পরিচ্ছেদঃ ৪/২১. অসুখের কারণে ও সফরে যাওয়ার কারণে বা অন্য যে কোন কারণে সঙ্গত ওযর উপস্থিত হলে সালাতে অন্যকে ইমামের স্থলাভিষিক্ত করা

২৩৫. ’উবাইদুল্লাহ্ ইবনু ’আবদুল্লাহ্ ইবনু উতবাহ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বললাম, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর (অন্তিম কালের) অসুস্থতা সম্পর্কে কি আপনি আমাকে কিছু শুনাবেন? তিনি বললেন, অবশ্যই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারাত্মকভাবে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লেন। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, লোকেরা কি সালাত আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, না, হে আল্লাহর রসূল! তাঁরা আপনার জন্য অপেক্ষারত। তিনি বললেন, আমার জন্য গোসলের পাত্রে পানি দাও। ’আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেন, আমরা তাই করলাম। তিনি গোসল করলেন। অতঃপর একটু উঠতে চাইলেন, কিন্তু বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর একটু হুঁশ ফিরে পেলে আবার তিনি জিজ্ঞেস করলেন, লোকেরা কি সালাত আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, না, হে আল্লাহর রসূল! তাঁরা আপনার অপেক্ষায় আছেন। তিনি বললেন, আমার জন্য গোসলের পাত্রে পানি রাখ।

’আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেন, আমরা তাই করলাম। তিনি গোসল করলেন। আবার উঠতে চাইলেন, কিন্তু বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর আবার হুঁশ ফিরে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, লোকেরা কি সালাত আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, না, হে আল্লাহর রসূল! তাঁরা আপনার অপেক্ষায় আছেন। তিনি বললেন, আমার জন্য গোসলের পাত্রে পানি রাখ। অতঃপর তিনি উঠে বসলেন, এবং গোসল করলেন এবং উঠতে গিয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর আবার হুঁশ ফিরে পেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, লোকেরা কি সালাত আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, না, হে আল্লাহর রসূল! তাঁরা আপনার অপেক্ষায় আছেন। ওদিকে সাহাবীগণ ’ইশার সালাতের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অপেক্ষায় মসজিদে বসে ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রাযি.)-এর নিকট এ মর্মে একজন লোক পাঠালেন যে, তিনি যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে নেন।

সংবাদ বাহক আবূ বকর (রাযি.)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে লোকদের নিয়ে সালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। আবূ বকর (রাযি.) অত্যন্ত কোমল মনের লোক ছিলেন, তাই তিনি ’উমার (রাযি.)-কে বললেন, হে ’উমার! আপনি সাহাবীগণকে নিয়ে সালাত আদায় করে নিন। ’উমার (রাযি.) বললেন, আপনিই এর অধিক যোগ্য। তাই আবূ বাক্র (রাযি.) সে কয়দিন সালাত আদায় করলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটু নিজে হাল্কাবোধ করলেন এবং দু’জন লোকের কাঁধে ভর করে যুহরের সালাতের জন্য বের হলেন। সে দু’জনের একজন ছিলেন ’আব্বাস (রাযি.)। আবূ বকর (রাযি.) তখন সাহাবীগণকে নিয়ে সালাত আদায় করছিলেন। তিনি যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখতে পেলেন, পিছনে সরে আসতে চাইলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে পিছিয়ে না আসার জন্য ইঙ্গিত করলেন এবং বললেন, তোমরা আমাকে তাঁর পাশে বসিয়ে দাও। তাঁরা তাঁকে আবূ বকর (রাযি.)-এর পাশে বসিয়ে দিলেন।

বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আবু বাকর (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতের ইক্তিদা করে সালাত আদায় করতে লাগলেন। আর সাহাবীগণ আবূ বকর (রাযি.)-এর সালাতের ইক্তিদা করতে লাগলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন উপবিষ্ট ছিলেন। উবায়দুল্লাহ্ বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ্ ইব্নু ’আব্বাস (রাযি.)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্তিম কালের অসুস্থতা সম্পর্কে ’আয়িশাহ্ (রাযি.) আমাকে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তা কি আমি আপনার নিকট বর্ণনা করব না? তিনি বললেন, করুন। তাই আমি তাঁকে সে হাদীস শুনালাম। তিনি এ বর্ণনার কোন অংশেই আপত্তি করলেন না, তবে তাঁকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন যে, ’আব্বাস (রাযি.)-এর সাথে যে অপর এক সাহাবী ছিলেন, ’আয়িশাহ্ (রাযি.) কি আপনার নিকট তাঁর নাম উল্লেখ করেছেন? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তিনি হলেন, ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযি.)।

استخلاف الإمام إِذا عرض له عذر من مرض وسفر وغيرهما من يصلي بالناس

حَدِيْثُ عَائِشَةَ عَنْ عُبَيْدِ الله بن عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْتُ أَلاَ تُحَدِّثِينِي عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ بَلَى ثَقُلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَصَلَّى النَّاسُ قُلْنَا لاَ هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ قَالَ ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ قَالَتْ فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ فَذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ صلى الله عليه وسلم أَصَلَّى النَّاسُ قُلْنَا لاَ هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ قَالَتْ فَقَعَدَ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ أَصَلَّى النَّاسُ قُلْنَا لاَ هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ فَقَعَدَ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ أَصَلَّى النَّاسُ فَقُلْنَا لاَ هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللهِ وَالنَّاسُ عُكُوفٌ فِي الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُونَ النَّبِيَّ عَلَيْهِ السَّلَام لِصَلَاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ فَأَرْسَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَبِي بَكْرٍ بِأَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فَأَتَاهُ الرَّسُولُ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُكَ أَنْ تُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَكَانَ رَجُلًا رَقِيقًا يَا عُمَرُ صَلِّ بِالنَّاسِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ أَنْتَ أَحَقُّ بِذَلِكَ فَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ تِلْكَ الْأَيَّامَ
ثُمَّ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ أَحَدُهُمَا الْعَبَّاسُ لِصَلَاةِ الظُّهْرِ وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِأَنْ لاَ يَتَأَخَّرَ قَالَ أَجْلِسَانِي إِلَى جَنْبِهِ فَأَجْلَسَاهُ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ قَالَ فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي وَهُوَ يَأْتَمُّ بِصَلَاةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ
قَالَ عُبَيْدُ اللهِ فَدَخَلْتُ عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ لَهُ أَلاَ أَعْرِضُ عَلَيْكَ مَا حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ عَنْ مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ هَاتِ فَعَرَضْتُ عَلَيْهِ حَدِيثَهَا فَمَا أَنْكَرَ مِنْهُ شَيْئًا غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ أَسَمَّتْ لَكَ الرَّجُلَ الَّذِي كَانَ مَعَ الْعَبَّاسِ قُلْتُ لاَ قَالَ هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ

حديث عاىشة عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة قال دخلت على عاىشة فقلت الا تحدثيني عن مرض رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت بلى ثقل النبي صلى الله عليه وسلم فقال اصلى الناس قلنا لا هم ينتظرونك قال ضعوا لي ماء في المخضب قالت ففعلنا فاغتسل فذهب لينوء فاغمي عليه ثم افاق فقال صلى الله عليه وسلم اصلى الناس قلنا لا هم ينتظرونك يا رسول الله قال ضعوا لي ماء في المخضب قالت فقعد فاغتسل ثم ذهب لينوء فاغمي عليه ثم افاق فقال اصلى الناس قلنا لا هم ينتظرونك يا رسول الله فقال ضعوا لي ماء في المخضب فقعد فاغتسل ثم ذهب لينوء فاغمي عليه ثم افاق فقال اصلى الناس فقلنا لا هم ينتظرونك يا رسول الله والناس عكوف في المسجد ينتظرون النبي عليه السلام لصلاة العشاء الاخرة فارسل النبي صلى الله عليه وسلم الى ابي بكر بان يصلي بالناس فاتاه الرسول فقال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم يامرك ان تصلي بالناس فقال ابو بكر وكان رجلا رقيقا يا عمر صل بالناس فقال له عمر انت احق بذلك فصلى ابو بكر تلك الايام ثم ان النبي صلى الله عليه وسلم وجد من نفسه خفة فخرج بين رجلين احدهما العباس لصلاة الظهر وابو بكر يصلي بالناس فلما راه ابو بكر ذهب ليتاخر فاوما اليه النبي صلى الله عليه وسلم بان لا يتاخر قال اجلساني الى جنبه فاجلساه الى جنب ابي بكر قال فجعل ابو بكر يصلي وهو ياتم بصلاة النبي صلى الله عليه وسلم والناس بصلاة ابي بكر والنبي صلى الله عليه وسلم قاعد قال عبيد الله فدخلت على عبد الله بن عباس فقلت له الا اعرض عليك ما حدثتني عاىشة عن مرض النبي صلى الله عليه وسلم قال هات فعرضت عليه حديثها فما انكر منه شيىا غير انه قال اسمت لك الرجل الذي كان مع العباس قلت لا قال هو علي بن ابي طالب رضي الله عنه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪/ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৪/২১. অসুখের কারণে ও সফরে যাওয়ার কারণে বা অন্য যে কোন কারণে সঙ্গত ওযর উপস্থিত হলে সালাতে অন্যকে ইমামের স্থলাভিষিক্ত করা

২৩৬. ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভারী হয়ে পড়লেন এবং তাঁর কষ্ট বেড়ে গেল। তখন তিনি তাঁর স্ত্রীগণের নিকট আমার ঘরে শুশ্রুষা পাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। তারা তাঁকে সম্মতি দিলেন। অতঃপর একদা দু’ ব্যক্তির উপর ভর করে বের হলেন, তখন তার উভয় পা মাটি স্পর্শ করছিল। তিনি ’আব্বাস (রাযি.) ও আরেক ব্যক্তির মাঝে ভর দিয়ে চলছিলেন। উবায়দুল্লাহ (রহ.) বলেন, ’আয়িশাহ (রাযি.) যা বললেন, তা আমি ইবনু ’আব্বাস (রাযি.)-এর নিকট আরয করলাম, তিনি তখন আমাকে বললেন, ’আয়িশাহ (রাযি.) যার নাম উল্লেখ করলেন না, তিনি কে, তা জান কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তিনি হলেন ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযি.)।

استخلاف الإمام إِذا عرض له عذر من مرض وسفر وغيرهما من يصلي بالناس

حَدِيْثُ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا لَمَّا ثَقُلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاشْتَدَّ وَجَعُهُ اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي فَأَذِنَّ لَهُ فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ تَخُطُّ رِجْلَاهُ الْأَرْضَ وَكَانَ بَيْنَ الْعَبَّاسِ وَبَيْنَ رَجُلٍ آخَرَ فَقَالَ عُبَيْدُ اللهِ فَذَكَرْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ مَا قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَالَ لِي وَهَلْ تَدْرِي مَنْ الرَّجُلُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ قُلْتُ لاَ قَالَ هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ

حديث قالت عاىشة رضي الله عنها لما ثقل النبي صلى الله عليه وسلم فاشتد وجعه استاذن ازواجه ان يمرض في بيتي فاذن له فخرج بين رجلين تخط رجلاه الارض وكان بين العباس وبين رجل اخر فقال عبيد الله فذكرت لابن عباس ما قالت عاىشة فقال لي وهل تدري من الرجل الذي لم تسم عاىشة قلت لا قال هو علي بن ابي طالب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪/ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৪/২১. অসুখের কারণে ও সফরে যাওয়ার কারণে বা অন্য যে কোন কারণে সঙ্গত ওযর উপস্থিত হলে সালাতে অন্যকে ইমামের স্থলাভিষিক্ত করা

২৩৭. ’আয়িশাহ (রাযি.) বলেন, আমি আবূ বকর (রাযি.)-এর ইমামতের ব্যাপার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বারবার আপত্তি করেছি। আর আমার তাঁর কাছে বারবার আপত্তি করার কারণ ছিল এই, আমার অন্তরে এ কথা আসেনি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরে তাঁর স্থলে কেউ দাঁড়ালে লোকেরা তাকে পছন্দ করবে। বরং আমি মনে করতাম যে, কেউ তাঁর স্থলে দাঁড়ালে লোকেরা তাঁর প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করবে, তাই আমি ইচ্ছে করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দায়িত্ব আবূ বকর (রাযি.)-এর পরিবর্তে অন্য কাউকে প্রদান করুন।

استخلاف الإمام إِذا عرض له عذر من مرض وسفر وغيرهما من يصلي بالناس

حَدِيْثُ عَائِشَةَ قَالَتْ لَقَدْ رَاجَعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ وَمَا حَمَلَنِي عَلَى كَثْرَةِ مُرَاجَعَتِهِ إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ فِي قَلْبِي أَنْ يُحِبَّ النَّاسُ بَعْدَهُ رَجُلًا قَامَ مَقَامَهُ أَبَدًا وَلاَ كُنْتُ أُرَى أَنَّهُ لَنْ يَقُومَ أَحَدٌ مَقَامَهُ إِلاَّ تَشَاءَمَ النَّاسُ بِهِ فَأَرَدْتُ أَنْ يَعْدِلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَبِي بَكْرٍ

حديث عاىشة قالت لقد راجعت رسول الله صلى الله عليه وسلم في ذلك وما حملني على كثرة مراجعته الا انه لم يقع في قلبي ان يحب الناس بعده رجلا قام مقامه ابدا ولا كنت ارى انه لن يقوم احد مقامه الا تشاءم الناس به فاردت ان يعدل ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ابي بكر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪/ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৪/২১. অসুখের কারণে ও সফরে যাওয়ার কারণে বা অন্য যে কোন কারণে সঙ্গত ওযর উপস্থিত হলে সালাতে অন্যকে ইমামের স্থলাভিষিক্ত করা

২৩৮. ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন অন্তিম রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন, তখন সালাতের সময় হলে আযান দেয়া হলো। তখন তিনি বললেন, আবূ বকরকে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বল। তাঁকে বলা হলো যে, আবু বাকর (রাযি.) অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের লোক, তিনি যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন তখন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার সে কথা বললেন এবং তারাও আবার তা-ই বললেন। তৃতীয়বারও তিনি সে কথা বললেন, তোমরা ইউসুফের সাথীদের ন্যায়। আবূ বকরকে নির্দেশ দাও যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে নেয়। আবূ বকর (রাযি.) এগিয়ে গিয়ে সালাত শুরু করলেন। এদিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেকে একটু হাল্কাবোধ করলেন। দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে বেরিয়ে এলেন। ’আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেন,) আমার চোখে এখনও স্পষ্ট ভাসছে। অসুস্থতার কারণে তাঁর দু’পা মাটির উপর দিয়ে হেঁচড়ে যাচ্ছিল। তখন আবূ বকর (রাযি.) পিছনে সরে আসতে চাইলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে স্বস্থানে থাকার জন্য ইঙ্গিত করলেন। অতঃপর আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আনা হলো, তিনি আবূ বকর (রাযি.)-এর পাশে বসলেন।

আ’মাশকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমামত করছিলেন। আর আবূ বকর (রাযি.) আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণে সালাত আদায় করছিলেন এবং লোকেরা আবু বাকর (রাযি.)-এর সালাতের অনুসরণ করছিল।

استخلاف الإمام إِذا عرض له عذر من مرض وسفر وغيرهما من يصلي بالناس

حَدِيْثُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ لَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَحَضَرَتْ الصَّلاَةُ فَأُذِّنَ فَقَالَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ وَأَعَادَ فَأَعَادُوا لَهُ فَأَعَادَ الثَّالِثَةَ فَقَالَ إِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فَصَلَّى فَوَجَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ كَأَنِّي أَنْظُرُ رِجْلَيْهِ تَخُطَّانِ مِنَ الْوَجَعِ فَأَرَادَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَتَأَخَّرَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ مَكَانَكَ ثُمَّ أُتِيَ بِهِ حَتَّى جَلَسَ إِلَى جَنْبِهِ قِيلَ لِلْأَعْمَشِ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلَاتِهِ وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ

حديث عاىشة رضي الله عنها قالت لما مرض رسول الله صلى الله عليه وسلم مرضه الذي مات فيه فحضرت الصلاة فاذن فقال مروا ابا بكر فليصل بالناس فقيل له ان ابا بكر رجل اسيف اذا قام في مقامك لم يستطع ان يصلي بالناس واعاد فاعادوا له فاعاد الثالثة فقال انكن صواحب يوسف مروا ابا بكر فليصل بالناس فخرج ابو بكر فصلى فوجد النبي صلى الله عليه وسلم من نفسه خفة فخرج يهادى بين رجلين كاني انظر رجليه تخطان من الوجع فاراد ابو بكر ان يتاخر فاوما اليه النبي صلى الله عليه وسلم ان مكانك ثم اتي به حتى جلس الى جنبه قيل للاعمش وكان النبي صلى الله عليه وسلم يصلي وابو بكر يصلي بصلاته والناس يصلون بصلاة ابي بكر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪/ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৪/২১. অসুখের কারণে ও সফরে যাওয়ার কারণে বা অন্য যে কোন কারণে সঙ্গত ওযর উপস্থিত হলে সালাতে অন্যকে ইমামের স্থলাভিষিক্ত করা

২৩৯. ’আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (রোগে) পীড়িত হয়ে পড়েছিলেন, বিলাল (রাযি.) এসে সালাতের কথা বললেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ বকরকে বল, লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবূ বকর (রাযি.) অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের ব্যক্তি। তিনি যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন, তখন সাহাবীগণকে কিছুই শুনাতে পারবেন না। যদি আপনি ’উমার (রাযি.)-কে এ নির্দেশ দেন (তবে ভাল হয়)। তিনি আবার বললেনঃ লোকদের নিয়ে আবূ বকর (রাযি.)-কে সালাত আদায় করতে বল। আমি হাফসা (রাযি.)-কে বললাম, তুমি তাঁকে একটু বল যে, আবূ বকর (রাযি.) অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের ব্যক্তি। তিনি যখন আপনার পরিবর্তে সে স্থানে দাঁড়াবেন, তখন সাহাবীগণকে কিছুই শোনাতে পারবেন না। যদি আপনি ’উমার (রাযি.)-কে এ নির্দেশ দিতেন (তবে ভাল হতো)।

এ শুনে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা ইউসুফের সাথী রমণীদেরই মতো। আবূ বকর (রাযি.)-কে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বল। আবূ বকর (রাযি.) লোকদের নিয়ে সালাত শুরু করলেন। তখন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে একটু সুস্থবোধ করলেন এবং দু’জন সাহাবীর কাঁধে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে মসজিদে গেলেন। তাঁর দু’ পা মাটির উপর দিয়ে হেঁচড়ে যাচ্ছিল। আবূ বকর (রাযি.) যখন তাঁর আগমন আঁচ করলেন, পিছনে সরে যেতে উদ্যত হলেন। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রতি ইঙ্গিত করলেন (পিছিয়ে না যাওয়ার জন্য)। অতঃপর তিনি এসে আবূ বকর (রাযি.)-এর বামপাশে বসে গেলেন, অবশেষে আবূ বকর (রাযি.) দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। আর সাহাবীগণ আবূ বকর (রাযি.)-এর সালাতের অনুসরণ করছিল।

استخلاف الإمام إِذا عرض له عذر من مرض وسفر وغيرهما من يصلي بالناس

حَدِيْثُ عَائِشَةَ قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَ بِلَالٌ يُوذِنُهُ بِالصَّلاَةِ فَقَالَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ وَإِنَّهُ مَتَى مَا يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يُسْمِعُ النَّاسَ فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ فَقَالَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ وَإِنَّهُ مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يُسْمِعُ النَّاسَ فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ قَالَ إِنَّكُنَّ لَأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فَلَمَّا دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ وَجَدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَفْسِهِ خِفَّةً فَقَامَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ وَرِجْلَاهُ يَخُطَّانِ فِي الْأَرْضِ حَتَّى دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَلَمَّا سَمِعَ أَبُو بَكْرٍ حِسَّهُ ذَهَبَ أَبُو بَكْرٍ يَتَأَخَّرُ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى جَلَسَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي قَائِمًا وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي قَاعِدًا يَقْتَدِي أَبُو بَكْرٍ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ مُقْتَدُونَ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ

حديث عاىشة قالت لما ثقل رسول الله صلى الله عليه وسلم جاء بلال يوذنه بالصلاة فقال مروا ابا بكر ان يصلي بالناس فقلت يا رسول الله ان ابا بكر رجل اسيف وانه متى ما يقم مقامك لا يسمع الناس فلو امرت عمر فقال مروا ابا بكر يصلي بالناس فقلت لحفصة قولي له ان ابا بكر رجل اسيف وانه متى يقم مقامك لا يسمع الناس فلو امرت عمر قال انكن لانتن صواحب يوسف مروا ابا بكر ان يصلي بالناس فلما دخل في الصلاة وجد رسول الله صلى الله عليه وسلم في نفسه خفة فقام يهادى بين رجلين ورجلاه يخطان في الارض حتى دخل المسجد فلما سمع ابو بكر حسه ذهب ابو بكر يتاخر فاوما اليه رسول الله صلى الله عليه وسلم فجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى جلس عن يسار ابي بكر فكان ابو بكر يصلي قاىما وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي قاعدا يقتدي ابو بكر بصلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم والناس مقتدون بصلاة ابي بكر رضي الله عنه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪/ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৪/২১. অসুখের কারণে ও সফরে যাওয়ার কারণে বা অন্য যে কোন কারণে সঙ্গত ওযর উপস্থিত হলে সালাতে অন্যকে ইমামের স্থলাভিষিক্ত করা

২৪০. আনাস ইবনু মালিক আনসারী (রাযি.) যিনি নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসারী, খাদিম এবং সাহাবী ছিলেন। তিনি বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্তিম রোগে আক্রান্ত অবস্থায় আবূ বকর (রাযি.) সাহাবীগণকে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। অবশেষে যখন সোমবার এল এবং লোকেরা সালাতের জন্য কাতারে দাঁড়াল, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুজরাহর পর্দা উঠিয়ে আমাদের দিকে তাকালেন। তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁর চেহারা যেন কুরআনুল কারীমের পৃষ্ঠা (এর ন্যায় ঝলমল করছিল)। তিনি মুচকি হাসলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখতে পেয়ে আমরা খুশীতে প্রায় আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম এবং আবু বাকর (রাযি.) কাতারে দাঁড়ানোর জন্য পিছন দিকে সরে আসছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হয়তো সালাতে আসবেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইঙ্গিতে বললেন যে, তোমরা তোমাদের সালাত পূর্ণ করে নাও। অতঃপর তিনি পর্দা ছেড়ে দিলেন। সে দিনই তিনি ওফাতপ্রাপ্ত হন।

استخلاف الإمام إِذا عرض له عذر من مرض وسفر وغيرهما من يصلي بالناس

حَدِيْثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيِّ وَكَانَ تَبِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَخَدَمَهُ وَصَحِبَهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فِي وَجَعِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ الِاثْنَيْنِ وَهُمْ صُفُوفٌ فِي الصَّلاَةِ فَكَشَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سِتْرَ الْحُجْرَةِ يَنْظُرُ إِلَيْنَا وَهُوَ قَائِمٌ كَأَنَّ وَجْهَهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ ثُمَّ تَبَسَّمَ يَضْحَكُ فَهَمَمْنَا أَنْ نَفْتَتِنَ مِنَ الْفَرَحِ بِرُؤْيَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَكَصَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى عَقِبَيْهِ لِيَصِلَ الصَّفَّ وَظَنَّ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَارِجٌ إِلَى الصَّلاَةِ فَأَشَارَ إِلَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَتِمُّوا صَلَاتَكُمْ وَأَرْخَى السِّتْرَ فَتُوُفِّيَ مِنْ يَوْمِهِ

حديث انس بن مالك الانصاري وكان تبع النبي صلى الله عليه وسلم وخدمه وصحبه ان ابا بكر كان يصلي لهم في وجع النبي صلى الله عليه وسلم الذي توفي فيه حتى اذا كان يوم الاثنين وهم صفوف في الصلاة فكشف النبي صلى الله عليه وسلم ستر الحجرة ينظر الينا وهو قاىم كان وجهه ورقة مصحف ثم تبسم يضحك فهممنا ان نفتتن من الفرح بروية النبي صلى الله عليه وسلم فنكص ابو بكر على عقبيه ليصل الصف وظن ان النبي صلى الله عليه وسلم خارج الى الصلاة فاشار الينا النبي صلى الله عليه وسلم ان اتموا صلاتكم وارخى الستر فتوفي من يومه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪/ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৪/২১. অসুখের কারণে ও সফরে যাওয়ার কারণে বা অন্য যে কোন কারণে সঙ্গত ওযর উপস্থিত হলে সালাতে অন্যকে ইমামের স্থলাভিষিক্ত করা

২৪১. আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (রোগশয্যায় থাকার কারণে) তিনদিন পর্যন্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইরে আসেন নি। এ সময় এক সময় সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দেয়া হল। আবূ বকর (রাযি.) ইমামত করার জন্য অগ্রসর হচ্ছিলেন। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরের পর্দা ধরে উঠালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারা যখন আমাদের সম্মুখে প্রকাশ পেল, তাঁর চেহারার চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আমরা আর কখনো দেখিনি। যখন তাঁর চেহারা আমাদের সম্মুখে প্রকাশ পেল, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাতের ইঙ্গিতে আবূ বকর (রাযি.)-কে (ইমামতের জন্য) এগিয়ে যেতে বললেন এবং পর্দা ফেলে দিলেন। অতঃপর তাঁর মৃত্যুর পূর্বে তাঁকে আর দেখার সৌভাগ্য হয়নি।

استخلاف الإمام إِذا عرض له عذر من مرض وسفر وغيرهما من يصلي بالناس

حَدِيْثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ لَمْ يَخْرُجْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثَلَاثًا فَأُقِيمَتْ الصَّلاَةُ فَذَهَبَ أَبُو بَكْرٍ يَتَقَدَّمُ فَقَالَ نَبِيُّ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحِجَابِ فَرَفَعَهُ فَلَمَّا وَضَحَ وَجْهُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا نَظَرْنَا مَنْظَرًا كَانَ أَعْجَبَ إِلَيْنَا مِنْ وَجْهِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ وَضَحَ لَنَا فَأَوْمَأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يَتَقَدَّمَ وَأَرْخَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْحِجَابَ فَلَمْ يُقْدَرْ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَ

حديث انس بن مالك قال لم يخرج النبي صلى الله عليه وسلم ثلاثا فاقيمت الصلاة فذهب ابو بكر يتقدم فقال نبي الله صلى الله عليه وسلم بالحجاب فرفعه فلما وضح وجه النبي صلى الله عليه وسلم ما نظرنا منظرا كان اعجب الينا من وجه النبي صلى الله عليه وسلم حين وضح لنا فاوما النبي صلى الله عليه وسلم بيده الى ابي بكر ان يتقدم وارخى النبي صلى الله عليه وسلم الحجاب فلم يقدر عليه حتى مات

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪/ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৪/২১. অসুখের কারণে ও সফরে যাওয়ার কারণে বা অন্য যে কোন কারণে সঙ্গত ওযর উপস্থিত হলে সালাতে অন্যকে ইমামের স্থলাভিষিক্ত করা

২৪২. আবূ মূসা (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থ হয়ে পড়লেন, ক্রমে তাঁর অসুস্থতা তীব্রতর হলে তিনি বললেন, আবূ বকরকে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বল। ’আয়িশাহ্ (রাযি.) বললেন, তিনি তো কোমল হৃদয়ের লোক, যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন, তখন তিনি লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে পারবেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার বললেন, আবূ বকরকে বল, সে যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে। ’আয়িশাহ্ (রাযি.) আবার সে কথা বললেন। তখন তিনি আবার বললেন, আবূ বকরকে বল, সে যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে। তোমরা ইউসুফের (আ.) সাথী রমণীদেরই মতো। অতঃপর একজন সংবাদদাতা আবূ বকর (রাযি.)-এর নিকট সংবাদ নিয়ে আসলেন এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশাতেই লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন।

استخلاف الإمام إِذا عرض له عذر من مرض وسفر وغيرهما من يصلي بالناس

حَدِيْثُ أَبِي مُوسَى قَالَ مَرِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاشْتَدَّ مَرَضُهُ فَقَالَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ قَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّهُ رَجُلٌ رَقِيقٌ إِذَا قَامَ مَقَامَكَ لَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ قَالَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَعَادَتْ فَقَالَ مُرِي أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ فَأَتَاهُ الرَّسُولُ فَصَلَّى بِالنَّاسِ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

حديث ابي موسى قال مرض النبي صلى الله عليه وسلم فاشتد مرضه فقال مروا ابا بكر فليصل بالناس قالت عاىشة انه رجل رقيق اذا قام مقامك لم يستطع ان يصلي بالناس قال مروا ابا بكر فليصل بالناس فعادت فقال مري ابا بكر فليصل بالناس فانكن صواحب يوسف فاتاه الرسول فصلى بالناس في حياة النبي صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪/ সালাত (كتاب الصلاة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে