পরিচ্ছেদঃ তওবা ও ইস্তিগফারের ফযীলত এবং বান্দার প্রতি আল্লাহ্র রহমতের বিবরণ
৩৫৩৫. ইবন আবূ উমার (রহঃ) ..... যির ইবন হুবাইশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি সাফওয়ান ইবন আসসাল মুরাদী (রাঃ) এর কাছে চামরার মোজার উপর মাসেহ করার বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য এলাম। তিনি বললেনঃ হে যির! কি উদ্দেশ্যে তোমার আগমন? আমি বললামঃ ইলমের অন্বেষণে। তিনি বললেনঃ তালেবুল ইলমের জন্য ফিরিশতারা তাদের পাখনা বিছিয়ে দেন তার ইলম সন্ধানের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশে। আমি বললামঃ প্রসাব-পায়খানার পর (উযূর ক্ষেত্রে) চামড়ার মোজায় মাসেহ করার বিষয়টি আমার মনে সন্দেহের উদ্রেক হচ্ছে। আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের একজন। তাই আপনার কাছে জিজ্ঞেস করতে এলাম যে, এই বিষয়ে আপনি তাকে কিছু বলতে শুনেছেন কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা যখন মুসাফির থাকি তখন যেন গোসল ফরযজনিত কারন ব্যতীত (উযূ করার) তিন দিন তিন রাত আমাদের চামড়ার মোজা না খুলি, প্রস্রাব-পায়খানা ও নিদ্রা ইত্যাদি কারণের বেলায়ও নয়।
আমি বললামঃ মুহাব্বাতের বিষয়ে তাঁকে কিছু বলতে শুনেছেন কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম।আমরা তাঁর কাছে ছিলাম এমন সময় বেদুঈন উচ্চৈস্বরে তাকে ডাক দিয়ে বললঃ হে মুহাম্মাদ! তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মত আওয়াজে উত্তর দিলেনঃ এস। আমরা তাকে বললামঃ ওহে! তোমার আওয়াজ একটু নীচু কর। কেননা তুমি তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসেছ। আর তাঁর কাছে এরূপ করতে তোমাকে নিষেধ করা হয়েছে। সে বললঃ আল্লাহর কসম! আমি আমার আওয়াজ নীচু করতে পারব না। পরে ঐ বেদুঈন বললঃ কোন ব্যক্তি এক সম্প্রদায়কে ভালবাসে বটে কিন্তু তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারে নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে যাকে ভালবাসবে, কিয়ামতের দিন সে তার সঙ্গেই থাকবে।
যির (রহঃ) বলেনঃ সাফওয়ান (রাঃ) আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করতে করতে পশ্চিম প্রান্তের (সুফয়ানের বর্ণনায় সিরিয়ার প্রান্তে) একটি দরজার কথা উল্লেখ করলেন। এই ফটকটির প্রশস্তাতা হল চল্লিশ বা (অপর বর্ণনায়) সত্তর বছরের সওয়ারী অতিক্রম করার পথ। আল্লাহ তা’আলা যেদিন থেকে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, সেদিন থেকে ঐটিও সৃষ্টি করেছেন। তওবার জন্য এটি সদা উন্মুক্ত। পশ্চিম থেকে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ করা হবে না।
হাসান, তা’লীকুর রাগীব ৪/৭৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ أَسْأَلُهُ عَنِ الْمَسْحِ، عَلَى الْخُفَّيْنِ فَقَالَ مَا جَاءَ بِكَ يَا زِرُّ فَقُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ فَقَالَ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا يَطْلُبُ . قُلْتُ إِنَّهُ حَكَّ فِي صَدْرِي الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ بَعْدَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَكُنْتَ امْرَأً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتُ أَسْأَلُكَ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي ذَلِكَ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كَانَ يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِيِنَ أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ لَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ . فَقُلْتُ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَبَيْنَا نَحْنُ عِنْدَهُ إِذْ نَادَاهُ أَعْرَابِيٌّ بِصَوْتٍ لَهُ جَهْوَرِيٍّ يَا مُحَمَّدُ . فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى نَحْوٍ مِنْ صَوْتِهِ هَاؤُمُ وَقُلْنَا لَهُ وَيْحَكَ اغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ فَإِنَّكَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا . فَقَالَ وَاللَّهِ لاَ أَغْضُضُ . قَالَ الأَعْرَابِيُّ الْمَرْءُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ . قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . فَمَازَالَ يُحَدِّثُنَا حَتَّى ذَكَرَ بَابًا مِنْ قِبَلِ الْمَغْرِبِ مَسِيرَةُ عَرْضِهِ أَوْ يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي عَرْضِهِ أَرْبَعِينَ أَوْ سَبْعِينَ عَامًا قَالَ سُفْيَانُ قِبَلَ الشَّامِ خَلَقَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ مَفْتُوحًا يَعْنِي لِلتَّوْبَةِ لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Zirr bin Hubaish said:
“I came to Safwan bin `Assal Al Muradi to ask him about wiping over the Khuff, so he said: ‘What has brought you, O Zirr?’ So I said: ‘The desire for knowledge.’ So he said: ‘Indeed, the angels lower their wings for the seeker of knowledge, out of pleasure with what he is seeking.’ So I said: ‘Indeed there is some doubt in my chest concerning wiping over the Khuff after defecation and urination, and you were a man from the Companions of the Prophet (ﷺ), so I came to you to ask you: Have you heard him (ﷺ) mention anything concerning that?’ He said: ‘Yes, he (ﷺ) used to order us, that when we were travelers’ - or - ‘in travel, to not remove our Khuff for three days and nights except, from sexual impurity, but not from defecation, urination, and sleep.’” He said: “Have you heard him (ﷺ) mention anything concerning love?” He said: “Yes. We were with the Messenger of Allah (ﷺ) on a journey when a Bedouin with a loud voice called upon him (saying): ‘O Muhammad!’ So the Messenger of Allah (ﷺ) responded to him with a voice similar to him (saying): ‘Come.’ So we said to him: ‘Lower your voice for you are with the Prophet (ﷺ), and you have been prohibited from this.’ He said: ‘By Allah, I will not lower (my voice).’ The Bedouin said: ‘A man loves a people but he is not with them (in terms of deeds)?’ He (ﷺ) said: ‘A man is with whomever he loves on the Day of Judgement.’” So he did not cease talking with us, until he mentioned a gate in the direction of the west with the width of seventy years journey - or a rider would travel its width - for forty or seventy years.” Sufyan (one of the narrators) said: “In the direction of Ash-Sham, Allah created it the Day He created the heavens and the earth, open - that is, for repentance. It shall not be locked until the sun rises through it.”
পরিচ্ছেদঃ তওবা ও ইস্তিগফারের ফযীলত এবং বান্দার প্রতি আল্লাহ্র রহমতের বিবরণ
৩৫৩৬. আহমাদ ইবন আবদা দাব্বী (রহঃ) ...... যির ইবন হুবায়শ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি সাফওয়ান ইবন আসসাল মুরাদী (রাঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ কেন এসেছ? আমি বললামঃ ইলমের তালাশে। তিনি বললেনঃ আমার কাছে এই হাদীস পৌছেছে যে, ইলম তালাশকারী যা করে, তাতে সন্তুষ্ট হয়ে ফিরিশতারা তাঁর জন্য তাঁদের পাখা বিছিয়ে দেন। তিনি বলেছেনঃ আমি বললামঃ চামড়ার মোজায় মাসেহ করার বিষয়ে আমার মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে। এই বিষয়ে কি আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে কিছু সংরক্ষণ করেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, গোসল ফরযজনিত কারণ ব্যতীত, পায়খানা-প্রস্রাব ও নিদ্রাজনিত কারণে উযূর ব্যাপারে না ধোয়ার জন্য মুসাফির অবস্থায় তিন দিন চামড়ার মোজা না খুলতে আমাদের নর্দেশ দিয়েছেন।
আমি বললামঃ মুহাব্বাতের বিষয়ে কিছু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সংরক্ষণ করেছেন কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমরা এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। মজলিসের শেষদিকে অবস্থানরত এক বেদুঈন তখন চিৎকার করে তাঁকে বললঃ হে মুহাম্মাদ! হে মুহাম্মাদ! উপস্থিত লোকেরা তাকে বললঃ চুপ কর, এভাবে ডাকা নিষেধ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মত আওয়াজে জওয়াব দিলেনঃ আস। লোকটি বললঃ কোন ব্যক্তি এক সম্প্রদায়কে ভালবাসে কিন্তু সে তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারে নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে যাকে ভালবাসে সে তার সঙ্গে অবস্থান করবে।
যিরর (রহঃ) বলেন, সাফওয়ান (রাঃ) আমাদের হাদীস বর্ণনা করতে থাকলেন। শেষে তিনি বর্ণনা করলেন যে, আল্লাহ তা’আলা পশ্চিমে একটি তওবার দ্বার তৈরী করেছেন। এর প্রশস্ততা সত্তর বছরের পথ। পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় না ঘটা পর্যন্ত তা কখনও রুদ্ধ হবে না। আল্লাহর এই কালামে এইদিকে ইঙ্গিত রয়েছেঃ
يومَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا
যে দিন তোমার রব্বের কিছু নিদর্শনের আবির্ভাব ঘটবে, সেদিন তার ঈমান কোন কাজে আসবে না যে ব্যাক্তি পূর্বে ঈমান আনেনি। (সূরা আনআম ৬ঃ ১৫৮)
সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ فَقَالَ لِي مَا جَاءَ بِكَ قُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ . قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا يَفْعَلُ . قَالَ قُلْتُ إِنَّهُ حَاكَ أَوْ قَالَ حَكَّ فِي نَفْسِي شَيْءٌ مِنَ الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِينَ أُمِرْنَا أَنْ لاَ نَخْلَعَ خِفَافَنَا ثَلاَثًا إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ . قَالَ فَقُلْتُ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَنَادَاهُ رَجُلٌ كَانَ فِي آخِرِ الْقَوْمِ بِصَوْتٍ جَهْوَرِيٍّ أَعْرَابِيٌّ جِلْفٌ جَافٍ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ يَا مُحَمَّدُ . فَقَالَ لَهُ الْقَوْمُ مَهْ إِنَّكَ قَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا . فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوًا مِنْ صَوْتِهِ هَاؤُمُ فَقَالَ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ . قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ " . قَالَ زِرٌّ فَمَا بَرِحَ يُحَدِّثُنِي حَتَّى حَدَّثَنِي أَنَّ اللَّهَ جَعَلَ بِالْمَغْرِبِ بَابًا عَرْضُهُ مَسِيرَةُ سَبْعِينَ عَامًا لِلتَّوْبَةِ لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ قِبَلِهِ وَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّْ : ( يومَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Zirr bin Hubaish said:
“I came to Safwan bin `Assal Al-Muradi so he said to me: ‘What has brought you, O Zirr?’ So I said: ‘The desire for knowledge.’ So he said: ‘It has been conveyed to me that the angels lower their wings for the seeker of knowledge, out of pleasure with what he is doing.’” He said: “So I said to him: ‘Indeed there is something wavering’ - or - ‘some doubt in my chest concerning wiping over the Khuff after defecation. So have you retained anything from the Messenger of Allah (ﷺ) concerning that?’ He said: ‘Yes, when we were travelers, he (ﷺ) used to order us not to remove our Khuff for three days and nights, except from sexual impurity, but not from defecation, urination, and sleep.’” He said: “So I said: ‘So have you memorized anything from the Messenger of Allah (ﷺ) concerning love?’ He said: ‘Yes, we were in one of our journeys with the Messenger of Allah (ﷺ) when a man, a harsh, foolish Bedouin, who had been at the end of the group, called him with a loud voice, saying: “O Muhammad! O Muhammad!” So the people said to him “Mah! Indeed, you have been prohibited from this.” So the Messenger of Allah (ﷺ) responded to him with similar to his voice: “Come.” So he said: “A man loves a people but he has not reached them?” He said: ‘So the Messenger of Allah (ﷺ) said: “A man is with whomever he loves.”’ Zirr said: “He did not cease reporting to me until he had reported that Allah, the Mighty and Sublime, has appointed a gate in the west - its width is the distance of a seventy-year journey - for repentance: it shall not be locked until the sun rises from its direction, and that is the Statement of Allah, Blessed be He and Most High, of the Ayah: The Day some of the signs of your Lord come, no soul shall be benefited by its believing.”
পরিচ্ছেদঃ তওবা ও ইস্তিগফারের ফযীলত এবং বান্দার প্রতি আল্লাহ্র রহমতের বিবরণ
৩৫৩৭. ইবরাহীম ইবন ইয়াকূব (রহঃ) .... ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রুহ কন্ঠায় না পৌছা পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা বান্দার তওবা অবশ্যই কবূল করবেন।
হাসান, ইবনু মাজাহ ৪২৫৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-গারিব। মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ .
Ibn `Umar narrated that the Prophet (ﷺ) said:
“Indeed Allah accepts the repentance of a slave as long as (his soul does not reach his throat).”
পরিচ্ছেদঃ তওবা ও ইস্তিগফারের ফযীলত এবং বান্দার প্রতি আল্লাহ্র রহমতের বিবরণ
৩৫৩৮. কুতায়বা (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ হারিয়ে যাওয়া কোন ব্যক্তি পেলে যতখানি খুশি হয়, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের একজনের তওবায় এর চেয়ে বেশী আনন্দিত হন।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ৪২৪৭, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ বিষয়ে ইবন মাসউদ, নু’মান ইবন বাশীর ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ এই সূত্রে গারীব। মাকহুল ... আবূ যর-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَلَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ أَحَدِكُمْ مِنْ أَحَدِكُمْ بِضَالَّتِهِ إِذَا وَجَدَهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَأَنَسٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الزِّنَادِ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ مَكْحُولٍ بِإِسْنَادٍ لَهُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا .
Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah is more delighted with the repentance of one of you, than one of you is, when finding his lost animal.”