Allah prohibited that you perform Salat over the hypocrites?' He said: 'I have been given the choice between two: 'Whether you seek forgiveness for them or you do not seek forgiveness for them.... (9:80)' So he performed the Salat for him. Then Allah revealed: 'And never pray for any of them who dies, nor stand at his grave... (9:84)' So he abandoned praying for them."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৯৯। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যে মসজিদ প্রথম দিন হতেই তাকওয়ার ভিত্তির উপর নির্মিত হয়েছে" (সূরা আত-তওবা ১০৮), সেই মাসজিদ প্রসঙ্গে দুই ব্যক্তি বিতর্কে লিপ্ত হয়। একজন বলল, তা হচ্ছে মসজিদে কুবা। অন্যজন বলল, তা হচ্ছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাসজিদ (মসজিদে নববী)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তা আমার এই মাসজিদ।

সহীহঃ মুসলিম, এর চেয়ে পুর্ণাঙ্গভাবে (৩২৩) নং হাদীসে পূর্বে উল্লেখ হয়েছে।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইমরান ইবনু আবী আনাসের হাদীস হিসেবে গারীব। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে এটি অন্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটি উনাইস ইবনু আবী ইয়াহইয়া তার পিতা হতে, তিনি আবূ সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ تَمَارَى رَجُلاَنِ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ فَقَالَ رَجُلٌ هُوَ مَسْجِدُ قُبَاءَ وَقَالَ الآخَرُ هُوَ مَسْجِدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هُوَ مَسْجِدِي هَذَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ رَوَاهُ أُنَيْسُ بْنُ أَبِي يَحْيَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رضى الله عنه ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن عمران بن ابي انس، عن عبد الرحمن بن ابي سعيد، عن ابي سعيد الخدري، انه قال تمارى رجلان في المسجد الذي اسس على التقوى من اول يوم فقال رجل هو مسجد قباء وقال الاخر هو مسجد رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هو مسجدي هذا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب من حديث عمران بن ابي انس ‏.‏ وقد روي هذا عن ابي سعيد من غير هذا الوجه رواه انيس بن ابي يحيى عن ابيه عن ابي سعيد رضى الله عنه ‏.‏


Narrated Abu Sa'eed Al-Khudri:
"Two men disagreed over the Masjid whose foundation was laid upon Taqwa from the first day (9:108). A man said: 'It is Masjid Quba' and the other said: 'It is the Masjid of the Messenger of Allah (ﷺ).' So the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'It is this Masjid of mine.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩১০০। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুবাবাসীদের সম্পর্কেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে (অনুবাদ) “তথায় এমন লোক আছে যারা পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে আল্লাহ তা’আলা ভালোবাসেন”- (সূরা আত-তওবা্ঃ ১০৮)। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) বলেন, এসব লোক পানি দিয়ে ইস্তিনজা করত। তাই তাদের ব্যাপারে উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৫৭)

আবূ ঈসা বলেন, এ সূত্রে হাদীসটি গারীব। আবূ আইয়ুব, আনাস ইবনু মালিক ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي مَيْمُونٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي أَهْلِ قُبَاء ‏:‏ ‏(‏فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ كَانُوا يَسْتَنْجُونَ بِالْمَاءِ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِيهِمْ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن العلاء ابو كريب، حدثنا معاوية بن هشام، حدثنا يونس بن الحارث، عن ابراهيم بن ابي ميمون، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ نزلت هذه الاية في اهل قباء ‏:‏ ‏(‏فيه رجال يحبون ان يتطهروا والله يحب المطهرين ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قال كانوا يستنجون بالماء فنزلت هذه الاية فيهم ‏.‏ قال هذا حديث غريب من هذا الوجه ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي ايوب وانس بن مالك ومحمد بن عبد الله بن سلام ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Prophet (ﷺ) said: "This Ayah was revealed about the people of Quba: In it are men who love to purify themselves. And Allah loves those who make themselves pure (9:108)." He said: "They used water to perform Istinja so this Ayah was revealed about them."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩১০১। আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে তার (মৃত) মুশরিক পিতা-মাতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে শুনলাম। আমি তাকে বললাম, তোমার মৃত পিতা-মাতার জন্য কি তুমি ক্ষমা প্রার্থনার দুআ করছ, অথচ তারা ছিল মুশরিক? সে বলল, ইবরাহীম (আঃ) কি তার বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেননি, অথচ তার বাবা ছিল মুশরিক? আমি বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উল্লেখ করলাম। তখন নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “নবী ও ঈমানদার লোকদের পক্ষে শোভনীয় নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনই হােক না কেন....."— (সূরা আত-তওবা ১১৩)।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৫২৩), বুখারী, মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، كُوفِيٌّ عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً، يَسْتَغْفِرُ لأَبَوَيْهِ وَهُمَا مُشْرِكَانِ فَقُلْتُ لَهُ أَتَسْتَغْفِرُ لأَبَوَيْكَ وَهُمَا مُشْرِكَانِ ‏.‏ فَقَالَ أَوَلَيْسَ اسْتَغْفَرَ إِبْرَاهِيمُ لأَبِيهِ وَهُوَ مُشْرِكٌ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا وكيع، حدثنا سفيان، عن ابي اسحاق، عن ابي الخليل، كوفي عن علي، قال سمعت رجلا، يستغفر لابويه وهما مشركان فقلت له اتستغفر لابويك وهما مشركان ‏.‏ فقال اوليس استغفر ابراهيم لابيه وهو مشرك فذكرت ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فنزلت ‏:‏ ‏(‏ ما كان للنبي والذين امنوا ان يستغفروا للمشركين ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن قال وفي الباب عن سعيد بن المسيب عن ابيه ‏.‏


Narrated 'Ali:
"I heard a man seeking forgiveness for his parents who were idolaters, so I said to him: 'You seek forgiveness for your parents while they are idolaters?' He said: 'Did Ibrahim not seek forgiveness for his father, and he was an idolater?' So I mentioned that to the Prophet (ﷺ) and (the following) was revealed: It is not for the Prophet nor those who believe, that they should seek forgiveness for the idolaters (9:113)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩১০২। কাব ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যতগুলো যুদ্ধ করেছেন, একমাত্র বদরের যুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোন যুদ্ধেই আমি অনুপস্থিত ছিলাম না। এভাবে তাবুকের যুদ্ধ সমুপস্থিত হয়। যারা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাউকে কোনরূপ ভর্ৎসনা করেননি। কারণ তিনি বের হয়েছিলেন কাফিলা অবরোধের উদ্দেশেই। ওদিকে কুরাইশরাও তাদের কাফিলার সাহায্যার্থে বের হয়েছিল। প্রতিশ্রুত স্থান ব্যতীত উভয় পক্ষ পরস্পর মুকবিলায় অবতীর্ণ হয়, যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেছেন।

আমার জীবনের শপথ মানুষদের দৃষ্টিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপস্থিতির সর্বোৎকৃষ্ট স্থান হচ্ছে বদরই কিন্তু আমি আক্বাবার রাতে আমার বাই’আতের উপর মর্যাদা দিয়ে তাতে (বদরে) অংশগ্রহণ করাকে পছন্দ করিনি। কারণ সেই লাইলাতুল আকাবাতেই আমি বাই’আত করেছি এবং আমরা এখানেই ইসলামের উপর সুদৃঢ় হয়ে গিয়েছি। তারপর আমি কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে কোন অভিযান হতে পেছনে ছিলাম না। এভাবে তাবুকের যুদ্ধের পালা আসে। আর তাবুক যুদ্ধই ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নেতৃত্বে পরিচালিত সর্বশেষ যুদ্ধ। যোদ্ধাদের যাত্রা শুরুর জন্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলেন। তারপর বর্ণনাকারী দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন।

আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম। তিনি তখন মসজিদে বসা ছিলেন। তার আশেপাশে মুসলিমগণ সমবেত ছিল। তার মুখমণ্ডল চাঁদের ন্যায় চমকাচ্ছিল। তিনি কোন বিষয়ে আনন্দিত হলে তার চেহারা মুবারাক দীপ্তিমান হয়ে উঠত। আমি উপস্থিত হয়ে তার সামনে বসে পড়লাম। তিনি বললেনঃ “হে কাব ইবনু মালিক! তোমার মা তোমাকে প্রসব করার পর হতে যতগুলো দিন তোমার নিকট এসেছে তার মধ্যে একটি সর্বোৎকৃষ্ট দিনের সুসংবাদ তোমার জন্য। আমি বললাম, “হে আল্লাহর নবী। আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে না আপনার পক্ষ হতে? তিনি বললেনঃ বরং আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে। তারপর তিনি এ আয়াতগুলো তিলাওয়াত করলেনঃ

(অনুবাদ) “আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই অনুগ্রহপরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতি, যারা বড় দুঃসময়ে তার অনুসরণ করেছিল, এমনকি যখন তাদের মধ্যকার এক দলের হৃদয়-বক্র হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তারপর আল্লাহ তা’আলা তাদের মাফ করলেন। তিনি তো তাদের প্রতি দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু এবং অপর তিনজনকে যাদেরকে পিছনে রাখা হয়েছিল, যখন পৃথিবী বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও তাদের জন্য সংকুচিত হয়ে গেল এবং তাদের জীবন দুৰ্বিসহ হয়ে উঠল, তারা বুঝতে পারলো যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন আশ্রয়স্থল নেই, অতঃপর তিনি তাদের প্রতি সদয় হলেন যাতে তারা ফিরে আসে। অবশ্যই আল্লাহ তওবা কুবুলকারী দয়াময়।" (সূরা আত-তওবা ১১৭-১১৮)।

বর্ণনাকারী বলেন, এ আয়াতগুলোও আমাদের সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছে (অনুবাদ) “হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও”— (সূরা আত-তওবা ১১৯)।

কাব (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমার তাওবার মধ্যে এও অন্তর্ভুক্ত যে, আমি সর্বদা সত্য কথাই বলব এবং আমি আমার সমস্ত মাল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশে দান করে দিব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার কিছু মাল তোমার নিজের জন্য রাখ। এটাই তোমার জন্য ভালো। আমি বললাম, আমি আমার নিজের জন্য খাইবারের অংশটুকু রেখে দিচ্ছি।

কাব (রাযিঃ) বলেন, ইসলাম কুবুল করার পর হতে আল্লাহ তা’আলা আমাকে যত নি’আমাতে ধন্য করেছেন আমার মতে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নি’আমাত হচ্ছে রাসূলুল্লাহ -এর নিকট আমার ও আমার সঙ্গীদ্বয়ের সত্য কথা বলা এবং আমাদের মিথ্যাবাদী না হওয়া। অন্যথায় তারা যেভাৰে ধ্বংস হয়েছে আমরাও তদ্রুপ ধ্বংস হতাম। আমি আশা করি সত্য বলার ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা যেন আমার ন্যায় এতো বড় পরীক্ষায় আর কাউকে না ফেলেন। আমি আর কখনো মিথ্যা বলিনি। আমি আরো আশা করি অবশিষ্ট দিনগুলোও যেন আল্লাহ তা’আলা আমাকে হিফাযাত করেন।

সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (১৯১২), বুখারী (৪৬৭৬), মুসলিম।

এ হাদীস উপরোক্ত সনদের বিপরীত সনদে যুহরী (রাহঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। কথিত আছে যে, সনদটি ’আবদুর রাহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কা’ব ইবনু মালিক-তার চাচা উবাইদুল্লাহ হতে, তিনি কাব (রাযিঃ) হতে। আবার কেউ কেউ এ ব্যতীত অন্য সূত্রেও বর্ণনা করেছেন। অনন্তর এ হাদীস যুহরী হতে, তিনি আবদুর রাহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কাব ইবনু মালিক হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি কাব ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে ইউনুস ইবনু ইয়াযীদ বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا حَتَّى كَانَتْ غَزْوَةُ تَبُوكَ إِلاَّ بَدْرًا وَلَمْ يُعَاتِبِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَحَدًا تَخَلَّفَ عَنْ بَدْرٍ إِنَّمَا خَرَجَ يُرِيدُ الْعِيرَ فَخَرَجَتْ قُرَيْشٌ مُغْوِثِينَ لِعِيرِهِمْ فَالْتَقَوْا عَنْ غَيْرِ مَوْعِدٍ كَمَا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَلَعَمْرِي إِنَّ أَشْرَفَ مَشَاهِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ لَبَدْرٌ وَمَا أُحِبُّ أَنِّي كُنْتُ شَهِدْتُهَا مَكَانَ بَيْعَتِي لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ حَيْثُ تَوَاثَقْنَا عَلَى الإِسْلاَمِ ثُمَّ لَمْ أَتَخَلَّفْ بَعْدُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى كَانَتْ غَزْوَةُ تَبُوكَ وَهِيَ آخِرُ غَزْوَةٍ غَزَاهَا وَآذَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالرَّحِيلِ ‏.‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ قَالَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ وَحَوْلَهُ الْمُسْلِمُونَ وَهُوَ يَسْتَنِيرُ كَاسْتِنَارَةِ الْقَمَرِ وَكَانَ إِذَا سُرَّ بِالأَمْرِ اسْتَنَارَ فَجِئْتُ فَجَلَسْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ ‏"‏ أَبْشِرْ يَا كَعْبُ بْنَ مَالِكٍ بِخَيْرِ يَوْمٍ أَتَى عَلَيْكَ مُنْذُ وَلَدَتْكَ أُمُّكَ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَمِنْ عِنْدِ اللَّهِ أَمْ مِنْ عِنْدِكَ قَالَ ‏"‏ بَلْ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ تَلاَ هَؤُلاَءِ الآيَاتِ ‏:‏ ‏(‏ لَقََدْ تَابَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ الْعُسْرَةِ ‏)‏ حَتَّى بَلَغََّ اللَّهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ‏)‏ قَالَ وَفِينَا أُنْزِلَتْ أَيْضًا ‏:‏ ‏(‏ اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ ‏)‏ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ مِنْ تَوْبَتِي أَنْ لاَ أُحَدِّثَ إِلاَّ صِدْقًا وَأَنْ أَنْخَلِعَ مِنْ مَالِي كُلِّهِ صَدَقَةً إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَمْسِكْ عَلَيْكَ بَعْضَ مَالِكَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ فَإِنِّي أُمْسِكُ سَهْمِي الَّذِي بِخَيْبَرَ قَالَ فَمَا أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَىَّ نِعْمَةً بَعْدَ الإِسْلاَمِ أَعْظَمَ فِي نَفْسِي مِنْ صِدْقِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ صَدَقْتُهُ أَنَا وَصَاحِبَاىَ لاَ نَكُونُ كَذَبْنَا فَهَلَكْنَا كَمَا هَلَكُوا وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ لاَ يَكُونَ اللَّهُ أَبْلَى أَحَدًا فِي الصِّدْقِ مِثْلَ الَّذِي أَبْلاَنِي مَا تَعَمَّدْتُ لِكَذِبَةٍ بَعْدُ وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَحْفَظَنِي اللَّهُ فِيمَا بَقِيَ ‏.‏ قَالَ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثُ بِخِلاَفِ هَذَا الإِسْنَادِ وَقَدْ قِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ عَمِّهِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ كَعْبٍ وَقَدْ قِيلَ غَيْرُ هَذَا وَرَوَى يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، اخبرنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، عن عبد الرحمن بن كعب بن مالك، عن ابيه، قال لم اتخلف عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في غزوة غزاها حتى كانت غزوة تبوك الا بدرا ولم يعاتب النبي صلى الله عليه وسلم احدا تخلف عن بدر انما خرج يريد العير فخرجت قريش مغوثين لعيرهم فالتقوا عن غير موعد كما قال الله عز وجل ولعمري ان اشرف مشاهد رسول الله صلى الله عليه وسلم في الناس لبدر وما احب اني كنت شهدتها مكان بيعتي ليلة العقبة حيث تواثقنا على الاسلام ثم لم اتخلف بعد عن النبي صلى الله عليه وسلم حتى كانت غزوة تبوك وهي اخر غزوة غزاها واذن النبي صلى الله عليه وسلم بالرحيل ‏.‏ فذكر الحديث بطوله قال فانطلقت الى النبي صلى الله عليه وسلم فاذا هو جالس في المسجد وحوله المسلمون وهو يستنير كاستنارة القمر وكان اذا سر بالامر استنار فجىت فجلست بين يديه فقال ‏"‏ ابشر يا كعب بن مالك بخير يوم اتى عليك منذ ولدتك امك ‏"‏ ‏.‏ فقلت يا نبي الله امن عند الله ام من عندك قال ‏"‏ بل من عند الله ‏"‏ ‏.‏ ثم تلا هولاء الايات ‏:‏ ‏(‏ لقد تاب الله على النبي والمهاجرين والانصار الذين اتبعوه في ساعة العسرة ‏)‏ حتى بلغ الله هو التواب الرحيم ‏)‏ قال وفينا انزلت ايضا ‏:‏ ‏(‏ اتقوا الله وكونوا مع الصادقين ‏)‏ قال قلت يا نبي الله ان من توبتي ان لا احدث الا صدقا وان انخلع من مالي كله صدقة الى الله والى رسوله ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ امسك عليك بعض مالك فهو خير لك ‏"‏ ‏.‏ فقلت فاني امسك سهمي الذي بخيبر قال فما انعم الله على نعمة بعد الاسلام اعظم في نفسي من صدقي رسول الله صلى الله عليه وسلم حين صدقته انا وصاحباى لا نكون كذبنا فهلكنا كما هلكوا واني لارجو ان لا يكون الله ابلى احدا في الصدق مثل الذي ابلاني ما تعمدت لكذبة بعد واني لارجو ان يحفظني الله فيما بقي ‏.‏ قال وقد روي عن الزهري هذا الحديث بخلاف هذا الاسناد وقد قيل عن عبد الرحمن بن عبد الله بن كعب بن مالك عن عمه عبيد الله عن كعب وقد قيل غير هذا وروى يونس بن يزيد هذا الحديث عن الزهري عن عبد الرحمن بن عبد الله بن كعب بن مالك ان اباه حدثه عن كعب بن مالك ‏.‏


Narrated 'Abdur-Rahman bin Ka'b bin Malik:
from his father who said: "I did not remain behind from any of the battles the Prophet (ﷺ) fought in, until the battle of Tabuk, except for Badr. And the Prophet (ﷺ) did not scold anyone who remained behind from Badr, because he only went out to look for the caravan. The Quraish came out to help their caravan, so they met without an appointment as Allah the Mighty and Sublime, said. By my life, people consider the most honorable of battles of the Messenger of Allah (ﷺ) to be that of Badr, but I would not have liked to attend it instead of my oath of allegiance on the night of Al-'Aqabah when we took a covenant for Islam. Afterwards, I did not stay behind from the Prophet (ﷺ) until the battle of Tabuk, and it was the last of the battles he fought. The Messenger of Allah (ﷺ) informed the people of the departure" - and he mentioned the Hadith in its entirety, and said - "So I went to the Prophet (ﷺ) and he was sitting in the Masjid, surrounded by the Muslims. He was beaming like the moon beams. When he was happy about a matter he would beam. So I came and said in front of him. He said: 'Receive glad tidings - O Ka'b bin Malik - of the best day you have seen since your mother bore you!' So I said: 'O Prophet of Allah! Is it from Allah or from you?' He said: 'From Allah.' Then he recited these Ayat: Allah has forgiven the Prophet, the Muhajirin, and the Ansar who followed him in the time of distress, after the hearts of a party of them had nearly deviated, but He accepted their repentance. Certainly, He is unto them full of Kindness, Most Merciful (9:117). [until he reached: Verily, Allah is the One Who accepts repentance, Most Merciful (9:118).] He said: "And it was about us that (the following) was revealed as well: Have Taqwa of Allah, and be with those who are true (9:119)." He said: "O Prophet of Allah! Part of my repentance is to not say but the truth, and give up all of my wealth as charity for Allah and His Messenger.' So the Prophet (ﷺ) said: 'Keep some of your wealth for yourself, for indeed that is better for you.' I said: 'So I will keep my share from Al-Khaibar.'" He said: "So after my acceptance of Islam, Allah did not grant me a greater favor than when I and my two companions told the truth to the Messenger of Allah (ﷺ) and we were not among the liars to be ruined like the others were ruined. Indeed I hope that Allah will not test anyone over telling the truth as he tested me. I did not resort to a lie ever since then, and I hope that Allah will protect me regarding what remains to come."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩১০৩। যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়ামামার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের শাহাদাতের যমানায় আবূ বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) আমাকে ডেকে পাঠান। আমি গিয়ে দেখলাম, ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-ও তার নিকট উপস্থিত। আবূ বকর (রাযিঃ) বললেন, "উমার আমার নিকট এসে বললেন, অসংখ্য কুরআনের কারী (হাফিয) ইয়ামামার যুদ্ধের দিন শহীদ হয়েছেন। আমার আশংকা হচ্ছে, সর্বত্র এভাবে কারীগণ শহীদ হয়ে গেলে কুরআনের অনেক অংশই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। আমি মনে করি আপনি কুরআন সংকলনের নির্দেশ দিন।

আবূ বকর (রাযিঃ) উমার (রাযিঃ)-কে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে যে কাজ করে যাননি আমি কিভাবে তা করতে পারি? উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! এটা খুবই ভালো কাজ। তিনি আমার নিকট বারবার তার কথার পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছিলেন। অবশেষে সেই কাজের জন্য আল্লাহ তা’আলা আমার বক্ষও উন্মুক্ত করে দিলেন, যার জন্য তিনি (আগেই) উমারের বক্ষ উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। আমিও উক্ত কাজে সেই কল্যাণ লক্ষ্য করলাম যা তিনি (আমার আগেই) লক্ষ্য করেছিলেন।

যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) বলেন, আবূ বকর (রাযিঃ) বললেন, তুমি একজন জ্ঞানবান যুবক। আমি তোমাকে কোন বিষয়ে দোষারোপ করিনি। আর তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় কুরআন লিপিবদ্ধ করতে। অতএব তুমি কুরআনের (বিভিন্ন অংশ) সন্ধানে লেগে যাও। যাইদ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ। তারা যদি আমাকে পর্বতমালার মধ্য হতে কোন পাহাড় স্থানান্তরের কষ্টে নিক্ষেপ করতেন তবে তাও আমার জন্য এ মহা দায়িত্বের তুলনায় এত বেশী ভারবহ হত না।

আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে যে কাজ করেননি আপনারা তা কিভাবে করতে পারেন? আবূ বকর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! এটা খুবই ভালো কাজ। আবূ বকর ও উমর (রাযিঃ) উভয়ে ঐ কথার পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছিলেন। অবশেষে আল্লাহ তা’আলা আবূ বকর ও উমারের ন্যায় আমার বক্ষও উন্মুক্ত করে দিলেন। অতএব আমি চামড়ার টুকরাসমূহ, খেজুরপত্র, মসৃণ পাথর ও লোকদের অন্তকরণ হতে খুঁজে খুঁজে সম্পূর্ণ কুরআন একত্র করলাম।

সূরা বারাআতের শেষ অংশটুকু আমি খুযাইমাহ ইবনু সাবিত (রাযিঃ)-এর নিকট পেলাম। তা হল (অনুবাদ) “অবশ্যই তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন। তোমাদেরকে যা বিপন্ন করে তা তার জন্য কষ্টদায়ক। সে তোমাদের কল্যাণকামী এবং মুমিনদের প্রতি দয়ার্দ্র ও অত্যন্ত করুণাসক্ত। এতদসত্ত্বেও তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তুমি বলঃ আল্লাহ তা’আলাই আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই। আমি তার উপরই নির্ভর করি এবং তিনিই মহান আরশের মালিক”— (সূরা আত-তওবা ১২৮, ১২৯)।

সহীহ, বুখারী (৪৬৭৯), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، حَدَّثَهُ قَالَ بَعَثَ إِلَىَّ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ مَقْتَلَ أَهْلِ الْيَمَامَةِ فَإِذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عِنْدَهُ فَقَالَ إِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَدْ أَتَانِي فَقَالَ إِنَّ الْقَتْلَ قَدِ اسْتَحَرَّ بِقُرَّاءِ الْقُرْآنِ يَوْمَ الْيَمَامَةِ وَإِنِّي لأَخْشَى أَنْ يَسْتَحِرَّ الْقَتْلُ بِالْقُرَّاءِ فِي الْمَوَاطِنِ كُلِّهَا فَيَذْهَبَ قُرْآنٌ كَثِيرٌ وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَأْمُرَ بِجَمْعِ الْقُرْآنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ كَيْفَ أَفْعَلُ شَيْئًا لَمْ يَفْعَلْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عُمَرُ هُوَ وَاللَّهِ خَيْرٌ فَلَمْ يَزَلْ يُرَاجِعُنِي فِي ذَلِكَ حَتَّى شَرَحَ اللَّهُ صَدْرِي لِلَّذِي شَرَحَ لَهُ صَدْرَ عُمَرَ وَرَأَيْتُ فِيهِ الَّذِي رَأَى قَالَ زَيْدٌ قَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّكَ شَابٌّ عَاقِلٌ لاَ نَتَّهِمُكَ قَدْ كُنْتَ تَكْتُبُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْوَحْىَ فَتَتَبَّعِ الْقُرْآنَ ‏.‏ قَالَ فَوَاللَّهِ لَوْ كَلَّفُونِي نَقْلَ جَبَلٍ مِنَ الْجِبَالِ مَا كَانَ أَثْقَلَ عَلَىَّ مِنْ ذَلِكَ قَالَ قُلْتُ كَيْفَ تَفْعَلُونَ شَيْئًا لَمْ يَفْعَلْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ هُوَ وَاللَّهِ خَيْرٌ ‏.‏ فَلَمْ يَزَلْ يُرَاجِعُنِي فِي ذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ حَتَّى شَرَحَ اللَّهُ صَدْرِي لِلَّذِي شَرَحَ صَدْرَهُمَا صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ فَتَتَبَّعْتُ الْقُرْآنَ أَجْمَعُهُ مِنَ الرِّقَاعِ وَالْعُسُبِ وَاللِّخَافِ يَعْنِي الْحِجَارَةَ الرِّقَاقَ وَصُدُورِ الرِّجَالِ فَوَجَدْتُ آخِرَ سُورَةِ بَرَاءَةَ مَعَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ ‏:‏ ‏(‏ قَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ * فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، حدثنا ابراهيم بن سعد، عن الزهري، عن عبيد بن السباق، ان زيد بن ثابت، حدثه قال بعث الى ابو بكر الصديق مقتل اهل اليمامة فاذا عمر بن الخطاب عنده فقال ان عمر بن الخطاب قد اتاني فقال ان القتل قد استحر بقراء القران يوم اليمامة واني لاخشى ان يستحر القتل بالقراء في المواطن كلها فيذهب قران كثير واني ارى ان تامر بجمع القران ‏.‏ قال ابو بكر لعمر كيف افعل شيىا لم يفعله رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال عمر هو والله خير فلم يزل يراجعني في ذلك حتى شرح الله صدري للذي شرح له صدر عمر ورايت فيه الذي راى قال زيد قال ابو بكر انك شاب عاقل لا نتهمك قد كنت تكتب لرسول الله صلى الله عليه وسلم الوحى فتتبع القران ‏.‏ قال فوالله لو كلفوني نقل جبل من الجبال ما كان اثقل على من ذلك قال قلت كيف تفعلون شيىا لم يفعله رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ابو بكر هو والله خير ‏.‏ فلم يزل يراجعني في ذلك ابو بكر وعمر حتى شرح الله صدري للذي شرح صدرهما صدر ابي بكر وعمر فتتبعت القران اجمعه من الرقاع والعسب واللخاف يعني الحجارة الرقاق وصدور الرجال فوجدت اخر سورة براءة مع خزيمة بن ثابت ‏:‏ ‏(‏ قد جاءكم رسول من انفسكم عزيز عليه ما عنتم حريص عليكم بالمومنين رءوف رحيم * فان تولوا فقل حسبي الله لا اله الا هو عليه توكلت وهو رب العرش العظيم ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Az-Zuhri:
"From 'Ubaid bin As-Sabbaq, that Zaid bin Thabit narrated to him, he said: 'Abu Bakr As-Siddiq sent for me - (regarding) those killed at Al-Yamamah - and 'Umar bin Al-Khattab was with him. He (Abu Bakr) said: "'Umar came to me and said: The fighting inflicted many casualties among the reciters of the Qur'an on the Day of Al-Yamamah, and I fear that there will be more casualties among the reciters in other parts of the land, such that much of the Qur'an may be lost. In my view, you should order that the Qur'an be collected.'" Abu Bakr said to 'Umar: "How can I do something which was not done my the Messenger of Allah (ﷺ)?" 'Umar said: 'By Allah! It is something good.' 'Umar continued trying to convince me until Allah opened up my chest to that which He had opened the chest of 'Umar, and I saw it as he saw it." Zaid said: 'Abu Bakr said: "You are a young wise man, and we have no suspicions of you. You used to write down the Revelation for the Messenger of Allah as the Qur'an was revealed." He (Zaid) said: 'By Allah! If they had ordered to move one of the mountains it would have been lighter on me than that.' He said: 'I said: "How will you do something which was not done by the Messenger of Allah (ﷺ)?" Abu Bakr said: "By Allah! It is something good." Abu Bakr and 'Umar continued trying to convince me, until Allah opened up my chest for that, just as He had opened their chests, the chest of Abu Bakr and the chest of 'Umar. So I began searching for Qur'anic material from parchments, leaf stalks of date-palms and Al-Likhaf - meaning stones - and the chests of men. I found the end of Surah Bara'ah with Khuzaimah bin Thabit: Verily, there has come to you a Messenger from among yourselves. It grieves him that you should receive any injury or difficulty. He is eager for you; for the believers (he is) full of pity, kind, and merciful. But if they turn away, say: "Allah is sufficient for me. There is no god but He, in Him I put my trust, and He is the Lord of the Mighty Throne (9:128 & 129).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩১০৪। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ)-এর নিকট এসে উপস্থিতি হলেন। হুযইফা (রাযিঃ) আর্মেনিয়া ও আযারবাইজানের বিজয় অভিযানে ইরাকীদের সঙ্গী হয়ে সিরীয়দের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছিলেন। তখন হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) তাদের মধ্যে কুরআন নিয়ে মতের অমিল লক্ষ্য করেন। তিনি (ফিরে এসে) উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ)-কে বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! যেভাবে ইয়াহুদী-নাসারাগণ তাদের কিতাব নিয়ে মতভেদে লিপ্ত হয়েছিল, সেরূপ এই উম্মাতের লোকদের নিজেদের কিতাব নিয়ে মতভেদে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে তাদের খবর নিন। এরপর উসমান (রাযিঃ) এই কথা বলে হাফসাহ (রাযিঃ)-এর নিকট লোক পাঠান যে, আপনার নিকট রক্ষিত কুরআনের সহীফাখানি আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। আমরা সেটি হতে কপি করার পর তা আপনাকে আবার ফেরত দিব।

উন্মুল মুমিনীন হাফসা (রাযিঃ) তার কপি উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ)-এর নিকট পাঠিয়ে দিলেন। উসমান (রাযিঃ) যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ), সাঈদ ইবনুল আস (রাযিঃ), ’আবদুর রাহমান ইবনুল হারিস ইবনু হিশাম (রাযিঃ), ’আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ) প্রমুখের নিকট উক্ত সহীফাখানি পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, আপনারা এ সহীফাখানি হতে অনেকগুলো কপি করে নিন। তিনি উক্ত কমিটির তিন কুরাইশ সদস্যকে বললেন, কোন ক্ষেত্রে তোমাদের ও যাইদ ইবনু সাবিতের মধ্যে মতের অমিল হলে তা তোমরা কুরাইশের বাকরীতি মতো লিখবে। কেননা কুরআন তাদের বাকরীতিতে অবতীর্ণ হয়েছে।

অবশেষে তারা পূর্ণ কুরআনের কয়েকটি কপি করেন। উসমান (রাযিঃ) সেগুলোর এক একটি কপি রাজ্যের এক এক এলাকায় পাঠিয়ে দিলেন। যুহরী (রাহঃ) বলেন, খারিজা ইবনু যাইদ (রাযিঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন; যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) বলেছেন, আমি সূরা আল-আহযাবের একটি আয়াত পেলাম না, যেটি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তিলাওয়াত করতে শুনাতাম। আয়াতটি এই (অনুবাদ) “মুমিনদের মধ্যে কিছু লোক আল্লাহ তা’আলার সাথে তাদের কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করেছে, তাদের কেউ কেউ শাহাদাত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা নিজেদের অঙ্গীকারে কোন পরিবর্তন করেনি” (সূরা আল-আহযাব ২৩)। আমি আয়াতটির খোঁজ করছিলাম। অবশেষে তা খুযাইমাহ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) বা আবূ খুযাইমাহ (রাযিঃ)-এর নিকট পেলাম। আমি সূরার যথাস্থানে আয়াতটি স্থাপন করলাম।

যুহরী (রাহঃ) বলেন, তারা ঐ দিন তাবুত ও তাবূহ শব্দ নিয়ে মতের অমিল করেন। কুরাইশীরা বলেনঃ তাবত, আর যাইদ (রাযিঃ) বলেন, তাবহ। তাদের মতের অমিলের বিষয়টি উসমান (রাযিঃ)-এর নিকট উত্থাপন করা হলে তিনি বললেন, তোমরা তাবত লিখ। কেননা কুরআন কুরাইশদের ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে।

যুহরী (রাহঃ) বলেন, আমাকে উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উতবাহ খবর দিয়েছেন যে, যাইদ ইবনু সাবিতের কুরআন লিপিবদ্ধ করাকে ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) অপছন্দ করেছেন এবং বলেছেন, হে মুসলিমগণ! কুরআন লিপিবদ্ধ করা হতে আমি বরখাস্ত হবো আর তার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে এমন ব্যক্তি, আল্লাহর শপথ! যে আমার ইসলাম গ্রহণের সময় এক কাফির ব্যক্তির পৃষ্ঠদেশে অন্তৰ্হিত ছিল। এ কথা দ্বারা তিনি যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ)-এর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।

তাই আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) বলেনঃ হে ইরাকবাসী! তোমাদের নিকট রক্ষিত কুরআনের লিপিবদ্ধ সংকলন লুকিয়ে রাখ এবং তালাবদ্ধ করে রাখ। কারণ আল্লাহ তা’আলা বলেন, (অনুবাদ) “এবং কেউ অন্যায়ভাবে কিছু আত্মসাৎ করলে, যা সে অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করেছে কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে উপস্থিত হবে”— (সূরা আল-ইমরান ১৬১)। অতএব তোমরা তোমাদের সংকলনগুলোসহ আল্লাহ তা’আলার সাথে মিলিত হবে।

যুহরী (রাহঃ) বলেন, আমি জেনেছি যে, ইবনু মাসউদ (রাযিঃ)-এর এ উক্তিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বহু প্রবীণ সাহাবী অপছন্দ করেছেন।

সহীহঃ বুখারী (৪৯৮৭, ৪৯৮৮) সহীহ মাকতু’।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এটি যুহরীর রিওয়ায়াত। আমরা এই হাদীস শুধু তার সূত্রেই জেনেছি।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ حُذَيْفَةَ، قَدِمَ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَكَانَ يُغَازِي أَهْلَ الشَّامِ فِي فَتْحِ أَرْمِينِيَّةَ وَأَذْرَبِيجَانَ مَعَ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَرَأَى حُذَيْفَةُ اخْتِلاَفَهُمْ فِي الْقُرْآنِ فَقَالَ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَدْرِكْ هَذِهِ الأُمَّةَ قَبْلَ أَنْ يَخْتَلِفُوا فِي الْكِتَابِ كَمَا اخْتَلَفَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى فَأَرْسَلَ إِلَى حَفْصَةَ أَنْ أَرْسِلِي إِلَيْنَا بِالصُّحُفِ نَنْسَخُهَا فِي الْمَصَاحِفِ ثُمَّ نَرُدُّهَا إِلَيْكِ فَأَرْسَلَتْ حَفْصَةُ إِلَى عُثْمَانَ بِالصُّحُفِ فَأَرْسَلَ عُثْمَانُ إِلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَسَعِيدِ بْنِ الْعَاصِي وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنِ انْسَخُوا الصُّحُفَ فِي الْمَصَاحِفِ وَقَالَ لِلرَّهْطِ الْقُرَشِيِّينَ الثَّلاَثَةِ مَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ أَنْتُمْ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَاكْتُبُوهُ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ فَإِنَّمَا نَزَلَ بِلِسَانِهِمْ ‏.‏ حَتَّى نَسَخُوا الصُّحُفَ فِي الْمَصَاحِفِ بَعَثَ عُثْمَانُ إِلَى كُلِّ أُفُقٍ بِمُصْحَفٍ مِنْ تِلْكَ الْمَصَاحِفِ الَّتِي نَسَخُوا ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَحَدَّثَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ قَالَ فَقَدْتُ آيَةً مِنْ سُورَةِ الأَحْزَابِ كُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَؤُهَا ‏:‏ ‏(‏ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ ‏)‏ فَالْتَمَسْتُهَا فَوَجَدْتُهَا مَعَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ أَوْ أَبِي خُزَيْمَةَ فَأَلْحَقْتُهَا فِي سُورَتِهَا ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ فَاخْتَلَفُوا يَوْمَئِذٍ فِي التَّابُوتِ وَالتَّابُوهِ فَقَالَ الْقُرَشِيُّونَ التَّابُوتُ ‏.‏ وَقَالَ زَيْدٌ التَّابُوهُ ‏.‏ فَرُفِعَ اخْتِلاَفُهُمْ إِلَى عُثْمَانَ فَقَالَ اكْتُبُوهُ التَّابُوتُ فَإِنَّهُ نَزَلَ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ فَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ كَرِهَ لِزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ نَسْخَ الْمَصَاحِفِ وَقَالَ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ أُعْزَلُ عَنْ نَسْخِ كِتَابَةِ الْمُصْحَفِ وَيَتَوَلاَّهَا رَجُلٌ وَاللَّهِ لَقَدْ أَسْلَمْتُ وَإِنَّهُ لَفِي صُلْبِ رَجُلٍ كَافِرٍ يُرِيدُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ وَلِذَلِكَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ اكْتُمُوا الْمَصَاحِفَ الَّتِي عِنْدَكُمْ وَغُلُّوهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ ‏:‏ ‏(‏ وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏)‏ فَالْقُوا اللَّهَ بِالْمَصَاحِفِ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ فَبَلَغَنِي أَنَّ ذَلِكَ كَرِهَهُ مِنْ مَقَالَةِ ابْنِ مَسْعُودٍ رِجَالٌ مِنْ أَفَاضِلِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ حَدِيثُ الزُّهْرِيِّ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، حدثنا ابراهيم بن سعد، عن الزهري، عن انس، ان حذيفة، قدم على عثمان بن عفان وكان يغازي اهل الشام في فتح ارمينية واذربيجان مع اهل العراق فراى حذيفة اختلافهم في القران فقال لعثمان بن عفان يا امير المومنين ادرك هذه الامة قبل ان يختلفوا في الكتاب كما اختلفت اليهود والنصارى فارسل الى حفصة ان ارسلي الينا بالصحف ننسخها في المصاحف ثم نردها اليك فارسلت حفصة الى عثمان بالصحف فارسل عثمان الى زيد بن ثابت وسعيد بن العاصي وعبد الرحمن بن الحارث بن هشام وعبد الله بن الزبير ان انسخوا الصحف في المصاحف وقال للرهط القرشيين الثلاثة ما اختلفتم فيه انتم وزيد بن ثابت فاكتبوه بلسان قريش فانما نزل بلسانهم ‏.‏ حتى نسخوا الصحف في المصاحف بعث عثمان الى كل افق بمصحف من تلك المصاحف التي نسخوا ‏.‏ قال الزهري وحدثني خارجة بن زيد بن ثابت ان زيد بن ثابت قال فقدت اية من سورة الاحزاب كنت اسمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقروها ‏:‏ ‏(‏ من المومنين رجال صدقوا ما عاهدوا الله عليه فمنهم من قضى نحبه ‏)‏ فالتمستها فوجدتها مع خزيمة بن ثابت او ابي خزيمة فالحقتها في سورتها ‏.‏ قال الزهري فاختلفوا يومىذ في التابوت والتابوه فقال القرشيون التابوت ‏.‏ وقال زيد التابوه ‏.‏ فرفع اختلافهم الى عثمان فقال اكتبوه التابوت فانه نزل بلسان قريش ‏.‏ قال الزهري فاخبرني عبيد الله بن عبد الله بن عتبة ان عبد الله بن مسعود كره لزيد بن ثابت نسخ المصاحف وقال يا معشر المسلمين اعزل عن نسخ كتابة المصحف ويتولاها رجل والله لقد اسلمت وانه لفي صلب رجل كافر يريد زيد بن ثابت ولذلك قال عبد الله بن مسعود يا اهل العراق اكتموا المصاحف التي عندكم وغلوها فان الله يقول ‏:‏ ‏(‏ ومن يغلل يات بما غل يوم القيامة ‏)‏ فالقوا الله بالمصاحف ‏.‏ قال الزهري فبلغني ان ذلك كرهه من مقالة ابن مسعود رجال من افاضل اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وهو حديث الزهري لا نعرفه الا من حديثه ‏.‏


Narrated Az-Zuhri:
from Anas who said: "Hudhaifah bin Al-Yaman came to 'Uthman, at the time when the people of Ash-Sham and the people of Al-'Iraq were waging war to conquer Arminiyah and Adharbijan. Hudhaifah saw their (the people of Ash-Sham and Al-'Iraq) different forms of recitation of the Qur'an. So he said to 'Uthman: 'O Commander of the Believers! Save this nation before they differ about the Book as the Jews and the Christians did before them.' So he ('Uthman) sent a message to Hafsah (saying): 'Send us the manuscripts so that we may copy them in the Musahif (plural of Mushaf: a written copy of the Qur'an) then we shall return it to you.' So Hafsah sent the manuscripts to 'Uthman bin 'Affan. 'Uthman then sent order for Zaid bin Thabit, Sa'eed bin Al-'As, 'Abdur-Rahman bin Al-Harith bin Hisham, and 'Abdullah bin Az-Zubair to copy the manuscripts in the Musahif. 'Uthman said to the three Quraish men: 'In case you disagree with Zaid bin Thabit on any point in the (recitation dialect of the) Qur'an, then write it in the dialect of Quraish for it was in their tongue.' So when they had copied the manuscripts, 'Uthman sent one Mushaf from those Musahif that they had copied to every province." Az-Zuhri said: "Kharijah bin Zaid [bin Thabit] narrated to me that Zaid bin Thabit said: 'I missed an Ayah of Surat Al-Ahzab that I heard the Messenger of Allah (ﷺ) reciting: Among the believers are men who have been true to their covenant with Allah, of them some have fulfilled their obligations, and some of them are still waiting (33:23) - so I searched for it and found it with Khuzaimah bin Thabit, or Abu Khuzaimah, so I put it in its Surah.'" Az-Zuhri said: "They differed then with At-Tabut and At-Tabuh. The Quraish said: At-Tabut while Zaid said: At-Tabuh. Their disagreement was brought to 'Uthman, so he said: 'Write it as At-Tabut, for it was revealed in the tongue of the Quraish.'" Az-Zuhri said: "'Ubaidullah bin 'Abdullah bin 'Utbah informed me that 'Abdullah bin Mas'ud disliked Zaid bin Thabit copying the Musahif, and he said: 'O you Muslims people! Avoid copying the Mushaf and the recitation of this man. By Allah! When I accepted Islam he was but in the loins of a disbelieving man' - meaning Zaid bin Thabit - and it was regarding this that 'Abdullah bin Mas'ud said: 'O people of Al-'Iraq! Keep the Musahif that are with you, and conceal them. For indeed Allah said: And whoever conceals something, he shall come with what he concealed on the Day of Judgement (3:161). So meet Allah with the Musahif.'" Az-Zuhri said: "It was conveyed to me that some men amongst the most virtuous of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) disliked that view of Ibn Mas'ud."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে