পরিচ্ছেদঃ ১/৭৫. আল্লাহ তা'আলার বাণীর অর্থঃ অবশ্যই তিনি [মুহাম্মাদ (ﷺ)]-তাকে [জিবরীল (আঃ)-কে] আরেকবার নাযিল অবস্থায় দেখেছেন আর নাবী (ﷺ) কি মি'রাজের রজনীতে তার পালনকর্তাকে দেখেছেন?

১১১. মাসরূক (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আম্মা! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তাঁর রবকে দেখেছিলেন? তিনি বললেন, তোমার কথায় আমার গায়ের পশম কাঁটা দিয়ে খাড়া হয়ে গেছে। তিনটি কথা সম্পর্কে তুমি কি অবগত নও? যে তোমাকে এ তিনটি কথা বলবে সে মিথ্যা বলবে। যদি কেউ তোমাকে বলে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রতিপালককে দেখেছেন, তাহলে সে মিথ্যাবাদী। অতঃপর তিনি পাঠ করলেন, তিনি দৃষ্টির অধিগম্য নহেন কিন্তু দৃষ্টিশক্তি তাঁর অধিগত; এবং তিনিই সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক পরিজ্ঞাত’’ ’’মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ্ তাঁর সাথে কথা বলবেন, ওয়াহীর মাধ্যম ছাড়া অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতিরেকে’’। আর যে ব্যক্তি তোমাকে বলবে যে, আগামীকাল কী হবে সে তা জানে, তাহলে সে মিথ্যাবাদী। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেন, ’’কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে।’’ এবং তোমাকে যে বলবে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কথা গোপন রেখেছেন, তাহলে সেও মিথ্যাবাদী। এরপর তিনি পাঠ করলেন, ’’হে রসূল! তোমার প্রতিপালকের কাছ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা প্রচার কর। হ্যাঁ, তবে রসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল (’আঃ)-কে তাঁর নিজস্ব আকৃতিতে দু’বার দেখেছেন।

حَدِيْثُ عَائِشَةَ عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا يَا أُمَّتَاهْ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم رَبَّهُ فَقَالَتْ لَقَدْ قَفَّ شَعَرِي مِمَّا قُلْتَ أَيْنَ أَنْتَ مِنْ ثَلَاثٍ مَنْ حَدَّثَكَهُنَّ فَقَدْ كَذَبَ مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ كَذَبَ ثُمَّ قَرَأَتْ (لاَ تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الْأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ) (وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُكَلِّمَهُ اللهُ إِلاَّ وَحْيًا أَوْ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ) وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ فَقَدْ كَذَبَ ثُمَّ قَرَأَتْ (وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا) وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ كَتَمَ فَقَدْ كَذَبَ ثُمَّ قَرَأَتْ (يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ) الْآيَةَ وَلَكِنَّهُ رَأَى جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَام فِي صُورَتِهِ مَرَّتَيْنِ

حديث عاىشة عن مسروق قال قلت لعاىشة رضي الله عنها يا امتاه هل راى محمد صلى الله عليه وسلم ربه فقالت لقد قف شعري مما قلت اين انت من ثلاث من حدثكهن فقد كذب من حدثك ان محمدا صلى الله عليه وسلم راى ربه فقد كذب ثم قرات (لا تدركه الابصار وهو يدرك الابصار وهو اللطيف الخبير) (وما كان لبشر ان يكلمه الله الا وحيا او من وراء حجاب) ومن حدثك انه يعلم ما في غد فقد كذب ثم قرات (وما تدري نفس ماذا تكسب غدا) ومن حدثك انه كتم فقد كذب ثم قرات (يا ايها الرسول بلغ ما انزل اليك من ربك) الاية ولكنه راى جبريل عليه السلام في صورته مرتين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )

পরিচ্ছেদঃ ১/৭৫. আল্লাহ তা'আলার বাণীর অর্থঃ অবশ্যই তিনি [মুহাম্মাদ (ﷺ)]-তাকে [জিবরীল (আঃ)-কে] আরেকবার নাযিল অবস্থায় দেখেছেন আর নাবী (ﷺ) কি মি'রাজের রজনীতে তার পালনকর্তাকে দেখেছেন?

১১২. ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মনে করবে যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রবকে দেখেছেন, সে ব্যক্তি মহা ভুল করবে। বরং তিনি জিবরীল (’আঃ)-কে তাঁর আসল আকার ও চেহারায় দেখেছেন। তিনি আকাশের দিকচক্রবাল জুড়ে অবস্থান করছিলেন।

حَدِيْثُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ مَنْ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ أَعْظَمَ وَلَكِنْ قَدْ رَأَى جِبْرِيلَ فِي صُورَتِهِ وَخَلْقُهُ سَادٌّ مَا بَيْنَ الْأُفُقِ

حديث عاىشة رضي الله عنها قالت من زعم ان محمدا راى ربه فقد اعظم ولكن قد راى جبريل في صورته وخلقه ساد ما بين الافق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে