পরিচ্ছেদঃ ১৫/২৯. যে ব্যক্তি হজ্জের ইহরাম বেঁধে মক্কায় আসল তার জন্য ত্বওয়াফ ও সায়ীতে কী করা অপরিহার্য।

৭৭৫. মুহাম্মদ ইবনু আবদুর রহমান ইবনু নাওফাল কুরাশী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ’উরওয়া ইবনু যুবাইর (রহঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাজ্জ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাজ্জ-এর বিষয়টি ’আয়িশাহ্ (রাঃ) আমাকে এরূপে বর্ণনা দিয়েছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় উপনীত হয়ে সর্বপ্রথম উযূ করে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করেন। তা ’উমরাহ’র তাওয়াফ ছিল না। পরে আবু বাকার (রাঃ) হাজ্জ করেছেন, তিনিও হাজ্জের প্রথম কাজ বাইতুল্লাহর তাওয়াফ দ্বারাই শুরু করতেন, তা ’উমরাহ’র তাওয়াফ ছিল না। তারপর ’উমার (রাঃ)-ও অনুরূপ করতেন। এরপর উসমান (রাঃ) হাজ্জ করেন। আমি তাঁকেও (হাজ্জের কাজ) বাইতুল্লাহর তাওয়াফ দ্বারাই শুরু করতে দেখেছি, তাঁর এই তাওয়াফও উমরাহ’র তাওয়াফ ছিল না।

মু’আবিয়া এবং আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) (অনুরূপ করেন)। এরপর আমি আমার পিতা যুবাইর ইবনু আওয়াম (রাঃ)-এর সঙ্গে হাজ্জ করলাম। তিনি বাইতুল্লাহর তাওয়াফ হতেই শুরু করেন, আর তার এ তাওয়াফ উমরাহ’র তাওয়াফ ছিল না। মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণকে আমি এরূপ করতে দেখেছি। তাদের সে তাওয়াফও উমরাহ’র তাওয়াফ ছিল না। সবশেষে আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-কেও অনুরূপ করতে দেখেছি। তিনিও সে তাওয়াফ ’উমরাহ’র তাওয়াফ হিসেবে করেননি। ইবনু উমর (রাঃ) তো তাঁদের নিকটেই আছেন তার কাছে জেনে নিন না কেন? সাহাবীগণের মধ্যে যারা অতীত হয়ে গেছেন তাঁদের কেউই মসজিদে হারামে প্রবেশ করে বাইতুল্লাহর তাওয়াফ সমাধান করার পূর্বে অন্য কোন কাজ করতেন না এবং তাওয়াফ করে ইহরাম ভঙ্গ করতেন না। আমার মা (আসমা) ও খালা (’আয়িশাহ) (রাঃ)-কে দেখেছি, তাঁরা উভয়ে মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম তাওয়াফ সমাধা করেন, কিন্তু তাওয়াফ করে ইহরাম ভঙ্গ করেননি।

ما يلزم من طاف بالبيت وسعى من البقاء على الإحرام وترك التحلل

حديث عَائِشَةَ وَأَسْمَاءَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمنِ بْنِ نَوْفَلٍ الْقُرَشِيِّ، أَنَّهُ سَأَلَ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ: قَدْ حَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ أَنَّهُ أَوَّلُ شَيْءٍ بَدَأَ بِهِ حِينَ قَدِمَ أَنَّهُ تَوَضَّأَ، ثُمَّ طَافَ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ لَمْ تَكُنْ عُمْرَةً ثُمَّ حَجَّ أَبُو بَكْرٍ رضي الله عنه، فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ بَدَأَ بِهِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لَمْ تَكُنْ عُمْرَةٌ ثُمَّ عُمَرُ رضي الله عنه، مِثْلُ ذلِكَ ثُمَّ حَجَّ عُثْمَانُ رضي الله عنه، فَرَأَيْتُهُ أَوَّلُ شَيْءٍ بَدَأَ بِهِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ لَمْ تَكُنْ عُمْرَةٌ ثُمَّ مُعَاوِيَةُ وَعَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ ثُمَّ حَجَجْتُ مَعَ أَبِي، الزبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ بَدَأَ بِهِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لَمْ تَكُنْ عُمْرَةٌ ثُمَّ رَأَيْتُ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارَ يَفْعَلُونَ ذلِكَ، ثُمَّ لَمْ تَكُنْ عُمْرَةٌ ثُمَّ آخِرُ مَنْ رَأَيْتُ فَعَلَ ذلِكَ ابْنُ عُمَرَ، ثُمَّ لَمْ يَنْقُضْهَا عُمْرَةً وَهذَا ابْنُ عُمَرَ عِنْدَهُمْ فَلاَ يَسْأَلُونَهُ وَلاَ أَحَدٌ مِمَّنْ مَضى مَا كَانُوا يَبْدَءُونَ بِشَيْءٍ حَتَّى يَضَعُوا أَقْدَامَهُمْ مِنَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لاَ يَحِلُّونَ وَقَدْ رَأَيْتُ أُمِّي وَخَالَتِي حِينَ تَقْدَمَانِ لاَ تَبْتَدِئَانِ بِشَيْءٍ أَوَّلَ مِنَ الْبَيْتِ تَطُوفَانِ بِهِ ثُمَّ لاَ تَحِلاَّنِ وَقَدْ أَخْبَرَتْنِي أُمِّي أَنَّهَا أَهَلَّتْ هِيَ وَأُخْتُهَا وَالزُّبَيْرُ وَفُلاَنٌ وَفُلاَنٌ بِعُمْرَةٍ فَلَمَّا مَسَحُوا الرُّكْنَ حَلُّوا

حديث عاىشة واسماء، عن محمد بن عبد الرحمن بن نوفل القرشي، انه سال عروة بن الزبير، فقال: قد حج النبي صلى الله عليه وسلم، فاخبرتني عاىشة انه اول شيء بدا به حين قدم انه توضا، ثم طاف بالبيت، ثم لم تكن عمرة ثم حج ابو بكر رضي الله عنه، فكان اول شيء بدا به الطواف بالبيت ثم لم تكن عمرة ثم عمر رضي الله عنه، مثل ذلك ثم حج عثمان رضي الله عنه، فرايته اول شيء بدا به الطواف بالبيت، ثم لم تكن عمرة ثم معاوية وعبد الله بن عمر ثم حججت مع ابي، الزبير بن العوام، فكان اول شيء بدا به الطواف بالبيت ثم لم تكن عمرة ثم رايت المهاجرين والانصار يفعلون ذلك، ثم لم تكن عمرة ثم اخر من رايت فعل ذلك ابن عمر، ثم لم ينقضها عمرة وهذا ابن عمر عندهم فلا يسالونه ولا احد ممن مضى ما كانوا يبدءون بشيء حتى يضعوا اقدامهم من الطواف بالبيت ثم لا يحلون وقد رايت امي وخالتي حين تقدمان لا تبتدىان بشيء اول من البيت تطوفان به ثم لا تحلان وقد اخبرتني امي انها اهلت هي واختها والزبير وفلان وفلان بعمرة فلما مسحوا الركن حلوا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)

পরিচ্ছেদঃ ১৫/২৯. যে ব্যক্তি হজ্জের ইহরাম বেঁধে মক্কায় আসল তার জন্য ত্বওয়াফ ও সায়ীতে কী করা অপরিহার্য।

৭৭৬. আবু বকর (রাঃ)-এর কন্যা আসমা (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম ’আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন, যখনই আসমা (রাঃ) হাজ্জূন এলাকা দিয়ে গমন করতেন তখনই তাঁকে বলতে শুনেছেন (صَلَّى الله عَلَى مُحَمَّدٍ) আল্লাহ তাঁর রসূলের প্রতি রহমত নাযিল করুন, এ স্থানে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে অবতরণ করেছিলাম। তখন আমাদের বোঝা ছিল খুব অল্প, যানবাহন ছিল একেবারে নগণ্য এবং সম্বল ছিল খুবই কম। আমি, আমার বোন ’আয়িশাহ (রাঃ), যুবাইর (রাঃ) এবং অমুক অমুক ’উমরাহ আদায় করলাম। তারপর বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করে আমরা সকলেই হালাল হয়ে গেলাম এবং সন্ধ্যাকালে হাজ্জের ইহরাম বাঁধলাম।

ما يلزم من طاف بالبيت وسعى من البقاء على الإحرام وترك التحلل

حديث أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ مَوْلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهُ كَانَ يَسْمَعُ أَسْمَاءَ تَقُولُ، كُلَّمَا مَرَّتْ بِالْحَجُونِ: صَلَّى الله عَلَى مُحَمَّدٍ، لَقَدْ نَزَلْنَا مَعَهُ ههُنَا وَنَحْنُ يَوْمَئِذٍ خِفَافٌ، قَلِيلٌ ظَهْرُنَا، قَلِيلَةٌ أَزْوَادُنَا، فَاعْتَمَرْتُ أَنَا وَأُخْتِي عَائِشَةُ وَالزُّبَيْرُ وَفَلاَنٌ وَفُلاَنٌ، فَلَمَّا مَسَسْنَا الْبَيْتَ أَحْلَلْنَا ثُمَّ أَهْلَلْنَا مِنَ الْعَشِيِّ بِالْحَجِّ

حديث اسماء بنت ابي بكر عن عبد الله مولى اسماء بنت ابي بكر، انه كان يسمع اسماء تقول، كلما مرت بالحجون: صلى الله على محمد، لقد نزلنا معه ههنا ونحن يومىذ خفاف، قليل ظهرنا، قليلة ازوادنا، فاعتمرت انا واختي عاىشة والزبير وفلان وفلان، فلما مسسنا البيت احللنا ثم اهللنا من العشي بالحج

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে