পরিচ্ছেদঃ ৪৪/১৫. ফাতিমা বিনতু নাবী (ﷺ)-এর মর্যাদা।

১৫৯১, ’আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, যখন তারা ইয়াযীদ ইবনু মুআবিয়াহ’র নিকট হতে হুসাইন (রাঃ)-এর শাহাদাতের পর মদীনায় আসলেন, তখন তাঁর সঙ্গে মিসওয়ার ইবনু মাখামাহ (রাঃ) মিলিত হলেন এবং বললেন, আপনার কি আমার নিকট কোন প্রয়োজন আছে? থাকলে বলুন। তখন আমি তাকে বললাম, না। তখন মিসওয়ার আগে বললেন, আপনি কি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরবারীটি দিবেন? আমার আশঙ্কা হয়, লোকরা আপনাকে কাবু করে তা ছিনিয়ে নিবে। আল্লাহর কসম! আপনি যদি আমাকে এটি দেন, তবে আমার জীবন থাকা অবধি কেউ আমার নিকট নিকট হতে তা নিতে পারবে না।

একবার ’আলী ইবনু আবু তালিব (রাঃ) ফাতিমাহ (রাঃ) থাকা অবস্থায় আবু জাহল কন্যাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন। আমি তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর মিম্বারে দাঁড়িয়ে লোকদের এ খুতবা দিতে শুনেছি, আর তখন আমি সাবালক। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’ফাতিমা আমার হতেই। আমি আশঙ্কা করছি সে দীনের ব্যাপারে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে পড়ে। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানূ আবদে শামস গোত্রের এক জামাতার ব্যাপারে আলোচনা করেন। তিনি তাঁর জামাতা সম্পর্কে প্রশংসা করেন এবং বলেন, সে আমার সঙ্গে যা বলেছে, তা সত্য বলেছে, আমার সঙ্গে যে ওয়াদা করেছে, তা পূরণ করেছে। আমি হালালকে হারামকারী নই এবং হারামকে হালালকারী নই। কিন্তু আল্লাহর কসম! আল্লাহর রসূলের মেয়ে এবং আল্লাহর দুশমনের মেয়ে একত্র হতে পারে না।

فاطمة بنت النبيّ عليها الصلاة والسلام

حديث الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ حُسَيْنٍ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ، مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، مَقْتَلَ حُسَيْنِ بْنِ عَلَيٍّ، رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ، لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ، فَقَالَ لَهُ: هَلْ لَكَ إِلَيَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِي بِهَا فَقُلْتُ لَهُ: لاَ فَقَالَ لَهُ: هَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ وَايْمُ اللهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيهِ، لاَ يُخْلَصُ إِلَيْهِمْ أَبدًا حَتَّى تُبْلَغَ نَفْسِي إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ خَطَبَ ابْنَةَ أَبِي جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَخْطُبُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ، عَلَى مِنْبَرِهِ هذَا، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ: إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّي، وَأَنَا أَخَافُ أَنْ تُفْتَنَ فِي دِينِهَا ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ، قَالَ: حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي، وَوَعَدَنِي فَوَفَى لِي، وَإِنِّي لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلاَلاً، وَلاَ أُحِلُّ حَرَامًا، وَلكِنْ، وَاللهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبِنْتُ عَدُوِّ اللهِ أَبَدًا

حديث المسور بن مخرمة عن ابن شهاب، ان علي بن حسين حدثه انهم حين قدموا المدينة، من عند يزيد بن معاوية، مقتل حسين بن علي، رحمة الله عليه، لقيه المسور بن مخرمة، فقال له: هل لك الي من حاجة تامرني بها فقلت له: لا فقال له: هل انت معطي سيف رسول الله صلى الله عليه وسلم، فاني اخاف ان يغلبك القوم عليه وايم الله لىن اعطيتنيه، لا يخلص اليهم ابدا حتى تبلغ نفسي ان علي بن ابي طالب خطب ابنة ابي جهل على فاطمة عليها السلام فسمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم، يخطب الناس في ذلك، على منبره هذا، وانا يومىذ محتلم فقال: ان فاطمة مني، وانا اخاف ان تفتن في دينها ثم ذكر صهرا له من بني عبد شمس، فاثنى عليه في مصاهرته اياه، قال: حدثني فصدقني، ووعدني فوفى لي، واني لست احرم حلالا، ولا احل حراما، ولكن، والله لا تجتمع بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم، وبنت عدو الله ابدا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/১৫. ফাতিমা বিনতু নাবী (ﷺ)-এর মর্যাদা।

১৫৯২. মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু জেহেলের কন্যাকে ’আলী (রাঃ) বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে পাঠালেন। ফাতিমাহ (রাঃ) এ খবর শুনতে পেয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে বললেন, আপনার গোত্রের লোকজন মনে করে যে, আপনি আপনার মেয়েদের সম্মানে রাগান্বিত হন না। ’আলী (রাঃ) আবূ জেহেলের কন্যাকে বিবাহ করতে প্রস্তুত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিতে প্রস্তুত হলেন। (মিওয়ার বলেন) তিনি যখন হামদ ও সানা পাঠ করেন, তখন আমি তাকে বলতে শুনেছি যে, আমি আবূল আস ইবনু রাবির নিকট আমার মেয়েকে শাদী দিয়েছিলোম। সে আমার সঙ্গে যা বলেছে সত্যই বলেছে। আর ফাতিমাহ আমার টুকরা; তাঁর কোন কষ্ট হোক তা আমি কখনও পছন্দ করি না। আল্লাহর কসম, আল্লাহর রসূলের মেয়ে এবং আল্লাহর দুশমনের মেয়ে একই লোকের নিকট একত্রিত হতে পারে না। ’আলী (রাঃ) তাঁর বিবাহের প্রস্তাব উঠিয়ে নিলেন।

فاطمة بنت النبيّ عليها الصلاة والسلام

حديث الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ: إِنَّ عَلِيًّا خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ، فَسَمِعَتْ بِذَلِكَ فَاطِمَةُ، فَأَتَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَزْعُمُ قَوْمُكَ أَنَّكَ لاَ تَغْضَبُ لِبَنَاتِكَ، وَهذَا عَلِيٌّ نَاكِحٌ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَمِعْتُهُ حِينَ تَشَهَّدَ يَقُولُ: أَمَّا بَعْدُ، أَنْكَحْتُ أَبَا الْعَاصِ بْنَ الرَّبِيعِ، فَحدَّثَنِي وَصَدَقَنِي، وَإِنَّ فَاطِمَةَ بَضْعَةٌ مِنِّي، وَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ يَسُوءَهَا وَاللهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللهِ، عِنْدَ رَجُلٍ وَاحِدٍ فَتَرَكَ عَلِيٌّ الْخِطْبَةَ

حديث المسور بن مخرمة، قال: ان عليا خطب بنت ابي جهل، فسمعت بذلك فاطمة، فاتت رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقالت: يزعم قومك انك لا تغضب لبناتك، وهذا علي ناكح بنت ابي جهل فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم، فسمعته حين تشهد يقول: اما بعد، انكحت ابا العاص بن الربيع، فحدثني وصدقني، وان فاطمة بضعة مني، واني اكره ان يسوءها والله لا تجتمع بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم وبنت عدو الله، عند رجل واحد فترك علي الخطبة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/১৫. ফাতিমা বিনতু নাবী (ﷺ)-এর মর্যাদা।

১৫৯৩. উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, একবার আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সব স্ত্রী তাঁর নিকট জমায়েত হয়েছিলাম। আমাদের একজনও অনুপস্থিত ছিলাম না। এমন সময় ফাতিমাহ (রাঃ) পায়ে হেঁটে আসছিলেন। আল্লাহর কসম! তার হাঁটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাঁটার মতই ছিল। তিনি যখন তাঁকে দেখলেন, তখন তিনি আমার মেয়ের আগমন শুভ হোক বলে তাঁকে সম্বর্ধনা জানালেন। এরপর তিনি তাঁকে নিজের ডান পাশে অথবা (রাবী বলেন) বাম পাশে বসালেন। তারপর তিনি তার সঙ্গে কানে-কানে কিছু কথা বললেন, তিনি (ফাতেমাহ) খুব অধিক কাঁদতে লাগলেন। এরপর তাঁকে চিন্তিত দেখে দ্বিতীয়বার তাঁর সঙ্গে তিনি কানে-কানে আরও কিছু কথা বললেন। তখন ফাতেমাহ (রাঃ) হাসতে লাগলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মধ্য থেকে আমি বললামঃ আমাদের উপস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ করে আপনার সঙ্গে বিশেষ কী গোপনীয় কথা কানেকানে বললেন, যার ফলে আপনি খুব কাঁদছিলেন? এরপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে চলে গেলেন, তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম যে, তিনি আপনাকে কানে-কানে কী বলেছিলেন?

তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভেদ (গোপনীয় কথা) ফাঁস করবো না। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যু হল। তখন আমি তাঁকে বললাম। আপনার উপর আমার যে দাবী আছে, আপনাকে আমি তার কসম দিয়ে বলছি যে, আপনি কি গোপনীয় কথাটি আমাকে জানাবেন না? তখন ফাতিমাহ (রাঃ) বললেন হ্যাঁ, এখন আপনাকে জানাবো। সুতরাং তিনি আমাকে জানাতে গিয়ে বললেনঃ প্রথমবার তিনি আমার নিকট যে গোপন কথা বলেন, তা হলো এই যে, তিনি আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, জিবরীল (আঃ) প্রতি বছর এসে পূর্ণ কুরআন একবার আমার নিকট পেশ করতেন। কিন্তু এ বছর তিনি এসে তা আমার কাছে দু বার পেশ করেছেন। এতে আমি ধারণা করছি যে, আমার চির বিদায়ের সময় সন্নিকট। সুতরাং তুমি আল্লাহকে ভয় করে চলবে এবং বিপদে ধৈর্যধারণ করবে। নিশ্চয়ই আমি তোমার জন্য উত্তম অগ্রগমনকারী। তখন আমি কাঁদলাম যা নিজেই দেখলেন। তারপর যখন আমাকে চিন্তিত দেখলেন, তখন দ্বিতীয়বার আমাকে কানে-কানে বললেনঃ তুমি জান্নাতের মুসলিম মহিলাদের অথবা এ উম্মাতের মহিলাদের নেত্রী হওয়াতে সন্তুষ্ট হবে না? (আমি তখন হাসলাম)।

فاطمة بنت النبيّ عليها الصلاة والسلام

حديث عَائِشَةَ، وَفَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ عَنْ عَائِشَةَ، أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ: إِنَّا كُنَّا، أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عِنْدَهُ جَمِيعًا لَمْ تُغَادَرْ مِنَّا وَاحِدَةٌ فَأَقْبَلَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلاَمُ تَمْشِي، لاَ، وَاللهِ مَا تَخْفَى مِشْيَتُهَا مِنْ مَشْيَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا رَآهَا رَحَّبَ قَالَ: مَرْحَبًا بِابْنَتِي، ثُمَّ أَجْلَسَهَا عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ سَارَّهَا فَبَكَتْ بُكَاءً شَدِيدًا فَلَمَّا رَأَى حُزْنَهَا سَارَّهَا الثَّانِيَةَ، فَإِذَا هِيَ تَضْحَكُ فَقُلْتُ لَهَا، أَنَا مِنْ بَيْنَ نِسَائِهِ: خَصَّكِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِالسِّرِّ مِنْ بَيْنِنَا، ثُمَّ أَنْتِ تَبْكِينَ فَلَمَّا قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَأَلْتُهَا: عَمَّا سَارَّكِ قَالَتْ: مَا كُنْتُ لأُفْشِيَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِرَّهُ فَلَمَّا تُوُفِيَ قُلْتَ لَهَا: عَزَمْتُ عَلَيْكِ، بَمَا لِي عَلَيْكِ مَنَ الْحَقِّ، لَمَّا أَخْبَرْتِنِي قَالَتْ: أَمَّا الآنَ، فَنَعَمْ فَأَخْبَرَتْنِي، قَالَتْ: أَمَّا حِينَ سَارَّنِي فِي الأَمْرِ الأَوَّلِ، فَإِنَّهُ أَخْبَرَنِي: أَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ بِالْقُرْآنِ كُلَّ سَنَةٍ مَرَّةً، وَإِنَّهُ قَدْ عَارَضَنِي بِهِ، الْعَامَ، مَرَّتَيْنِ، وَلاَ أَرَى الأَجَلَ إِلاَّ قَدِ اقْتَرَبَ، فَاتَّقِي اللهَ وَاصْبِرِي، فَإِنِّي نِعْمَ السَّلَفُ أَنَا لَكِ قَالَتْ: فَبَكَيْتُ بُكَائِي الَّذِي رَأَيْتِ فَلَمَّا رَأَى جَزَعِي سَارَّنِي الثَّانِيَةَ، قَالَ: يَا فَاطِمَةُ أَلاَ تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ، أَوْ سَيِّدَةَ نِسَاءِ هذِهِ الأُمَّةِ

حديث عاىشة، وفاطمة عليها السلام عن عاىشة، ام المومنين قالت: انا كنا، ازواج النبي صلى الله عليه وسلم، عنده جميعا لم تغادر منا واحدة فاقبلت فاطمة عليها السلام تمشي، لا، والله ما تخفى مشيتها من مشية رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما راها رحب قال: مرحبا بابنتي، ثم اجلسها عن يمينه او عن شماله ثم سارها فبكت بكاء شديدا فلما راى حزنها سارها الثانية، فاذا هي تضحك فقلت لها، انا من بين نساىه: خصك رسول الله صلى الله عليه وسلم، بالسر من بيننا، ثم انت تبكين فلما قام رسول الله صلى الله عليه وسلم، سالتها: عما سارك قالت: ما كنت لافشي على رسول الله صلى الله عليه وسلم سره فلما توفي قلت لها: عزمت عليك، بما لي عليك من الحق، لما اخبرتني قالت: اما الان، فنعم فاخبرتني، قالت: اما حين سارني في الامر الاول، فانه اخبرني: ان جبريل كان يعارضه بالقران كل سنة مرة، وانه قد عارضني به، العام، مرتين، ولا ارى الاجل الا قد اقترب، فاتقي الله واصبري، فاني نعم السلف انا لك قالت: فبكيت بكاىي الذي رايت فلما راى جزعي سارني الثانية، قال: يا فاطمة الا ترضين ان تكوني سيدة نساء المومنين، او سيدة نساء هذه الامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে