পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮৫. মদীনার মর্যাদা, সেখানকার মাল সম্পদে বারাকাতের জন্য নবী (ﷺ) এর দু'আ, সে স্থান হারাম হওয়া, সেখানে শিকার করা, বৃক্ষ কর্তন করা নিষিদ্ধ এবং এর হারামের সীমারেখা।

৮৬৩. আব্দুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইবরাহীম (আঃ) মক্কাহকে হারাম ঘোষণা করেছেন ও তার জন্য দুআ করেছেন। আমি মদীনাকে হারাম ঘোষণা করেছি, যেমন ইবরাহীম (আঃ) মক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন এবং আমি মদীনার মুদ ও সা’ এর জন্য দু’আ করেছি; যেমন ইবরাহীম (আঃ) মক্কার জন্য দু’আ করেছিলেন।

فضل المدينة ودعاء النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فيها بالبركة وبيان تحريمها وتحريم صيدها وشجرها وبيان حدود حرمها

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ وَدَعَا لَهَا وَحَرَّمْتُ الْمَدِينَةَ كَمَا حَرَّمَ إِبْرَاهِيمُ مَكَّةَ وَدَعَوْتُ لَهَا، فِي مُدِّهَا وَصَاعِهَا، مِثْلَ مَا دَعَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ لِمَكَّةَ

حديث عبد الله بن زيد رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم: ان ابراهيم حرم مكة ودعا لها وحرمت المدينة كما حرم ابراهيم مكة ودعوت لها، في مدها وصاعها، مثل ما دعا ابراهيم عليه السلام لمكة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)

পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮৫. মদীনার মর্যাদা, সেখানকার মাল সম্পদে বারাকাতের জন্য নবী (ﷺ) এর দু'আ, সে স্থান হারাম হওয়া, সেখানে শিকার করা, বৃক্ষ কর্তন করা নিষিদ্ধ এবং এর হারামের সীমারেখা।

৮৬৪. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ ত্বলহাকে বলেন, আমাদের ছেলেদের মধ্য থেকে একটি ছেলে খুঁজে আন, যে আমার খেদমত করতে পারে। এমনকি তাকে আমি খায়বারেও নিয়ে যেতে পারি। অতঃপর আর তুলহা (রাঃ) আমাকে তার সওয়ারীর পেছনে বসিয়ে নিয়ে চললেন। আমি তখন প্রায় সাবালক। আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমত করতে লাগলাম। তিনি যখন অবতরণ করতেন, তখন প্রায়ই তাকে এই দুআ পড়তে শুনতামঃ ’হে আল্লাহ! আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার নিকট পানাহ চাচ্ছি। পরে আমরা খায়বারে গিয়ে হাজির হলাম। অতঃপর যখন আল্লাহ তা’আলা তাঁকে দুর্গের উপর বিজয়ী করলেন, তখন তাঁর নিকট সাফিয়্যাহ বিনতু হুয়াই ইবনু আখতাবের সৌন্দর্যের কথা উল্লেখ করা হলো, তিনি ছিলেন সদ্য বিবাহিতা; তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে নিজের জন্য মনোনীত করলেন।

অতঃপর তাঁকে নিয়ে রওয়ানা দিলেন। আমরা যখন সাদ্দুস সাইবা নামক স্থানে পৌছলাম তখন সফিয়্যাহ (রাঃ) হায়েয থেকে পবিত্র হন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে তাঁর সঙ্গে বাসর যাপন করেন। অতঃপর তিনি চামড়ার ছোট দস্তরখানে ’হায়সা’ প্রস্তুত করে আমাকে আশেপাশের লোকজনকে ডাকার নির্দেশ দিলেন। এই ছিল আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সাফিয়্যার বিয়ের ওয়ালিমাহ। অতঃপর আমরা মদীনাহর দিকে রওয়ানা দিলাম। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি দেখতে পেলাম যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পেছনে চাদর দিয়ে সফিয়্যাহকে পর্দা করছেন। উঠানামার প্রয়োজন হলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উটের কাছে হাঁটু বাড়িয়ে বসতেন, আর সাফিয়্যাহ (রাঃ) তার উপর পা রেখে উটে আরোহণ করতেন। এভাবে আমরা মদীনাহর নিকটবর্তী হলাম। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের দিকে তাকিয়ে বললেন, এটি এমন এক পর্বত যা আমাদের ভালবাসে এবং আমরাও তাকে ভালবাসি। অতঃপর মদীনার দিকে তাকিয়ে বললেন, ’হে আল্লাহ, এই কঙ্করময় দুটি ময়দানের মধ্যবর্তী স্থানকে আমি ’হারাম বলে ঘোষণা করছি, যেমন ইব্রাহীম (আঃ) মক্কাহকে হারাম ঘোষণা করেছিলেন। হে আল্লাহ্! আপনি তাদের মুদ এবং সা’তে বরকত দান করুন।

فضل المدينة ودعاء النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فيها بالبركة وبيان تحريمها وتحريم صيدها وشجرها وبيان حدود حرمها

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لأبِي طَلْحَةَ الْتَمِسْ غُلاَمًا مِنْ غِلْمَانِكُمْ يَخْدُمُنِي فَخَرَجَ أَبُو طَلْحَةَ يُرْدِفنِي وَرَاءَهُ، فَكُنْتُ أَخْدُمُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلَّمَا نَزَلَ، فَكُنْتُ أَسْمَعُهُ يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ: اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ فَلَمْ أَزَلْ أَخْدُمُهُ حَتَّى أَقْبَلْنَا مِنْ خَيْبَرَ، وَأَقْبَلَ بِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ، قَدْ حَازَهَا، فَكُنْتُ أَرَاهُ يُحَوِّى وَرَاءَهُ بِعَبَاءَةٍ أَوْ بِكِسَاءٍ، ثُمَّ يُرْدِفُهَا وَرَاءَهُ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالصَّهْبَاءِ صَنَعَ حَيْسًا فِي نِطَعٍ، ثُمَّ أَرْسَلَنِي، فَدَعَوْتُ رِجَالاً فَأَكَلُوا، وَكَانَ ذَلِكَ بِنَاءَهُ بِهَا ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا بَدَا لَهُ أُحُدٌ؛ قَالَ: هذَا جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ، قَالَ: اللهُمَّ إِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ جَبَلَيْهَا مِثْلَ مَا حَرَّمَ بِهِ إِبْرَاهِيمُ مَكَّةَ، اللهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مُدِّهِمْ وَصَاعِهِمْ

حديث انس بن مالك، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لابي طلحة التمس غلاما من غلمانكم يخدمني فخرج ابو طلحة يردفني وراءه، فكنت اخدم رسول الله صلى الله عليه وسلم كلما نزل، فكنت اسمعه يكثر ان يقول: اللهم اني اعوذ بك من الهم والحزن، والعجز والكسل، والبخل والجبن، وضلع الدين وغلبة الرجال فلم ازل اخدمه حتى اقبلنا من خيبر، واقبل بصفية بنت حيي، قد حازها، فكنت اراه يحوى وراءه بعباءة او بكساء، ثم يردفها وراءه، حتى اذا كنا بالصهباء صنع حيسا في نطع، ثم ارسلني، فدعوت رجالا فاكلوا، وكان ذلك بناءه بها ثم اقبل حتى اذا بدا له احد؛ قال: هذا جبل يحبنا ونحبه فلما اشرف على المدينة، قال: اللهم اني احرم ما بين جبليها مثل ما حرم به ابراهيم مكة، اللهم بارك لهم في مدهم وصاعهم

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)

পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮৫. মদীনার মর্যাদা, সেখানকার মাল সম্পদে বারাকাতের জন্য নবী (ﷺ) এর দু'আ, সে স্থান হারাম হওয়া, সেখানে শিকার করা, বৃক্ষ কর্তন করা নিষিদ্ধ এবং এর হারামের সীমারেখা।

৮৬৫. ’আসিম (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি মদীনাকে হারাম (সংরক্ষিত এলাকা) হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ, অমুক স্থান থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত। এ এলাকার কোন গাছ কাটা যাবে না, আর যে ব্যক্তি এখানে বিদ্আত সৃষ্টি করবে তার উপর আল্লাহ্ তা’আলা, ফেরেশতা ও সকল মানব সম্প্রদায়ের লানাত। আসিম বলেন, আমাকে মূসা ইবনু আনাস বলেছেন, বর্ণনাকারী (أَوْ آوَى مُحْدِثًا) কিংবা বিদ্আত সৃষ্টিকারীকে আশ্রয় দেয় বলেছেন।

فضل المدينة ودعاء النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فيها بالبركة وبيان تحريمها وتحريم صيدها وشجرها وبيان حدود حرمها

حديث أَنَسٍ عَنْ عَاصِمٍ، قَالَ: قُلْتُ َلأنَسٍ أَحَرَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ قَالَ: نَعَمْ مَا بَيْنَ كَذَا إِلَى كَذَا، لاَ يُقْطَعُ شَجَرُهَا، مَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِين
قَالَ عَاصِمٌ: فَأَخْبَرَنِي مُوسى بْنُ أَنَسٍ أَنَّهُ قَالَ، أَوْ آوَى مُحْدِثًا

حديث انس عن عاصم، قال: قلت لانس احرم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة قال: نعم ما بين كذا الى كذا، لا يقطع شجرها، من احدث فيها حدثا فعليه لعنة الله والملاىكة والناس اجمعين قال عاصم: فاخبرني موسى بن انس انه قال، او اوى محدثا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসিম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)

পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮৫. মদীনার মর্যাদা, সেখানকার মাল সম্পদে বারাকাতের জন্য নবী (ﷺ) এর দু'আ, সে স্থান হারাম হওয়া, সেখানে শিকার করা, বৃক্ষ কর্তন করা নিষিদ্ধ এবং এর হারামের সীমারেখা।

৮৬৬. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইয়া আল্লাহ! আপনি তাদের মাপের পাত্রে বরকত দিন এবং তাদের সা’ ও মুদ-এ বরকত দিন অর্থাৎ মদীনাবাসীদের।

فضل المدينة ودعاء النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فيها بالبركة وبيان تحريمها وتحريم صيدها وشجرها وبيان حدود حرمها

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: اللهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مِكْيَالِهِمْ، وَبَارِكْ لَهُمْ فِي صَاعِهِمْ وَمُدِّهِمْ يَعْنِي أَهْلَ الْمَدِينَةِ

حديث انس بن مالك رضي الله عنه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: اللهم بارك لهم في مكيالهم، وبارك لهم في صاعهم ومدهم يعني اهل المدينة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)

পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮৫. মদীনার মর্যাদা, সেখানকার মাল সম্পদে বারাকাতের জন্য নবী (ﷺ) এর দু'আ, সে স্থান হারাম হওয়া, সেখানে শিকার করা, বৃক্ষ কর্তন করা নিষিদ্ধ এবং এর হারামের সীমারেখা।

৮৬৭. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আল্লাহ! মক্কাতে তুমি যে বরকত দান করেছ, মদীনাতে এর দ্বিগুণ বরকত দাও।

فضل المدينة ودعاء النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فيها بالبركة وبيان تحريمها وتحريم صيدها وشجرها وبيان حدود حرمها

حديث أَنَسٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: اللهُمَّ اجْعَلْ بِالْمَدِينَةِ ضِعْفَيْ مَا جَعَلْتَ بِمَكَّةَ مِنَ الْبَرَكَةِ

حديث انس رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: اللهم اجعل بالمدينة ضعفي ما جعلت بمكة من البركة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)

পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮৫. মদীনার মর্যাদা, সেখানকার মাল সম্পদে বারাকাতের জন্য নবী (ﷺ) এর দু'আ, সে স্থান হারাম হওয়া, সেখানে শিকার করা, বৃক্ষ কর্তন করা নিষিদ্ধ এবং এর হারামের সীমারেখা।

৮৬৮. একবার ’আলী (রাঃ) পাকা ইটে নির্মিত একটি মিম্বরে আরোহণ করে আমাদের উদ্দেশে খুতবা পাঠ করলেন। তাঁর সঙ্গে একটি তরবারী ছিল, যার মাঝে একটি সহীফা ঝুলন্ত ছিল। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমাদের নিকট আল্লাহর কিতাব এবং যা এই সহীফাতে লিপিবদ্ধ আছে এ ব্যতীত অন্য এমন কোন কিতাব নেই যা পাঠ করা যেতে পারে। অতঃপর তিনি তা খুললেন। তাতে উটের বয়স সম্পর্কে লেখা ছিল এবং লেখা ছিল যে, ’আয়র’ (পর্বত) থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত মদীনাহ হারাম (পবিত্র এলাকা) বলে বিবেচিত হবে।

যে কেউ এখানে কোন অন্যায় করবে তার উপর আল্লাহ্, ফেরেশতাকুল ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ্ তা’আলা তার ফারয ও নফল কোন ইবাদাতই কবূল করবেন না এবং তাতে আরও ছিল যে, এখানকার সকল মুসলিমের নিরাপত্তা একই পর্যায়ের একজন নিম্ন পর্যায়ের ব্যক্তিও (অন্য কাউকে) নিরাপত্তা প্রদান করতে পারবে।

যদি কোন ব্যক্তি অপর একজন মুসলিমের প্রদত্ত নিরাপত্তাকে লংঘন করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশতাকুলের ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের লানাত (অভিসত)। আল্লাহ্ তা’আলা তার ফারয ও নফল কোন ইবাদাতই কবূল করবেন না। তাতে আরও ছিল, যদি কোন ব্যক্তি তার (আযাদকারী) মনিবের অনুমতি ব্যতীত অন্য কাউকে নিজের (গোলাম থাকাকালীন সময়ের) মনিব বলে উল্লেখ করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশতাকুলের ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ্ তা’আলা তার ফারয, নফল কোন ইবাদাতই গ্রহণ করবেন না।

فضل المدينة ودعاء النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فيها بالبركة وبيان تحريمها وتحريم صيدها وشجرها وبيان حدود حرمها

حديث عَلِيٍّ رضي الله عنه خَطَبَ عَلَى مِنْبَرٍ مِنْ آجُرٍّ وَعَلَيْهِ سَيْفٌ فِيهِ صَحِيفَةٌ مُعَلَّقَةٌ، فَقَالَ: وَاللهِ مَا عِنْدَنَا مِنْ كِتَابٍ يُقْرَأُ إِلاَّ كِتَابُ اللهِ، وَمَا فِي هذِهِ الصَّحِيفَةِ فَنَشَرَهَا فَإِذَا فِيهَا: أَسْنَانُ الإِبِلِ؛ وَإِذَا فِيهَا: الْمَدِينَةُ حَرَمٌ مِنْ عَيْرٍ إِلَى كَذَا، فَمَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً؛ وَإِذَا فِيهِ: ذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ، فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً؛ وَإِذَا فِيهَا: مَنْ وَالَى قَوْمًا بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً

حديث علي رضي الله عنه خطب على منبر من اجر وعليه سيف فيه صحيفة معلقة، فقال: والله ما عندنا من كتاب يقرا الا كتاب الله، وما في هذه الصحيفة فنشرها فاذا فيها: اسنان الابل؛ واذا فيها: المدينة حرم من عير الى كذا، فمن احدث فيها حدثا فعليه لعنة الله والملاىكة والناس اجمعين، لا يقبل الله منه صرفا ولا عدلا؛ واذا فيه: ذمة المسلمين واحدة يسعى بها ادناهم، فمن اخفر مسلما فعليه لعنة الله والملاىكة والناس اجمعين، لا يقبل الله منه صرفا ولا عدلا؛ واذا فيها: من والى قوما بغير اذن مواليه فعليه لعنة الله والملاىكة والناس اجمعين، لا يقبل الله منه صرفا ولا عدلا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)

পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮৫. মদীনার মর্যাদা, সেখানকার মাল সম্পদে বারাকাতের জন্য নবী (ﷺ) এর দু'আ, সে স্থান হারাম হওয়া, সেখানে শিকার করা, বৃক্ষ কর্তন করা নিষিদ্ধ এবং এর হারামের সীমারেখা।

৮৬৯. আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলতেন, আমি যদি মদীনাতে কোন হরিণকে বেড়াতে দেখি তাহলে তাকে আমি তাড়াব না। (কেননা) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মদীনার প্রস্তরময় পাহাড়ের দু’ এলাকার মধ্যবর্তী এলাকা হল হারম বা সম্মানিত স্থান।

فضل المدينة ودعاء النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فيها بالبركة وبيان تحريمها وتحريم صيدها وشجرها وبيان حدود حرمها

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: لَوْ رَأَيْتُ الظِّبَاءَ بِالْمَدِينَةِ تَرْتَعُ مَا ذَعَرْتُهَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا بَيْنَ لابَتَيْهَا حَرَامٌ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، انه كان يقول: لو رايت الظباء بالمدينة ترتع ما ذعرتها قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ما بين لابتيها حرام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে